Hill Voice

Hill Voice Online News for CHT Issues, Indigenous Rights, Minority & Women Issues and Human Rights. Address: 10-96, Churchill Street, Waterloo, ON N2L 2X2, Canada

Suhas Chakma not a human rights activist, rather a violator and litigiousHill Voice, 7 August 2025, Special Corresponden...
08/07/2025

Suhas Chakma not a human rights activist, rather a violator and litigious

Hill Voice, 7 August 2025, Special Correspondent: Suhas Chakma has been targeting Chakma community leaders and student leaders in order to silence them using muscle power and money power. He has filed at lease 16 court cases including legal notices in his name against top Chakma community leaders of Tripura and Arunachal Pradesh since 2021 and at least a hundred Chakma leaders have been prosecuted in his court cases. His victims included the Pradhan Samajpati (Chieftain) of the Chakma community of Tripura, NGO leaders, Village headmen, and student leaders.

If someone says something against Suhas Chakma, criticizes any of his roles, Suhas Chakma immediately files a defamation case against him in court and issues a new legal notice. The main goal of filing the cases is that no one dares to speak against him. He claims to be a human rights activist. But he does not believe in the freedom of speech and expression of others. As a result, whenever someone says something against him, he immediately files a defamation case without considering anything. He even demands a large amount of compensation.

Many Chakma leaders who have been the victims of his case have said that he is not a human rights activist, but a human rights violator and litigious. Chakma leaders in Tripura, Arunachal and Mizoram, India, have been subjected to more human rights violations by Suhas Chakma than any other state or non-state actors.

For instances, General Secretary of Arunachal Pradesh Chapter of the Chakma National Council of India (CNCI), Arunjit Chakma, had uploaded a video in Facebook and requested Suhas Chakma not to spread false information to mislead the public of Arunachal Pradesh. Such request is covered under right to freedom of speech and expression under Art 19(1)(a) of Constitution. Despite claiming himself to be a human rights defender, Suhas Chakma could not tolerate and issued legal notice to Arunjit and demanded huge money as compensation.

On 8 June 2022, Suhas Chakma served a legal notice to 12 office bearers/advisors of Arunachal Pradesh Chakma Students Union (APCSU) i.e. (1) Drishya Muni Chakma, (2) Nunez Chakma, (3) Sonjit Chakma, (4) Chikond Chand Chakma, (5) Ratan Samir Chakma, (6) Atul P Chakma, (7) Nipen Chakma, (8) Uttam Chakma, (9) Supon Chakma, (10) Sangha Mitra Chakma, (11) Ajay Sen Chakma, (12) Rakesh Talukdar for a story published in The Sentinel newspaper about the violation of Inner Line Permit (ILP) by Suhas Chakma during his visit to Arunachal Pradesh in May 2022. Later, he filed a Civil Suit No. 3906/2022 against these student leaders at a Delhi district court demanding Rs. 14 lakh compensation.

On 20 January 2023, over 68 traditional village heads of the Arunachal Pradesh Chakma Gaon Burah Council (i.e. association of the village councils) and prominent Chakma intellectuals wrote a joint letter to Suhas Chakma asking him to refrain from interfering into the Chakma related issues of Arunachal Pradesh. The letter stated that Suhas was spreading of misinformation and thereby complicating the problem. The letter also stated that Suhas Chakma was only sensationalizing the issues and distorting facts and creating fear and complicating the problems which is not helping the Chakmas of Arunachal Pradesh. After that, Suhas Chakma himself published the letter in Facebook and issued legal notice against them claiming that he has been defamed!

Suhas Chakma issued legal notice against Debjan Chakma, Shanti Bikash Chakma and Bibha Basu Chakma, top leaders of Tripura Rejyo Chakma Samajik Parishad. Suhas Chakma issued this legal notice because the said leaders asked him not to interfere unnecessarily in the matter of Chakma customary law.

Besides, Suhas served legal notices to three Chakma leaders in Tripura – Darbacha Chakma, Dhanud Dhar Chakma and Mangal Dhan Chakma, demanding Rs 30 lakh compensation from them. He has filed a case against them in Delhi court.

Suhas Chakma often verbally threatens people with filing cases and losing their government jobs. These lawsuits and threats by Suhas Chakma are not constructive social activities or protecting the human rights of the people, but an attempt to harass the people of the Chakma community, violate their human rights, and create disunity and instability in the society.

Who is Suhas Chakma

Suhas Chakma alias Bodhimitra is a Bangladeshi. His father Ranjan Bikash Chakma was a central member of the Parbatya Chattagram Jana Samhati Samiti (JSS) until signing of the Chittagong Hill Tracts (CHT) Accord with the government in 1997. A few months after Ranjan Bikash Chakma returned to normal life in the CHT as per the CHT Accord, he moved to India with his family and started living there permanently.

Before the signing of the CHT Accord, Suhas Chakma studied with the funding of JSS. Amidst the financial crisis, JSS sent him to study in Delhi. He currently lives in the Janakpuri area of New Delhi. Suhas Chakma has several NGOs. Through these NGOs, he brought in foreign funds worth crores of taka. After doing some nominal work with these funds, he embezzled most of the money. As a result, he is now the owner of crores of taka. It is known that he has movable and immovable properties worth crores of taka in different places due to this NGO or human rights work.

Currently, Suhas Chakma is working as a paid agent of United Peoples Democratic Front (UPDF). He receives a large amount of money from UPDF every month. In this way, he has become the owner of a lot of money. With this financial power, he files cases against those who speak against him and harasses and threatens and intimidates them.

Hill Voice, 7 August 2025, Special Correspondent: Suhas Chakma has been targeting Chakma community leaders and student leaders in order to silence them using muscle [Read More...]

সুহাস চাকমা মানবাধিকার কর্মী নন, তিনি একজন মামলাবাজ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীহিল ভয়েস, ৭ আগষ্ট ২০২৫, বিশেষ প্রতিবেদক: সুহা...
08/07/2025

সুহাস চাকমা মানবাধিকার কর্মী নন, তিনি একজন মামলাবাজ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী

হিল ভয়েস, ৭ আগষ্ট ২০২৫, বিশেষ প্রতিবেদক: সুহাস চাকমা পেশীশক্তি এবং অর্থশক্তি ব্যবহার করে চাকমা সম্প্রদায়ের নেতা এবং ছাত্র নেতাদের চুপ করানোর জন্য একের পর এক মামলা দায়ের করে তাদেরকে লক্ষ্যবস্তু করে আসছেন। তিনি ২০২১ সাল থেকে ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশের শীর্ষস্থানীয় চাকমা সম্প্রদায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতে কোর্ট নোটিশসহ কমপক্ষে ১৬টি মামলা দায়ের করেছেন এবং এতে কমপক্ষে শতাধিক চাকমা নেতা মামলার শিকার হয়েছেন। তার টার্গেটের মধ্যে চাকমা ব্যক্তিরা ছিলেন ত্রিপুরার চাকমা সম্প্রদায়ের প্রধান সমাজপতি, এনজিও কর্মী, গ্রাম প্রধান এবং ছাত্র নেতাবৃন্দ।

কোনো ব্যক্তি যদি সুহাস চাকমার বিরুদ্ধে কোনো কিছু বলেন, তার কোনো ভূমিকা বিষয়ে সমালোচনা করেন, তখনই সুহাস চাকমা তার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন, নতুন লিগেল নোটিস জারি করেন। এভাবে মামলা করার মূল লক্ষ্য হলো, তার বিরুদ্ধে যাতে কেউ কথা বলার সাহস না পান। তিনি নিজেকে মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মী হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু তিনি অন্যের বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের উপর বিশ্বাস করেন না। ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তিনি কোনো কিছু বিবেচনা না করে সাথে সাথে মানহানির মামলা দায়ের করে থাকেন। এমনকি মোটা অংকের ক্ষতিপূরণ দাবি করে থাকেন।

তার মামলার শিকার অনেক চাকমা নেতা বলেছেন যে, তিনি মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মী নন, তিনি একজন মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও মামলাবাজ ব্যক্তি। ভারতের ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মিজোরামে কোনো চাকমা রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের চেয়ে একাই সুহাস চাকমা কর্তৃক চাকমা নেতারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে আসছেন।

উদাহরণ স্বরূপ, চাকমা ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (সিএনসিআই)-এর অরুণাচল প্রদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক অরুণজিৎ চাকমা ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন এবং সুহাস চাকমাকে অনুরোধ করেছিলেন যে, তিনি যেন অরুণাচল প্রদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে না দেন। এই ধরনের অনুরোধ সংবিধানের ১৯(১)(ক) ধারা অনুসারে বাক-স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকারের আওতায় আইনসিদ্ধ। নিজেকে মানবাধিকার রক্ষাকারী দাবি করা সত্ত্বেও, সুহাস চাকমা তা সহ্য করতে পারেননি এবং ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে অরুণজিৎ চাকমাকে আইনি নোটিশ জারি করেন এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিপুল অর্থ দাবি করেন।

৮ জুন ২০২২ তারিখে, সুহাস চাকমা অরুণাচল প্রদেশ চাকমা ছাত্র ইউনিয়নের ১২ জন কর্মকর্তা/উপদেষ্টাকে, অর্থাৎ (১) দৃশ্য মুনি চাকমা, (২) নুনেজ চাকমা, (৩) সোনজিৎ চাকমা, (৪) চিকোন চাঁদ চাকমা, (৫) রতন সমীর চাকমা, (৬) অতুল পি চাকমা, (৭) নিপেন চাকমা, (৮) উত্তম চাকমা, (৯) সুপন চাকমা, (১০) সংঘ মিত্র চাকমা, (১১) অজয় সেন চাকমা, (১২) রাকেশ তালুকদারকে ২০২২ সালের মে মাসে অরুণাচল প্রদেশ সফরের সময় সুহাস চাকমার ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) লঙ্ঘন সম্পর্কে দ্য সেন্টিনেল পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। পরে, তিনি দিল্লির একটি জেলা আদালতে এই ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে ১৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে একটি দেওয়ানি মামলা (নং ৩৯০৬/২০২২) দায়ের করেন।

২০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে, অরুণাচল প্রদেশের চাকমা গাঁও বুড়া কাউন্সিল (অর্থাৎ গ্রাম পরিষদের সমিতি) এর ৬৮ জনেরও বেশি ঐতিহ্যবাহী গ্রামপ্রধান এবং বিশিষ্ট চাকমা বুদ্ধিজীবীরা সুহাস চাকমাকে একটি যৌথ চিঠি লিখেছিলেন যাতে তাকে অরুণাচল প্রদেশের চাকমা সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে যে, সুহাস ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন এবং এর ফলে সমস্যাটিকে জটিল করে তুলছেন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, সুহাস চাকমা কেবল বিষয়গুলিকে চাঞ্চল্যকর করে তুলছেন, তথ্য বিকৃত করছেন এবং ভয় তৈরি করছেন এবং সমস্যাগুলিকে জটিল করে তুলছেন যা অরুণাচল প্রদেশের চাকমাদের কোনও উপকার করছে না। এরপর সুহাস চাকমা নিজেই ফেসবুকে চিঠিটি প্রকাশ করেছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন যে তাকে মানহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে!

৮ মে ২০২৪ তারিখে সুহাস চাকমা ত্রিপুরা রেজ্য চাকমা সামাজিক পরিষদের শীর্ষ নেতা দেবজান চাকমা, শান্তি বিকাশ চাকমা ও বিভা বসু চাকমার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ জারি করেন। উক্ত নেতারা সুহাস চাকমাকে চাকমা প্রথাগত আইনের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ না করার জন্য বলেছিলেন বলেই সুহাস চাকমা এই আইনী নোটিশ জারি করেন।

এছাড়া সুহাস চাকমা আদালতে ২০ জনেরও বেশি চাকমা নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। সুহাস চাকমা ত্রিপুরা রাজ্যের তিন চাকমা নেতা – দরবাচা চাকমা, ধনুদ ধর চাকমা এবং মঙ্গল ধন চাকমাকে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি দিল্লির আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

সুহাস চাকমা প্রায়ই কথায় কথায় মানুষকে মামলা দায়ের করার, কারো সরকারি চাকরি খুইয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে থাকেন। সুহাস চাকমার এসব মামলা দায়ের, হুমকি গঠনমূলক কোনো সামাজিক কর্মকাণ্ড বা জনগণের মানবাধিকার রক্ষার কোনো কাজ তো নয়ই, বরং চাকমা সমাজের মানুষকে হয়রানি, তাদের মানবাধিকার লংঘন এবং সমাজে অসংহতি ও অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা বৈ কিছু নয়।

কে এই সুহাস চাকমা

সুহাস চাকমা ওরফে বোধিমিত্র একজন বাংলাদেশী। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কর্তৃক সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করা পর্যন্ত তার পিতা রঞ্জন বিকাশ চাকমা জেএসএসের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুসারে রঞ্জন বিকাশ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কয়েক মাস পর তিনি পরিবার নিয়ে আবার ভারতে চলে যান এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের আগে সুহাস চাকমা জেএসএসের অর্থায়নে লেখাপড়া করেন। জেএসএসের অর্থ সংকটের মধ্যে জেএসএস তাকে দিল্লীতে লেখাপড়া করান। তিনি বর্তমানে দিল্লীর জনকপুরী এলাকায় বসবাস করেন। সুহাস চাকমার একাধিক এনজিও রয়েছে। এসব এনজিও’র মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক ফান্ড নিয়ে আসেন। এসব ফান্ড নামমাত্র কিছু কাজ করানোর পর অধিকাংশ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। ফলে তিনি বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এই এনজিও বা মানবাধিকার কাজের বদৌলতে বিভিন্ন জায়গায় তার কোটি কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা যায়।

বর্তমানে সুহাস চাকমা ইউপিডিএফের পেইড এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। ইউপিডিএফ থেকে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা পেয়ে থাকেন। এভাবে তিনি অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। এই অর্থ শক্তি দিয়ে তার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রানি করেন এবং হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

হিল ভয়েস, ৭ আগষ্ট ২০২৫, বিশেষ প্রতিবেদক: সুহাস চাকমা পেশীশক্তি এবং অর্থশক্তি ব্যবহার করে চাকমা সম্প্রদায়ের নেত.....

মাদারীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরহিল ভয়েস, ৭ আগস্ট ২০২৫, মাদারীপুর: মাদারীপুর উপজেলার মস্তফাপু...
08/07/2025

মাদারীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর

হিল ভয়েস, ৭ আগস্ট ২০২৫, মাদারীপুর: মাদারীপুর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের পর্বত বাগানের দীঘির পাড়ে পাশাপাশি অবস্থিত শ্রীশ্রী গণেশ পাগলের মন্দির এবং রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৩ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, পর্বতবাগান দিঘীরপাড় এলাকায় পাশাপাশি ৬টি মন্দির রয়েছে। সেখানে নিয়মিত পূজা অর্চনার মাধ্যমে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে থাকেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। গভীর রাতে কে বা কারা গণেশ পাগলের মন্দিরের একটি এবং রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের রাধাকৃষ্ণ প্রতিমা ভাঙচুর করে। সকালে বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসে। তারা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবগত করে। তখন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মাদারীপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রাণতোষ মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের গ্রেপ্তার ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

মাদারীপুর সদর থানার ওসি আদিল হোসেন বলেন, “মন্দিরের দুটি প্রতিমা ফেলে রাখা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে এই ঘটনা কিভাবে হল কিংবা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। প্রতিমা ভাঙচুরের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

হিল ভয়েস, ৭ আগস্ট ২০২৫, মাদারীপুর: মাদারীপুর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের পর্বত বাগানের দীঘির পাড়ে পাশাপাশি অবস্থি...

৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস: দেশব্যাপী কর্মসূচিহিল ভয়েস, ৭ আগস্ট ২০২৪, বিশেষ প্রতিবেদক: আগামী ৯ আগস্ট ২০২৫ জাতিসংঘ ...
08/07/2025

৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস: দেশব্যাপী কর্মসূচি

হিল ভয়েস, ৭ আগস্ট ২০২৪, বিশেষ প্রতিবেদক: আগামী ৯ আগস্ট ২০২৫ জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য সকল আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর ন্যায় বাংলাদেশে বসবাসকারী ৫৪টির অধিক আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর জনগণও দিবসটি উদযাপনের লক্ষে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

ঢাকা: ৯ আগস্ট ২০২৫, সকাল ১০টায়, রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
জাতিসংঘ ঘোষিত এবছরের প্রতিপাদ্য ‘Indigenous Peoples and AI: Defending Rights, Shaping Futures’ এর অবলম্বনে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের এবছরের প্রতিপাদ্য হল- ‘আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যৎ গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ’।

চট্টগ্রাম: একই দিন বিকেলে চট্টগ্রাম শহরে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, চট্টগ্রাম অঞ্চল শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকাল ৩টায় চট্টগ্রামের নন্দন কানন এলাকার বৌদ্ধ মন্দির চত্বরে জমায়েত ও র‌্যালি শুরু হবে। এরপর বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জুলাই স্মৃতি হল-এ অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দিন। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক হাফিজ রশিদ খান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি তাপস হোড়, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর, ঐক্য ন্যাপ, চট্টগ্রামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পাহাড়ী ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন মাহিম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোশরেকা অদিতি হক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), চট্টগ্রাম এর নেতা আল কাদেরি জয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, চট্টগ্রাম অঞ্চল এর সদস্য অনিল বিকাশ চাকমা।

রাঙ্গামাটি: একই দিন সকালে রাঙ্গামাটি শহরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০২৫ উদযাপন কমিটি, রাঙ্গামাটি এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও র‌্যালি। রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে সকাল ৯টায় জমায়েত, সকাল ৯:৩০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর কাল ১১:৩০টায় পৌরসভা প্রাঙ্গণ হতে রাজবাড়ির শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে বর্ণাঢ্য র‌্যালি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, চট্টগ্রাম অঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা (অব: উপসচিব) এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ২৯৯নং রাঙ্গামাটি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার। এছাড়া এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ ও ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।

বান্দরবান: একই দিন আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটি, বান্দরবান এর উদ্যোগে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায় জমায়েত, সকাল ৯:৩০টায় গণসঙ্গীত, সকাল ১০টায় আলোচনা সভা এবং দুপুর ১২:৩০টায় র‌্যালি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, বিশিষ্ট লেখক ও আদিবাসী চলচিত্র নির্মাতা ডা: মং উষাথোয়াই এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক, দৈনিক আমাদের সময় এর নির্বাহী সম্পাদক এহসান মাহমুদ। এছাড়া বক্তব্য রাখবেন স্থানীয় ও জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

খাগড়াছড়ি: একই দিন আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটি-২০২৫ এর উদ্যোগে খাগড়াছড়ি সদরে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে র‌্যালি, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

রাজশাহী: একই দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ, রাবি, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংসদ, রাবি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর এবং আদিবাসী স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এর যৌথ উদ্যোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তন্ময় তনচংগ্যা এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা ড. মো. আমিরুল ইসলাম।

মৌলভীবাজার: একই দিন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে মৌলভীবাজারের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি।

কক্সবাজার: একই দিন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে সমাবেশ, র‌্যালি ও বিক্ষোভ মিছিল।

তিন সংগঠনের কর্মসূচি: দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও কাপেং ফাউন্ডেশন যৌথ উদ্যোগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন স্থানে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৯ আগস্ট ২০২৫ রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগের জেলায় জেলায় মিছিল ও সমাবেশ, ১২ আগস্ট ২০২৫ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ১৪ আগস্ট ২০২৫ নওগাঁ সদরের প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগারে র‌্যালি ও আলোচনা সভা। এসব কর্মসূচিতে তাদের উল্লেখযোগ্য দাবিসমূহ হল- বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে আদিবাসীদের আত্মপরিচয়ের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের ১৮৪২.৩০ একর সম্পত্তি মূল মালিকদের ফিরিয়ে দিতে হবে এবং সেখানকার তিন ফসলী জমিতে ইপিজেড নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ, তিন সাঁওতাল হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, সাঁওতাল-বাঙালিদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, জাতীয় সংসদ সহ সকল ক্ষেত্রে আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী আদিবাসীদের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও যোগাযোগের প্রেক্ষাপটে ১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতিবছর ‘৯ আগস্ট’কে ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী আদিবাসী বিষয়টি জোরালোভাবে মনোযোগ আকর্ষণের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দিয়ে এবং মানবাধিকার, পরিবেশ, উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে আদিবাসী জনগণ কর্তৃক সম্মুখীন সমস্যাসমূহের সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারকরণের লক্ষ্যে প্রথমে ১৯৯৫-২০০৪ খ্রি: সময়কে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক আদিবাসী দশক’ এবং পরে ২০০৫-২০১৪ খ্রি: সময়কে ‘দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দশক’ হিসেবে ঘোষণা করে। পরে ২০০০ সালে জাতিসংঘে আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরাম গঠন, ২০০১ সাল থেকে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ক স্পেশাল র‌্যাপোটিয়র নিয়োগ, ২০০৭ সালে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র গ্রহণ, ২০১৪ সালে সাধারণ পরিষদের বিশ্ব আদিবাসী সম্মেলন অনুষ্ঠিতকরণ ও তাতে ঐতিহাসিক ‘আউটকাম ডকুমেন্ট’ গ্রহণসহ বৈশ্বিক পর্যায়ে অনেক সাফল্য অর্জিত হয়। বিশ্বের সিংহভাগ দেশে আদিবাসীদের আত্মপরিচয় ও তাদের অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকার করা হলেও বাংলাদেশে এখনো তা স্বীকৃত হয়নি।
https://hillvoice.net/bn/%e0%a7%af-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac/

Hill Voice

হিল ভয়েস, ৭ আগস্ট ২০২৪, বিশেষ প্রতিবেদক: আগামী ৯ আগস্ট ২০২৫ জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বিশ্বে....

ঢাকায় পাহাড় বনাম সমতলের আদিবাসীদের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিতহিল ভয়েস, ৬ আগস্ট ২০২৫, ঢাকা: আজ ৬ আগস্ট ২০২৫ বুধব...
08/06/2025

ঢাকায় পাহাড় বনাম সমতলের আদিবাসীদের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

হিল ভয়েস, ৬ আগস্ট ২০২৫, ঢাকা: আজ ৬ আগস্ট ২০২৫ বুধবার, বিকেল ৪ ঘটিকার সময়ে আসন্ন আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আদিবাসী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজক উপ-কমিটির পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল মাঠে পাহাড় বনাম সমতলের আদিবাসীদের নিয়ে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হিরণ মিত্র চাকমা এবং ক্রীড়া ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক উজ্জ্বল আজিমসহ বিভিন্ন আদিবাসী ছাত্র সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ।

এই সময় বক্তারা, পাহাড় এবং সমতলের আদিবাসীদের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় করার মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যতে আরো যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশের আদিবাসী জনগণ একতাবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

উক্ত খেলায় পাহাড়ের দল ৪-২ গোলে সমতলের দলকে হারিয়ে জয়ী হয়। খেলার শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ টিমের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ শেষে আদিবাসী ফোরামের ক্রীড়া ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক উজ্জ্বল আজিমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
https://hillvoice.net/bn/%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bc-%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a6%b2%e0%a7%87/

Hill Voice

Massive army operation in Bandarban, searches, arrests, beatingsHill Voice, 6 August 2025, Bandarban: A massive military...
08/06/2025

Massive army operation in Bandarban, searches, arrests, beatings

Hill Voice, 6 August 2025, Bandarban: A massive military operation is underway by the Bangladesh Army in various Jumma villages in Ruma and Thanchi upazilas of Bandarban district, and allegations have been received that at least 1 person has been detained, 2 people have been beaten, and many houses have been searched in a harassing manner.

According to local sources, at around 4 am today (August 6), a group of army numbering 45/50 led by Major Mehedi Hasan Sarkar from Ruma Army Zone of Ruma Upazila conducted a raid on Pantala village in Ward No. 8 of Galengya Union. During the operation, the army personnel conducted an extensive search of two houses in the village. However, nothing was found. It is known that the army group was staying in Pantala village till the time of writing this report.

At the same time, another army group of 15-20 soldiers went to Naitong Para in the same upazila in the morning and took up position. In addition, it is reported that army arrested an innocent villager named Sijimong Marma (27), son of Mongwai Marma, who was found staying in a Jum house in Crowdong Para.

On the other hand, it is reported that a group of more than 150 army personnel, being divided into four groups, took up positions in Kyasu Para, Brahmadatta Para, Adika Para and Bolipara villages of Bolipara union of Thanchi upazila since midnight yesterday (August 5). It is learnt that the army found Maurum Chakma and his wife (name unknown) in a Jum house in Brahmadatta Para and severely beat them.

In addition, another group of army personnel conducted extensive searches at the homes of three Jumma villagers in Kamalabagan Para of Bolipara Union. The victims are: Panthwar Chakma (45), son of late Baghye Chakma, Chandralal Chakma (48), son of late Lej Chakma and Rajchandra Tripura (48), son of laye Sadhuchandra Tripura.
https://hillvoice.net/massive-army-operation-in-bandarban-searches-arrests-beatings/

Hill Voice

Hill Voice, 6 August 2025, Bandarban: A massive military operation is underway by the Bangladesh Army in various Jumma villages in Ruma and Thanchi upazilas [Read More...]

বান্দরবানে ব্যাপক সেনা অভিযান, তল্লাসি, আটক, মারধরহিল ভয়েস, ৬ আগস্ট ২০২৫, বান্দরবান: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বান্দরবা...
08/06/2025

বান্দরবানে ব্যাপক সেনা অভিযান, তল্লাসি, আটক, মারধর

হিল ভয়েস, ৬ আগস্ট ২০২৫, বান্দরবান: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বান্দরবান জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় বিভিন্ন জুম্ম গ্রামে ব্যাপক সেনা অভিযান চলছে এবং এতে অন্তত ১ জনকে আটক, ২ ব্যক্তিকে মারধর ও বিভিন্ন বাড়িতে হয়রানিমূলকভাবে তল্লাসি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ (৬ আগস্ট) ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে রুমা উপজেলার রুমা সেনা জোন হতে মেজর মেহেদী হাসান সরকারের নেতৃত্বে ৪৫/৫০ জনের একটি সেনাদল গালেংগ্যা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পান্তলা গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় সেনা সদস্যরা গ্রামের দুটি বাড়িতে ব্যাপক তল্লাসি চালায়। তবে কোনো কিছুই পায়নি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেনা সদস্যরা পান্তলা গ্রামে অবস্থান করছিল বলে জানা যায়।

একই সাথে সকালে ১৫-২০ জনের আরেকটি সেনাদল একই উপজেলার নাইতং পাড়ায় গিয়ে অবস্থান নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। এছাড়া, ক্রাউডং পাড়া থেকে জুমঘরে অবস্থানরত অবস্থায় পেয়ে সিজিমং মারমা (২৭), পীং-মংয়াই মারমা নামে এক নিরীহ গ্রামবাসীকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করেছে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে, গতকাল (৫ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে ১৫০ জনের অধিক সেনাবাহিনীর একটি দল চার ভাগে বিভক্ত হয়ে থানচি উপজেলার বলীপাড়া ইউনিয়নের ক্যাসু পাড়া, ব্রহ্মাদত্ত পাড়া, আদিকা পাড়া ও বলীপাড়া গ্রামে অবস্থান নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। জানা যায়, সেনা সদস্যরা ব্রহ্মাদত্ত পাড়ায় একটি জুমঘরে পেয়ে মাওরুম চাকমা ও তার স্ত্রীকে (নাম অজ্ঞাত) ব্যাপক মারধর করে।

এছাড়া, সেনা সদস্যরা বলীপাড়া ইউনিয়নের কমলাবাগান পাড়ায় ৩টি জুম্ম গ্রামবাসীর বাড়িতে ব্যাপক তল্লাসি চালায়। ভুক্তভোগীরা হলেন- রূপান্তর চাকমা (৪৫), পীং-মৃত বাঘ্যে চাকমা, চন্দ্রলাল চাকমা (৪৮), পীং-মৃত লেজ চাকমা ও রাজচন্দ্র ত্রিপুরা (৪৮), পীং-মৃত সধুচন্দ্র ত্রিপুরা।
https://hillvoice.net/bn/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%85-2/

Hill Voice

হিল ভয়েস, ৬ আগস্ট ২০২৫, বান্দরবান: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বান্দরবান জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় বিভিন্ন জুম্ম ....

08/06/2025

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস - ২০২৫ উপলক্ষে– পাহাড় বনাম সমতলের আদিবাসীদের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা

স্থান: জগন্নাথ হল মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউপিডিএফ কর্তৃক অপহরণ হওয়া আমি এবং আমার এক সহযোদ্ধা-কাঞ্চনা চাকমা                                                       ...
08/06/2025

ইউপিডিএফ কর্তৃক অপহরণ হওয়া আমি এবং আমার এক সহযোদ্ধা

-কাঞ্চনা চাকমা
চলমান বছরের অনুরূপ গত বছরও এই দিনে অর্থাৎ ৬ আগস্ট ২০২৪ কিছুটা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। তার আগের দিন ৫ আগস্ট ২০২৪ এক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে এবং সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সমগ্র দেশজুড়ে তখনও তোলপাড়, অস্থিরতা চলছে। এমন সময় রাতে এক গোপনীয় সুত্রে জানা যায়, পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ’ এর সাথে যোগাসাজশ করে পিসিজেএসএস ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’কে প্রস্তাব দেওয়া হয় জেলা পরিষদ এবং দীপংকর তালুকদারের বাসভবন দখল করা এবং আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) স্যারের বাসভবন ঘেরাও করে হাসিনার মতো পালিয়ে যেতে বাধ্য করা। যদিও বিএনপি তাদের কর্মকান্ডের অবস্থা জেনে তাদের হীন প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করে বলে জানা যায়।

সকাল হলো পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজে। কিছুটা রোদ, আবার কিছুটা মেঘলা। এর পরপরেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে শুভাকাঙ্ক্ষীদের খবর আসা শুরু হয় যে, ইউপিডিএফরা তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যেক বাড়ি থেকে একজন সমাবেশে যেতে হবে, না গেলে ১ (এক) কেজি হাঙ্গর মাছ, পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা এবং একটি কোদাল নিয়ে তাদের কাছে হাজির হতে হবে।

ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবনে হামলা এবং লাশ ফেলানোর পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে দেশীয় অস্ত্র, ইট, গুলতি, লাঠিসোটা নিয়ে অস্ত্রের মুখে ও জোরপূর্বক রাঙ্গামাটি জেলাস্থ কাউখালী, ঘাগড়া, কুতুকছড়ি, সাপছড়ি, নান্যাচর, বন্ধুকভাঙ্গা প্রভৃতি এলাকা থেকে কয়েক হাজার সাধারণ জনগণকে নিয়ে আসে।

পরে রাঙ্গামাটি শহরে স্থিতিশীলতা রক্ষা ও জুম্ম জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুইটি টিম নিয়ে আমরা স্ব স্ব এলাকায় শৃঙ্খলার সহিত তাদেরকে থামানোর জন্য অবস্থান নিই, কেননা রাঙ্গামাটিতে অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে। সেটেলার বাঙালিরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত করার সুযোগ নিতে পারে। এমনিতেই পরিস্থিতি টালমাটাল অবস্থা।

এরপর সকাল ৯ ঘটিকায় আমরা ২৫ জন গেলাম শিমুলতলী, রাঙ্গামাটি বেতার কেন্দ্র নামক স্থানে। আনুমানিক বিকাল ৩ ঘটিকায়, অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমরা ভেবে নিয়েছিলাম তারা আর আসবে না। ঠিক যে মূহূর্তে আমরা ফেরত আসার কথা ভাবছিলাম এমনই সময় নানা উস্কানিমূলক শ্লোগান দিয়ে ২৫ থেকে ২৬টি গাড়ি এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে। সেখানে ২০ থেকে ৩০ জন ইউপিডিএফের কর্মী বাদে অন্য সব লোকজন সাধারণ জুমচাষী। যাদেরকে জোরপূর্বক ভয় দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। অত:পর এসেই আমরা তাদেরকে থামতে বলি। তাদের সাথে কথা হয় অনেকক্ষণ। একপর্যায়ে আমাদের পক্ষ থেকে নমনীয়ভাবে বুঝিয়ে বলা হয়, আপনারা যেতে পারবেন না, যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে যান। আমরা চাইনা ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি হোক এখানে। পরে তারাও মেনে নেয় যে, চলে যাবে নিজের স্থানে। কিন্তু এমন সময়ে সেনাবাহিনীর দুইটি গাড়ি সেখানে চলে আসে। তারপর ইউপিডিএফ কর্মীদেরকে একপাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনীর লোকজন তাদের সাথে কথা বলে। কথা বলার পরপরই ইউপিডিএফ নেতাকর্মীদের মত পাল্টে যায় এবং তারা আমাদের সাথে তর্ক করতে শুরু করে যে, তারা রাঙ্গামাটিতে সমাবেশ করবে, কার সাহস তাদেরকে আটকানো।

পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা যাওয়ার অনুমতি দিতে বাধ্য হই। কেননা সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাবে এমন খবর আমাদের জানানো হয়েছিল । পরে যখন তারা যাচ্ছে তখন ভিডিও কল করে বলছে, দেখেন, আমরা ওদের জায়গায় এসে দখল করেছি, কিচ্ছু করতে পারছে না, কুকুরের মতো দাঁড়িয়ে আছে (হুগুরো সান্নে দাড়েই আগনদে শুয়োরো চগুন), আরো অনেক উস্কানিমূলক কথাবর্তা।

এরপর সেনাবাহিনীর গাড়িগুলো আগে চলে যায়, আর ইউপিডিএফদের গাড়িগুলো একটু সামনে গিয়ে থামে এবং আমাদের উপর হঠাৎ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। যাকে পেয়েছে তাকেই মারছে, সে ছেলে হোক বা মেয়ে। তাদের মধ্যে আমি একজন গণপিটুনির শিকার।
২০-৩০ জন ইউপিডিএফের পুরুষ সন্ত্রাসী জনসমক্ষে ইট, লাঠি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক আঘাত করে। এসময় সন্ত্রাসীরা পাশবিক কায়দায় পেটে, পাছায়, বুকে পা দিয়ে আঘাত করে, এমনকি পরিধান করা কাপড় খুলে দিয়ে পিঠে আঘাত করে। অনেক ক্ষণ মারধর করার পর টেনে হিঁচড়ে আমাকে গাড়িতে তুলে আর সেখানে দেখি আমার এক সহযোদ্ধা (সুষ্টি চাকমা)’কে মেরে গাড়িতে তুলে রেখেছে তারা। সুষ্টি চাকমাকেও ১০-১২ জন শুধু পুরুষ ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী উপর্যুপরি আঘাত করেছে। ইট, লাঠি, কাঠ দিয়ে মাথায়সহ পুরো শরীরে আঘাত করে। উভয়ের শরীরের স্পর্শকাতর অংশেও আমাদের আঘাত করে তারা।

গাড়িতে বিভিন্ন গালিগালাজ করে আমাদের দুইজনকে মারতে থাকে একপর্যায়ে মেরে ফেলার জন্য বন্দুক খুজঁতে থাকে শুভ নামের একজন ছেলে। পরে আমরা জানতে পারি ঘটনাস্থলে তাদের অস্ত্রধারী সদস্যরাও উপস্থিত ছিল এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা সব কিছুই জানার পরও রাঙ্গামাটিতে উক্ত ঘটনাটি ঘটানোর জন্য উস্কে দিয়েছিল।

অতপর আমাদেরকে অজ্ঞান অবস্থায় অস্ত্রের মুখে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মানিকছড়ি-ঘাগড়া পার হয়ে কাউখালীর দিকে দুর্গম এক জায়গায়। ঐ দিন রাতে আমাদেরকে বলা হয় টাকা বা মোবাইল থাকলে জমা দিতে আর মিথ্যা বললে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে। তখন আমি বলেছিলাম আমাদের কাছে কোনো টাকা বা মোবাইল নেই । আর যদি আমাদেরকে মেরে ফেলে পূর্ণস্বায়ত্বশাসন অর্জন করতে পারেন তাহলে মেরে ফেলুন সমস্যা নাই। কারণ আমরা মৃত্যুকে ভয় করিনা।

পরের দিন অর্থাৎ ৭ আগস্ট ২০২৪ , তাদের অভিযোগ, আমরা নাকি ফোন দিয়ে সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছি। সেই অজুহাতে তারা পরে আমাদের পরনে থাকা কাপড় খুলে খোঁজাখুঁজির পরও কিছুই পায়নি। আমি এবং আমার সহকর্মী মারধরের কারণে তখন হাঁটতে পারছি না। এরপর সেখান থেকে রাত ১০ ঘটিকায় প্রায় ২ ঘন্টা ৪৫ মিনিটের মতো পায়ে হেঁটে একটা ঝিড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হয় আমাদের। আমাদের তখন না দিয়েছে প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা, না দিয়েছে কোনো খাবার।

সেখানে গিয়ে আরো বিশেষ সূত্রে নাকি তারা জানতে পারলেন, আমি নাকি সামরিক ট্রেনিং নিয়েছি। কারণ ২৫,২৬ জন ছেলে পরনে কাপড় খুলে গুলটি লাঠি নিয়ে মারধর, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম, এমনকি বুকে হাত দেওয়া, পেন্টের বোতাম খুলে দেওয়ার পরও স্ট্রং কিভাবে আছি? ইউপিডিএফের নেতাকর্মীরা তখন আমাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। যেটি তাদের স্বাভাবগত চরিত্র। আমাদেরকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে প্রচার করেছে, ভুল করে আমরা ওদের গাড়িতে নাকি উঠেছিলাম।

এরপর ৮ আগস্ট ২০২৪ আমাদের দুইজনকে আলাদা করে কথা বলা হয়, ভিডিও ধারণ করে সেখানে জোর করে বলাতে বাধ্য করা হয় যে, নেতৃত্ব আমাদেরকে অনিশ্চিত মৃত্যুর স্থানে পাঠিয়ে বড় ভুল করেছেন। হ্যাঁ বা না। আমি তখন বলেছিলাম, আপনারা সন্তু লারমা স্যার এর বাসভবন ভেঙে দিতে যাবেন, এইটা মানবো কিভাবে? সেটি আপনাদের হঠকারী সিদ্ধান্তের মধ্যে পরে। তখন তারা বলেছিল, সন্তু লারমা স্যার নাকি মরাধরা করে আছেন, তার বাসভবন ভাঙতে শনি, রবিবারও লাগবে না। আর আমি যখন জিজ্ঞেস করি, যদি আপনাদের প্রসিত খীসার বাড়ি আমরা ভাঙতে যাবো- এই খবর পেলে আপনারা কি করবেন? তখন তারা সেই উত্তরটি যথাযথভাবে সেখানে দিতে পারেননি।

ইউপিডিএফ কর্তৃক ৬ আগস্ট ২০২৪ হতে ৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত এই তিনদিন প্রতি সেকেন্ডে আমি নিজের মৃত্যুকে কাছ থেকেই দেখেছি। এখনও আমাকে মারধরের দাগগুলো দেখলে মনে পড়ে আজকের দিনটি।

পরিশেষে, সংগ্রামের দৃপ্তকন্ঠ নিয়ে এখনো পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে আমরা রাজপথে নিয়োজিত আছি। পাহাড়ের প্রতিক্রিয়াশীল কোনো শক্তি এবং শাসকগোষ্ঠী আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। কথায় আছে, সবচেয়ে ভালো ইস্পাতকে অধিক উত্তপ্ত আগুনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সুতরাং ইচ্ছা ও তার সংহতিই হলো একজন মানুষের বৃহৎ শক্তি।

লেখক: তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, রাঙ্গামাটি জেলা কমিটি।
https://hillvoice.net/bn/%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%ab-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%83%e0%a6%95-%e0%a6%85%e0%a6%aa%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a6%a3-%e0%a6%b9%e0%a6%93/

Hill Voice হিল উইমেন্স ফেডারেশন

কাঞ্চনা চাকমা চলমান বছরের অনুরূপ গত বছরও এই দিনে অর্থাৎ ৬ আগস্ট ২০২৪ কিছুটা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। তার আগের দিন ৫ আগস্ট ...

Address

Waterloo
Waterloo, ON

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hill Voice posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Hill Voice:

Share