20/11/2025
“মানবাধিকার বনাম রাজনীতি — একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড”
গত নভেম্বর ১৭ তারিখে Sheikh Hasina (বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী)-র বিরুদ্ধে International Crimes Tribunal (Bangladesh)-এ দায়েরকৃত মামলায় “মানবাধিকার বিরোধী অপরাধ (crimes against humanity)” অভিযোগে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এখানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে আসে — এটি কি সত্যিকার “সর্বজনকার্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান” এর রায়? আর এই রায় কি বাধ্যতামূলকভাবে সব দেশ মানবে?
➤ এটি কি আন্তর্জাতিক আদালতের রায়?
না, এটি এমন একটি প্রতিস্থাপন না যেটি সরাসরি আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা নির্ধারিত ও সব দেশ বাধ্য। এই ট্রাইব্যুনাল মূলত বাংলাদেশের নিজ-আইন (International Crimes (Tribunals) Act, 1973) ও দেশের একটি বিশেষ আদালতের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।
অতএব এটি এমন একটি রায় নয় যা নিজে-নিজে “সব দেশের ওপর প্রয়োগযোগ্য” আন্তর্জাতিক রায় হিসেবে গণ্য হয়।
➤ দেশ চাইলে মানতে পারে, না চাইলে নয়?
হ্যাঁ — সাধারণভাবে একটি দেশ নিজস্ব আইন ও আদালতের মাধ্যমে রায় দেয় এবং অন্য দেশ-সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আদালত বা সংস্থা (যেমন International Criminal Court) যুক্ত না হলে, সেই রায় অন্য কোনো দেশের ওপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাধ্যকর হয় না।
এই ক্ষেত্রে, এখানে বিচারব্যবস্থা ও রায় পুরোপুরি বাংলাদেশের প্রসঙ্গে — তাই অন্য কোনো দেশ সেই রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রহণ বা প্রয়োগ করতে বাধ্য নয়।
➤ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে —
রায় দেওয়া হয়েছে “মানবাধিকার বিরোধী অপরাধ” হিসেবে।
এই ট্রাইব্যুনাল হচ্ছে দেশের বিশেষ আদালত, আন্তর্জাতিক বিচারিক ফরামে সবসময় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলেছে-না সে ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে।
রায় ঘোষণা হওয়ার পর রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে উত্তেজনা ও প্রতিক্রিয়া বেড়েছে।