27/11/2025
ব্যস্ত নগরী ঢাকার, মহাব্যস্ত এক, EBL-ইস্টার্ন ব্যাংক ব্রান্ঞের প্রায়োরিটির হেড, আমার পছন্দের মানুষ, রওশন ভাই।
বড় ভাই, বন্ধু, সহপাঠী!!!!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করতে আমরা একসাথে পড়া ছাড়াও, কোর্স, টাইম , পরীক্ষা, পেমেন্ট সম্পৃক্ত অনেক অসংজ্ঞায়িত বিষয়ে প্রতিবাদ করতাম।
এভাবে আমাদের একটা ৫/৬ জনের গ্রুপ হয়ে যায়।
দেশ থেকে আসার আগে ভাইয়া আমাকে একপ্রকার জোর করেই ইবিএল প্রায়োরিটি কার্ড নিতে বলেন, যেটা দেশের বাইরের ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জে ব্যবহার করা যাবে।
যেহেতু আমার ইংল্যান্ড আসাটা অনেক তাড়াহুড়ো, টিকেট, সবকিছু আনপ্লান্ড ছিলো, আমি এক্সট্রা প্যারা নিতে চাচ্ছিলাম না। কি হবে লাউঞ্জ এ বসে!
ভাইয়া আমাকে ২৪ ঘন্টার কম সময়ে -লাউন্জ্ঞ এর এক্সেস এর প্রায়োরিটি কার্ডটা করে দেয়।এটা ডেলিভারি নিতে যাই সেদিন।
রাস্তা থেকে দাঁড়িয়ে ই বিদায় নেই।
পরবর্তীতে কাতারে আমার ৮ ঘন্টার ট্রানজিট ছিলো।এক পর্যায়ে আমি ক্লান্ত আর দুর্বল হয়ে পড়ি।একা একা এতো বড় জার্নি।
তার উপর ক্ষুধার্ত আমার কার্ডে অল্প টাকা!
তখন এ কার্ড কাজে লাগে।
আমি কাতার এয়ারলাইন্স এর ভিআইপি লাউঞ্জে বসে, যখন রেস্ট করছিলাম আর ডিনার করলাম, আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসছিলো। আহ! ৫ ঘন্টা কতো সহজে কেটে গেলো।
আমি খেলাম, ইন্টারনেট ব্যবহার করলাম, বিশ্রাম নিলাম, অল্প সময় ঘুমালাম, সকালের জন্য খাবার টেক এওয়ে নিলাম।
বার বার রওশন ভাই এর কথা মনে হচ্ছিলো,মনে মনে দুয়া করছিলাম তার জন্য।আল্লাহ তায়ালা, কোনো ছোট উছিলার মাধ্যমে হলেও , ভালো মানুষকে অন্য একজনের উপকারের জন্যই তৈরি রাখে।
ভাইয়া এবছর হজ্জ্ব করে এসেছেন তখনো আমাকে বললো, আপনাদের সবার জন্য দোয়া করেছি।।।
দেশে আসলে, ইনশাআল্লাহ আবার দেখা হবে।
নাসির ভাই, রওশন ভাই, তাহমিনা, ফাহিম ভাই, তওসিফ ভাই- সবাইকে আগের মতো একসাথে চাই।।।।
❤️❤️