KL Rahman

KL Rahman @“Good human being, striving for kindness, honesty, and growth in every aspect of life. Believer in positive vibes and meaningful connections.”

05/08/2024
30/07/2024

যুগে-যুগে যত সরকার, যত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কিংবা বড়-বড় entity ডাউনফল করেছে; তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফল করেছে একটা জেনারেশনের পর আরেকটা জেনারেশনের ট্রানজিশনটা ধরতে না পারায়।

জেনারেশন জেড, কিংবা Gen-Z, এই জেনারেশনের ব্যাপারে আমার প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। কারণ মূলত ওরাই আমার ফরমায়েশি লেখা এবং প্রোডাক্ট— দুইটারই টার্গেট কনজিউমার।

ওরা সম্পূর্ণ আলাদা ধাঁচে বড় হয়েছে। ওরা সোশ্যাল মিডিয়া আর ইন্টারনেট দিয়ে ওদের জীবন চালায়। ওদের কোনো ব্যারিয়ার নাই। ওরা Global Citizen। দেশের সীমানা ওদেরকে আটকায় না।

আপনি টিভিতে যা-খুশি, দেখান। লাভ নাই। কেননা ওরা টিভি দেখেই না। এ-কারণে এরা স্বাধীন এবং স্বশিক্ষিত। ওদের learning source ওরা নিজেরাই। শেয়ারিং বেসিসে একজন আরেকজনের কাছ থেকে শেখে এবং পাশে থাকে।

এ-কারণেই Ten Minutes School-এর মতন প্রতিষ্ঠান এত জনপ্রিয়। ওরা ওদের মতোই কারো কাছ থেকে শিখতে চায় এবং খুব দ্রুত শিখতে চায়। দশ মিনিটেই শিখতে চায়।

এই যে দেশের IT সেক্টর নিয়ে আমরা এত বড়াই করি, এই সেক্টরের লাইফ লাইন কারা? এই Gen Z-ই তো। আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কি এগুলো শেখানো হয়?

না, হয় না! তা হলে এরা শিখল কীভাবে?

ওরা নিজে-নিজে শিখেছে। মাসে লাখ-লাখ টাকা কামাই করছে তাদের স্বশিক্ষা দিয়ে, যা আপনার-আমার মতন পুরোনো প্রজন্মের কাছে কল্পনাতীত। তাই আমরা এখনো প্রাগৈতিহাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গৌরব নিয়ে বড়াই করি।

এই যে মীর মুগ্ধ ছেলেটা কপালে গুলি খেয়ে মারা গেল, তার ফাইভার প্রোফাইল দেখলাম। সে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেতন স্কেলের চেয়ে বেশি টাকা মাসে আয় করত।

সে কেন এসেছিল আন্দোলনে? সে দেখেছে তার বন্ধুরা স্ট্রাগল করছে। সে এসেছিল ভলান্টিয়ার হিসেবে। নিজের কামাই করা টাকায় পানি কিনে দিচ্ছিল। পানি খাওয়াতে এসে, কপালে গুলি খেল।

আইইউটি-এর একটা ছেলে মারা গেল, জাহিদুজ্জামান তানভিন। প্যারালাল ল্যান্ডিং করতে পারে— এমন ড্রোন বানিয়েছে সে, যার বাজারমূল্য প্রায় বারো লাখ টাকা। কে শিখিয়েছে তাকে এসব? সে নিজে-নিজে শিখেছে।

বাকি আন্দোলনকারীদের খোঁজ নিন। দেখবেন বেশিরভাগই এরকম। স্বশিক্ষিত ছেলেমেয়ে। যারা উল্টাপাল্টা সহ্য করতে পারে না।

এই যে স্বশিক্ষা এবং স্বনির্ভরতা এই দুইয়ের কারণে এদের আত্মমর্যাদা প্রচণ্ড রকমের। আপনি জাস্ট তাদেরকে অপমান করতে পারবেন না পূর্ববর্তী জেনারেশনেগুলোর মতন।

জেন-জির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হলো ওরা খুব ডিরেক্ট। যা চায় সরাসরি বলবে, যা করতে চায় সরাসরি করবে।

ঘোরানো-প্যাঁচানো ডিপ্লোম্যাসিতে ওরা খুব বিরক্ত হয় এবং যেহেতু ওরা পৃথিবীর সবকিছুরই কম বেশি জ্ঞান রাখে (মিনিটে-মিনিটে Google করে) ওরা খুব ভালো করেই বোঝে কোনটা মুলা ঝোলানো আর কোনটা আন্তরিকতা।

এর আরেকটা উদাহরণ দিই, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের মতন বুদ্ধিজীবীকে মোটামুটি মুছে দিতে তাদের একদিনও সময় লাগেনি। এ-রকম ভয়ংকর বুদ্ধিবৃত্তিক পতন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর একটাও ঘটেনি আমার জানামতে।

এর কারণ জাফর ইকবাল ডিরেক্ট না। তার ভুলকে ভুল, ঠিককে ঠিক বলার মতন সাহস কিংবা ইচ্ছে ছিল না। এর ফলে ওনার বুদ্ধিজীবী থেকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীতে রুপান্তরিত হতে একদিনও লাগেনি।

মিলেনিয়ালদের মধ্যে যদি আপনি খোঁজ নেন দেখবেন বিশজনে হয়তো একজন নিজের জীবনের বাইরে বর্তমান পৃথিবীর খবর রাখছে। কিন্তু জেন-জি প্রতি দশে পাঁচজনই এসব খবর কম-বেশি রাখে।

এই যে গত ছয়-সাত বছরে অনেকগুলো আন্দোলন হলো দেশে, দুই দফা কোটা, এক দফা সড়ক-আন্দোলন, ছোট একটা কোভিড-আন্দোলন। ওদের কথা একটাই ছিল— বদলান। পরিবর্তন আনেন। হয় করেন, না পারলে সরেন।

সরকার পরিবর্তন তো চায়নি ওরা। চেয়েছিল সরকারের মন-মানসিকতার পরিবর্তন। একটু চিন্তা করুন। যখন সরকার নিজেকে মডিফাই করতে অস্বীকার করল, তখন ওরা বলল— এবার তাহলে হোক সরকার পরিবর্তন।

জেন-জির সহজাত প্রবৃত্তি এটাই। রাষ্ট্র বোঝেইনি তাদের সাইকোলজি। কেননা রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের কাছে এই জেনারেশনের উপর কোনো প্রপার রিসার্চ নাই। সেই প্রাগৈতিহাসিক divide and rule দিয়ে তাদেরকে দমন করতে গিয়ে উল্টো আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন।

এই যে পুলিশের সাথে ক্ল্যাশ হলো। পুলিশের কাজ ওদের ভালো লাগেনি। ওরা শ্লোগান দিল— 'পুলিশ চুদি না।'

আপনি-আমি এটাকে গালি হিসেবে নেব। কিন্তু ওরা বোঝাচ্ছে আমরা পুলিশকে কেয়ার করি না। । ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত ওরা দিনে কম করে হলেও বিশবার I don't give a f**k (I don't care) কথাটা শোনে। তারই স্রেফ বাংলা অনুবাদ এইটা।

এই যে গালি। এইটা ওদের রাগ-ক্রোধ প্রকাশের ভাষা। এই ভাষাকে অস্বীকৃতি দিতে পারেন কিন্তু অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।

একইভাবে তাদের ওপর গুলি করার পর তারা 'বন্দুক চুদি না' বলে বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আপনি আমি হয়তো অনেক লম্বা শব্দ চয়ন করতাম।

যেমন ধরুন 'যুগে যুগে বন্দুকের নল কিংবা বুলেট দিয়ে কোনদিন কোন রাষ্ট্র ছাত্র-আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারেনি' অথবা 'আমরা বীর বাঙালি ছাত্রসমাজ এসব বন্দুকের গুলির পরোয়া করি না।' সাথে ৫২-৬৯-৭১ এ-রকম কতকিছুই!

কিন্তু ওরা এক লাইনে শেষ করে দিয়েছে— বন্দুক চুদি না।

ধরুন, রাষ্ট্র গালি খেয়ে গুলি করে দিল। এবার যেমন করেছে। তখন ওরা কি ভয় পায়? না! পায় না! কেননা রাষ্ট্র তাদের আত্মসম্মানে আঘাত করেছে। তারা জানে রাষ্ট্র ভুল এবং রাষ্ট্রকে তার ভুল সংশোধন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে অপমান করেছেন। তারা রাস্তায় আন্দোলনে চলে এসেছে। ছাত্রলীগ তাদেরকে পিটিয়েছে, ওরা আরও বেশি অপমানিত হয়েছে, আন্দোলন আরও তীব্র হয়েছে। আর গুলি করাটা ছিল ভীমরুলের চাকে ঢিল মারার মতন।

ওরা তখন বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রেখে ডিরেক্ট জিজ্ঞেস করেছে, 'খানকির পোলা, গুলি করলি কেন?'

এই ডিরেক্টনেসের কারণে তারা প্রথাগত chain of command ভাঙতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না।

একটা জিনিস লক্ষ করেছেন কি না, এই শিক্ষার্থীরা আগে নিজেরা আন্দোলনে নেমেছে। তারপর তাদের বাবা-মা'দেরকেও সেই আন্দোলনে নিয়ে এসেছে। এইটা যে কী ভীষণ রকমের একটা বিপ্লব, চিন্তা না করলে বোঝা যাবে না।

একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন ব্যাপারটা। যেখানে নিরাপত্তার জন্যে পরিবার আন্দোলনে যেতে বাধা দেয়, সেখানে তারা পরিবারকে উলটো নিয়ে এসেছে আন্দোলনে। এদের এই ডিরেক্টনেস এই অদ্ভুত লিডারশিপ অ্যাবিলিটি নিয়ে এসেছে।

কারণ এদের ডিসিশন মেকিং খুবই খুবই ফাস্ট। যেসব তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে একটা সিদ্ধান্তে যেতে হয়। তারা অলরেডি সেগুলো মাথায় নিয়ে ঘোরে। এ-কারণেই তাদের অপিনিয়ন পরিবারের কাছে এখন প্রায়োরিটি পায়।

এরকম একটা সিনারিও বলি, মনে করুন অফিসের বস তাকে পাত্তা দিচ্ছে না বা তার চাহিদা মেটাচ্ছে না। এই অবস্থায় ওরা ডিরেক্ট ওই বসের উপরের লেভেলের বসের কাছে তার দাবি নিয়ে চলে যাবে। কীভাবে? ইমেইল করবে কিংবা লিংকডইনে সরাসরি যোগাযোগ করবে।

এরপরেও না পোষালে সরাসরি চাকরি ছেড়ে দেবে। কিন্তু, যদি, অথবা এসব প্যাঁচানো বিশ্লেষণ দিয়ে তাদের বোঝানো যায় না। পারবেনও না। ওরা সোজাসাপ্টা মানুষ। প্যাঁচ কম।

এর কারণ হচ্ছে, ওরা জন্মের পর থেকেই মাল্টিপল অপশনের দুনিয়ায় বড় হয়েছে। মুভি দেখছে, পছন্দ হয়নি, ক্লোজ করে আরেকটায় চলে যাবে। নেটফ্লিক্সের মতন প্লাটফর্মের কারণে তাদের কাছে লাখ-লাখ অপশন।

একই ব্যাপার গান শোনা, বই পড়া, রাজনীতি, নেতা থেকে শুরু করে প্রেম-ভালোবাসা পর্যন্ত। না পোষালে আবেগের ভার নিয়ে এরা বসে থাকে না। They just quit and move on.

গতকাল জানলাম ওরা ইউটিউব, নেটফ্লিক্স কিংবা টুইটারে ভিডিও দেখে 1.5x গতিতে। মানে যে গতিতে ভিডিওটা করা হয়েছে তার দেড় গুণ গতিতে। কারণ স্লো কোনকিছুই এই জেনারেশন পছন্দ করে না।

মোটামুটি সব বড় গবেষণায়ই দেখা গেছে যে, অনলাইনে ৭ সেকেন্ড হচ্ছে তাদের অ্যাটেনশন টাইম। এই টাইমের মধ্যে তাদের এটেনশন ধরতে পারলে পেরেছেন, না পারলে they just move on to the next thing।

তো এই হচ্ছে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। ওরা নেতা হিসেবে বুর্জোয়া Diplomat চায় না। ওরা চায় clean, fair and precise মানুষদেরকে নেতা হিসেবে যারা কথা কম বলে to the point কাজ করবে এবং প্রায়োরিটি বেসিসে অ্যাকশন নেবে। একইভাবে ওরা পলিসি মেকিংয়েও এসব মারফতি প্যাঁচঘোঁচ চায় না।

সামনের সময়টা খুব কঠিন আমাদের পূর্ববর্তী জেনারেশনের নেতাদের জন্যে। বিশেষ করে Boomers কিংবা Gen X-দের জন্যে। ২০০০-পূর্ববর্তী জেনারেশনগুলোর মতন বাজেভাবে এই জেনারেশনকে ট্রিট করলে আমও থাকবে না, ছালও থাকবে না।

30/07/2024
প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে আসলে তাদের এভাবেই সম্মান দিবা! তারা কি জিনিস ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝানো লাগবে না আর😇
30/07/2024

প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে আসলে তাদের এভাবেই সম্মান দিবা! তারা কি জিনিস ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝানো লাগবে না আর😇

𝐄𝐢𝐝 𝐀𝐥-𝐀𝐝𝐡𝐚 𝐌𝐮𝐛𝐚𝐫𝐚𝐤 from our family to yours! 🕌ᡣ𐭩
16/06/2024

𝐄𝐢𝐝 𝐀𝐥-𝐀𝐝𝐡𝐚 𝐌𝐮𝐛𝐚𝐫𝐚𝐤 from our family to yours! 🕌ᡣ𐭩

Address

Manchester
M130QX

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when KL Rahman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share