MD SUMON MIAH

MD SUMON MIAH Md Sumon Miah - Leader of Bangladesh Chhatra League | A symbol of youth, progress, and patriotism | Committed to student welfare and nation-building.

21/08/2025

২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি
——

২১ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ভয়াবহ ও কলঙ্কিত দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে নৃশংস ও নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সংগঠিত এই হত্যাযজ্ঞের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা। এই বর্বরোচিত হামলায় নারীনেত্রী আইভি রহমানসহ ২২জন নেতাকর্মী শহীদ হন এবং পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেন। এই হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত প্রমাণ করেছিল যে এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তান ও তাদের দেশীয় এজেন্টরা জড়িত ছিল। একাত্তরের পরাজিত দেশি-বিদেশি শক্তিসমূহের সম্মিলিত উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি ভাবধারায় বাংলাদেশকে উগ্র-জঙ্গিবাদী ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠত করা এবং জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেদিন পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় আমাদের আশার দীপশিখা প্রজ্জ্বলিত ছিল। আওয়ামী লীগ সেই রক্তের ঋণকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও উন্নয়নের দর্শন সামনে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংও সেই উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিভূ হিসেবে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করছে।

সেই নারকীয় গ্রেনেড হামলার পর পরই বিএনপি-জামাত জোট সরকার সব আলামত নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছিল; জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল। পরবর্তী তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পুনরায় তদন্ত হয় এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আদালত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে ন্যায়বিচারের সব বিধি-বিধান মেনে এ মামলার বিচার সম্পন্ন করে। আদালত এ মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, অন্যতম পরিকল্পনাকারী তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জন পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করে। কিন্তু অসাংবিধানিক ও অবৈধ ইউনুস গং ক্ষমতা দখল করার পর তাদের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ প্রহসনমূলক রায়ে দণ্ডিত সকল অপরাধীদের খালাস দেয়। এটি জাতির ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত থাকবে এবং নৃশংস এই গ্রেনেড হামলা যতটা ঘৃণ্য খালাসের রায় ততটা কলঙ্কিত ঘটনা। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতি অঙ্গীকার রেখে আজকের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর শ্রদ্ধার সাথে শহিদদের স্মরণ করছে এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে—চিরদিনের মতো ঘৃণিত গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চিরশত্রু উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গি ও তাদের প্রতিভূ বিএনপি-জামাত ও খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হোন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করছে, শহিদদের রক্ত ও ত্যাগকে শক্তি হিসেবে ধারণ করে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মানবতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে এবং প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও শান্তির পথে পুনরায় অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

19/08/2025
19/08/2025

রাজনীতি করো-বেয়াদবি নয়!
নেতা হও -সন্ত্রাস নয়! সেবক হও -চাঁদাবাজ নয়! ত্যাগী হও- কিন্তু স্বার্থপর না.🇧🇩❤️

মুক্তিযুদ্ধে আপনি হয়তো পরিবারের কোন সদস্যকেই হারাননি। আর তাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩ লাখ নাকি ৩০ লাখ তা নিয়ে তর্ক ...
19/08/2025

মুক্তিযুদ্ধে আপনি হয়তো পরিবারের কোন সদস্যকেই হারাননি। আর তাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩ লাখ নাকি ৩০ লাখ তা নিয়ে তর্ক করতে আসেন।
কিন্তু ছবির এই মানুষটা কিন্তু সেই তর্কে যাননা। কারন মুক্তিযুদ্ধে তিনি একাই হারিয়েছেন ২৭ জন স্বজনকে। তাও আবার একরাতেই। যার মধ্যে রয়েছেন তাঁর বাবা, মা, পাঁচ ভাই বোন, নানী, দুই মামা, মামী, খালা এবং ফুফা।
.
ফেনীর ফুলগাজীর জামুড়া গ্রামে গেলে আজো দেখা পাবেন শহীদ স্বজন এই করিমুল হকের।
মুক্তিযুদ্ধের এক বছর পর পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির একটি সামরিক হাসপাতালে এক তরুণ পাকিস্তানি অফিসারকে আনা হয়েছিলো মানসিক চিকিৎসার জন্য।
সেই তরুণ অফিসার যুদ্ধ শেষে পাকিস্তান ফিরে যাওয়ার পর গুরুতর মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যুদ্ধের কথা মনে হলেই তার পুরো শরীরে খিঁচুনি দিয়ে জ্বর উঠত। ঘুমাতে গেলেই দুঃস্বপ্নে ভেঙে যেত ঘুম। কেউ যেন তাকে বলত, ফিরে যেতে হবে বাংলাদেশে। সেখানে থাকা হিন্দুদের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। নয়তো তার মুক্তি নেই।’
মূলত দিনের পর দিন ওই অফিসারের নির্দেশে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি সেনারা। পুরো মুক্তিযুদ্ধে তিনি কতো মানুষকে হত্যা করেছিলেন জানেন? একশো কিংবা পাঁচশো নয়।
এই লোকটি একাই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ১৪ হাজারের বেশী নিরীহ মানুষকে। পরে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গওহর আইয়ুবের লেখা 'গ্লিমপসেস ইনটু দ্য করিডর অফ পাওয়ার' বইয়ে এই বর্ণনাটি রয়েছে। গওহর আইয়ুব তার বাবা পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ব্যক্তিগত ডায়েরি থেকে এই তথ্যটি সংগ্রহ করেছিলেন। চাইলে চেক করে নিতে পারেন।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীতে এমন অনেক কিলিং স্কোয়াড ছিলো। যাদের একমাত্র কাজই ছিলো মানুষ হত্যা করা।
মুক্তিযুদ্ধের ২০মে মাত্র এক প্লাটুন পাকিস্তানি সেনা ৪ ঘণ্টায় ব্রাশফায়ার করে হত্যা করেছিল অন্তত ১২ হাজার নিরীহ মানুষকে। ঘটনাটি ঘটেছিলো খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগরে।
আসলে এই গণহত্যায় এরচেয়েও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। চুকনগরের পাশে ভদ্রা নদীর পানিতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া যায়নি। স্থানীয়ভাবেও সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। কারণ ওই গণহত্যায় শহীদদের বেশিরভাগ চুকনগর, ডুমুরিয়া বা খুলনার বাসিন্দা ছিলেন না।
মুক্তিযুদ্ধে আপনার শহরে হয়তো কোন বধ্যভূমি ছিলোনা। কিন্তু এক চট্টগ্রাম শহরেই বধ্যভূমির সংখ্যা ছিল ১১৬টি।
যার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহতম বধ্যভূমি ছিল দামপাড়া বধ্যভূমি। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর গরিবুল্লাহ শাহর মাজার যেখানে, সেখানেই ছিল দামপাড়া বধ্যভূমি। প্রতিদিন রাতে বেশ কয়েকটি ট্রাক ভর্তি করে মানুষ ধরে আনা হতো সেখানে। এরপর তাদের দিয়ে গর্ত খনন করিয়ে তাদেরকেই গুলি করে হত্যা করে মাটিচাপা দিতো পাকিস্তানি বাহিনী।
প্রতিটি গর্ত যখন পূর্ণ হয়ে যেত, তখন খুলি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হতো। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এই বধ্যভূমিতে প্রায় ৪০ হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছিলো পাকিস্তানি সেনারা।
মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের অন্যতম বড় বধ্যভূমি ছিলো পাহাড়তলী বধ্যভূমি। এই বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় প্রায় ১০০ গর্ত। এরমধ্যে একটি গর্তেই পাওয়া যায় ১ হাজার ৮২টি খুলি। বাকি গর্তগুলোর হিসেব আপনিই করুন।
মুক্তিযুদ্ধে ৩০ মার্চ আর পরবর্তী কয়েকদিনে চট্টগ্রামের লালখান বাজারে পাকিস্তানি বাহিনী ও বিহারীরা একত্রিত হয়ে হত্যা করে প্রায় আড়াই হাজার বাঙালিকে। ৩০ মার্চ পানি সরবরাহের আশ্বাসে ওয়াসার মোড়ে গণহত্যা চালানো হয়।
২৫ মার্চ রাতের এক সপ্তাহ পরেই ঢাকার জিঞ্জিরায় পাকিস্তানি গণহত্যায় শহীদ হয়েছিলেন ২ হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মিরপুর যেন জলজ্যান্ত এক কসাইখানা ছিল। এক মিরপুরেই বধ্যভূমি ছিল ২৩টি। এরমধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি। একাত্তরে এই জায়গার একপাশে ছিল জঙ্গল। এই জঙ্গলে হাজার হাজার মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা ভবন থেকে কমার্স কলেজ যেতে যে কালভার্টটি পড়ে, সেখানে স্বাধীনতার পরে পাওয়া গিয়েছিল ৬০ বস্তা মাথার খুলি।
মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে অন্যতম শিরনিরটেক। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেখানে ৩ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা।
মুক্তিযুদ্ধের ২৪ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৫ এপ্রিল দুপুর ১টা পর্যন্ত মিরপুরের আলোকদী গ্রামে পাকিস্তানিরা যে গণহত্যা চালিয়েছিল সেই গণহত্যায় শহীদ হয়েছিলেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। এই গ্রামের মোট ৮টি কুয়া ভরে গিয়েছিলো মানুষের লাশে।
১৯৭২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দিনাজপুর টিঅ্যান্ডটি অফিসের একটি টর্চার সেলের বিবরণ পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে লেখা ছিল, 'দিনাজপুরে টিঅ্যান্ডটি অফিসে একটি টর্চার সেলে প্রায় ১০ হাজার বাঙালিকে নির্যাতন করেছিল পাকিস্তানি সেনারা। সেলের মেঝেতে ৩ ইঞ্চি পুরু রক্ত জমাট বাঁধা ছিল।'
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সারাদেশে কতো বধ্যভূমি ছিল তার প্রকৃত সংখ্যা জানা নেই কারো। তবে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করা ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর এখন পর্যন্ত দেশের ৪০টি জেলায় গণহত্যার যে চিত্র তুলে এনেছে তাতে দেখা গেছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এই ৪০টি জেলায় ১৭৪৫৪টি গণহত্যা সংগঠিত হয়েছ।
৪০টি জেলায় যদি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ১৭৪৫৪টি গণহত্যা সংঘটিত হয় তবে ৬৪ জেলায় কতো গণহত্যা হয়েছে তা একটাবার হিসেব করে নিবেন। আর নিশ্চয়ই জানেন তো একটি গণহত্যা মানে কেবল ওখানে একজন হত্যার শিকার হয়েছেন এমন নয়।
আর হ্যাঁ এই ৪০টি জেলায় মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানিদের টর্চার সেলের সংখ্যা ছিল ১১১৮টি।
মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা ছিলো পৃথিবীর ইতিহাসে বিরলতম এক উদাহরণ যেখানে সমগ্র দেশে নয়টি মাসই ফুল স্কেলে গণহত্যা চালিয়েছিলো পাকিস্তানী হায়েনা ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা।
মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় কতো শহীদ হয়েছেন তা কখনোই নির্ণয় করা সম্ভব হবেনা। গণহত্যায় কতো সংখ্যক শহীদ হয় তা কখনো নির্ণয় করা সম্ভব ও না। যা করা যায় তা হলো গবেষণার মাধ্যমে অনুমান। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩ লাখ বলে যারা স্বর্গসুখ লাভ করতে চান, তাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার জন্য এটি কেবল একটি পরিসংখ্যান।
লিখেছেন- আহমাদ ইশতিয়াক

----------------

During the Liberation War, perhaps you did not lose any family members. That is why you come to debate whether the number of martyrs was 300,000 or 3 million.

But the man in this picture never enters that debate. Because, in the Liberation War, he alone lost 27 family members in a single night. Among them were his father, mother, five siblings, grandmother, two maternal uncles, an aunt, and an uncle-in-law.

Even today, if you go to Jamura village in Feni’s Phulgazi, you will find Karimul Haque, who lost all those relatives.

A year after the Liberation War, a young Pakistani officer was admitted to a military hospital in Rawalpindi for psychiatric treatment. After returning to Pakistan, he had developed a severe mental illness. Whenever memories of the war came back, his body would convulse with fever. His sleep was shattered by nightmares. In his dreams, he heard a voice telling him he must return to Bangladesh and finish off the Hindus there—or he would never be free.

Day after day, under his orders, Pakistani soldiers burned village after village. Do you know how many people this officer killed during the war? Not one hundred. Not even five hundred. This one man alone ordered the killing of more than 14,000 innocent people. Eventually, he lost his sanity.

This account is recorded in the book “Glimpses into the Corridors of Power” by Pakistan’s former foreign minister Gohar Ayub, who collected the details from the personal diary of his father, former Pakistani President Ayub Khan.

There were many such killing squads in the Pakistani army during the Liberation War, whose sole mission was murder.

On 20 May 1971, in just four hours, a single platoon of Pakistani soldiers gunned down at least 12,000 unarmed civilians in Chuknagar, Dumuria, Khulna. In reality, the death toll was higher—bodies were dumped into the Bhadra River, making an accurate count impossible. Many of the victims were not even local residents.

Perhaps your own city did not have any killing grounds. But in Chattogram alone, there were 116 ex*****on sites during the war.

The most horrifying was the Dampara killing ground, now the site of the Goribullah Shah shrine in Chattogram. Every night, several truckloads of people were brought there. Forced to dig their own pits, they were shot dead and buried by the Pakistani army. When a pit was filled, skulls were removed and taken elsewhere. It is estimated that nearly 40,000 people were killed at Dampara alone.

Another major site was Pahartali, where about 100 mass graves were found. In one pit, 1,082 skulls were discovered. You can imagine the total number.

On 30 March 1971, and in the days that followed, at Lal Khan Bazaar in Chattogram, Pakistani soldiers and Biharis jointly killed around 2,500 Bengalis. On that day alone, a massacre was carried out at the WASA intersection under the pretense of water distribution.

A week after the infamous night of 25 March in Dhaka, more than 2,000 people were killed in a mass slaughter in Jinjira.

During the war, Mirpur was like a living slaughterhouse. It had 23 killing grounds. The worst was Shialbari, then surrounded by jungle, where thousands were hacked to death. After independence, 60 sacks of human skulls were recovered near the culvert that now connects the Primary and Mass Education Building to Commerce College.

Another infamous site was Shernirtek, where 3,000 people were murdered by Razakars and Pakistani soldiers.

On 24–25 April 1971, in the village of Alokdi, Mirpur, Pakistani troops massacred nearly 3,000 people in less than 13 hours. Eight village wells were filled with human corpses.

According to a Bangladesh Observer report published on 11 February 1972, in Dinajpur’s T&T office torture cell, about 10,000 Bengalis were tortured by the Pakistani army. The floor of the cell was covered in three inches of congealed blood.

The total number of killing grounds in Bangladesh is still unknown. But according to research by the 1971: Genocide-Torture Archive and Museum, in 40 districts alone, 17,454 separate massacres were documented during the Liberation War. If in 40 districts the figure was that high, you can imagine the scale across all 64 districts. And remember—each “massacre” did not mean just one death.

In those same 40 districts, 1,118 torture cells were identified.

The genocide of 1971 remains one of the rarest and most brutal in world history, where for nine months straight, Pakistan’s army and their local collaborators waged full-scale extermination across the entire country.

The true number of martyrs in the Liberation War can never be determined. Only estimates can be made through research. Those who argue whether it was 300,000 or 3 million must understand—such numbers are not statistics to be debated, but the shadows of an unspeakable human trazedy

এই আওয়ামী লীগ রিক্সাওয়ালা আজিজদের আওয়ামী লীগ। গরীবদুঃখী মেহনতি মানুষের আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের আওয়ামী লীগ। ঘরের খেয়ে বনের ম...
19/08/2025

এই আওয়ামী লীগ রিক্সাওয়ালা আজিজদের আওয়ামী লীগ। গরীবদুঃখী মেহনতি মানুষের আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের আওয়ামী লীগ। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো ব্যাক্তিদের আওয়ামী লীগ।

এরা যতদিন বেচে আছে আওয়ামী লীগও বেচে থাকবে।

এই হাসি শুধু আজিজের নয়, পুরো আওয়ামী পরিবারের। এই হাসি প্রমাণ করে সত্যের জয় সুনিশ্চিত। এই হাসি প্রমাণ করে আমরা একা নই। এই হাসি প্রমাণ করে আমরা ঐক্যবদ্ধ।

জয় বাংলা।

"সে যখন বললো, 'ভাইসব।'অমনি অরণ্যের এলোমেলো গাছেরাও সারি বেঁধে দাড়িয়ে গেল।সে যখন ডাকলো 'ভাইয়েরা আমার।'ভেঙে যাওয়া পাখি...
18/08/2025

"সে যখন বললো, 'ভাইসব।'
অমনি অরণ্যের এলোমেলো গাছেরাও সারি বেঁধে দাড়িয়ে গেল।
সে যখন ডাকলো 'ভাইয়েরা আমার।'
ভেঙে যাওয়া পাখির ডাক নেমে এলো পৃথিবীর ডাঙায়।"
- আল মাহমুদ

" শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷’

সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের৷ "
- নির্মলেন্দু গুণ

বাংলার ধ্রুবতারা || বিনম্র শ্রদ্ধা 🌸🌿

চাঁদা না দেওয়ায় মাই টিভির চেয়ারম্যান জনাব নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের মতের সা...
18/08/2025

চাঁদা না দেওয়ায় মাই টিভির চেয়ারম্যান জনাব নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের মতের সাথে না মিললে ব্যবসায়ী, শিক্ষক, কবি, সাংবাদিক কেউ ই রেহায় পাচ্ছে না।

নাসির উদ্দিন সাথীকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১ বছর ধরে তাকে জুলাই আন্দোলনের মামলায় আসামি করা, গ্রেপ্তার করা সহ বিভিন্ন হুমকিধামকি এবং চাঁদা দাবি করছিল এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

তিনি অনেকক্ষেত্রে অনেক চাঁদা দিয়েছেন বটে এবার আর রেহাই হলো না। গতকাল থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এবং এনসিপির নেতাদের সাথে দর কষাকষি শেষে একটু আগে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

ব্যবসায়ীদেরকে এমন হয়রানির নিন্দা জানাই এবং অনতিবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বাণী------------ আজ ১৫ই আগস...
15/08/2025

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বাণী
------------

আজ ১৫ই আগস্ট—বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর বেদনা ও শোকের দিন। বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বিষাদময় ঘটনার ৫০ বছর হলো আজ। গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি ইতিহাসের অন্যতম বর্বরতার শিকার বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও সকল শহিদকে।

১৯৭৫ সালে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ড কেবল একজন মানুষকে শারীরিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশে ছিল না; এই হত্যাযজ্ঞের উদ্দেশ্য ছিল একটি জাতি, তার আদর্শ, তার স্বপ্ন, তার প্রত্যাশা ও তার সম্ভাবনাকে চিরতরে নির্মূল করা। মানুষের শারীরিক সত্ত্বাকে নিঃশেষ করার পরও সেই চিরজাগরুক স্বপ্নকে ধারণ করে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটিকে যখন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, তখন মানুষ বুঝে যায় বঙ্গবন্ধুর আত্মাকে বাঙালি জাতির মনন থেকে, ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার হীন অভিযান শেষ হয়নি। তার সাক্ষ্য দিচ্ছে, বুলডোজারের আঘাতে আঘাতে জর্জরিত ৩২ নম্বরের বুক। আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ক্ষত নিয়ে ওই বাড়ির বিদীর্ণ কাঠামো বাঙালি ও বাংলাদেশের ভয়াবহতম সংকটকালকে নির্দেশ করছে। আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছরের মাথায় বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে মুছতে ব্যর্থ শত্রুশিবির জড় কাঠামোকেও জর্জরিত করেছে। বঙ্গবন্ধু রচিত আদর্শের ভিত্তিকাঠামোর এই বাংলাদেশই তাদের শত্রু। সেই ১৯৫২ থেকে আজ অবধি সেই চক্রই ইতিহাসের সামনে আগুয়ান চাকা উল্টো করে দিতে চায়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশ্বে সূচিত উপনিবেশবাদবিরোধী জাতীয়তাবাদী সংগ্রামের অন্যতম প্রধান অগ্রনায়ক। তার রাজনীতি ছিল সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদবিরোধী সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি বুঝতেন—রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা রক্ষা ছাড়া একটি জাতি পূর্ণ স্বাধীন হতে পারে না। তাঁর দর্শন ছিল গ্রামভিত্তিক অর্থনীতি, স্বনির্ভর উৎপাদন এবং বিশ্বপরিসরে সমমর্যাদা অর্জনের জন্য দৃঢ় অবস্থান। বৈদেশিক চাপ, হুমকি বা প্রলোভনের কাছে তিনি কখনও নতিস্বীকার করেননি।

আজ, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরে, আমরা আবারও দেখতে পাচ্ছি—বাংলাদেশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রতিযোগিতা ও প্রভাবের মঞ্চে পরিণত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র, বৈদেশিক হস্তক্ষেপ ও অর্থনৈতিক শোষণের নতুন রূপ আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। যতদিন বাংলাদেশ রাষ্ট্র থাকবে, বাঙালি জাতি থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ও আদর্শ পুনর্জাগ্রত হবে।

আমি বাংলাদেশের সকল নাগরিককে বলতে চাই, দৃঢ়ভাবে উচ্চারণ করতে চাই, ৩২ নম্বরের ধ্বংসস্তূপ থেকে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও বাঙালির বিজয় নিশান আমরা আবার উড়াবো। উড়াবোই।

জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
আঁধার কেটে ভোর হোক
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

⁨    ১৫ আগস্ট - জাতীয় শোক দিবস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার ৫০ বছর। শোক দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু কন...
15/08/2025



১৫ আগস্ট - জাতীয় শোক দিবস
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার ৫০ বছর।

শোক দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

তারিখঃ ১৫ আগস্ট, বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯ টা
সরাসরি দেখবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে

14/08/2025

১৫ই আগস্ট : জাতীয় শোক দিবসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনা-বিধুর শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এখানেই শেষ নয়। আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য অভিশপ্ত মাস। এই মাসেই সংঘটিত হয় ২১শে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলা ও ১৭ই আগস্টে দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা। এছাড়াও গত বছরের এই আগস্টে পাকিস্তানি ভাবধারায় পুষ্ট স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী অপশক্তি শক্তি দেশি-বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। নস্যাৎ করে দিয়েছে সমৃদ্ধির দিকে অগ্রসরমান বাংলাদেশকে। রুদ্ধ করে দিচ্ছে সম্ভাবনার সকল দুয়ার। সুতরাং এই দিনে শোককে শক্তিতে রূপায়িত করে বাংলাদেশকে অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্ত করার শপথ গ্রহণ করতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সকল অনুভূতি, ত্যাগ, সংগ্রাম, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় প্রত্যয়, বাঙালি জাতির প্রতি গভীর ভালোবাসা, মমত্ববোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শের দ্বারা সমগ্র বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত আত্মত্যাগে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বে পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আত্মীয়, শত বছরের ঘোর নিশীথিনীর তিমির বিদারী অরুণ, ইতিহাসের বিস্ময়কর নেতৃত্বের কালজয়ী স্রষ্টা, বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। বাঙালি জাতির পিতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। উন্নত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্নসারথি।

’৭৫-এর ১৫ই আগস্ট নরপিশাচ রূপি খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেন। সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। আর সেটার প্রতিশোধ নিতেই স্বাধীনতাবিরোধী ও গণবিরোধী খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং অবৈধভাবে আইসিটি ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক বিচারের আয়োজন করেছে।

জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল এবং মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ। অথচ সেই বাংলাদেশের দৃশ্যপট আজ পাল্টে গেছে। জাতীয় সক্ষমতা ও অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। মানুষের জীবন-জীবিকা চরম হুমকির মুখে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মক নাজুক। মানুষের জানমালের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। লাখো শহিদের রক্তের আখরে লেখা পবিত্র সংবিধান লঙ্ঘন করে অগণতান্ত্রিক পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং দেশের জনগণের অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালন করতে দেবে না এবং কেউ পালন করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে মর্মে ঘোষণা দিয়েছে খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং। সারা দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে। গণবিরোধী শক্তির সৃষ্ট ভয়ের রাজত্বের প্রাচীরে আদর্শের শক্তি ও সাহস দিয়ে আঘাত হানতে হবে। আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে প্রতিরোধের মশাল জ্বেলে আমাদেরকে সম্ভাবনার নতুন সূর্যের উদয় ঘটাতে হবে।

আগামী ১৫ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক- রাজনৈতিক সংগঠনসমূহকে যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসার সাথে ভাবগম্ভীর ও বেদনা-বিধুর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস পালনের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একইসাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সমস্ত শাখার নেতৃবৃন্দকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গৃহীত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো যাচ্ছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের কর্মসূচি নিম্নরূপ :

১৫ ই আগস্ট, জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে:

সারাদেশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন; কালো ব্যাজ ধারণ। ফেইসবুকে প্রোফাইল পিকচার কালো করা।

সকাল ১০টায়: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

বাদ জুম্মা: বনানী কবরস্থানে ১৫ই আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল।

সকাল ১১টায়: টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

এছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা-সহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির আয়োজন । পাশাপাশি সারাদেশে অসচ্ছল, এতিম ও দুস্থ মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি।

বিকেল ৭:৩০মিনিটে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা (ভার্চুয়াল) অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় বক্তব্য রাখবেন।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ১৩ আগস্ট ২০২৫

Address

50 Corporation Street
Wednesbury
WS109AQ

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD SUMON MIAH posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MD SUMON MIAH:

Share