MD SUMON MIAH

MD SUMON MIAH Md Sumon Miah - Leader of Bangladesh Chhatra League | A symbol of youth, progress, and patriotism | Committed to student welfare and nation-building.

08/08/2025
05/08/2025

৫ আগস্ট: পুলিশ হত্যা দিবস, একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি

ইতিহাসের পাতায় প্রতিটি দিনের একটি নিজস্ব পরিচয় থাকে। কোনো দিন আসে মুক্তির বার্তা নিয়ে, কোনো দিন আবার রেখে যায় গভীর ক্ষতচিহ্ন। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের জন্য এমনই একটি রক্তাক্ত অধ্যায়, যা নিছক রাজনৈতিক পট পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও আইনের শাসনের ওপর এক পাশবিক আক্রমণের দিন। এই দিনটিকে যারা 'গণঅভ্যুত্থান' বা 'বিজয়' হিসেবে উদযাপন করতে চায়, তাদের অবশ্যই আয়নায় সেইসব কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মুখচ্ছবি দেখতে হবে, যাদেরকে পরিকল্পিতভাবে এবং নৃশংসতম উপায়ে হত্যা করা হয়েছিল। ৫ই আগস্ট তাই নিছক একটি তারিখ নয়, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘পুলিশ হত্যা দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়া এক জাতীয় ট্র্যাজেডি।

তারা শত্রু ছিলেন না, রাষ্ট্রের রক্ষক ছিলেন
বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী নন; তারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শপথবদ্ধ কর্মচারী। তাদের একমাত্র দায়িত্ব দেশের আইনকানুন সমুন্নত রাখা, নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। ৫ আগস্ট তারিখে যে পুলিশ সদস্যরা নিহত হয়েছেন, তারা তাদের পবিত্র দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারা কোনো অন্যায় করেননি, বরং রাস্তায় সৃষ্ট হওয়া নৈরাজ্য ও সহিংসতা থেকে সরকারি সম্পত্তি এবং সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলেন। একটি রাষ্ট্রের প্রতীকী রক্ষকদের ওপর এমন পরিকল্পিত আক্রমণ প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপরই আক্রমণ। কর্তব্যরত অবস্থায় তাদের হত্যা করা কোনো বিচ্ছিন্ন ক্ষোভের প্রকাশ হতে পারে না, এটি সুস্পষ্টভাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত ও সুসংগঠিত
৫ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলাগুলো কোনো স্বতঃস্ফূর্ত গণরোষের ফল ছিল না। এগুলো ছিল সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও নির্দেশের ফসল। দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে পুলিশ স্টেশন, পুলিশ বক্স এবং পুলিশ লাইন্সে হামলা চালানো হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্রে দেখা গেছে, হামলাকারীরা সংগঠিত ছিল এবং তাদের লক্ষ্য ছিল পুলিশ সদস্যদের টার্গেট করে হত্যা করা। নিরস্ত্র বা কোণঠাসা পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ধরে পিটিয়ে, কুপিয়ে এবং পুড়িয়ে মারার যে দৃশ্য বিশ্ববাসী দেখেছে, তা কোনোভাবেই একটি গণ-আন্দোলনের চরিত্র হতে পারে না। এটি একটি প্রশিক্ষিত গোষ্ঠীর ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড, যার উদ্দেশ্য ছিল আইনশৃঙ্খলার কাঠামোকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে দিয়ে দেশে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা।

হত্যার নৃশংসতা মানবতাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে
যেকোনো মৃত্যুই দুঃখজনক, কিন্তু ৫ আগস্ট পুলিশ সদস্যদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। তাদের মৃত্যুর পর লাশের ওপর উল্লাস করা, মৃতদেহকে অপমান করা এবং সেই পাশবিকতার ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে, হামলাকারীদের উদ্দেশ্য কেবল হত্যা ছিল না, বরং পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া এবং সমাজে চরম আতঙ্ক তৈরি করাও ছিল। এই ধরনের নৃশংসতা কেবল আইনের লঙ্ঘন নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। যে ‘আন্দোলন’ তার প্রতিপক্ষকে নিরস্ত্র অবস্থায় পেয়ে এমন পাশবিক আচরণ করতে পারে, তার নৈতিক ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলাই স্বাভাবিক। এই সদস্যরা কারও সন্তান, কারও স্বামী বা কারও বাবা ছিলেন। তাদের পরিবারগুলো কোনোদিন এই ভয়াবহ স্মৃতি থেকে মুক্তি পাবে না।

গুজব ও বিদ্বেষমূলক প্রচারণার শিকার পুলিশ
এই হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে চলা পরিকল্পিত গুজব ও বিদ্বেষমূলক প্রচারণার মাধ্যমে। পুলিশ বাহিনীকে ‘দলীয় লাঠিয়াল বাহিনী’, ‘জুলুমকারী’ ইত্যাদি অভিধায় আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণদের মনে তীব্র ঘৃণা তৈরি করা হয়। এই পরিকল্পিত ডিহিউম্যানাইজেশন বা অমানবিকীকরণের ফলেই পুলিশ সদস্যদের রক্তকে ‘বৈধ’ করে তোলার একটি সামাজিক ছাড়পত্র তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। যখন একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে তার মানবিক পরিচয় মুছে দিয়ে কেবল ‘প্রতীকী শত্রু’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তখন তাদের ওপর যেকোনো আক্রমণ সহজ হয়ে যায়। ৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল এই ঘৃণার রাজনীতিরই চূড়ান্ত পরিণতি।

ন্যায়বিচার ও জাতীয় স্বীকৃতি অপরিহার্য
৫ আগস্ট নিহত পুলিশ সদস্যরা কোনো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাননি; তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের এই আত্মত্যাগ যদি যথাযথ স্বীকৃতি না পায়, তবে ভবিষ্যতে আর কেউ রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে এগিয়ে আসবে না।

তাই, এই দিনটিকে ‘পুলিশ হত্যা দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া আজ সময়ের দাবি। এর মাধ্যমে আমরা কেবল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাব না, বরং রাষ্ট্র ও তার রক্ষকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে আকারহীন করার একটি শক্তিশালী বার্তা দেব। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

রাজনৈতিক বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের মনে রাখতে হবে, পুলিশের উর্দি পরা মানুষগুলো আমাদেরই ভাই, আমাদেরই সন্তান। রাষ্ট্রের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে তাদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানানো আমাদের জাতীয় কর্তব্য। ৫ আগস্ট হোক সেই আত্মত্যাগকে স্মরণ করার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার শপথের দিন।

লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

#পুলিশ_হত্যা_দিবস #৫আগস্ট
#রাষ্ট্রের_জন্য_আত্মত্যাগ #আগস্টের_কালো_দিবস

গণতন্ত্র, ছাত্র-জনতা-পুলিশ হত্যা দিবস:বিচার হবে, গণতন্ত্র ফিরবে, অগ্রগতি আসবে---- জনতার আবেগ, ন্যায় ও মূল্যবোধ, সম্মিলিত...
05/08/2025

গণতন্ত্র, ছাত্র-জনতা-পুলিশ হত্যা দিবস:
বিচার হবে, গণতন্ত্র ফিরবে, অগ্রগতি আসবে
----

জনতার আবেগ, ন্যায় ও মূল্যবোধ, সম্মিলিত শক্তি, তারুণ্যের প্রতিবাদী চেতনা ও অংশগ্রহণকে অপব্যবহার করে, ঘাতকরূপে ঢুকে আঘাত করে অনুভূতি জাগিয়ে, হত্যা করে ক্ষোভ ছড়িয়ে, পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে সন্ত্রাস করে, সমাজ-রাষ্ট্র-আইন-গণতন্ত্রকে জিম্মি করে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণতন্ত্র, ছাত্র-জনতা-পুলিশ হত্যা দিবসে পরিণত হয়েছে।

স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি, জামায়াত-শিবির, মৌলবাদি-সাম্প্রদায়িক শক্তি, সন্ত্রাসী-জঙ্গি গোষ্ঠীর ‘কমান্ডার’ ইউনূস ভয়ঙ্কররূপে জুলাই-আগস্টে শুরু করা হত্যা-হামলা-সন্ত্রাস-ধ্বংসযজ্ঞ অবিরত পরিচালনা করে চলেছে। গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি, আইনের শাসন, কথা ও কলমের অধিকার, মানবাধিকার, ভোট সবকিছু আজ মুমূর্ষু অবস্থায় আইসিইউতে।গোটা দেশটাই আজ গণতন্ত্রের গোরস্থান। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ-খণ্ডিত রাষ্ট্রে পরিণত হবার উপক্রম।

ইনডেমনিটি দিয়ে ইউনূস তার জঙ্গি-সন্ত্রাসী বাহিনীকে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা দিয়েছে। অবাধে মানবতাবিরোধী অপরাধ পরিচালনায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। জঙ্গলের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। গণতন্ত্র, ছাত্র-জনতা-পুলিশ হত্যাকারী অপশক্তিকে ক্ষমতার মসনদে বসিয়েছে। মানুষকে মূল্যহীন-মর্যাদাহীন-সম্ভাবনাশূণ্য প্রাণিতে পরিণত করেছে। হতাশা-ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়িয়েছে মস্তিষ্কে-জনপদে। বুকফাটা আর্তনাদ, বোবাকান্না ও গোঙ্গানিতে ভারি বাতাস।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবোধকে ধারণ করে মানুষের যে প্রত্যাশা তার সম্মিলিত শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, মেটিকুলাস ডিজাইন, কিলিং মিশন ও টার্গেট কিলিং এর শিকার ও আহতের জন্য ন্যায়বিচারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এবং তারুণ্যের অপ্রতিরোধ্য স্পৃহাকে সাথে নিয়ে এই অত্যাচার-পশ্চাৎপদতাকে অবশ্যই বন্ধ-বাতিল করা হবে, বিচার করা হবে।

তারুণ্যের অনুভূতি-নিঃশ্বাস ধারণ করে, তারুণ্যের ভাষায় কথা বলে, তারুণ্যের নেতৃত্বেই বাংলাদেশবিরোধী সকল অপশক্তিকে উৎখাত করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ফিরিয়ে আনবে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, অগ্রগতি ও মানুষের মর্যাদা।

গণতন্ত্র, ছাত্র-জনতা-পুলিশ হত্যা দিবসে সকল শহিদ ও আহতের প্রতি শ্রদ্ধা। তাঁরা আমাদের শক্তি-সাহস।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

শুভ জন্মদিন শহীদ শেখ কামালআজ ০৫ আগস্ট, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এ...
05/08/2025

শুভ জন্মদিন
শহীদ শেখ কামাল

আজ ০৫ আগস্ট, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামালের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী।

১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাঁকেও ঘাতকরা হত্যা করে।

বহুমাত্রিক তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী শহীদ শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে মঞ্চ নাটক আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনি প্রথমসারির একজন সংগঠক ছিলেন। শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধূলায় প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল তাঁর। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক ‘আবাহনী ক্রীড়াচক্র’ এর প্রতিষ্ঠাতা। শহীদ শেখ কামাল এই দেশের নান্দনিক ফুটবল ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য দেশীয় খেলার মান উন্নয়নে তাঁর অক্লান্ত শ্রম দিয়ে অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন। নতুন নতুন খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে তুলতেন এবং তাদের নিয়ে নিয়মিত অনুশীলন করতেন। ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক শেখ কামাল অমর হয়ে থাকবেন তাঁর সৃষ্টি আবাহনীর মাঝে। বাংলাদেশ তাঁকে মনে রাখবে আধুনিক ফুটবলের পথিকৃৎ হিসাবেও।

শেখ কামাল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের একজন কার্যকরী সদস্য ছিলেন। ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর এইড ডি ক্যাম্প (এডিসি) হিসেবে কাজ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।

শুভ জন্মদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও বিনম্র শ্রদ্ধা। শহীদ শেখ কামালের মতো একজন দেশপ্রেমিক ও সংগঠক বাংলাদেশের প্রতিটি তরুণকে অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করবে এবং সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করবে।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপোষহীন সংগ্রামে দখলদার বাহিনী কোনো মা*মলা ছাড়াই কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক ফাহিমকে অ...
05/08/2025

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপোষহীন সংগ্রামে দখলদার বাহিনী কোনো মা*মলা ছাড়াই কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক ফাহিমকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। সারাদেশে এভাবেই চলছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর দখলদার বাহিনীর নির্বিচার গণগ্রেফতার। এই অপশাসনের শেষ কোথায়?

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উক্ত গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও জোড়ালো প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

াংলা
্গবন্ধু

আজ ৫ আগস্ট পুলিশ হত্যা দিবস 😭🇧🇩
05/08/2025

আজ ৫ আগস্ট পুলিশ হত্যা দিবস 😭🇧🇩

বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে এক সাহসী সৈনিকের নাম শেখ কামালএম নজরুল ইসলাম—-কত দিন হয়ে গেল দেখি না তাঁকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে...
04/08/2025

বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে এক সাহসী সৈনিকের নাম শেখ কামাল

এম নজরুল ইসলাম
—-

কত দিন হয়ে গেল দেখি না তাঁকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণচঞ্চল ক্যাম্পাসে তিনি নেই। নেই ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগের অফিসে। হৃদয় খুঁজে ফেরে প্রাণোচ্ছল সেই মানুষটিকে, কোথাও তাঁর দেখা মিলে না। দীর্ঘ প্রবাসজীবনেও মধ্যে মধ্যে নাড়ির টানে দেশে যাই। ঢাকার ব্যস্ত জনপদে খুঁজি তাঁকে। তিনি নেই। শুধু স্মৃতিতে ভাসে সেই দীপ্তিময় চোখ। সেই প্রশান্ত মুখ ভুলি কী করে? দৃষ্টির সম্মুখে তিনি নেই, এটা ঠিক। কিন্তু চোখ বন্ধ করলে এখনো দেখতে পাই সেই দীর্ঘ ঋজু দেহ। পুরু গোঁফের নিচে প্রশ্রয়ের স্মিত হাসি। চোখে কালো ফ্রেমের মোটা কাচের চশমা। পরিপাটি করে আঁচড়ানো চুল। এক উচ্ছল তরুণের প্রফাইল আজও স্পষ্ট হৃদয়ের অ্যালবামে।

১৯৭২ সালের পর থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্য আগস্ট পর্যন্ত এক প্রাণবন্ত সময় কাটিয়েছি আমরা। তারুণ্যের সেই সূচনালগ্নে ভেসেছি প্রাণের উচ্ছ্বাসে। সদ্যঃস্বাধীন দেশে নিয়েছি বুকভরে নিঃশ্বাস। ছাত্ররাজনীতি থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, খেলার মাঠ থেকে নাটকের মঞ্চ—সর্বত্রই ছিল আমাদের প্রাণোচ্ছল উপস্থিতি। সদ্যঃস্বাধীন দেশে আমরা ডানা মেলে উড়ছি তখন। এই আকাশ আমার। এই আলো, এই বাতাস—সব যেন নিজের মতো করে পাওয়া। স্টেডিয়াম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, টিএসসি থেকে মধুর ক্যান্টিন—আমাদের কলরবে মুখর তখন। আমাদের মুখর তারুণ্যকে প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরিয়ে দেওয়া মানুষটির নাম শেখ কামাল। আমাদের কমান্ডার। হ্যাঁ তাইতো। আমাদের কাছে তো তিনি শেখ কামাল নন। তিনি ছিলেন আমাদের কমান্ডার। এই নামেই তো আমরা চিনতাম, ডাকতাম তাঁকে।

খুব বেশিদিন আগের কথা তো নয়। স্মৃতির সেলুলয়েডে আজও দেখতে পাই, শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের ঠিক উল্টো দিকে ৩০ মিরপুর রোডে ছিল ছাত্রলীগের অফিস। দোতলা বাড়ির নিচতলায় মহানগর ছাত্রলীগের এবং দোতলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অফিসে আমারও তো নিত্য যাতায়াত ছিল। বয়সে কনিষ্ঠ হলেও ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি তখন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিনিধি হিসেবে আমার ওপর এ দায়িত্ব অর্পিত হয়। আজো মনে পড়ে, তখন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন সৈয়দ নূরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফিকুর রহমান। ঐ কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু বর্তমানে সুইডেনে মূলধারার রাজনীতির সাথে সক্রিয়। তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভিপি ছিলেন আমিনুল ইসলাম জিন্নাহ, জিএস ছিলেন ফজলে এলাহী মোহন।

ছাত্ররাজনীতির সাংগঠনিক পরিচয়ের গণ্ডি পার হয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ হতে সময় লাগেনি। আমার দিক থেকে সংকোচ যে ছিল না, তা নয়। সংকোচ ও ভয় দুটোই ছিল। সদ্যঃস্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তিনি। স্বাভাবিকভাবেই একটি দূরত্ব তৈরি হওয়ার কথা; কিন্তু কামাল ভাইয়ের ব্যক্তিত্ব ও মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার অসামান্য ক্ষমতা সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে দিতে একটুও সময় নেয়নি। ব্যাপারটা শেষাবধি এমন হয় যে প্রতিদিন একাধিকবার দেখা হওয়াটাই ছিল নিয়মিত রুটিন।
শেষ কবে দেখেছি তাঁকে? না, সে হিসাব করা নেই। হিসাব রাখারও তো কোনো প্রয়োজন ছিল না। রোজ যাঁর সঙ্গে দেখা হচ্ছে, স্মিত হাসি দিয়ে পিঠের ওপর হাত রেখে কাজ করার সাহস জোগাচ্ছেন যিনি—তাঁর সঙ্গে শেষ কবে দেখা হয়েছে, এমন হিসাব কষার তো কোনো প্রয়োজন নেই। কোথায় দেখিনি তাঁকে। সদ্যঃস্বাধীন দেশে তখন আমরা ডানা মেলে উড়ছি যেন। চারদিকে আনন্দের জোয়ার। সেই জোয়ারে তিনি দক্ষ এক সংগঠকের ভূমিকায়। গানের আসরে তাঁকে পাই। নাটকের মঞ্চে তাঁর সপ্রাণ উপস্থিতি। খেলার মাঠে তিনি তো আছেনই। রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয়েও তিনি উপস্থিত। সকালে দেখছি তাঁকে। বিকেলেও সেই হাসিমুখে টেনে নিচ্ছেন কাছে। অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী এই তরুণ যেকোনো মানুষকে অনায়াসে কাছে টানার শক্তি রাখতেন। জানতেন কী করে সংগঠনকে প্রাণবন্ত রাখতে হয়।

শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় উৎসাহী শেখ কামাল স্বাধীনতার পর আবির্ভূত হন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে। উপমহাদেশের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠন ও আধুনিক ফুটবলের অগ্রদূত আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। রাজনীতিতে তাঁর অবদান কম নয়। ছাত্রলীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য। শাহাদাতবরণের সময় ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কমিশন লাভ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণের সময় তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্য রকম একটা জোয়ার আনার চেষ্টা করেছিলেন শেখ কামাল, বিশেষ করে ছাত্ররাজনীতির গুণগত মানের পরিবর্তনের চেষ্টা ছিল তাঁর। সরকারের প্রধান নির্বাহী ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির ছেলে হয়েও দলের উঁচু পদের দিকে তাঁর কোনো মোহ ছিল না। সাধারণ কর্মী হিসেবেই কাজ করতেন তিনি। ছিলেন উদ্যমী পুরুষ। সংস্কৃতি অঙ্গন থেকে খেলার মাঠ—সর্বত্র সমান দাপট।

এই প্রাণবন্ত তরুণ প্রতিভাকে যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি। মূল্যায়ন দূরের কথা, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাঁর চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ তাঁর শিল্পীমনের পরিচয় কজনের জানা আছে? অনেকেই হয়তো জানেন না, শেখ কামাল চমৎকার সেতার বাজাতেন। ছায়ানটের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে দেশের সংগীতজগতে পপসংগীতের যে উত্থান, তার নেপথ্যেও শেখ কামালের অবদান খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে সেই সময়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’, যে দলটি দেশের সংগীতজগতে আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়েছিল সেই সত্তরের দশকের প্রথমার্ধে। দেশের নাট্য আন্দোলনের ক্ষেত্রে শেখ কামাল ছিলেন প্রথম সারির সংগঠক। ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাও। অভিনেতা হিসেবেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

আজকের দিনে যখন নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে সাম্প্রদায়িক শক্তি, যখন স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেই চলেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল—তখন শেখ কামালের মতো একজন দক্ষ সংগঠকের অভাব বোধ করি।
আজ তাঁর মতো নেতৃত্ব বড় প্রয়োজন এই দেশে। কিছু মীরজাফরদের কাঁধে ভর করে বর্গিরা যখন এ দেশে হানা দেয়. চট্টগ্রাম বন্দর, সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজারকে কেড়ে নিতে চায়, তখন শেখ কামালের মতো প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বড় বেশি প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা আবার যখন আস্ফালন করে, দেশকে পেছনে নিতে চায় তখন কামাল ভাইয়ের মতো মুক্তিযোদ্ধার রণহুংকার বড় বেশি প্রয়োজন। বাংলাদেশকে আজ আবার যারা পাকিস্তান বানাতে চায় তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে কামাল ভাইয়ের মতো সংগঠক চাই। কামাল ভাইয়ের আদর্শের অনুসরণ চাই। এই বাংলাদেশকে তার সঠিক অক্ষে ফিরিয়ে নিতে হবে। আর সেটিই হবে কমান্ডার কামাল ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একমাত্র পথ।

আজ ৫ আগস্ট, জন্মদিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেই প্রাণময় তরুণকে, যাঁর প্রেরণা একদিন আমাদের মতো তরুণদের উজ্জীবিত করেছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনীতিতে। তিনিই তো আমাদের দীক্ষা দিয়েছিলেন দেশপ্রেমের মন্ত্রে।

লেখক : সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়াপ্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক

৫ই আগষ্ট বাংলাদেশে কোন বিপ্লব হয় নাই হয়েছে মেটিকিউলাস ডিজাইনে জ*ঙ্গি হাম*লা,সাজানো গোছানো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংল...
04/08/2025

৫ই আগষ্ট বাংলাদেশে কোন বিপ্লব হয় নাই হয়েছে মেটিকিউলাস ডিজাইনে জ*ঙ্গি হাম*লা,সাজানো গোছানো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে ধ্বং*স*যজ্ঞে পরিনত করছে ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা,

৫ই আগষ্ট জ*ঙ্গি হামলার মাধ্যমে ছাত্র জনতা পুলিশ হ*ত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরীতে পোষ্টারিং

৫ আগস্ট বাংলাদেশ হারিয়েছে তার জাতির পরিচয়, আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বৈশ্বিক মর্যাদা রক্ষার লড়াই চলবেই। জয় বাংলা।
04/08/2025

৫ আগস্ট
বাংলাদেশ হারিয়েছে তার জাতির পরিচয়,
আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বৈশ্বিক মর্যাদা রক্ষার লড়াই চলবেই।

জয় বাংলা।

যে দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙানো ছিল, সেই দেয়ালেই কি এখন লেখা হবে 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ'?পিরোজপুরের নেছারাবাদে একটি সরকারি...
04/08/2025

যে দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙানো ছিল, সেই দেয়ালেই কি এখন লেখা হবে 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ'?

পিরোজপুরের নেছারাবাদে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি জোর করে নামানো হয়েছে। একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ এটি, যার লক্ষ্য বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা। যারা আজ ক্ষমতায় বসে আছে, তারা জানে, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে পারলেই এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করা সম্ভব। তাই তারা স্কুল-কলেজ, সরকারি অফিস থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে ফেলার এই নীচু খেলায় মত্ত হয়েছে।

একজন ঠিকাদার বিদ্যালয়ে এসে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখে রেগে গেছেন বলে যে অজুহাত দেওয়া হচ্ছে, তা হাস্যকর। সেই ছবি দশকের পর দশক ধরে সেখানে টাঙানো ছিল, কেউ কখনো আপত্তি করেনি। আজ হঠাৎ করে এই আপত্তির কারণ কী? কারণ, আজ ক্ষমতায় সেই গোষ্ঠী, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে অস্বীকার করতে চায়। তারা চায় নতুন প্রজন্ম যেন বঙ্গবন্ধুর নামই না জানে। তাদের এই অপচেষ্টা শুধু একটি ছবি নামানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গেই যুক্ত প্রশ্ন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্পষ্ট বলেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি নামানোর কোনো সরকারি নির্দেশ পাননি। তাহলে কে দিয়েছে এই নির্দেশ? স্থানীয় বিএনপি নেতারা, যারা আজ ক্ষমতার মদদ পেয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজেদের ইচ্ছায় চালাচ্ছে? নাকি মোহাম্মদ ইউনুসের অনুগত আমলারা, যারা রাতারাতি ইতিহাস পাল্টে দিতে ব্যস্ত? সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্যে স্পষ্ট—রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গেই সব স্কুল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো হচ্ছে। এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার, যার লক্ষ্য বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু-শূন্য করে তোলা।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না। তিনি বেঁচে আছেন এই মাটির গভীরে, এই দেশের মানুষের হৃদয়ে। পিরোজপুরের এই ঘটনা শুধু শুরু মাত্র। যারা ইতিহাস বিকৃতির এই নোংরা খেলায় মত্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোই এখন একমাত্র কর্তব্য। কারণ, বাংলাদেশ কখনোই বঙ্গবন্ধু-বিহীন থাকতে পারে না। বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং অস্তিত্বের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। এই সত্যকে অস্বীকার করার চেষ্টা যেমন ব্যর্থ, তেমনি নিষ্ঠুর।

যারা আজ বঙ্গবন্ধুর ছবি নামাচ্ছে, তারা ভুলে যায়, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্মই হয়নি হতো, যদি না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ভূ-খণ্ডের মানুষের স্বপ্নকে মূর্তরূপ দিতেন। তাদের এই অপপ্রয়াস ব্যর্থ হবেই, কারণ ইতিহাস কখনোই ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষে যায় না। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সত্তা—একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটির অস্তিত্ব কল্পনা করাও অসম্ভব।

04/08/2025

৪ আগস্ট ২০২৪ সেই দিনও রাজপথ আমাদের দখলে ছিলো। ম্যাটিকুলাস ডিজাইনে কারফিউ জারি করে আমাদের ঘরে তুলে দিয়ে ৫ আগস্ট দেশটাকে পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছে!

01/08/2025

শোক হউক প্রতিবাদ
শোক হউক শক্তি

Address

50 Corporation Street
Wednesbury
WS109AQ

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD SUMON MIAH posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MD SUMON MIAH:

Share