Voice of Gen Z

Voice of Gen Z Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Voice of Gen Z, Video Creator, Feni, Barisal.

উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদ বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। একাধিক দাঙ্গায় হাজার হাজার মুসলিম নি...
14/08/2025

উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদ বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। একাধিক দাঙ্গায় হাজার হাজার মুসলিম নিহত হয়৷

এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯০৫ সালে খাজা সলিমুল্লাহের নেতৃত্বে ঢাকায় জন্ম হয় নিখিল ভারতীয় মুসলিম লীগের। উগ্রবাদী হিন্দুদের নৃশংসতা দেখে আল্লামা ইকবাল বলেন,

❝ উপমহাদেশের মুসলিমদের টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন আলাদা দেশের, দেশের সম্ভব্য নাম হবে পবিত্রদের ভূমি:পাকিস্তান।

কিন্তু এরপরেও পাকিস্তান আন্দোলন হালে পানি পাচ্ছিলো না কারন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ক্যারিশমাটিক নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ কংগ্রেসের সদস্য, হিন্দু-মুসলমান মৈত্রীর পোস্টার।

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারতের অখন্ডতা রক্ষার সবচেয়ে কার্যকর প্রস্তাব দেন। তিনি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মত ভারতকে একটা ফেডারেল স্টেট করার প্রস্তাব দেন। মোট প্রদেশ হবে ৫ টি এরমধ্যে ৩ টি থাকবে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ আর ২ টিতে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ। শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ মন্ত্রণালয় থাকবে কেন্দ্রের অধীনে বাকী সব কিছু থাকবে প্রাদেশিক সরকারের অধীনে। দেশের নাম হবে ইউনাইটেড স্টেটস অব ইন্ডিয়া বা ভারত যুক্তরাষ্ট্র।

কংগ্রেস এই প্রস্তাব না মেনে উল্টো জিন্নাহকে প্রলোভন দেখায় তাকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে, তিনি হবেন পৃথিবীর বৃহত্তম গনতান্ত্রিক দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তিনি সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। দেরিতে হলেও বুঝতে পারেন হিন্দুত্ববাদীরা চায় 'অখন্ড ভারত' তত্ত্বের আলোকে ইংরেজদের রেখে যাওয়া সাম্রাজ্যের নতুন সম্রাট হতে।

জিন্নাহ এবার রুখে দাঁড়ালেন। যোগ দেন মুসলিম লীগে। মুসলিম লীগ যেন যৌবন পায়। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম লেখেন,

❝ মুসলিম লীগের আন্দোলন যেরূপ গদাই-লস্করী চালে চলছিল, তাতে আমি আমার অন্তরে কোন বিপুল সম্ভাবনার আশার আলোক দেখতে পাইনি। হঠাৎ লীগ নেতা কায়েদে আজম যেদিন পাকিস্তানের কথা তুলে হুংকার দিয়ে উঠলেন -“আমরা ব্রিটিশ ও হিন্দু ফ্রন্টে ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করব” সেদিন আমি উল্লাসে চীৎকার করে বলেছিলাম –হাঁ, এতোদিনে একজন ‘সিপাহসালার’ সেনাপতি এলেন। আমার তেজের তলোয়ার তখন ঝলমল করে উঠলো। ❞

বিস্তারিত কমেন্ট

১৯৪৭ সালের আগস্টের এই দিনে দুই শতাব্দীর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে। এটি ছিল লাখো শহীদ, আন্দোলনকারী, কৃষক, শ্রমিক...
14/08/2025

১৯৪৭ সালের আগস্টের এই দিনে দুই শতাব্দীর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে। এটি ছিল লাখো শহীদ, আন্দোলনকারী, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও রাজনীতিকের দীর্ঘ সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ফসল।

ব্রিটিশ আমলে পূর্ব বাংলার মুসলমান কৃষক সমাজ শুধু বিদেশি শাসকের শোষণেই পিষ্ট হয়নি, তাদের ঘাড়ে চেপে বসেছিল জমিদার প্রথা। অধিকাংশ জমিদার ছিলেন উচ্চবর্ণ হিন্দু, যারা ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়ে প্রজাদের কাছ থেকে নির্মমভাবে খাজনা আদায় করত। জমি হারানো, জোরপূর্বক উচ্ছেদ, দেনার ফাঁদে ফেলে আজীবন দাসে পরিণত করা এসবই ছিল নিত্যদিনের চিত্র। মুসলমান কৃষক ও নিম্নবর্গের হিন্দুরা সমানভাবে এই শোষণের শিকার হয়েছিল।

স্বাধীনতার সাথে সাথে পূর্ব বাংলায় জমিদার প্রথার অবসান ঘটে যা কৃষক ও প্রজাদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুক্তি। শত বছরের খাজনা ও সামাজিক বৈষম্যের শৃঙ্খল ভেঙে তারা ফিরে পায় নিজের জমি ও মর্যাদা।

মুসলমান কৃষক ও নিম্নবর্গের হিন্দুদের জন্য পাকিস্তানের জন্ম ছিল আত্মপরিচয়, নিরাপত্তা ও মর্যাদার নতুন ঠিকানা। মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, লিয়াকত আলী খান, খাজা নাজিমুদ্দিন, শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক, আল্লামা ইকবালসহ বহু নেতার ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তব রূপ পায়।

১৯৪৭ ছিল এমন এক মুহূর্ত, যখন ভিন্ন অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা নিয়েও মানুষ একসাথে “আজাদী”র পতাকা তুলেছিল। এই মুক্তি ছিল আশা, সাহস ও আত্মত্যাগের মিলিত জয়গান যা আজও আমাদের ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়।

আমাদের মনে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, কী ভাববে সস্তা ফল নিয়ে রোগী দেখতে গেলে? অথচ পুষ্টিগুণে আপেলের চেয়ে শ্রেয় হলো পেয়ারা।
13/08/2025

আমাদের মনে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, কী ভাববে সস্তা ফল নিয়ে রোগী দেখতে গেলে? অথচ পুষ্টিগুণে আপেলের চেয়ে শ্রেয় হলো পেয়ারা।

খাবার হজম হতে কত সময় লাগে এবং কখন খাওয়া ভালো:পানি সঙ্গে সঙ্গেই শোষিত হয় (০–১০ মিনিট)। খালি পেটে সকালে পানি খাওয়া সবচ...
12/08/2025

খাবার হজম হতে কত সময় লাগে এবং কখন খাওয়া ভালো:

পানি সঙ্গে সঙ্গেই শোষিত হয় (০–১০ মিনিট)। খালি পেটে সকালে পানি খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।

জলসমৃদ্ধ ফল (তরমুজ, বাঙ্গি, আঙুর) ২০–৩০ মিনিটে হজম হয়। খালি পেটে বা খাবারের মাঝে খান।

অম্লীয় ফল (কমলা, আনারস, কিউই) ৩০–৪০ মিনিটে হজম হয়। সকালে বা স্ন্যাক্স টাইমে ভালো, তবে খাবারের পরপর খেলে গ্যাস হতে পারে।

আপেল, নাশপাতি, পেঁপে ৪০–৫০ মিনিটে হজম হয়। খালি পেটে বা খাবারের মাঝে খেলে ভালো।

কাঁচা শাকসবজি (শসা, গাজর, সালাদ) ৩০–৪০ মিনিটে হজম হয়। দুপুর বা রাতের খাবারের আগে খেলে উপকারি।

রান্না করা সবজি ৪০–৫০ মিনিট লাগে। দুপুর বা রাতে খাওয়া যায়।

ভাত, রুটি, আলু প্রায় ১.৫–২ ঘণ্টা লাগে। দুপুর বা রাতে ভালো।

ডাল, ছোলা, সয়াবিন ২–৩ ঘণ্টা লাগে। দুপুর বা বিকেলের দিকে খেলে হজম সহজ হয়।

দুধ ও দই ৩-৪ ঘণ্টা লাগে। সকালে বা রাতে খাওয়া ভালো।

সেদ্ধ ডিম ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট লাগে, ভাজা ডিমে সময় বেশি লাগে। সকাল বা দুপুরে ভালো।

মাছ ১ ঘণ্টায় হজম হয়। দুপুর বা রাতে উপযোগী।

মুরগি ২-৩ ঘণ্টা লাগে। দুপুর বা রাতে ভালো।

গরু/খাসি মাংস ৩–৪ ঘণ্টা লাগে। দুপুরে খাওয়া উত্তম, রাতে খেলে হজম ধীর হয়।

বাদাম ও বীজ ২–৩ ঘণ্টা লাগে। সকালে বা বিকেলে স্ন্যাক্স হিসেবে ভালো।

ফাস্টফুড ও তেলেভাজা ৩–৪+ ঘণ্টা লাগে। যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

টিপস:
ফল সবসময় খালি পেটে বা খাবারের অন্তত ১ ঘণ্টা আগে খান।
দুপুরে ভারী খাবার, রাতে হালকা খাবার রাখুন।
পানি খাবারের ঠিক আগে বা ৩০ মিনিট পরে পান করুন।

গা*জার আল-জাজিরার সবচেয়ে বিখ্যাত সাংবাদিক, প্রায় প্রতিটি ফিলি*স্তিনির কাছেই পরিচিত এবং যু*দ্ধ সাংবাদিকতার প্রতীক, আনাস ...
11/08/2025

গা*জার আল-জাজিরার সবচেয়ে বিখ্যাত সাংবাদিক, প্রায় প্রতিটি ফিলি*স্তিনির কাছেই পরিচিত এবং যু*দ্ধ সাংবাদিকতার প্রতীক, আনাস আল-শরিফ গা*জার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে একটি তাঁবুতে ইস*রায়েলি বিমান হাম*লায় নিহত হয়েছেন, সাথে অন্তত তার আরো ৫জন সহকর্মী নিহত হয়েছেন।

পৃথিবীর সবচেয়ে কু*খ্যাত এ স*ন্ত্রাসী রাষ্ট্রের কাছে এই হত্যার জবাব চাইবে কে??

গাজা দখলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, সৈন্যদের যুদ্ধে না যাওয়ার আহ্বান" বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছ...
10/08/2025

গাজা দখলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, সৈন্যদের যুদ্ধে না যাওয়ার আহ্বান" বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ।

নিউজ: আল জাজিরা / রয়টার্স

ছবিতে আমরা দুটো 12.7×99 মিলিমিটার ন্যাটো রাউন্ড দেখতে পাচ্ছি, যাকে আমরা 50 cal বা 50 BMGও বলে থাকি। আলোচনার স্বার্থে আমর...
10/08/2025

ছবিতে আমরা দুটো 12.7×99 মিলিমিটার ন্যাটো রাউন্ড দেখতে পাচ্ছি, যাকে আমরা 50 cal বা 50 BMGও বলে থাকি। আলোচনার স্বার্থে আমরা 50 cal টার্মটাই ব্যবহার করব।

--

50 cal একটি অ্যান্টি ম্যাটেরিয়াল রাউন্ড। এখন অ্যান্টি ম্যাটেরিয়াল রাউন্ড মানে কি? এই রাউন্ড মেশিনগানে ইউজ করে আপনি ট্যাংক বা বিমান ফেলতে পারবেন।

এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ফায়ারআর্ম ডিজাইনার জন ব্রাউনিং ১৯২১ সালে প্রথম 50 cal ডিজাইন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই রাউন্ডটিই মিত্রবাহিনীর অধিকাংশ ট্যাংক ও বিমানের মেশিনগানে ব্যবহৃত হয়।

বর্তমানে 50 cal ইউজ করা হয় প্রধানত তিনটি জায়গায়:

১. ট্যাংক মাউন্টেড মেশিনগান,

২. পদাতিক বাহিনীর মেশিনগান ও

৩. স্নাইপার রাউন্ড হিসেবে।

এছাড়াও কিছু দেশ হেলিকপ্টার মাউন্টেড মেশিনগান ব্যবহার করে, সেসব হেলিকপ্টারও মূলত 50 cal রাউন্ডই ব্যবহার করে।

--

এখন 50 cal শরীরের জন্য কতটা ভয়াবহ? চলুন, সেটা নিক আরভিং এর মুখ থেকেই শুনে আসি।

নিক আরভিং ছিলেন মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন স্নাইপার, যিনি ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

তিনি জানিয়েছেন, একজন মানুষকে টার্গেট করে যদি 50 cal রাউন্ড ছোঁড়া হয়-

১. যদি বুলেটটা আপনাকে মিস করে ২ ফুটের জন্য, তাতেও এর গতিশক্তির কারনে আপনার একটা হাত বা পা উড়ে যেতে পারে।

২. আর যদি শরীরে লাগে, পুরো শরীরটা জেলীর মত উড়ে যাবে।

নিক আরভিং একটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছিলেন, যেখানে তার মেশিনগানার 50 cal দিয়ে একজন শত্রুকে হত্যা করেছিলেন।

ঐ শত্রুর পা দুটোই শুধু অবশিষ্ট ছিল, বাকি পুরো শরীর- মাথা থেকে শুরু কর কোমরের নিচ পর্যন্ত- পুরোটা উড়ে গেছিল।

এবং এরকম ভয়ংকর ঘটনার জন্য মাত্র একটা রাউন্ডই যথেষ্ট ছিল।

--

তো বুঝতেই পারছেন, 50 cal মূলত সামরিক বাহিনীর জন্য তৈরীকৃত রাউন্ড। আমেরিকা ও কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশে SWAT এর জন্যও এই রাউন্ডটি ব্যবহৃত হয়।

কিন্তু সেটা SWAT এর জন্য, যাদের মূল কাজ হল বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হলে (যেমন আমাদের হলি আর্টিজান কিংবা ভারতের তাজ হোটেলের সন্ত্রাসী হামলা) সেই সন্ত্রাসীদেরকে নিউট্রালাইজ করা।

--

আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোন দেশের পুলিশ বাহিনীর অ-বিশেষায়িত ইউনিটের জন্য 50 cal কেনা হয়নি।

একটি দেশ বাদে।

দেশটির নাম-

সারপ্রাইজ সারপ্রাইজ-

বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশের অ-বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর জন্য 50 cal কেনা হয়ে

06/08/2025

মোদির বন্ধু ডোলান ট্রাম্প একটু আগে ভারতের উপ্রে আরও ২৫% শুল্ক দিছে!

২০১৮ সালের ২৬মে, কক্সবাজার (ফোন রিং এর শব্দ)-হ্যালো-আব্বু তুমি কোথায়?- আমি এই যে, ঐযে ইউ(টি)এনও অফিসে যাচ্ছি তো, চলে আসব...
06/08/2025

২০১৮ সালের ২৬মে, কক্সবাজার

(ফোন রিং এর শব্দ)

-হ্যালো
-আব্বু তুমি কোথায়?
- আমি এই যে, ঐযে ইউ(টি)এনও অফিসে যাচ্ছি তো, চলে আসবো আম্মু।
- কতক্ষণ লাগবে?
- এইতো, বেশিক্ষণ লাগবে না। আমি চলে আসবো, ইনশাল্লাহ...ঠিকাছে? ঘুমাও... (নিঃশব্দতা)

(ফোন রিং এর শব্দ)

- হ্যালো আব্বু, আব্বু?
- হ্যালো আম্মু, আমি নীলা যাচ্ছি, নীলা।
- ক্যানো?
- যাচ্ছি, জরুরী কাজে যাচ্ছি (অসহায়, ভয়ার্ত কন্ঠ), যাচ্ছি আম্মু, গাড়িতে আছি তো।
- আব্বু তুমি কান্না করছো যে?
- (তয় ব্যাক্তি) হ্যালো হ্যালো...
(ফোন কেটে যায়)

(ফোন রিং এর শব্দ)

আল্লাহ আমার মোবাইলটা ধরে... আল্লাহ আমাকে একবার কথা বলতে দাও খোদা... ইয়া আল্লাহ...

ফোন রিসভড হয়, বাতাসের শব্দ। এ পাশ থেকে হ্যালো হ্যালো কে বলতে থাকেন একজন। ওপাশ থেকে অনেক ধরনের শব্দ।

হঠাৎ দুই-তিন ব্যাক্তির কথা শোনা যায়। এপাশ থেকে একজন মহিলা অনবরত চিৎকার করছেন।

আবারো কিছু অপষ্ট কথা, তুমি জড়িত? 'জ্বি'... অপষ্ট কথা...'নাহ' অপষ্ট কথা।

ব***ন্দু***ক লোডের শব্দ, সাথে সাথে ফা***য়া***র। একজন ব্যাক্তি কুকিয়ে উঠেন, গু*বিদ্ধ হয়ে আর্তনাদ। আবার গুলি।
ফোনের এপাশ থেকে স্ত্রী, সন্তানের কান্না।

এরপর হুইসেল এর শব্দ, অকাথ্য ভাষায় কথা', ধর ওরে ধর...। সেই ব****ন্দুকযু**দ্ধের নাটকের শেষ অংশ।

একপাশে স্ত্রী, সন্তানের তখনও অসহায় ডাক। আর নাটকের বাকি অংশ তখনো চলছে,
ফোনের রেকর্ডে নাটকের স্ক্রিপট পুরোটা রেকর্ড হয়ে যায়। আমরা শুনতে পাই আরো একটা 'বন্দুকযুদ্ধ' এর গল্প।

বলছিলাম টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হক কে বিদায় করে দেওয়ার কথা। ঠান্ডা মাথায় কিভাবে 'ব**ন্দুকযু**দ্ধ' সাজানো হয় তার একটা উদাহরন ছিলো এই ফোন রেকর্ডিং। একজনকে ডেকে নিয়ে যেয়ে কিভাবে শেষ করা হয় তার প্রমান হিসেবে সামনে আসে একরামের মৃ****ত্যু*****র ঘটনা।

রেকর্ডিং এর শেষ অংশে স্ত্রীকে বলতে শোনা যায় "নাহ আম্মু তোমার আব্বু ফিরে আসবে"।

কিন্তু একরাম ততক্ষণে চলে গেছেন অনেক দূরে।

লেখা : ফাইয়াজ ইফতি

আড়াই বছর পর দেশে ফেরার আনন্দে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’— লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ওমান প্রবাসী মো. বাহা...
06/08/2025

আড়াই বছর পর দেশে ফেরার আনন্দে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’— লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ওমান প্রবাসী মো. বাহার উদ্দিন। তাকে বিমানবন্দরে আনতে যান তার স্ত্রী কবিতা, মেয়ে মীম, মা মুরশিদা বেগমসহ স্বজনেরা। কিন্তু বাহার দেশে ফিরলেও মুহূর্তেই তার স্বপ্ন রুপ নিয়েছে ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্নে। পথে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি খালে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাহারের মা-স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সাতজন।

বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর এলাকায় চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার কাশারি বাড়ির ওমান প্রবাসী মো. বাহার উদ্দিনের স্ত্রী কবিতা আক্তার (২৪), মেয়ে মীম আক্তার (২), মা মুরশিদা বেগম (৫০), নানী ফয়জুন নেছা (৭০), ভাতিজি রেশমা আক্তার (৯), লামিয়া আক্তার (৮) এবং বড় ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৫)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহাদাত হোসেন ফাহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোর ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ দ্রুত গতিতে মাইক্রোবাসটি খালের পানিতে নেমে যায়। এরপরই চালক খালের পানি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। বাহার উদ্দিনসহ পাঁচজন গ্লাস ভেঙে বের হয়ে আসতে পারলেও বাকি সাতজন গাড়ির ভেতরে আটকা পড়ে। তারা প্রায় দুই ঘণ্টা পানির নিচে ছিল। আমরা ফায়ার সার্ভিসের কাছে ডুবুরি চাইলে তারা জানায়, এখানে ডুবুরি নেই। বেগমগঞ্জ ও মাইজদী থেকে দুটি ইউনিট এলেও হাইওয়ে পুলিশের রেকার দিয়ে গাড়িটি ওঠানোর পর মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

বাহার উদ্দিনের আত্মীয় মো. সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কীভাবে এ শোক সহ্য করব জানি না। পুরো পরিবারটা শেষ। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। চালকসহ গাড়িটিতে মোট ১৩ জন ছিল। চালক পালিয়ে গেলেও গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। মরদেহগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের মাইজদী ও চৌমুহনী স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালিয়েছে। তারা ডুবুরি চেয়েছিল, কিন্তু আমাদের নিজস্ব ডুবুরি নেই। আমরা চাঁদপুর থেকে ডুবুরি দল আনলেও তার আগেই উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে যায়।

আড়াই বছর পর দেশে ফেরার আনন্দে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’— লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ওমান প্রবাসী মো. বাহা...
06/08/2025

আড়াই বছর পর দেশে ফেরার আনন্দে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’— লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ওমান প্রবাসী মো. বাহার উদ্দিন। তাকে বিমানবন্দরে আনতে যান তার স্ত্রী কবিতা, মেয়ে মীম, মা মুরশিদা বেগমসহ স্বজনেরা। কিন্তু বাহার দেশে ফিরলেও মুহূর্তেই তার স্বপ্ন রুপ নিয়েছে ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্নে। পথে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি খালে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাহারের মা-স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সাতজন।

বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর এলাকায় চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার কাশারি বাড়ির ওমান প্রবাসী মো. বাহার উদ্দিনের স্ত্রী কবিতা আক্তার (২৪), মেয়ে মীম আক্তার (২), মা মুরশিদা বেগম (৫০), নানী ফয়জুন নেছা (৭০), ভাতিজি রেশমা আক্তার (৯), লামিয়া আক্তার (৮) এবং বড় ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৫)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহাদাত হোসেন ফাহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোর ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ দ্রুত গতিতে মাইক্রোবাসটি খালের পানিতে নেমে যায়। এরপরই চালক খালের পানি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। বাহার উদ্দিনসহ পাঁচজন গ্লাস ভেঙে বের হয়ে আসতে পারলেও বাকি সাতজন গাড়ির ভেতরে আটকা পড়ে। তারা প্রায় দুই ঘণ্টা পানির নিচে ছিল। আমরা ফায়ার সার্ভিসের কাছে ডুবুরি চাইলে তারা জানায়, এখানে ডুবুরি নেই। বেগমগঞ্জ ও মাইজদী থেকে দুটি ইউনিট এলেও হাইওয়ে পুলিশের রেকার দিয়ে গাড়িটি ওঠানোর পর মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

বাহার উদ্দিনের আত্মীয় মো. সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কীভাবে এ শোক সহ্য করব জানি না। পুরো পরিবারটা শেষ। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। চালকসহ গাড়িটিতে মোট ১৩ জন ছিল। চালক পালিয়ে গেলেও গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। মরদেহগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের মাইজদী ও চৌমুহনী স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালিয়েছে। তারা ডুবুরি চেয়েছিল, কিন্তু আমাদের নিজস্ব ডুবুরি নেই। আমরা চাঁদপুর থেকে ডুবুরি দল আনলেও তার আগেই উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে যায়।

06/08/2025

ওমান প্রবাসী তিনবছর পর দেশে ফিরছিলেন। তাকে স্বাগত জানাতে লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা গিয়েছিলেন তার পরিবারের লোকজন। কিন্তু ফেরত আসার সময় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাইক্রোবাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে গেলে ৭ জন নিহত হন। বুধবার (৬ আগস্ট) এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রবাসী বাহার উদ্দীনের বাবা আব্দুর রহীম সময় সংবাদকে বলেন, ‘ড্রাইভার বারবার ঝিমাচ্ছিল। আমরা কয়েকবারই বলেছি, তুমি গাড়ি দাঁড় করিয়ে প্রয়োজনে ঘুমাও। সে বলে যে, না সমস্যা নেই; যাইতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘যাইতে পারব বলার পর রাস্তায় কয়েকবার এমন হয়েছে যে ঘুমাতে ঘুমাতে আবার ঝটকা দিয়ে সজাগ হতো। চৌমুহনী আসার পরও আমরা বলেছি তুমি দরকার হলে কতক্ষণ ঘুমিয়ে নাও। আমাদের এভাবে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ তোমার চোখে ঘুম বেশি। এভাবে বাংলাবাজার আসার পরও আমরা তাকে ঘুমাতে বলি। এরপর হঠাৎ ঘুম থেকে ঝটকা দিয়ে উঠে সে গাড়ি পাশের খালে ফেলে দেয়।

Address

Feni
Barisāl

Telephone

+966576085976

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Voice of Gen Z posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Voice of Gen Z:

Share

Category