02/24/2024
"সে তত দেশপ্রেমিক, যে যত ভারত বিরোধী"!
কানাডাতে পড়ালেখা কালীন সময়ে ও আরও অনেক সময়ে যখনই ভারত-বাংলাদেশ সমাজ উত্তপ্ত হয়ে উঠে প্রায়ই আমার ভারতীয় বন্ধুরা (যারা কাছের বন্ধু) আমার কাছে জানতে চায়, আমি বা আমরা কেন ভারতীয় বিরোধী! তখন অনেক কিছুই বলা যায় যেমনঃ বর্ডার এ অলিখিত হত্যা যার অন্যতম "ফেলানি" হত্যা, তিস্তায় বাঁধ দিয়ে দেশকে মরুভুমি করে ফেলা, আর গত ১৫ বছরে যুক্ত হওয়া "আমাদের দেশে রাজনৈতিক ছত্র-ছায়ার মাধ্যমে পরাধীন করে রাখা"! কিন্তু বলতে হয় যা বললে ওঁরা বুঝবে আমাদের অবস্থান ও আমাদেরকে! তাই আমি বলতাম, বলতো দোস্ত “আমরা কানাডিয়ানরা কেনও আমেরিকানদের অতটা পছন্দ করি নাহ”! উত্তরে বলতো, আমেরিকানরা একটা বড় ও ধনী দেশ হিসাবে কানাডিয়ানদের উপরে অনেক অন্যায় করত ও করে! অনেক কিছুতেই আমাদের অবমূল্যায়ন করে! আমাদেরকে আমাদের হক দেয় না ইত্যাদি! আমি বললাম, ভারত আমাদের বাংলাদেশের বেলায় ঠিক আমেরিকার ভূমিকা পালন করে! ইন্ডিয়ান বন্ধু মুচকি হাসলো ও বললো, বুঝেছি! এর পর থেকে সে আমাকে আর কোনও সময় এই প্রশ্ন করেনি, করেনি আমার ভারতনীতির বিরোধিতাও! তাই আমাদের ভারতীয়দের বুঝাতে হবে কেনও আমরা ভারত বিরোধী হচ্ছি বা বাধ্য হচ্ছি!
কিন্তু ভারতের বাংলাদেশের প্রতি এই অন্যায় ও শোষণের যেন কোনও শেষ নেই! এবার যুক্ত হোল নিন্ম ঘটনা যা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী! তাই আসলেই বলতে হয় "সে তত দেশপ্রেমিক, যে যত ভারত বিরোধী"!
আসুন ভারতীয় পণ্য বর্জন করি (ভোক্তা পর্যায়ের যেমনঃ সাবান, তেল, প্রসাধনী ইত্যাদি)! জানান দেই, সাধারণ মানুষের ক্ষমতা কম নয়!
ঘটনাঃ
ঢাকা থেকে রিয়াদগামী সৌদি এয়ারলাইন্সের (SV 805) একটি বিমানে আবু তাহের নামে একজন বাংলাদেশি যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বিমানটি ভারতের আকাশ সীমায় থাকায় মুম্বাই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের জন্য অনুরোধ জানান পাইলট। মুম্বাই বিমানবন্দর কন্ট্রোল টাওয়ার যাত্রীর নাম-পরিচয় পাঠাতে বলে। যাত্রী সম্পর্কে জানার পর অবতরণে অস্বীকৃতি জানায় মুম্বাই বিমানবন্দর কতৃপক্ষ। এরপর অসুস্থ যাত্রীকে নিয়ে বিমানটি করাচি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে মি তাহেরকে জরুরি চিকিতসা দেয়া হয়। বিমানটি আবার রিয়াদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
প্রত্যেকজন বাংলাদেশী একটা দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মায়, সেইটা হইলো, 'ভারত আমাদের প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্র'...!