08/06/2025
#এলার্মিং_পোস্ট
যমুনা টিভির ক্রাইম সিন নামক অনুষ্ঠানে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে ঢাকা চিটাগাং ট্রেন লাইন নিয়ে। গত কয়েক বছরে এই লাইনের কিছু কিছু স্পটে প্রায় দেড়শ মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় আখাউড়া ভৈরব কিশোরগঞ্জ কসবা বি-বাড়িয়া হয়ে নরসিংদী পর্যন্ত।
পুলিশ এই লাশগুলা বেশিরভাগ অজ্ঞাতপরিচয় আত্নহত্যা হিসেবে রেকর্ড করে।তারপর মর্গ হয়ে মাটিচাপা। হিন্দু মুসলিম ব্যাপার নাই, সব মাটিচাপা। ডোম মৃতব্যাক্তির জামাকাপড় রেলওয়ে ডোমঘরের সামনে ঝুলায়ে রাখে।
যদি বছর দুয়েকের ভিতর মা বাবা এসে জামাকাপড় দেখে সনাক্ত করতে পারে তাইলে কবর দেখিয়ে দেওয়া যাবে জামাকাপড় রোদে শুকায়ে বৃষ্টিতে ভিজে চেহারা সুরত আস্ত থাকেনা।
এই লাশ গুলা বেশিরভাগই মার্ডার কেস। দশ বিশ পাঁচশ টাকা, পকেটে থাকা মোবাইল ফোন, এগুলা ছিনতাই করার জন্য মার্ডারগুলা করা হয়। বিশ টাকার জন্যও তারা মানুষ খুন করছে।
ছিনতাইয়ের নিয়মটা হচ্ছে ট্রেনের দুই বগির মাঝখানে করিডোরের মত থাকে, দুই পাশে দরজা, বাথরুম। রাতের ট্রেনে এসব যায়গায় সুবিধামত লোক পেলে ছিনতাইকারী চক্রের দুইজন পেছন থেকে আক্রমণ করে।
আক্রমণের নিয়ম হচ্ছে গামছাকে পেঁচিয়ে চিকন করা হয় প্রথমে।তারপর দুই মাথা দুইজন ধরে যাকে আক্রমণ করা হবে, তার গলায় পেছন থেকে এক প্যাঁচ দিয়ে দুপাশ থেকে হেছকা টান। ১৫ সেকেন্ডের ভিতরই ঐলোক মারা যাবে। না মরলেও তার জীবন ঐখানেই শেষ।
এরপর তার পকেট থেকে যা নেওয়ার নিয়ে পাশের দরজা দিয়ে ফেলে দিবে।রাতের ট্রেনে সবাই ঘুমায়। তাছাড়া ট্রেনের আওয়াজ থাকে। কেউ কিচ্ছু টের পাবেনা। পুরো কাজটা করতে সময় লাগে সর্বোচ্চ দেড় মিনিট।
এরা ধরা পড়ে, আবার জামিনে বের হয় আদালতের কাছে এভিডেন্স থাকেনা পর্যাপ্ত।এভিডেন্স না থাকলে বিচারও করা সম্ভব হয় না।
তাই সতর্ক থাকুন। নিউজটি সকলে শেয়ার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।
-এসআই ইমরান
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন
[Collected]
Copied Post 2: Danger! Be careful!
এই পোস্ট টা দেখে মনে হলো সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির মতো আমার ঘটনা টাও সবার সাথে শেয়ার করা উচিত।
ওয়েল, আমার সাথেও এই ঘটনা টিই ঘটেছিলো কিন্তু আমার ক্ষেত্রে স্থান ছিলো আলাদা। আমাকে ২০১২ সালের ২রা জানুয়ারি খিলক্ষেত রেলগেট এলাকায় ফেলে দিয়েছিলো ওই গামছা পার্টির হেরোইনখোড় গুলা।
পার্থক্য আমি এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর আসছিলাম ভার্সিটি থেকে তুরাগ ট্রেনে। তুরাগের এক বগি থেকে আরেক বগি তে যাওয়া যায় না (লোকাল ট্রেন) আর ওই বগি তে শুধু এরাই ছিলো।
ট্রেন ছাড়ার পরে আমার মনে হলো সামথিং ইজ রঙ কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে, ওরা চোখের পলকে আমার গলায় গামছার ফাঁস টা ঢুকিয়ে দিলো পিছন থেকে আর আমাকে টেনে সিট থেকে নিচে ফেলে দিলো। আমার এরপরের আর কিছুই মনে নেই, শুধু মনে আছে আমি গামছাবাঁধা গলায় গামছার ফাঁক দিয়ে হাত ঢুকানোর চেষ্টা করছি আর ওরা গালি গালাজ করছে।
আমার কাছ থেকে ওরা বেশি টাকা পায়নি, সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা ছিলো ক্লাস করে বাসায় যাচ্ছি কিন্তু ব্যাগ টা বড় ছিলো আর ছিলো প্র্যাকটিক্যাল প্যাটার্ন ক্লাসের জিনিসে ঠাসা। মোবাইল মানিব্যাগ নিয়ে গেছিলো, মানিব্যাগ এ আইডি কার্ড ছিলো।
আর হ্যা, কাঙ্গালি গুলা কে আমার যেটা আকৃষ্ট করছিলো বলে আমার ধারণা সেটা হলো কাধে ঝুলানো থাকা কালো লম্বা গোল পেপার হোল্ডার।
যাই হোক এর পরে আমাকে কিছু পথচারী নিকটস্থ ক্লিনিকে নিয়ে গেলে তারা আমাকে রাখতে অস্বীকৃতি জানায় বলে ইয়াং ছেলে এটা পুলিশ কেস। তাই তারা আমাকে টহল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিলো কিছু সময় পরেই।
এই ঘটনার পর চারদিন আমার কোনো খোজখবর পাওয়া যায় নাই
হাসপাতাল গুলোর মর্গে, ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে, রেল স্টেশন এ, রেলের ডোমঘরে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আমার বন্ধু বান্ধব, এলাকাবাসী, পরিবারের লোকজন আমাকে খোজেনি (প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমার বাবা বাংলাদেশ রেলওয়ে তে কর্মরত আছেন)। ঢামেকেই আমার আব্বুর কলীগরা আর আমার বন্ধু রা এসে খুজে গিয়েছিলো কিন্তু আমাকে পায়নি অথবা দেখলেও শনাক্ত করতে পারেনি। আমার ভার্সিটির বন্ধু বান্ধবরা আমাকে খুজতে এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেললাইন ধরে হেটেও এসেছিলো। ক্যান্টনমেন্ট ষ্টেশন এর কিছুটা সামনে অথবা পিছনে বন্ধুরা আমার ক্লাসের খাতা, নোট পত্র পরিত্যাক্ত হিসেবে পেলেও আমার কোনো খবর কেউ পাচ্ছিলো না।
পঞ্চম দিন দুপুর বেলা (৬ই জানুয়ারি) আমার মামা আমাকে ঢামেক এর ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের করিডরের লাস্ট বেডে খুজে পায়। আমাকে মামা দেখে চিনতে পারেনি, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি আমার মাথার স্কাল্প এ একটা বিরল অসুখ আছে যেটার কারণে ওই জায়গার চুল পরে গেছে এবং চামড়া শক্ত হয়ে গেছে ওইটা দেখে আমার মামা আমাকে শনাক্ত করেন।
আমাকে যখন পাওয়া যায় তখন আমার হাত বাধা ছিলো বেডের সাথে, কারণ জিজ্ঞেস করার পরে আমার পরিবার কে বলা হলো আমি যাতে উঠে চলে না যাই তার জন্য। আমার গায়ে আন্ডারওয়্যার ছাড়া ছিলো না আর কোনো কাপড়, সব ছিড়ে গেছিলো, রক্ত ধুলা বালি লেগে ছিলো তাই সিভিয়ার ইনফেকশন যাতে না হয় সে কারণে ওগুলো খুলে রেখেছিলো।
এই ছবিটা আমাকে খুঁজে পাওয়ার ২-৩ দিন পরের রাশমনো হাসপাতাল, মগবাজারে চিকিৎসা চলছে তখনকার।
যাই হোক সবাই সাবধানে রাতের ট্রেন এ চলাফেরা করবেন, লংজার্নি তে উপরের ঘটনাটা খুব ঘন ঘন হয় সুতরাং সিগারেট খেতে গেলেন বা যে কোন সময় একা দরজার কাছে গেলেন তখন চোখ কান খোলা রাখবেন। আর কখনোই বগি তে কম লোক থাকলে সেটায় উঠবেন না।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে আমাকে আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন, আমিন।
Copied for public awareness!
Suggestions from TESOL BANGLADESH :
1. Install CCTV in each train compartment.
2. Increase number of Train police, at least 20 for each running train
3. SOS option
4. Explore the train in-group, not alone
5. Never eat anything offered by strangers
6. Train Police Monitoring Cell Activation
7. No tickets No entry
8. No political influence
9. Instant fine or jail for criminals
May Allah give us safe and secure train journey in Bangladesh!
゚ ゚viralシ