28/09/2025
জননন্দিনী শেখ হাসিনা : সংগ্রামী জীবনের প্রেরণাদায়িনী স্মারক
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর—বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা—এক নারী, যিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেত্রী নন, বরং জাতির আত্মার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অদম্য প্রেরণার প্রতীক।
শেখ হাসিনার জীবন শুরু থেকেই সংগ্রাম ও ত্যাগের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে যুক্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হয়েও তিনি কখনো সুবিধার পথ বেছে নেননি। ১৯৭৫ সালের কালরাতে প্রিয়জন হারিয়ে যে দুঃসহ বেদনা তিনি বুকে ধারণ করেছেন, সেটিকেই তিনি রূপান্তরিত করেছেন মানুষের সেবার শক্তিতে। ব্যক্তিগত বেদনার ছায়া তাঁকে ভেঙে দেয়নি, বরং আরও দৃঢ় করেছে—বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারে।
তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের মূল ভিত্তি হলো মানুষের প্রতি ভালোবাসা। গ্রামবাংলার অবহেলিত নারী, দরিদ্র কৃষক, মেহনতি শ্রমিক, কিংবা শহরের তরুণ—সবার জন্য তিনি সমানভাবে হৃদয় উন্মুক্ত করেছেন। শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, ক্ষমতা মানে শাসন নয়—ক্ষমতা মানে সেবা। তাঁর অর্থনৈতিক নীতি থেকে শুরু করে শিক্ষাব্যবস্থা, নারীর ক্ষমতায়ন থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ—সবকিছুতেই আমরা দেখি সাধারণ মানুষের জন্য এক গভীর মমতা, ভালোবাসা এবং উন্নতির স্বপ্ন।
শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন শুধু রাজনৈতিক সংগ্রামের গল্প নয়, এটি আসলে ভালোবাসার এক অনন্য কাব্য। তিনি বিশ্বাস করেন—বাংলাদেশের মানুষই তাঁর শক্তি, তাঁর সাহস, তাঁর সমস্ত প্রেরণা। তাই তিনি প্রায়ই বলেন, “আমি জনগণের সেবা করার জন্যই বেঁচে আছি।”
আজ তাঁর জন্মদিনে আমরা তাঁকে শুধু শুভেচ্ছা জানাই না, বরং স্মরণ করি তাঁর সেই অদম্য শক্তিকে, যেটি আমাদের শিখিয়েছে—ভালোবাসা দিয়ে, মমতা দিয়ে, মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থেকে একটি জাতিকে পুনর্গঠন করা সম্ভব।
শেখ হাসিনা—বাংলাদেশের আস্থা, সাহস আর আশার আলোকবর্তিকা