15/12/2025
গালিকে তিনি বলেছেন ' মহাকাব্য '! পড়েছেন মাদ্রাসায় , পিতা মাদ্রাসার শিক্ষক। একজন মাদ্রাসার ছাত্র ও মাদ্রাসার শিক্ষকের সন্তান হয়ে হাদীর মুখে যত অশ্রাব্য গালিগালাজ এই জাতিকে শুনতে হয়েছে তাতে তার জামায়াত শিবির পরিচয় নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
জামায়াত শিবিরের কোচিং সেন্টার ' সাইফুর'স ' এর সাথে জড়িত ছিলেন হাদী। মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১- ১২ সনের শিক্ষার্থী ছিলেন।জুলাই -আগষ্টের আন্দোলনের পর হাদী নামটি যখন আলোচনায় আসে তখন সে আমার কাছে এক ' স্বশিক্ষিত বেয়াদব ' ছাড়া আর কিছুই নয়।
হোলি আর্টিজানে ২৯ জন নিরীহ মানুষকে হত্যাকারী ইসলামী ছাত্রশিবিরের জঙ্গী নিরবাস ইসলামের নাম আপনারা হয়তো ভুলে গেছেন। বাঙালির গোল্ড ফিশ মেমরি।হাদীর কুকর্মের ইতিহাস ভুলে যেতেও আপনাদের খুব সময় লাগেনি। জ-ঙ্গী নিরবাস নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলো।তার যোগাযোগ ছিল আইএস জঙ্গীদের সাথে। এমন জঙ্গীর জন্য আপনি কি মায়াকান্না করবেন?
ওসমান হাদী ইনকিলাব জিন্দালাশ মঞ্চের আহ্বায়ক ও একজন মানসিক সাইকো। মাঝে মাঝে তিনি নেক্রোফিলিয়া রোগীদের মতো হঠাৎ হঠাৎ লাফিয়ে উঠেন। মাদ্রাসার ছাত্রদের এসব পুরোনো অভ্যাস সম্পর্কে কমবেশ আপনারা সবাই জানেন। মস্তিষ্কের পারকিনসন রোগে ভোগা হাদি ৫ ই ফেব্রুয়ারি বাঙালির স্বাধীনতার আঁতুড়ঘর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভাঙার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
কসাই কাদের ও গো আযমের পক্ষে স্লোগান দিয়েছেন হাদি। কোন সুস্থ ও বিবেকবান মানুষ ত্রিশ লক্ষ শহীদের খুনী ও ৪ লক্ষাধিক মা ও বোনের ধর্ষকের পক্ষে স্লোগান দিতে পারে?
হাদী জন্মগতভাবেই মস্তিষ্কের চুলকানির রোগ সিজোফ্রেনিয়ার রোগী। নানাবিধ অপকর্মের কারণে হাদীর মস্তিষ্কে একটা ডিল্যুশন তৈরি হয়েছে যে, আওয়ামীলীগ তাকে হত্যা করতে পারে। আওয়ামীলীগ নিয়ে সে সবসময় হ্যালুসিনেশনে ভুগে। অসংলগ্ন চিন্তাভাবনা ও কথা বলে। তার অস্বাভাবিক আচরণ ও অঙ্গভঙ্গি ইতিমধ্যে দেশবাসীর নজরে পড়েছে। এমন মানসিক রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে নির্বাচনের মূলা নাটকের খোলাবাজারে ছেড়ে দেওয়া কেন?
হাদী যে আসনে নির্বাচন করছে তার বিপরীতে আছে মীর্জা আব্বাস ও শিবিরের জঙ্গী সাদিক কায়েম। মীর্জা আব্বাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নব্বইয়ের দশক থেকে এই দেশের মানুষ জানে। বিএনপি নেতা মীর্জা আব্বাসকে ঢাকার আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলা হয়। অপরদিকে শিবিরের জঙ্গি সাদিক কায়েম জুলাই আগষ্টের রাষ্ট্রের ৮৪ হাজার কোটি টাকা সম্পত্তি ধ্বংস করার খুলনায়ক।কাপড়ের দোকানদারের ছেলে সাদিক কায়েম ঢাকা- ৮ আসনের মতো রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নির্বাচন করার তার আয়ের উৎস কোথায়? একইভাবে একটি মাদ্রাসা শিক্ষকের ছেলে ওসমান হাদীর নির্বাচন করার আয়ের উৎস কোথায় ? এরা দু'জনেই মূলত জুলাই আগস্ট চাঁদাবাজির মাধ্যমে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে।
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, " এক কুকুর আরেক কুকুরের খাওন দেখতে পারে না '। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জামায়াত শিবির হচ্ছে একটি প্রশিক্ষিত জ-ঙ্গী সংগঠন। আলকায়েদা , আইসিস , লস্কর ই তৈয়বা ও জঈশ- ঈ- মুহম্মদ এর মতো জ-ঙ্গী সংগঠন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি সংগঠনের নাম ইসলামী ছাত্রশিবির।বেশ কিছুদিন ধরেই বিএনপি নেতা মীর্জা আব্বাস ও হাদীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। রাজনীতিতে ঢাকা- ৮ আসনের এমপি হতে এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন শিবিরের সাদিক কায়েম। রাজনীতির এই ডার্ক সাইকোলজি কাজে লাগিয়েছে শিবিরের প্রাথী সাদিক কায়েম। হঠাৎ সাদিক কায়েমের হেলিকপ্টার ও দামী গাড়ির বহর রাজনীতিতে নতুন সব আলোচনার জন্ম দিয়েছে। খাওন পায় না কুত্তা যখন হেলিকপ্টারে উড়ে তখন মানুষের মনে প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক।
ঢাকা - ৮ আসনে রিকশা চালক সুজনকে মনোনয়ন দিয়ে এনসিপি একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছিলো। ওসমান হাদীকে গুলি করার মাধ্যমে তার দায় আওয়ামীলীগের উপর চাপিয়ে দিয়ে ষড়যন্ত্রের আরেক নতুন নাটক সৃষ্টি হলো রাজনীতিতে। এই কন্সপিরেন্সি থিওরির জনক আর মেটিউকুলাস ডিজাইনের জনক একজন। একটু সহজ করে বলি। ইনকিলাব মঞ্চকে এই দেশের মানুষ ' পিউবিক হেয়ার ' ছাড়া আর কিছুই ভাবে না।ঢাকা -৮ এ নির্বাচিত হওয়ার কোন চান্সই নেই হাদীর।জামানত বাজেয়াপ্ত হবে এমন মানুষকে গুলি করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার মত আহম্মক মীর্জা আব্বাস নন। বরং হাদী গুলিবিদ্ধ হলে তা মির্জা আব্বাস ও আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে প্রচার করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টার একটি সতর্ক সংকেত তৈরি করে মেটিকুলাস ডিজাইনের কারিগরদের ১৬ আনাই লাভ।হাদি এমপি হওয়া তো দূর , কোন ওয়ার্ডের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও তার নাই। মীর্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিততে যে পরিমাণ ক্যাপাবিলিটির দরকার, তার ধারেকাছেও নেই হাদী। তাকে গুলি করা আর মশা মারা সমান কথা। এমন ভুল করার প্রশ্নই আসে না মীর্জা আব্বাসের।হাদীর গুলিবিদ্ধ হওয়া থেকে লাভবান হয়েছে শিবিরের প্রার্থী সাদিক কায়েম।যার প্রমাণ হচ্ছে, হাসপাতালে অসুস্থ হাদীকে দেখতে গেলে মীর্জা আব্বাসকে শিবিরের কর্মীদের হেনস্তা।
সাংবাদিক জুলকারনাইন খুব ভালো গল্প লিখতে পারেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আল জাজিরা ইনভেস্টিগেটস ও বুদাপেস্টে হারিস আহমেদের ব্যাবসায়িক পার্টনার জুলকারনাইন" All the Prime minister's Men" নাটকের রচয়িতা।তসনিম খলিলের সাথে মিলে আমেরিকার এই এজেন্ট জুলকারনাইন ভিত্তিহীন " আয়না ঘর ' নাটকেরও একজন রচয়িতা।আজ থেকে এক যুগ আগে আদা ও জল মিশিয়ে চা খেতে খেতে লুসিড ড্রিমের সাথে আলাপ হয়েছিল জুলকারনাইনের।তখনি বুঝতে পেরেছিলাম জুলকারনাইন একদিন হট স্টোরি লিখতে গিয়ে হিট স্টোরি লিখে ফেলবে। আমেরিকার সিআইএ এজেন্টদের পক্ষে সবকিছুই সম্ভব।২০২৩ সালে জুলকারনাইনের বিরুদ্ধে সরকার সিকিউরিটি অ্যাক্টে অ্যাকশন নিতে গেলে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো জাতিসংঘের ম্যারি ললোর ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।একই দেশে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ মেঘনা নদীতে ভেসে উঠলেও জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস টু শব্দটিও করে না। এমন দেশে তাই গোয়েবলসীয় আসিফ নজরুল ও জুলকারনাইনদের জন্য প্রোপাগান্ডার গল্প তৈরি করা খুবই সহজ।হাদীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সেই একই মিথ্যা গল্পের আশ্রয় নিয়েছেন চতুর শেয়াল সাংবাদিক জুলকারনাইন।
হাদীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিএনপি পন্থী সাংবাদিক হাদীর হামলাকারীর নাম বিদেশে বসে গণকের মতো বলে ফেললেন।আগামীর ফুটবল বিশ্বকাপে অক্টোপাস পাউলকে দিয়ে ভবিষ্যৎ বাণী না করিয়ে বাংলাদেশের বিখ্যাত জ্যোতিষ জুলকারনাইনকে অক্টোপাসের খাঁচায় ঢুকিয়ে দেয়া হোক।তাহলে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তার ফল জেনে যাবে বিশ্ববাসী। জুলকারনাইন তার পোস্টে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানকে ছাত্রলীগের নেতা সাজিয়ে গল্প লিখে ফেলেছে।২০২৪ সালের ৮ ই নভেম্বর আদাবর স্কুলে ঢুকে ১৭ লাখ টাকা লুট ও দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি বুলেট সহ গ্রেফতার হওয়া মাসুদ মাত্র এক মাসের মাথায় ইউনূস সরকারের কার ইশারায় জামিন পেয়েছেন? হাসনাত, সার্জিস , নাহিদ , আসিফ এবং শিবিরের সাদিক কায়েম এরা ছাত্রলীগের লুঙ্গির তলায় থাকলেও তাদের নিয়ে টু শব্দটি করলেন না জুলকারনাইন। বিষয়টি অদ্ভুত ও রহস্যময়। আপনি যা বলবেন, সব সত্য! আপনার নামে যা বলা হয় , সব মিথ্যা ! একে ইংরেজীতে Equivocation, paltering ( সত্য - মিথ্যার মিশেল) বা Deception ( প্রতারণা ) বলা হয়। মিথ্যা বলার এই আর্ট আসিফ নজরুলের মতো ভালোই রপ্ত করেছেন জুলকারনাইন।
৫ ই আগষ্টের পর যখন আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী দেশ ছাড়া, অপারেশন ডেভিল হান্টের নামে প্রায় ৪ লক্ষাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কারাগারে, কারাগারের ভেতরেই নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হচ্ছে আওয়ামীলীগ সমর্থকদের, শুধুমাত্র ছাত্রলীগ করার অপরাধে কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংস করে দেয়া ও বন্দরের পাঁচটি টার্মিনাল নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে বিদেশীদের হাতে তুলে দিয়ে খালেদা জিয়া নাটক শেষে নির্বাচনের মূলা ঝুলিয়ে সর্বশেষ হাদীর গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে নতুন নির্বাচনী নাটকের মুখোমুখি বাংলাদেশ।বেয়াদব হাদী সম্পর্কে লেখার নূন্যতম রুচিবোধ আমার নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই ব্লেইমিং গেম বেশ পুরোনো খেলা।এসব দেখতে দেখতে আমরা বড় হয়েছি।ছাত্রলীগকে জড়িয়ে , মীর্জা আব্বাসকে জড়িয়ে এসব প্রোপাগান্ডা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গালি পটু হাদীর আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করায় মানসিক উন্মাদ হাদী নীলা ইস্রাফিলকে যেভাবে হেনস্থা করেছে তা সমগ্র বাংলাদেশ দেখেছে।এই বেয়াদব হাদী সম্পর্কে বলতে গিয়ে নীলা ইস্রাফীল বলেছেন,
👉 যে শিক্ষকের মুখের ভাষা এত নোংরা, সে জাতিকে কী শেখাবে?নিজে মানুষ হওয়ার শিক্ষা নাই কিন্তু স্বপ্ন দেখে এমপি হওয়ার।
👉 দেশের ট্রাজেডি এখানেই অশিক্ষিত আচরণ যেখানে যোগ্যতার মাপকাঠি, সেখানে ক্ষমতার চাবি সবচেয়ে নোংরা হাতে চলে যায়।
👉 যে শিক্ষকতার মতো পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে গালিগালাজকে পাঠ্যবই বানায় , তার রাজনীতি যে কতটা নোংরা হবে তা হিসাব করার জন্য কেউ গণিত জানার দরকার পড়ে না।
🔴 হাদীর মতো হাদীর সমর্থকরাও মানসিক সাইকো। যেমন গরু তেমনি তার বাছুর।হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে হাদী সমর্থক শিবিরের ছাগুদের মন্তব্য হলো -
" হাদি ভাইয়ের কিছু হলে শা'উয়া মা'উয়া ছিঁড়ে ফেলা হবে 😁" এসব দেখি আর হাসি। এমন একজন সাইকো ও মানসিক জ-ঙ্গীর গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে কোন সুস্থ ও বিবেকবান মানুষ নূন্যতম সহানুভূতি জানাতে পারে ?
গ্রাম্য একটি প্রবাদ আছে , " জারজ সন্তানের জন্য কেউ কাঁদে না।" হাদী বঙ্গবন্ধু ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর নিয়ে যেসব বক্তব্য দিয়েছে তাতে কোন সুস্থ ও বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ হাদীর জন্য সহানুভূতি জানাতে পারে না।
হাদী একজন মানসিক রোগী।এই মুহুর্তে তার মগজ থেরাপি দরকার, সহানুভূতি নয়।হাদীর আয়ের উৎস বের করার পাশাপাশি সাদিক কায়েমের রাজনৈতিক পোস্টমর্টেম করলেই হাদীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার রহস্য আয়নার মতো ফকফকা হয়ে যাবে।হাদী রাজনীতির কোন মহানায়ক নয়, হাদী একজন পটু যোদ্ধা। গালিই তার রাজনীতি , গালিই তার ব্যবসা। জনগণের শা'উয়া ভাঙতে গিয়ে হাদী আজ হাদীয়া হয়ে গেছে । এই দৃশ্য জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক সংশপ্তক এর বিখ্যাত রাজাকার চরিত্র ' কানকাটা রমজান' এর কথা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে। ১৯৭১ সালের রাজাকার কানকাটা রমযান চরিত্রের মতো ২০২৪ এর রাজাকার কানকাটা রমযান চরিত্রটি হচ্ছে আজকের ' কানকাটা হাদি ' ।
সত্য সবসময় সুন্দর
লুসিড ড্রিম
১৩-১২-২০২৫
#মুজিব ゚