25/06/2025
১২ ওভার ১ বলে ১১৬ রান করলেই টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে দল। সুপার এইটে যাওয়ার পর প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়া দলের জন্য এর চেয়ে ভালো সুযোগ কি হতে পারে?
কিন্তু সেই ম্যাচে মিনিমাম কোনো ইন্টেন্ট দেখালেন না কেউ! ভোর বেলা টিভি সেটের সামনে বসে থাকা শত শত মানুষকে যেন তুচ্ছ করল শান্ত অ্যান্ড কোং।
বিশেষ করে রিয়াদের ৯ বলে ৬ আর সৌম্যর ১০ বলে ১০ যেন সাপোর্টারদের সাথে ছিল তামাশা। রিয়াদ তো রীতিমোত দেখেশুনে ডিফেন্স করছিলেন।
এবং ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত হেরেই গিয়েছিল বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে শান্ত শোনালেন সেই অমর বাণী, সেমি-ফাইনাল নয়, বাংলাদেশ ভাবছিল শুধু ম্যাচটা জেতার কথা।
সাপোর্টারদের সাথে এমন কাজ কি প্রতারণার চেয়ে কম? আপনি আশা নিয়ে আছেন, আপনার দল ভালো খেলবে, সেমিতে যাবে। অথচ সেটা তারা চাচ্ছেই না! পারা বা না পারা ভিন্ন বিষয়, দলটার ইচ্ছাই নাই সেমিতে খেলার।
২০১৪ সালে হংকং, আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। ঐ বছর টানা হারতে থাকা দলটাকেও এখনকার চাইতে বেশি সাপোর্ট করত মানুষজন।
নিজের দেশ না হওয়া সত্ত্বেও, হাজার হাজার মাইল দূরের আর্জেন্টিনাকে বছরের পর বছর ট্রফি না জিতলেও এ দেশে তাদের ভালোবাসার অভাব পড়ে নাই।
অথচ যে দেশটায় ক্রিকেট ছিল অক্সিজেনের মতো, সেখানে আজকে ক্রিকেটে ভাটা। ফ্রি টিকিট দিলেও স্টেডিয়াম ভরবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
যে দলটা নিজেই চায় না জিততে, আপনি কীভাবে তার জয়ের জন্য চিয়ার করবেন, প্রার্থনায় বসবেন? সাপোর্ট মানুষ তখনই করে যখন লক্ষ্য একই থাকে।
এই নেগেটিভ ক্রিকেটটা আজও চলমান। সর্বশেষ গল টেস্টেই জয়ের জন্য মিনিমাম ইন্টেন্ট না দেখিয়ে, ড্র করার লক্ষ্য নিয়ে খেলে গেল।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই টি-২০ ম্যাচ দিয়ে এক অন্ধকার গলিতে হাঁটা শুরুর এক বছর হলো আজ।