
09/03/2025
Updated Post: ভারতের সমর্থনে আরাকানের আক্রমণ! চীনের বিলিয়ন ডলারের স্ট্র্যাটেজিক দুর্গ ধ্বংস! https://kamransuman.xyz/india-support-arakan-attack ভারতের পাশে চীনের সবচেয়ে বড় দুর্গ, যাকে তৈরি করতে বিলিয়নস অফ ডলার খরচ করেছিল চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, সেটা রাতারাতি ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত-সমর্থিত আরাকান! আর এই মুহূর্তে চায়না এমন মারাত্মক বিপাকে পড়েছে যে, ওরা ভারতকে কাউন্টার করার চক্করে নিজেরাই সব হারিয়ে ফেলেছে।
এই ম্যাপটা খুব ভালোভাবে দেখুন। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে, যদি চীনকে ইউরোপ, আমেরিকা বা আফ্রিকার সাথে ট্রেড করতে হয় অথবা মিডল ইস্ট থেকে তেল আমদানি করতে হয়, তার একমাত্র রাস্তা হলো এই স্ট্রেট অফ মালাক্কা। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এই স্ট্রেট অফ মালাক্কা সম্পূর্ণ ভারতীয় নৌবাহিনীর কন্ট্রোলে রয়েছে।
যদি কাল তাইওয়ানের অ্যাটাকের দরুণ আমেরিকা, ভারতের মদদে এই স্ট্রেট অফ মালাক্কাকে আটকে দেয় বা ব্লক করে দেয়, তাহলে চায়না কী করবে?
এর জন্য চীন একটা নতুন রাস্তা বের করেছে— ভারতের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার হয়ে।
এই ম্যাপটা দেখুন! এখানে যে লাল লাইনটা দেখতে পাচ্ছেন, এটা হলো চীনের একটা ইকোনমিক করিডর, যেখানে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি মিয়ানমারের আর্মিকে কাজে লাগিয়ে ওদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পোর্ট, কিয়াকফিউ, পুরো কবজা করে নেয়। এরপর, এই পোর্ট থেকে ডিরেক্টলি মিয়ানমারের রাখাইন স্টেট হয়ে সোজা চীনের ভেতরে কুনমিং পর্যন্ত রেলরুট আর গ্যাস পাইপলাইন তৈরি করা হয়েছে। এখান দিয়েই চীন বর্তমানে ডিরেক্টলি স্ট্রেট অফ মালাক্কাকে বাইপাস করে অয়েল আর গ্যাসের ট্রেডও করছে মেইনল্যান্ড চায়নাতে।
ফলে, ভবিষ্যতে যদি কোনোদিন আমেরিকা স্ট্রেট অফ মালাক্কাকে ব্লক করেও দেয়, তাহলেও ধরে নিন যে এটাই চীনের লাইফলাইন হবে। এছাড়াও, এই রাস্তা দিয়ে চীন কিন্তু ডিরেক্টলি বঙ্গোপসাগরের এক্সেসও পাচ্ছে।
কিন্তু এখানেই একটা বড় খেলা শুরু হয়ে গেছে!
এই মুহূর্তে আরাকান আর্মি এই পোর্টের আশেপাশে আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে এবং ওরা চীনের এই পোর্ট দখল করে পুরো প্রজেক্টকে ক্যাপচার করতে চাইছে।
খবর অনুযায়ী, এখানে মোটামুটি ১৭টা টাউনশিপ ছিল, যার মধ্যে ১৪টা আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। আর, স্পেসিফিকালি চীনের কথা বললে, চীনের ১১টা প্রজেক্ট চলছিল। এই ১১টা প্রজেক্টের মধ্যে ৯টা আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে, মানে চীনের খেলা প্রায় খতম বলা যায়!
যদি আরাকান আর্মি শেষ পোর্ট দখল করে নেয়, তাহলে ওদেরকে কেউ ঠেকাতে পারবে না এবং চীনের এই যে পুরো প্রজেক্ট— সেটা কিন্তু বরবাদ হয়ে যাবে!
এই কারণেই এটাকে ঠেকানোর জন্য এখন চীনের সরকার আরো অতিরিক্ত মিলিটারি এইড পাঠানো শুরু করে দিয়েছে, যেখানে চীন শুধু মিসাইল ও অ্যামুনিশনই নয়, বরং ফান্ডিংও দিচ্ছে মিয়ানমারের আর্মিকে। অর্থাৎ, স্বাভাবিকভাবেই এটা এখন সরাসরি আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে চীনের লড়াই!
আর চীন এত বড় ব্লান্ডার করে ফেলেছে যে, এই আরাকান আর্মি এখন পুরো পোর্টকেই দখল করার জন্য অপারেশন শুরু করে দিয়েছে!
কারণ, চীনের মদদেই মিয়ানমারের যে আর্মি, তারা কিন্তু লাগাতার এই পুরো এরিয়াতে বোমাবাজি করছে! আর এর ফলে, একটা বিরাট বড় কনফ্লিক্ট শুরু হয়ে গেছে, যেখানে আপাতত ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে গেছে!
ব্যস! এই চক্করে চীনের এত বিলিয়ন ডলার আর এত গুরুত্বপূর্ণ একটা রুট দুটোই বরবাদ হয়ে গেল!
কারণ, শুরু থেকেই চায়না আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে ছিল। একমাত্র ভারতই আরাকান আর্মিকে সাপোর্ট দিয়েছে গত এক বছর।
এখন, আপনারাই ভাবুন— এই পোর্ট দখলের পর আরাকান আর্মি কাকে সাপোর্ট দেবে? ভারতকে, নাকি চায়নাকে?
আর আমি গত বছর অক্টোবর মাসে এটা বলে দিয়েছিলাম আমার দ্বিতীয় চ্যানেলে— আজও মনে হয় ভিডিওটা আছে— যে বাংলাদেশ এবং চীনের কপালে আগামী দিনে কষ্ট আছে!
ভারতের অজিত ডোভাল থেকে শুরু করে আমাদের বড় বড় লিডারদের সাথে, গত বছর আরাকান আর্মির একটা ডেলিগেশন দিল্লিতে বন্ধ দরজায় মিটিং করে! আর এই মিটিংয়ের পর আমাদের একজন মন্ত্রী রাখাইন স্টেটে গিয়ে ওদের সাথেও মিটিং করে এসেছিলেন!
এরপর, আরাকান আর্মি ভারতকে আশ্বস্ত করেছিল যে, এই এরিয়ায় যত প্রকল্প ভারত চালাচ্ছে, তার কোনো চিন্তা নেই! এই সমস্ত প্রজেক্টকে প্রটেক্ট করার দায়িত্ব আরাকান আর্মির এবং ওদের ভারতকে নিয়ে কোনো সমস্যা নেই!
এখন, এরপর এই একই আরাকান আর্মি একদিকে তো বাংলাদেশে ঢুকছে চট্টগ্রামে, অন্যদিকে চীনের এত বড় করিডরকে দখল করে নিচ্ছে!
আশা করি, বলার প্রয়োজন নেই যে— এর থেকে একমাত্র ফায়দা কারা পাচ্ছে!
অনেকেই ভারত সরকারকে ক্রিটিসাইজ করছিল মিয়ানমারের মিলিটারি কু-এর পর!
কিন্তু আমি বারবার বলেছিলাম যে, এখানে ভারত একচুয়ালি “সাইলেন্ট গেম” খেলছে! ভারত সরকার কোনোদিনই ওপেনলি কোনো জায়গায় ইন্টারফেয়ার করেনি!
আর ভারতের এই যে সাইলেন্ট গেম, সেটার ফল হলো— আরাকান! ফলে, পুরো রিজিয়ন এখন ধীরে ধীরে ভারতের কন্ট্রোলে আসছে!
এখন, জাস্ট ভাবুন— চীনের মতো এত বড় দেশ, যাদের কাছে ভারতের তুলনায় বেশি ফান্ড রয়েছে, ওরা তো সরাসরি মিয়ানমারের আর্মিকে অস্ত্রও দিচ্ছে!
তাও ওরা এখানে ভারতকে ঠেকাতে পারলো না!
এবারে আপনারা ভাবুন— যে বাংলাদেশীরা এত লাফাচ্ছে, ওদের ভবিষ্যতে কী হবে?