Kamran Suman

Kamran Suman All videos and photos on this page are provided for entertainment and information

Updated Post: ভারতের সমর্থনে আরাকানের আক্রমণ! চীনের বিলিয়ন ডলারের স্ট্র্যাটেজিক দুর্গ ধ্বংস! https://kamransuman.xyz/ind...
09/03/2025

Updated Post: ভারতের সমর্থনে আরাকানের আক্রমণ! চীনের বিলিয়ন ডলারের স্ট্র্যাটেজিক দুর্গ ধ্বংস! https://kamransuman.xyz/india-support-arakan-attack ভারতের পাশে চীনের সবচেয়ে বড় দুর্গ, যাকে তৈরি করতে বিলিয়নস অফ ডলার খরচ করেছিল চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, সেটা রাতারাতি ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত-সমর্থিত আরাকান! আর এই মুহূর্তে চায়না এমন মারাত্মক বিপাকে পড়েছে যে, ওরা ভারতকে কাউন্টার করার চক্করে নিজেরাই সব হারিয়ে ফেলেছে।

এই ম্যাপটা খুব ভালোভাবে দেখুন। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে, যদি চীনকে ইউরোপ, আমেরিকা বা আফ্রিকার সাথে ট্রেড করতে হয় অথবা মিডল ইস্ট থেকে তেল আমদানি করতে হয়, তার একমাত্র রাস্তা হলো এই স্ট্রেট অফ মালাক্কা। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এই স্ট্রেট অফ মালাক্কা সম্পূর্ণ ভারতীয় নৌবাহিনীর কন্ট্রোলে রয়েছে।

যদি কাল তাইওয়ানের অ্যাটাকের দরুণ আমেরিকা, ভারতের মদদে এই স্ট্রেট অফ মালাক্কাকে আটকে দেয় বা ব্লক করে দেয়, তাহলে চায়না কী করবে?

এর জন্য চীন একটা নতুন রাস্তা বের করেছে— ভারতের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার হয়ে।

এই ম্যাপটা দেখুন! এখানে যে লাল লাইনটা দেখতে পাচ্ছেন, এটা হলো চীনের একটা ইকোনমিক করিডর, যেখানে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি মিয়ানমারের আর্মিকে কাজে লাগিয়ে ওদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পোর্ট, কিয়াকফিউ, পুরো কবজা করে নেয়। এরপর, এই পোর্ট থেকে ডিরেক্টলি মিয়ানমারের রাখাইন স্টেট হয়ে সোজা চীনের ভেতরে কুনমিং পর্যন্ত রেলরুট আর গ্যাস পাইপলাইন তৈরি করা হয়েছে। এখান দিয়েই চীন বর্তমানে ডিরেক্টলি স্ট্রেট অফ মালাক্কাকে বাইপাস করে অয়েল আর গ্যাসের ট্রেডও করছে মেইনল্যান্ড চায়নাতে।

ফলে, ভবিষ্যতে যদি কোনোদিন আমেরিকা স্ট্রেট অফ মালাক্কাকে ব্লক করেও দেয়, তাহলেও ধরে নিন যে এটাই চীনের লাইফলাইন হবে। এছাড়াও, এই রাস্তা দিয়ে চীন কিন্তু ডিরেক্টলি বঙ্গোপসাগরের এক্সেসও পাচ্ছে।

কিন্তু এখানেই একটা বড় খেলা শুরু হয়ে গেছে!

এই মুহূর্তে আরাকান আর্মি এই পোর্টের আশেপাশে আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে এবং ওরা চীনের এই পোর্ট দখল করে পুরো প্রজেক্টকে ক্যাপচার করতে চাইছে।

খবর অনুযায়ী, এখানে মোটামুটি ১৭টা টাউনশিপ ছিল, যার মধ্যে ১৪টা আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। আর, স্পেসিফিকালি চীনের কথা বললে, চীনের ১১টা প্রজেক্ট চলছিল। এই ১১টা প্রজেক্টের মধ্যে ৯টা আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে, মানে চীনের খেলা প্রায় খতম বলা যায়!

যদি আরাকান আর্মি শেষ পোর্ট দখল করে নেয়, তাহলে ওদেরকে কেউ ঠেকাতে পারবে না এবং চীনের এই যে পুরো প্রজেক্ট— সেটা কিন্তু বরবাদ হয়ে যাবে!

এই কারণেই এটাকে ঠেকানোর জন্য এখন চীনের সরকার আরো অতিরিক্ত মিলিটারি এইড পাঠানো শুরু করে দিয়েছে, যেখানে চীন শুধু মিসাইল ও অ্যামুনিশনই নয়, বরং ফান্ডিংও দিচ্ছে মিয়ানমারের আর্মিকে। অর্থাৎ, স্বাভাবিকভাবেই এটা এখন সরাসরি আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে চীনের লড়াই!

আর চীন এত বড় ব্লান্ডার করে ফেলেছে যে, এই আরাকান আর্মি এখন পুরো পোর্টকেই দখল করার জন্য অপারেশন শুরু করে দিয়েছে!

কারণ, চীনের মদদেই মিয়ানমারের যে আর্মি, তারা কিন্তু লাগাতার এই পুরো এরিয়াতে বোমাবাজি করছে! আর এর ফলে, একটা বিরাট বড় কনফ্লিক্ট শুরু হয়ে গেছে, যেখানে আপাতত ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে গেছে!

ব্যস! এই চক্করে চীনের এত বিলিয়ন ডলার আর এত গুরুত্বপূর্ণ একটা রুট দুটোই বরবাদ হয়ে গেল!

কারণ, শুরু থেকেই চায়না আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে ছিল। একমাত্র ভারতই আরাকান আর্মিকে সাপোর্ট দিয়েছে গত এক বছর।

এখন, আপনারাই ভাবুন— এই পোর্ট দখলের পর আরাকান আর্মি কাকে সাপোর্ট দেবে? ভারতকে, নাকি চায়নাকে?

আর আমি গত বছর অক্টোবর মাসে এটা বলে দিয়েছিলাম আমার দ্বিতীয় চ্যানেলে— আজও মনে হয় ভিডিওটা আছে— যে বাংলাদেশ এবং চীনের কপালে আগামী দিনে কষ্ট আছে!

ভারতের অজিত ডোভাল থেকে শুরু করে আমাদের বড় বড় লিডারদের সাথে, গত বছর আরাকান আর্মির একটা ডেলিগেশন দিল্লিতে বন্ধ দরজায় মিটিং করে! আর এই মিটিংয়ের পর আমাদের একজন মন্ত্রী রাখাইন স্টেটে গিয়ে ওদের সাথেও মিটিং করে এসেছিলেন!

এরপর, আরাকান আর্মি ভারতকে আশ্বস্ত করেছিল যে, এই এরিয়ায় যত প্রকল্প ভারত চালাচ্ছে, তার কোনো চিন্তা নেই! এই সমস্ত প্রজেক্টকে প্রটেক্ট করার দায়িত্ব আরাকান আর্মির এবং ওদের ভারতকে নিয়ে কোনো সমস্যা নেই!

এখন, এরপর এই একই আরাকান আর্মি একদিকে তো বাংলাদেশে ঢুকছে চট্টগ্রামে, অন্যদিকে চীনের এত বড় করিডরকে দখল করে নিচ্ছে!

আশা করি, বলার প্রয়োজন নেই যে— এর থেকে একমাত্র ফায়দা কারা পাচ্ছে!

অনেকেই ভারত সরকারকে ক্রিটিসাইজ করছিল মিয়ানমারের মিলিটারি কু-এর পর!

কিন্তু আমি বারবার বলেছিলাম যে, এখানে ভারত একচুয়ালি “সাইলেন্ট গেম” খেলছে! ভারত সরকার কোনোদিনই ওপেনলি কোনো জায়গায় ইন্টারফেয়ার করেনি!

আর ভারতের এই যে সাইলেন্ট গেম, সেটার ফল হলো— আরাকান! ফলে, পুরো রিজিয়ন এখন ধীরে ধীরে ভারতের কন্ট্রোলে আসছে!

এখন, জাস্ট ভাবুন— চীনের মতো এত বড় দেশ, যাদের কাছে ভারতের তুলনায় বেশি ফান্ড রয়েছে, ওরা তো সরাসরি মিয়ানমারের আর্মিকে অস্ত্রও দিচ্ছে!

তাও ওরা এখানে ভারতকে ঠেকাতে পারলো না!

এবারে আপনারা ভাবুন— যে বাংলাদেশীরা এত লাফাচ্ছে, ওদের ভবিষ্যতে কী হবে?

New Post: ভারতের সমর্থনে আরাকানের আক্রমণ! চীনের বিলিয়ন ডলারের স্ট্র্যাটেজিক দুর্গ ধ্বংস! https://kamransuman.xyz/india-s...
09/03/2025

New Post: ভারতের সমর্থনে আরাকানের আক্রমণ! চীনের বিলিয়ন ডলারের স্ট্র্যাটেজিক দুর্গ ধ্বংস! https://kamransuman.xyz/india-support-arakan-attack ভারতের পাশে চীনের সবচেয়ে বড় দুর্গ, যাকে তৈরি করতে বিলিয়নস অফ ডলার খরচ করেছিল চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, সেটা রাতারাতি ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত-সমর্থিত আরাকান! আর এই মুহূর্তে চায়না এমন মারাত্মক বিপাকে পড়েছে যে, ওরা ভারতকে কাউন্টার করার চক্করে নিজেরাই সব হারিয়ে ফেলেছে।

এই ম্যাপটা খুব ভালোভাবে দেখুন। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে, যদি চীনকে ইউরোপ, আমেরিকা বা আফ্রিকার সাথে ট্রেড করতে হয় অথবা মিডল ইস্ট থেকে তেল আমদানি করতে হয়, তার একমাত্র রাস্তা হলো এই স্ট্রেট অফ মালাক্কা। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এই স্ট্রেট অফ মালাক্কা সম্পূর্ণ ভারতীয় নৌবাহিনীর কন্ট্রোলে রয়েছে।

যদি কাল তাইওয়ানের অ্যাটাকের দরুণ আমেরিকা, ভারতের মদদে এই স্ট্রেট অফ মালাক্কাকে আটকে দেয় বা ব্লক করে দেয়, তাহলে চায়না কী করবে?

এর জন্য চীন একটা নতুন রাস্তা বের করেছে— ভারতের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার হয়ে।

এই ম্যাপটা দেখুন! এখানে যে লাল লাইনটা দেখতে পাচ্ছেন, এটা হলো চীনের একটা ইকোনমিক করিডর, যেখানে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি মিয়ানমারের আর্মিকে কাজে লাগিয়ে ওদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পোর্ট, কিয়াকফিউ, পুরো কবজা করে নেয়। এরপর, এই পোর্ট থেকে ডিরেক্টলি মিয়ানমারের রাখাইন স্টেট হয়ে সোজা চীনের ভেতরে কুনমিং পর্যন্ত রেলরুট আর গ্যাস পাইপলাইন তৈরি করা হয়েছে। এখান দিয়েই চীন বর্তমানে ডিরেক্টলি স্ট্রেট অফ মালাক্কাকে বাইপাস করে অয়েল আর গ্যাসের ট্রেডও করছে মেইনল্যান্ড চায়নাতে।

ফলে, ভবিষ্যতে যদি কোনোদিন আমেরিকা স্ট্রেট অফ মালাক্কাকে ব্লক করেও দেয়, তাহলেও ধরে নিন যে এটাই চীনের লাইফলাইন হবে। এছাড়াও, এই রাস্তা দিয়ে চীন কিন্তু ডিরেক্টলি বঙ্গোপসাগরের এক্সেসও পাচ্ছে।

কিন্তু এখানেই একটা বড় খেলা শুরু হয়ে গেছে!

এই মুহূর্তে আরাকান আর্মি এই পোর্টের আশেপাশে আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে এবং ওরা চীনের এই পোর্ট দখল করে পুরো প্রজেক্টকে ক্যাপচার করতে চাইছে।

খবর অনুযায়ী, এখানে মোটামুটি ১৭টা টাউনশিপ ছিল, যার মধ্যে ১৪টা আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। আর, স্পেসিফিকালি চীনের কথা বললে, চীনের ১১টা প্রজেক্ট চলছিল। এই ১১টা প্রজেক্টের মধ্যে ৯টা আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে, মানে চীনের খেলা প্রায় খতম বলা যায়!

যদি আরাকান আর্মি শেষ পোর্ট দখল করে নেয়, তাহলে ওদেরকে কেউ ঠেকাতে পারবে না এবং চীনের এই যে পুরো প্রজেক্ট— সেটা কিন্তু বরবাদ হয়ে যাবে!

এই কারণেই এটাকে ঠেকানোর জন্য এখন চীনের সরকার আরো অতিরিক্ত মিলিটারি এইড পাঠানো শুরু করে দিয়েছে, যেখানে চীন শুধু মিসাইল ও অ্যামুনিশনই নয়, বরং ফান্ডিংও দিচ্ছে মিয়ানমারের আর্মিকে। অর্থাৎ, স্বাভাবিকভাবেই এটা এখন সরাসরি আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে চীনের লড়াই!

আর চীন এত বড় ব্লান্ডার করে ফেলেছে যে, এই আরাকান আর্মি এখন পুরো পোর্টকেই দখল করার জন্য অপারেশন শুরু করে দিয়েছে!

কারণ, চীনের মদদেই মিয়ানমারের যে আর্মি, তারা কিন্তু লাগাতার এই পুরো এরিয়াতে বোমাবাজি করছে! আর এর ফলে, একটা বিরাট বড় কনফ্লিক্ট শুরু হয়ে গেছে, যেখানে আপাতত ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে গেছে!

ব্যস! এই চক্করে চীনের এত বিলিয়ন ডলার আর এত গুরুত্বপূর্ণ একটা রুট দুটোই বরবাদ হয়ে গেল!

কারণ, শুরু থেকেই চায়না আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে ছিল। একমাত্র ভারতই আরাকান আর্মিকে সাপোর্ট দিয়েছে গত এক বছর।

এখন, আপনারাই ভাবুন— এই পোর্ট দখলের পর আরাকান আর্মি কাকে সাপোর্ট দেবে? ভারতকে, নাকি চায়নাকে?

আর আমি গত বছর অক্টোবর মাসে এটা বলে দিয়েছিলাম আমার দ্বিতীয় চ্যানেলে— আজও মনে হয় ভিডিওটা আছে— যে বাংলাদেশ এবং চীনের কপালে আগামী দিনে কষ্ট আছে!

ভারতের অজিত ডোভাল থেকে শুরু করে আমাদের বড় বড় লিডারদের সাথে, গত বছর আরাকান আর্মির একটা ডেলিগেশন দিল্লিতে বন্ধ দরজায় মিটিং করে! আর এই মিটিংয়ের পর আমাদের একজন মন্ত্রী রাখাইন স্টেটে গিয়ে ওদের সাথেও মিটিং করে এসেছিলেন!

এরপর, আরাকান আর্মি ভারতকে আশ্বস্ত করেছিল যে, এই এরিয়ায় যত প্রকল্প ভারত চালাচ্ছে, তার কোনো চিন্তা নেই! এই সমস্ত প্রজেক্টকে প্রটেক্ট করার দায়িত্ব আরাকান আর্মির এবং ওদের ভারতকে নিয়ে কোনো সমস্যা নেই!

এখন, এরপর এই একই আরাকান আর্মি একদিকে তো বাংলাদেশে ঢুকছে চট্টগ্রামে, অন্যদিকে চীনের এত বড় করিডরকে দখল করে নিচ্ছে!

আশা করি, বলার প্রয়োজন নেই যে— এর থেকে একমাত্র ফায়দা কারা পাচ্ছে!

অনেকেই ভারত সরকারকে ক্রিটিসাইজ করছিল মিয়ানমারের মিলিটারি কু-এর পর!

কিন্তু আমি বারবার বলেছিলাম যে, এখানে ভারত একচুয়ালি “সাইলেন্ট গেম” খেলছে! ভারত সরকার কোনোদিনই ওপেনলি কোনো জায়গায় ইন্টারফেয়ার করেনি!

আর ভারতের এই যে সাইলেন্ট গেম, সেটার ফল হলো— আরাকান! ফলে, পুরো রিজিয়ন এখন ধীরে ধীরে ভারতের কন্ট্রোলে আসছে!

এখন, জাস্ট ভাবুন— চীনের মতো এত বড় দেশ, যাদের কাছে ভারতের তুলনায় বেশি ফান্ড রয়েছে, ওরা তো সরাসরি মিয়ানমারের আর্মিকে অস্ত্রও দিচ্ছে!

তাও ওরা এখানে ভারতকে ঠেকাতে পারলো না!

এবারে আপনারা ভাবুন— যে বাংলাদেশীরা এত লাফাচ্ছে, ওদের ভবিষ্যতে কী হবে? ভারতের পাশে চীনের সবচেয়ে বড় দুর্গ, যাকে তৈরি করতে বিলিয়নস অফ ডলার খরচ করেছিল চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, সেটা রাতারাতি ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত-সমর্থিত আরাকান! আর এই মুহূর্তে চায়না এমন মারাত্মক বিপাকে পড়েছে যে, ওরা ভারতকে কাউন্টার করার চক্করে নিজেরাই সব হারিয়ে ফেলেছে।

এই ম্যাপটা খুব ভালোভাবে দেখুন। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে, যদি চীনকে ইউরোপ, আমেরিকা বা আফ্রিকার সাথে ট্রেড করতে হয় অথবা মিডল ইস্ট থেকে তেল আমদানি করতে হয়, তার একমাত্র রাস্তা হলো এই স্ট্রেট অফ মালাক্কা। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এই স্ট্রেট অফ মালাক্কা সম্পূর্ণ ভারতীয় নৌবাহিনীর কন্ট্রোলে রয়েছে।

যদি কাল তাইওয়ানের অ্যাটাকের দরুণ আমেরিকা, ভারতের মদদে এই স্ট্রেট অফ মালাক্কাকে আটকে দেয় বা ব্লক করে দেয়, তাহলে চায়না কী করবে?

এর…

Updated Post: ভারত-ইসরাইল সম্পর্ক ও হামাসের নতুন ষড়যন্ত্র! পাকিস্তান জড়িত? https://kamransuman.xyz/india-israel-relati...
08/03/2025

Updated Post: ভারত-ইসরাইল সম্পর্ক ও হামাসের নতুন ষড়যন্ত্র! পাকিস্তান জড়িত? https://kamransuman.xyz/india-israel-relations-and-hamas-new-conspiracy ভারতের কট্টর মিত্র দেশ ইসরাইল, যারা ভারতকে তখন সাহায্য করেছিল, যখন গোটা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো ভারতের পেছনে পড়ে গিয়েছিল। সেই সময়, ইসরাইল একমাত্র দেশ, যারা আমেরিকার কথা না শুনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতকে যুদ্ধের জন্য অস্ত্র দিয়েছিল। এমনকি, ইসরাইলের প্রাইম মিনিস্টার ভারতকে তো এটাও অ্যাসিওরেন্স দিয়েছিলেন যে, ভারত ওদের যুদ্ধবিমান গুজরাটে নামার পারমিশন দিক, ইসরাইল পাকিস্তানের পুরো নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটিকে ধ্বংস করে দেবে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই সময় আমাদের নিজের প্রাইম মিনিস্টারই অজিত ডোভাল স্যারকে ধোঁকা দেন এবং ইসরাইলকে পাকিস্তানের উপর অ্যাটাক করার পারমিশন দেননি। উল্টে, এই ইনফরমেশন পাকিস্তানের প্রাইম মিনিস্টারকে জানিয়ে দেন, যাতে আমাদের প্রচুর R&AW-এর এজেন্ট মারা পড়ে। যার ফলস্বরূপ, আজ পাকিস্তানের কাছে নিউক্লিয়ার অস্ত্র চলে এসেছে এবং তার জোরে তারা সন্ত্রাসী হামলা করে বেড়াচ্ছে।

আর, এই একই ভুল ভারত আবারও করতে যাচ্ছে!

কিন্তু এখন ইসরাইল ভারতের কাছে ছুটে এসেছে সাহায্যের জন্য। আসলে, এখানে আমার বলা উচিত যে, ইসরাইল শুধু ভারতের কাছে সাহায্য চাইতে আসেনি, বরং সরাসরি ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাহায্য করতে পারে।

এই খবরটা দেখুন—

সম্প্রতি, ইসরাইলের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস ভারতের POK-তে পৌঁছে গেছে, যেখানে ইসলামিক গোষ্ঠী কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ে একটা আলাদা গ্রুপ তৈরি করতে চাইছে, যাতে তাদের মদদে ভারতের উপর হামলা চালানো যায়। এর বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে হামাসের লিডারশিপ পাক-অকুপাইড কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মোহাম্মদদের সাথে মিলে চুক্তি করছে। ঘটনাটা ঘটেছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে, যা নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ হয়।

এর পাল্টা হিসেবে, এখন ইসরাইল ভারতের কাছে অফিশিয়ালি দাবি করেছে যে, ভারত হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক।

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, কানাডা— মোটামুটি সমস্ত পশ্চিমা দেশই হামাসকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে মানে। কিন্তু ভারত হামাসকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এর কারণ হলো, ভারতের ভেতরে একটা সেন্টিমেন্ট রয়েছে একটি বিশেষ কমিউনিটির প্রতি। তাই, আগেকার সরকার হামাসকে অফিশিয়ালি গাজা সরকার হিসেবেই মান্যতা দিয়েছিল এবং বর্তমান সরকারও সেই একই নীতি অনুসরণ করছে।

ভারতের ভেতরে তো ওপেনলি প্রো-হামাস র‍্যালিও হয়!

কিন্তু এখন জল মাথার উপর দিয়ে চলে গেছে!

এতদিন তারা শুধু ইসরাইলে হামলা করতো, তাই ভারত তাদের উপর বিশেষ নজর দেয়নি। কিন্তু এখন, হামাসের নজর ইসরাইলের পর ভারতের উপরও পড়েছে।

এটা স্বাভাবিক ব্যাপার!

কারণ, যত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রয়েছে— আইএস হোক বা হামাস, এদের প্রত্যেকের দুটি বড় টার্গেট— এক, ইসরাইল, আর দুই, ভারত। কারণ, এই দুটি দেশের কারণেই তারা পুরো অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে পারছে না।

হামাসসহ আইএস ভারতে বেশি সক্রিয় নয়, কারণ তারা মূলত ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়তে ব্যস্ত। যদি ইসরাইল এখানে না থাকতো বা তারা জেরুজালেম দখল করে নিতো, তাহলে পুরো জিহাদীদের নজর ভারতের উপর থাকতো।

এই কারণেই, অনেকেই ইসরাইলকে ভারতের “প্রথম লাইন অফ ডিফেন্স” বলে থাকেন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এবং, ইসরাইলের কারণেই এই পুরো জিহাদী ইকোসিস্টেমের একটা বড় অংশ আজও ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি!
পৌঁছাতে পারে না, কারণ ওরা এখনো ইসরাইলের সাথেই লড়াই করছে। কিন্তু যেহেতু এখন হামাস পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়েছে, তাই ওরা এর বদলে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে পাকিস্তানের আতঙ্কীদের সাপোর্ট দিচ্ছে। ফলে, ইসরাইল এই সুযোগে ভারতকে পুশ করছে যে, এতদিন নয়— এটা শুধুমাত্র ইসরাইলের সমস্যা ছিল, তাই ভারত কিছু করেনি। কিন্তু এখন তো এটা ভারতেরও সমস্যা! তাই ভারত, কোনো বড় হামলার আগেই এটাকে আতঙ্কবাদী গোষ্ঠী হিসেবে মেনে নিক এবং এর উপর অ্যাকশন নিক।

আর যদি ভারত এটা করে, তাহলে ইসরাইলের মোসাদ ভারতের সাথে আরো বেশি ক্লোজলি কাজ করবে, কারণ হামাসকে ওরা সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে, ভারতের R&AW-এর সাথে মিলে মোসাদ নিজেও হামাসকে খতমের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে POK-তেও অ্যাক্টিভ হতে পারে। ফলে, ভারতের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ রয়েছে ইসরাইলকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য।

হ্যাঁ, এখানে একটা প্রশ্ন আপনাদের থাকতে পারে যে— ভাই, এমনটা করলে বাকি মুসলিম দেশ আমাদের উপর চটে যাবে না? স্পেশালি, গালফের দেশগুলো?

দেখুন, গালফের কোনো দেশ আজ এই সমস্ত জিহাদী ইকোসিস্টেমের অংশ হতে নারাজ! মেইনলি, আমি সৌদি, ইউএই, কাতারের কথা বলছি। ওরা নিজেরাই এর বিরুদ্ধে ডি-র‍্যাডিকালাইজেশন করছে। তো, গালফের কথা তো ভুলেই যান!

হ্যাঁ, ইরান এখানে অবজেকশন জানাতে পারে, কিন্তু ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের সিকিউরিটি আগে সুনিশ্চিত করা। তাই, POK-তে অফিশিয়ালি হামাসের ইন্টারফেয়ারকে ভারত হাতিয়ার বানিয়ে ইরানকে কাউন্টার করতে পারে।

আর তাছাড়া, আপনারা যারা ডিপলি ডি-র‍্যাডিকালাইজেশন আর ডি-ডলারাইজেশন সম্পর্কে নজর রাখছেন, তারা তো জানেন যে, এই মুহূর্তে আমেরিকা ইসরাইলের “গ্রেটার ইসরাইল” তৈরি করছে, যার আওতায় গাজার পুরো দখল নেবে। আমেরিকা বলছে, আর ওখানে একটা আলাদা শহর বানাবে। এর আন্ডারে, ওদের মূল টার্গেট হলো ইরান, কারণ ইরান এই পুরো রিজিয়নে জিহাদীদের সাপোর্ট দেয়।

তো, আগামী এক বছরের মধ্যেই বা ম্যাক্সিমাম ধরে নিন দু’বছরের মধ্যে, ইরানে ওরা রেজিম চেঞ্জ করবে— হয় কভার্ড অপারেশন চালিয়ে, যেমন সিরিয়াতে করলো, অথবা ডিরেক্টলি মিলিটারি কন্ট্রোল নিয়ে। অলরেডি, ইরানের যে মেইন কোর ছিল, যারা গোটা ইরানের এই র‍্যাডিকালাইজেশনকে কন্ট্রোল করতো, তাদেরকে তো মেরে দিয়েছে হেলিকপ্টার ক্র্যাশে! বেঁচে আছে খামেনী আর ওদের আর্মির কিছু অফিসার, আর এরাও বেশিদিন টিকবে না!

তো, তারপর এমনিতেই ইরান খ্রিস্টিয়ানিটি…

New Post: ভারত-ইসরাইল সম্পর্ক ও হামাসের নতুন ষড়যন্ত্র! পাকিস্তান জড়িত? https://kamransuman.xyz/india-israel-relations-...
08/03/2025

New Post: ভারত-ইসরাইল সম্পর্ক ও হামাসের নতুন ষড়যন্ত্র! পাকিস্তান জড়িত? https://kamransuman.xyz/india-israel-relations-and-hamas-new-conspiracy ভারতের কট্টর মিত্র দেশ ইসরাইল, যারা ভারতকে তখন সাহায্য করেছিল, যখন গোটা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো ভারতের পেছনে পড়ে গিয়েছিল। সেই সময়, ইসরাইল একমাত্র দেশ, যারা আমেরিকার কথা না শুনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতকে যুদ্ধের জন্য অস্ত্র দিয়েছিল। এমনকি, ইসরাইলের প্রাইম মিনিস্টার ভারতকে তো এটাও অ্যাসিওরেন্স দিয়েছিলেন যে, ভারত ওদের যুদ্ধবিমান গুজরাটে নামার পারমিশন দিক, ইসরাইল পাকিস্তানের পুরো নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটিকে ধ্বংস করে দেবে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই সময় আমাদের নিজের প্রাইম মিনিস্টারই অজিত ডোভাল স্যারকে ধোঁকা দেন এবং ইসরাইলকে পাকিস্তানের উপর অ্যাটাক করার পারমিশন দেননি। উল্টে, এই ইনফরমেশন পাকিস্তানের প্রাইম মিনিস্টারকে জানিয়ে দেন, যাতে আমাদের প্রচুর R&AW-এর এজেন্ট মারা পড়ে। যার ফলস্বরূপ, আজ পাকিস্তানের কাছে নিউক্লিয়ার অস্ত্র চলে এসেছে এবং তার জোরে তারা সন্ত্রাসী হামলা করে বেড়াচ্ছে।

আর, এই একই ভুল ভারত আবারও করতে যাচ্ছে!

কিন্তু এখন ইসরাইল ভারতের কাছে ছুটে এসেছে সাহায্যের জন্য। আসলে, এখানে আমার বলা উচিত যে, ইসরাইল শুধু ভারতের কাছে সাহায্য চাইতে আসেনি, বরং সরাসরি ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাহায্য করতে পারে।

এই খবরটা দেখুন—

সম্প্রতি, ইসরাইলের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস ভারতের POK-তে পৌঁছে গেছে, যেখানে ইসলামিক গোষ্ঠী কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ে একটা আলাদা গ্রুপ তৈরি করতে চাইছে, যাতে তাদের মদদে ভারতের উপর হামলা চালানো যায়। এর বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে হামাসের লিডারশিপ পাক-অকুপাইড কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মোহাম্মদদের সাথে মিলে চুক্তি করছে। ঘটনাটা ঘটেছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে, যা নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ হয়।

এর পাল্টা হিসেবে, এখন ইসরাইল ভারতের কাছে অফিশিয়ালি দাবি করেছে যে, ভারত হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক।

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, কানাডা— মোটামুটি সমস্ত পশ্চিমা দেশই হামাসকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে মানে। কিন্তু ভারত হামাসকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এর কারণ হলো, ভারতের ভেতরে একটা সেন্টিমেন্ট রয়েছে একটি বিশেষ কমিউনিটির প্রতি। তাই, আগেকার সরকার হামাসকে অফিশিয়ালি গাজা সরকার হিসেবেই মান্যতা দিয়েছিল এবং বর্তমান সরকারও সেই একই নীতি অনুসরণ করছে।

ভারতের ভেতরে তো ওপেনলি প্রো-হামাস র‍্যালিও হয়!

কিন্তু এখন জল মাথার উপর দিয়ে চলে গেছে!

এতদিন তারা শুধু ইসরাইলে হামলা করতো, তাই ভারত তাদের উপর বিশেষ নজর দেয়নি। কিন্তু এখন, হামাসের নজর ইসরাইলের পর ভারতের উপরও পড়েছে।

এটা স্বাভাবিক ব্যাপার!

কারণ, যত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রয়েছে— আইএস হোক বা হামাস, এদের প্রত্যেকের দুটি বড় টার্গেট— এক, ইসরাইল, আর দুই, ভারত। কারণ, এই দুটি দেশের কারণেই তারা পুরো অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে পারছে না।

হামাসসহ আইএস ভারতে বেশি সক্রিয় নয়, কারণ তারা মূলত ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়তে ব্যস্ত। যদি ইসরাইল এখানে না থাকতো বা তারা জেরুজালেম দখল করে নিতো, তাহলে পুরো জিহাদীদের নজর ভারতের উপর থাকতো।

এই কারণেই, অনেকেই ইসরাইলকে ভারতের “প্রথম লাইন অফ ডিফেন্স” বলে থাকেন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এবং, ইসরাইলের কারণেই এই পুরো জিহাদী ইকোসিস্টেমের একটা বড় অংশ আজও ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি!
পৌঁছাতে পারে না, কারণ ওরা এখনো ইসরাইলের সাথেই লড়াই করছে। কিন্তু যেহেতু এখন হামাস পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়েছে, তাই ওরা এর বদলে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে পাকিস্তানের আতঙ্কীদের সাপোর্ট দিচ্ছে। ফলে, ইসরাইল এই সুযোগে ভারতকে পুশ করছে যে, এতদিন নয়— এটা শুধুমাত্র ইসরাইলের সমস্যা ছিল, তাই ভারত কিছু করেনি। কিন্তু এখন তো এটা ভারতেরও সমস্যা! তাই ভারত, কোনো বড় হামলার আগেই এটাকে আতঙ্কবাদী গোষ্ঠী হিসেবে মেনে নিক এবং এর উপর অ্যাকশন নিক।

আর যদি ভারত এটা করে, তাহলে ইসরাইলের মোসাদ ভারতের সাথে আরো বেশি ক্লোজলি কাজ করবে, কারণ হামাসকে ওরা সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে, ভারতের R&AW-এর সাথে মিলে মোসাদ নিজেও হামাসকে খতমের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে POK-তেও অ্যাক্টিভ হতে পারে। ফলে, ভারতের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ রয়েছে ইসরাইলকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য।

হ্যাঁ, এখানে একটা প্রশ্ন আপনাদের থাকতে পারে যে— ভাই, এমনটা করলে বাকি মুসলিম দেশ আমাদের উপর চটে যাবে না? স্পেশালি, গালফের দেশগুলো?

দেখুন, গালফের কোনো দেশ আজ এই সমস্ত জিহাদী ইকোসিস্টেমের অংশ হতে নারাজ! মেইনলি, আমি সৌদি, ইউএই, কাতারের কথা বলছি। ওরা নিজেরাই এর বিরুদ্ধে ডি-র‍্যাডিকালাইজেশন করছে। তো, গালফের কথা তো ভুলেই যান!

হ্যাঁ, ইরান এখানে অবজেকশন জানাতে পারে, কিন্তু ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের সিকিউরিটি আগে সুনিশ্চিত করা। তাই, POK-তে অফিশিয়ালি হামাসের ইন্টারফেয়ারকে ভারত হাতিয়ার বানিয়ে ইরানকে কাউন্টার করতে পারে।

আর তাছাড়া, আপনারা যারা ডিপলি ডি-র‍্যাডিকালাইজেশন আর ডি-ডলারাইজেশন সম্পর্কে নজর রাখছেন, তারা তো জানেন যে, এই মুহূর্তে আমেরিকা ইসরাইলের “গ্রেটার ইসরাইল” তৈরি করছে, যার আওতায় গাজার পুরো দখল নেবে। আমেরিকা বলছে, আর ওখানে একটা আলাদা শহর বানাবে। এর আন্ডারে, ওদের মূল টার্গেট হলো ইরান, কারণ ইরান এই পুরো রিজিয়নে জিহাদীদের সাপোর্ট দেয়।

তো, আগামী এক বছরের মধ্যেই বা ম্যাক্সিমাম ধরে নিন দু’বছরের মধ্যে, ইরানে ওরা রেজিম চেঞ্জ করবে— হয় কভার্ড অপারেশন চালিয়ে, যেমন সিরিয়াতে করলো, অথবা ডিরেক্টলি মিলিটারি কন্ট্রোল নিয়ে। অলরেডি, ইরানের যে মেইন কোর ছিল, যারা গোটা ইরানের এই র‍্যাডিকালাইজেশনকে কন্ট্রোল করতো, তাদেরকে তো মেরে দিয়েছে হেলিকপ্টার ক্র্যাশে! বেঁচে আছে খামেনী আর ওদের আর্মির কিছু অফিসার, আর এরাও বেশিদিন টিকবে না!

তো, তারপর এমনিতেই ইরান খ্রিস্টিয়ানিটির দি…

Updated Post: রোহিত শর্মা মোটা? ক্রিকেট কি মডেলদের জন্য? গাভাস্কার দিলেন জবাব! https://kamransuman.xyz/rohit-sharma-is-f...
07/03/2025

Updated Post: রোহিত শর্মা মোটা? ক্রিকেট কি মডেলদের জন্য? গাভাস্কার দিলেন জবাব! https://kamransuman.xyz/rohit-sharma-is-fat রোহিত শর্মা মোটা? ওভারওয়েট?

মোটা বলা হয়েছে রোহিত শর্মাকে। ব্যস্ত? আমি এক এক করে নাম বলে যাই, আপনিও একবার মনে করতে থাকুন তো—

ইনজামাম-উল-হক, প্রবীণ আমরে, রবিন সিং, ডেভিড বুন, সেনোয়ান!

নামগুলো খুব চেনা তো?

এরা কিন্তু তাদের সময়ের সেরা ক্রিকেটার। রবিন সিং-এর ফিল্ডিং-এর কথা ভাবুন, হকের ছক্কা হাঁকানোর কথা বলুন, বলুন সেনোয়ানের অসাধারণ স্পিনে লেগ স্টাম্প উড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য! একবার ভাবুন, ডেভিড বুন ওই চেহারা নিয়ে ক্যাচ নিচ্ছে।

রোহিত শর্মা মোটা? দাঁড়ান, আরও একজনের কথা এখনো বলা হয়নি!

১৯৮২ সালে তাকে এত মারা হলো, এত রাগিয়ে দেওয়া হলো যে রেড কার্ড দেখে ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবলের মাঝখান থেকে ভ্যানিশ! সেই দিয়াগো আরমানদো মারাদোনা।

আর্জেন্টিনা দলে আবার ফিরে এলেন ’৮৬-এর বিশ্বকাপে, সমহিমায়! তখন ওজন অনেক বেড়ে গেছে, তখন আর ছিপছিপে মারাদোনা নেই। কিন্তু সেই ওজন বেড়ে যাওয়া দিয়াগো আরমানদো মারাদোনা বিপক্ষদের জন্য একাই একাই কাফি!

’৮৬-এর বিশ্বকাপ, ’৯০-এর বিশ্বকাপ—এই ’৮২ থেকে ’৮৬, ’৮৬ থেকে ’৯০, মাঝখানের সময় মারাদোনা বলতে তো পৃথিবী অজ্ঞান! আজও মারাদোনাকে শ্রেষ্ঠ ফুটবলারদের মধ্যে একজন ধরা হয়।

মারাদোনা, সেই ড্রিবলিং!

কেন এত কথা বলছি মারাদোনা নিয়ে?

ওই যে, রোহিত শর্মা মোটা বলা হলো! মারাদোনাও তো মোটা ছিলেন!

হ্যাঁ, একটু বালকি তো বটেই! তারপরেও ফুটবলের মতো এরকম বডি-কন্টাক্ট গেমে কাঁপিয়ে বেরিয়েছেন! আর আপনি ভাবছেন, রোহিত শর্মা মোটা!

আপনাকেও তো মোটা বলে না?

রোহিত শর্মা ওভার হয়ে গেছেন? মোটা হয়ে গেছেন? তাই খেলতে পারছেন না? রান আসছে না ব্যাটে? ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া উচিত?

কারা বলছেন জানেন?

বলছেন পলিটিশিয়ানরা! আবার কেউ কেউ আরও এক পা এগিয়ে বলছেন যে এতদিন রোহিত শর্মা রয়েছেন কিসের জোরে? খুঁটির জোরটা কিসের? ওই চেহারায় ক্রিকেট হয়?

আর যারা ক্রিকেট খেলেছেন?

যেমন ধরুন, সুনীল গাভাস্কার!

তিনি বলছেন—আহা! ছিপছিপে চেহারার দরকার হলে মডেল চাইলেই হয়! তাহলে আর ক্রিকেটার হয়ে লাভ কি? ক্রিকেটার হতে গেলে কি মডেল হতে হবে?

বিষয়টা তো নয়!

বিষয়টা হলো—এই যে আপনি বেরোন রাস্তাঘাটে, বাজারে, দোকানে। আপনাকেও তো কেউ না কেউ এভাবে তাকায়—
“ইস! মোটা! কি মোটা!”

তাকায় তো?

আচ্ছা, কারা মোটা বলে? বলুন তো?

আপনাকে?

হ্যাঁ, আপনার না হয় ওজনটা একটু বেশি! কিন্তু আপনি তো প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে আপনি সেই কাজটা খুব ভালোভাবেই পারেন, যে কাজটা আপনার থেকে কম ওজনওয়ালা লোকজন পারে!

পারেন তো?

আপনি সেটা প্রমাণ করার পরেও আপনাকে যেখানে-সেখানে খোঁটা শুনতে হয়!

হ্যাঁ, খোঁটা শুনতে হয়!

“আপনি মোটা! আহ! আপনি মোটা!”

আর সেই জন্য এই টিশার্টটা আপনাকে মানাচ্ছে না? আপনি মোটা! তাই সুইমিং কস্টিউম পড়া উচিত না? আপনি মোটা! সেজন্য আপনি যদি রাস্তায় ধুতি পড়ে হাঁটেন বা শাড়ি পড়ে হাঁটেন, লোকে বলবে—

“এহ! একবার দেখে পড়া উচিত তো!”

নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখে তারপরে পড়া উচিত তো? বেরোনোর আগে আয়নাও দেখে না?

কারা বলে বলুন তো?

এইটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা!

আপনি ছেড়ে দিন আপনাকে মোটা বলে! আপনি ভুলে যান আপনাকে মোটা বলে!

ওই যে, বহুদিন আগে হিন্দি ছবির গান ছিল না—

“জিসকি বিবি মোটি, উসকা ভি বড় নাম হে!”

হ্যাঁ হ্যাঁ! একদম!

আপনি পুরুষ হন, আপনি মহিলা হন, আপনি মোটা হন, আপনি মোটি হন! আপনি জানেন, আপনি বিন্দাস আছেন!

তাহলে আপনাকে মোটা কে বলে বলুন তো?

এখানেই প্রশ্ন!

আপনি বরং ভুলে যান যে আপনি মোটা! আপনি তাদের নিয়ে ভাবুন যারা আপনাকে মোটা বলে! ভাবুন! ভাবুন! ভাবতে হবে তো! তাহলেই দেখবেন, আপনি ভালো আছেন!

আমিও ভেবেছি!

আমি ভেবে-টেবে বেশ কয়েকটা পয়েন্ট বের করেছি—

এক নম্বর পয়েন্ট:

ঈর্ষা! হিংসে! হিংসে! হিংসে!

আসলে, আপনি যতই মোটা হোন না কেন, যেমনই হোন না কেন, আপনি ভালো আছেন! আপনি বেশ খেতে-পরা, “ঘরকে টাইপ” আছেন!

আপনার মনে দুঃখ নেই! আপনার মনে অসুখ নেই!

এইটা দেখে লোকের মনে হিংসা হয়! ঈর্ষা হয়!

যাদের হয়, তারা আপনার আর কোনো খুঁত পায় না! তো তারা বলে দেন—

“আপনি মোটা!”

তাতে যদি আপনার একটু নিন্দা হয়! একটু সমালোচনা করা যায়!

দুই নম্বর পয়েন্ট:

ওই যে বললাম, আপনি অনেকের থেকে অনেক কাজ অনেক ভালো করতে পারেন!

সেটা অফিসে হতে পারে, বাড়িতে হতে পারে, খেলার মাঠে হতে পারে, বা বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে!

এই যে, আপনি আপনার ওভারওয়েট চেহারা নিয়েও তাদের সমান লড়ে যাচ্ছেন!

তিন নম্বর পয়েন্ট:

আপনার খুঁত ধরতে হবে তো!

তাদের আপত্তি কী?

আপনার মোটা হওয়ার জন্য আপনার মেধায় কোথাও ধাক্কা খায়নি, সেটাই তাদের আপত্তি!

তারা আপনার কাজের ভুল ধরতে পারবে না!

আপনার মানসিকতার ভুল ধরতে পারবে না!

আপনার মননের ভুল ধরতে পারবে না!

তাহলে কোথাও না কোথাও একটা খুঁত বের করতে হবে তো!

“খুঁত বার করার জন্য আপনাকে মোটা বলা হয়!”

ওই যে, রোহিত শর্মা!

রোহিত শর্মার ক্যারিয়ার ভাবুন একবার!

রোহিত শর্মাকে তো এমনি এমনি নিয়ে এসে ক্যাপ্টেন করা হয়নি!

তার টেস্ট, তার ওয়ানডে, তার টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ার ভাবুন তো!

রোহিত শর্মাকে ছেড়ে দিন!

আপনাদের ডেভিড বুনকে মনে পড়ে?

অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড বুন মানে ব্যাটিং-এর লেভেল কোথায় ছিল জানেন তো?

শেষ কথা:

ডেভিড বুন, পুসকাস, মারাদোনা—তাদেরও মোটা বলা হয়েছে!

আপনাকেও বলা হয়!

কি যায় আসে?

আসলে, আপনি যা পারেন, সেটা খুব কম লোকই পারে!

তাই আপনাকে মোটা বলে ছোট করার চেষ্টা করে!

New Post: রোহিত শর্মা মোটা? ক্রিকেট কি মডেলদের জন্য? গাভাস্কার দিলেন জবাব! https://kamransuman.xyz/rohit-sharma-is-fat র...
07/03/2025

New Post: রোহিত শর্মা মোটা? ক্রিকেট কি মডেলদের জন্য? গাভাস্কার দিলেন জবাব! https://kamransuman.xyz/rohit-sharma-is-fat রোহিত শর্মা মোটা? ওভারওয়েট?

মোটা বলা হয়েছে রোহিত শর্মাকে। ব্যস্ত? আমি এক এক করে নাম বলে যাই, আপনিও একবার মনে করতে থাকুন তো—

ইনজামাম-উল-হক, প্রবীণ আমরে, রবিন সিং, ডেভিড বুন, সেনোয়ান!

নামগুলো খুব চেনা তো?

এরা কিন্তু তাদের সময়ের সেরা ক্রিকেটার। রবিন সিং-এর ফিল্ডিং-এর কথা ভাবুন, হকের ছক্কা হাঁকানোর কথা বলুন, বলুন সেনোয়ানের অসাধারণ স্পিনে লেগ স্টাম্প উড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য! একবার ভাবুন, ডেভিড বুন ওই চেহারা নিয়ে ক্যাচ নিচ্ছে।

রোহিত শর্মা মোটা? দাঁড়ান, আরও একজনের কথা এখনো বলা হয়নি!

১৯৮২ সালে তাকে এত মারা হলো, এত রাগিয়ে দেওয়া হলো যে রেড কার্ড দেখে ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবলের মাঝখান থেকে ভ্যানিশ! সেই দিয়াগো আরমানদো মারাদোনা।

আর্জেন্টিনা দলে আবার ফিরে এলেন ’৮৬-এর বিশ্বকাপে, সমহিমায়! তখন ওজন অনেক বেড়ে গেছে, তখন আর ছিপছিপে মারাদোনা নেই। কিন্তু সেই ওজন বেড়ে যাওয়া দিয়াগো আরমানদো মারাদোনা বিপক্ষদের জন্য একাই একাই কাফি!

’৮৬-এর বিশ্বকাপ, ’৯০-এর বিশ্বকাপ—এই ’৮২ থেকে ’৮৬, ’৮৬ থেকে ’৯০, মাঝখানের সময় মারাদোনা বলতে তো পৃথিবী অজ্ঞান! আজও মারাদোনাকে শ্রেষ্ঠ ফুটবলারদের মধ্যে একজন ধরা হয়।

মারাদোনা, সেই ড্রিবলিং!

কেন এত কথা বলছি মারাদোনা নিয়ে?

ওই যে, রোহিত শর্মা মোটা বলা হলো! মারাদোনাও তো মোটা ছিলেন!

হ্যাঁ, একটু বালকি তো বটেই! তারপরেও ফুটবলের মতো এরকম বডি-কন্টাক্ট গেমে কাঁপিয়ে বেরিয়েছেন! আর আপনি ভাবছেন, রোহিত শর্মা মোটা!

আপনাকেও তো মোটা বলে না?

রোহিত শর্মা ওভার হয়ে গেছেন? মোটা হয়ে গেছেন? তাই খেলতে পারছেন না? রান আসছে না ব্যাটে? ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া উচিত?

কারা বলছেন জানেন?

বলছেন পলিটিশিয়ানরা! আবার কেউ কেউ আরও এক পা এগিয়ে বলছেন যে এতদিন রোহিত শর্মা রয়েছেন কিসের জোরে? খুঁটির জোরটা কিসের? ওই চেহারায় ক্রিকেট হয়?

আর যারা ক্রিকেট খেলেছেন?

যেমন ধরুন, সুনীল গাভাস্কার!

তিনি বলছেন—আহা! ছিপছিপে চেহারার দরকার হলে মডেল চাইলেই হয়! তাহলে আর ক্রিকেটার হয়ে লাভ কি? ক্রিকেটার হতে গেলে কি মডেল হতে হবে?

বিষয়টা তো নয়!

বিষয়টা হলো—এই যে আপনি বেরোন রাস্তাঘাটে, বাজারে, দোকানে। আপনাকেও তো কেউ না কেউ এভাবে তাকায়—
“ইস! মোটা! কি মোটা!”

তাকায় তো?

আচ্ছা, কারা মোটা বলে? বলুন তো?

আপনাকে?

হ্যাঁ, আপনার না হয় ওজনটা একটু বেশি! কিন্তু আপনি তো প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে আপনি সেই কাজটা খুব ভালোভাবেই পারেন, যে কাজটা আপনার থেকে কম ওজনওয়ালা লোকজন পারে!

পারেন তো?

আপনি সেটা প্রমাণ করার পরেও আপনাকে যেখানে-সেখানে খোঁটা শুনতে হয়!

হ্যাঁ, খোঁটা শুনতে হয়!

“আপনি মোটা! আহ! আপনি মোটা!”

আর সেই জন্য এই টিশার্টটা আপনাকে মানাচ্ছে না? আপনি মোটা! তাই সুইমিং কস্টিউম পড়া উচিত না? আপনি মোটা! সেজন্য আপনি যদি রাস্তায় ধুতি পড়ে হাঁটেন বা শাড়ি পড়ে হাঁটেন, লোকে বলবে—

“এহ! একবার দেখে পড়া উচিত তো!”

নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখে তারপরে পড়া উচিত তো? বেরোনোর আগে আয়নাও দেখে না?

কারা বলে বলুন তো?

এইটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা!

আপনি ছেড়ে দিন আপনাকে মোটা বলে! আপনি ভুলে যান আপনাকে মোটা বলে!

ওই যে, বহুদিন আগে হিন্দি ছবির গান ছিল না—

“জিসকি বিবি মোটি, উসকা ভি বড় নাম হে!”

হ্যাঁ হ্যাঁ! একদম!

আপনি পুরুষ হন, আপনি মহিলা হন, আপনি মোটা হন, আপনি মোটি হন! আপনি জানেন, আপনি বিন্দাস আছেন!

তাহলে আপনাকে মোটা কে বলে বলুন তো?

এখানেই প্রশ্ন!

আপনি বরং ভুলে যান যে আপনি মোটা! আপনি তাদের নিয়ে ভাবুন যারা আপনাকে মোটা বলে! ভাবুন! ভাবুন! ভাবতে হবে তো! তাহলেই দেখবেন, আপনি ভালো আছেন!

আমিও ভেবেছি!

আমি ভেবে-টেবে বেশ কয়েকটা পয়েন্ট বের করেছি—

এক নম্বর পয়েন্ট:

ঈর্ষা! হিংসে! হিংসে! হিংসে!

আসলে, আপনি যতই মোটা হোন না কেন, যেমনই হোন না কেন, আপনি ভালো আছেন! আপনি বেশ খেতে-পরা, “ঘরকে টাইপ” আছেন!

আপনার মনে দুঃখ নেই! আপনার মনে অসুখ নেই!

এইটা দেখে লোকের মনে হিংসা হয়! ঈর্ষা হয়!

যাদের হয়, তারা আপনার আর কোনো খুঁত পায় না! তো তারা বলে দেন—

“আপনি মোটা!”

তাতে যদি আপনার একটু নিন্দা হয়! একটু সমালোচনা করা যায়!

দুই নম্বর পয়েন্ট:

ওই যে বললাম, আপনি অনেকের থেকে অনেক কাজ অনেক ভালো করতে পারেন!

সেটা অফিসে হতে পারে, বাড়িতে হতে পারে, খেলার মাঠে হতে পারে, বা বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে!

এই যে, আপনি আপনার ওভারওয়েট চেহারা নিয়েও তাদের সমান লড়ে যাচ্ছেন!

তিন নম্বর পয়েন্ট:

আপনার খুঁত ধরতে হবে তো!

তাদের আপত্তি কী?

আপনার মোটা হওয়ার জন্য আপনার মেধায় কোথাও ধাক্কা খায়নি, সেটাই তাদের আপত্তি!

তারা আপনার কাজের ভুল ধরতে পারবে না!

আপনার মানসিকতার ভুল ধরতে পারবে না!

আপনার মননের ভুল ধরতে পারবে না!

তাহলে কোথাও না কোথাও একটা খুঁত বের করতে হবে তো!

“খুঁত বার করার জন্য আপনাকে মোটা বলা হয়!”

ওই যে, রোহিত শর্মা!

রোহিত শর্মার ক্যারিয়ার ভাবুন একবার!

রোহিত শর্মাকে তো এমনি এমনি নিয়ে এসে ক্যাপ্টেন করা হয়নি!

তার টেস্ট, তার ওয়ানডে, তার টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ার ভাবুন তো!

রোহিত শর্মাকে ছেড়ে দিন!

আপনাদের ডেভিড বুনকে মনে পড়ে?

অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড বুন মানে ব্যাটিং-এর লেভেল কোথায় ছিল জানেন তো?

শেষ কথা:

ডেভিড বুন, পুসকাস, মারাদোনা—তাদেরও মোটা বলা হয়েছে!

আপনাকেও বলা হয়!

কি যায় আসে?

আসলে, আপনি যা পারেন, সেটা খুব কম লোকই পারে!

তাই আপনাকে মোটা বলে ছোট করার চেষ্টা করে! রোহিত শর্মা মোটা? ওভারওয়েট?

মোটা বলা হয়েছে রোহিত শর্মাকে। ব্যস্ত? আমি এক এক করে নাম বলে যাই, আপনিও একবার মনে করতে থাকুন তো—

ইনজামাম-উল-হক, প্রবীণ আমরে, রবিন সিং, ডেভিড বুন, সেনোয়ান!

নামগুলো খুব চেনা তো?

এরা কিন্তু তাদের সময়ের সেরা ক্রিকেটার। রবিন সিং-এর ফিল্ডিং-এর কথা ভাবুন, হকের ছক্কা হাঁকানোর কথা বলুন, বলুন সেনোয়ানের অসাধারণ স্পিনে লেগ স্টাম্প উড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্…

Updated Post: ”চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান বিপর্যস্ত! জঙ্গি হুমকিতে ক্রিকেট বিশ্বে আতঙ্ক!” https://kamransuman.xyz/p...
06/03/2025

Updated Post: ”চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান বিপর্যস্ত! জঙ্গি হুমকিতে ক্রিকেট বিশ্বে আতঙ্ক!” https://kamransuman.xyz/pakistan-upset-in-champions-trophy গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি, দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ম্যাচে ভারতের কাছে পাকিস্তান অত্যন্ত খারাপভাবে ধরাশায়ী হয়েছে। ওই দেশের জনমনে এখনো ব্যাপক হতাশার ছবি।

উল্লেখ্য, গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি থেকেই পাকিস্তানে শুরু হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। খেলা দেখার জন্য পাকিস্তানে বিদেশী পর্যটক ও ক্রিকেটপ্রেমীসহ আন্তর্জাতিক বোর্ডের অনেক আধিকারিক এসেছেন। কিন্তু পাকিস্তান মানেই জঙ্গি আর জিহাদীদের আতুরঘর। মনে মনে সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই।

অবশেষে আশঙ্কা সত্যিই হলো! পাক গোয়েন্দা সংস্থা স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স পাকিস্তানে আসা বিদেশীদের অপহরণ করে মুক্তিপণের ছক কষেছে। ইতিমধ্যেই করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির মতো শহরগুলিতে বড়সড় নাশকতার ছক এবং হামলার আগাম হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তবে যে দেশে জিহাদ চাষ করা হয়, সেই দেশে এইরকম ঘটনা ঘটা খুবই স্বাভাবিক!

ফের শাহবাজ শরীফের মুখ কলুষিত হয়েছে বিশ্ব দরবারে। কাশ্মীর প্রসঙ্গে মানবাধিকার নিয়ে যারা সবসময় ভারতের দিকে আঙুল তোলে, আজ সেই দেশেই ক্রিকেট খেলা জঙ্গি হামলার মুখোমুখি!

ভারত, নিরাপত্তার কথা ভেবেই, একটিও ম্যাচ পাকিস্তানের ভূখণ্ডে খেলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। এখন প্রশ্ন— জঙ্গিরা নাশকতামূলক অপহরণ কীভাবে করবে? একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, তেহরিক-ই-তালিবান, আইসিসি এবং বালুচিস্তানের একাধিক গোষ্ঠী এই পরিকল্পনা করেছে। তাই, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখতে আসা দর্শকদের অপহরণ করে একাধিক ‘সেফ হোম’-এ প্রথমে আটক রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তবে, এই হোমগুলি শহরতলীর কাছাকাছি এলাকায় থাকবে এবং এসব জায়গা সিসিটিভি-বিহীন করা হবে, যাতে খুঁজে না পাওয়া যায়। এলাকায় বড় গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না। অপহরণের পর, সুরক্ষা বাহিনীর দৃষ্টি এড়িয়ে রাতের অন্ধকারেই বন্দিদের ‘সেফ হোম’-এ আনার ছক কষা হয়েছে। এরপর, বিরাট মোটা অংকের টাকা দাবি করবে জঙ্গিরা, আর পণ না দিলে করা হবে নির্বিচারে গণহত্যা!

এই খবরে পাক প্রশাসন দেশজুড়ে সতর্কবার্তার নির্দেশ দিয়েছে। তবে, এইবার চীন এবং আরবের নাগরিকদের জঙ্গিরা টার্গেট করবে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, যে দেশ নিজেদের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য বিশ্বের কাছে থালা নিয়ে ভিক্ষা করে, সেই দেশের রোজগারের একটা প্রধান রাস্তা হয়তো অপহরণ আর মুক্তিপণ আদায়!

ভারত, অবশ্য পাকিস্তানের গতিবিধি নিয়ে পুরোপুরি সচেতন। তাই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোনো ম্যাচ পাকিস্তানে খেলতে রাজি হয়নি। ভারতের টিম রয়েছে দুবাইতে, কিন্তু বাকি দেশগুলি— যেমন আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড— পাকিস্তানেই রয়েছে। তবে, গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তায় সকলেরই ঘুম উড়ে গিয়েছে!

ক্রিকেট খেলায় জঙ্গি হামলা নিয়ে পাকিস্তানের মুখ বিশ্ব দরবারে আগেই কালিমালিপ্ত হয়েছে। ২০০৯ সালে, শ্রীলঙ্কার টিম বাসের ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছিল। কোনো রকমে সেবার দিলশান, কুমার সাঙ্গাকারা প্রভৃতি ক্রিকেটার প্রাণ নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের।

একইভাবে, আবার ২০২৪ সালে, বেশ কিছু চীনা নাগরিকের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে বলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে!

Address

Ram Krishna Pally
Bangaon
743235

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kamran Suman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kamran Suman:

Share