Pritisha

Pritisha My name is Eti. Follow me my page video creator��. wish me 3rd October.

Happy Birthday KK Sir, ❤️👑The voice of millions of hearts..!!🖤🫶We miss u 🥹❤️
22/08/2025

Happy Birthday KK Sir, ❤️👑
The voice of millions of hearts..!!🖤🫶

We miss u 🥹❤️

আমার চাচা যখন তার ছেলেকে শহরের ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করিয়ে এলেন, আমার মা তখন বাজার থেকে একজোড়া পুরোনো স্যান্ডেল কিনে আনল...
22/08/2025

আমার চাচা যখন তার ছেলেকে শহরের ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করিয়ে এলেন, আমার মা তখন বাজার থেকে একজোড়া পুরোনো স্যান্ডেল কিনে আনলেন। আমার ছোটো বোন রুবি সেই স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে বললো,
— “মা, আমি কি শহরের স্কুলে যাব?”
মা মাথা নিচু করে বললেন,
— “আমরা কুঁড়েঘরে থাকি মা, শহরের স্কুল আমাদের জন্য না।”

রুবির বয়স তখন মাত্র সাত। গায়ের রঙ মাটি রঙের মতো, চোখদুটি কাঁচের মতো স্বচ্ছ। আমি বুঝতাম, ও সাধারণ বাচ্চা না। মাটিতে খোঁড়া দিয়ে ছবি আঁকতো, বইয়ের পাতায় ফুল-চাঁদ-মেঘ বানাতো। কিন্তু টাকা ছিল না, স্বপ্নগুলো কুড়িয়ে রাখতে পারতাম না।

আমরা থাকতাম দাদার রেখে যাওয়া এক কুঁড়েঘরে, টিনের ছাদে গর্ত, বারান্দার এক কোনায় রান্না হতো, বাথরুম ছিল বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা একটা ছোটো ঘর। বাবা রিকশা চালাতেন, আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি, মা অন্যের বাসায় কাজ করতেন।

একদিন মা এসে বললেন,
— “তোর বোনটাকে স্কুলে ভর্তি করে দে।”
বললাম,
— “কীভাবে মা? ইউনিফর্ম? বই?”
মা চুপ করে কাঁদছিলেন। বুঝলাম, চোখের জল দিয়ে স্বপ্ন কিনে আনার চেষ্টা করছেন।

পরদিন আমি রুবিকে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করালাম। বই পেলাম, কিন্তু ইউনিফর্ম কিনে দিতে পারিনি। মা এক পুরনো জামা কেটে ওর জন্য একটা নীল জামা বানালেন।

রুবি স্কুলে ভালো করছিল। প্রতিদিন ক্লাসে প্রথম হতো। হেডস্যার একদিন বাড়ি এসে বললেন,
— “এই মেয়েটা হার্ভার্ডে পড়ার মতো মেধাবী।”

আমরা শুধু শুনে হাসলাম। হার্ভার্ড কিসে খায় জানতাম না তখন।

একদিন রুবি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। মা নিয়ে গেলেন পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ডাক্তার বললেন,
— “অভাব, অপুষ্টি, ভিটামিন ঘাটতি।”
তখন বুঝলাম, মেধা থাকলেও শরীর যদি না টিকে, কিছুই টিকে না।

আমি তখন রাতের বাজারে কাজ করি, ওজন মেপে দিতাম, সকালে স্কুলে যেতাম। কিছু টাকা জমানোর চেষ্টা করতাম শুধু রুবির জন্য। একদিন এক সাংবাদিক আমাদের স্কুলে আসে— “অভাবের মধ্যেও শিক্ষার আলো” নিয়ে প্রতিবেদন করতে।

সেই সাংবাদিকের লেখাতেই রুবির ছবি উঠে আসে একটি জাতীয় পত্রিকায়। তারপর বদলে যায় সবকিছু।
একটা এনজিও রুবির সব খরচ বহন করে। আমরা প্রথমবার এক জোড়া নতুন জুতা কিনে দেই ওকে। সে লাফায়, স্যান্ডেলে চুমু খায়। তখনো হার্ভার্ডের স্বপ্ন বোঝে না, শুধু বোঝে, স্কুল ভালোবাসে।
সময় পেরোয়। আমি ডিগ্রি পাস করি, একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি পাই। বাবা এখন অসুস্থ। মা চোখে কম দেখে। রুবি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতে ভর্তি হয়। সেখানেও প্রথম হয়। তারপর একদিন সত্যি সত্যি রুবি হার্ভার্ড থেকে স্কলারশিপ পায়— Applied Mathematics নিয়ে পড়তে যাবে।

রুবি যাওয়ার দিন মা ওকে কোলে নিয়ে বলেন,
— “আমার কুঁড়েঘর থেকে হার্ভার্ডে যাবি মা?”

রুবি এখন আমেরিকায়। বড় একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। নিজের প্রথম বেতনের টাকা দিয়ে মা-বাবার জন্য একতলা পাকা ঘর করে দিয়েছে। আমাকে নিয়ে গেছে ঘুরতে সুইজারল্যান্ড, যেখানে আকাশ আর বরফ হাত ধরাধরি করে।

রুবি এখনো রাতে ঘুমানোর আগে ফোন করে বলে,
— “ভাইয়া, আমি হার্ভার্ডের রুবি না, কুঁড়েঘরের রুবি।”

এই গল্পের মূল বার্তা:
স্বপ্ন জন্ম নেয় অভাবের ভিতরেই। কুঁড়েঘরের ছেলেমেয়েরা শুধু কষ্ট জানে না, তারা জানে কিভাবে আকাশ ছুঁতে হয়।

স্বপ্নকুটির
#সংগৃহীত

উত্তমকুমারের সঙ্গে যতগুলো ছবিতে আমি একসঙ্গে অভিনয় করেছি, তার বেশিরভাগ ছবিতেই হয় আমি তাঁর ছেলে, নয় তাঁর ভাই। একবার এক পরি...
22/08/2025

উত্তমকুমারের সঙ্গে যতগুলো ছবিতে আমি একসঙ্গে অভিনয় করেছি, তার বেশিরভাগ ছবিতেই হয় আমি তাঁর ছেলে, নয় তাঁর ভাই।

একবার এক পরিচালককে বলেছিলেন, আমার ছেলে বা ভাইয়ের চরিত্রে পার্থ ছাড়া কাকে মানাবে বলুন? এই কথা সেই পরিচালকই আমাকে জানিয়েছিলেন। শুধু সলিলদার "সেই চোখ" ছবিতে বাপ-বেটা বা দু'ভাই নয়, এক প্রেমিকার দুই প্রতিযোগী হিসেবে ছিলাম আমি আর উত্তমকুমার।

"নকল সোনা" অবশ্য অন্য ধরণের ছবি। সেখানে উত্তমকুমারের ভূমিকায় উত্তমকুমার, পার্থ মুখার্জির ভূমিকায় আমিই।

আমার "অতিথি" কিংবা "বালিকা বধূ" র খুব প্রশংসা করতেন দাদা। আমি তাঁর প্রশংসা শুনে হয় লজ্জায় গুটিয়ে যেতাম, নয়তো তাঁর পায়ের ধুলো নিয়ে তাঁর কথা থামিয়ে দিতাম।

উত্তমকুমারের মুখে প্রশংসা
শুনলে গায়ে কাঁটা যেমন দিতো, তেমনি কী ভীষণ অস্বস্তি হতো, সেটা বলে বোঝাবার নয়। আমি তো তাঁর ভাই, তাঁর ছাত্র। কত ছোটো ছোটো দৃশ্যে কী অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভালো অভিনয় করার কৌশল শিখিয়ে দিতেন।

বলতেন, শুধু প্যান পান করে কাঁদলে দুঃখের সিন হয় না। না কেঁদে যে কাঁদাতে পারে, সেই শ্রেষ্ঠ শিল্পী। শুধু আবেগ নয়, এইটা কাজে লাগাতে হয়- বলে মাথায় আঙুলের টোকা দিতেন। এইসব কথা বলতে বলতে যেনো কোনো এক সুদূরে চলে যেতেন তিনি। এত গভীরভাবে চিন্তা করে অভিনয় করতেন বলেই তাঁর মৃত্যুর এত বছর পরেও বাংলা চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ নায়ক উত্তমকুমারই। এখনও তাঁর সিনেমা থাকলে বাড়ির ছেলেবুড়ো সব কাজ ফেলে বসে যায় ছোট পর্দার সামনে। এমন একজন মানুষের এত ভালোবাসা পেয়েছি ভাবলে এ জীবন সার্থক মনে হয়।

"মহানায়কের স্মৃতিচারণায়"- অভিনেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়।

🙏

#সংগৃহীত

"তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোই..."-----গুলজার আমরা ছিলাম ফুলের মতো, রোদভাঙা এক ভোরে ঝরল পাতা, নিঃস্ব হলাম। খোঁজ রেখো ঠিক গান...
22/08/2025

"তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোই..."

-----গুলজার

আমরা ছিলাম ফুলের মতো, রোদভাঙা এক ভোরে
ঝরল পাতা, নিঃস্ব হলাম। খোঁজ রেখো ঠিক গানে...
অন্ধ যে লোক রাস্তা চেনে অক্ষরে অক্ষরে,
আজ হবে সে বৃষ্টিপুলিশ, আনমনে, অজ্ঞানে...

"ম‍্যায় মুসাফির..." বলতে পারে, এমন লোক আর কোথায়?
চোখ থেকে জল ঝরিয়ে দিলে স্বপ্ন ক'দিন বাঁচে?
চাঁদ গায়ক আর জ‍্যোৎস্নাটি তার নিত‍্যদিনের শ্রোতা,
'তোমার কাছে আমার কিছু সন্ধে পড়ে আছে...'

সুরের পথে হাঁটলে যেমন সমস্ত রোগ সারে,
গানের শরীর প্রাণ ফিরে পায় গুলজারে, গুলজারে...

জন্মবার্ষিকীর শ্রদ্ধাঞ্জলি, ম‍্যাজিশিয়ান! 🌼
#সংগৃহীত

মরণের ওপারে  ......ওই দাড়িওয়ালা বুড়ো মরিয়াও শান্তি পাইলো না | বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতির জন্য ওই সাদা দাড়িবুড়ো যা যা করেছ...
21/08/2025

মরণের ওপারে ......
ওই দাড়িওয়ালা বুড়ো মরিয়াও শান্তি পাইলো না | বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতির জন্য ওই সাদা দাড়িবুড়ো যা যা করেছেন তা আজ না হয় নাইবা মনে রাখলাম | কিন্তু আমরা যারা বাংলা ভাষায় কথা বলি, বাংলা ভাষায় ভাবতে ভালোবাসি ও সর্বোপরি নিজেকে বাঙালি বলতে কিঞ্চিৎ উন্নাসিক হয়ে পরি, তারা আজ একটু নিতান্তই লজ্জা বোধ করছি | আমাদের পশ্চিম বাংলার রানী ওই দাড়িবুড়োকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন বা বলতে পারেন চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন | প্রতিনিয়তঃ বাংলার রানী লিখে চলেছেন "কথাঞ্জলি, কাব্যবিতান ও নানান আকডুম বাকডুম কবিতা ও গান" | ওই দাড়িবুড়ো এইসব গান ও কবিতা শুনে মাঝে মাঝে ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছেন | এই বঙ্গরানী বাংলাভাষাকে ঐচ্ছিক ভাষায় রূপান্তরিত করেছেন, কিছু কিছু শব্দ যেমন "শুভনন্দন", "শিল্পান্ন বা শৌচালয় উদ্বোধন করে নামকরণ হাগান্ন" শুনে শুনে বাঙালিরা আজ তিতোবিরক্ত | শুনলাম আজ কলকাতার মহানাগরিক যিনি স্বপ্নে দেখেন পশ্চিমবাংলায় একদিন সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরু হবে আর উর্দু ভাষায় কথা বলবেন, বললেন বঙ্গরানীর বাংলা ভাষায় অবদান যেখানে কথাঞ্জলির তুলনা গীতাঞ্জলির, কাব্যবিতানের সাথে গীতবিতানের | ওই সাদা দাড়িবুড়ো মরিয়া ধন ও প্রাণে বাঁচিয়াছে কিন্তু সন্মানটা একদম জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে তার | বাঙালির কোনোদিন কিছুই গর্ব করার ছিল না শুধু এই বাঙালিত্বের অহংকার ছাড়া | সেই অহংকারের মালা আজ ছিড়ে ধরার মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে | ওই সর্বগুণ সম্পন্না মহিলা, একাধারে শিক্ষাবিদ, কবি সাহিত্যিক, চিত্রকর, গীতিকার সুরকার ও গায়ক ও আরো নাজানা কত গুনের অধিকারী আজ বাংলা ও বাঙালির ধারক ও বাহক হতে চাইছেন | বাংলা ভাষার পিন্ডি চটকাতে চটকাতে আজ বাঙালিরা সর্বত্য হাসির খোরাকে পরিণত হওয়ার কারণ ওই সবজান্তা গুণী মহিলা | হে রবি ঠাকুর, আপনার সৌভাগ্য হয়েছিল নিবারণ চক্রবর্তীর সাথে প্রতিযোগিতায় নামার কিন্তু দুর্ভাগ্য এই সর্বগুণসম্পন্ন নারীর সাথে আপনার টক্করটা হয়নি | মরিয়াও কি রবি ঠাকুরের মনে শান্তি আছে ? গুরুদেব যেখানে আছেন সেইখানেই থাকুন আর বাংলা বাঙালির কথা সহসা ভুলেযান, এখানে এক বঙ্গেশ্বরী মা ঠাকুরুনের আবির্ভাব হয়েছে|
হে কবি বঙ্গবাসীকে ক্ষমা করিও।
#সংগৃহীত

সুচিত্রা সেন মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন অনেকেই সঠিক জানেন না। কারন একটা সময়ের পর নিজেকে দর্শকদের থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তি...
21/08/2025

সুচিত্রা সেন মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন অনেকেই সঠিক জানেন না। কারন একটা সময়ের পর নিজেকে দর্শকদের থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সম্পর্কে সেই সময়ের সিনেমার সঙ্গে জড়িত কলাকুশলীদের থেকে বা সাংবাদিকদের থেকে টুকরো টুকরো গল্প উঠে আসে। কারও কথায় তিনি কিছুটা দাম্ভিক, আবার কারও কথায় তিনি ব্যক্তিত্বময়ী একজন অভিনেত্রী, তবে তিনি তাঁর চারপাশে এমন এক অদৃশ্য পাঁচিল তুলে রাখতেন, যাতে তাঁকে বোঝা ছিলো মুশকিল। তবে পরিচালক তরুণ মজুমদার, তাঁর "সিনেমা পাড়া দিয়ে" বইতে মিসেস সেনকে নিয়ে এমন এক গল্প বলেছেন, তাতে মহানায়িকার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যায়।

তরুণ মজুমদারের ভাষায়, “সেই সময় স্মৃতিটুকু থাক ছবির শুট চলছে। আর সেই শুটেই বিচ্ছিরি কথা কাটাকাটি হয়েছিল সুচিত্রা সেনের সঙ্গে আমার, যে মহিলা আমাকে পরিচালক হয়ে ওঠার জন্য এতো সাহায্য করেছেন তাঁর সঙ্গেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লাম। ব্যাপারটা ঠিক যা হয়েছিলো, সবিস্তারে না বললে হবে না। একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য শুট হচ্ছিলো, শিল্পী বলতে তিন জন, মিসেস সেন, অসিতবরণ আর এক বছর বয়সি একটি শিশু শিল্পী। শিশুটিকে কোলে নিয়ে মিসেস সেনকে অভিনয় করে যেতে হবে, বেশিরভাগ ডায়লগ তাঁর, মাঝে মধ্যে অসিতবরণের সংলাপ। মহড়ার সময় বোঝা গেলো বিষয়টা এতো সহজ হচ্ছে না, কারণ মিসেস সেনের কোলের বাচ্চাটি এত আলো লোকজন দেখে ঘাবড়ে গেছে, তাকে সামলে সঠিক পরিমিত অভিনয় করা, চোখে জল চিক চিক করবে, তবে জল বাইরে আসবে না। তাহলেই আবার প্রথম থেকে করতে হবে। মিসেস সেন বললেন, তিনি একটু মনিটর দেখে নেবেন, সব ঠিক থাকলে ফাইনাল টেক। কয়েকবার মনিটর করার পর যখন মনে হলো সব ঠিক, তখন ফাইনাল শট এর জন্য ক্যামেরা শুরু হলো। তবে ঝামেলা হল বাচ্চাটিকে নিয়ে, আর ধৈর্য্যের পরীক্ষা শুরু হলো মিসেস সেনের জন্য। টেকের পর টেক হতে থাকলো, এমন ইমোশনাল সিন, সুচিত্রা সেনের জন্য বেশ কষ্টকর হতে শুরু হলো। অবশেষে যখন সব ঠিক চলছিলো, তখন সুচিত্রা সেন নিজের সংলাপ একটু নিজের মতো করে বলেন, যেটা খুব স্বাভাবিক বিষয় শুটিংয়ের। তবে অভিনেতা অসিতবরণ বিষয়টা বুঝতে না পেরে থমকে যান। সঙ্গে সঙ্গে আবার কাট। এবার ধৈর্য্য চ্যুতি হল মিসেস সেনের। তিনি একঘর লোকের মাঝেই বলে উঠলেন যে “এমন আর্টিস্টেদের সঙ্গে কাজ করা যায়? অসম্ভব!”।

এই ঘটনায় অভিনেতা অসিতবরণ মুখ নিচু করে দাঁড়ানো। অপমানে কালো হয়ে গেছে তাঁর মুখ। এই দৃশ্য দেখে আমার মাথাও গরম হয়ে গিয়ে বলে ফেললাম, "ওঁর সঙ্গে কাজ করা যায় কি না তা পরের কথা। যা ব্যবহার করলেন, আপনার মতো আর্টিস্ট এর সঙ্গেও কাজ করা যায় না।" যেই না বলা দপ্ করে জ্বলে উঠলো মিসেস সেনের চোখ। পৌরাণিক যুগ হলে হয়তো তৎক্ষণাৎ ভস্ম হয়ে যেতাম। এক সেকেন্ড আর অপেক্ষা না করে তিনি সেট থেকে বেড়িয়ে সোজা মেকআপ রুমে। আমি বুঝলাম ভয়ঙ্কর একটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছি। এই ছবি আর হবে না। অনেকক্ষণ আমি সেটের মধ্যেই বসে থাকলাম। সব আলো নিভে গেছে। এমন সময় ইলকট্রিশিয়ান পাহাড় সিং জানিয়ে দিল ব্রেক ফর লাঞ্চ।

ইউনিট এর অনেকে এসে বললেন, মিসেস সেন গুম হয়ে বসে আছেন, তাঁকে গিয়ে সরি বলে মিটমাট করে নিতে। আমি ভেবে দেখলাম, এই ছবি থেকে আমার সরে যাওয়াই ভালো , অন্য পরিচালক কাজ করে ফেলবেন। এর পর নিশ্চিত আমার সঙ্গে সুচিত্রা সেন কাজ করবেন না। কিছু সময় পর যা ঘটলো, তা আমার কল্পনার বাইরে, শুটিং ফ্লোরে আমি বসে চা বিস্কুট খাচ্ছি। দেখলাম কয়েক জন ফ্লোরে আসছে, সামনে মিসেস সেন। আমি ভাবলাম আবার কিছু কড়া কথা শোনাতে আসছেন। তবে আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন মিসেস সেন। আমিও উঠে দাঁড়ালাম। উনি আমার হাত ধরে বললেন, ”প্লিজ একটু কালোদা (অসিতবরণ) কে ডাকুন। আমি সবার সামনে ক্ষমা চেয়ে নেবো”। আমি শুধু অবাক নয় অভিভূত হয়ে গেলাম। এর পর কালো দাকে ডেকে পাঠানো হলো, মিসেস সেন ক্ষমা চাইতেই হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন অসিতবরণ, যাকে আমরা সকলে কালো দা বলেই ডাকি। আবার শুটিং শুরু হয়ে গেলো।

আসলে সিনেমার সংলাপ, চরিত্র, দর্শকদের ভালোবাসায় ধীরে ধীরে প্রত্যেকের মধ্যে ইগো তৈরি হয়। তবে প্রকৃত শিল্পী যারা তাঁরা এই ইগো কাটিয়ে ওঠে। তাই তাঁরা তাদের কাজের মাধ্যমে অমর হয়ে থাকেন। সুচিত্রা সেন তেমনই এক শিল্পী তথা মানুষ।

তথ্য: সিনেমা পাড়া দিয়ে, তরুণ মজুমদার।

#সংগৃহীত

তিন বোন তিন কোটি দিলেন বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালকে©️আজকাল // 21/08/2025অসাধারণ মহৎ কাজ! মনুষ্যত্বের চরম বিকাশ না ঘটলে এত ...
21/08/2025

তিন বোন তিন কোটি দিলেন বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালকে
©️আজকাল // 21/08/2025

অসাধারণ মহৎ কাজ! মনুষ্যত্বের চরম বিকাশ না ঘটলে এত উদার হ‌ওয়া যায় না।
চুরি জোচ্চুরি লুটতরাজ ভণ্ডামি মিথ্যাচারে ভরা দেশে আপনারাই প্রকৃত আলোকবর্তিকা। শ্রদ্ধাবনত প্রণাম নেবেন দিদিরা।
#সংগৃহীত

সেই সময় স্মৃতিটুকু থাক ছবির শুট চলছে। আর সেই শুটেই বিচ্ছিরি কথা কাটাকাটি হয়েছিল সুচিত্রা সেনের সঙ্গে আমার, যে মহিলা আম...
21/08/2025

সেই সময় স্মৃতিটুকু থাক ছবির শুট চলছে। আর সেই শুটেই বিচ্ছিরি কথা কাটাকাটি হয়েছিল সুচিত্রা সেনের সঙ্গে আমার, যে মহিলা আমাকে পরিচালক হয়ে ওঠার জন্য এতো সাহায্য করেছেন তাঁর সঙ্গেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লাম।

ব্যাপারটা ঠিক যা হয়েছিলো, সবিস্তারে না বললে হবে না। একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য শুট হচ্ছিলো, শিল্পী বলতে তিন জন, মিসেস সেন, অসিতবরণ আর এক বছর বয়সি একটি শিশু শিল্পী। শিশুটিকে কোলে নিয়ে মিসেস সেনকে অভিনয় করে যেতে হবে, বেশিরভাগ ডায়লগ তাঁর, মাঝে মধ্যে অসিতবরণের সংলাপ।

মহড়ার সময় বোঝা গেলো বিষয়টা এতো সহজ হচ্ছে না, কারণ মিসেস সেনের কোলের বাচ্চাটি এত আলো লোকজন দেখে ঘাবড়ে গেছে, তাকে সামলে সঠিক পরিমিত অভিনয় করা, চোখে জল চিক চিক করবে, তবে জল বাইরে আসবে না। তাহলেই আবার প্রথম থেকে করতে হবে। মিসেস সেন বললেন, তিনি একটু মনিটর দেখে নেবেন, সব ঠিক থাকলে ফাইনাল টেক। কয়েকবার মনিটর করার পর যখন মনে হলো সব ঠিক, তখন ফাইনাল শট এর জন্য ক্যামেরা শুরু হলো। তবে ঝামেলা হল বাচ্চাটিকে নিয়ে, আর ধৈর্য্যের পরীক্ষা শুরু হলো মিসেস সেনের জন্য। টেকের পর টেক হতে থাকলো, এমন ইমোশনাল সিন, সুচিত্রা সেনের জন্য বেশ কষ্টকর হতে শুরু হলো। অবশেষে যখন সব ঠিক চলছিলো, তখন সুচিত্রা সেন নিজের সংলাপ একটু নিজের মতো করে বলেন, যেটা খুব স্বাভাবিক বিষয় শুটিংয়ের। তবে অভিনেতা অসিতবরণ বিষয়টা বুঝতে না পেরে থমকে যান। সঙ্গে সঙ্গে আবার কাট। এবার ধৈর্য্য চ্যুতি হল মিসেস সেনের। তিনি একঘর লোকের মাঝেই বলে উঠলেন যে “এমন আর্টিস্টেদের সঙ্গে কাজ করা যায়? অসম্ভব!”।

এই ঘটনায় অভিনেতা অসিতবরণ মুখ নীচু করে দাঁড়ানো। অপমানে কালো হয়ে গেছে তাঁর মুখ। এই দৃশ্য দেখে আমার মাথাও গরম হয়ে গিয়ে বলে ফেললাম, "ওঁর সঙ্গে কাজ করা যায় কি না তা পরের কথা। যা ব্যবহার করলেন, আপনার মতো আর্টিস্ট এর সঙ্গেও কাজ করা যায় না।" যেই না বলা দপ্ করে জ্বলে উঠলো মিসেস সেনের চোখ। পৌরাণিক যুগ হলে হয়তো তৎক্ষণাৎ ভস্ম হয়ে যেতাম। এক সেকেন্ড আর অপেক্ষা না করে তিনি সেট থেকে বেড়িয়ে সোজা মেকআপ রুমে। আমি বুঝলাম ভয়ঙ্কর একটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছি। এই ছবি আর হবে না। অনেকক্ষণ আমি সেটের মধ্যেই বসে থাকলাম। সব আলো নিভে গেছে। এমন সময় ইলকট্রিশিয়ান পাহাড় সিং জানিয়ে দিল ব্রেক ফর লাঞ্চ।

ইউনিট এর অনেকে এসে বললেন, মিসেস সেন গুম হয়ে বসে আছেন, তাঁকে গিয়ে সরি বলে মিটমাট করে নিতে। আমি ভেবে দেখলাম, এই ছবি থেকে আমার সরে যাওয়াই ভালো , অন্য পরিচালক কাজ করে ফেলবেন। এর পর নিশ্চিত আমার সঙ্গে সুচিত্রা সেন কাজ করবেন না। কিছু সময় পর যা ঘটলো, তা আমার কল্পনার বাইরে, শুটিং ফ্লোরে আমি বসে চা বিস্কুট খাচ্ছি। দেখলাম কয়েক জন ফ্লোরে আসছে, সামনে মিসেস সেন। আমি ভাবলাম আবার কিছু কড়া কথা শোনাতে আসছেন। তবে আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন মিসেস সেন। আমিও উঠে দাঁড়ালাম। উনি আমার হাত ধরে বললেন, ”প্লিজ একটু কালোদা (অসিতবরণ) কে ডাকুন। আমি সবার সামনে ক্ষমা চেয়ে নেবো”। আমি শুধু অবাক নয় অভিভূত হয়ে গেলাম। এর পর কালো দাকে ডেকে পাঠানো হলো, মিসেস সেন ক্ষমা চাইতেই হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন অসিতবরণ, যাকে আমরা সকলে কালো দা বলেই ডাকি। আবার শুটিং শুরু হয়ে গেলো।

- - সিনেমাপাড়া দিয়ে (তরুণ মজুমদার)
#সংগৃহীত

=======
এইরকমই অজস্র মণি মাণিক‍্যে পরিপূর্ণ শ্রী তরুণ মজুমদার এর বই সিনেমাপাড়া দিয়ে। বিভিন্ন বিখ্যাত সিনেমা র শ‍্যুটিং এর ঘটনা থেকে শুরু করে ,বিখ্যাত সব অভিনেতা,অভিনেত্রী, পরিচালক , সুরকার,গীতিকার, প্রযোজক এঁদের বিভিন্ন ব‍্যক্তিগত মূহুর্ত যেন সামনে থেকে দেখতে পেলাম, বইটি পড়তে গিয়ে। অবশ্যই সংগ্রহে রাখুন তরুণ মজুমদারের "সিনেমাপাড়া দিয়ে"

শুভ সকাল ❤️
21/08/2025

শুভ সকাল ❤️

ভগবান ডেকেছেন?? 🙏❤️শুভ সন্ধ্যা ❤️
20/08/2025

ভগবান ডেকেছেন?? 🙏❤️
শুভ সন্ধ্যা ❤️

হীরক দেশের রাজা। স্বৈরশাসক, কৌতুকপ্রবণ, উৎপীড়ক। এমন একটি জটিল চরিত্রে উৎপল দত্ত ছাড়া আর কাউকে কি ভাবা যায়? সত্যজিৎ রায় অ...
20/08/2025

হীরক দেশের রাজা। স্বৈরশাসক, কৌতুকপ্রবণ, উৎপীড়ক। এমন একটি জটিল চরিত্রে উৎপল দত্ত ছাড়া আর কাউকে কি ভাবা যায়? সত্যজিৎ রায় অন্তত আর কাউকে ভাবতে পারেননি।

কারণ উৎপল দত্তের মতো জবরদস্ত অভিনেতা বাংলা চলচ্চিত্রের ভুবনে সে সময় আর তেমন কেউ ছিলেন না। ‘হীরক রাজার দেশে’র রাজা, ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’এর মগনলাল মেঘরাজ, ‘আগন্তুক’ এর মনোমোহন মিত্র, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’র হোসেন মিয়া, ‘অমানুষ’ এর মহিম ঘোষাল, ‘দো আনজানে’র চিত্র পরিচালক, ‘জনঅরণ্যে’র বিশুদা এমনি কত চরিত্রেই না অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি।

বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে যেমন ছিলেন অপরিহার্য তেমনি তিনি ছিলেন মঞ্চের শক্তিমান অভিনেতা, নির্দেশক, নাট্যকার।

উৎপল দত্তর জন্ম ১৯২৯ সালের ২৯ মার্চ বরিশালে। মৃত্যু ১৯৯৩ সালের ১৯ অগাস্ট কলকাতায়। শিলংয়ে তার শৈশব কেটেছে। পরবর্তীতে লেখাপড়া করেছেন কলকাতায়। সেন্ট জেভিয়ার্সের মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি।

ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ছিলেন। সে সময়ই শেক্সপিয়রের সৃষ্টিকর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। ইংরেজি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমেই তার অভিনয়জীবন শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘দ্য শেক্সপিয়ারিয়ান্স’ নাট্যদল। এ দলের প্রথম প্রযোজনা ছিল ‘রিচার্ড থার্ড’। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন উৎপল দত্ত। তার অভিনয় দেখে শিল্পী দম্পতি জিওফ্রি কেন্ডাল এবং লরা কেন্ডাল মুগ্ধ হন। একসঙ্গে তারা নাট্যদল নিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রদশর্ন করেন শেক্সপিয়রের বিভিন্ন নাটক। ‘ওথেলো’সহ বিভিন্ন নাটকে তার অভিনয় সর্বভারতীয় খ্যাতি এনে দেয়।

দেশবিভাগের পর এই দম্পতি ভারত ছেড়ে গেলে উৎপল দত্ত তার নাট্যদলের নাম রাখেন ‘লিটল থিয়েটার গ্রুপ’।এই দল শেক্সপিয়রের নাটকের পাশাপাশি ইবসেন, বার্নার্ড শ, রবীন্দ্রনাথ, কনস্তানতিন সিমোনভ, ব্রেশ্ট, গোর্কির নাটক মঞ্চায়ন করে। পরবর্তিতে নাট্যদলটি বাংলা নাটকের দিকে ঝোঁকে। উৎপল দত্ত শেক্সপিয়র ও ব্রেশ্টের অনেক নাটক বাংলায় অনুবাদ করেন। অবশ্য এর পাশাপাশি তিনি পেশাদারী মঞ্চেও অভিনয় করতেন। তিনি মিনার্ভাতে অভিনয় করতেন। পরবর্তীতে পেশাদারী মঞ্চ ছেড়ে গণনাট্য, পথনাটক, যাত্রা, গ্রাম থিয়েটার ও শিল্প ধারার চলচ্চিত্রে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করেন।

আজীবন বামপন্থী ও মার্কসবাদী উৎপল দত্ত গণনাট্য সংঘের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পঞ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে নাটক প্রদর্শনে অংশ নেন। শুধু অভিনেতা হিসেবেই নয় নির্দেশক ও নাট্যকার হিসেবেও তিনি ছিলেন অনবদ্য। তার লেখা সফল মঞ্চ নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘অঙ্গার’, ‘ফেরারী ফৌজ’, ‘মে দিবস’, ‘মানুষের অধিকার’, ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’, ‘মাও সে তুং’, ‘পুরুষোত্তম’, ‘পাণ্ডবের অজ্ঞাতবাস’, ‘অজেয় ভিয়েতনাম’, ‘লাল দুর্গ’, ‘মহাবিদ্রোহ’, ‘সূর্য শিকার’,‘কল্লোল’ ‘জনতার আফিম’,‘রক্তাক্ত ইন্দোনেশিয়া’ ‘টিনের তলোয়ার’‘লেনিন কোথায়’, ‘তিতুমির’ ‘আজকের শাহজাহান’, ইত্যাদি। নাটকের মধ্যে মূলত তিনি সাম্যবাদী আদর্শ তুলে ধরেন এবং গণবিপ্লবের জন্য প্রেরণা সৃষ্টি করেন। তিনি ‘ব্রেশ্ট সোসাইটি’ গঠন করেন। বিখ্যাত অনেক বিদেশি নাটক বাংলায় রূপান্তর করেন। পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের দশকে তিনি ছিলেন পশ্চিম বাংলার গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।

মঞ্চের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করতে থাকেন তিনি। ১৯৫০ সালে ‘বিদ্যাসাগর’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার যাত্রা শুরু হয়। ‘মাইকেল মধুসূদন’ ছবিতে নাম ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে নিজের আসন পাকা করেন।
বাণিজ্যিক ছবিতে মূলত তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি পান। পাশাপাশি শিল্প ধারার ছবিতেও অভিনয় করেন। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পায় মৃণাল সেন পরিচালিত ‘ভুবন সোম’। এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। হিন্দি ছবিতে কমেডি চরিত্রে দারুণ জনপ্রিয়তা পান উৎপল দত্ত। কমেডি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ‘গোলমাল’(১৯৮০), ‘নরম গরম’(১৯৮২) ও ‘রঙ বিরঙ্গি’(১৯৮৭) ছবির সুবাদে তিন বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। ‘সাহেব’(১৯৮৬) ছবিতে অভিনয়ের জন্য পার্শ্ব-চরিত্রে সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পান ফিল্মফেয়ার আসরে।

১৯৯৩ সালে সত্যজিৎ রায়ের 'আগন্তুক' ছবিতে অভিনয়ের জন্য পান বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সেরা অভিনেতার পুরস্কার। থিয়েটারে অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে সংগীত নাটক অ্যাকাডেমির ফেলোশিপ পান।

হিন্দি ও বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতেও তিনি ছিলেন দারুণ জনপ্রিয়। ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘আগমন’, ‘আনন্দ আশ্রম’, ‘অমানুষ’, ‘গুড্ডি’, ‘শৌখিন’, ‘বারসাত কি এক রাত’, ‘চৌরঙ্গি’, ‘শেষ অংক’, ‘ইনকিলাব’, ‘কিসিসে না কেহনা’, ‘হামারি বহু অলকা’, ‘প্রিয়তমা’, ‘আপনে পারায়ে’, ‘জুলি’, ‘দ্য গ্রেট গ্যাম্বলার’, ইত্যাদি অসংখ্য হিন্দি ও বাংলা ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন এই অভিনেতা। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘অবিচার’-এ খলচরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন তিনি। গৌতম ঘোষ পরিচজালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি' সিনেমাতেও তার অভিনয় স্মরণীয় হয়ে আছে। ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্ক আর গপ্পো’ , সত্যজিৎ রায়ের ‘জনঅরণ্য’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এ তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। আর ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবিতে হীরক রাজার ভূমিকায় তার অভিনয় বাংলা চলচ্চিত্রের সম্পদ।

‘সপ্তপদী’ ছবিতে 'ওথেলো' নাটকের দৃশ্যে উত্তম কুমার অভিনীত কৃষ্ণেন্দু চরিত্রের নেপথ্য কণ্ঠ ছিল উৎপল দত্তের। কারণ ‘ওথেলো’ নাটকে সে সময় তার বিকল্প অন্য কাউকে ভাবাই যেত না।

উৎপল দত্ত ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সমর্থক। তিনি উন্মুক্ত মঞ্চ ও পথ নাটক আন্দোলনের সক্রিয় উদ্যোক্তা ছিলেন। ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিদ্রোহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি ‘কল্লোল’ নামে নাটক লেখেন। নাটকটির মাধ্যমে গণবিদ্রোহকে উৎসাহিত করা হচ্ছে এই অভিযোগে কংগ্রেস সরকারের কোপানলে পড়ে তাকে জেলে যেতে হয় ১৯৬৫ সালে। বেশ কয়েক মাসের কারাবাস হয় তার। কারাবন্দী অবস্থাতেও নাটক লেখা চালিয়ে যান তিনি।

নাটককে গণমুখী করার জন্য তিনি পথনাটক শুরু করেন। যাত্রাপালার নব জাগরণ আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। গণ সচেতনতামূলক অনেক যাত্রাপালা লেখেন তিনি এবং এসব পালায় অভিনয় করেন। পঞ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রামে তিনি গণ জাগরণমূলক যাত্রাপালা ও নাটকে অভিনয় করেন, নির্দেশনা দেন।

বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেন তিনি। তার পরিচালিত সিনেমার মধ্যে ‘মেঘ’(১৯৬১), ‘ঘুম ভাঙার গান’(১৯৬৫), ‘ঝড়’ (১৯৭৯), ‘বৈশাখী মেঘ’(১৯৮১), ‘ইনকিলাব কি বাদ’(১৯৮৪) উল্লেখযোগ্য।

১৯৯৩ সালের ১৯ অগাস্ট ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে মাত্র ৬৪ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তার।

উৎপল দত্ত উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের ও মঞ্চের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন তার কালজয়ী সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে।

#সংগৃহীত

মুশকিল হয়েছিল, শ্মশানে তাঁর পাদুটো কিছুতেই পুড়ছিল না!তিনি হলেন আটচল্লিশ ইঞ্চি ছাতিওয়ালা ফুটবলার গোষ্ঠ পাল।খালি পায়ে ফুটব...
20/08/2025

মুশকিল হয়েছিল, শ্মশানে তাঁর পাদুটো কিছুতেই পুড়ছিল না!
তিনি হলেন আটচল্লিশ ইঞ্চি ছাতিওয়ালা ফুটবলার গোষ্ঠ পাল।
খালি পায়ে ফুটবল খেলতেন।
অপর দিকে ইংরেজ খেলোয়াড়রা খেলত বুট পরে।
ইংরেজ খেলোয়াড়রা গোষ্ঠ পালের দুর্ভেদ্য চীনের প্রাচীর, কিছুতেই ভেদ করতে পারত না।
লাথি মেরে বল উড়িয়ে দিত গোষ্ঠ পাল ইংরেজদের দিকে।
শোনা যায়,ছোটবেলায় স্বামী বিবেকানন্দের বাণী পড়ে ফুটবল খেলার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।
স্বামীজি বলেছিলেন,
গীতা পাঠের চেয়ে ফুটবল খেলা ভাল।
তাই গোষ্ঠ পালের মনে হল বলে লাথি মেরে ইংরেজের পদাঘাতের জবাব দিতে হবে।
এভাবেই গোষ্ঠ পালের ফুটবলে মিশে গিয়েছিল ফুটবল আর দেশপ্রেম।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা অতুল্য ঘোষ একসময় বলেছিলেন যে,
গোষ্ঠ পাল স্বাধীনতা সংগ্রাম না করেই একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম আলাপে সস্নেহে বলেছিলেন,
তুমিই তাহলে চীনের প্রাচীর গোষ্ঠ পাল!
১৯৬২ সালে ভারতবর্ষে তিনিই ফুটবলে প্রথম পদ্মশ্রী সম্মান লাভ করেন।
তিনি ছিলেন একজন মনেপ্রাণে বাঙালি।
রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির আপ্তসহায়ক নির্দেশ পাঠালেন, গোষ্ঠ পাল যেন গলাবন্ধ কোট পরে আসেন।
গোষ্ঠ পাল জানিয়ে দিলেন তিনি কোট পরবেন না।
ধুতি পাঞ্জাবী পরে পুরস্কার নেবেন।
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে গোষ্ঠ পালের কথাই মেনে নেওয়া হল।
এই হলেন গোষ্ঠ পাল!
গোষ্ঠ পাল মারা যাওয়ার পর শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হল।
আগুনে মৃতদেহের সব পুড়ে গেল।
কিন্তু আগুনে গোষ্ঠ পালের পা দুটো কিছুতেই পুড়ছে না দেখে গোষ্ঠ পালের ছেলে শৌরীশ পাল নিমতলা শ্মশানে উপস্থিত ফুটবলার শৈলেন মান্নাকে বললেন, বাবার পা দুটো পুড়ছে না কেন?
শৈলেন মান্না তখন বলে উঠলেন, গোষ্ঠদার পা যে " সোনার পা।"
অত সহজে কি পোড়ে?
বিখ্যাত ফুটবলার গোষ্ঠ পালের ( ১৮৯৬ - ১৯৭৬) আজ জন্মদিন ।
জন্মদিনে তাঁর প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা রইল।
© পীযূষ দত্ত
#সংগৃহীত
তথ্যসূত্রঃ
গোষ্ঠ পালের জীবন নিয়ে নানা লেখা ও পত্রিকার প্রতিবেদন।
এর ওপর ভিত্তি করে আমার এই লেখা।

=================
১৯৮৬ তে প্রথম প্রকাশ হয়েছিল সুরজিৎ সেনগুপ্তের আত্মজীবনী 'ব্যাক সেন্টার'। কলকাতার কোনও প্রধান ক্লাবে সুরজিৎ সেনগুপ্ত শেষ খেলেছেন ১৯৮৩ সালে। ‘ব্যাক সেন্টার' ফুটবলার সুরজিতের কথা বলে। দেশভাগের টাটকা ক্ষততে প্রলেপ লাগিয়েছে যে নবজাতকের কান্না, তিনি যদি পশ্চিমবঙ্গে জন্মে থাকেন, তাহলে তিনি বড় হয়েছেন প্রায় সুরজিতের সঙ্গে, হয়তো সুরজিতের খেলা দেখতে দেখতে, বা রেডিওতে তার ধারাবিবরণী শুনে। তাঁর বড় হওয়ার রাস্তায় ছিল মুক্তিযুদ্ধ, তেভাগা, গণনাট্য আন্দোলন, পঞ্চাশ-ষাট দশকের বাংলা গান, উত্তমকুমার-সৌমিত্র, সত্যজিৎ-ঋত্বিক, বামফ্রন্টের ক্ষমতাপ্রাপ্তি, নকশাল আন্দোলন...। আর ছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। সেই সময়ের চাকরিসন্ধানী তরুণ, ছেলেকে কাঁধে চড়িয়ে রামপার্টে দাঁড়ানো রিফিউজি বাবা, গ্যালারির বিক্রিবাটা দিয়ে সংসার চালানো লেবু-লজেন্স মাসি, ছেলেকে দাহ করে সোজা শ্মশান থেকে মাঠে আসা প্রৌঢ় সকলকেই কলকাতার ফুটবল অনেক কিছু তুলতে, অথবা মনে করতে সাহায্য করত। 'ব্যাক সেন্টার' সেই সময়ের দলিল।

========================
পিকে ছিলেন ভারতের অলিম্পিক ফুটবল দলের অধিনায়ক, ৬২ র এশিয়াড জয়ী দলের অন্যতম সদস্য এবং শেষবারের মত দেশকে এশিয়াড পদক এনে দেওয়া কোচ। এছাড়া কলকাতার ক্লাব ফুটবলের সফলতম প্রশিক্ষক তো বটেই যাঁর গোটা জীবনটা ই একটা মোটিভেশন, ডিসিপ্লিন এবং ম্যানেজমেন্ট দিয়ে মোড়া।
পিকে ব্যানার্জি কে নিয়ে লেখা বই "গুরু"। বাংলার ফুটবলের অজানা কাহিনী জানতে আপনাকে পড়তেই হবে "গুরু" । বাংলার ফুটবল নিয়ে এরকম বই খুব বিরল ।
আমাজন লিংক : https://amzn.to/3W8hsFv
===============================
ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাস জানতে অবশ্যই পড়ুন ইস্টবেঙ্গল : প্রথম একশো বছর । এই বই সংগ্রহে রাখার মত বই ।
আমাজন লিংক : https://amzn.to/3OKknAy
মোহনবাগানের ইতিহাস জানতে অবশ্যই পড়ুন মোহনবাগান : সবুজ ঘাসের মেরুন গল্প । এই বই সংগ্রহে রাখার মত বই ।

=================

ইস্টবেঙ্গল শুধু একটা ক্লাবের নাম নয়, ইস্টবেঙ্গল শুধুমাত্র সাফল্যের নাম নয়, ইস্টবেঙ্গল কেবলমাত্র একটা জাতির ইতিহাস নয়। ইস্টবেঙ্গল এক চিরাচরিত ধ্রুব সত্য। ইস্টবেঙ্গল একটা সভ্যতা, ইস্টবেঙ্গল হাজার প্রতিকূলতার মধ্যে বেঁচে থাকার কারণ, ইস্টবেঙ্গল একটা ইনস্টিটিউশন। সংঘর্ষ, প্রতিকূলতা, অপমান-লাঞ্ছনা আর ব্যর্থতার দাগ মুছতে মুছতে সাফল্যের সোনালি ডানায় উড়াল দিয়ে ভারতীয় ফুটবলের ‘বেঞ্চমার্ক’ হয়ে ওঠার রূপকথার নামই ইস্টবেঙ্গল। শতাব্দীপ্রাচীন এই ক্লাবের সমর্থকরা আজও ‘ছিন্নমূল উদ্‌বাস্তু’ তকমায় গর্বিত হয়। পিঠের চামড়ায় লেগে থাকা কাঁটাতারের দাগের যন্ত্রণা প্রশমিত হয় বিপক্ষের জালে চামড়ার গোলক জড়িয়ে দেওয়ার আদিম উল্লাসে। শতাব্দীপ্রাচীন এই ক্লাবের আবেগ, উচ্ছ্বাস, ভালোবাসা, অপমান, ব্যর্থতা-সাফল্যের গল্পগাছা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ময়দানের আনাচে-কানাচে, খবরের কাগজের পুরোনো এডিশনে, স্মৃতির পাতায়, বাস্তবের রুক্ষতায়, আগামীর স্বপ্নে। ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাস এতটাই বিস্তৃত যে তা একটামাত্র বইতে লিখে ফেলা কার্যত অসম্ভব। তবুও নিরলস প্রচেষ্টায়, সাংবাদিক জীবনের অভিজ্ঞতায় না-জানা, অজানা, স্বল্প-জানা সেই সব গল্পগাছা একত্রিত করে বিশিষ্ট সাংবাদিক অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায় লিখে ফেলেছেন 'লাল-হলুদের ডায়েরি

Address

Baranagar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pritisha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Pritisha:

Share

Category