Ukbd24.com

Ukbd24.com Uk news & global news

23/07/2024

২০শে জুলাই, শনিবার:

কারফিউ এর মধ্যেও ঢাকা, সাভার, গাজীপুর, ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘাত। বিক্ষোভকারী হতাহত।
আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়কারীর বৈঠক। আন্দোলনকারীদের আট দফা দাবি পেশ।
শনিবার সহিংসতায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ২৬ জন নিহত।

23/07/2024

কোটা আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ : এযাবত যা যা হল
কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত এক নারী - ফাইল ছবিছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত এক নারী - ফাইল ছবি
২২ জুলাই ২০২৪
আপডেট হয়েছে ৯ ঘন্টা আগে
দেশ জুড়ে সহিংসতায় একশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু, আরও বহু মানুষের আহত হওয়া, গাড়ি-ভবনে অগ্নিসংযোগ, জেল ভেঙ্গে কয়েদি পালানো, রোববার সুপ্রিম কোর্টে কোটা বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত রদ - সব মিলিয়ে গত দেড় মাস ধরে যা ঘটেছে, তারই একটা খতিয়ান রইল বিবিসি বাংলার পাঠকদের সামনে :

২২শে জুলাই, সোমবার:

কমপ্লিট শাটডাউন ৪৮ ঘণ্‌টার জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। এই সময়ের মধ্যে তারা চার দফা দাবির বাস্তবায়ন দেখার জন্য সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছে।
সাধারণ ছুটির মেয়াদ মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোচষণা করা হয়েছে।
কারফিউও বাড়ানো হয়েছে এদিন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতায় এপর্যন্ত অন্তত ১২১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
২১শে জুলাই, রোববার:

কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি, কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল। সাত শতাংশ কোটা নির্ধারণের আদেশ। তবে সরকার চাইলে বদলানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
কারফিউ অব্যাহত, সাধারণ ছুটির আওতায় স্বায়ত্বশাসিত, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পোশাক কারখানা-সহ সব কলকারখানা বন্ধ।

23/07/2024

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সিনহা বলেছেন, সরকারের চাপের মুখেই তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
আপডেট হয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশ বিচার বিভাগছবির উৎস,.
ছবির ক্যাপশান,সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বইয়ের প্রচ্ছদ
বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা একটি আত্মজীবনীমূলক বই প্রকাশ করেছেন যেখানে তিনি দাবি করছেন তাকে সরকারের চাপ এবং হুমকির মুখে দেশত্যাগ করতে হয়েছে।

বিচারপতি সিনহার বই 'এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেমোক্রেসি" মাত্রই প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি এখন আমাজনে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে।

এই বইতে বিচারপতি সিনহা সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন কোন পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সঙ্গে তার বিরোধ তৈরি হয়েছিল, এবং কিভাবে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়, এবং তারপর কেন তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন।

তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের মুখে তিনি দেশে ছেড়েছেন। বিচারপতি সিনহা লিখেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়টি যেন সরকারের পক্ষ যায়, সেজন্যে তার ওপর 'সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে চাপ তৈরি করা হয়েছিল।'

মি. সিনহার পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৭ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত একটি মামলার আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে। এ রায় নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সরকারের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে বিচারপতি সিনহা দেশ ছেড়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।

এখানে বইটির মুখবন্ধের কিছু অংশের অনুবাদ দেয়া হলো।

'বলা হতে লাগলো আমি অসুস্থ'
মি. সিনহা লেখেন, "প্রধানমন্ত্রী এবং তার দলের অন্যান্য সদস্য ও মন্ত্রীরা পার্লামেন্টের বিরুদ্ধে যাবার জন্য আমার কঠোর নিন্দা করেন। প্রধানমন্ত্রী সহ ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা আমার বিরুদ্ধে অসদাচরণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ এনে বদনাম করতে শুরু করেন।"

"আমি যখন আমার সরকারি বাসভবনে আবদ্ধ, আইনজীবী এবং বিচারকদের আমার সাথে দেখা করতে দেয়া হচ্ছিল না, তখন সংবাদমাধ্যমকে বলা হয় - আমি অসুস্থ. আমি চিকিৎসার জন্য ছুটি চেয়েছি।"

"একাধিক মন্ত্রী বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবো।"

"অক্টোবরের ১৪ তারিখ, যখন আমি দেশ ছাড়তে বাধ্য হই - তখন একটি প্রকাশ্য বিবৃতিতে আমি পরিস্থিতি স্পষ্ট করার চেষ্টায় একটি বিবৃতি দেই যে আমি অসুস্থ নই এবং আমি চিরকালের জন্য দেশ ছেড়ে যাচ্ছি না।"

"আমি আশা করছিলাম যে আমার প্রত্যক্ষ অনুপস্থিতি এবং আদালতের নিয়মিত ছুটি - এ দুটো মিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সহায়ক হবে, এবং শুভবুদ্ধির উদয় হবে, সরকার ওই রায়ের যে মর্মবস্তু - অর্থাৎ বিচারবিভাগের স্বাধীনতা যে জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর - তা বুঝতে পারবে।"

"শেষ পর্যন্ত দেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা - যার নাম ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স - তাদের ভীতি প্রদর্শন এবং আমার পরিবারের প্রতি হুমকির সম্মুখীন হয়ে আমি বিদেশ থেকে আমার পদত্যাগপত্র জমা দেই।"

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এ নিয়ে বিবিসি বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। গত বছরের নানা নাটকীয় ঘটনাবলীর পর কোন গণমাধ্যমে এটিই ছিল তার প্রথম সাক্ষাৎকার।

বিবিসি বাংলাকে দেয়া এস কে সিনহার সাক্ষাৎকারের একটি অংশ শুনুন এখানে>

অডিওর ক্যাপশান,২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এসকে সিনহার একটি সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ
'আপনাকে বলা হলো বিদেশে যাবেন, কিন্তু যাচ্ছেন না'
তিনি সাক্ষাতকারে বলেন, "আমাকে যখন কমপ্লিটলি হাউজ এ্যারেস্ট করা হলো, ...তখন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিদিন একজন করে ডাক্তার আমার কাছে পাঠানো হতো। আমি নি:শ্বাস নিতে পারছিলাম না।"

"এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের চিফ এসে বললেন, হ্যাঁ আপনাকে বলা হলো আপনি বিদেশ যাবেন, আপনি যাচ্ছেন না।"

"আমি বললাম: কেন যাবো আমি বিদেশে?"

"আপনি চলে যান, আপনার টাকা পয়সার আমরা ব্যবস্থা করছি।"

"আমি বললাম, এটা হয় না, আমি আপনাদের টাকা নেবো না। আর আপনারা বললেই আমি ইয়ে করবো না। আমি চাই সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমি আলাপ করি । ব্যাপারটা কি হয়েছে আমি জানতে চাই। (তিনি) বলেন যে প্রধানমন্ত্রী আপনার সাথে কথা বলবেন না।"

বাংলাদেশ বিচার বিভাগছবির উৎস,বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
ছবির ক্যাপশান,সুরেন্দ্র কুমার সিনহা
'বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের দ্বন্দ্ব'
মি. সিনহা লেখেন, তার এ বইতে তার ব্যক্তিগত ও বিচার বিভাগে কর্মজীবনের কথা, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতি চ্যালেঞ্জসমূহ, বিচারবিভাগ ও রাজনীতিবিদদের মূল্যবোধের অবক্ষয়, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, পুলিশের বাড়াবাড়ি, জরুরি অবস্থার প্রভাব, এবং "ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ডিজিএফআইয়ের অর্থ আদায়ের" বিবরণ আছে।

বিচারপতি সিনহার বই-এর একটি মুখবন্ধ রয়েছে - যাতে তিনি সংক্ষেপে "বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের দ্বন্দ্ব" বর্ণনা করেছেন এবং তার ভাষায় কী পরিস্থিতিতে তিনি প্রধান বিচারপতির পদ ত্যাগ করে বিদেশে গিয়েছিলেন তা লিখেছেন।

বাংলাদেশের পার্লামেন্টে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের ইমপিচ করার ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পরিবর্তে পার্লামেন্টের সদস্যদের দেবার পর ২০১৬ সালের ৫ই মে হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি বিশেষ বেঞ্চ ওই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেয়। সরকার এর বিরুদ্ধে আপীল করে, এবং সাত সদস্যের একটি বেঞ্চে আপীলের শুনানী হয়।

বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার বইতে লেখেন, "জুলাইয়ের ৩ তারিখ প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ আপীল খারিজ করে হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় বহাল রাখে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের ১ তারিখ সর্বসম্মত রায়ের পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়।"

সেখানে তিনি লেখেন, "ওই সিদ্ধান্তের পর সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে পার্লামেন্ট একটি প্রস্তাব পাস করে - যাতে সেই রায়কে বাতিল করার জন্য আইনী পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়।"

23/07/2024

আপিল বিভাগে সরকার
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। পরের মাসে আপিল বিভাগ এই মামলায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মতামত শুনতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে দশজন আইনজীবীকেকে নিয়োগ দেয়।

বিভিন্ন জটিল আইনি বিষয় ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে আদালতকে যারা সাহায্য করেন তাদের অ্যামিকাস কিউরি বলা হয়।

এই দশজন অ্যামিকাস কিউরির মধ্যে নয়জনই বক্তব্য দিয়েছেন বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকা উচিত নয়। শুধুমাত্র আজমালুল হোসেন কেসি জাতীয় সংসদের হাতে এই ক্ষমতা থাকার পক্ষে মত দেন।

আটই মে আপিল শুনানি শুরু হয়। আপিল বিভাগে এগার দিন এ মামলার শুনানি হয়।

পরে একই বছরের ৩রা জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখে।

সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া এ রায়ে তখনকার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম হতাশা প্রকাশ করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, “ এ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিষয়টা একমাত্র পাকিস্তান এবং আমাদের দেশে সামরিক সরকার এসে জিয়াউর রহমানের আমলে সংবিধান অন্যায়ভাবে সংশোধন করে যোগ ছিল। আমরা সংবিধান থেকে সামরিক শাসকরা যেগুলো করেছিল সেগুলো মুছে ফেলতে চাই”।

রায়ের পর রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরে পহেলা আগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।

23/07/2024

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিল।

১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু হলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে নেয়া হয়।

কিন্তু পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনকালে সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী এনে সে ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে। যার প্রধান হবেন প্রধান বিচারপতি।

উচ্চ আদালতের কোন বিচারপতি যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন কিংবা অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন, তাহলে তাকে কিভাবে অপসারণ করা হবে এ বিষয়ে ২০১৪ সালে আবার সংবিধানে সংশোধন করে আওয়ামী লীগ।

তখন এ ষোড়শ সংশোধনীতে বলা হয় বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে থাকবে। সংসদে এ সংক্রান্ত বিল পাসের পর ওই বছর সেপ্টেম্বরেই গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

সংবিধানের এই সংশোধনীর তীব্র বিরোধিতা করে সেসময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন।

সরকার এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের উপর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বলে সে সময় তারা অভিযোগ করে।

যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তখন বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলেও তারা কোন বিচারকের রায় পছন্দ না হলেই তাকে সরিয়ে দিতে পারবেন, ব্যাপারটা সেরকম নয়।

বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ এবং অযোগ্যতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। আর এই অভিযোগ যাচাই করবে একটি পৃথক স্বাধীন সংস্থা। সুতরাং এখানে এই ক্ষমতার অপপ্রয়োগের সুযোগ নেই বলে তখন দাবি করেছিলেন মি. হক।

23/07/2024

বিচারপতিদের অপসারণের ষোড়শ সংশোধনী ঘিরে যা যা হয়েছিল
সুপ্রিম কোর্টছবির উৎস,MUNIRUZ ZAMAN
ছবির ক্যাপশান,বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত ষোড়শ সংশোধনীর পুনর্বিবেচনা চেয়ে সরকারের করা আবেদনের শুরু হচ্ছে জুলাই মাসে
Article information
Author,জান্নাতুল তানভী
Role,বিবিসি নিউজ বাংলা
১১ জুলাই ২০২৪
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে সংবিধানে ষোড়শ সংশোধনী আনা হয় ২০১৪ সালে। পরবর্তীতে আদালত পর্যন্ত গড়ালে প্রথমে হাইকোর্ট এবং পরে আপিল বিভাগ এ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়।

সেই রায়ে দেয়া কিছু পর্যবেক্ষণের জের ধরে পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েনে সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে ছুটিতে থাকা অবস্থায় সিঙ্গাপুর থেকে অবসরের চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

পরবর্তীতে বিদেশে থেকে লেখা একটি বইয়ে তিনি দাবি করেন, রায়ের পর 'সরকারের চাপের মুখে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য' হয়েছিলেন। যদিও তার সেসব দাবিকে 'মনগড়া' বলে আওয়ামী লীগের নেতারা দাবি করেছিলেন।

২০১৭ সালে আপিল বিভাগের দেয়া ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সরকারের করা আবেদনের শুনানি হবে ১১ই জুলাই।

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ সংক্রান্ত এই সংশোধনী এবং রায়কে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এবং আইনাঙ্গনে সেই সময় অনেক নাটকীয় ঘটনা তৈরি হয়েছিল।

23/07/2024

১৯৭২ সাল থেকেই কোটা ব্যবস্থার শুরু
বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকেই চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা, জেলা ও নারী কোটা ছিল।

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্পোরেশন ও দপ্তরে নিয়োগ এবং কোটা বণ্টনের বিষয়ে ১৯৭২ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর তৎকালীন সরকার একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে।

এতে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ মেধা এবং বাকি ৮০ শতাংশ জেলা কোটা রাখা হয়। এই ৮০ শতাংশ জেলা কোটার মধ্য থেকেই ৩০ শতাংশ কোটা মুক্তিযোদ্ধা এবং ১০ শতাংশ কোটা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অর্থাৎ কোটার বড় একটি অংশই বরাদ্দ করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য।

“সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের বেশিরভাগই ছিল– কৃষক, শ্রমিক, মজুর, তাঁতি। এরা কিন্তু সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ ছিল। সেই কারণেই যখন দেশ স্বাধীন হলো তখন মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার চিন্তা থেকেই বলা হলো যে তারা কোটা পেতে পারে এবং সেই কোটা ব্যবহার করে তাদের পরিবারের উন্নতি হতে পারে। সে কারণেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা আসছে,” বলেন সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান।

https://www.bbc.com/bengali/articles/cmm2ze73enqo
23/07/2024

https://www.bbc.com/bengali/articles/cmm2ze73enqo

২০১৮ সালে কোটা বাতিলের পরিপত্র জারির আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা, জেলা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্.....

https://www.bbc.com/bengali/articles/c8vdrrnd7plo
23/07/2024

https://www.bbc.com/bengali/articles/c8vdrrnd7plo

এই আন্দোলন সরকারকে ‘বিচলিত’ করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্.....

25/06/2024

তরেসের গোলে স্পেনের তিনে তিন

গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউটে ওঠা নিশ্চিত আগেই। আগের ম্যাচ থেকে একাদশে তাই ১০টি পরিবর্তন করে নামল স্পেন। আগের দুই ম্যাচের মতো অতটা দাপুটে পারফরম্যান্স যদিও এবার দেখাতে পারল না তারা। তবে আলবেনিয়ার বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় ঠিকই তুলে নিল ইউরোর তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ডুসেলডর্ফে সোমবার রাতে ‘বি’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডে ১-০ গোলে জিতেছে স্পেন। প্রথমার্ধে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন ফেররান তরেস।

ইতালিকে ১-০ গোলে হারানো ম্যাচ থেকে একাদশে জায়গা ধরে রাখেন কেবল ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্ত। দ্বাদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় স্পেন।

25/06/2024

অবৈধ সম্পদ: পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত নায়েকের জরিমানা, স্ত্রীর জেল

সোমবার বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী গাজীউল হাসান।

দণ্ডিতরা হলেন- রাজধানীর আউটার সার্কুলার রোড রাজাবাগের গ্লোব নিবাসের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দীন ঢালী এবং তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম।

25/06/2024

রোমাঞ্চকর জয়ে ক্যারিবিয়ান উৎসব থামিয়ে সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
বৃষ্টি, রান তাড়া, ডাকওয়ার্থ-লুইস আর কার্যত নক-আউট ম্যাচ, এই সবকিছু মিলে যাওয়া মানে দক্ষিণ আফ্রিকার বেদনা ও বিভীষিকার ইতিহাস। বিশ্ব আসরে কতবারই তো এসব মুহূর্তে ভেঙে পড়ে ‘চোকার’ তকমা পেয়ে গেছে তারা। তবে এবার এই দল ব্যতিক্রম।

Address

London

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ukbd24.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ukbd24.com:

Share