Fultali Islamic Views ফুলতলি ইসলামিক ভিউজ

  • Home
  • Fultali Islamic Views ফুলতলি ইসলামিক ভিউজ

Fultali Islamic Views ফুলতলি ইসলামিক ভিউজ Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Fultali Islamic Views ফুলতলি ইসলামিক ভিউজ, Video Creator, .

ইনশাআল্লাহ। রিলিজ হচ্ছে আগামীকাল বাদ জুম'আ। পুরনো দিনের নাশিদ আমার আপনার সবার পছন্দের নাশিদ চ্যানেল লিংক কমেন্টে 👇👇   #প...
10/07/2025

ইনশাআল্লাহ।
রিলিজ হচ্ছে আগামীকাল বাদ জুম'আ। পুরনো দিনের নাশিদ আমার আপনার সবার পছন্দের নাশিদ চ্যানেল লিংক কমেন্টে 👇👇

#প্রেমের_ভিখারী #নাতে

আমিরে জামায়াত ডক্টর শফিকুর রহমানের একটি বক্তব্যে অনেকেই বিচলিত এবং বিব্রত বোধ করছে। রাসূলে কারীম ﷺ এর একটি হাদীস; যা সহী...
22/06/2025

আমিরে জামায়াত ডক্টর শফিকুর রহমানের একটি বক্তব্যে অনেকেই বিচলিত এবং বিব্রত বোধ করছে। রাসূলে কারীম ﷺ এর একটি হাদীস; যা সহীহ বুখারীতে বর্ণিত, সেই হাদীসটিকে সামনে রেখে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু তিনি হাদীসটির সুস্পষ্ট অপব্যাখ্যা করেছেন। আমরা শুরুতে তার বক্তব্যটি তুলে ধরছি, তারপর হাদিসটি উল্লেখ করে তার সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরব। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, রাসূল ﷺ এর উসূল হচ্ছে, সামনে যখন দুইটি জিনিস লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য থাকতো, দুইটা বাহন অথবা দুইটা রাস্তা, অধিকতর সহজ যেটি সেটি গ্রহণ করতেন। উল্লেখ্য, তিনি হাদীস শরীফের সঠিক অনুবাদও করেননি; বরং অনুবাদ করতে গিয়ে কিছু মনগড়া শব্দ ও বাক্য টেনে এনেছেন। বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে বুখারী শরীফে বর্ণিত হাদীসের পরের অংশটি তিনি যদি বলতেন বা উল্লেখ করতেন, তাহলে হাদীসটি অপব্যাখ্যার আর কোন সুযোগই থাকতো না। একটি বিষয় স্পষ্টভাবে জেনে রাখা দরকার যে, পবিত্র কুরআনুল কারীম কিংবা আল্লাহর হাবিব নূর নাবীজি হযরত মুহাম্মাদ ﷺ এর কোন হাদীস নিজ থেকে ব্যাখ্যা করার কোন সুযোগ নেই; বরং উম্মতের মহান মুজতাহিদগণ ও মুফাসসিরগণ যে ব্যাখ্যা করেছেন, সে ব্যাখ্যাটাই গ্রহণ করতে হবে। আর হাদিস শরীফ ব্যাখ্যার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকতে হবে।

হাদিস বোঝার ক্ষেত্রে ফকীহ হচ্ছে সবচেয়ে যোগ্য। অতএব, তিনি হাদিস ব্যাখ্যার আহাল না হয়েও, হাদিস শরীফ থেকে উদ্ধৃতি পেশ করলেন, সেটাও হাদীসের শব্দগুলো গ্রহণ করলেন না; যা একটি অমার্জনীয় অপরাধ বলে গণ্য।

এখন আসুন, আমরা বুখারী শরীফের হাদিসটি তুলে ধরছি এবং এ হাদিসটির অপব্যাখ্যার যে সুযোগ নেই, সে কথাটিও তুলে ধরছি। কারণ ডক্টর শফিকুর রহমান এ হাদিসটির অপব্যাখ্যা করে শিরক ও কুফরের উপর প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রকে হালাল করার বা বৈধতা দেওয়ার একটি অপচেষ্টা করেছেন। তাওহীদপন্থী কোন মুসলমান তা মেনে নিতে পারে না। হাদিসটি সহীহুল বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে। হাদীস নং. ৩৫৬০। হযরত আয়েশা রা: থেকে হাদীসটি বর্ণিত।

عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّهَا قَالَتْ مَا خُيِّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَمْرَيْنِ إِلاَّ أَخَذَ أَيْسَرَهُمَا، مَا لَمْ يَكُنْ إِثْمًا... الخ

আম্মাজান আয়েশা রা: বলেন, আল্লাহর রাসূল নূর নাবীজি মুহাম্মাদ মোস্তফা ﷺ কে যখন দুটো কাজের ইখতেয়ার/ইচ্ছে দেওয়া হতো, তিনি দুটো পন্থার মধ্যে অধিকতর সহজ পন্থাটিকে গ্রহণ করতেন; যদি সে সহজ কাজটি গোনাহের কাজ না হয়ে থাকে।

এখানে হাদিস শরীফে তো স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে কিংবা অন্য যে কোন ক্ষেত্রে রাসূলে কারীম ﷺ দুটি পন্থার মধ্যে সহজটি গ্রহণ করতেন, এ শর্তে যদি না সে সহজ পন্থাটি গুনাহ বা অন্যায় না হয়ে থাকে। তাহলে তো স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে, আল্লাহর হাবিব নূর নাবীজি মুহাম্মাদ ﷺ এর উম্মত হিসেবে আমরা যদি ওনার সুন্নাহের অনুসরণ করতে যাই, আমরাও রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সামাজিক বা যেকোনো তাৎপর্যপূর্ণ কাজে দুটি পন্থার মধ্যে তখনই সহজ পন্থাটিকে গ্রহণ করতে পারব, যদি সেটা শরীয়ত বিরোধী বা গুনাহের কোন কাজ না হয়।

দ্বিতীয়তঃ হাদিসের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়,

"ما خُيِّرَ رسولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بين أمرينِ

এখানে সীগাহটি মাজহুলের সীগাহ। অতএব, রাসূলুল্লাহ ﷺ কে যখন দুটো কাজের মধ্য থেকে যেকোনো একটি কাজকে বেছে নেওয়ার খেয়ার দেওয়া হতো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে খেয়ার কে দিতো? নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা।

অতএব, আল্লাহ তা’য়ালা নূর নাবীজি মুহাম্মাদ ﷺ কে দুটো কাজের যেকোনো একটি বেছে নেওয়ার খেয়ার দিলে, আল্লাহর রাসূল নূর নবীজি মুহাম্মাদ ﷺ দুটো পন্থার মধ্যে সহজটাকে গ্রহণ করতেন। সুস্পষ্ট ভাবে এ কথা তো হাক্কুল ইয়াকিন যে, আল্লাহ তা'আলা উনার হাবীব মুহাম্মাদ ﷺ কে কোন কাজে দুইটি পন্থার মধ্যে যেকোনো একটি পন্থা বেছে নেওয়ার সুযোগ যে দিতেন, সেখানে দুটো পন্থা'ই ছিল উত্তম এবং আল্লাহ তা’আলার বিধান অনুযায়ী সিদ্ধ। শুধু আল্লাহ তা’আলা মুহাম্মাদ মোস্তফা ﷺ কে এতোটুকু এখতেয়ার দিতেন, তিনি কঠিন পন্থাটিকে বাদ দিয়ে সহজ পন্থাটিকে বেছে নিবেন।

অতএব, আল্লাহর আখেরী নাবীজি মুহাম্মাদ ﷺ কে দুটো পন্থার মধ্যে যেকোনো একটি পন্থাকে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো, তো আল্লাহর হাবিব মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন কাজে দুটো পন্থার মধ্যে যেকোনো একটি পন্থার সহজটি বেছে নিতেন। এটা হাদিসের উদ্দেশ্যে; হাদিসের বাকি অংশে এসেছে, সহজ পন্থাটি তখন রাসূল ﷺ বেছে নিতেন, যদি তা গুনাহের কাজ না হয়ে থাকে।

অতএব, আল্লাহর আখেরী নাবী নূর নাবীজি মুহাম্মাদ ﷺ এর ঈমানদার উম্মত হিসেবে বুখারী শরীফে বর্ণিত এই হাদিসের অনুসরণ করতে গেলে, আমাদের জন্য আবশ্যক হচ্ছে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি ব্যক্তিজীবন; জীবনের যেকোনো মৌলিক বিষয়ে হোক, যদি দেখি দুটি পন্থা যার একটি কঠিন, একটি সহজ, তখনই আমরা কঠিন পন্থাটিকে গ্রহণ না করে, সহজ পন্থাটিকে বেছে নিতে পারবো, যদি সেটা হালাল/জায়েজ/বৈধ হয়।

এখন ডক্টর শফিকের কাছে আমার প্রশ্ন। তিনি এই হাদিসের অপব্যাখ্যা করে যে ব্যালট নির্বাচন পদ্ধতি বা গণতন্ত্রকে যে হালাল বলতে চাইলেন, আদৌও কি তা হালাল করা যাবে? বা গণতান্ত্রিক পন্থাকে বা ব্যালট বা নির্বাচনী পন্থাকে আদৌও কি এই হাদিসের অনুসরণে হালাল করা যায়?

এর জবাব হচ্ছে - অবশ্যই না। অতএব, তিনি যে হাদীসের অপব্যাখ্যা করলেন, আমরা বলবো, তিনি তার এই অপব্যাখ্যাকে প্রত্যাহার করবেন এবং মহান আল্লাহ তা’আলার নিকট তওবা করবেন।

এবার আসুন গণতন্ত্রের বিষয়:-
গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি শি-রক ও কু-ফরের উপর। সেটা কখনোই হালাল হতে পারে না;
তবে নির্বাচনি পদ্ধতিতে ভোটাভোটির বিষয়টা ভিন্ন আলোচনার দাবি রাখে।

গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের তন্ত্র, আইন কিংবা গণতন্ত্র হচ্ছে সেই রাজনৈতিক পদ্ধতি বা আদর্শ, যে রাজনৈতিক পদ্ধতি বা আদর্শে মহান আল্লাহ তা’আলাকে বাদ দিয়ে মানুষ হয়ে মানুষকে আইন বানাবার ক্ষমতা দেওয়া। এটা সুস্পষ্টভাবে একটি শি-রকি কাজ; যা সূরা আল ইমরানে আল্লাহ তা’আলা সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন।

قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَىٰ كَلِمَةٍ سَوَاءٍۢ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا ٱللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِۦ شَيْـًۭٔا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًۭا مِّن دُونِ ٱللَّهِ ۚ فَإِن تَوَلَّوْا فَقُولُواْ ٱشْهَدُواْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ.(سورة ال عمران:٦٤)

এ আয়াতের তাফসীরের মধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যায় যে, ই-হু-দী এবং খ্রি-স্টা-ন পন্ডিতগণ হালালকে হারাম করতো আর হারামকে হালাল করতো আর খ্রি-স্টা-ন ও ই-হু-দীরা তা মেনে নিতো। আর সেটাকে আল্লাহ তা’আলা মহান আল্লাহকে বাদ দিয়ে মানুষ হয়ে অন্য মানুষকে রব বানানোর মতো জঘন্য গুনাহ বা শিরকের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। আর গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি এটাই যে, আইন বানাবার অধিকার জনগণের এবং জনগণ অন্য মানুষদেরকে নির্বাচনে নির্বাচিত করে আইন প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়; যারা তাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন তৈরি করে।

অতএব, যে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিটাই শি-র-কের মতো একটি জঘন্য বিষয় এবং আরো অসংখ্য শি-রক ও কু-ফর গণতন্ত্রের প্রত্যয়গুলোতে আছে, সেই গণতন্ত্রকে কি ইসলামীকরণের কোনো ব্যবস্থা আদৌও আছে? অবশ্যই তার কোন সুযোগ নেই।

এখন আসেন, নেতা নির্বাচনে নির্বাচনী যে পদ্ধতি তা নিয়ে কিছু কথা। নির্বাচনে যে পদ্ধতি অর্থাৎ ভোটাভুটির মাধ্যমে যে নেতা নির্বাচন, গণতন্ত্রের আদর্শকে বৈধ মনে না করে ওজর হিসেবে নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ যদি কেউ করতে চায়, তাহলে অবশ্যই সেটাকে হারাম ও না-জায়েজ জেনেই করতে হবে। শরীয়তের একটি উসূল হচ্ছে,

الضرورة تتقدر بقدر الضرورة

অর্থাৎ, বিশেষ প্রয়োজন বা জরুরাতের সময় হারামকে হারাম জেনে কিছু সময়ের জন্য কাজটি করার অনুমতি থাকে; কিন্তু সেটাকে আদর্শ হিসেবে বা হালাল হিসেবে গ্রহণ করার সুযোগ নেই।

অতএব, ডক্টর শফিক সাহেব স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছেন। আমরা আল্লাহর কাছে তার হেদায়েত কামনা করি। আর হারাম চিরকাল হারামই থাকবে; সেটাকে হালাল মনে করার কোন সুযোগ নেই। শরহু ফিকহীল আকবারে ইমাম আযম আবু হানিফা রহ. থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য,

من استحل حرمة قد ثبتت حرمتها بدليل قطعي فهو كافر

কোনো হারাম বিষয় যদি সুস্পষ্ট দলিল দিয়ে প্রমাণিত হয় বিষয়টি হারাম, সেটাকে যে হালাল মনে করবে সে কাফের হয়ে যাবে।

অতএব, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমাদের সকল আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখ, নেতা, স্কলার, বুদ্ধিজীবী এমনকি সাধারণ মুসলমানদেরকেও এ বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

এবার রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে
একটি কথা বলবো। পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্রেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলামপন্থীগণ ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু প্রায় একশ বছরের ইতিহাস এ কথারই প্রমাণ দেয়, পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রে বা ভূখণ্ডে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলামপন্থীগণ ক্ষমতায় যেতে পারে নি। ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠাও করতে পারেনি। তার দূর অতীতের একটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে মিশর; যেখানে ইখওয়ানুল মুসলিমিন ক্ষমতায় যেয়েও এক বছরের বেশি টিকতে পারেনি এবং তাদেরকে ব্যালট বাদ দিয়ে বুলেটই বুক পেতে নিতে হয়েছে। একই অবস্থা আমরা দেখতে পাই, তিওনিশিয়াতে। ‘ঘানুচি’ যেখানে ইসলামী রাজনীতির ব্যানারে আন্দোলন করে স্পিকার পর্যন্ত হয়েছে‌। তিওনিশিয়াতেও ঘানুচির পক্ষে ইসলামের পক্ষে একটি আইন পাশ করা সম্ভব হয়নি।

অতএব, বাংলাদেশেও কি তার ব্যতিক্রম কিছু হতে পারে? অবশ্যই এখানেও গনতান্ত্রিকভাবেই বিজয়ী হয়ে কখনোই ইসলামী শরিয়াহ রাষ্ট্র করা সম্ভব নয়; বরং সেটা হতে পারে জি-Ha-দের মাধ্যমে, হতে পারে বিপ্লবের মাধ্যমে। আর সে বিপ্লবটা হতে পারে নিরস্ত্র কিংবা স-শস্ত্র। বাকিটা সময় বলে দিবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুক।

★যেদিন ইয়া নাফসি★ নাশিদটি আগামীকাল রাত ৯ টায় আসছে ইনশাআল্লাহ। চ্যানেল লিংক কমেন্টে 👇
03/06/2025

★যেদিন ইয়া নাফসি★
নাশিদটি আগামীকাল রাত ৯ টায় আসছে ইনশাআল্লাহ।
চ্যানেল লিংক কমেন্টে 👇

15/05/2025

আসসালামু আলাইকুম,

কয়েকদিন ধরেই আমার একটা বিষয় নিয়ে আপনারা খুব উদ্বিগ্ন। সে বিষয় নিয়ে খোলাসা কথা বলার প্রয়োজন মনে করছি,,,

হঠাৎ করেই আমাকে নিয়ে একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়, যার কারণে আমার শুভাকাঙ্ক্ষিদের মধ্যে নানান প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এইসবগুলোর মূল হলো একটি কুচক্রী মহল।
যাদের প্রতারণার স্বীকার কয়েকবছর ধরে হয়ে আসছি।

বিস্তারিত বললে বুঝবেন,
আমিসহ অনেকের কাছে “রিসালাহ” একটি আস্তার নাম, কিন্তু প্রতিবছরই তারা আমার মতো অনেকের স্বপ্ন ভেঙে দিচ্ছে।

আসল কাহিনী শুরু হয় যখন আমি তাদের কাছে আমাদের সংগঠনের কিছু হিসাব (মাসিক চাঁদা, ভর্তি ফি, অনলাইন ইনকাম বিবিধ) চাই, যেটা একজন সদস্য হিসেবে আমি চাইতেই পারি। সেই হিসাব আজো আমি তাদের থেকে পাই নি, পেয়েছি হিংসা, ক্ষোভ, সাংগঠনিক চাপ আর শেষ পর্যন্ত আমি সহ আমার পরিবারের মান সম্মানহানী।

তখন আমি চিন্তা করলাম আমার ব্যক্তিগত চ্যানেলেই আমার ভিডিও আপলোড করবো রীতিমতো, আলহামদুলিল্লাহ খুব তাড়াতাড়িই আমার একটি ফ্যানবেজ তৈরী হয় এবং কিছু মানুষের জনপ্রিয়তা অর্জন করি।

আর এই জনপ্রিয়তাই রিসালার হাত ধরে আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মোস্তফা ও মামুন সব সময়ই আমার পাশে থাকতো। তাদের কাছে বন্ধু হিসেবে পার্সোনাল কোন বিষয়ই আমি গোপন করতাম না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা আমার ফোন থেকে একটা স্ক্রিনশট (যেটাতে আমার ফোফাতো বোনের সাথে ভিডিও কলে কথা বলছিলাম) নিয়ে যায়।

সেই ফটো এবং ফটো থেকে আর্টিফিশিয়াল ভাবে তৈরী ভিডিও দিয়ে কারা জানি বারবার আমাকে বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইল করে আসছে, কিন্তু তখনো আমি ভাবিনি আমার উপড় এরকম তোফান আসবে।

এক পর্যায়ে গত ২৬ তারিখ বিশিষ্ট হ্যাকার ময়নুল ভাই আমার জিমেইল আইডি, ফেসবুক আইডি হ্যাক করা শুরু করেন। এটার প্রমাণ আমার কাছে আছে। উনার জন্য এই কাজ করা আরো সহজ হয়েছিলো কারণ আমার সব কিছুর পাসওয়ার্ড উনাকে দিয়েছিলাম আমার
ডিসট্রিবিউট একাউন্ট করার জন্য, পরে পাসওয়ার্ড রিকোভারি করে জিমেইল রিকোভারি করে আমার আইডি হ্যাক করেন।
প্রত্যেকটা প্রমাণ স্ক্রিনশট কমেন্টে দেয়া আছে।

গত ৬ তারিখ এর আগে আব্বু উস্তাদ মুজাহিদ বুলবুল সাহেবকে ফোন দেন সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচলা করার জন্য। উস্তাদ বলেন ৬ তারিলহ প্প্রে একদিন ফোন দিয়ে সময় জানাবেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানান নি, আবার ৮ তারিখে বহিষ্কার।

সব প্লানিং যখন ব্যর্থ হয়, তখন তারা আর্টিফিশিয়াল ভাবে তৈরি করা ফোটো ও ভিডিও ফেইক আইডির মাধ্যমে অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়, যা আমি ও আমার পরিবারকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়।
এ ব্যাপারে আমি আইনত যথেষ্ট সহযোগীতা পেয়েছি এবং পরবর্তীতে সব আপডেট আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো।

চিন্তা করুন,
তারা আমাকে বহিষ্কার করেছেন পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই, অথচ সেখানে উল্লেখ করেছেন আমাকে ২মাস আগে জানানো হয়েছে, যা সম্পুর্ন মিথ্যা কথা। এ ব্যাপারে আমার পরিবার ও অবগত নয়, যখন আমার আব্বু জানতে পেরে উস্তাদ মুজাহিদ বুলবুল সাহেব কে কিছু প্রশ্ন করেন, সে উত্তর উনি না দিতে পেরে মুহুর্তেই পোষ্ট ডিলেট করতে বাধ্য হন।

সর্বোপরি,
দুই মির্জাফর (মামুন,মোস্তফা) ও ময়নুল ভাই যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজের পারিবারিক মুহূর্তের ফোটো দিয়ে তৈরী করা আপত্তিকর আর্টিফিশিয়াল ভিডিও দিয়ে মন মগজের বিকৃত মানষিকতা ও তাদের পরিবারের পরিচয় দেয়। তখন তাদের উদ্দেশ্য সহজেই অনুমেয়। মানষিক ভাবে দুমড়ে মুচড়ে যাই আমি। আল্লাহ পাকের মেহেরবানি ও পারিবারিক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছি।
এর পরেও আমি ছোট মানুষ, আমি আপনাদের সবার ছোট, মানুষ হিসেবে আমার ভুল থাকতেই পারে,আমি ভুলের উর্ধ্বে নই,
সমস্ত ভুলের জন্য দয়াময়ের কাছে ক্ষমা চাই, এবং আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ভাইয়েরা কষ্ট পেয়ে থাকলে মাফ করবেন।
আপনাদের দুয়ার মুহতাজ।

অনুরোধ,,,
এই আপত্তিকর ভিডিও দয়া করে আর আপনারা ছড়িয়ে দিবেন না। আইনি সহায়তায় সব সময় আপনাদেরকে এই বিষয়ে আরো ক্লিয়ার করে জানানোর প্রচেষ্টা করছি ইনশাআল্লাহ।

বি:দ্র: যারা যাচাই বাচাই না করে আইডি থেকে এই ভিডিও পোষ্ট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে।

আপনাদের স্নেহাশিস
মারজান মুহাম্মদ রুহি
লামাকাজী, বিশ্বনাথ, সিলেট।

সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) স্মরণে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তারা আউলিয়ায়ে কিরামের চেতনা ধারণ করে ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসাব...
06/05/2025

সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) স্মরণে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তারা আউলিয়ায়ে কিরামের চেতনা ধারণ করে ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে

আযাদী আন্দোলনের অকুতোভয় সিপাহসালার, ঈমানী চেতনার প্রাণপুরুষ, আমীরুল মু’মিনীন, ইমামুত তরীকত, শহীদে বালাকোট হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর স্মরণে মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তারা বলেন, দুনিয়ার দিকে দিকে, বিশেষ করে এ উপমহাদেশে ইসলামের প্রচার-প্রসারে আউলিয়া কিরামের অবদান সবচেয়ে বেশি। যে সকল ওলীআল্লাহ এতদঞ্চলে দ্বীনের খিদমতে নিজেদের জীবন কুরবান করে গিয়েছেন তাঁদের অন্যতম হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)। তিনি উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক, নির্ভীক সিপাহসালার ও যামানার মুজাদ্দিদ। তাঁর আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল- ঈমান, ইসলাম ও ইহসান সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ দ্বীনের সর্বাত্মক প্রতিষ্ঠা। শিরক-বিদ’আত ও কুসংস্কার উচ্ছেদ, সর্বক্ষেত্রে সুন্নাতে নববী কায়িম, বিদেশী আগ্রাসী শক্তি ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের করালগ্রাস থেকে দেশ ও দেশের মযলুম জনতার মুক্তি, শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করে খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ (নববী আদর্শে খিলাফত) প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর জীবন-সাধনা। এ লক্ষ্যসমূহ অর্জনের উদ্দেশ্যে তিনি ‘তরীকায়ে মুহাম্মদিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জীবনব্যাপী আন্দোলন-সংগ্রামের পরিচালনা করে ১৮৩১ সালের ৬ মে তিনি বালাকোটে, জিহাদের ময়দানে শাহাদত বরণ করেন। হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (র.) এর চিন্তাধারা থেকে তিনি যে মিশন শুরু করেছিলেন তা নানা আঙ্গিকে আজো অব্যাহত আছে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত তরীকায়ে মুহাম্মদিয়ার দীপশিখা জ্বলজ্বল করে আলো ছড়াচ্ছে এখনও। তাঁর চেতনাসহ আউলিয়ায়ে কিরামের চেতনাকে ধারণ করে ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) এর সিলসিলার অনুসারীগণসহ দল-মত নির্বিশেষে সকল মুসলিম জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে এদেশে ইসলাম যেমন সগৌরবে প্রতিষ্ঠিত হবে তেমনি বাতিল শক্তি পেছনের দুয়ার দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশের মানুষ যুলুম-নির্যাতন থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল। এমনিভাবে আশা করেছিল যে, এদেশ ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পাবে। কিন্তু আজও সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি বরং এর বিপরিত বাস্তবতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মতের সামান্য ভিন্নতার কারণে ইমামকে হত্যা করা হয়েছে, নারীস্বাধীনতার নামে এদেশে বেহায়াপনাকে প্রতিষ্ঠিত করার পায়তারা চলছে। নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সরাসরি কুরআন সুন্নাহের সাথে সাংঘর্ষিক বহু প্রস্তবনা দেওয়া হয়েছে। এটি ইসলাম ও মুসলমানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। অবিলম্বে এ বিতর্কিত কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করতে হবে। নতুবা এর ফল শুভ হবে না। বক্তারা বিতর্কিত ওয়াকফ বিল স্থগিত না রেখে পরিপূর্ণরূপে এটি বাতিল করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানান এবং অন্তরবর্তী সরকারকে জাতিসংঘের মাধ্যমে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহবান জানান। গাযার মুসলমানদের উপর ইসরাইলী নির্যাতনে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ নির্যাতন বন্ধের আহবান জানান এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদের আয়োজনে পরিষদের আহবায়ক মাওলানা কবি রূহুল আমীন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন হযরত আল্লামা মুফতী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, ছারছীনার পীর ছাহেব হযরত মাওলানা শাহ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. শমশের আলী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক আলহাজ্ব এএমএম বাহাউদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী, সোনাকান্দার পীর ছাহেব হযরত মাওলানা মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, চুনতীর মরহুম পীর ছাহেবের ছাহেবজাদা মাওলানা আব্দুল মালেক মুহাম্মদ ইবনে দীনার নাজাত, কদমচালের পীর ছাহেব মাওলানা মো. আবুল কাশেম, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আ.খ.ম. আবু বকর সিদ্দীক, কুমিল্লার দারুল আমানের পীর ছাহেব মাওলানা শাহ মাহমুদ সিদ্দিকী আল কুরেশি, হবিগঞ্জের নূর মোহাম্মদপুরের পীর ছাহেব মাওলানা শাহ আবু তাহের মো: সালেহ উদ্দিন, ফেনীর সিরাজিয়া দরবারের পীর ছাহেব মাওলানা মোহাম্মদ মহিব্বুল ইসলাম চৌধুরী, গাজীপুর শামসাবাদের পীর ছাহেব মাওলানা মুফতি মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জের এখতিয়ারপুরের পীর ছাহেব মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান, কুমিল্লার শিদলাইয়ের পীর ছাহেব মাওলানা রুহুল আমীন।
বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদের সদস্য, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নজমুল হুদা খান ও মাওলানা নোমান আহমদের যৌথ পরিচালনায় সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ’র সভাপতি ড. মাওলানা এ.কে.এম মাহবুবুর রহমান, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী, মাহমুদা খাতুন মহিলা কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মাওলানা বদিউল আলম সরকার, হলিয়ারপাড়ার সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, মোহাম্মদপুর গাউসিয়া ফাযিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইজহারুল হক, হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু ছালেহ মো: কুতবুল আলম, জমিয়তে যুব হিযবুল্লাহ এর সভাপতি মাওলানা মফিজ উদ্দিন জিহাদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মাওলানা আব্দুল্লাহ যোবায়ের, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, লতিফিয়া কারী সোসাইটি কুমিল্লার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন ফকির, প্রমুখ।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দ্বীনীয়া মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ছারছীনার চেয়ারম্যান ড. মাওলানা সাইয়্যেদ শরাফত আলী, কুমিল্লার বানিয়াপাড়ার পীর ছাহেব মাওলানা মো. আবু বকর ছিদ্দীক আল কাশেমী, সুন্দাদিলের পীর ছাহেব মাওলানা কাজী আলাউদ্দিন আহমদ, আল ইসলাম জহুরিয়া হাজী আইন উদ্দিন দরবারের পীর ছাহেব আলহাজ্জ মো: আজহারুল ইসলাম, রাখালগঞ্জ ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শেহাব উদ্দিন, গোপালদি ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা এ বি এম আব্দুস সালাম, মোহাম্মদপুর গাউসিয়া ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আ ন ম মাহবুবুর রহমান, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী, মাসিক পরওয়ানার সম্পাদক মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মুফতি আবু নছর জিহাদী, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার প্রধান ফকীহ মাওলানা উসমান গণি সালেহী, সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মাকসুদুল হক, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার মুফাসসির মাওলানা মোহাম্মদ আলী, দুর্বাটি কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুর্শেদ আলম ছালেহী, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মুফতি মনজুর হোসাইন খন্দকার প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব মাওলানা সাইফুল কবীর, পিএইচপি কুরআনের আলো এর মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন, ইমাম আযম আবু হানিফা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা মুফতি শাহ আলম, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মনজুরুল করিম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরীর সভাপতি ইমাদ উদ্দিন তালুকদার, সিলেট মহানগরীর সভাপতি হুসাইন আহমদ, সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি জিল্লুর রহমান, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি শেখ রেদওয়ান হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি আবু হেনা ইয়াসিন, মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক নাসির খান প্রমুখ।

সম্মেলনে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী। প্রস্তাবনাসমূহ হলো-
* হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)-এর উত্তরসূরি হিসেবে আমরা গর্বিত। এটি আমরা আগেও ঘোষণা করেছি, এখনও ঘোষনা করছি। সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) ছিলেন রুহবানুল লাইল ওয়া ফুরসানুন নাহার- রাতে ইবাদতগুজার ও দিনে ঘোড়সওয়ার-মুজাহিদ। তাঁর সিলসিলা হক। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শ প্রচার এবং দ্বীনকে বিজয়ী শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সিলসিলার অনুসারী আলিম-উলামা, পীর-মাশায়েখ সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
* জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে অন্তর্র্বতী সরকারের অধীনে নারী সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে। সম্প্রতি এ কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আমরা অত্যন্ত দু:খের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে এমন অনেক প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে যা সরাসরি কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক। এ ধরনের প্রস্তাবনা ইসলামের সাথে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। অবিলম্বে বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করতে হবে। যদি এগুলো বাতিল করা না হয় তাহলে দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
* নারী-শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে গাযার মুসলিম জনতার উপর ইসরাইলের বর্বর হামলা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ আমরা জানাচ্ছি এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমরা বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
* ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ বিল বাতিলের জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি এবং এ দাবি বাস্তবায়নে জাতিসংঘের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আমরা উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম নির্যাতন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও আমরা সরকারের পতি আহবান জানাচ্ছি।
* আমরা মিয়ানমার কর্তৃক অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সম্মানজনক, স্বেচ্ছামূলক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পক্ষে, যা আন্তর্জাতিক তত্তাবধানে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে এ সংক্রান্ত্র যেকোনো উদ্যোগ, যেমন মানবিক করিডর স্থাপন, অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন সাপেক্ষে এবং রাজনৈতিক দলসহ সকল অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতেই হতে হবে।

02/05/2025

ফ্যাসিস্ট রেজিম ও মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরোদস্তুর স্বৈরাচারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ক্ষমতার মসনদ দখল করে রাখেন। এসময় তিনি সংবিধান সংশোধন করে ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার বৈধ পথ তৈরি করেন। ফলে পরপর ৩টি নির্বাচনে ব্যাপকহারে ভোট জালিয়াতির সপ্রমাণ অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কার্যত কোন প্রতিপক্ষ ছাড়াই সংসদ নিজের দখলে রাখেন তিনি। ফ্যাসিবাদের আদলে উন্নয়নের চাকচিক্যের আড়ালে তিনি রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে নিজের ক্ষমতা রক্ষায় ব্যবহার করেন। বিচার বিভাগ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আমলা থেকে শিক্ষক সবকিছুকে তিনি তার রেজিমবান্ধব করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। তিনি নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেন, ভিন্নমতকে পুরোপুরি দমন করেন, আইন করে সমালোচনার পথ বন্ধ করেন, খুন-গুমের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি জাগিয়ে তোলেন। এভাবেই চলছিলো তার দুর্দান্ত শাসন, গণতন্ত্রের মোড়কে ফ্যাসিবাদের অনুষ্ঠানমুখর চর্চা।

সরকার সর্বোত চেষ্টা করেছেন নিজের একক ইচ্ছাকে রাষ্ট্রের ভবিষ্যত নির্মাণের নিরংকুশ নীতি হিসেবে বেছে নিতে, তবুও এই সময়ে কয়েকবার চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। এসবের মধ্যে হেফাজত, ছাত্র অধিকার পরিষদ ইত্যাদি সহ কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যাক্তিবিশেষও ছিলেন এবং মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরীও তাদের একজন ছিলেন।
রেফারেন্স-১: https://www.facebook.com/share/r/6VvEyCTsbXx6p1tX/?mibextid=UalRPS
রেফারেন্স-২: https://www.facebook.com/share/v/qidMseDv3KFC443a/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-৩: https://www.facebook.com/share/v/5e7n7aLDvkQmWz9G/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-৪: https://www.facebook.com/share/v/1BUpcfKHwA63jVTV/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-৫: https://www.facebook.com/share/v/3dTVu4DggBzANjVG/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-৬: https://www.facebook.com/share/v/p778i3eurFsceDVe/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-৭: https://www.facebook.com/share/v/y9xxs6EF9Gfty7u6/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-৮: https://www.facebook.com/share/v/JP1DU4sNDvwwZwto/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-৯: https://www.facebook.com/share/v/zvSM1rXG6ddgUZpd/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-১০: https://www.facebook.com/share/r/wQmzZHydkozXPnA6/?mibextid=UalRPS
রেফারেন্স-১১: https://youtube.com/shorts/y2CRFTe5b1k?si=pQaf1z4gCX_xWMzX
রেফারেন্স-১২: https://www.facebook.com/share/r/fw1NWAvDMbkxzG9Z/?mibextid=UalRPS
রেফারেন্স-১৩: https://youtu.be/K3BrulsnWOo?si=OlHJLtgPA05FjEA8
শিক্ষাব্যবস্থার দুর্দশা নিয়ে তিনি সবসময় সরব ছিলেন। সভা-সেমিনারের মাধ্যমে তিনি এ ব্যাপারে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। এমনকি এই সময়ে স্বৈরাচারের সামনে অনুচ্চারণীয় অনেক সত্যও তিনি দুর্দান্ত সাহসিকতার সাথে উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন- "ফাইজলামি করার আর জায়গা পান না। দেশদ্রোহী বলে মানুষকে শায়েস্তা করতেছেন। সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহী তারা, যারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ডকে অন্যের হাতে বিকিয়ে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় গাদ্দারী হচ্ছে এই ব্যবস্থাপনা যে, অন্য দেশের প্ররোচনায় আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সাজানো হচ্ছে।" তিনি আরোও বলেন, "ইসলামি শিক্ষাকে পিছনে ফেলে কোন সরকার ক্ষমতায় টিকতে পারবেনা"
রেফারেন্স-১: https://www.facebook.com/share/v/uzUyL49ah7kfZ6zA/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-২: https://www.facebook.com/share/r/8ibRfhZebmkGMajV/?mibextid=UalRPS
এরপর সরকারপ্রধান শিক্ষাব্যবস্থা বিষয়ে আলেমদের মতামত কী সেটা জানতে সম্মত হন। মাওলানার নেতৃত্বে দারুন্নাজাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মহোদয় সহ একদল আলেম সরকারের সাথে মিটিং করেন। আলেমদেরকে তাদের দাবী মানার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে পাঠ্যবইয়ে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনা হয়।
রেফারেন্স-:https://www.facebook.com/share/v/TK1mFzimgCvJrW3j/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-: https://www.facebook.com/share/r/LErxmjEfmsDnEgXH/?mibextid=UalRPS

ফ্যাসিবাদ যেহেতু আত্মীকরণের নীতি অনুসরণ করে, এরই ধারাবাহিকতায় মাওলানাকে চাপ দেয়া হয় যেন তিনি সংসদে এসব কথা বলেন। সঙ্গত কারণেই এটা অস্বীকার মানে হচ্ছে পরবর্তীতে কোন দাবী নিয়ে সামনে যাওয়ার পথকে সংকীর্ণ করে তোলা। ফ্যাসিবাদের চাপ কয়েক যুগের দক্ষ রাজনীতিবিদদের যেমন অক্ষম ও অকার্যকর করে দিয়েছিলো, মাওলানার ক্ষেত্রেও এই চাপ সমান শক্তির ছিলো। অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁকে নির্বাচনে দাঁড়াতে হলো, মন্দের ভালো হিসেবে তিনি নৌকা প্রতীক এড়িয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীতা বেছে নেন।

সাংসদ নির্বাচিত হয়ে অল্পদিনে তিনি সংসদে পাঠ্যবইয়ের অসঙ্গতি উল্লেখ, ইসরাইলের ব্যাপারে রাষ্ট্রের ভুল অভিমুখগ্রহণের ইঙ্গিত জ্ঞাপন ইত্যাদি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখেন।
রেফারেন্স:-১: https://www.facebook.com/share/v/HewjEPWNDj8NevFc/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-২: https://www.facebook.com/share/v/XdTb2xuixHUqnmmB/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-৩: https://www.facebook.com/share/v/ZyHqYxNsHwEdmENt/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-৪: https://www.facebook.com/share/v/vD4pWHgKEFoArwVH/?mibextid=SphRi8
রেফারেন্স-৫: https://www.facebook.com/share/v/xSzQP2fShfrhCp6W/?mibextid=SphRi8
নিজের নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানি যাতে না হয়, সেজন্যও তিনি সরব ছিলেন।
রেফারেন্স: https://www.facebook.com/share/Jpv1kWmwEe66dMsV/?mibextid=CTbP7E
গত মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে সরকারের আত্মম্ভরিতা যখন ছাত্র-জনতার রক্তের বন্যা বইয়ে দিচ্ছিলো, তখন তাঁর পৃষ্ঠপোষকতাধীন ছাত্র সংগঠন 'বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া'র মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন (তালামীযের এই আন্দোলনে জড়িত থাকার কিছু রেফারেন্স কমেন্টবক্সে দেয়া হয়েছে) ছাত্রদের উপর হামলার নিন্দা জ্ঞাপন ও এমন বর্বরোচিত হামলাকে স্পষ্টভাবে 'সন্ত্রাসী' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এবং বিভিন্ন মাহফিল-অনুষ্ঠানে তিনি জনমতকে জুলুমের বিপক্ষে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন বটে, কিন্ত তাঁর পরিবার ও সিলসিলার ঐতিহ্য ও অঘোষিত অঙ্গীকার মানুষের মনে যে প্রত্যাশা তৈরি করেছিলো, সে অনুপাতে তাঁর ভূমিকা যথাযথ ছিলো না। তদুপরি এই সংকটে ফ্যাসিস্ট তাঁকে ব্যাবহার করেছে, তাঁর কৌশলী বক্তব্যকে নিজের অনুকূলে পরিবর্তন করে প্রচার করেছে। মাওলানার কৌশলী অবস্থান নয়; বরাবরের মত তাঁর স্পষ্ট জনহিতৈষণা দেখতে পারার যে প্রত্যাশা ছিলো, এখানেই অপ্রাপ্তির ব্যথা তৈরি হয়েছে জনমনে। মিশরে ফরাসি আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের আলেমদেরকে কাছে টানতে নেপোলিয়ন বোনাপার্টের যে প্রচেষ্টা এডওয়ার্ড সাইদ Orientalism এ দেখিয়েছেন, মাওলানা হুছমুদ্দীন চৌধুরীর ক্ষেত্রেও অনুরূপ ধূর্ততার আশ্রয় নিয়েছে ফ্যাসিস্ট রেজিম।

How fascism works (ফ্যাসিজম কিভাবে ফাংশন করে) এর উত্তরে স্টেইনলি জ্যাসন যা বলেছেন, এর সংক্ষিপ্তসার হচ্ছে 'আমরা ও তারা' বলে বিভাজনের রাজনীতির মাধ্যমে ফ্যাসিজম কাজ করে। কারো উপর ক্ষোভ থাকতে পারে, কিন্তু কারো ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক দর্শন যদি অন্যকে আহত না করে, সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে অহেতুক বিদ্বেষ পোষণ বা অপবাদ আরোপ করে কোনঠাসা করার চিন্তা লালন- ফ্যাসিবাদেরই একটি রূপ। যেখানে শাপলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী হেফাজত নেতা আল্লামা আহমদ শফি (রাহি.) শেখ হাসিনার হাতে হাত রেখেছেন (কিংবা অন্তত ফ্যাসিস্ট পরিকল্পিতভাবে এরকম একটি দৃশ্যপট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে), শাপলার মজলুমরা যেখানে স্বৈরাচারের পাশে বসেছেন উল্লসিত হয়ে, যেখানে কওমি উলামার কাছ থেকে রক্তখেকো স্বৈরাচারের উপাধির ঝুলি সমৃদ্ধ হয়েছে 'কওমি জননী' লকব পেয়ে, যেখানে মির্জা ফখরুল স্বাধীনতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ভাসানী, বঙ্গবন্ধু ও অন্যদের গুণকীর্তন করেন কিন্তু তার দলের আদর্শিক ভিত্তিপ্রাণ মেজর জিয়ার নামোচ্চারণ পর্যন্ত করেন না, যেখানে শিবিরকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজেকে আন্তঃপ্রাণ ছাত্রলীগকর্মী প্রমাণ করতে গিয়ে অন্যের ফেইসবুক ওয়ালে হাদীস প্রচার দেখে সন্ত্রস্তচিত্ত হয়ে সতর্কতার পরামর্শ দেন এবং হলের সিট ধরে রাখতে ক্লাস বাদ দিয়ে হাততালি মুখর জয়ধ্বনি উচ্চারণ করে ফ্যাসিবাদের জুলুম এড়ানোর প্রচেষ্টায় ব্যস্ত সময় পার করেন, সেখানে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরীর এই কৌশলী অবস্থানকে দালালী বলা যে ইনসাফ নয়, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখিত ঘটনাগুলোর মত বিষয় সংঘটি করার জন্য ফ্যাসিজম যে কৌশলের আশ্র‍য় নেয়, এটি হচ্ছে ফ্যাসিনেইশন। জার্মান তাত্ত্বিক ওয়াল্টার বেঞ্জামিন ফ্যাসিজমের ফাংশনিং স্টাইলের বর্ণনা দিয়েছেন- "In great ceremonial performances, the mass has to be handled in a way that puts them under the leader's spell and enables him to use them for his own ends."

ফ্যাসিবাদ যুগপৎভাবে বলপ্রয়োগ, ভীতি উৎপাদন ও চোখ ধাঁধানোর কাজ করে। তাই ফ্যাসিবাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কোনটা সঠিক কোনটা সঠিক নয় এটা বোঝা গেলেও, যেটি সঠিক নয় সেটির বিরোধিতা করার সঠিক সময় ও উপযুক্ত পদ্ধতি নির্ধারণ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। এখানে অনেকের ক্ষেত্রে এটা হয়েছে; মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরীর ক্ষেত্রেও। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক না ভুল- সেটা ঠিক ভাবে ধরতে পারা তাঁর পক্ষে কঠিন ছিলো। তিনি তাঁর পূর্বের সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করেছেন, ডান বাম না পেচিয়ে সরাসরিই বলেছেন- "এই নির্বাচনে যাওয়া আমার ঠিক হয়নি।" অবশ্য নির্বাচনকালীন একটি অনুষ্ঠানেও তিনি বলেছিলেন- "আমি নিজের ইচ্ছায় নির্বাচনে আসিনি। নিজেকে কোরবান করে আমি এখানে এসেছি।"

মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী গণমানুষের অধিকারের পক্ষে কথা বলেন, আগেও বলেছেন। দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে বিপর্যস্তের দ্বারস্থ হয়ে নিজ উদ্যোগে সহায়তা করা কিংবা বিচারবঞ্চিত মানুষকে সুবিচার পাইয়ে দেয়ার জন্য নিজেকে যতটুকু প্রয়োজন জড়িত করা– এগুলো তাঁর সূফিধারার কার্যক্রম ও পারিবারিক ঐতিহ্যের অপরিহার্য অংশ। তিনি তাঁর এসব সেবাধর্মী কাজের মাধ্যমে সর্বদা এই দেশে, জনগণের মানসপটে প্রাসঙ্গিক থাকবেন। কারো অপপ্রচার কিংবা বিদ্বেষতাড়িত অপরায়নের চর্চা, তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলতে পারবে না। কেউ চাইলেই কাউকে সম্মানিত কিংবা অসম্মানিত করতে পারে না, এটা করতে পারেন আল্লাহ। আমরা দেখেছি, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন ভিন্নমতের রাজনীতিকে নিস্ক্রিয় এবং নির্মূল করতে চাইলেও একটি অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আল্লাহ তাদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ এনে দিয়েছেন। ফলে আজ তারা নিজেদেরকে ক্ষমতার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন বলে কল্পনা করতে পারছেন, অথচ মাসখানেক আগেও এটা ছিলো সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও কল্পনাতীত।

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সদ্য অতীত রাজনীতি থেকে কেবল ক্ষোভ সঞ্চার, বঞ্চনার স্মৃতিচারণ, প্রতিহিংসার নির্মোঘ প্রতিফলন আর প্রতিশোধ লালন করাই নয়, বরং অভিজ্ঞতাজাত কিছু শিক্ষা গ্রহণও জরুরি। বিরোধীপক্ষকে নির্মূলের চেষ্টা, ভিন্নমত দমন কিংবা এর বিরুদ্ধে ঘৃণা উৎপাদনের রাজনীতি যে পরিপুষ্ট একটি ক্ষমতা মূলোৎপাটনের প্রয়োজনীয়তাকে তীব্রতর করে তোলে, সেটা থেকে শিক্ষা না নেওয়া হলে আগামীর রাজনৈতিক নেতৃত্বকে একই ভাগ্য বরণ করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

সাঈদ আহমদ চৌধুরী, রেফারেন্স সংযুক্তিতে হাবিবুর রহমান হিফজুর।
০৮.০৮.২০২৪ খ্রি

ভারতে ১৪২ কোটি মানুষের মধ্যে একটাও বাংলাদেশের দালাল নাই। ↗️অথচ বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে কয়েক কোটি ইন্ডিয়ার দালাল...
01/05/2025

ভারতে ১৪২ কোটি মানুষের মধ্যে একটাও বাংলাদেশের দালাল নাই। ↗️অথচ বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে কয়েক কোটি ইন্ডিয়ার দালাল।

29/04/2025

২ জন ভারতীয় ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর দুই সদস্যকে আটক।
অতি সম্প্রতি ২ জন ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সদস্য নিজ অস্ত্রসহ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশী কৃষকদের ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা জানতে পেরেই দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ক্যাম্প খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা ছুটে আসেন।
সাধারণ জনতা ও বিজিবি সদস্যরা এভাবেই অস্ত্রসহ ধরে ফেলে ০২ বিএসএফ জাওয়ানকে। পরবর্তীতে ক্ষমা প্রার্থনা করায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Address


Telephone

+447798617032

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Fultali Islamic Views ফুলতলি ইসলামিক ভিউজ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Fultali Islamic Views ফুলতলি ইসলামিক ভিউজ:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share