Physician's Diary

Physician's Diary Community page for MBBS and BDS degree holders and aspirants
Join group https://is.gd/LnN9Ku

[This is the Original Physician's Diary Page.

Don't fall into a trap]

ঢামেক শিক্ষার্থী নন্দিনীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর যথাযথ তদন্তের দাবি সহপাঠীদের----গত ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎস...
07/10/2025

ঢামেক শিক্ষার্থী নন্দিনীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর যথাযথ তদন্তের দাবি সহপাঠীদের
----
গত ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ সেশনের (কে-৮২) মেধাবী শিক্ষার্থী নন্দিনী রানী সরকার। নন্দিনীর মৃত্যুর পর তার নানা ও মামা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেন , পূজায় মামা বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপানের পর নন্দিনী অসুস্থ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ঝিনাইদহ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়ায় নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে তাদের এ বক্তব্য মেনে নিতে পারছেন না নন্দিনীর সহপাঠীরা। তাদের মতে, অত্যন্ত ভালো ও নীতিবান নন্দিনীর এমন মৃত্যু বিশ্বাসযোগ্য নয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৮২ ব্যাচের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে-

"আমাদের কে-৮২ ব্যাচের সদা হাস্যোজ্জ্বল ও মেধাবী সহপাঠী নন্দিনী রাণী সরকারকে আমরা হারিয়েছি। নন্দিনীর আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। তার এই অকালপ্রয়াণ আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে, তবে তার মৃত্যু সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও গুজব নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও হতবাক। বর্তমান পরিস্থিতিতে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনোভাবেই আলোর মুখ দেখছে না।

আমাদের যে সংশয়ের জায়গা তৈরি হয়েছে:-

(১) গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে মদ্যপানকে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তার সঙ্গীদের কোনো তথ্য সামনে আসছে না, যা সন্দেহের জায়গা তৈরি করে।

২) যদি এ্যালকোহল পানে মারা গিয়ে থাকে, তাহলে এ্যালকোহলের সোর্স কে? ঢাকা মেডিকেলের ফার্স্ট ইয়ারের একজন শিক্ষার্থী, যাকে আমরা চিনি একজন অত্যন্ত ভালো নীতিবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে, যে জীবনসংগ্রাম করে নিজ পরিবারের অবস্থা পরিবর্তন করতে চেয়েছিল, সে হঠাৎ স্বেচ্ছায় এই কাজ করবে এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।

৩) তার পরিবারের সদস্যগণ কর্তৃক কোনো জোরালো সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বানের প্রতি অনীহা পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করছে। বলে আমরা মনে করি।

৪) নন্দিনী চান্স পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তার পুরো পরিবারের টেক কেয়ার করে আসছিল, এই ঘটনার পর তার পরিবার স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে উল্টো মামলা করার হুমকি দৃষ্টিকটু।

৫) বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এটা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে যে, তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটার সত্যতা উদঘাটন হওয়া দরকার। নন্দিনীর মৃত্যুর পূর্ববর্তী দুই দিনে তার অবস্থান সম্পর্কে কখনো মামাবাড়ি আবার কখনো চাচারবাড়ি বলে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে প্রতিকূলে নিয়ে যাচ্ছে।

তার পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের ভিন্নমত ও চিকিৎসাসংক্রান্ত নিরপেক্ষ তথ্য না আসা পর্যন্ত অপ্রমাণিত বা বিকৃত খবর প্রচার করা উচিত নয়। যথাযথ ডাক্তারি প্রতিবেদন ও প্রশাসনিক তদন্তের বাইরে কোনো কিছু প্রচার না করার জন্য আমরা সবাইকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। প্রয়োজনে তার ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করার দাবী জানাচ্ছি। আমরা তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জোর দাবি জানাচ্ছি। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।

justice_for_Nondiny
-কে-৮২ ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী"
ঢাকা মেডিকেল কলেজ

কিছু প্রশ্নঃ১) তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম মদ্যপানে মারা গেছে। বিষাক্ত এলকোহল ( মিথানল) কি ও একাই খেয়েছিল? বাকি কেউ খায় নি? ...
07/10/2025

কিছু প্রশ্নঃ

১) তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম মদ্যপানে মারা গেছে। বিষাক্ত এলকোহল ( মিথানল) কি ও একাই খেয়েছিল? বাকি কেউ খায় নি? বাকিদের কেন টক্সিসিটি হয়নি? ওর একার কেনো হলো? সেক্ষেত্রে কি এই প্রশ্ন থাকেনা যে ওকে জোর করে ইচ্ছা করে মিথানল খাওয়ানো হয়েছে? উদ্দেশ্য ছিল তাকে হত্যা করা।

২) যদি এলকোহলে পানে মারা গিয়ে থাকে এলকোহলের সোর্স কি ওর চাচা? ওকে কি জোর করে খাওয়ানো হয়েছে? ঢাকা মেডিকেলর একটা ফার্স্ট ইয়ারের মেয়ে, এরকম পরিবার থেকে উঠে আসা একটা মেয়ে এই কাজ করবে নিজ ইচ্ছায় এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।

৩) শুরুতে ওর বাবা বিচার দাবি করলেও পরবর্তীতে কেনো
তিনি অবস্থান থেকে সরে আসলেন? কেনো সাংবাদিকদের সামনে তারা কথা বলছেন না?

৪)যে নন্দিনী চান্স পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ওর পুরো পরিবারের টেক কেয়ার করে আসছিল, এই ঘটনার পর কেন তার পরিবার স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে উলটো মামলা করার থ্রেট দিলো?

৫) বিভিন্ন মাধ্যমে এটা শুনতে পাচ্ছি ওকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটার সত্যটা উদঘাটন হওয়া দরকার। আসলেই এমন কিছু হয়েছিলো কিনা?

৬) কোথাও নানার বাড়ি, কোথাও চাচা শশুড় বাড়ি আবার কোথাও ওর শশুর বাড়ি এমন কথা আসছে কেন?

নন্দিনী শুধুমাত্র পরিবারের না, নন্দিনী রাষ্ট্রের সম্পদ। নন্দিনী ঢাকা মেডিকেলের সম্পদ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস নন্দিনীর ব্যাচমেটরা এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বে। নন্দিনী চান্স পাওয়ার পর থেকে নন্দিনীর পাশে ছিলাম, এই ঘটনার শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু সমাধানে পৌছাতে যারা যারা থাকতে চান, আমাকে পাশে পাবেন, এটার শেষ দেখে ছাড়তে হবে।

- Abdullah Ar Rayhan

06/10/2025

বাংলদেশে বেহুদা আরো বিভাগ করাটাই মিনিংলেস। যা আছে ওইটাই যথেষ্ট। ৬টা ছিল, ওইটাই যথেষ্ট। ঢাকডোল পিটায়ে আরো দুটো বিভাগ করা হলো, ময়মনসিংহ আর রংপুর। কেউ কি বলতে পারবেন, বিভাগ করায় ঠিক কি বিরাট উন্নতি সাধিত হয়েছে?

যেই ৬টা বিভাগ করা ছিল, সেখানে কি প্রপারলি ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ আর মানুষের মৌলিক চাহিদা কর্মের ব্যবস্থা সমানভাবে কি করা হয়েছে? আমার চোখে অন্তত বলে না। এখনো এই বিভাগগুলোর বেশিরভাগ, জেলা শহর থেকে "খানিক" উন্নত এই স্ট্যাটাস ক্যারি করে, নট মোর দ্যান দ্যাট। অথচ এগুলো হবার কথা ছিল একেকটি হাব, ঢাকামুখী স্রোত বন্ধ করার মূল নিয়ামক। তার কিছুই হয়নি।

তার সাথে যুক্ত হয়েছে আরো দুটো বিভাগ। কিন্তু কাজের কাজ আর কি হলো?

এখন নতুন করে আরো বিভাগের চিন্তা করা হচ্ছে। আর নতুন নতুন কাজিয়া।

- তাশরিক হাসান

04/10/2025

যারা বহুদিন ধরে অপেক্ষা করে আছেন, আবু ত্বহা আদনানের গুমের ঘটনা বিস্তারিত শোনার জন্য। বাকল আপ। কয়েকদিনের মধ্যে আপনারা একটা ফ্যান্সি সেটাপে ব্যাকগ্রাউন্ডে করুণ সুর আর অশ্রুজলে আবু ত্বহা আদনানের মুখেই সেই গল্প শুনবেন। কারণ, যা ঘটে গেছে তার ড্যামেজ কন্ট্রোল এবং ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য আর কোনো উপায় আদনানের কাছে অবশিষ্ট নাই। এটা তার সর্বশেষ ট্রাম্প কার্ড। বিশ্বাস না হইলে অপেক্ষা করেন।

- আসিফ মাহমুদ

04/10/2025

ChatGPT-কে একটা ইমেইল লিখতে বললেন। প্রথমবার উত্তরটা এলো একদম রোবটের মতো। আবার চেষ্টা করলেন, এবার উত্তরটা বড্ড বেশি ক্যাজুয়াল। তৃতীয়বার তো বিষয়ের বাইরেই চলে গেল!

যে কাজটা দুই মিনিটে হওয়ার কথা, সেটার জন্য ২০ মিনিট নষ্ট।

এই ঘটনা কি আপনার সাথেও হয়েছে?

গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৬% AI ব্যবহারকারীই প্রম্পট থেকে ধারাবাহিক বা consistent রেজাল্ট পেতে হিমশিম খান।

মজার ব্যাপার হলো, দোষটা কিন্তু AI-এর নয়, দোষটা আমাদের নির্দেশ দেওয়ার পদ্ধতিতে।
AI মডেলগুলো (যেমন ChatGPT, Gemini) অনেকটা সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। আপনার প্রম্পটের শব্দ, কনটেক্সট বা স্ট্রাকচারে সামান্য পরিবর্তন হলেই এর উত্তরও পাল্টে যায়।

ব্যাপারটা অনেকটা কাউকে কফি আনতে বলার মতো। আপনি যদি বলেন, "আমার জন্য কফি আনো", তাহলে সে যেকোনো কিছুই আনতে পারে। কিন্তু যদি বলেন, "আমার জন্য 5th Street-এর ক্যাফে থেকে একটা মিডিয়াম সাইজের ক্যাপুচিনো আনো", তাহলে ঠিক যা চেয়েছেন, তাই পাবেন। AI-এর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই।

চলুন, দেখে নিই AI থেকে প্রতিবার পারফেক্ট রেজাল্ট পাওয়ার ৫টি ইফেক্টিভ স্ট্রাটেজি!

১. যতটা সম্ভব স্পেসিফিক প্রম্পট দিন!

সাধারণ প্রম্পট আমরা যেভাবে দেই: "Write about customer service."

কিন্তু আমাদের যেভাবে দেয়া উচিতঃ

"Act as a Customer Success Manager. Write a 300-word blog post titled '3 Game-Changing Customer Service Practices for SaaS Startups.' The tone should be professional yet approachable and engaging. Include three specific, actionable best practices with real-world examples for each. End with a strong concluding paragraph that summarizes the key takeaways."

২. কনটেক্সট দিন সবসময়!

প্রতিটি প্রম্পটের শুরুতে আপনার ভূমিকা, আপনার অডিয়েন্স এবং আপনার মূল উদ্দেশ্য কী, তা পরিষ্কার করে দিন।

সাধারণ প্রম্পট আমরা যেভাবে দেই: "Write a social media post about our new product."

কিন্তু আমাদের যেভাবে দেয়া উচিতঃ

"Act as the Social Media Manager for a new tech brand targeting university students in Bangladesh. My objective is to create excitement for our new productivity app, 'FocusFlow.' Write an engaging Facebook post (under 150 words) announcing the launch. The tone should be energetic and youthful. Highlight its key features: AI-powered task scheduling and distraction blocking. End with a clear call-to-action to download from the Play Store/App Store and include relevant hashtags."

৩. একই কাজের জন্য টেমপ্লেট ব্যবহার করুন!

যে কাজগুলো আপনাকে বারবার করতে হয় (যেমন: সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা ইমেইল লেখা), সেগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রম্পট স্ট্রাকচার বা টেমপ্লেট বানিয়ে ফেলুন এবং সবসময় সেটাই ব্যবহার করুন। এতে আপনার কাজের মান একই রকম থাকবে।

৪. একাধিক ভার্সন বা Iteration পরীক্ষা করে দেখুন সবসময়!

গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজের ফাইনাল আউটপুট নেওয়ার আগে, AI-কে বলুন কয়েকটি সংস্করণ তৈরি করে দিতে।

এরপর সেগুলোর মধ্যে তুলনা করে সেরাটা বেছে নিন অথবা কয়েকটা মিলিয়ে নিজের মতো করে গুছিয়ে নিন।

৫. একটি অপটিমাইজেশন প্ল্যান ফলো করুন!

প্রফেশনাল প্রম্পট ইঞ্জিনিয়াররা কিছু নির্দিষ্ট কৌশল ব্যবহার করেন।

যেমন: AI-কে একটি নির্দিষ্ট রোল বা ভূমিকা দেওয়া (যেমন: "Act as a..."), ধাপে ধাপে নির্দেশ দেওয়া এবং আউটপুট কেমন হবে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া।

সাধারণ প্রম্পট আমরা যেভাবে দেই: "Summarize this article for me."

কিন্তু আমাদের যেভাবে দেয়া উচিতঃ

"Act as a research assistant. I am providing you with a long article about climate change. Your task is to summarize it for a high-school student.
Follow these steps:
First, identify the three main arguments of the article.
Next, explain each argument in a simple, easy-to-understand paragraph.
Finally, create a list of 5 key bullet points that capture the most important information.
The final output should be under 250 words."

AI থেকে ভুলভাল বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ উত্তর আসাটা কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা নয়; এটা একটা সিগন্যাল যে আপনার প্রম্পট আরও গোছানো হওয়া দরকার।

কে যে বলল আমাকে যে প্রম্পট সেইভ করার দরকার নাই, এবভং কয়েকদিন পর এইটা কাজ করবে না। তাদের জন্যে এই পোস্ট টা :)

এই কৌশলগুলো শিখে ফেললে এবং ঠিকমতো টুলস ব্যবহার করলে, AI আপনার জন্য বিরক্তির কারণ না হয়ে উঠবে আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রোডাক্টিভিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট।



- নাসির উদ্দীন শামিম

04/10/2025

আনলাইক হোয়াট মিডিয়া ইজ রিপোর্টিং, হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাব পুরোপুরি মেনে নেয় নাই, বা আত্মসমর্পণও করে নাই।

তারা যা বলেছে, সেটা হচ্ছে:

তারা সকল বন্দীর বিনিময়ের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে, গিভেন দ্যাট, যুদ্ধের অবসান হবে, ইমিডিয়েটলি ত্রাণ প্রবেশ করবে, গাযা স্ট্রিপ দখলদারিত্ব মুক্ত হবে, এবং এর অধিবাসীদেরকে ডিসপ্লেস করা হবে না।

কীভাবে বন্দী বিনিময় হবে, ফিল্ড কন্ডিশন কী হবে, তার ডিটেইলস নিয়ে তারা নেগোশিয়েশনে বসতে রাজি আছে।

একই সাথে তারা গাযার প্রশাসনের দায়িত্ব ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিলিস্তিনি বডির কাছে হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছে। নট টু ট্রাম্প-ব্লেয়ার, নট টু পিএলও, বাট টু ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্যালিস্টিয়ান বডি (বা টেকনোক্র্যাটস), যে প্রস্তাব তারা নিজেরাই এর আগে একাধিকবার দিয়েছিল। এই বডি নির্বাচিত হবে ফিলিস্তিনিদের ন্যাশনাল কনসেনশাস এবং আরব ও ইসলামিক ব্যাকিংয়ের উপর নির্ভর করে।

এর বাইরে ট্রাম্পের প্রস্তাবের যে বাকি বিষয়গুলো, সেগুলোর ব্যাপারে তারা বলেছে, সেগুলো ফিলিস্তিনিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে, ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যান্ড রেজুলেশনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

অর্থাৎ সোজা কথায়, তারা বন্দী বিনিময়ে রাজি, গাযার প্রশাসর হস্তান্তরে রাজি, কিন্তু এই মুহূর্তেই অস্ত্র সমর্পণ করতে রাজি না। অ্যাজ এক্সপেক্টেড অ্যান্ড অ্যাজ ইট শ্যুড বি।

- মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা

02/10/2025
এই সরকারের সফলতা ব্যর্থতা নিয়ে অনেক আওয়াজ তোলা যাবে,করা যাবে দীর্ঘ টক শো।কিন্তু এই সরকার একটা অসাধারণ কাজ করেছে যেটা আগে...
02/10/2025

এই সরকারের সফলতা ব্যর্থতা নিয়ে অনেক আওয়াজ তোলা যাবে,করা যাবে দীর্ঘ টক শো।

কিন্তু এই সরকার একটা অসাধারণ কাজ করেছে যেটা আগের কোন রাজনৈতিক সরকার এভাবে পারে নাই। সামনেও পারতো বলে মনে হয় না। আগে দাম নির্ধারণ হয়েছে কিন্তু তাও বাস্তবের সাথে বিশাল গ্যাপ ছিল। কারণ এসব বিজনেসের সাথে রাজনৈতিক সরকারের সহযোগীরা জড়িত থাকে। ডে সিন্ডিকেট আনব্রেকেবল।

এর সরকার হার্টের চিকিৎসার খুব প্রয়োজনীয় জিনিস হার্টের রিং , যেটা কিনা অনেকক্ষেত্রে জীবনরক্ষার উপকরণ হয় উঠে, তার মূল্য কমিয়েছে। সরকার প্রথমে একটা মূল্য নির্ধারণ কমিটি করে যেটাতে আমার অনেক শ্রদ্ধেয় স্যার,যাঁরা প্রচন্ড রকমের সৎ আর রোগী প্রেমিক মানুষ। অনেক বাঁধা পেরিয়ে উনারা হার্টের রিংয়ের দাম অনেকটা কমিয়েছে।

এখন নতুন নির্ধারিত মূল্যে আমেরিকান রিংগুলো পাওয়া যাবে। সরকারকে ধন্যবাদ দিতে হয়।

তারপরেরও ইন্ডিয়ার বাজারের চেয়ে আমাদের দেশে রিংয়ের দাম এখনো অনেক বেশি। কিছু কিছু রিং এখনো দ্বিগুণ। যার পিছনে ভ্যাট ট্যাক্স ও একটা কারণ। ইন্ডিয়াতে হার্টের রিংয়ের উপর কোন ভ্যাট ট্যাক্স নাই।

পেস মেকারের দামেও রয়েছে বিশাল তারতম্য। আমি আশা করি এই কমিটি হার্টের বাকি কোম্পানির রিং ও পেসমেকারের দাম ও কমাবে।

কলকাতা, দিল্লীতে গরীব মানুষের জন্য সরকারী হাসপাতালে বিশেষ বীমা রয়েছে। সরকার এই পদ্ধতি ফলো করলে অনেক গরীব মানুষ হার্টের বিশেষ চিকিৎসা বিনা করচ বা কম খরচে পেতে পারে। আমরা সেবা দিতে পথ চেয়ে থাকি,মানুষ পারে না তাদের সঙ্গতি নাই। কিন্তু সরকার চাইলে হইতো কিছুটা পারতো। সে দিনের অপেক্ষায় থাকলাম।

- Iqbal Mahmud

29/09/2025

আমি স্বীকার করি, পার্বত্য চট্টগ্রামে ন্যায় বিচার নাই। ওখানে ন্যায় বিচার মরে গেছে ১৯৮৪ সালের ৩১শে মে। সেদিন ছিল শাবান মাসের শেষ দিন। রাত পোহাইলেই পহেলা রমজান।

সেহেরীতে খাওয়া-দাওয়া সেরে সেদিন ফজরের অপেক্ষায় বরকল উপজেলার ভূষণছড়া গ্রামের লোকজন। তবে মুয়াজ্জিনের সুললিত কন্ঠ নয়; শেষরাতের নিরবতা ভেঙে পাওয়া গেল প্রথম গুলিটার আওয়াজ। ঘড়িতে সময় তখন ঠিক ভোর চারটা।

কর্কশ সেই আওয়াজে দৌড়ে বেরিয়ে এলেন জারুলছড়ি বিডিআর ক্যাম্পের কয়েকজন সৈনিক। উড়ে গেছে চোখের ঘুম ঘুম ভাব; হাতে প্রস্তুত চায়নিজ রাইফেল। প্রশিক্ষিত কানে গুলির দিক চিনতে ভুল হয় নাই। ছুটবেন ওই দিকেই।

কিন্তু বাধা দিলেন ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার; উপর মহলের আদেশ আসার আগে কোন অ্যাকশন চলবে না। তাই নির্বাক চোখে দেখে গেল ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’— জ্বলছে ভূষণছড়া। দাউ দাউ করে ছড়িয়ে যাচ্ছে দহনের পয়গাম। থেমে থেমে চলছে গুলি; তবে চীৎকার আর কলিজা ফাটা আর্তনাদের মাঝে কোন বিরাম নাই। বিনা বাঁধায় বাঙালী সিভিলিয়ানদের ওপর চলছে পাহাড়ি-আক্রমণ। চলছে নির্বিচার গণহত্যা। নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু; এমনকি রেহাই পেল না গোয়ালের গরু-ছাগল পর্যন্ত।

জায়গাটায় প্রথম যে সাংবাদিক পৌঁছান, তিনি বাংলাদেশ অবজারভারের সৈয়দ মুরতজা আলি। খাতা, কলম, আর মিনি রেকর্ডার পলিথিনে মুড়ে, নৌকার পাটাতনে লুকিয়ে রেখে, একটা ছেঁড়া লুঙ্গি গায়ে দিয়ে জেলের ছদ্মবেশে তিনি যখন ভূষণছড়া পৌঁছুলেন, তখন ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেছে। কঠোর নিরাপত্তায় ঘেরাও দিয়ে রাখা হয়েছে গ্রাম। হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ডিসি, ডিআইজি, জিওসি আর জনকতক ব্রিগেডিয়ার। পূর্ণ মনোযোগের সহিত নিশ্চিত করা হচ্ছে— ভূষণছড়া গ্রাম থেকে কেউ যেন বের হতে না পারে। চলছে কঠোর নজরদারি। পাছে ঘটনা আবার ফাঁস হয়ে যায়!

দেখলেন সৈয়দ মুরতজা— তিনদিন পরও এদিক-সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য মৃতদেহ। কিছু গণকবরে পুঁতে দেওয়া হয়েছে; আরও নতুন গণকবর খোড়ার জন্য তোড়জোড় চলমান। বাকি লাশ কুকুর-শেয়ালে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গেছে। আসার পথে নদীতে ভাসতেও দেখেছেন বেশ অনেকগুলো। ওগুলার কোন হিসাব নাই।

তবে কেবল ওইটুকুই নয়। চাকমাদের নৃশংসতা দেখে হতভম্ব হয়ে গেলেন একাত্তরের পোড়-খাওয়া সাংবাদিক। লিখতে গিয়ে কোন ভাষা খুঁজে পাইলেন না। তাই Massacre at Dawn শিরোনামের রিপোর্টটা শুরু করলেন সিম্পল বর্ণনায়—

“The beheaded body of a young woman, Rizia Khatun, was found lying at Poabari para of Bhushanchara settlement, with her dead child in the position of suckling her bosom. Both hands of yet another baby were found severed. Yet another infant was seen cut by half. A seven day old boy was bayoneted to death in front of his parents…”
(ভূষণছড়া গ্রামের তরুণী রিজিয়া খাতুনের মস্তকহীন দেহটা পাওয়া গেল পোয়াবাড়ি পাড়ায়। কোলে থাকা তার শিশু সন্তানটিও মৃত; তখনও কামড়ে ধরে আছে মায়ের স্তন। আরেকটি বাচ্চার দুই হাত কেটে নেওয়া হয়েছে। দুই টুকরা করে ফেলা হয়েছে আরও এক শিশু। সাত দিনের এক বাচ্চাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মারা হয়েছে পিতা-মাতার সামনে…”

ঠিক কতজন বাঙালী যে সেদিন চাকমা সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়, তার কোন হিসাব আজ পর্যন্ত নাই। নাম-পরিচয় সহ ৩৭০ জনের একটা তালিকা আছে। তবে সেই রিপোর্টে গবেষক আতিকুর রহমান পরিষ্কার করে বলে গেছেন— তালিকা অসমাপ্ত।

বাংলাদেশ ইকোনোমিস্ট-এ ১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সাংবাদিক মইনুদ্দিন নাসের বলেন, মৃতের সংখ্যা কম করে হলেও চার শতাধিক। অনেক বডি চাকমারা এমনভাবে বিকৃত করেছে যা আর ‘আইডেন্টিফিকেশন’ এর উপযুক্ত নাই। অনেক দেহ আগুনে জ্বলে ভষ্ম হয়ে গেছে। আবার বন্য প্রাণী টেনে নিয়ে গেছে বেশ কিছু। তিন শতাধিক পরিবার কাউকে না কাউকে হারিয়েছে। আর এদের মাঝে একশরও বেশি পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন।

চাকমারা বাঙালীদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল ভোর চারটা থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত। স্বাধীন বাংলাদেশে এর সমতূল্য, বা এর অর্ধেক, কিংবা এমনকি সিকিভাগ হত্যাযজ্ঞও আর কখনও হয় নাই। এই ঘটনার জন্য আজতক কারও কোন বিচার হয় নাই। পুলিশ মামলাই নেয় নাই!

ওইদিন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে ন্যায় বিচার মরে গেছে। আর ন্যায় বিচারের কবর হয়ে গেছে ২০০১ সালে, যেইদিন বিএনপির টিকেট নিয়ে এমপি হয়েছে মণি স্বপন দেওয়ান চাকমা। হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী।

এই সেই মণি স্বপন, ওরফে শান্তিবাহিনীর “মেজর” রাজেশ, যার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে এই গণহত্যা চালানো হয়েছিল। হাতে রাইফেল নিয়ে নিজে হাজির ছিল সেথায়। প্রতিটা নিউজ, রিপোর্ট আর আর্টিকেল এই একটা বিষয়ে একমত— আক্রমণের ফিল্ড-কমান্ডার ছিল মণি স্বপন। কারও কারও বর্ণনা মোতাবেক, গণহত্যা শুরু করার সিগনাল ওই প্রথম গুলিটি ছিল তারই চালানো।

সেই মণি স্বপন এখনও জীবিত। রাজনীতির মাঠে পূর্ণ সক্রিয়। এই কয়েক মাস আগেও রাঙামাটি বিএনপির সমাবেশে গলার রগ ফুলিয়ে বক্তব্য দিয়েছে। ভূষণছড়ার ঘটনা জানতে চাইলে সে মিটিমিটি হাসে। লাজুক মুখে জবাব দেয়, “নো কমেন্ট। অনেকদিন আগের কথা তো।”

কিছুদিন পরপর আমি মণি স্বপনের খোঁজ রাখি। দেখি, পহেলা রমজানে মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানো ভয়ংকর খুনিটা বাংলার মাটিতে দিব্যি সুখে আছে। ইসলামকে কটাক্ষ করে বৌদ্ধ ধর্মসভায় বক্তব্য দিতেছে— মদের চেয়েও নাকি ধর্মের নেশা ভয়ংকর।

আরও দেখি, ওই রাতে পরিবারের ৭ জনকে হারানো এক বাঙালি জানতে চাইতেছেন, তাকে পাঁচ হাজার টাকা আর এক বস্তা চাউল দেওয়া হইছে। এইটাই জীবনের মূল্য কী না?

জিজ্ঞেস করেন ওই রাতে পরিবারের সবাইকে হারিয়ে একা আব্দুল হাই— খুনীরা শান্তিচুক্তির পর জমি, রেশন, বেতন আর ব্যাংকঋণ পাইল। কিন্তু তার ভাই-বোনদের গণকবরটা সংরক্ষণের জন্য একটা বেড়া পর্যন্ত দিতে দেওয়া হইল না কেন?

বলেন মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন, সে রাতে তার গর্ভবতি স্ত্রীর পেট চিরে সন্তান বের করে আনছিল শান্তিবাহিনীর লোকজন। তারপর তার ঘরে আগুন দিয়ে সেখানে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ফেলে দেওয়া হয়। পুড়ে তাদের দেহ দলা পাকায়ে গেছিল। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাই পৃথক কবর দেওয়া সম্ভব হয় নাই। যখনই ব্যাপারটা স্মরণ হয়, তার মন অশান্ত হয়ে যায়।

শুনে আমার অস্থির অস্থির লাগে। আমিও শান্তি পাই না। তাই আমি পাহাড়িদের সাথে করা শেখ হাসিনার ‘শান্তিচুক্তি’ ঘৃণা করি।

কিসের শান্তি??

মণি স্বপন চাকমাদেরকে ঝুলতে দেখার আগ পর্যন্ত আমার কোন শান্তি নাই!!

©আদিল মোর্শেদ

28/09/2025

ম্যাটসদের আন্দোলনের আদ্যোপান্ত খুঁজতে তাদের কিছু গ্রুপ ও পেজে ঢুকে তাদের পোস্টগুলো পড়তে থাকলাম আর কমেন্টগুলো দেখলাম। এই পোস্টে তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করবো। এবং মেডিকেল সেক্টরের সংকট নিয়েও আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।

তাদের দাবি মূলত চারটা। তবে প্রতিটি দাবির শাখা প্রশাখা আছে-
১, ম্যাটসদেরকে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট এর বদলে ডিপ্লোমা ডাক্তার হিসেবে পদমর্যাদা দিতে হবে। তারা ডাক্তার এবং নার্সদের মাঝামাঝি পদে চাকরি করতে চায়।
২, সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদেরকে শতভাগ কোটায় ১০ম গ্রেডে উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে নিযুক্ত করতে হবে।
৩, ডুয়েটের আদলে এমবিবিএস করার জন্য তাদের জন্য আলাদা বিশেষায়িত মেডিকেল কলেজ বরাদ্দ করতে হবে।
৪, তাদেরকে বিভিন্ন চেম্বার খুলে ডাক্তার হিসেবে প্র্যাকটিস করার অনুমতি দিতে হবে। এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রমোশন দিতে হবে।

পর্যালোচনা:
এ পর্যন্ত যতগুলো দাবি দেখলেন সেগুলো পূরণ হলে কি পরিণতি হতে পারে তা আপনাদেরকে মনে হয় খুব বেশি ভেঙে বলার দরকার নাই। তাদের মধ্যে যে ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে তা হল,
১, দেশে এমবিবিএস ডিগ্রী চালুর আগে ডিএমএফ (ডিপ্লোমা) কোর্স চালু হয়েছে। তাই এটাকেই মেডিকেল সেক্টরে প্রবেশের মূল পথ বানানো উচিত। (এটাকে ভিন্নভাবে ওয়ান চ্যানেল এডুকেশন সিস্টেমের দাবিও বলতে পারেন)
২, ডিপ্লোমাধারীরাই প্রকৃত ডাক্তার। এমবিবিএস কোর্সে মানুষের কয়টা হাড়, কোথায় কোন হাড়ের নাম কি, কোথায় হার্ট/কিডনি/লিভার আছে সেগুলো পড়ানো হয়। অথচ এগুলো হল অপ্রয়োজনীয় পড়াশোনা। এসবে শুধুই সময়, মেধা আর শ্রমের ক্ষতি। ডিপ্লোমায় বিভিন্ন রোগের লক্ষণ, প্রতিকার এবং প্রতিরোধের উপায় পড়ানো হয়। তাই ডিপ্লোমাতেই প্রকৃত চিকিৎসাবিদ্যা শেখানো হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনো রোগী পায়ে আঘাত পেয়ে ডাক্তারের কাছে আসছে। তার পায়ের এক্সরে করলেই বোঝা যাবে হাড় ভেঙেছে কিনা। হাড় ভেঙে সঠিক জায়গায় না থাকলে সার্জারি করে প্লাস্টার করে দিলেই হয়। তারজন্য সেই হাড়ের নাম মুখস্থ করা অপ্রয়োজনীয়।
৩, ডিপ্লোমারা এমবিবিএস করার সুযোগ পেলে তারা বিদ্যমান ডাক্তারদের চেয়েও ভালো চিকিৎসা সেবা দিতে পারবে বলেই তাদের আত্মবিশ্বাস।
৪, ডিপ্লোমারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে থাকতে চায় না। তারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে যেতে চায়। এর মূল কারণ হল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কখনও তাদের স্বার্থের পক্ষে কাজ করেনি। বরং সবসময় তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তাই তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বের হতে চায়।
৫, ডিপ্লোমারা তাদের কোর্সের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়িয়ে ইন্টার্ন যুক্ত করে এমবিবিএস এর সমান করতে চায়। তাই তারা তাদের সিলেবাসকে এমবিবিএস এর আদলেই বাংলা মিডিয়ামে করার জন্য দাবি করে।
৬, তারা মনে করে তাদের পড়ানোর জন্য এমবিবিএস পাশ শিক্ষকদের দরকার নাই। সেখানে শুধুমাত্র ডিপ্লোমাধারীদেরকে শিক্ষক রাখলেই চলবে।

ডিপ্লোমাদের মতে ডাক্তারি পেশায় কার কি রোল হবে। শ্রম বিভাজন যেভাবে হবে-
ডাক্তারদের ক্ষেত্রে-
তারা এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের পড়াবে। রোগব্যাধি নিয়ে গবেষণা করবে। নতুন নতুন ঔষধ উদ্ভাবন করবে। বিভিন্ন কাজে অনুমোদন দেবে। ডেস্ক লেভেলে প্রাকটিস করবে।

ডিপ্লোমাদের ক্ষেত্রে-
তারা ম্যাটসে শিক্ষকতা করবে। ফিল্ড লেভেলে প্রাকটিস করবে (গ্রাহকদের ফোন কলে তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে রোগী দেখবে এবং চিকিৎসাসেবা দেবে)। সকল উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিকে শুধুমাত্র তারাই চিকিৎসাসেবা দেবে। তারাই ছোট-বড় সব ধরনের সার্জারি করবে। ডাক্তারদের কাজ শুধুমাত্র রোগীদের কন্ডিশন এবং রিপোর্ট দেখে সার্জারির উপযুক্ত কিনা তার অনুমোদন দেওয়া। সার্জারির দায়িত্ব ডিপ্লোমাদের।

ডিপ্লোমাদের ন্যারেটিভ হল সরকারের এত এত এমবিবিএস ডিগ্রীধারী প্রোডিউস করার দরকার নাই। দেশের ৮০% চিকিৎসাসেবা ডিপ্লোমাধারীদের দিয়েই সম্ভব। এতে সরকারের খরচ কম হবে এবং সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা সহজলভ্য হবে।

বিঃদ্রঃ পোস্টে ডিএমএফ এর জায়গায় ডিপ্লোমা লেখা হয়েছে। এটা কোনো আয়রনি বা সার্কাজম পোস্ট না।
©

24/09/2025

প্যারাসিটামলের কথা

বউ মাঝে মাঝেই বলেন, “প্যারাসিটামল যিনি বানিয়েছেন, আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তাঁকে ভালো রাখেন।” নাপা, এইস, প্যানাডলসহ হরেক নামেই এই ওষুধটি আমাদের দেশে পরিচিত। এমন খুব কম ব্যথা বা জ্বর আছে, যেখানে দুটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সেবন করে নেওয়ার পর কোনো উন্নতি আসে না।

হ্যাঁ, দুটি ট্যাবলেট। ৫০ কেজির বেশি ওজন যাদের, তাদের জন্য প্যারাসিটামলের ডোজ হলো দুটি ট্যাবলেট প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা অন্তর (দিনে সর্বোচ্চ চারবার)। অধিকাংশ রোগীই পর্যাপ্ত পরিমাণ প্যারাসিটামল না খেয়ে অন্যান্য ব্যথার ওষুধ খোঁজেন, যা প্রায়শই আরও বেশি বিপজ্জনক। তাছাড়া, দামের দিক থেকেও প্যারাসিটামলের চেয়ে সস্তা ওষুধ বাজারে বিরল।

এক বন্ধু একবার মাইগ্রেনের অসহনীয় যন্ত্রণার কথা বলেছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, "তুমি কি দিনে চারবার, দুটো করে প্যারাসিটামল খেয়েছ?" সে বলল—না। আমি বললাম, "বিশ্বাস করো, এত ভিন্ন ওষুধের চেয়ে ফুল ডোজ প্যারাসিটামলের কোনো ব্যতিক্রম নেই!" বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) একটি 'পেইন ল্যাডার' আছে, সেই ধাপগুলোর প্রথমটিই হলো প্যারাসিটামল।

সাধারণত, যেকোনো ওষুধ নেওয়ার সময় আমাদের মনে একটি ভয় থাকে যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা আসক্তির ঝুঁকি আছে কিনা। প্যারাসিটামলের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রায় সেই ভয় নেই। ২৪ ঘণ্টায় আটটি ট্যাবলেট পর্যন্ত নেওয়া একেবারেই নিরাপদ। তবে, এর চেয়ে বেশি নিলে অনেক বড় ঝুঁকি তৈরি হয়। অতিরিক্ত মাত্রায় প্যারাসিটামল সেবন করে আমার এক বন্ধু ২০০৮ সালে মারাও গিয়েছিল।
কিন্তু সাধারণ ডোজে এটি কোনো ক্ষতিই করে না। এমন ওষুধ সত্যিই বিরল। ১৮৭৮ সালে হারমন নর্থ্রপ মোর্স অথবা ১৮৫২ সালে চার্লস ফ্রেডেরিক গেরহার্ডট এই ওষুধটি আবিষ্কার করেছিলেন। যদিও রেগুলার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতে হতে ১৯৫০ হয়ে যায়। এর ক্রিয়া-পদ্ধতি বিজ্ঞানীরা এখনো সঠিক জানেন না, এবং এ নিয়ে গবেষণা চলছে। এটি খোদার এক অশেষ আশীর্বাদ—আমরা ঠিক জানিও না এটি কিভাবে কাজ করে, কিন্তু এটি অসাধারণ ফল দেয়!

আমেরিকান এবং জাপানিরা আবার এই প্যারাসিটামলকে বলে এসিটামিনোফেন (Acetaminophen)। এর রাসায়নিক নামের অংশ—Para-acetylaminophenol—থেকেই সংক্ষেপে Paracetamol বা Acetaminophen নামটি এসেছে।

সম্প্রতি, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার অনুসারীরা ভিত্তিহীনভাবে বলে ফেললেন যে গর্ভবতী অবস্থায় প্যারাসিটামল খাওয়ার সাথে অটিজমের সম্পর্ক আছে। এমন ভিত্তিহীন কথা কোথায় গিয়ে থামবে, কেউ জানে না। কারণ, গর্ভবতী মা ব্যথা বা জ্বর নিয়ে থাকলে তা বাচ্চার অনেক ক্ষতি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, ট্রামাডলসহ অন্যান্য ব্যথার ওষুধের ঝুঁকি আরও অনেক বেশি! কিন্তু এই ধরনের সংশয় ঢুকিয়ে দেওয়ায় এখন অনেকেই অকারণে ভয় পাচ্ছেন।

- রাইক রিদওয়ান

23/09/2025

রাবিতে শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলার নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী আম্মারের দাবি - তিনি শিবিরের সাংগঠনিক কাঠামোতে যুক্ত কেউ নন, তিনি এনভায়রনমেন্টাল শিবির।

এনভায়রনমেন্টাল শিবির গুরুত্বপূর্ণ টার্ম। এর শাব্দিক এবং তাৎপর্যগত অর্থ একই — শিবির নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বেড়ে ওঠা ব্যক্তি যিনি শিবিরের রাজনীতি না করলেও তার মনস্তত্ত্বের বড় জায়গা জুড়ে শিবিরের আদর্শিক প্রভাব রয়েছে যার দ্বারা তার বিশ্বাস এবং আচরণগত প্রতিক্রিয়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত কিংবা প্রভাবিত হয়।

এর মানে হচ্ছে শিক্ষকের গায়ে হাততোলার সংস্কৃতি তার পরিবেশগত শিক্ষার একটি রূপ। এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে শিবিরের সব ছেলেরাই কী শিক্ষকের গায় হাত তোলে কিংবা শিবিরের অনান্য ছেলেরা কেনো শিক্ষকের গায়ে হাত তোলে নাই?

এর উত্তরটা ১ টা সংক্ষিপ্ত গল্পের মাধ্যমে বলবো। একটা সিনেমা হলে ৫ জন ভাই একত্রে একটা মুভি দেখছিলো। উল্লেখ্য যে ৫ জনেরই পরিবেশগত শিক্ষা একই ছিলো। একই মুভি দেখার পরেও ৩ জন ভাই ঐ মুভি দেখে হাসতে শুরু করলো, ১ জন ভাই কান্না করলো, অবশিষ্ট ১ জন ভাই স্বাভাবিক থাকলো। এর মানে হচ্ছে একই পরিবেশে শিক্ষা পেলেও একই বিষয়ে সকলের প্রতিক্রিয়া সমান হবে না, তবে মেজরিটির প্রতিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যই পরিবেশগত শিক্ষার ধরন কেমন ছিলো তা নির্ধারণ করবে।

আমার অভিজ্ঞতার আলোকে —
শিবির নেতা সাদিক কায়েমেরটা জানি না তবে ফরহাদ শিবিরের মাইনরিটির রিপ্রেজেন্ট করে। আম্মার মেজরিটির রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ।

- জালিস মাহমুদ

Address

Dhaka Medical College
Saint George's
1000

Website

https://campus.engineersdiarybd.com/category/medical/, https://shop.zatiqeasy.com/16911

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Physician's Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share