19/08/2024
কিছু আবেগী মানুষ হঠাৎ করে দূর্গা পূজা বন্ধে উঠে পড়ে লেগেছে দুর্গাপুজো মানে শক্তির সাধনা। কোন মেয়ের বাড়ি ফেরা নয়। যখন শক্তি সঞ্চয় সব থেকে বেশী জরুরী তখনই আওয়াজ উঠছে পুজো বন্ধ করতে হবে৷ কেন ভাই?
সপ্তমীর আবাহন মানে কচি কলাপাতায় বাতাবি আর নারকেলের নাড়ু খাওয়া নয়,আসলে যুদ্ধের জন্য এক দেবীকে আবাহন।
দুর্গাপুজো মানে লুচি আর আলুর দম দিয়ে সন্ধির উপোস নয়,দশ হাতে দশ অস্ত্রের ঝনঝনানি,অসুর বধের সংকল্প।
দুর্গাপূজো মানে নবমীতে মাংসের দোকানে লাইন দিয়ে দাঁত কেলানো নয়,তীব্র হুংকারে বলা - গর্জে উঠো , তোমার গর্জনে যেনো শত্রুর বুকে কাপন ধরে যায়।
দুর্গাপুজো মানে সিঁদুর খেলে সেল্ফি তুলে পোষ্টানো নয়,নিজের স্বামীকে ছেলেকে যুদ্ধে পাঠিয়ে সিঁথিতে সিঁদুর নেওয়া।
তাই এই ন্যাকামি আর ঢ্যামনামি বন্ধ হোক। যদি ক্ষমতা থাকে প্রত্যেক প্যান্ডেলে অস্ত্রের পুজা হোক। নারীর হাতে অস্ত্র তুলে দিক পুরুষ। মেয়ের হাতে অস্ত্র দান করুক বাবা।
দুর্গার হাতের সব অস্ত্রই কিন্তু পুরুষদের দেওয়া। নিজেরা কাপুরুষ না হয়ে পুরুষ হন তবেই সব নারী দুর্গা হবে।
এমনি এমনি হয় না। কবি সুলভ অপরিনত ভাবনা ছেড়ে শক্তির সাধনা হোক ।গ্রাম থেকে শহর। নারী শক্তির জাগরন হোক পুরুষের হাত ধরে। এটাই ভারতীয় সংস্কৃতি। ভারতীয় পরম্পরা।দুর্গাপুজো মানে শক্তির সাধনা।