Thoughts of Suyeb

16/02/2025

01/02/2025

🇨🇦🐻‍❄️🚗😨 In Churchill, Canada, one of the few towns where polar bears roam freely, it is common for residents to leave their car doors unlocked. This practice is not due to negligence but is instead a crucial safety measure: in the event of an unexpected encounter with one of these massive predators, anyone can quickly seek shelter in a nearby vehicle. Known as the "Polar Bear Capital of the World," Churchill faces unique challenges in coexisting with wildlife, prompting the community to adopt unusual strategies to ensure the safety of both residents and visitors.

Credits: Conocimientum

29/01/2025

Frozen lake ontario,Toronto,Canada 🇨🇦

15/01/2025

Yeah...Having a car is blessing because of auto insurance, Parking ticket,traffic violation ticket, maintainance cost,fuel cost and theft issue!!

13/01/2025

ছোটবেলা টেলিভিশন,বই-পত্রিকায় নায়াগ্রা সম্পর্কে অল্পস্বল্প শুনেছিলাম কিন্তু বাস্তবে তা দেখা হবে সেটা কখনো কল্পনাতেও আনিনি! কল্পনাতেও না আনার কারণ হচ্ছে একটা মিডলক্লাস ফ্যামিলি থেকে গ্রো-আপ কতটা বাস্তববাদী সেটা আরেকজন মিডলক্লাস ছাড়া আচ করতে পারবে না।আল্লাহর অশেষ রহমতে হয়তো এখন অনেক ভালো আছি তবে আমার অতীত সম্পর্কে আমি বলতে কখনো লজ্জাবোধ করি না,আমি যা-তা-ই ।

তো কথা হচ্ছে, বড়জোড় স্বপ্ন দেখতাম একদিন হয়তো পড়াশোনা করে একটা লেভেলে গিয়ে পরিবারের দেখাশোনা আর একটু শান্তিতে থাকা। তবে এতটাও পেয়ে যাবো কখনোই ভাবি নাই! যাইহোক, সবকিছুর জন্য শুকরিয়া আল্লাহর দরবারে। একটা কথা আছে, স্বপ্ন দেখতে পয়সা লাগে না। আমার বেলায়ও তাই মনে হতো মাঝেমধ্যে।নিজেকে অনেক ভ্রমনপিপাসু ভাবতাম যদিও ওটা বাস্তবতার মায়াজালে আংশিক সত্য বৈকি কিছু নাহ! ভাবতাম টাকাপয়সা হইলে পরে অনেক অনেক দেশ ঘুরবো আর মেমোরিজ জমাবো,টাকা দিয়ে স্মৃতি কেনা আরকি!

২০২২ সালে ইউএসএ মুভ করার পর খুব বেশি যে ঘুরতে বের হয়েছি তেমন না।বলার মতো ট্যুরিস্ট স্পট বলতে মিশিগানের ম্যাক আইল্যান্ড,ওহাইও'র এজওয়াটার পার্ক আর নিউইয়র্কে গুটিকয়েকবার এলোপাতাড়ি ঘুরাঘুরি।তবে শৈশবে শোনে আশা নায়াগ্রা ভ্রমনের সুযোগ এসেছিলো আমেরিকা পৌছানোর ১৫ দিনের মধ্যেই!! মাত্র আধা ঘন্টা ড্রাইভ দুরত্বে শৈশববন্ধু আমিরুলের বাসায় থাকাকালীন সত্ত্বেও কেন জানি অনীহা ছিলো।সত্যি বলতে নায়াগ্রার প্রতি ওতটা টান ছিলো না,একদমই সাদামাটা মনে হতো! তারপর কানাডাতে মুভ করার পর গেলো দুই বছর,অসংখ্য সুযোগ আসলো বাট যাওয়ার ইচ্ছে নাই সো গেলামও না! হুটহাট গতকাল ফ্রেন্ডরা বললো যাবে আমিও বোরড হচ্ছিলাম দিনদিন,সো ভাবলাম মোটামুটি একটা লংড্রাইভ হবে আর মাইন্ডটাও ফ্রেশ করে আসা হবে। সকালে রওয়ানা দিলাম আমরা চারজন এগারোটায়,গিয়ে পৌছালাম দুপুর একটার দিকে।

নায়াগ্রা সম্পর্কে এক-আধটু মজার তথ্য দেওয়া যাক প্রথমে।নায়াগ্রা জলপ্রপাতের উৎপত্তির ইতিহাসটা বেশ মজার। নায়াগ্রা নদীটি প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো। এরও আগে ১৮০০ বছর পূর্বে ওন্টারিওর দক্ষিণে প্রায় ২ থেকে ৩ কিলোমিটার বরফে ঢাকা ছিল। সময়ের সাথে সাথে আর নিয়মিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় পরিবর্তনের ফলে গলতে শুরু করে বরফ। আর গ্রেট লেকস বেসিনে প্রচুর পানি জমতে থাকে এবং লেক ইরি আর লেক ওন্টারিও থেকে আসা পানি মিলে নায়াগ্রা নদীতে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এই প্রপাতের সৃষ্টি হয়। এই বিশাল জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।

নায়াগ্রার মোহময় আকর্ষণ :
জলপ্রপাতের দিকে তাকালে একদিকে যেমন ভয়ে আপনার বুক কেঁপে উঠে তেমনি কিছুতেই এর মোহময় আকর্ষণকে আপনি উপেক্ষা করতে পারবেন না। এই আকর্ষণই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষকে টেনে আনে নায়াগ্রাকে ছুঁয়ে দেখার কিংবা তার উপর হেঁটে যাওয়ার এক অদম্য বাসনাকে। ১৮২৯ সালের অক্টোবরের দিকে ‘স্যামপেচ’ নামের এক দুঃসাহসী অভিযাত্রী ঝাঁপ দিয়েছিলেন নায়াগ্রায়। অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় এই যে, ঝাঁপ দেয়ার পরও এই ভদ্রলোক কিন্তু বেঁচে গিয়েছিলেন।স্যামের এই অদ্ভুত কান্ড আরও অনেক মানুষকে দু:সাহসী করে তোলে। কেউ দড়ির উপর দিয়ে হেঁটে ভয়ংকর এই জলপ্রপাত পার হয়েছেছেন, কেউ নিজেদের একটা ব্যারেলে ভরে নিয়ে ভেসে গিয়েছেন জলপ্রপাতের উত্তাল জলগ্রোতের মধ্যে, ব্যারেলসুদ্ধ আছড়ে পড়েছেন ১৬৭ ফিট উচ্চতা থেকে। এদের নাম দেওয়া হয়েছেছিল ‘ফাঁনামবুলিস্ট’। ১৮৫৯ থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত এরকম উপায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় নায়াগ্রা পার হওয়া একটা নেশায় পরিণত হয়েছেছিল।

যাইহোক, আগেই জানতাম শীতে নায়াগ্রা ঘুরতে যাওয়া মোটেও ভালো আইডিয়া নাহ। একদিকে সৌন্দর্য্য তেমন উপভোগ করা যাবে না,তার উপর জলপ্রপাত থেকে ঠান্ডার পরিমাণ আরও বেশি অনুভূত হবে। যদিও আজকের আবহাওয়া তুলনামূলক ভালো ছিলো তাও -৮ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে হাতে কোনো গ্রাভস ছাড়া,পাতলা জ্যাকেট নিয়ে ঘুরা একটু কঠিনই বটে। কাছ থেকে যখন দেখলাম ঝর্নার পানিগুলো ১৮৭ ফুট উচ্চতা থেকে নিচে পড়ছিলো আর পড়ার সাথে সাথেই মেঘের মতো ভেসে বেড়োচ্ছিলো আবার একটা অংশ ফ্রিজিং ওয়েদারের কারণে বরফও হয়ে যাচ্ছিলো ব্যাপারটা অনেক ইন্টারেস্টিং লাগছিলো। এতো সুন্দর আর এতো ধারাবাহিক! একদিকে হাত বরফ হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে চোখের সামনে থেকে বিস্ময়কর দৃশ্য ফেলে আসতে মন সায় দিচ্ছিলো না! যাইহোক, অলমোস্ট ৩ ঘন্টা ঐখানে কাটানোর পর ক্লান্তশ্রান্ত হয়ে অন্য জায়গা ঘুরে ক'টা ফটো তুলে বাসায় এসে পড়া.....