Tiktok fun

Tiktok fun Nothing to say. Independent person �

বি: দ্র: মন দেয়া নেয়া থেকে বিরত থাকুন।
07/03/2025

বি: দ্র: মন দেয়া নেয়া থেকে বিরত থাকুন।

 #চোখ_যে_কথা_বলে_নাপর্ব ৩: ছায়ার পেছনে ছায়া---স্কেচবুক, লাল খাম আর পায়েলহীন সেই ছাদঘর – সবকিছু যেন নীলের চোখের সামনে তীর...
06/25/2025

#চোখ_যে_কথা_বলে_না
পর্ব ৩: ছায়ার পেছনে ছায়া

---

স্কেচবুক, লাল খাম আর পায়েলহীন সেই ছাদঘর – সবকিছু যেন নীলের চোখের সামনে তীরের মতো ছুটে চলেছে।
মাথায় ভেসে উঠছে একটাই কথা –
“আমি শুধু আরু নই, আমি একটা গল্প— যা কেউ শেষ হতে দেয় না।”

নীল জানে, সে এখন একটা রহস্যে জড়িয়ে গেছে।
ভালোবাসা শুধু অনুভব নয়, এখন এটা একটা দায়।
আর সেই দায় থেকে পালানো অসম্ভব।

---

ডায়েরির ভেতরের পাতাগুলো আবার খুঁজে খুঁজে দেখতে গিয়ে এক পাতায় সে খেয়াল করে—
একটা রাফ হ্যান্ড স্কেচ, যেন হাতে আঁকা ম্যাপের মতো।
তাতে ইংরেজিতে লেখা—"B.C.Road – Gate 9"
আর নিচে একটা অর্ধেক বিল্ডিং-এর ছবি।
নিচে কালি দিয়ে শুধু লেখা—

> “ও এখানেই আসে, প্রতি বুধবার।
ওর নাম বদলেছে, মুখও…
কিন্তু চোখ চিনতে পারবি।”

নীলের মাথার মধ্যে শব্দগুলো হঠাৎ বাস্তব হয়ে ওঠে।

“ও যদি আমায় খুঁজে পায়, আমি বাঁচব না…”
আর
“তুমি যদি আগে খুঁজে পাও, সাবধান থেকো।”

তবে কি Gate 9-এ কেউ আছে?
যে আরুকে খুঁজছে?
না কি আরু নিজেই সেখানে গিয়েছে কাউকে খুঁজতে?

---

পরদিন সকাল ৭টা।

নীল হাতে স্কেচবুক, ব্যাগে পান্ডুলিপি,
আর বুক ভরে ভয় আর কৌতূহল নিয়ে পৌঁছে যায়
B.C. Road – Gate 9।

এলাকাটা তুলনামূলকভাবে ফাঁকা।
ছোট্ট একটা কফিশপ, কিছু পুরনো বিল্ডিং,
আর দূরে একটা গ্যালারির মতো পুরোনো ঘর।

নীল দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ।

তারপর কফিশপে ঢুকে বারান্দার এক কোণে বসে।

ক্যাপুচিনো অর্ডার দেয়,
আর গ্লাসের আড়ালে চোখ রাখে রাস্তার দিকে।

---

প্রায় ৪৫ মিনিট অপেক্ষার পর,
হঠাৎ নীলের চোখ আটকে যায়।

দূরে রাস্তার বাঁকে দেখা যায়
একটা লম্বা পাঞ্জাবি পরা লোক, চোখে কালো চশমা, গলায় ক্যামেরা ঝোলা।

চোখের নিচে একটুখানি দাগ—
হালকা পুরনো চোটের মতো।

নীল চমকে ওঠে।

এই লোকটাই তো ছিল সেই স্কেচে!

সে টেবিলের নিচে স্কেচ খুলে মিলিয়ে দেখে।
হ্যাঁ—হুবহু এক।

লোকটা গ্যালারির দিকে এগিয়ে যায়।

নীলও উঠে দাঁড়ায়।
সাবধানে পেছনে পেছনে হাঁটে।

গ্যালারির ভেতরে ঢুকে দেখে—
একটা এক্সিবিশন চলছে।

চিত্র প্রদর্শনী।
বিভিন্ন নতুন শিল্পীর আঁকা চোখ, মুখ, নগর জীবন—আর…
হঠাৎই,
একটা চিত্রের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে সেই লোকটা।

আর ঠিক পাশের দেয়ালে ঝোলানো একটা চিত্রে লেখা—
"Artist: A. Rahman"
ছবিটা খুব চেনা।

একজোড়া চোখ, আর নিচে লেখা—
“When love hides pain”

নীলের বুক কেঁপে ওঠে।

আরু!

সে অন্য নামে, অন্য পরিচয়ে ছবিগুলো এক্সিবিশনে দিয়েছে!

তবে সে এখন কোথায়?

---

হঠাৎ সেই পাঞ্জাবিপরা লোক মোবাইল বের করে ফোনে কথা বলতে শুরু করে।

নীল কিছুটা কাছে গিয়ে শুনে—
"হ্যাঁ, আমি এখানে।
ছবিগুলো এখানেই আছে।
কিন্তু মেয়ে নিজে আসে কি না সেটা বুঝতে পারছি না।
তবে সাবধান থাকো, ওর একটা পুরনো আঁকার বন্ধু এখানে ঘোরাঘুরি করছে।
নাম সম্ভবত নীল।"

নীলের মাথার পেছনের লোম খাড়া হয়ে যায়।

"আমার নাম?
আমার নাম জানে কীভাবে?"

তবে কি…

সে আর বেশিক্ষণ দাঁড়ায় না।
চুপিচুপি বেরিয়ে আসে গ্যালারি থেকে।
বুঝতে পারে—এই লোকটা আরুর জন্য না,
আরু বাঁচার জন্য পালিয়েছে,
এই লোক ধরার জন্য খুঁজছে।

---

নীল কলেজে ফেরে না।
সোজা যায় পুরনো রেল স্টেশনে—
যেখানে সে আরু একবার বলেছিল—
“ট্রেনের শব্দে আমি নিরাপদ বোধ করি।
যেন সব কিছু ফেলে পালাতে পারি।”

স্টেশনের কনক্রীট বেঞ্চে বসে সে সিদ্ধান্ত নেয়—
এবার পালিয়ে থাকা নয়।
সে আরুকে খুঁজবেই।

কিন্তু এবার ভালোবাসা খোঁজার জন্য নয়।
এবার তাকে বাঁচাতে হবে।

সে আবার প্যাড খোলে।

আর আঁকে একটা নতুন মুখ—
আরু নয়,
তাকে খুঁজতে থাকা সেই লোকটার মুখ।

তারপরে স্কেচপ্যাডের নিচে লিখে রাখে—

> "আমি জানি তুমি আমায় দেখতে পাচ্ছো না,
কিন্তু আমি আঁকছি…
যাতে একদিন তুমি নিজেই নিজের ছায়া দেখে ভয় পাও।"

---

[চলবে]

💖💖
06/24/2025

💖💖

 #চোখ_যে_কথা_বলে_নাপর্ব ২: ডায়েরির পাতায় আঁকা মুখ---নীল আজ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছে কলেজের ক্যান্টিনের এক কোণে।সা...
06/24/2025

#চোখ_যে_কথা_বলে_না
পর্ব ২: ডায়েরির পাতায় আঁকা মুখ

---

নীল আজ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছে কলেজের ক্যান্টিনের এক কোণে।
সামনের চা ঠান্ডা হয়ে গেছে,
তার চোখ বারবার চলে যাচ্ছে গেটের দিকে।
আরু আসার কথা ছিল।

তিনদিন ধরে সে আসেনি ক্লাসে।
ফোন নম্বর কলেজের ফর্মে থাকলেও—অফ।
ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক সবই ঘর খালি।

নীলের বুকের ভেতর একটা চিনচিনে অনুভব জমে উঠছে।

আরু কি কোথাও পালিয়েছে?

না কি…

না, সে ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে।
কিন্তু উদ্বেগ তাকে ছাড়ে না।

সে উঠে পড়ে সিদ্ধান্ত নেয়—আরুর বাসায় যাবে।

---

আরু একবার বলেছিল—
"আমি রোড নম্বর ১১/বি’র এক ছাদঘরেই থাকি।
চুপচাপ, কারও আসা-যাওয়া নেই।"

নীল তখন খুব পাত্তা দেয়নি কথাটাকে।
ভেবেছিল, মেয়ে একটু রহস্যজট মেখে চলতেই ভালোবাসে।

কিন্তু আজ সেই কথাই পথ দেখাচ্ছে তাকে।

---

ভরদুপুর।
রোড ১১/বি, পুরোনো একটা দোতলা বাড়ি।

নীল কলিং বেল বাজায়।

উপর থেকে একজন বৃদ্ধা উঁকি দেন।
নীল বলেন,
"আমি আরুর বন্ধু। ওকে খুঁজছি। তিন দিন কলেজে আসছে না।"

বৃদ্ধা মুখ ভার করে বলেন—
"মা, ও মেয়ে তো একরকম চলে গেছে।
রুম ভাড়া নিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ঠিকমতো কিছু বলেও গেল না।
কাল সকালে দেখি দরজা খোলা।
তাড়াহুড়ো করে চলে গেছে বুঝলাম।
তুমি চাইলে ঘরে একবার দেখে নিতে পারো।"

নীল চমকে ওঠে।

চলে গেছে?
কোথায়? কেন? কাকে ভয় পেয়ে?

সে ওপরে ওঠে।

---

ঘরটা ছোট।
একটা জানালা, এক কোণে টেবিল, একটা বইয়ের তাক।
তিন চারটে কাগজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
তবে সবচেয়ে চোখে পড়ে একটা পুরনো রঙচটে যাওয়া স্কেচবুক।

নীল সেটা তুলে নেয়।
ভেতরের পাতাগুলো উল্টাতে উল্টাতে বুক ধীরে ধীরে হিম হয়ে আসে।

প্রথম পাতায় একটা চেহারা আঁকা—
মেয়েটি আরু।

কিন্তু চোখে একটা আতঙ্ক।

নিচে ছোট করে লেখা:

> "যখন কেউ তোমার ভালোবাসাকে পণ করে তোলে,
তখন পালানোই বাঁচার উপায় হয়।"

---

দ্বিতীয় পাতায় একটা ছেলের মুখ।
অর্ধেক অন্ধকারে ঢাকা।

আরও পাতায় একটার পর একটা মুখ, চোখ, হাতের রেখা—
সব মিলিয়ে যেন একটি থ্রিলার সিনেমার ফ্রেম ফ্রেম গল্প।

কিন্তু এক পাতায় থেমে যায় তার হাত।

একটা মুখ আঁকা—পুরুষের।

চোখে হালকা কাটা দাগ।

নিচে লেখা—

> “ও যদি আমায় খুঁজে পায়, আমি বাঁচব না।”

নীলের গলা শুকিয়ে আসে।

তার মাথায় ঘুরতে থাকে সেই সন্ধ্যার কথা—
যখন লাইব্রেরির পেছনে দুই অচেনা লোক ফিসফিস করছিল আরুকে নিয়ে।

তাদের মধ্যে একজনের চোখে দাগ ছিল?

সে নিশ্চিত না,
তবে আজ আরু আর নেই।

---

নীল পুরো স্কেচবুক পড়ে।
শেষ পাতায় ছোট করে একটিই বাক্য—

> “নীল, আমি জানি তুমি এই ডায়েরি পাবে।
তুমি আমাকে খুঁজতে চাইবে,
কিন্তু প্লিজ, চোখের ভাষার বাইরেও কিছু বোঝার চেষ্টা করো।
আমি যেখানেই যাই, তোমার ছবির মাঝে থাকব।
আমাকে আঁকো না—
আমায় বোঝার চেষ্টা করো।”

নীলের গায়ে কাঁটা দেয়।

আরু জানত সে একদিন এটাই খুঁজবে।

কিন্তু কী বোঝাতে চাইছিল সে?

কি এমন আছে তার অতীতে,
যা তাকে আজও তাড়া করে বেড়াচ্ছে?

আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—
সে কি নীলকে সত্যিই ভালোবেসেছিল,
নাকি শুধু একজন "নিরাপদ আশ্রয়" বানিয়ে রেখেছিল?

---

ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নীল চোখের কোণে একটা ছোট্ট লাল খাম দেখে।

তাতে তার নাম লেখা—“নীল”

সে হাত কাঁপিয়ে খামটা খোলে।

ভেতরে ছোট্ট একটা কাগজে লেখা:

> “আমি যদি বেঁচে থাকি,
তাহলে ফিরে আসব ঠিক…
কিন্তু তুমি যদি আগে আমাকে খুঁজে পাও,
তাহলে সাবধান থেকো…
কারণ আমি শুধু আরু নই,
আমি একটা গল্প—
যা কেউ শেষ হতে দেয় না।”

---

নীল জানে,
সে এবার থামবে না।

তার ভালোবাসা হয়তো সত্যি ছিল,
হয়তো মিথ্যে।
কিন্তু এই রহস্য, এই অসমাপ্ত কথা তাকে ডেকে চলেছে।

আর ভালোবাসা যদি সত্যিই ছিল—
তাহলে সে চোখের ভাষার বাইরেও আরুকে খুঁজে পাবে।
ছবির ভেতর, শব্দের নিচে, ভয় আর ভালোবাসার মাঝখানে।

---

[চলবে]

06/23/2025

Address

Whistler, BC

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tiktok fun posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share