The News Mail

  • Home
  • The News Mail

The News Mail Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from The News Mail, News & Media Website, .

11/07/2025

স্বাধীন দেশ সামোয়া: প্রশান্ত মহাসাগরের হৃদয় থেকে এক ঝলক 🇼🇸

আপনি কি জানেন? সামোয়া হলো দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপদেশ, যার গভীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। চলুন একটু পরিচিত হই সামোয়ার সাথে!

সামোয়ার ভৌগোলিক অবস্থা
• অবস্থান: দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে, ফিজি ও টোঙ্গার মাঝামাঝি।
• দ্বীপ: প্রধান দুইটি দ্বীপ — Upolu ও Savai‘i।
• রাজধানী: Apia (Upolu দ্বীপে)।
• আয়তন: প্রায় 2,842 বর্গকিলোমিটার।

প্রকৃতি ও জলবায়ু
• সামোয়া ঝড়বৃষ্টি-প্রবণ হলেও year-round গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া রয়েছে।
• প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন — ঝর্ণা, পাহাড়, বালুকাময় সমুদ্রতট আর মনোরম বনভূমি।
• দ্বীপজুড়ে রয়েছে নানা ধরণের সমুদ্রজীব ও সমৃদ্ধ প্রবাল প্রাচীর।

জনসংখ্যা ও সংস্কৃতি
• জনসংখ্যা প্রায় ২০৫,০০০ (২০২৩ সালের হিসাবে)।
• সাংস্কৃতিকভাবে একেবারে অনন্য, “Fa’a Samoa” বা সামোয়ান জীবনধারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
• পরিবার, সামাজিক সম্মান, আচার-অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ ঐতিহ্য অত্যন্ত গুরুত্ব পায়।
• সামোয়ান ভাষা ও ইংরেজি সরকারি ভাষা।

ধর্ম ও ঐতিহ্য
• অধিকাংশ মানুষ খ্রিস্টান (প্রেসবিটারিয়ান, ক্যাথলিক, মেথোডিস্ট প্রধান)।
• ধর্মীয় অনুষ্ঠান, উৎসব, ও সামাজিক কাজগুলো খুবই দৃঢ় ও প্রাণবন্ত।

সামোয়া যাওয়ার পথ
• কানাডা বা অন্যান্য দেশের থেকে যেতে হয় সাধারণত নিউজিল্যান্ড বা ফিজির মাধ্যমে।
• Faleolo International Airport প্রধান বিমানবন্দর।

🏞️ পর্যটন আকর্ষণ
• Lalomanu Beach — নরম বালু ও শান্ত সমুদ্রের স্বপ্নীল স্নান স্থান।
• To Sua Ocean Trench — এক অনন্য প্রাকৃতিক সুইমিং হোল, যা দেখতে অনেকটা গভীর গর্ত।
• Papapapaitai Falls — ঝর্ণার এক অসাধারণ দৃশ্য।
• সামোয়া হল প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য সত্যিকারের স্বর্গ।

সতর্কতা
• সামোয়া ঝড়, বন্যা ও সুনামির ঝুঁকিতে থাকে, তাই ভ্রমণের আগে আবহাওয়া খতিয়ে দেখা জরুরি।
• স্থানীয় নিয়ম ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানো খুব গুরুত্বপূর্ণ।

রাজধানী: Apia
ভাষা: Samoan, English
জনসংখ্যা: প্রায় ২ লক্ষ ৫ হাজার
মুদ্রা: Samoan tala (WST)
সময় অঞ্চল: UTC +13
জাতিসংঘ সদস্য: হ্যাঁ।

সামোয়া – যেখানে প্রকৃতি আর সংস্কৃতি মিলে এক অম্লান বন্ধন তৈরি করে।

11/07/2025

কেপ ভার্দে: আটলান্টিক মহাসাগরের একটি স্বপ্নীল দ্বীপ রাষ্ট্র 🇨🇻

আপনি কি জানেন, কেপ ভার্দে হচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলের কাছে অবস্থিত আটটি প্রধান ও কয়েকটি ছোট দ্বীপের সমষ্টি, যা একটি স্বাধীন দেশ? আজকের পোস্টে জানুন এই অসাধারণ দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সৌন্দর্যের কথা।

ভৌগোলিক অবস্থান
• কেপ ভার্দে অবস্থিত আটলান্টিক মহাসাগরে, পশ্চিম আফ্রিকার সাগর উপকূলের নিকটে।
• দেশটিতে রয়েছে ১০টি প্রধান দ্বীপ, যার মধ্যে বেশিরভাগই আগ্নেয়গিরিজাত।
• রাজধানী: প্রায়া (Praia), সান্তা আনার্থেলা দ্বীপে।

ইতিহাসের এক ঝলক
• ১৪৫৬ সালে পোর্টুগিজরা প্রথম এখানে আসে এবং কেপ ভার্দে তাদের উপনিবেশ হিসেবে গড়ে তোলে।
• দ্বীপগুলো ছিল দাস ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু, যেখানে আফ্রিকান দাসরা বিক্রি হত।
• ১৯৭৫ সালে পোর্টুগালের শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে কেপ ভার্দে।
• স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল গণতন্ত্র হিসেবে গড়ে ওঠে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জলবায়ু
• কেপ ভার্দে শুষ্ক ও গরম জলবায়ুর দেশ, তবে দ্বীপগুলোতে নানা ধরণের আগ্নেয়গিরি, সমুদ্র সৈকত, এবং বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি রয়েছে।
• পর্যটকদের জন্য এক অপূর্ব গন্তব্য যেখানে পাহাড়, বালুকাময় সৈকত আর বিশাল সমুদ্রের দেখা মেলে।

জনসংখ্যা ও সংস্কৃতি
• প্রায় ৫৫০,০০০ জনের বাস।
• জনগণের বেশিরভাগই আফ্রিকান ও ইউরোপীয় মিশ্র বংশোদ্ভূত।
• ভাষা: অফিসিয়ালি পর্তুগিজ ও ক্রিওল।
• সাংস্কৃতিক জীবনে সঙ্গীত বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে—মোরনা নামক লোকসঙ্গীত খুবই জনপ্রিয়।

অর্থনীতি
• প্রধানত নির্ভরশীল:
• পর্যটন
• সামুদ্রিক মাছ ধরার ব্যবসা
• কৃষি (যদিও জলাভাব কম)
• বিদেশী রেমিটেন্সও দেশের অর্থনীতির বড় অংশ।

কিভাবে যাবেন?
• কানাডা, ইউরোপ বা আফ্রিকা থেকে সরাসরি বা ট্রানজিট ফ্লাইট পাওয়া যায়।
• প্রধান বিমানবন্দর: Amílcar Cabral International Airport (Sal দ্বীপে)।

স্বাধীনতা: ১৯৭৫, পোর্টুগাল থেকে
রাজধানী: Praia
ভাষা: পর্তুগিজ ও ক্রিওল
জনসংখ্যা: প্রায় ৫৫০,০০০
মুদ্রা: কেপ ভার্দে এসকুডো (CVE)।

কেন কেপ ভার্দে ভ্রমণ করবেন?
• প্রশান্ত সমুদ্র সৈকত
• সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
• শান্তিপূর্ণ পরিবেশ
• বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণ ও জলক্রীড়ার সুযোগ।

11/07/2025

আমেরিকান সামোয়া: প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট মার্কিন টেরিটরি

ভৌগোলিক অবস্থা
• আমেরিকান সামোয়া দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাদা প্রশাসনিক এলাকা (unincorporated territory)।
• এটি টুয়তিলা নামক প্রধান দ্বীপসহ মোট ৫টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
• রাজধানী ও প্রধান শহর: Pago Pago।
• দ্বীপগুলোর মোট এলাকা প্রায় 199 বর্গকিলোমিটার।

জনসংখ্যা ও সংস্কৃতি
• জনসংখ্যা প্রায় ৪৯,০০০ (২০২৪ আনুমানিক)।
• অধিকাংশ মানুষ Samoan জাতিগোষ্ঠীর, যারা তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি ধারণ করে।
• Samoan ভাষা এবং ইংরেজি—দুটি সরকারি ভাষা।
• শক্তিশালী “Fa’a Samoa” সংস্কৃতি—যার মানে “সামোয়ান জীবনধারা” এবং এর মধ্যে পরিবার, সম্মান, সামাজিক নিয়মকানুন অত্যন্ত গুরুত্ব পায়।

🇺🇸 রাজনৈতিক অবস্থা
• আমেরিকান সামোয়া একটি মার্কিন টেরিটরি, অর্থাৎ এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হলেও পুরোপুরি রাজ্য নয়।
• এখানকার বাসিন্দারা মার্কিন নাগরিক তবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব (US citizenship) নয়, বরং US national বলে পরিচিত।
• মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সব আইন এখানকার উপর প্রযোজ্য নয়, কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রযোজ্য।

প্রকৃতি ও জলবায়ু
• আমেরিকান সামোয়া একটি আগ্নেয়গিরি দ্বীপ, যেখানে ঘন বনভূমি, পাহাড়, ঝর্ণা ও সাদা বালুর সৈকত রয়েছে।
• এখানে উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু, অনেক বৃষ্টি হয়, এবং মাঝে মাঝে সাইক্লোন আঘাত করতে পারে।

অর্থনীতি
• প্রধানত নির্ভরশীল:
• মাছ ধরা ও মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ (বিশেষত টুনা ফিশিং)
• সরকারি চাকরি
• সামুদ্রিক পর্যটন
• আমেরিকান সামোয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে আর্থিক সহায়তা পায়।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
• শিক্ষার মান উন্নত, এখানে প্রাথমিক ও উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে।
• স্বাস্থ্যসেবা তুলনামূলক ভালো, তবে কিছু উন্নয়নের প্রয়োজন।

যাতায়াত ও যোগাযোগ
• প্রধান বিমানবন্দর: Pago Pago International Airport
• যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই, গুরিয়ানাস এবং নিউজিল্যান্ডের সাথে ফ্লাইট যোগাযোগ রয়েছে।

আকর্ষণীয় তথ্য
• আমেরিকান সামোয়ার বাসিন্দারা মার্কিন সেনাবাহিনীতে disproportionately বেশি অংশগ্রহণ করে।
• এখানে প্রচুর বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে পাখি ও সামুদ্রিক জীব।

রাষ্ট্রপতি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
রাজধানী: Pago Pago
জনসংখ্যা: ৪৯,০০০
ভাষা: Samoan, English
অর্থনীতি: মাছ ধরা, সরকারি চাকরি
সময় অঞ্চল: UTC -11

আমেরিকান সামোয়া একটি ছোট কিন্তু সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক দিক থেকে ধনসম্পদে পরিপূর্ণ অঞ্চল, যেখানে আমেরিকার আধুনিকতা ও প্রশান্তির ঐতিহ্য একত্রে মিশে আছে।

08/07/2025

আর্থিক সহায়তা না পেয়ে আহতদের বিক্ষোভ, শাহবাগে জুলাই ফাউন্ডেশন অফিসে ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলাদেশ:
ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন জুলাই আন্দোলনে আহত একদল বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুত আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় তারা এ বিক্ষোভে অংশ নেন।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার বিকেলে, যখন আহতদের একটি দল—যাদের অনেকেই এখনো বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন—ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। তারা দ্বিতীয় ধাপের সহায়তা পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছিলেন।

তবে ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামাল আকবর জানিয়ে দেন যে, ওইদিন কোনো অর্থ বিতরণ হবে না। এতে উপস্থিত আন্দোলনকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন, এবং অফিসে তালা লাগিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উত্তেজনা ভাঙচুরে রূপ নেয়।

আহতদের ক্ষোভ, আমরাই রক্ত দিয়ে এই ফাউন্ডেশন তৈরি করেছি:
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০-২৫ জন আহত আন্দোলনকারী ওই সময় ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। তাদের অভিযোগ, দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ সহায়তার বিষয়ে বারবার ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে, অথচ কোনো অর্থ এখনো পাননি।

আহত আন্দোলনকারী মামুন হোসেন, যিনি এখনো মাথায় গুলির চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, আন্দোলনের আগে কোনো ফাউন্ডেশন ছিল না। এই ফাউন্ডেশন আমাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে। অথচ, এখন আমাদেরই চিকিৎসার জন্য সহায়তা না দিয়ে ঘুরানো হচ্ছে।

সাভার সরকারি কলেজের ছাত্র নাজমুল হোসেন বলেন, গত ৭ মাস ধরে দ্বিতীয় কিস্তির জন্য ঘুরছি। যাদের পরিচিত আছে, তারাই টাকা পায়। যারা বিদেশে চিকিৎসাধীন, তারাও এই কিস্তির টাকা পাচ্ছে না।

ফাউন্ডেশনের ব্যাখ্যা:
সিইও কামাল আকবর বলেন, অনেকে এখনো ট্রমার মধ্যে আছেন। এ ধরনের প্রতিক্রিয়া আবেগপ্রবণ হলেও বাস্তবতা থেকে এসেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করছি না।

তিনি জানান, ১। প্রথম দফায় সবচেয়ে গুরুতর আহতদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ২। এখন পর্যন্ত ৮০৬ জনকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। ৩। ফাউন্ডেশনের তহবিলে রয়েছে ৭ কোটি টাকা। ৪। বাকিদের পর্যায়ক্রমে সহায়তা দেওয়া হবে। ৫। আগামী রবিবার থেকে পুনরায় অর্থ বিতরণ শুরু হবে।

ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা:
আন্দোলনকারী সংগঠন Students Against Discrimination–এর সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ফেসবুকে লিখেছেন 'এই ফাউন্ডেশন শহীদ ও আহতদের জন্য গঠিত হলেও, এখন পর্যন্ত তাদের মৌলিক দায়িত্ব পূরণে ব্যর্থ। অর্থ কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে বিতরণ হয়েছে, কারা পেয়েছেন—এর কোনো স্বচ্ছতা নেই।'

তিনি আরও বলেন, “আহতদের অর্ধেক এখনো প্রথম কিস্তিও পাননি। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তাদের তালিকাই চূড়ান্ত হয়নি।”

08/07/2025

মুহুরি নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, ফেনীতে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলাদেশ:
অবিরাম বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে হঠাৎ বেড়ে গেছে ফেনী জেলার নদ-নদীর পানি। এতে করে জেলাজুড়ে নতুন করে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, মুহুরি নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী বাঁধে সাতটি স্থানে ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে পার্শ্বরাম উপজেলায় চারটি ও ফুলগাজীতে তিনটি ভাঙন ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে মোহুরী, কাহুয়া ও সিলোনিয়া।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধগুলো চরম চাপে রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ফুলগাজীতে মুহুরি নদীর পাশের একটি রাস্তা ধসে পড়ে, এতে পার্শ্ববর্তী দোকানপাট পানিতে ডুবে যায় এবং ফুলগাজী বাজার থেকে রাজেশপুর পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি ও পরীক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তবে এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি।

গতকাল বিকেল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে ফেনী শহরের অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, রামপুর শাহীন একাডেমি, পাঠান বাড়ি, নাজির রোড, শান্তি কোম্পানী রোড ও পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকা ২-৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে জনজীবন মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।

দৈনিক মজুরিতে কাজ করা মানুষজন ও পরিবহন শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। গত বছরের বন্যার ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি বললেন অটোরিকশাচালক বেলায়েত হোসেন। এইভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে আরেকটা বিপর্যয় আসবে বলেন তিনি।

ফুলগাজী উপজেলার ইউএনও ফারিয়া ইসলাম জানান, আজ সকাল ৭টার দিকে রাজেশপুর সংলগ্ন একটি বাঁধ ধসে দুটি দোকান ভেসে গেছে। এলাকাটির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এদিকে ফেনী সদর উপজেলার ইউএনও সুলতানা নাসরিন কান্তা জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মধ্যবর্তী (মিডটার্ম) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি, তবে বোর্ড পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড থেকে এখনো কোনো আপডেট আসেনি।

#আজ #ইসলাম #ইসলাম

08/07/2025

মন্ট্রিয়লে ভারী বৃষ্টির কারণে গ্র্যান্ড স্প্ল্যাশ বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বাতিল করা হয়েছে
মন্ট্রিয়লের ওল্ড পোর্টে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক “গ্র্যান্ড স্প্ল্যাশ” অনুষ্ঠান। আয়োজকরা সোমবার রাতে জানিয়েছেন, বৃষ্টির ফলে পানির গুণগতমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একটি ফেসবুক পোস্টে আয়োজকরা লিখেছেন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এবং অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ইভেন্টটি বাতিল করা হয়েছে।”

গ্র্যান্ড স্প্ল্যাশ আয়োজন করে Fondation Rivières নামক সংস্থা। তারা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, টানা বৃষ্টির ফলে McGill overflow structure-এ বর্জ্যজলের বড় ধরনের প্রবাহ দেখা দিয়েছে। এর ফলে সেন্ট লরেন্স নদীর জ্যাক-কার্টিয়ার বেসিনে সাঁতার কাটা এখন ঝুঁকিপূর্ণ।

সংস্থাটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানিয়েছে, পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উক্ত এলাকায় সাঁতার না কাটাই উত্তম।

এই বছর ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২:৩০টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল অনুষ্ঠানটি, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা সাঁতার কাটার বা নদীতে প্যাডেলিং করার সুযোগ পেতেন।

আয়োজকরা আরও জানিয়েছেন,
“পরবর্তী গ্র্যান্ড স্প্ল্যাশ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালে – এবং আমরা আশা করি সেবার আকাশ থাকবে পরিষ্কার।”

বিমান চলাচলেও বিঘ্ন:
মন্ট্রিয়লে সোমবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বজ্রঝড় এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমান চলাচলেও প্রভাব পড়েছে।

ট্রুডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক বার্তায় জানায়,
“আবহাওাজনিত কারণে কিছু ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতির ফলে ফ্লাইট শিডিউলে বিলম্ব হতে পারে।”

বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বহু ফ্লাইট দেরি বা বাতিল হয়েছে, এবং বেশিরভাগ আগত ফ্লাইটও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে পৌঁছাচ্ছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের অনুরোধ করেছে, যারা সন্ধ্যায় যাত্রা করতে যাচ্ছেন, তারা যেন বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে ফ্লাইট সময়সূচি যাচাই করে নেন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস:
এনভায়রনমেন্ট কানাডার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃষ্টিপাত রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, সঙ্গে বজ্রপাতেরও আশঙ্কা রয়েছে।

06/07/2025

ইরানে লাখো আফগান শরণার্থীকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ, সময়সীমা শেষ — ধরপাকড় শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট :
ইরান সরকার দেশজুড়ে বসবাসরত লাখ লাখ আফগান নাগরিককে তাদের দেশে ফিরে যেতে চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হতেই শুরু হয়েছে কঠোর অভিযান — যাদের বৈধ কাগজ নেই, তাদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে আফগানিস্তানে।

প্রায় ৪০ লাখ আফগান বর্তমানে ইরানে বসবাস করছে, যাদের অনেকে কয়েক দশক ধরেই সে দেশে অবস্থান করছে। কেউ কেউ যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচতে, আবার কেউ দারিদ্র্য ও তালেবান-শাসনের ভয়ে দেশ ছেড়েছিল। আজ তাদেরকেই হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে — ইরান ছাড়ো, নয়তো শাস্তি পাবে।

যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা অজুহাত:
এই পদক্ষেপ এসেছে এমন এক সময়ে, যখন মাত্র শেষ হয়েছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে টানা ১২ দিনের যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ইরান সরকারের ভাষ্য, দেশের নিরাপত্তা এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার, তাই অবৈধ অভিবাসীদের আর রাখা যাবে না।

সাত লাখের বেশি ফিরে গেছে, আরো লাখো অপেক্ষায়:
মার্চে ইরান সরকার এক ঘোষণায় জানায়, যাদের বৈধ থাকার অনুমতি নেই, তারা যেন স্বেচ্ছায় চলে যায়।
এরপর থেকেই প্রায় ৭ লাখ আফগান নাগরিক দেশ ছেড়েছে। শুধু গত জুন মাসেই প্রায় ২.৩ লাখ মানুষ আফগানিস্তানে ফিরে গেছে। কিন্তু এখনো বহু মানুষ অনিশ্চয়তায় ভুগছে — তারা জানে না কীভাবে ফিরে যাবে, কোথায় যাবে, অথবা আদৌ ফেরার মতো কোনো জায়গা আছে কিনা।

‘এটাই ছিল আমাদের ঘর’:
তেহরানের এক রেস্টুরেন্ট মালিক বাতুল আকবরি, যিনি আফগান বংশোদ্ভূত, কান্নাজড়িত গলায় বলেন, আমরা এখানেই জন্মেছি, এখানেই বড় হয়েছি। আফগানিস্তান আমাদের বাবা-মায়ের দেশ, কিন্তু আমরা জানি শুধু এই দেশটাকেই। এখন আমাদের বলা হচ্ছে, এখান থেকে চলে যেতে — এমনকি জন্মসূত্রেও আমরা এই দেশের নাগরিক নই। এটা খুব কষ্টের।”

আরেকজন ছাত্র মোহাম্মদ মাজাহেরি, যার পরিবারকে জোর করে দেশ ছাড়তে হয়েছে, বলেন, এক নিমিষে আমাদের স্বপ্ন ভেঙে পড়েছে। পরিবার ছিঁড়ে গেছে। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।”

জাতিসংঘের উদ্বেগ, ভয়াবহ চিত্র:
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR-এর মতে, ইরান এখন প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে — যা আগের তুলনায় ভয়াবহভাবে বেড়েছে।
বর্ডারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরাফাত জামাল বলছেন:

“একেক সময়ে ৪–৫টি বাস একসাথে আসে। ভেতরে ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত, হতভম্ব মানুষ। তাদের হাতে কিছুই নেই — এমনকি জানেও না, এখন কী করতে হবে।”

ঘৃণার রাজনীতি ও প্রচারণা:
এই পরিস্থিতির আরেকটি বিপজ্জনক দিক হলো — আফগানদের বিরুদ্ধে ইরানে বেড়ে চলা সামাজিক ঘৃণা।
যুদ্ধের সময় আফগানদের নিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির গুজব, অর্থনৈতিক সংকটের দায় তাদের ঘাড়ে চাপানো এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা এই বিদ্বেষকে আরও উসকে দিচ্ছে।

মানবিক সংকট দিনকে দিন বাড়ছে:
আফগানিস্তান নিজেই এখন এক ধ্বংসস্তূপ — তালেবান শাসন, দারিদ্র্য, খাদ্যসংকট এবং কর্মসংস্থানের অভাবে ভুগছে দেশটি। এর মধ্যে লাখ লাখ মানুষের হঠাৎ ফিরে যাওয়া দেশটিকে আরও অস্থির করে তুলতে পারে, যা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে।

#এই #এই #এই

06/07/2025

যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে নেতানিয়াহুর শুনানি বন্ধের আবেদন খারিজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আইনজীবী দলের করা এই সপ্তাহের সকল সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করার অনুরোধ জেরুজালেম জেলা আদালত প্রত্যাখ্যান করেছে। নেতানিয়াহুর আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রেক্ষিতে তার আইনজীবীরা এই অনুরোধ করলেও বিচারকরা বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই।

আদালতের বিচারপতি রিভকা ফ্রিডম্যান-ফেল্ডম্যান, মোশে বার-আম এবং ওডেড শাহাম রায়ে বলেন, প্রধান আইনজীবী আমিত হাদাদ শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় কিছুদিন বিশ্রামের প্রয়োজন হলেও, তার দলে আরও যোগ্য আইনজীবী রয়েছেন, যারা সাক্ষীদের জেরা করতে সক্ষম।

প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা চলছে – কেস ১০০০, ২০০০ এবং ৪০০০, যেগুলোর সবগুলোতেই তিনি দোষ অস্বীকার করেছেন। মামলাগুলোর শুনানি সাধারণত সপ্তাহে দু’দিন হয়, তবে দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এটি সীমিত রাখা হয়েছে।

এই সপ্তাহে নেতানিয়াহুর নিজের সাক্ষ্য গ্রহণ না থাকলেও, তার দলের প্রস্তাবিত অন্যান্য ডিফেন্স সাক্ষীদের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই শুনানিগুলোই স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়, যা আদালত প্রত্যাখান করেন।
সুত্র: জেরুজালেম পোস্ট।

06/07/2025

ইসরায়েলের বিমানবন্দরে ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: একটি সংকটের বিস্তার ও এর তাৎপর্য

বিশ্লেষণ ডেস্ক:
৬ জুলাই, ২০২৫

সম্প্রতি ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দাবি মধ্যপ্রাচ্য সংকটকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। ইয়েমেনি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা “ফিলিস্তিন-২” নামে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলাটি চালিয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল গাজা পরিস্থিতির প্রতিবাদে সংহতি জানানো।

যদিও হামলার সুনির্দিষ্ট ক্ষয়ক্ষতি এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনো স্পষ্টভাবে প্রকাশ হয়নি, তথাপি এটি স্পষ্ট—গাজা সংকট এখন আর শুধু একটি ভূখণ্ডভিত্তিক সমস্যা নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‍বৃহত্তর প্রেক্ষাপট:
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে বহু মানুষের প্রাণহানি ও মানবিক সংকট চলছে, যা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়েছে। একইসাথে, বিভিন্ন গোষ্ঠী ও দেশ এই সংকটকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে বা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীও সে প্রেক্ষাপটে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে বলে দাবি করছে।

এই হামলা যদি সত্যিই সংঘটিত হয়ে থাকে, তবে তা প্রমাণ করে যে গাজা সংকট এখন আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া-প্রতিশোধের চক্র তৈরি করছে, যা শুধু দুই পক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার, বিশেষত সিভিল এভিয়েশনের ওপর হামলার দাবি, একটি গুরুতর বিষয়। যদিও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ, বাস্তবে এই ধরনের হামলা আরও বড় সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও দায়িত্ব:
এখন প্রশ্ন হলো—এই ধরনের ঘটনা রোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয় কী?

জাতিসংঘ ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর উচিত এমন উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় ভূমিকা নেয়া। কেবল নিন্দা বা আহ্বান দিয়ে পরিস্থিতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, বরং একটি কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে উভয়পক্ষকে আলোচনায় বসানোর চেষ্টা করতে হবে।

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলমুখী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি শুধু একটি সামরিক সংবাদ নয়, বরং এটি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে গাজা সংকট এখন বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক স্থিতিশীলতার হুমকিতে পরিণত হয়েছে। সময় এসেছে যেখানে সব পক্ষকেই সংযত হয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধানের দিকে এগিয়ে আসা উচিত।

06/07/2025

মন্ট্রিয়লে নতুন পার্কিং অ্যাপ চালু করলো সাসটেইনেবল মোবিলিটি এজেন্সি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মন্ট্রিয়ালে স্মার্টফোন ব্যবহার করে পার্কিং ফি পরিশোধ করা চালকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এসেছে। মন্ট্রিয়াল সাসটেইনেবল মোবিলিটি এজেন্সি একটি নতুন অ্যাপ চালু করেছে যার নাম “Mobicité”। এই অ্যাপটি পুরনো P$ Mobile Service অ্যাপের পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে, এবং পুরনো অ্যাপটি ৩১ জুলাই, ২০২৫ থেকে আর কাজ করবে না।

নতুন Mobicité অ্যাপটি ব্যবহার করে চালকরা সহজে ও নিরাপদভাবে রাস্তার পাশে পার্কিং এবং সংস্থার পরিচালিত অনেক লটের পার্কিং ফি দিতে পারবেন। সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “Mobicité অ্যাপটি আমাদের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে — অর্থাৎ শহরের জায়গা-ব্যবহার আরও ন্যায্য করে তোলা এবং সবার জন্য চলাচল আরও সহজ করা।”

পুরনো অ্যাপের মতো Mobicité অ্যাপেও রয়েছে পরিচিত ফিচারগুলো, তবে নতুনভাবে এতে যুক্ত হয়েছে একটি ইন্টার‍্যাক্টিভ ম্যাপ, যেখানে:
• এজেন্সি পরিচালিত সব পেইড পার্কিং লোকেশন,
• হুইলচেয়ার-অ্যাক্সেসযোগ্য পার্কিং স্পট,
• এবং ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন দেখানো হচ্ছে।

তবে উল্লেখযোগ্যভাবে, অ্যাপটি এখনও রিয়েল-টাইমে খালি পার্কিং স্পট দেখায় না।

সাসটেইনেবল মোবিলিটি এজেন্সি জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী ভবিষ্যতে অ্যাপে আরও ফিচার যুক্ত করা হবে।

যারা এখনও P$ Mobile Service অ্যাপ ব্যবহার করছেন, তারা আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের পুরনো লেনদেনের ইতিহাস সংরক্ষণ করতে পারবেন সংস্থার ওয়েবসাইটে লগইন করে।

Mobicité অ্যাপটি এখনই বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে থেকে।

06/07/2025

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার প্রকাশ্যে এলেন আয়াতুল্লাহ খামেনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, নিউজ মেইল:
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার ১২ দিনের যুদ্ধে বড় ধরনের সংঘর্ষ ও ক্ষয়ক্ষতির পর, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি অবশেষে প্রকাশ্যে হাজির হলেন। শনিবার রাতে, আশুরার আগের দিনে আয়োজিত একটি শোকানুষ্ঠানে তাঁকে অংশ নিতে দেখা যায়। যুদ্ধ শুরুর পর এটি তাঁর প্রথম সরাসরি উপস্থিতি।

রাজধানী তেহরানে, নিজের বাসভবন সংলগ্ন মসজিদে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খামেনিকে দেখা যায়, উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়াতে এবং মাথা নেড়ে সাড়া দিতে। তাঁকে দেখে উপস্থিত জনতা উঠে দাঁড়িয়ে “লাব্বাইক ইয়্যা হোসাইন” ধ্বনি তোলে। অনুষ্ঠানে ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকারসহ শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। প্রচণ্ড নিরাপত্তার মধ্যেই আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়।

গোপন বাঙ্কারে থাকার গুঞ্জন:
যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে খামেনেইয়ের এই দীর্ঘ অনুপস্থিতি ঘিরে নানা জল্পনা চলছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি হয়তো গোপন বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন, যদিও রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এ বিষয়ে কিছু বলেনি।

যুদ্ধ চলার সময়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। এরপরই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে খামেনেইকে উদ্দেশ করে জানান,

“আমরা জানি আপনি কোথায় আছেন, তবে এখনই আপনাকে হত্যা করার পরিকল্পনা আমাদের নেই।”

“আমেরিকার মুখে চড় মারা হয়েছে”— prerecorded বক্তব্যে খামেনি

২৬ জুন, যুদ্ধবিরতির পর খামেনি একটি রেকর্ডকৃত বার্তায় বলেন, আমরা কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে আমেরিকার মুখে চড় মেরেছি।”

তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন, ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র যদি আবার আক্রমণ চালায়, তবে ইরান কঠোর জবাব দেবে।

ট্রাম্প ওই বক্তব্যের জবাবে বলেন, আপনি একজন ধর্মভীরু মানুষ, নিজের দেশে সম্মানিত। কিন্তু এবার আপনাকে স্বীকার করতে হবে—আপনি কঠিনভাবে পরাজিত হয়েছেন।”

যুদ্ধে ৯০০’র বেশি ইরানির মৃত্যু, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত:

ইরান সরকার নিশ্চিত করেছে যে, যুদ্ধে ৯০০ জনের বেশি ইরানি নিহত হয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এছাড়া, আমেরিকার হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তবে আন্তর্জাতিক পরিদর্শক সংস্থা IAEA-কে সেগুলোর অবস্থা জানাতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।

বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট IAEA-এর সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিতের নির্দেশ দেন, যার ফলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের তথ্য বা অবস্থান জানা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ইসরায়েল দাবি করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে যাচ্ছে, তাই আগাম হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েল পাল্টা জবাবে ৫৫০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া ইরানি হামলা প্রতিহত করে। এতে ২৮ জন ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

শোকানুষ্ঠানে কারবালার শহীদ হোসাইনের স্মরণ:
খামেনেই যে অনুষ্ঠানে অংশ নেন, সেটি ছিল কারবালার শহীদ হোসাইন (পবিত্র নবী মুহাম্মদের নাতি) এর শাহাদতের শোকানুষ্ঠান। শিয়া সম্প্রদায়ের জন্য এই দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তেহরানের রাস্তায় কালো পোশাকে শোক মিছিল, বুক পেটানো এবং আত্ম-আঘাতের মাধ্যমে শোক প্রকাশ করা হয়। কেউ কেউ গরম আবহাওয়ায় পানি ছিটিয়ে জনতাকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ:
এদিকে, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা NetBlocks জানায়, শনিবার রাতে ইরানে বড় ধরনের ইন্টারনেট বিভ্রাট দেখা দেয়। সাধারণ জনগণের বহু রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্টারনেট প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল।
এই ঘটনা এমন এক সময় ঘটল, যখন যুদ্ধ চলাকালীনও টেলিকম সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে সংস্থাটি জানায়, ইন্টারনেট সেবা ফের চালু করা হয়েছে।
সুত্র: এপি।

06/07/2025

মন্ট্রিয়লে ধসে পড়ার ঝুঁকিতে ভবন, পার্ক অ্যাভিনিউ আংশিক বন্ধ, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের

নিউজ মেইল, মন্ট্রিয়ল:
মন্ট্রিয়লের প্লাতো-মঁ-রয়্যাল বরোর পার্ক অ্যাভিনিউ ও ভ্যান হর্ন অ্যাভিনিউর সংযোগস্থলে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত ভবন যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কায় পাশের দুটি ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ট্রিয়ল দমকল বিভাগ (SIM) ভবনটির আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং পার্ক অ্যাভিনিউয়ের একটি অংশ আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, একজন বাসিন্দা ভবনটির বাইরের অংশ থেকে ইট খসে পড়তে দেখে অভিযোগ জানান। এরপর ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে পরিদর্শন করে ভবনটিকে “তাৎক্ষণিকভাবে ধসে পড়ার ঝুঁকিতে” রয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়।

বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে

প্রায় ৩০ জন বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে SIM। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কানাডিয়ান রেড ক্রসের আশ্রয়ে আছেন, এবং বাকিরা আত্মীয়স্বজনদের বাসায় অবস্থান করছেন।

উল্লেখযোগ্য যে, গত ১৭ মার্চ একই ভবনের একটি দেয়াল ধসে পড়ে, যার ফলে আশেপাশের ভবনের বাসিন্দাদের সেদিনও তাদের বাসা ছাড়তে হয়। ধসের পরে বাসিন্দারা এখনও তাদের জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি।

ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আক্রান্ত ভবনের পাশের একটি ভবনের মালিক গর্ডন জনস্টন জানান,

“আমি দুইটি ভবনের মালিক, দুটোই এখন বন্ধ। সব ভাড়াটিয়া চলে গেছে। প্রতিদিন সকাল ৯টায় সিটির পারমিট অফিসে ফোন করি, কিন্তু তারা বলে কিছু করতে পারছে না।”

তিনি আরও বলেন,

“ফায়ার সার্ভিস জানায়, পার্ক অ্যাভিনিউ দিয়ে একটি ভারী ট্রাক গেলেও ভবনটি কম্পনে ধসে পড়তে পারে।”

ভবন ভাঙার অনুমতি থাকলেও কাজ শুরু হয়নি

সংশ্লিষ্ট বরো কর্তৃপক্ষ এপ্রিল ২০২৪ সালে ভবনটির ভাঙার অনুমোদন দিলেও, মালিকের জরিমানা পরিশোধ না করায় ভাঙার কাজ শুরু হয়নি। প্লাতো বরোর মুখপাত্র ফ্রান্সিস হুয়ো জানিয়েছেন,

“আমরা মালিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, ভবন ভাঙার কাজ শুরু করতে একটি গঠনগত প্রকৌশল অনুমোদন প্রয়োজন, যা শীঘ্রই কার্যকর করা হবে।

বর্তমান অবস্থা ও জনসচেতনতা

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকাটি এখনো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবং পার্ক অ্যাভিনিউয়ের সংশ্লিষ্ট অংশ বন্ধ থাকবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সুত্র: সিটিভি নিউজ।

#আমরা

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The News Mail posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The News Mail:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share