13/03/2023
বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন ১০ই মার্চ সময় চেয়েছিলাম। সেদিন পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল কমরেডদের উপর। আজ, ১৩ই মার্চ, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ ও রাজ্য সরকারের শিক্ষামন্ত্রী এসএফআই'এর দাবিদাওয়া শুনতে বাধ্য হয়েছেন।
আমাদের চিঠি ও দাবিদাওয়া জনতার সামনে প্রকাশ করলাম।
★ সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা অধিবেশনে শিক্ষা বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়নি। দুর্নীতিতে নিমজ্জিত রাজ্যের ভেঙে পড়া শিক্ষাব্যবস্থা মেরামতের উদ্দেশে বিশেষ বিশানসভা অধিবেশন ডাকতে হবে।
★ সরকারি স্কুল বন্ধ করা চলবে না, ড্রপ আউট রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। সামগ্রিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যয়বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
★ বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রের সাম্প্রদায়িকীকরণ রোধে অবিলম্বে বিকল্প শিক্ষানীতি রূপায়ণ করতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।
★ অবিলম্বে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলিতে স্বচ্ছ ছাত্রসংসদ নির্বাচন করাতে হবে। ছাত্রভোট যেন সকল ছাত্রের অংশগ্রহণের গণতান্ত্রিক ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকেই।
আলোচনায় অধ্যক্ষ ও শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। কথা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, স্বচ্ছ ছাত্রভোট হবে। জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধ হবে না। কথা দিয়েছেন, ড্রপ আউট রোধে সরকার ব্যবস্থা নেবে৷ শিক্ষাখাতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রান্তিক এলাকার স্কুলগুলিকে রক্ষা করা, ছাত্রদের পরিবহন ভাড়ায় ছাড় - অনেক প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন। ছাত্রসমাজের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মনোভাব যাতে গড়ে না ওঠে, সেজন্য দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা অবশ্যপাঠ্য করার চেষ্টা করবেন জানিয়েছেন৷
ল্যাম্পপোস্ট পোস্টের গ্রিন সিগন্যাল পাবেন, নাকি বিধানসভার পাশে বয়ে চলা গঙ্গা দিয়ে ভেসে যাবে প্রতিশ্রুতির দঙ্গল, তা সময় বলবে।
আমরা সবিনয়ে বলে এসেছি, ছাত্রদের দাবিদাওয়া পূরণ না হলে -
আন্দোলন তীব্রতর আকার ধারণ করবে।