06/09/2025
আল্লাহর রহমতে আনন্দ করা বৈধ: “বলুন, আল্লাহর ফজল ও রহমতে—এই নিয়েই আনন্দ করুক” (ইউনূস 10:58)। নবী ﷺ-ই তো “রহমতুল্লিল-আলামীনের” (আম্বিয়া 21:107) শ্রেষ্ঠ নেয়ামত—তাঁর মিলাদে শোকরানা/আনন্দ তাই যৌক্তিক।
জন্মদিনের দিন স্মরণ কুরআনে ইতিবাচক: ঈসা (আ.) বলেন, “যেদিন আমি জন্মেছি, সেদিন শান্তি” (মারইয়াম 19:33)। বরকতময় জন্ম-দিবস স্মরণ নিন্দিত নয়।
নবী ﷺ নিজেই জন্মদিন চিহ্নিত করেছেন: সোমবার রোজা রাখতেন—“এদিনে আমি জন্মেছি” (সহিহ মুসলিম, হাদিস 1162)। অর্থাৎ জন্ম-নিয়ামতে ইবাদতের মাধ্যমে শোকর।
আল্লাহর “দিনসমূহ” স্মরণ: “তাদেরকে আল্লাহর দিনগুলোর কথা স্মরণ করাও” (ইবরাহিম 14:5); আর নবী প্রেরণ মহান অনুগ্রহ (আলে ইমরান 3:164)। মিলাদে সীরাত, সালাতুল-নবী, দান—সবই এই নীতির অন্তর্ভুক্ত।
ফুকাহা ও মুহাদ্দিসদের অনুমোদন: ইমাম সুয়ূতী — حسن المقصد في عمل المولد; ইবনু হাজর আল-আসকালানীও উৎসাহিত করেছেন—শর্ত: হারাম-মুক্ত হলে (গুনাহ, অপচয়, মিক্সডনেস, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি বর্জন) — এটিকে বিদআ’হ হাসানা বলেছেন (ইয্য ইবনু আব্দুস সালাম—বিদআতের বিভাগ
নিজের সেলফ-সেন্টার্ড “বার্থডে পার্টি”কে হারাম বলেও নবীর মিলাদকে প্রশ্ন করা তুলনাই অসংগত। নবীর মিলাদ শিরক/হারাম নয়; বরং কুরআন-সুন্নাহর সাধারণ কায়দায় জায়েয ও মুস্তাহাব—যদি তা ইলম, সীরাত, দরুদ ও সাদাকায় সীমিত থাকে। ✅