11/21/2025
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ শীঘ্রই বড় কোনো ভূমিকম্পের মুখোমুখি হতে পারে ।
আজ বাংলাদেশে যে ভূমিকম্প অনুভূত হয় তার মাত্রা ৫.২, উৎপত্তিস্থল ঘোড়াশাল, নরসিংদী; ঢাকা থেকে মাত্র ৪৫ কি.মি দূরে।
কোনো একটি ভৌগলিক পরিমন্ডলে বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পূর্বে ধারাবাহিক ভাবে ছোটো ছোটো ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।
২০১৭ সালে বাংলাদেশে ও এর কাছাকাছি এলাকায় ২৮টি ভূমিকম্প হয়। ২০২৩ সালে এর সংখ্যা ছিল ৪১।
২০২৪ সালে তা বেড়ে পৌঁছে যায় ৫৪তে....
প্রতি বছর ছোট ছোট ভূমিকম্পের সংখ্যা বাড়ছে ।
বাংলাদেশের এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিলো ১৯১৮ সালে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮। এতে মারা যায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ।
ভূতাত্ত্বিকদের মতে, একটা বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার ১০০ বছর পর আবার ঐ দেশটিতে বড়মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১৯১৮ এর পর ১০০ বছর পার হয়ে গেছে, এখন ২০২৫।
ইন্ডিয়া, ইউরোশিয়া এবং বার্মা তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান বলে যেকোনো সময় বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।
সকাল, দুপর, মাঝরাত যে কোনো সময় আপনাকে আশ্রয় দেওয়া ভবন আপনার উপর ধসে পড়তে পারে!
ঢাকায় যদি ৭ মাত্রারও একটি ভূমিকম্প হয়, তবে ৭২,০০০+ ভবন ধসে পড়বে। ঢাকায় ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের বসবাস!
আল্লাহ না করুক, যদি এ সময়ে কিংবা ভোরে অথবা মাঝরাতে ভূমিকম্প হয়, ঢাকা শহর পুরোটাই মৃত্যু নগরীতে পরিণত হবে।
বাড়িঘর ধূলোয় মিশে যাবে। ফ্লাইওভার-ব্রিজ ভেঙে পড়বে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইনে আগুন ধরে যাবে। পানির লাইন ফেটে পড়বে।
সিলেট, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও একই ঝুঁকিতে রয়েছে।
আল্লাহ না করুক, এসব না ঘটুক। যুদ্ধ ছাড়াই ট্রয় নগরীর মতো পুড়তে হবে নগরগুলোকে তথা বাংলাদেশকে।
অতীতে সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ায় উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে সরকারের লেগেছিলো ১৪ দিন।
ঢাকায় যদি ৭২,০০০ ভবন একদিনে ভেঙে পড়ে, কি হবে এই হিসাবটা কষে নিন।
একবার চোখ বন্ধ করে পুরো বিষয়গুলো কল্পনা করতে গেলেও শিউরে উঠতে হয়।
তাহলে ভরসা? আমাদের বেশি বেশি আল্লাহ'র কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত, ইস্তেগফার পড়া উচিত।
আমরাই বোধহয় মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র যারা মৃত্যু (একদিন তো মরে যাবো) নিয়ে ট্রল করেছিলো।
বছর ঘুরে বর্ষায় উপকূলে ঘূর্ণিঝড় হয় প্রত্যেকবার।
যারা উপকূল থেকে দূরে, নগরে, সেইফজোনে থাকে তারা সিডর, বুলবুল, নার্গিস নিয়ে ট্রল করে ফেসবুক ভাসায়।
দুনিয়াতে আসলে সেইফজোন বলতে কিছু নাই।
'আমরা সকল মানুষই আইসিইউর মতো লাইফসাপোর্টে আছি, যেকোনো সময় মারা যেতে পারি । '
হে আল্লাহ আপনি আমাদের ক্ষমা করুন, প্রিয়জনদের হেফাজত করুক।
অকস্মাৎ মৃত্যু নয়, ঈমানসহ যাতে মরতে পারি এইটুকুন চাওয়া।
cp