23/06/2023
আড়াই কোটি টাকা খরচ করে
রবিবার সকাল সকাল ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে পড়লো শেহজাদা ও তার বাবা সূলেমান টাইটানের উদ্দেশ্যে। গন্তব্যস্থলে এসে মিলিত হলো আরো ৩ জনের সাথে। তারমধ্যে একজন পাইলট যিনি কিনা সাবমার্সিবলটি পরিচালনা করবেন। ওহ্ হ্যাঁ, তারা সবাই যাচ্ছে ইতিহাসের খোজে টাইটানিক দেখতে।
চালু করার পূর্বে সব ভালোভাবে চেক করে নিয়েছে পাইলট। ৯৬ ঘন্টার অক্সিজেন নিয়ে বেরিয়ে পড়লো ঔশনগেটের টাইটান সাবমার্সিবল।
কিন্তু বিপত্তি ঘটলো ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট পরেই। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলো টাইটানের। উপরের কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই ট্রাক করতে পারছিলেন না টাইটান'কে।
এভাবে হাজার ট্রাই করার পরে সবাই বেরিয়ে পড়লো টাইটানের খোজে। আমেরিকা, কানাডা সহ কিছু দেশ তাদের নেভি সহ আরো কিছু সংস্থা নিয়োগ করলো টাইটান খুজতে। দিন যতো যাচ্ছে,সময় ফুড়াচ্ছে সাথে অক্সিজেন ও।
এভাবে খুজতে খুজতে হঠাৎ বৃহস্পতিবার সকালে কিছু একটার শব্দ শুনতে পেলো সমুদ্রের গভীর থেকে। সেই শব্দ উদ্দেশ্য করে যাওয়া হলো।
প্রায় ১২০০০ ফুট গভীরে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে তার কিছুটা দূরেই টুকরো টুকরো টাইটানের দেখা মিললো।
বিজ্ঞানিদের ধারণা সমুদ্রের গভীরে পানির চাপ হাজারগুন বেশি হওয়ায় টাইটান বেশিক্ষণ চাপ সহ্য করতে পারেনি। অবশেষে দুমরে মুচড়ে গিয়েছে টাইটান।
না হদিস মিলেনি ৫ টি প্রাণের কারো। ধারণা করা হচ্ছে তারা মিশে গেছে আটলান্টিকের বুকে।
ইতিহাস খুজতে গিয়ে ইতিহাস হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা!