17/08/2025
ফেসবুক মূর্খ, ধর্মান্ধ এবং জ্ঞানপাপীতে ভরে গেছে। এরা না জানে ইতিহাস, না জানে সাহিত্য, না জানে দর্শণ। না করে লেখাপড়া, না শোনে ভালো কথা। শুধু অন্ধ ধারণা আর মিথ্যা প্রোপাগান্ডা নিয়ে বড় বড় লেকচার মারে!
একটা গোষ্ঠী বের হয়েছে, যারা আমাদের উদ্দেশে বলছে- এই তোমরা যারা শেখ মুজিবকে নিয়ে ১৫ আগস্টে এত বাড়াবাড়ি করছো তোমরা তো কর্নেল ওসমানী, জেনারেল জিয়া, খালেদ মোশাররফ, তাহের বা মাওলানা ভাসানী, সৈয়দ নজরুল- তাজ উদ্দিনকে নিয়ে এক লাইনও বলো না। মুক্তিযুদ্ধ কি শেখ মুজিবের একার সম্পত্তি? এর উত্তর দেয়া প্রয়োজন মনে করছি। জানি অন্ধজনে আলো দেয়া সহজ না, তবু চেষ্টা করি।
মুক্তিযুদ্ধ শেখ মুজিবের একার না। তবে হ্যা, মুক্তিযুদ্ধের মূল সংগঠক এবং প্রধান নেতা শেখ মুজিব। তাই পাকিস্তানিদের মূল টার্গেটও ছিলেন শেখ মুজিব, সেজন্যই তারা বারবার জেলে নিয়েছে শেখ মুজিবকেই। ৭০ এর নির্বাচনে জেতা আওয়ামী লীগের প্রধান নেতা শেখ মুজিব। তাঁর নামেই মানুষ ভোট দিয়েছে, তাঁকেই ভোট দেয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় জয় বাংলার পাশাপাশি স্লোগান ছিলো তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব। বিজয়ের পরে বাহাত্তরের জানুয়ারির স্লোগান ছিলো স্বাধীন বাংলার জাতির পিতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব। ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭১ এ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে তাঁর মুখের দিকেই তাকিয়ে থাকতো সাড়ে সাত কোটি মানুষ। তাঁর একটি আঙুলের ইশারায় পুরো জাতি উঠতো আর বসতো। তাঁর মতো করে কোনো জাতিকে এক্যবদ্ধ করতে পারার দৃষ্টান্ত পৃথিবীর ইতিহাসেই কম আছে।
তর্ক করতে গেলেও লেখাপড়া করতে হয়, আসল ইতিহাস জানতে হয়। না জেনে তর্কে করে মূর্খরা। আর জেনে শুনে সত্যকে অস্বীকার করে বা ভুল তত্ত্ব- তথ্য দেয় আসিফ নজরুলের মতো জ্ঞান পাপীরা।
মানুষের বাবা একজনই হয়, অন্যরা কেউ চাচা, কেউ মামা, কেউ খালু, কেউ ফুপা- তারা কেউ বাবা না। এই জাতির ক্ষেত্রেও বাবা একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শেষ কথা, ৮৬ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো আর্জেন্টিনা। সেই দলে ১১ জন খেলোয়াড় ছিলো, কোচ ছিলো, ম্যানেজার ছিলো, ফিজিও ছিলো, সাইড লাইনে আরো খেলোয়াড় ছিলো- কিন্তু সারা বিশ্বের সবাই বলে ৮৬র বিশ্বকাপ ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ। কারণ তিনি দলের সেরা খেলোয়াড়। ৭১ এর বঙ্গবন্ধু আমাদের সেই ৮৬র ম্যারাডোনা।
C-জয় -ই -মামুন