09/07/2025
আজ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ( পূর্ণ চন্দ্র গ্রহণ)! মৃত্যুর পূর্বে অন্তত পক্ষে এবারের চন্দ্র গ্রহণের সময়ের কাজগুলো হোক হাদিসের আলোকে! চন্দ্রগ্রহণের সময় জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত আলোকিত মানুষেরা কি করতেন? স্বালাতুল কুসূফ অল-খুসূফ বা চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের নামায ৪ রুকূতে ২ রাকআত সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। এই নামাযের নিয়ম নিম্নরুপ :-চন্দ্রে অথবা সূর্যে গ্রহণ লাগা শুরু হলে ‘আস-স্বালা-তু জামেআহ’ বলে আহবান করতে হবে মুসলিমদেরকে।জামাআতে কাতার বাঁধা হলে ইমাম সাহেব নামায শুরু করবেন। সশব্দে সূরা ফাতিহার পর লম্বা ক্বিরাআত করবেন এবং তারপর রুকূতে যাবেন। লম্বা রুকূ থেকে মাথা তুলে পুনরায় বুকেহাত রেখে (সূরা ফাতিহা পড়ে) আবার পূর্বাপেক্ষা কম লম্বা ক্বিরাআত করবেন। অতঃপর দ্বিতীয়বার অপেক্ষাকৃত কম লম্বা রুকূ করে বাকী রাকআত সাধারণ নামাযের মত শেষ করে দ্বিতীয় রাকআতেও অনুরুপ ২ বার ক্বিরাআত ও ২ বার রুকূ করে নামায সম্পন্ন করবেন। এ নামাযের সিজদাও হবে খুব লম্বা। প্রথম রাকআতের চেয়ে দ্বিতীয় রাকআত অপেক্ষাকৃত ছোট হবে। মুক্তাদীগণ যে নিয়মে ইমামের অনুসরণ করতে হয়, সেই নিয়মে অনুসরণ করবে। এই নামায এত লম্বা হওয়া উচিৎ যে, যেন নামায শেষ হয়ে দেখা যায়, সূর্য বা চন্দ্রের গ্রহণ ছেড়ে গেছে।অনুরুপভাবে নামায শেষ করে দাঁড়িয়ে মহানবী (ﷺ) খুতবা দিয়েছিলেন। হাম্দ ও সানার পর বলেছিলেন, “সূর্য ও চন্দ্র মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলার অন্যতম নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের জন্য উভয়ে গ্রহণ লাগে না। অতএব তাতে গ্রহণ লাগতে দেখলে তোমরা আতঙ্কিত হয়ে নামাযে মগ্ন হও।” (বুখারী ১০৪৭নং, মুসলিম, সহীহ)নামাযের সাথে সাথে এই সময় দুআ, তকবীর, ইস্তিগফার ও সদকাহ্ করা মুস্তাহাব। যেহেতু মহানবী (ﷺ) বলেন, “সূর্য ও চন্দ্র মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলার অন্যতম বড় নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের জন্য উভয়ে গ্রহণ লাগে না। অতএব তাতে গ্রহণ লাগতে দেখলে তোমরা আল্লাহর কাছে দুআ কর, তকবীর পড়, সদকাহ্ কর এবং নামায পড়।” (বুখারী ১০৪৪নং, মুসলিম, মিশকাত ১৪৮৩নং) অন্য এক বর্ণনায় আছে, “তোমরা আতঙ্কিত হয়ে আল্লাহর যিক্র, দুআ ও ইস্তিগফারে মগ্ন হও।” (ঐ, মিশকাত ১৪৮৪নং)এই সময় তিনি ক্রীতদাস মুক্ত করতে (বুখারী ১০৫৪নং) এবং কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতেও আদেশ করেছেন। (বুখারী ১০৫০নং)উল্লেখ্য যে, কারো যদি দুই রুকুর একটিও ছুটে যায়, তাহলে রাকআত গণ্য করবে না। কারণ, একটি রুকূ ছুটে গেলে রাকআত হবে না। ইমামের সালাম ফিরার পর ২টি রুকূ বিশিষ্ট ১ রাকআত নামায কাযা পড়তে হবে।