13/10/2024
একটি ছোট্ট গ্রামে জন্ম নেওয়া অর্ণব আর নীলা ছোটবেলা থেকেই একে অপরের খুব কাছের বন্ধু ছিল। দুজনের বাড়ি পাশাপাশি, তাই দিনের অনেকটা সময় তারা একসাথে কাটাতো। যখন তারা একসাথে থাকত, পৃথিবীর সবকিছু যেন একটু আলাদা লাগত, একটু বেশি রঙিন।
নীলা খুব শান্ত, ধীরস্থির মেয়ে ছিল। অর্ণব ছিল উচ্ছল, সবসময় কিছু না কিছু করত। নীলার শান্ত স্বভাব আর অর্ণবের চঞ্চলতা একে অপরকে খুব ভালোভাবে সম্পূর্ণ করত। তাদের বন্ধুত্ব কেমন করে যে একসময় ভালোবাসায় পরিণত হলো, তা তারা নিজেরাও জানে না।
একদিন সন্ধ্যায়, গ্রামের পুকুরের ধারে বসে ছিল তারা। সূর্যের লাল আভা জলে প্রতিফলিত হচ্ছিল, আর সেই আলোর মায়ায় তারা হারিয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ অর্ণব নীলার দিকে তাকিয়ে বলল, “নীলা, জানো, ছোটবেলা থেকেই তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত আমার জীবনের সেরা সময়। আমি কখন যে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি, তা বুঝতেই পারিনি।”
নীলা কিছুক্ষণ নীরব থেকে ধীরে ধীরে মাথা নিচু করে হাসল। “আমি তো অনেক দিন আগেই জানতাম অর্ণব,” সে মৃদু স্বরে বলল। “তুমি যেভাবে আমার দিকে তাকাও, তাতেই সব কিছু পরিষ্কার।”
অর্ণবের হৃদয় যেন আনন্দে নেচে উঠল। তার চোখে নীলার জন্য গভীর ভালোবাসা ফুটে উঠল। তারা একে অপরের হাত ধরল, আর তখন মনে হলো, পৃথিবীতে আর কিছুই নেই—শুধু তারা দুজন আর তাদের ভালোবাসা।
কিছুদিন পর তারা দুজনেই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করল। তাদের সংসার ছিল ছোট্ট, কিন্তু ভালোবাসায় পূর্ণ। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তারা একে অপরের সাথে ভাগ করে নিত। তাদের ভালোবাসা ছিল সরল, কিন্তু সেই সরলতার মধ্যেই ছিল অপার সুখ।
তাদের ভালোবাসার গল্পটি হয়তো খুব সাধারণ, কিন্তু সেই গল্পের প্রতিটি ক্ষণেই ছিল একে অপরের প্রতি নিঃস্বার্থ অনুভূতি। ভালোবাসা যে কীভাবে ছোট ছোট মুহূর্তে বিকশিত হয়, তা তাদের জীবনই বলে দেয়।