
16/06/2025
আমাদের দেশের মানুষের চরিত্র খারাপ, এরা চায় হান্নান মাসুদরা, সার্জিস আলমরা দুর্নীতি করলেও যাতে নিরলস ভাবে ওদেরকে সমর্থন দিয়ে যাই। তাইলে আওয়ামী লীগ আর নতুন বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য কি হইল? স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ২০০০ মানুষ মারলেও আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে নিরলস ভাবে সমর্থন দিয়ে গেছে। যেমন সালাউদ্দিন এবং প্রস্রাব দুদু, তারা যখন বেশি বেড়ে গেছিল, তখন তাদের বিরুদ্ধেও সমানভাবে সমালোচনা করে গেছি।
সবাই বলতেছে, হান্নান মাসুদরা, সার্জিস আলমরা নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে, তাই তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। আপনাদেরকে একটা কথা স্পষ্ট করে বলি, এই সার্জিস আলমের জায়গায় যদি অন্য কোন আলোমেও নেতৃত্ব দিত, শেখ হাসিনার পালাতে হতোই কারণ শেখ হাসিনার ১৭ বছরে মানুষকে অতিষ্ঠ করে ফেলেছিল। সার্জিস আলমদের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ আমরা পাওয়ায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই; তার মানে এই নয় হান্নান মাসুদরা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আমলের মতো যা ইচ্ছা করবে, আমরা তাদের সমালোচনা করব না।
ঠিক সেইভাবে হাসনাত আব্দুল্লাহরা যখন দেশের জন্য কাজ করবে, তখন তাদেরকে নিরলস ভাবে সমর্থন দিয়ে যাব। আপনারা মানেন বা না মানেন, সার্জিস আলম এবং হান্নান মাসুদরা যে চুদুরবুদু শুরু করেছিল, যেমন তাদের সচিবালয়ে এবং পোর্টে আনাগোনা, তার জন্যই বিএনপি এবং অন্যান্য দলের নেতারা কথা বলার সুযোগ পেয়েছে; এর জন্যই ইউনুস সরকার দুর্বল সরকারে পরিণত হয়েছে।
বিপ্লবীরা যখন চরিত্র ঠিক রাখতে পারেনা, দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে যায়, তখন বিপ্লবীদের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায়। এখন দেখেন তো সার্ভিস আলম এবং হান্নান মাসুদদের কথার কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা আছে, আর হাসনাত আব্দুল্লাহ দুর্নীতি এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকার কারণে তার কথার গ্রহণযোগ্যতা টা কতদূর। কিন্তু ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে আমরা সবাইকে কিন্তু সমানভাবে মূল্যায়ন করতাম।
চুদু বাঙালি এখনো বুঝতে পারেনি ইউনুস সরকার তাদের কারণে কতটুকু দুর্বল হয়ে গেছে। বিপ্লবীরা ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে বিয়ে করার একটা হিরিক লাগিয়ে দিয়েছে। বিয়ে একটি ফরজ কাজ, তা নিয়ে কিছু বলা উচিত হবে না, কিন্তু ৫ আগস্টের আগে তথাকথিত বিপ্লবীরা যদি বিয়ে করতে চাইতো, তাদেরকে কোনো মেয়েই দিত না। মেয়ের বাড়ির লোকরাও জানে তারা এখন বড় নেতা হয়ে গেছে, তারা এখন বাংলাদেশে যেভাবে চাইবে দুর্নীতি করতে পারবে, তাদের অনেক টাকা হবে, তাদের কাছে মেয়ে দিলে সুখে থাকবে—এটাই মূল কথা।
আর ডক্টর ইউনুস স্যার এই সব কিছু দেখার পরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে লন্ডনে যেতে হবে, তারেক রহমানের শরণাপন্ন হতে হবে; এইসব তথাকথিত চুদুরবুদুর বিপ্লবীদেরকে দিয়ে তিনি আর বিশ্বাস পাচ্ছে না। তিনি এটাও বুঝে গেছে, যারা একসময় পাঁচ টাকা খরচ করতে ভাবনা চিন্তা করত, তারা এখন কোটি কোটি টাকার জন্য সচিবালয় এবং বন্দরে ঘুরাঘুরি করে।
উচিত কথা বলার কারণে বিএনপির দালাল বলে একটা গালি দিয়ে যান।
Go Sarwar Daily Analysis