Ãru Shï

Ãru Shï Welcome to my page .... follow me
subscribe on my YouTube channel ✨

আমি আপনাকে ভালোবাসি রুদ্ধ ভাইয়া।রাত!  এবার কিন্তু সবটা বেশি বেশি হচ্ছে। নিজের পড়াশোনায় মন দাও।মাথা থেকে উল্টোপাল্টা চিন্...
10/07/2024

আমি আপনাকে ভালোবাসি রুদ্ধ ভাইয়া।
রাত! এবার কিন্তু সবটা বেশি বেশি হচ্ছে। নিজের পড়াশোনায় মন দাও।মাথা থেকে উল্টোপাল্টা চিন্তা বাদ দিয়ে এটা মাথায় ঢোকাও যে তোমাকে একটা ভালো জায়গায় চান্স পেতে হবে।

---- কিন্তু আমি তো আপনাকে,,

---- আমি হসপিটাল যাচ্ছি। তুমি বাসায় থাকবা।আম্মু একটু পরই চলে আসবে।

---- হুম।

" চলে গেলো রুদ্ধ ভাইয়া।আমি আরাত্রি রহমান।সবাই রাত বলে ডাকে।আমি এবার এডমিশন দিব।আমাদের বাড়ি গ্রামে হওয়ায় আমি ঢাকায় বাবার এক বন্ধু রাহাত আংকেলের বাড়িতে থেকে কোচিং করি।রুদ্ধ ভাইয়া হলো রাহাত আংকেলের বড় ছেলে। তার একটা ভাইও আছে।যদিও তাকে আমি কখনো দেখিনি।
রুদ্ধ ভাইয়ার মাও খুব ভালো।সেই এসে থেকে রুদ্ধ ভাইয়ার পিছনে পড়ে আছি আমি।কেন জানি খুব ভালোলাগে আমার উনাকে কিন্তু উনি আমাকে একদম পাত্তা দেয়না।"

---- আরে রাত,কী ভাবছিস।

---- না কিছু না, মামনি।( মামনি হলো রুদ্ধ ভাইয়ার মা।)

---- ওহ! তুই ফ্রেশ হয়ে আয়, আমি খেতে দিচ্ছি।

---- আচ্ছা।

খাওয়া দাওয়া করে কোচিং এর জন্য বেরিয়ে গেলাম।রুদ্ধ ভাইয়াদের বাড়ি থেকে কোচিং বেশ দূরেই হয়।বেশির ভাগ দিন রুদ্ধ ভাইয়া আমাকে ড্রপ করে দিয়ে যায়। আজ সে একটু আগেই বেরিয়ে গেছে।রুদ্ধ ভাইয়া ঢাকা মেডিকেল থেকে পড়েছেন।আপাতত উনি ইনর্টান করছে।ভাইয়াদের নিজের হাসপাতাল আছে।

আমি এই বাসায় এসেছি তাও মাসখানের কিন্তু রুদ্ধ ভাইয়ার ছোট ভাইকে দেখিনি সেও আমার মতো এডমিশন দিবে এবার।তবে সে নাকি এক্সাম শেষে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেছে।

আজ হাতে অনেক টাইম আছে তাই রিক্সা না নিয়ে হেঁটেই যাচ্ছিলাম।আর অনমনে এসব ভাবতে ভাবতে কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গেলাম।প্রচন্ড বিরক্ত নিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি একটা ছেলে।তারর সাথে বিশাল ব্যাগ।চোখে সানগ্লাস।অথচ এখন সকাল সাড়ে আটটা বাজে।রোদ নেই বললেই চলে।তাও সানগ্লাস!

ছেলেটা প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে চোখ মুখ কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন

---- এই যে রাতপাখি, একটু দেখে চলতে পারো না।

" আজব তো লোকটা আমার নাম জানল কী করে।তাও আবার রাতের সাথে পাখি।"

---- সরি,বাট আপনি আমায় কী নামে ডাকলেন।

---- উফ! সরি,সরি। তুমি আরাত্রি, রাইট।আমি দীপ্ত।

---- আপনি আমাকে চিনতে পারেন কিন্তু আমি তো আপনাকে চিনি না।

---- হোয়াট! তুমি আমাকে চিনো না।এই এলাকার ক্রাশ বয় আমি।

---- সো হোয়াট,,আমি এত ক্রাশ টাসের খবর রাখিনা।বাই দ্যা ওয়ে, আমার লেট হচ্ছে আমায় যেতে হবে।সো সাইড প্লিজ,,,এন্ড সরি ফর এভরিথিং।

" লোকটাকে কিছু বলতে না দিয়েই চলে এলাম।উনি সুন্দর ঠিক কিন্তু আমার ক্রাশ একজনই রুদ্ধ ভাইয়া।"

একেই রাস্তায় এসব হওয়ায় মেজাজটা খারাপ হয়ে ছিল। এখন কোচিং এ এসে মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেলো।আসতে দেরি হয়ে গেছে তাই বসার মাত্র একটাই জায়গা আছে। তাও ফারহানের পাশে।ফারহান ছেলেটা বড্ড গাঁয়েপড়া।আমার একদম পছন্দ না ওকে।
অগত্যা গিয়ে তার পাশেই বসতে হলো।

প্রচন্ড বিরক্ত নিয়ে কোচিং শেষ করে বাইরে দাঁড়িয়ো আছি।রুদ্ধ ভাইয়া নিতে আসবে বলেছেন।কিন্তু এখনো আসেনি।মোটামুটি সবাই চলে গেছে।আমি একসাইডে দাড়িয়ে ছিলাম তখন ফারহান আমার কাছে এসে বলল

---- আরে রাত এখানে দাড়িয়ে আছো কেন।রুদ্ধ ভাইয়া নিতে আসবে বুঝি।

---- হুম।

---- আচ্ছা সামনে একটা কফিশপ আছে।চলো আমরা এখানে গিয়ে বসি।

---- না না, এখানেই ঠিক আছি।

তখনই রুদ্ধ ভাইয়া চলে এলো।গাড়ির জানালার গ্লাস খুলে আমায় বলল

---- চলে এসো, রাত।

আমিও ফারহানকে বাই বলে চলে এলাম।গাড়িয়ে বসতেই রুদ্ধ ভাইয়া বললেন

---- ছেলেটা মোটেও ভালোনা।ওর সাথে বেশি কথা বলবেনা।

আমিও কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়ালাম।রুদ্ধ ভাইয়া ড্রাইভিং শুরু করলেন।রুদ্ধ ভাইয়ার সামনে আমি বেশি কথা বলিনা।উনি বেশি কথা বলা পছন্দ করেননা,বিরক্ত হন।আমিও নিজেকে উনার সামনে বিরক্তিকর হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইনা।

---------------

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে বেলকনিতে দাড়িয়ে ছিলাম।আংকেল আর রুদ্ধ ভাইয়া হাসপাতালে।আংকেলও ডাক্তার। বাসায় এখন আমি আর মামনি।এখন বাজে দুপুর সাড়ে তিনটা।মামনি তার রুমে ঘুমাচ্ছে।আমি বেলকনিতে দাড়িয়ে ছিলাম তখনই কিছু একটা আমায় আক্রমন করল।মানে আমার গায়ে লাফিয়ে উঠল।আমিও তাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেলাম।জিনিসটা খুব ভারী ছিল।আমার মনে হয় সবগুলা হাড় ভেঙে গেলো।আমি ব্যাথায় চিৎকার করে উঠলাম।অনেক কষ্টে সামনে তাকিয়ে দেখি একটা হাতির বাচ্চা।তবে কুকু*রের মতো দেখতে।মানে এটা আসলে কুকু*রই তবে সাইজটা হাতির মতো।

আমার চিৎকার শুনে মামনি চলে এলো।তার সাথে একটা ছেলেও এলো।এটা সকালের সেই ছেলেটা
সে এখানে কী করে।

মামনি আমাকে হাত ধরে টেনে তুলল।সিরিয়াসলি অনেক ব্যাথা পাইছি।আমাকে আমাকে বলল

---- কোথায় ব্যাথা পাইছো,মামনি।

আমি কিছু বলতে যাবো তখনই দেখলাম কুকু*রটা আমার দিকে এগিয়ে আসছে।আমিও দৌড়ে ঘরে গিয়ে খাটের ওপর দাড়িয়ে গেলাম।করুন মুখ করে মামনির দিকে তাকিয়ে বললা

---- এই কুকু*রটাকে সরাও, মামনি।

তখনই দীপ্ত ছেলেটা বলল

---- কু*কুর কোনটা? ওর নাম ক্যান্ডি।ওকে ক্যান্ডি বলে ডাকবা, ওকে।

মামনি বলল দীপ্ত নাকি রুদ্ধ ভাইয়ার ছোটোভাই।আমি অবাক চোখে তাকিয়ে বললাম

---- সকালে আপনাকে চিনতে পারিনি বলে এই হাতির সাইজ ক্যান্ডিটাকে রিভেঞ্জ নিতে পাঠিয়েছেন।

---- মোটেও না।ওর মেবি তোমার গায়ের গন্ধটা ভালোলেগেছে তাই ওভাবে,,

---- তাই বলে এভাবে,,, আমার যদি কোমরটা ভেঙে যেতো তাহলে আমায় কে বিয়ে করত।

---- কেন, বিয়েটা নাহয় ক্যান্ডির সাথে দিয়ে দিতাম।নাহলে তো ওর বাবাও ছিল।
এন্ড আমাকে আপনি একদম বলবে না।আপনি শুনলে নিজেকে আংকেল টাইপ লাগে।তুমি বলবে সবসময়।চাইলে তুই ও বলতে পারো।

" আজব লোক তো।"

সন্ধ্যাবেলা বসে বসে বই ঘাটছিলাম।তখনই রুদ্ধ ভাইয়া এসে আমায় একটা প্যাকেট দিলেন।প্যাকেটটা খুলে দেখি ওর ভেতরে একটা নীল শাড়ি।রুদ্ধ ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললেন

---- শাড়িটা ভালোলেগেছিল,আমার তো কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই যে তাকে দেবো।তাই বাড়িতে তুমি আছো তাই তোমার জন্য নিয়ে এলাম।ছোট বোন হিসেবে তো নিতেই পারো এটা।

" গিফটটা পেয়ে যতটা খুশি হয়েছিলাম। এখন রুদ্ধ ভাইয়ার কথা শুনে ততটাই কষ্ট পেলাম।হাত পা ছড়িয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে আমার।"

----------------

রাতে সবাই মিলে একসাথে খাবার খাচ্ছিলাম তখনই আংকেল বলল

---- তোমার পড়াশোনা কেমন চলছে মামনি।

---- জ্বী আংকেল, ভালো।

----হুম।তবে শুধু কোচিং করে মেডিকেল এ চান্স পাওয়াটা খুব কঠিন।তোমার নিজেরও অনেক পরিশ্রম করতো হবে।

----হুম।কাল থেকে আমি তোমাকো বাসায়ও কিছু এক্সট্রা পড়াবো।সাথে দীপ্তকেও।

রুদ্ধ ভাইয়ার কথা শুনে তো দীপ্তর কাঁশি উঠে গেলো।তবে আমি বেশ খুশি হলাম।

রাতে ঘুম না আসায় বলকনিতে দাড়িতে মোবাইল টিপছিলাম।আমাট পাশের বেলকনিটা দীপ্তর।সে ওখানেই ছিল।

খানিকক্ষন পর উনি আমায় ডাকলেন

---- রাত।

---- কিছু বলবেন।উফ সরি কিছু বলবে।

---- ভাইয়াকে কতটা পছন্দ কর?

" দীপ্তর কথা শুনে আমি অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম।তাকে কী রুদ্ধ ভাইয়া বলেছে। রুদ্ধ ভাইয়া সবটাই জানে।"

---- অবাক হয়োনা।ভাইয়া আমায় কিছু বলেনি।আমি তোমার চাহনি দেখেই সব বুঝেছি।ভাইয়াও সবটা বোঝে।তবে সে কখনো তোমার অনুভূতির মূল্য দিবে না।কারণ সে অন্য কারো মায়ায় আবদ্ধ।সে হলো,,,

চলবে,,,,,,
পর্ব-০১
Ãru Shï

শাশুড়ী দরজায় কান দিয়ে শুনছিলো আমি আমার স্বামীর সাথে কি কথা বলছিলাম! আজ আমাদের বিয়ের ২য় দিন সকাল ৭ টা। হঠাৎ ননদ ডেকে বললো...
10/07/2024

শাশুড়ী দরজায় কান দিয়ে শুনছিলো আমি আমার স্বামীর সাথে কি কথা বলছিলাম! আজ আমাদের বিয়ের ২য় দিন সকাল ৭ টা। হঠাৎ ননদ ডেকে বললো ভাবি তোমাকে মা ডাকছে, গেলাম গিয়ে দেখি শাশুড়ী মুখ গোমড়া করে বলে সকাল ৭ টা বাজে ঘুম থেকে উঠোনি তোমাকে কি স্বামীর সাথে শুয়ে থাকার জন্য বিয়ে দিয়ে আনছি? আমিঃ মা আমিতো নতুন বউ৷
শাশুড়ীঃ নতুন বউতো কি তোমাকে সিন্দুকে তুলে রাখবো? যাও নাস্তা বানিয়ে রেডি হও। লোকজন আসবে তোমাকে দেখতে। আমি ইরা ইন্টারে পরি, হঠাৎই দেখতে এসে বিয়ে পড়িয়ে নিয়ে আসে আমার শাশুড়ী আমাকে! কোনো অনুষ্ঠান হয়নি বিয়েতে।
আমার বাবা একজন কৃষক, চেহারা সুন্দর, গায়ের রং সাদা ফর্সা বলে বেশ বড়লোক বাড়ির বউ হই। বিয়ের পরদিন সকালে সবাইকে নাস্তা দিয়ে, ঘর মুছে সবার কাপড় ধুয়ে আমি বেশ ক্লান্ত! কারণ বিয়ের দিন বিয়ের চিন্তায় তেমন বিশ্রাম নেয়া হয়নি। রাতেও ঘুম হয়নি। এখন সকাল১১ টা বাজে ভীষণ ক্ষুধা লেগেছে কিন্তু সবাই খেয়ে উঠলো আমাকে খেতে বললোনা, হ্যা আমি সবার সাথে খেতে বসেছিলাম -আমার শাশুড়ী আমাকে উঠিয়ে দিয়ে রাগ করে বললো তুমি জানোনা বাড়ির বউরা আগে খেলে সংসারের অমঙ্গল হয়? তুমি সবার শেষে খাবে! এরপর আমার শশুড় বাড়ির আত্নীয়রা এলো আমাকে দেখতে ১৭ জন মানুষ । তাদের জন্য আবারো নাস্তা বানালাম, নিজের আর খাওয়া হলনা। এরপর খালা শাশুড়ী বললো আজ দুপুরে বউয়ের হাতের রান্না খাবো! আমি আবারো দুপুরের খাবার রান্না করলাম, বেলা ২ টা বাজে। প্রায় ৬ টা পদ রান্না করলাম, আমি এখনো খেতে পারিনি। আমার
স্বামী একবার জানতেও চাইনি আমি খেয়েছি কিনা, আমার শাশুড়ী কিন্তু আমার স্বামীর সামনেই আমাকে খাবার টেবিল থেকে উঠিয়ে দিয়েছিলো।

বেলা ৩ঃ৩০ সবাই কে খাওয়ানোর পর খেতে বসলাম, শাশুড়ী বলে তোমার মা কি এইটুকু শেখায়নি যে সবার খাবার পর থালা বাসন মেজে ঘর পরিষ্কার করতে হয়🙂 আমি কিছু না বলে না খেয়ে ৫০ টার মত বাসন মাজলাম ১৭ জন বাইরের লোক, আর বাড়ির সবার বাসন 🙂 রান্না করতে কত গুলো বাসন নোংরা হয় জানেনিতো আপুরা😢 আমি খুবই অবাক এবং ভাবতেও পারিনি বিয়ের পরের দিন নতুন বউয়ের সাথে কেউ এমন ব্যবহার করতে পারে বা নতুন বউকে দিয়ে এতো কাজ করাতে পারে। আমাকে দেখতে পাশের বাসার কিছু মেয়েরা আসছিলো, তখনও আমি কাজ করছিলাম, আমাকে কাজ করতে দেখে তারা বললো ভাবি আজকেই কাজ শুরু করলেন 😢 পরে কথায় কথায় জানতে পারি বিয়ের আগের দিন নাকি আমার শাশুড়ী আমাদের বাড়ির কাজের মহিলাকে ছাড়িয়ে দিয়েছে! তখনই বুঝলাম এ বাড়িতে গরীব ঘরের মেয়ে আনার কারণ একটায় 😢

খালা শাশুড়ীঃ ও নতুন বউ দেখাও দেখি তোমার বাড়ি থেকে কি গহনা দিয়েছে।

আমার গলায় একটি পাতলা চেইন দেখে আমাকে খালা শাশুড়ী কটু কথা বললো, এ কোন ফকিন্নিকে ঘরে আনছিস বইন?
বাবা মা তুলে কথা বলায় আমি রুমে গিয়ে কাঁদছিলাম, আমার
স্বামী জিগ্যেস করলো কি হয়েছে? আমি তখন বললাম খালা এমন বলেছে, আমি বুঝতে পারলাম আমার শাশুড়ী দরজায় কান দিয়ে শুনছে, তাই আর কথা বাড়ালামনা।
হঠাৎ শাশুড়ী রুমে ঢুকে কেঁদে কেঁদে সবাইকে বলতে লাগলো দেখো দেখো পছন্দ করে কাকে আনছি, বিয়ের ২ দিন হতে না হতেই ছেলের কাছে মাকে খারাপ বানাচ্ছে ।

আমি কিছুই বললামনা, আমাদের বউদের কিই বা বলার আছে৷ শাশুড়ী চলে যাওয়ার পর স্বামী বললোঃ মা কিন্তু এতো কিছু মনে করে বলেনি, মায়ের মনে এতো কিছু নেই।

এরপর থেকে আমাকে কথায় কথায় খুঁচিয়ে বাজে কথা বলতো শাশুড়ী ননদেরা কিন্তু আমার স্বামীকে কিছু বললে বলতো সমস্যা তোর মধ্যে! মা এতো কিছু মনে করে বলেনি, তোর মনের মধ্যে সমস্যা, তোর মনের মধ্যে প্যাঁচ 🙂 বিয়ের ৬ মাস হলো অনেক কষ্টে এ সংসারে টিকে আছি, কাউকে কিছু না বলে মুখ বুঝে।
স্বামীকে তার মায়ের বিষয়ে খোঁচানো সত্য কথা বললে আমার স্বামী আমাকে অ **মানুষের মত মা*রে।

আর কাকে কি বলবো? সহ্য করছি। ভোরে উঠি ৪ টার দিকে, সকালের খাবার তেমন জোটেনা, কাজ করতে করতে।

এরপর দুপুরের রান্না, সব কাজ, এরপর আবার রাতের রান্না। আমার শাশুড়ী ৩ বেলা টাটকা রান্না চান।
সকাল দুপুরের খাবার সন্ধ্যা ৬/৭টায় জোটে আমার😢 এর মধ্যে ২ মিনিট রুমে গিয়ে বিশ্রাম নিলে আমার শাশুড়ী বলে আমি নাকি সারাদিন কাজ না করে বাসায় বসে বসে খায় 😢 সারা পাড়ার লোক জানে আমি নাকি কোনো কাজ করিনা বাড়ির৷ আমার স্বামী রাতে অফিস করে বাসায় এলে নানা রকম মিথ্যা কথা বলে আমার স্বামীর কাছে আমাকে মার খাওয়ায়।

এখন বিয়ের ৮ মাস চলে আমি আর পারছিনা সহ্য করতে, আমার উপায় নেই তালাক দেয়ার, কেননা আমি এক কৃষকের মেয়ে।
আমার শাশুড়ীই তো আমাকে বিয়ে দিয়ে এনেছিলো, আমি কখনো কোনো কথার উওর দেয়নি, বাড়ির সব কাজ করেছি, দুবেলা খাবার পাইনি এরপরও আমি খারাপ। তালাক দেয়ার উপায় আমার নেই,
গরীব ঘরের মেয়েদের তালাক হলে বাবা মায়ের সমাজে মুখ দেখানো কঠিন। আর আইনের কাছে যে যাবো, আমার বাবার এতো টাকা নেই।
মা ভক্ত স্বামী, তার মায়ের কোন কথা সত্য? কোন কথা মিথ্যা তা যাচাই না করেই আমাকে মা**রে।
তালাক দেয়ার উপায় নেই, এখন দুনিয়া থেকে চলে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এরপর প্রতি নিয়ত বলে তোমার বাবাকে বলো খাট, পাঠাতে, এটা পাঠাতে ওটা পাঠাতে, কোরবানির গরু পাঠাতে 😢 আমার বাবা কৃষক কিভাবে দেবে বলুন।
আমি এখন কি করবো দয়া করে বলুন😢

জীবন কাহিনী (ইরা রহমান)
© Ãrü Shï

Address

Bagula
Bagula
741151

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ãru Shï posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category