10/01/2023
ছেলেকে বিয়ে করাবে।
মেয়েপক্ষকে বলা হয়েছে, ছেলে ইউরোপে থাকে।
তারা এককথায় রাজি। মা পাত্রী দেখতে গেলেন।
সব ঠিকঠাক। ওঠার সময় মা জানতে চাইলেন,
আমার ছেলের সাথে সুদানে থাকতে কোনো আপত্তি নেই তো?
পাত্রী-পাত্রীর মা, পাত্রীর বড়বোন, পাত্রীর দাদী, নানী, চাচী, ফুফি
সবাই বিকট শব্দে আঁতকে উঠে বলল,
আগে বলা হল,
ছেলে ইউরোপে থাকে,
এখন বললেন সুদানে থাকে?
এই বিয়ে হবে না।
আমরা ‘সুদানি পোয়ার’ কাছে মেয়ে বিয়ে দেবো না। মেয়ে আরো তিনকাঠি সরেস।
সে বলল,
‘এমন প্রতারকের সাথে বিয়ে হওয়া থেকে আল্লাহ বাাঁচিয়েছেন।
মা খুবই রেগে গেলেন। অপমানিত হয়ে কনেবাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন। বাড়ির সামনের রাস্তায়, পাশের বাড়ির এক মহিলার সাথে দেখা। তিনি সব জানতে পেরে পাত্রের মায়ের কাছে এসে বললেন। এই মহল্লায় আরেকটা মেয়ে আছে। আপনারা যেমন মেয়ে চান, এই মেয়ে ঠিক এমন। সে স্বামীর সাথে সুদানে থাকতে আপত্তি করবে না। মেহেরবানি করে মেয়েটাকে একপলক দেখে যেতে পারেন। আপনার হয়তো ভাল লাগবে।
মা অনিচ্ছা সত্ত্বেও দেখতে গেলেন। ঘরদোর ভাঙাচোরা। কিন্তু মেয়েটা ভারি আদুরে। কথা ঠিকঠাক। অনলাইনে পাত্র-পাত্রীর সুন্নতি দেখাদেখির ব্যবস্থা হল। কথায় কথায় পাত্রী জানতে পারল, ছেলে সুদানে নয়, সুইডেনে থাকে। মেয়ে অবাক হয়ে জানতে চাইল,
আপনার আম্মা যে বললেন, আপনি সুদানে থাকেন?
-আম্মু সুইডেনকে সুদান মনে করেন। সহজসরল মানুষ, কয়েকবার ভুল সংশোধন করে দেয়ার পরও ঠিক হয়নি।
সংবাদ ছড়িয়ে পড়তে দেরি হল না। পাশের বাড়ির দীর্ঘশ্বাস দশ মাইল দূর থেকেও সবাই শোনা গেল।
Story:collected