Jhuma Garai

Jhuma Garai আমি খুব সাধারণ ভাবে থাকতে ভালবাসি 😊

যেভাবে বিয়ে ভাঙছে তাতে আগে কী করে সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখবেন সেটা ভাবতেই হয়। আমরা অনেকেই এমন কিছু ভুল করে ফেলি যাতে শে...
29/07/2025

যেভাবে বিয়ে ভাঙছে তাতে আগে কী করে সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখবেন সেটা ভাবতেই হয়। আমরা অনেকেই এমন কিছু ভুল করে ফেলি যাতে শেষমেশ সম্পর্ক আর টিকিয়ে রাখতে পারি না। কিন্তু কিছু সহজ কথা মাথায় রাখলেই হয়তো সম্পর্কটা বেঁচে যেতে পারে।

১) সবার প্রথমে মনে রাখতে হবে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি সম্পর্কে ঢুকতে দেবেন না। প্রেমটা দুজনে করেছেন, একে অপরের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিজেরা না নিলে বিয়েটা হতই না। সেক্ষেত্রে নিজেদের ঝামেলা নিজেরা মেটান। কোনও তৃতীয় কেউ যেন আপনাদের মধ্যে ঢুকে না পড়ে।

২) দ্বিতীয়ত সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝুন। বিয়েটা করেছেন সারা জীবন একে অপরের পাশে থাকবেন বলে। তাই একে অপরকে গুরুত্ব দিতেই হবে। আজ একে অপরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে যাদের গায়ে লাগছে একসময় কেউ কিন্তু থাকবে না। এমনকী বাবা মাও না। পাশে থাকবে শুধু যাকে বিয়ে করেছেন সে।

৩) নিজেদের জীবনে বাউন্ডারি ক্রিয়েট করুন। আমরা যখন ছোট ছিলাম নিশ্চই বাবা মায়েরা সব কথা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিত না। আমাদেরকে নিশ্চয়ই নিজেদের অত্যন্ত ব্যক্তিগত কথায় পাশে রাখত না। ঠিক সেই রকমই এখন এটা আপনাদের সময়। নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনে কারও অনুপ্রবেশ হতে দেবেন না।

৪) বিয়ে ভাঙা অত্যন্ত সোজা। কিন্তু একবার ভেবে দেখতে হবে বিয়েটা কি একান্ত আপনাদের জন্যেই ভাঙছে? যদি অন্যের জন্য ভেঙে থাকে তাহলে আদৌ কি লসটা তার হল? না আপনার জীবনে একটা ক্ষত তৈরি হল অন্যের জন্য।

৫) নিজেরা সংসার করুন। সংসার থেকে পালিয়ে বেড়িয়ে সব বাবা-মায়ের ঘাড়ে ফেলে দেবেন না। বিয়ে যখন করেছেন সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিতেই হবে। কারণ একটা সময় ওরা কেউ থাকবে না, সংসারটা আপনাদেরই করতে হবে।

৬) নিজেদের কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করুন। এতদিন তো অনেক সময় দিলেন সবাইকে। এবার কিছুটা সময় নিজের সঙ্গীকে দিন। বিশ্বাস করুন এই সময়গুলো আর ফেরত আসবে না। বাবা, মা, বন্ধু বান্ধব ছোট থেকে আপনাকে পেয়েছে কিন্তু এই বয়সটা যেটা একমাত্র সঙ্গীর সঙ্গে কাটানো যায় সেটা একবার চলে গেলে আর ফিরবে না।

৭) নিজেদের জীবনের খুঁটিনাটির ব্যপারে অন্যের মতামত নেওয়া ছাড়ুন। যথেষ্ট প্রাপ্ত বয়স্ক তাই বিয়ে করেছেন। নিশ্চই ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করেননি। তাই নিজেদের ভালমন্দ নিজেরা বোঝার চেষ্টা করুন।

৮) সব থেকে বড় কথা বিয়েটা দুটো প্রাইমারি স্কুলে পড়া বাচ্চাদের মধ্যে হয় না। দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মধ্যে হয়। এবং এই নিয়ে সরকার বয়স বেঁধে দিয়েছে। ভোটাধিকার না থাকলে বিয়ে হয় না। ভোট দিয়ে কাকে শাসনের ভার দেবেন সেই বুদ্ধি যখন হয়েছে সাংসারিক বুদ্ধিও নিশ্চই তৈরি হয়েছে। তাই অকারণ নিজের সংসারের ব্যাপারে লোকের জ্ঞান নেবেন না।

৯) একে অপরের বাবা মাকে শ্রদ্ধা করুন। নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন। কিন্তু কেউই কারও বাবা মাকে অন্যজনকে শিখিয়ে পড়িয়ে নেওয়ার অধিকার দেবেন না। আমরা বিয়েটা করি সারাজীবন পাশে থাকব বলে। আনন্দ করব বলে। শেখা পড়ার জন্য স্কুল বা পাঠশালা আছে। এটা বোর্ডিং নয় যে কেউ কাউকে ২৪ ঘণ্টা শাসন করবে আর সেটা মেনে নিতে হবে।

১০) যুগের সঙ্গে সঙ্গে সবই বদলেছে। তাই হয়তো আপনার পরিবারের লোকের থেকে যে ছেলেটি বা মেয়েটিকে বিয়ে করেছেন সে অনেক আধুনিক হতেই পারে। এবার তাঁর আধুনিকতা যদি আপনার বাড়ির লোক মেনে নিতে পারে সেটা তাদের সমস্যা। যুগ বদলালে নিজেকে বদলাতেই হবে শালীনতার বজায় রেখে যদি সেই আধুনিকতাকে কেউ ভালবাসে তাকে সাপোর্ট করুন। কারণ পুরনো আমলে পড়ে থাকা কোনও কৃতিত্ব নয় বরং বোকামি। এখানে পুরনো আমল বলতে ঐতিহ্য বা সংস্কৃতিকে বলা হয়নি।

সব কিছু বাদ দিয়ে বিয়েটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। কারণ যাদের জন্য বিয়েটা ভাঙছে তাদের কিচ্ছু যাবে আসবে না বিশ্বাস করুন। ক্ষতিটা একমাত্র আপনাদেরই হবে।

©️ অনুলেখা












29/07/2025

Good morning

28/07/2025

আগামীকাল একটি বড় দিন । এটা অফিসিয়াল। সকাল ৮:১০ মিনিটে স্বাক্ষর করা হয়েছে। এটা টিভিতেও দেখানো হয়েছে। ভুলে যাবেন না, আগামীকাল থেকে নতুন ফেসবুক নিয়ম (অর্থাৎ নতুন নাম, মেটা) চালু হচ্ছে, যার অধীনে কোম্পানি আপনার ছবিগুলো ব্যবহার করতে পারবে। মনে রাখবেন, এর সময়সীমা আজই শেষ।

এই বার্তার যেকোনো স্থানে আঙুল দিন, “কপি” দেখা যাবে। “কপি” তে ক্লিক করুন। এরপর নিজের পেজে যান, একটি নতুন পোস্ট তৈরি করুন এবং খালি স্থানে আঙুল দিন, “পেস্ট” দেখাবে – “পেস্ট” এ ক্লিক করুন। এটি সিস্টেমকে বাইপাস করতে সাহায্য করবে। যারা কিছু করেন না, তারা সম্মতি দিচ্ছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।

৬০ মিনিটস শো অনুযায়ী: যদি আপনি এটি মিস করে থাকেন, তাহলে জানিয়ে রাখি যে একজন আইনজীবী আমাদের এই পোস্টটি করার পরামর্শ দিয়েছেন। গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য আইন অনুযায়ী শাস্তি হতে পারে।

নোট: ফেসবুক (মেটা) এখন একটি পাবলিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি সদস্যকে এরকম একটি ঘোষণা পোস্ট করতে হবে। যদি আপনি অন্তত একবারও এরকম কোনো বিবৃতি প্রকাশ না করেন, তাহলে প্রযুক্তিগতভাবে এটি ধরে নেওয়া হবে যে আপনি আপনার ছবি এবং প্রোফাইল তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।

আমি Jhuma Garai এই মর্মে ঘোষণা করছি যে আমি ফেসবুক বা মেটাকে আমার কোনো ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছি না।

28/07/2025

প্রেম ছেড়ে দেওয়া যায়, সংসার নয়—বিশেষ করে যখন ভুল মানুষের সঙ্গে জীবন জড়িয়ে যায়।

ভুল মানুষকে ভালোবেসে ফিরে আসা যায়, কিন্তু যদি তার সঙ্গে সংসার বাঁধা পড়ে—তাহলে সেই বাঁধন ভাঙা এতটা সহজ হয় না। সমাজ, সন্তানের ভবিষ্যৎ, মা-বাবার সম্মান—এইসব ‘দায়’ এতটাই ভারী হয়ে ওঠে যে অনেকেই ভাঙা বিশ্বাস, নিঃস্ব মন নিয়েই সারাজীবন কাটিয়ে দেন। অথচ সেই ভুল মানুষটা বুঝতেই চায় না, সে কতটা বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে।

শুধু খাবার আর শরীরের ছায়ায় মানুষ প্রিয় হয়ে ওঠে না।

একসাথে থেকেও যখন মনের টান থাকে না, তখন প্রতিটা মুহূর্তেই বোঝা বাড়ে। প্রিয় হওয়ার জন্য প্রয়োজন বোঝার অনুভূতি লাগে—না হলে সে শুধু ‘সহবাসে’ থাকা এক অপরিচিত মুখ। যার পাশে হাসলেও মন খালি থাকে, যে স্বার্থের বাইরে কিছুই দেখে না—তার সঙ্গে বেঁচে থাকাটা নিছক সহ্য করার নামান্তর।

একটা সম্পর্ক তখনই বিষ হয়ে ওঠে, যখন সেখানে সম্মান হারিয়ে যায়।

দুঃখে কেউ পাশে থাকে না, খারাপ সময়ে কেউ হাত ধরার মানুষ হয়ে ওঠে না—তখন সংসারের ভিতরেও মানুষ একা হয়ে যায়। কথাগুলো আর কাউকে বলা যায় না, চোখের জল আর কেউ মুছে দেয় না, তখন মানুষ নিজের মধ্যেই একটা দেয়াল তুলে ফেলে। ভালোবাসার নামে এই নিঃসঙ্গতাই সবচেয়ে নির্মম।

যে সম্পর্ক বাঁচায় না, বরং ধীরে ধীরে মেরে ফেলে—সেই সম্পর্ক ছেড়ে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।

সমাজ যাই বলুক না কেন, নিজেকে হারিয়ে ফেললে, নিজের আত্মবিশ্বাস মরে গেলে, জীবনের কোনো মানে থাকে না। তখন মানুষ দাঁড়ায় দুটো পথের সামনে—একটা হলো সমস্ত স্বপ্ন শেষ করে দেওয়া, আরেকটা—নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলা।

যারা নিজেকে ভেঙে আবার গড়তে পারে, তারাই আসল সাহসী।

ভুল মানুষের ভালোবাসা কেবল প্রলোভন—যেটা শেষে ক্ষত আর দুঃখ ছাড়া কিছু দেয় না। তাই প্রিয়জন আর প্রয়োজনের তফাতটা বুঝতে শিখতে হবে। কে পাশে থাকবে, কে মাঝপথে ছেড়ে দেবে—এই যাচাইটা সময় থাকতেই করতে হয়।

কারণ সুখের দিনে সবাই থাকে, কিন্তু দুঃখের দিনে যে হাত ছাড়ে না, সেও তো একরকম দেবতা।

জীবন বারবার ভাঙে, আবার গড়েও। চোখের জল দিয়ে মাটিতে বীজ ফেললে তবেই নতুন সুখের বৃক্ষ গজায়।
আশার ছায়ায় বাঁচা যায়, যদি মনের ছায়াটাও পাশে থাকে।

শেষ কথা একটাই—সুখ শুধু শরীরের নয়, মনের সংযোগেই জীবন জ্বলে ওঠে।
আর সেই জ্বলন্ত জীবনের মাঝেই এক টুকরো শান্তি খুঁজে নিতে হয়—নিজের জন্য।

লেখা সংগৃহীত












28/07/2025

Good night

একজন নারী কীভাবে ‘স্ট্রং’ হয়ে ওঠেন?চোখে চোখ রেখে কথা বললে?কোনো কিছুতে ভয় না পেলে?নাকি কারো উপর ভরসা না করে নিজেই সব সামল...
28/07/2025

একজন নারী কীভাবে ‘স্ট্রং’ হয়ে ওঠেন?

চোখে চোখ রেখে কথা বললে?
কোনো কিছুতে ভয় না পেলে?
নাকি কারো উপর ভরসা না করে নিজেই সব সামলে নিলে?

না, তার চেয়েও বেশি কিছু লাগে।

একজন নারী তখনই সত্যিকার অর্থে স্ট্রং হয়ে ওঠেন-
যখন কষ্ট পেয়ে ভেঙে পড়ার বদলে, চুপচাপ আবার নিজেকে গুছিয়ে নেন।

যখন চারপাশের না-শোনাগুলোকে হজম করে, একদিন ‘হ্যাঁ’ শোনানোর মতো হয়ে ওঠেন।

যখন সবাই বলে—তুমি পারবে না।
আর তিনি প্রমাণ করে দেন—আমি পারি।

কীভাবে আপনি সেই নারী হয়ে উঠবেন?

১. ‘না’ বলার সাহস রাখুন

সব কিছুতে ‘হ্যাঁ’ বললে মানুষ আপনাকে ব্যবহার করবে।

‘না’ বলতে শিখুন—শান্ত কণ্ঠে, কিন্তু দৃঢ়তায় ভরা।

আপনার সময়, শক্তি আর সম্মান রক্ষার জন্য এটা জরুরি।

২. আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হোন

আপনার উপার্জন আপনার আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি।
ছোট হোক, নিজের হোক।

সেই টাকাটা আপনার চোখের ভাষা বদলে দেবে—চিরতরে।

৩. নিজের যত্ন নিন, মন দিয়ে

নিজেকে অবহেলা করে আপনি কাউকে সত্যিকার ভালোবাসতে পারবেন না।

নিজের চুল আঁচড়ান, আয়নায় তাকান, নিজেকে নিয়ে স‍্যাটিসফাইড হওয়ার মানসিকতা তৈরি করুন।

যত্ন নেওয়া মানে বিলাসিতা নয়—এটা নিজেকে সম্মান জানানোর বিষয়।

৪. মতামতের মূল্য দিন

আপনার কথা বলার অধিকার আছে।

চুপ থেকে ভালো মানুষ হওয়া যায়, কিন্তু স্ট্রং মানুষ হওয়া যায় না।

তাই মতামত দিতে শিখুন।

৫. সম্পর্ক নয়, আত্মসম্মান আগে

যে সম্পর্ক আপনাকে ছোট করে, তা সম্পর্ক নয়—আটকে থাকার শিকল।

ভালোবাসুন, ভরসা রাখুন, কিন্তু নিজের অবস্থান ভুলে নয়।

একটু ভেবে দেখুন…

নারী হওয়া কোনো দুর্বলতার নাম নয়।

আপনিই জন্ম দেন, গড়েন, আগলে রাখেন।
তবু এই সমাজ আপনাকে বোঝায়—তুমি তেমন কিছুই না। তোমার কোনো অবদান নাই কিছুতে।

আপনাকে ভয় দেখায়, বাঁধা দেয়, থামিয়ে রাখে।

কিন্তু আপনি থেমে গেলে তো সব থেমে যাবে।

স্ট্রং নারী মানে আবেগহীন মানুষ না।

তিনি কাঁদেন, হাসেন, ভালোবাসেন, প্রয়োজনে ছেড়েও দেন।

তবু নিজের সম্মান আর সীমানা আঁকড়ে ধরেন।

তিনি কারো করুণা চান না—চান সম্মান।

তিনি কারো সাপোর্ট চান না—চান সমতা, অধিকার।

আপনি নারী।

আপনি আগুনও—আলোর উৎসও।

আপনার ভেতরে এক বিশাল শক্তি আছে, যা জেগে উঠলে— যে কোনো কিছুই অর্জন করা সম্ভব।

তাই আজ থেকে নেমে পড়ুন নিজেকে গড়ার পথে।

কাউকে দেখানোর জন্য নয়—নিজের জন্য।

অল দ‍্যা বেস্ট।
©️

লেখা সংগৃহীত













Good morning 🌅
28/07/2025

Good morning 🌅

আপনি পাশে বসেই আছেন আপনার সঙ্গী ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন ঘেঁটে চলেছে। কিছু বললেই বলছে "শুনছি তো তুমি বলো না" জানেন তো এটাই সম...
27/07/2025

আপনি পাশে বসেই আছেন আপনার সঙ্গী ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন ঘেঁটে চলেছে। কিছু বললেই বলছে "শুনছি তো তুমি বলো না" জানেন তো এটাই সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার প্রাথমিক সূত্রপাত। যেখানে একটা রক্ত মাংসের মানুষ বসে থাকার পরেও অন্য একটা মানুষকে নিজের মন ভোলাতে হচ্ছে টেকনোলজি দিয়ে। অর্থাৎ আপনি এতটাই একঘেয়ে উঠেছেন যে আপনার দিকে তাকিয়ে পর্যন্ত সে নিজের সময় নষ্ট করতে চাইছে না। আপনাকে সময় দেওয়াটা এখন আর তাঁর কাছে বিনোদন বা শান্তির থেকে কর্তব্য বেশি। আগে ফোন ছিল না, মানুষ তাই নিজের সময় কাটানোর জন্য একমাত্র উপায় হিসেবে বেছে নিত অন্য একটা মানুষ। তাই তাদের কথা ফুরাতো না। সম্পর্কও নষ্ট হত কম। কারণ একে অপরকে সময় দেওয়া যেত। কেউ পাশে বসে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকত না। ভুল বোঝাবুঝি হলেও আলোচনা করার সময় পাওয়া যেত। এখন কর্ম ব্যস্ত যুগে একেই সময় থাকে না তারপর যেটুকু সময় পাওয়া যায় তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফোন। তাই শুধুমাত্র কমিউনিকেশনের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একের পর এক সম্পর্ক।

আপনার সঙ্গে সময় কাটানোর থেকে স্মার্ট ফোনে আগ্রহ বেশি দেখানোর একটাই অর্থ যে আপনার উপর সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির আগ্রহ ফুরিয়েছে।

এক্ষেত্রে নিজেকে বাঁচাতে তাঁর স্মার্ট ফোন ঘাঁটতে থাকার অভ্যাসকে সে যথাযথ প্রমাণ করতে বেশ কয়েকটি অজুহাত দিতে পারে, ১) সারাদিন পর নিজের জন্য শুধু এটুকুই তো সময় থাকে, এতেও সমস্যা? ২) আমি আর কী করি বলো, একটু ফোন দেখা ছাড়া। আর সব থেকে বড় অজুহাত হল, ৩) এই তো সময় দিচ্ছি তো! কথা বলছি তো।

প্রথম কাজ হল কোনও মতেই এই অজুহাত মেনে নেবেন না। অজুহাত যাই হোক না কেন সামনের মানুষ আপনাকে সময় দেওয়ার নাম করে ফোন ঘাঁটে একমাত্র আপনার থেকে পালানোর জন্য।

আপনার প্রতি মাত্রাতিরিক্ত অনীহার কারণেই এই ঘটনা ঘটছে। বা বলতে পারেন আপনাকে সেই মানুষটি একেবারেই টেকেন ফর গ্র্যান্টেড করে দিয়েছে।

এক্ষেত্রে প্রথমে সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করুন। যদি তিনি বুঝতে না পারেন। দয়া করে সময় দাও বলে ভিক্ষা চাইবেন না। যে মানুষের পরিবর্তে একটা অজৈবকে গুরুত্ব দেয় দোষ তাঁর আপনার নয়, তাই ঝটপট নিজের গুরুত্ব বুঝে ওই সময়টা নিজেকে দিন। ভাল গল্পের বই পড়ুন। বা সিনেমা দেখুন। প্রয়োজন হলে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। ওই ব্যক্তিকে বোঝান যে ওনার জন্য আপনি সব সময় ডাক দিলেই সাড়া দেবেন তা নয়। আপনারও একটা দাম রয়েছে।

আপনি এতটাই সস্তার নয় যে কেউ আপনারই সামনে বসে অন্য কিছু নিয়ে সময় কাটাতে পারে। সব থেকে বড় কথা যার কাছে আজ আপনার থেকে টেকনোলজি বেশি আমোদের কাল অন্য কোনোও মানুষও বেশি আমোদের হতে পারে। কারণ আপনার প্রতি সে আর সময় কাটানোর মতো কিছুই খুঁজে পাচ্ছে না। যার কাছে মানুষের দাম নেই সম্পর্কের দাম থাকবে কী করে? তাই নিজেকে কষ্ট দেবেন না। জাস্ট সেই মানুষটিকে সময় দেওয়া বন্ধ করে দিন। দেখবেন চরম বিপদে বা ভয়ঙ্কর মন খারাপে ফোনের স্ক্রিন আর তাঁর কাজে লাগছে না। তখন তাঁর মন ভাল করার জন্য একটা মানুষই প্রয়োজন হবে কিন্তু সেদিন দয়া করে একটু বুঝিয়ে দেবেন যে আপনার যখন প্রয়োজন ছিল একটু সময়ের জন্য আপনাকে কতটা ভিক্ষা করতে হয়েছে... ভুলবেন না এটাও কিন্তু একটা মানসিক নির্যাতন! মেনে নিলে অন্যায় হবে...©️ অনুলেখা কর দাস

দয়া করে লেখিকার নাম মুছে পোস্ট করবেন না

লেখা সংগৃহীত
ছবি নিজস্ব












প্রেমিক -প্রেমিকার ব্যবহার যখন বিষের মতো হয়ে যায়, তখন কি করবেন?প্রথমেই বলি,একটা সম্পর্ক তৈরি হয়,একটা মিষ্টি মধুর জীবন...
27/07/2025

প্রেমিক -প্রেমিকার ব্যবহার যখন বিষের মতো হয়ে যায়, তখন কি করবেন?
প্রথমেই বলি,একটা সম্পর্ক তৈরি হয়,একটা মিষ্টি মধুর জীবন কাটানোর জন্য। সেই জীবন যদি বিষময় হয়ে ওঠে তবে সেই সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন।

অনেক দিনের সম্পর্ক থেকে চট করে বেরিয়ে আসা যায় না। কোথাও না কোথাও একটা মায়া কাজ করে।সেই মায়া কাটিয়ে ওঠা বড় কঠিন।
তাহলে কি করা যায়?? ( কলমে - দিসা মন্ডল)

১.নিজেদের সময় দিন -- যখনই সম্পর্ক খারাপ হতে থাকবে,চেষ্টা করুন নিজেদের জন্য বেশী বেশী সময় বার করতে।একসাথে অনেকটা সময় কাটালে অনেক সময় ভালোবাসা বেড়ে যায়। হতে পারে সময়ের অভাবে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছিল।

আবার , এটাও হতে পারে নিজেদের অতিরিক্ত সময় একসাথে কাটানোয় এক অপরকে আর ভালো লাগছে না।সেক্ষেত্রে চেস্টা করুন দুজনে অনেকটা সময় পর পর দেখা করার। অনেকক্ষণ দেখা না করার পরেও যদি আপনাদের মধ্যে দেখা করার কোনো চাহিদা না হয় । তাহলে সে কথা পরে বলছি..

2. নিজেদের সম্মান করুন :-- যতই ঝগড়া হোক,এক অপরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করবেন না। এই এক অপরকে অপমান,ঝগড়ার পর মনে থেকে যায়,এবং একে অপরের প্রতি কোনো সম্মানই বজায় থাকে না।উল্টে সম্পর্ক বিষের মনে হয় । এর পরেও যদি আপনাদের সম্পর্ক ভালো না হয় , সে কথা পরে বলছি...

3. স্মৃতিচারণ:-- মাঝেমধ্যে আপনাদের প্রথম প্রেমের কাহিনী, প্রথম প্রথম যে সুমধুর সময় কাটাতেন সেই স্মৃতিগুলোকে একসঙ্গে মনে করুন।
হতেই পারে এই স্মৃতিচারণে আপনার জীবনকে আবারো বিষময় থেকে প্রেমময় করে তুলবে।
মিষ্টি মধুর স্মৃতিচারণা করার পরেও যদি আপনার সেই সম্পর্ক ভালো না লাগে সে কথা পরে বলছি..

4. স্বাধীনতা--:-- একে অপরকে স্বাধীনতা দিন কেউ কারো জীবনে অতিরিক্ত নাক গলাবেন না।
একটি পাখিকে আকাশে উড়িয়ে দেয়ার পর যদি সে আর ফিরে না আসে তাহলে বুঝতে হবে সে খাচায় থাকার পাখি নয়। ঠিক সেরকমই মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য করতে হবে। আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকাকে স্বাধীনতা দিন। তারপরও যদি সে আপনার কাছেই ফিরে আসে সৎ থাকে তাহলে সে সম্পর্ক স্থায়ী হবেই । আর যদি ফিরে না আসে , সে কথা পরে বলছি..

5. বিশ্বাস:-- সম্পর্কে সব থেকে বেশি জরুরি বিশ্বাস সেটা যদি একবার আপনাদের মধ্যে ভেঙে যায় তা জোড়া লাগানো খুব কঠিন চেষ্টা করুন নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস গড়ে তোলার পুনরায়। আর যদি না পারেন তবে পরে বলছি..

6. বোঝাপড়া:-- সবকিছু করার পর নিজেদেরকে নিয়ে বোঝাপড়া করতে বসুন দুজন কি চান খোলাখুলি আলোচনা করুন। এরপরেও যদি কিছু ঠিক না হয় তবে শুনুন...

**একটা সম্পর্ক ক্রমাগত টক্সিক হয়ে উঠলে, বেঁচে থাকাই মুশকিল। কিন্তু বেঁচে তো আমাদের থাকতেই হবে।
যদি আপনারা অবিবাহিত প্রেমিক-প্রেমিকা হন, তাহলে অবশ্যই এই সম্পর্ক নিয়ে বিয়ে করবেন না। দুজনের পথ আলাদা করে দিন, নতুন করে শুরু করুন নতুন ভাবে। বিয়ে করার পর ডিভোর্স হওয়ার থেকে আগে থেকেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন।

আর যদি আপনারা স্বামী-স্ত্রী হন তাহলে অবশ্যই আপনাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে অনেক দূর পর্যন্ত ।আর তারপরেও একান্তই যদি একসঙ্গে থাকতে না পারেন, তবে শেষ পর্যন্ত আলাদা হওয়ার কথা ভাবতেই হবে।

সর্বোপরি একটা মানুষের জীবন বিষময় হয়ে বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না জীবনকে মধুময় করে তুলতে হবে সেক্ষেত্রে আপনি একা থাকুন বা দোকা। ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে একটা সম্পর্ক নিয়েই সুখে থাকার চেষ্টা করতে হবে প্রথম থেকে।
ধন্যবাদ


লেখা সংগৃহীত




゚viralシfypシ゚viralシalシ





Address

Bankura

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jhuma Garai posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share