https://www.facebook.com/105764385703588/

Anju Biswas shorts, Bhadreswar (2025)

03/07/2025

অর্পিতা ডাক দেয়
মা রান্না হয়ে গেছে খাবেন চলে আসুন,
হ্যাঁ বৌমা আসছি,
তারপর অর্পিতা মাছের ঝোল ,পটল ভাজা এবং ঢেঁড়সের ঝাল দিয়ে গৌরী দেবীকে খেতে দেন।
গৌরী দেবী খেতে বসেই বলেন
আমি মাছ খাব না বৌমা,
তুমি মাছটা তুলে নাও,
তুমি কী ডাল করেছ?
মাছের ঝোল করেছি মা
আবার কেন ডাল করতে যাব?
না মানে আজকাল আমার একদম মাছ খেতে ভালো লাগেনা,
তাই বলছিলাম যদি একটু ডাল হত...
ঠিক আছে আমি পটল ভাজা আর ঢেঁড়সের ঝাল দিয়ে খেয়ে নিচ্ছি ।
হ্যাঁ তাই খান, রোজ রোজ দশ জনের দশ রকম রান্না করতে আমি পারবো না ।
আসলে সত্যি সত্যি অর্পিতা একা হাতে সংসারটাকে সামলাচ্ছে এবং সবার জন্য প্রচুর করে।
তাই....
বৌমার মুখে এমন কথা শুনে গৌরী দেবী আর কিছু না বলে ঢেঁড়সের ঝাল এবং পটল ভাজা দিয়ে দুপুরের ভাত খেয়ে নিলেন।

আসলে গৌরী দেবীর বয়স হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন, এখন সঙ্গী বলতে ওই একটা ফোন।
ফোনে ছবি দেখেন ,গল্প পড়েন, গান শুনেন
উনার ভাই ছাড়া উনাকে তেমন কেউ ফোনও করেন না।

গৌরী দেবীর ছোট্ট একটা নাতি আছে।
কিন্তু নাতির সঙ্গে সেভাবে সময় কাটাতে পারেন না
নাতির পড়াশুনো, ছবি আঁকা, ব্যায়াম
এইসব নিয়ে নাতি ব্যস্ত থাকে,
তার মধ্যে যতটুকু সময় পায় ঠাম্মির সঙ্গে গল্প করে।

এইভাবে গৌরী দেবীর দিন কাটছিল।

হঠাৎ একদিন গৌরী দেবীর ফোনে একটা ফোন আসে,
হ্যালো.... কে?
গৌরী বলছিস?
হ্যাঁ বলছি
তুমি কে?
তুই আমাকে চিনতে পারবি না, আমি মিতা বলছি।
মিতা?
কে মিতা?

গোকুলপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের
ক্লাস নাইন, রোল নাম্বার ৫, আমি সেই মিতা কথা বলছি
এবার চিনতে পেরেছিস?

মিতা...... তুই...
এতদিন পর
ফোন নাম্বার কোথায় পেলি?
আমি গত পরশু বাবার বাড়ি গেছিলাম, তোর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তোর ভাইয়ের কাছ থেকেই নাম্বারটা নিয়েছি।
ও আচ্ছা।

তারপর বল কেমন আছিস?
সেই তোর বিয়ে হয়ে গেল,
তারপর আর তোর সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই।

আমি ভালো আছি,
তুই কেমন আছিস বল?
আর তোর সংসার কেমন চলছে?

তখন গৌরী দেবী বলেন
আমার বড় সুখের সংসার, আমার এক ছেলে
ছেলেকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি , ছেলের ঘরে একটা নাতি ও আছে।

আর তোর?
আমার এক ছেলে ,এক মেয়ে
দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে
দুজনের ঘরে নাতি নাতনী , সবাইকে নিয়ে আমিও বড় সুখে আছি ভরা সংসার আমার।

দেখ সময় কত প্রবাহমান
বলতে বলতে আমরাও বুড়ো হয়ে গেলাম,
মনে পড়ছে সেই স্কুল বেলার কথা
এক সঙ্গে স্কুলে যাওয়া, টিফিনে একসঙ্গে খাওয়া।
বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফেরা,

হ্যাঁরে, খুব মনে পড়ে...

মিতা দেবী তখন বলেন
খুব মনে পড়ে রে , তোদের বাড়িতে গিয়েছিলাম
কাকু পুকুরে একটা কত বড় মাছ ধরেছিল,
আর কাকিমা কি দারুন রান্না করেছিল,
এখনো যেন মুখে লেগে আছে।
তারপর ওই দিন তো রাতে থেকেও গেলাম....

সত্যিই রে খুব মনে পড়ে ওই দিনগুলোর কথা....

তারপর গৌরী দেবী এবং মিতা দেবী দুজন দুজনের সঙ্গে দেখাও করলেন,গল্প করলেন অনেকক্ষণ ।
আসলে
মিতা দেবী এবং গৌরী দেবী
তাদের পুরনো বন্ধুত্বকে আবার জাগিয়ে তুললেন....

আপনাদের জীবনেও কি এরকম কোনো বন্ধু আছে?
থাকলে অবশ্যই জানাবেন 🙏🏼

✍️কলমে - সুষমা বাগ প্রধান
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
ছবি : সংগৃহীত
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿

03/07/2025

আদির বয়স চার বছর,
আদির মা নেই, আদি যখন দু বছরের ছিল
তখন আদির মা মারা যায়,
তখন থেকেই আদিকে সামলাচ্ছে আদির বাবা রঞ্জন বাবু ।
রঞ্জন বাবু পেশায় একজন ডেলিভারি বয়।
দু'বছর রঞ্জন বাবু আদিকে পাড়ার এক কাকিমার কাছে রেখে কাজে বেরোতেন, কিন্তু এখন আদি বড় হয়েছে
দুষ্টুমি করে খুব, তাই রঞ্জন বাবুর কাকিমা আর সামলাতে পারেন না।
রঞ্জন বাবু এখন আদিকের সঙ্গে করে নিয়েই ডেলিভারি করতে বেরিয়ে যান।
রঞ্জন বাবুকে অনেকে বুঝিয়েছিলেন দ্বিতীয়বার বিয়ে করার জন্য ।

রঞ্জন বাবু তখন বলেন
মন থেকে ভালোবাসা একবারই হয়।
আর সেটা ছিল আমার স্ত্রী, আমি তাকে ছাড়া আমার এ মনে আর কাউকে জায়গা দিতে পারব না।

তার অংশ আমার এই ছেলে, একে নিয়েই আমি আমার জীবন পার করে দেব।

রঞ্জন বাবু, বাইকের পেছনে একটা চেয়ার কে ভালো করে বেঁধেছেন, আর ওই চেয়ারে আদিকে বসিয়ে ভালো করে বেল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন, যাতে করে আদি কোন সময় পড়ে না যেতে পারে। আদি যদি কোন সময় ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে পড়ার আর ভয় থাকে না।

এইভাবে এ রঞ্জন বাবু নিজের ছেলেকে বড় করতে লাগলেন।

সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যার সময় বাড়ি ফিরেন
রঞ্জন বাবু, একা হাতে রান্না করেন
তারপর ওবাবা আর ছেলে মিলে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

কিছুদিন পর...

রঞ্জন বাবু আদিকে একটা মস্ত বড় স্কুলে ভর্তি করলেন,
যেখানেই খুব বড় বাড়ির ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করে।
দেখতে গেলে আদি বোধ হয় সবথেকে গরীব বাড়ির ছেলে ছিল।
আদি গরীব বাড়ির ছেলে ছিল বলে অনেকে আদির সঙ্গে সেভাবে মিশতো না।

তারপরেও আদির দুজন ভালো বন্ধু হয়েছিল
একজন ছিল মনীষা আর আরেকজন ছিল গৌরব
এই দুজন বন্ধু আদিকে খুব ভালোবাসতো।
কারণ আদি ছিল খুব সহজ সরল সাদামাটা একটা ছেলে।

আর এদিকে রঞ্জন বাবু, ছেলেকে দামি স্কুলে ভর্তি করেছেন বলে, আরো বেশি বেশি করে কাজ করতে লাগলেন যাতে
ছেলের কোন কষ্ট না হয়।
মা মরা ছেলে বলে কথা....

দেখতে দেখতে আদি কলেজ পাস করল
লেখাপড়ায় আদি এত ভালো ছিল যে
খুব সহজে একটা পোস্ট অফিসে কাজ জোগাড় হয়ে যায় ।

এরপর আদি রঞ্জন বাবুকে বলে
বাবা তোমাকে আর বেশি বেশি কাজ করতে হবে না
আমি তো একটা কাজ পেয়েছি
তুমি এবার একটু বিশ্রাম নাও।

রঞ্জন বাবু তখন হেসে বলেন,
যেদিন তুমি একটা পাকাপাকি কাজে যুক্ত হবে,
সেদিন আমি আমার কাজ বন্ধ করব।

কিছুদিন যাওয়ার পর আদি পরীক্ষা দিয়ে ওই পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার হয়ে যায়...

আদি যেদিন পোস্টমাস্টার হওয়ার
appointment letter টা পেলো
সেদিন আদি প্রথমে তার বাবাকে এসে বলেছিল
বাবা দেখো আমি, চাকরিটা পেয়ে গেছি।
রঞ্জন বাবুর শুনে খুশিতে আত্ম হারা হয়ে গেছিলেন।
তখন আদি বললো
আমাকে দেওয়া তোমার কথা মনে আছে তো
কি কথা আদি?
কেন তুমি যে বলছিলে
আমি একটা পাকাপাকিভাবে ভালো কাজ পেলে তুমি আর কাজ করবে না।
ও আচ্ছা....
ও আচ্ছা নয় কাল থেকে তুমি আর কাজে যাবে না।
এখন থেকেই তুমি শুধু বিশ্রাম করবে,
তুমি আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছ বাবা, এখন তোমার শুধু আরাম করার সময়।
তুমি আমার বেস্ট বাবা..

তারপর আদি এবং রঞ্জন বাবু দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরলেন।

আসলে এই বৃদ্ধ বয়সে যদি সন্তানেরা এসে বলে
তুমি অনেক করেছো, এখন তোমার বিশ্রামের সময়।
এখন থেকে তুমি শুধু বিশ্রাম নেবে।
আমার মনে হয় এই কথাটা শোনার পর আর কোন মা বাবার কোন কষ্ট থাকার কথা নয়।

✍️কলমে - সুষমা বাগ প্রধান
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
ছবি : সংগৃহীত
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿

02/07/2025

মৃ*ত্যু/র/ পরও ব্যাংকে আপনার টাকা রয়ে যায়।
অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।

একজন চীনা বিত্তবান মারা গেলেন।
ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন।
সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বললেন,
এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি।
এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!

----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
লেখা সংগৃহীত
পাঠে: অঞ্জু বিশ্বাস
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿

#বাবা
#সত্য ঘটনা #প্রতিলিপি #

02/07/2025

খোকা আজ অনেকদিন হয়ে গেল
তোকে দেখি না, তোকে দেখার খুব ইচ্ছে হচ্ছে রে,
যেদিন তুই আমাকে এই বৃদ্ধাশ্রমে রেখে গেলি ,
বলেছিলি
মা, আমি প্রত্যেক মাসে এসে তোমার সঙ্গে দেখা করে
যাবো, কিন্তু আজ এক বছর হতে চলল কই তুই তো একবারও আসিস নি । তোর কি আমার কথা একবারও মনে পড়ে না ?
আমার খুব মনে পড়ে রে তোর কথা
মনে পড়ে তোর সেই ছোট্ট বেলার কথা ,
তুই আমাকে ছাড়া একদম থাকতে চাইতিস না ।
আমার এখনো মনে আছে ,
আমার কিছু একটা দরকার ছিল
তাই আমি তোকে তোর ঠাকুমার কাছে রেখে, একটু বাজারে গেছিলাম, তারপর বাড়ি ফিরে দেখি তুই আমাকে না দেখতে পেয়ে এত কান্না করছিস যে
কেউ সামলাতে পারছে না তোকে
পড়ার লোক পর্যন্ত জড়ো হয়ে গেছে।
আর তুই আমাকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে এসে
আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না জড়ানো গলায় বলেছিলি
তুমি কোথায় গেছিলে মা ?
তুমি জানো না তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারিনা ,
আর কোনদিন আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না ।
আমি সেদিন তোকে কথা দিয়েছিলাম
তোকে ছেড়ে কোনদিন কোথাও যাবো না ,
সেই থেকে আমি যেখানেই যেতাম তোকে নিয়ে যেতাম,
তোকে ছাড়া আমি কোথাও যাইনি ।
কিন্তু আজ....
এক বছর হয়ে গেল ,কি করে আছিস তুই আমাকে ছাড়া?
কেমন আছিস তুই খোকা?

বৃদ্ধাশ্রম থেকে আসা এই চিঠিটা পড়ছিলেন কৌশিক বাবু,
আসলে কৌশিক বাবুর মায়ের সঙ্গে স্ত্রীর সেভাবে বনিবনা না হওয়ায়
নিজের মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে এসেছিলেন।
কারণ স্ত্রী বাধ্য করেছিল মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার জন্য, মাকে বৃদ্ধাশ্রমে না রেখে এলে স্ত্রী নাকি থাকবে না তার কাছে,
কৌশিক বাবুর ছেলে তখন খুব ছোট ,
স্ত্রী বলেছিল মাকে যদি অন্য কোথাও না রেখে আসো তাহলে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে অন্য কোথাও চলে যাবো
তাই কৌশিক বাবু পুত্র স্নেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাননি, বাধ্য হয়ে নিজের মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে
এসেছিলেন । কথা ছিল প্রত্যেক মাসে দেখা করার কিন্তু নিজের কাজে এতটা ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে
মায়ের সঙ্গে দেখা আর করতে যাওয়া হয়নি।

এরপর কৌশিক বাবু কিছুদিন পর ঠিক করলেন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন আগামীকাল
কারণ অনেকদিন পর একটা দিন তিনি ছুটি পেয়েছেন ,তাই ভেবেছেন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বৃদ্ধাশ্রমে ।

কিন্তু নিয়তির খেলা ছিল যে অন্যরকম
ঐদিন রাতে বৃদ্ধাশ্রম থেকে খবর এলো কৌশিক বাবুর মা আর বেঁচে নেই, এই কথা শুনে কৌশিক বাবু বৃদ্ধাশ্রমে পৌঁছলেন
তারপর মায়ের শেষ কাজ সম্পূর্ণ করে বাড়ি ফিরে এলেন।

বাড়ি ফিরে স্ত্রী কে বললেন
শুধু তোমার জন্য আমি আমার মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখতে বাধ্য হয়েছিলাম, আর আজ দেখো আমি আমার মাকে ঠিক করে শেষ দেখাটাও দেখতে পেলাম না ।

তুমি কি ভাবছো এগুলো পাপ নয়?
এগুলো মস্ত বড় পাপ, এই পাপের ভাগ আমাদের সবাইকেই নিতে হবে, তুমি মিলিয়ে নিও

সত্যি সত্যি আজ ২৫ বছর পর কৌশিক বাবুও একটা বৃদ্ধাশ্রমে, কারণ ছেলে চাকরি পেয়ে বিদেশে চলে গেছে, স্ত্রী মারা গেছে, এই বৃদ্ধ মানুষকে দেখার কেউ নেই
তাই ছেলে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে গেছে বাবাকে....🥹🥹

আসলে উপরওয়ালার বিচারে কোন সময় ফাঁক থাকে না...

✍️কলমে - সুষমা বাগ প্রধান
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
ছবি : সংগৃহীত
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿

02/07/2025

ও সোমা দি কী ব্যাপার
একসঙ্গে দুটো মাইক্রোওভেন
নিয়ে নিলে যে
ফ্রিতে পেলে নাকি?
নাগো মনিদি, একটা আমার জন্য আর একটা ছেলের বউ জন্য। বা..বা.. ছেলের বউ তো এখনো আসেনি
ছেলের বউ আসতে এখনো কয়েক মাস বাকি ,
আজ থেকে তুমি হাড়ি আলাদা করার ব্যবস্থা করছো।
হ্যাঁগো করছি কারন আমি চাই ওরা বিয়ের পর আলাদা থাকুক আলাদা থেকে ওরা নিজেদের মতন করে সময় কাটা।
আমি চাইনা প্রথম থেকে আমাদের সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা আসুক ।
আসলে কি জানো
শাশুড়ি মা কখনো মা হয় না।
আমরা যতই মনে করি
শাশুড়ি মা
মা হয় কিন্তু আসলে তা হয় না।
তখন মনিদি বলতে লাগলো
কেন?
আমার মা কি তোমাকে ভালোবাসে না?
আমার মাও তো তোমাকে খুব ভালবাসে
মায়ের মত করে।
আসলে মনিদি হল সোমার ননদ।
এরপর সোমা বলল
এই যে তুমি বললে মায়ের মত
মা নয়।
দেখো আমি তোমাকে কিছু উদাহরণ দিয়ে বোঝাচ্ছি
তোমার যখন প্রথম প্রথম বিয়ে হল
মা বলল তুমি নাকি বাচ্চা মেয়ে
বাড়ির সব কাজ করতে পারবে না
তাই বাড়িতে একটা কাজের লোক অবশ্যই রাখতে হবে।
কিন্তু আমার বেলা কোন কাজের লোক ছিল না
উপরন্তু কোনো কাজে ভুল করলে আমার মা-বাবা কেমন শিক্ষা দিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন আসতো।
তুমি যখন বিয়ের পর প্রথম ভাত রান্না করতে গিয়ে ভাত পুড়িয়ে ফেলেছিলে তখন মা বলেছিল তুমি নাকি ছেলে মানুষ।
কিন্তু আমার বেলায় একদিন তরকারিতে নুন বেশি হয়ে গেছিল বলেই মা আমাকে অলক্ষী বলেছিলেন।
একবার পূজোতে শাশুড়ি মায়ের থেকে যখন মায়ের জন্য একটা দামি শাড়ি কিনেছিলাম
তাই শুনে শাশুড়ি মা খুব রাগ করেছিল,
কিন্তু আমার মাকে যখন আমি দামি শাড়িটা দিতে গেছিলাম
মা তখন বলেছিল
কেন এত বেশি বেশি টাকা খরচ করছিস?
আমার দামি শাড়ি চাইনা,
আমি দামি শাড়ি সামলাতে পারি না
আমাকে একটা ছাপা শাড়ি কিনে দে।
কিন্তু তুমি তোমার মায়ের জন্য সবথেক দামি শাড়িটাই কিনতে
তখন দেখতাম কোন প্রতিবাদ হত না। সব ঠিকই থাকতো।
তোমার বিট্টু হওয়ার সময় তুমি আমাদের এখানে ছমাস কাটিয়ে গেলে।
কিন্তু আমার বেলা আমাকে আমার বাবার বাড়ি
যেতে দেওয়া হয়নি ।
আরো অনেক কথা আছে সেগুলো নাইবা বললাম....

এর পরে বলো
শাশুড়ি মা আর নিজের মা কি করে এক হয়?
সোমার মুখে এমন কথা শুনে
মনিদির খুব একটা ভালো লাগলো না
তা মনিদির মুখ দেখেই বোঝা গেল।
এরপর সোমা বলল
আমি ওর মা হতে চাই না ,
আমি ওর শাশুড়ি মা হয়ে সারা জীবন ভালোবাসা দেবো।
কেন শাশুড়ি হয়ে কি বৌমাকে ভালোবাসা দেওয়া যায় না?
সব সময় মা হতে হবে।
আমি ওর মা কি করে হব?
ওর মা যত কষ্ট করেছে এত কষ্ট হয়তো আমি
কোনদিন করতে পারব না।
তাই আমি ওর মা হতে চাই না
ওর শাশুড়িমা হয়ে ওকে আমার সর্ব শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবো।

আসলে শাশুড়ি মারা প্রথম থেকেই শিক্ষক হয়ে বৌমাকে সব কাজ না শিখিয়ে বন্ধুর মতো হয়ে যদি শেখায়
তাহলে মনে হয় সম্পর্কে কখনো তিক্ততা আসেনা...

✍️কলমে - সুষমা বাগ প্রধান
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
লেখা : সংগৃহীত
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿

02/07/2025

কয়েক বছর আগের কথা। ক্লাস সেভেনের বার্ষিক পরীক্ষার খাতা দেখছিলাম। খাতা দেখা প্রায় শেষ হয়েই গেছে। আর কয়েকটি খাতা দেখলেই খাতা দেখা শেষ হয়ে যাবে। হঠাৎ একটি খাতা দেখতে গিয়ে আমার চোখটা আটকে যায়। প্রথম পাতায় এসে নামটা আরো একবার দেখলাম, ছেলেটির নাম উত্তম।

উত্তমের খাতাটা দেখতে গিয়ে আমাকে বেশ ভাবিয়ে ছিল।পরীক্ষায় লিখতে দেওয়া হয়েছিল "তোমার জীবনের লক্ষ্য।" খাতা দেখতে গিয়ে দেখেছিলাম অনেক ছেলেই তাদের জীবনের লক্ষ্যের কথা লিখেছিল।প্রথম সারির ছেলেরা কেউ লিখেছে ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ শিক্ষক, কেউ বা ক্রিকেট খেলোয়াড়ও হতে চেয়েছে। বেশ পরিচ্ছন্ন কয়েকটি লেখাও পেয়েছিলাম। তাদের কোথাও বানান ভুল নেই। কোনো অসঙ্গতি নেই। বইতে যেমন লেখা থাকে তেমনি হুবহু তুলে দিয়েছিল। ভালো লেখার জন্য সব সময়েই ভালো নাম্বার বরাদ্দ থাকেই। সেদিক থেকে তারা ভালো নাম্বার পাবে এটাই স্বাভাবিক।

উত্তমও লিখেছিল তার জীবনের লক্ষ্যের কথা। হবহু মনে থাকলেও উত্তম যেটা লিখেছিল সেটা ছিল এরকম,

"আমি বড়ো হয়ে অরূপ স্যার হতে চাই। আমিও অরূপ স্যারের মতো একটা গাড়ি কিনে সেই গাড়ি করে আমার মা'কে নিয়েও হরিদ্বার যেতে চাই।"

খাতাটা দেখতে গিয়ে বার বার পড়ছিলাম লেখাটা। কোনো বই থেকে মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় হুবহু তুলে দেওয়া কোনো লেখা এটা নয়, এ লেখাটা তার একদম নিজের লেখা। এ একদম উত্তমের সম্পূর্ণ মনের কথা। লেখার মধ্যে অনেক বানান ভুল ছিল ঠিকই কিন্তু তার মধ্যে ছিল জীবনের সত্য।

সেদিন খাতা দেখতে বসে আর কোনো খাতা দেখিনি। উত্তমের খাতাটাই ভালো করে দেখছিলাম। উত্তম পড়াশোনায় ভালো নয়। সেভাবে কিছুই হয়তো লিখতে পারে নি। কিন্তু যা লিখেছে সেটা আমার শিক্ষকতার জীবনে অনেক বড়ো প্রাপ্তি।

উত্তমের খাতাটা দেখতে গিয়ে যখন দেখলাম উত্তম অরূপ স্যার হতে চেয়েছে তখন গর্বে বুকটা ভরে উঠছিল‌। খাতাটা দেখতে দেখতে ভাবছিলাম শিক্ষকতার জীবনে একজন ছাত্রের মনেও আমি যে দাগ কাটতে পেরেছি, এর থেকে বড়ো পাওয়া আর কি হতে পারে!

আমি ওদের ক্লাসে বাংলা পড়াতাম। মাঝে মধ্যে ওরা আবদার করে বলত, স্যার একটা গল্প বলুন। তা আমি মাঝে মধ্যেই ছাত্রদের গল্প শোনাতাম। সেবারে পুজোর ছুটিতে আমার মাকে নিয়ে হরিদ্বার গিয়েছিলাম‌, সেই গল্পই ওদের কাছে করেছিলাম। বলেছিলাম,তোমরাও ভালো করে পড়াশোনা করলে বড়ো হয়ে কত জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারবে। এখন যেমন বাবা মা তোমাদেরকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়, বড়ো হয়ে তোমরাও বাবা মাকে সঙ্গে করে নিয়ে ঘুরবে। নিজের গাড়ি থাকলে যেখানে মন চাইবে সেখানেই যেতে পারবে। উত্তম সেই কথাগুলো মাথায় রেখেই পরীক্ষার খাতায় লিখে দিয়েছিল। মূল্যায়ন করতে গিয়ে উত্তমকে হয়তো খুব একটা বেশি নম্বর দিতে পারিনি সেদিন, মনে মনে ওকে দশে দশ দিয়েছিলাম। তারপর থেকে উত্তম আমার কাছে আরো প্রিয় হয়ে গেল। পরে উত্তমকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,

-পরীক্ষার খাতায় কী লিখেছিলি যেন? অরূপ স্যার হতে চাস তাই না‌?

ও বলেছিল,

-স্যার আপনার মতো হতে চাই।

তারপর থেকে কয়েক বছর কেটে গেছে। উত্তম স্কুল ছেড়ে চলে গেছে। ক্লাস টেনে উঠে কয়েকদিন অবশ্য স্কুলে এসেছিল।তারপর আর স্কুলে আসেনি। মাধ্যমিক পরীক্ষাটা না দিয়েই পড়া ছেড়ে দিয়েছিল। আমি অন্য ছাত্রদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়েছিলাম উত্তম কেন আর স্কুলে আসছে না‌। শুনে ছিলাম, উত্তম পড়া ছেড়ে দিয়েছে। ও আর পড়বে না‌। আমি ওকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। ও আসেনি আর। তারপর থেকে উত্তম মনের মধ্যেই রয়ে গেল আমার।

কিছুদিন আগে কলকাতা গিয়েছিলাম একটা দরকারে। সকালে ট্রেন ধরার জন্য আমার ছেলে বাইকে চাপিয়ে স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে গিয়েছিল। বিকেলে যখন ফিরলাম তখন প্রায় সাড়ে চারটে হবে। ছেলেকে বাইক নিয়ে আসতে বলার দরকার নেই বলেই মনে করলাম। ভাবলাম টোটো করেই চলে যাই। স্টেশন চত্বর থেকেই বেরিয়ে এসে টোটোতে উঠতে যাব দেখি আমার ছাত্র উত্তম। উত্তম আমাকে দেখেই জিজ্ঞেস করল,

-স্যার ভালো আছেন?

-আরে তুই?

-হ্যাঁ স্যার। দুবছর হয়ে গেল টোটো চালাচ্ছি।

-আগে দেখিনি তো কখনো?

-আপনি হয়তো খেয়াল করেন নি। আমি আপনাকে প্রায় দেখি।

কথা গুলো বলতে বলতে আরো তিনজন প্যাসেঞ্জার চলে এলো। উত্তম বলল,

--স্যার আপনি সামনের সীটে চলে আসুন।

আমি সামনে সীটে গিয়ে উত্তমের পাশেই বসলাম। পিছনে চারজন প্যাসেঞ্জার হয়ে যেতেই ও টোটো চালাতে শুরু করল।তারপর নানান কথা, স্কুলের অন্য স্যারদের কথা জানতে চাইল। নিজে থেকেই বলল,

-স্যার স্কুল ছেড়েছি এগারো বারো বছর হয়ে গেল, আপনি স্যার আগের মতোই রয়ে গেছেন।

আমি বললাম,

-আমার কথা ছাড়। তোর আর খবর বল। অনেক দিন পর তোকে দেখছি।

-আমার তো আলাদা কোনো খবর নেই। এই তো টোটো চালাই।এতেই যা হয় আপনাদের আশীর্বাদে চলে যায়। এক বছর হলো বিয়ে করেছি। বাবা তো ছোটো বেলাতেই মারা গিয়েছিল। আর মাও চলে গেল বছর তিনেক আগেই।

উত্তম কথাগুলো আমাকে বলছে পিছন থেকে একজন বলে উঠল, "এই টোটো থামো।" দেখলাম টোটো থেকে নেমে দুজন ভাড়া দিল আর একজন ভাড়া না দিয়েই চলে গেল। উত্তমকে জিজ্ঞেস করলাম,

-কী ব্যাপার উত্তম, উনি ভাড়া দিলেন না?

-স্যার আমি বয়স্ক মানুষদের কাছ থেকে ভাড়া নিই না,সেটা উনি জানেন। জানেন স্যার,খুব ইচ্ছে ছিল মাকে নিয়ে হরিদ্বার যাব। সে সুযোগ আমাকে ভগবান দেয় নি। কিন্তু এই বয়স্ক মানুষজনদের দেখলে আমার বাবা মা'র কথা মনে পড়ে। তাই এদের দিয়েই কিছুটা পূরণ করি। এই টোটোটাই হচ্ছে আমার গরীব রথ, দেখবেন আমার টোটোর সামনে লেখা আছে।

কিছুক্ষণের জন্য আমাকে থামিয়ে দিয়ে ছিল উত্তম।।সেদিন জীবনের লক্ষ্য শুধু পরীক্ষার খাতায় লেখেনি জীবনের খাতাতেও লিখে ফেলেছিল। লিখেছিল এক নির্ভেজাল সত্যি।টোটো থেকে নামি। আমি ভাড়াটা বের করার আগেই আমাকে বলে দিল,

-আপনার থেকে ভাড়া নেব না স্যার। এই গরীবের রথে আপনাকে যে বসাতে পেরেছি এর থেকে বড়ো কিছু পাওয়া আমার নেই। আপনারা শিক্ষক‌, যতটুকু আপনাদের থেকে শিখেছি তার ঋণ কি কোনো ভাবেই পরিমাপ করা যায়? ভালো থাকবেন স্যার।

-:সমাপ্ত:-

কলমে: সরজিৎ ঘোষ Sarajit Ghosh
#সংগৃহীত

----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
ছবি : সংগৃহীত
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿

02/07/2025

সম্পর্ক নিয়ে,যারা অশান্তিতে আছেন লেখাটি তাদের জন্য।

▪️সম্পর্কের প্রথমে হলো বিশ্বাস।
এই বিশ্বাসটাই একটা সম্পর্কের মূল, যে সম্পর্কে বিশ্বাস নেই সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।

▪️সম্পর্কের দ্বিতীয় হলো সন্মান।
যে সম্পর্কে সন্মান নেই একজন একজনকে সন্মান দেয় না, সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।

▪️সম্পর্কের তৃতীয় হলো সেক্রিফাইস।
এই সেক্রিফাইস টা যদি দু'জন দু'জনকে সেক্রিফাইস করতে না পারে, সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।

▪️সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় ব্যাক্তি।
সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় মানুষকে সুযোগ দিবেন না।
তাহলে ওই সম্পর্ক টিকে থাকবে না।

এবার আসি মূল কথায়⬇️

▪️একটা সম্পর্কের মধ্যে উপরের ৪টি কথাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিবাহিত জীবন শুরু করা খুবই কষ্টকর,যদি আপনি উপরের তিনটি কথা মানতে না পারেন।

▪️বিবাহিত জীবনে নানান সমস্যা হবে সবকিছুকে দোষ ভেবে আলাদা হয়ে যাবেন না। দোষ কোথায় সেটা খোঁজার চেষ্টা করুন। দেখবেন নিজেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

▪️আপনি জানেন আপনার দোষ তারপর ও আপনি চুপ থাকেন, দেখবেন অনেক সহজ হয়ে গেছে সবকিছু।

▪️এক/দুই কথায় সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় মানুষকে আসতে দিবেন না।নিজেরা বসে সমাধান করার চেষ্টা করুন।

▪️কখনো ডিভোর্সের কথা কখনো মাথায় ও আনবেন না।ডিভোর্সে কখনো শান্তি আনতে পারে না।আপনি মনে করেন যে, ডিভোর্স দিলে হয়তো আমি মুক্তি পেয়ে যাবো,আসলে তা কখনো হয় না,সমাজের এক/দুইটা ডিভোর্সী ভাই/বোন দেরকে প্রশ্ন করে দেখুন যে তারা কেমন আছেন? তাদের নিজ পরিবার এবং সমাজের মানুষের সাথে কেমন সম্পর্ক এবং সমাজ তাদেরকে কোন চোখে দেখে সেটা একবার কল্পনা করুন,নিজেই তার প্রমাণ পেয়ে যাবেন।

▪️আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে কি সমস্যা? কি কারণে বিছিন্ন হতে চাচ্ছেন এগুলোর সমাধান খুঁজুন। ওই বিষয় গুলো ত্যাগ করতে চেষ্টা করুন, দেখবেন সমাধান আপনার হাতেই।
রাগ / অহংকার / জেদ এগুলো ত্যাগ করে প্রিয় মানুষের সাথে সংসার করতে শিখুন। দেখবেন পৃথিবীতে আপনার মতো সুখী মানুষ আর কেউ হবে না।

▪️এসব কথা গুলো যদি আপনি মানতে না পারেন,তাহলে আপনার জন্য সংসার নয়।আপনি কখনোই কোথাও সুখী হবেন না।

▪️ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল সম্পর্কের মানুষ গুলো।ভালো থাকুক প্রিয় মানুষ গুলো।
❤️🥀

----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
লেখা : সংগৃহীত
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿

01/07/2025

৪০ বছরের ছুয় ছুয় নারীদের মনটা
বড় অস্থির হয়। এই সময় নারীদের মধ্যে আমূল পরিবর্তন দেখা দেয়। তারা একটুতেই রেগে যায়,
ছোট ছোট বিষয় খিটখিট করতে থাকে, এই পরিবর্তন তারা নিজের অনুভব করতে পারে, কিন্তু কিছু করার থাকে না,কারণ তাদের কোন কিছুতেই কোন কিছু ভাল লাগেনা। তারা সব সময় চায় তার প্রিয় মানুষটি তার সাথে যেন প্রেমিকের মতো ব্যবহার করে কিন্তু অপরদিকে সেই মানুষটি সংসার চালানোর জন্য টাকার পিছনে ছুটতে থাকে।

--------------------------🌼🌿🌼🌿🌼🌿🌼🌿
চল্লিশ ছুয় ছুয় নারীদের মন
লেখা - তনুশ্রী পাল
পাঠে - অঞ্জু বিশ্বাস।
---------------------------🌼🌿🌼🌿🌼🌿🌼🌿

, , , ,

01/07/2025

উত্তর কলকাতার একান্নবর্তী বনেদী পরিবারে বিয়ে হয়েছিল আমার একমাত্র পিসির। দাদু ছিলেন রেলের উচ্চ পদস্থ কর্মচারী। পিসির বিয়ের জন্য দেখাশোনা শুরু করে দিলেন আমার দাদু। পিসির যখন বিয়ে হলো তখন আমি খুবই ছোট। মনে আছে পিসিকে দেখতে এসেছিল একসঙ্গে পনেরো জন। এতজন দেখতে আসছে শুনে পিসি তো দারুণ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। সকাল থেকেই খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে বসে আছে। সে কি টেনশন।পিসিকে বলতে শুনেছিলাম,

-আমি বাবা সেজে গুজে বসতে পারব না। এক সঙ্গে এত জন মানুষ আসবে? আমার ভয় লাগছে ভীষণ। বাবা তুমি বরং আসতে মানা করে দাও।

পিসির কথা শুনে দাদু বলেছিলেন,

-আমি ওনাদের কথা দিয়েছি বুবু। তাই আমার পক্ষে মানা করা সম্ভব নয়। আমার তো একটা মান সম্মান আছে।

বুবু মানে আমার পিসি। ববিতা না বলে বাড়ি শুদ্ধ সমস্ত লোকজন বুবু বলেই ডাকত। আর আমিও কোনো দিন পিসিকে পিসি বলেই ডাকিনি, আমিও বুবু বলেই ডাকতাম। যাইহোক পিসি তো কোনো ভাবেই রাজি নয়। আমার মা'কে বার বার বলে যাচ্ছিল, ও বড়ো বৌদি তুমি বাবাকে বুঝিয়ে বলো না একটু।

মা শুনে বলেছিল,

-মাথা খারাপ নাকি? বাবার মুখের ওপর আমি কথা বলতে পারব না।

দাদুর কথাই শেষ কথা। বাড়িতে সব কিছুই দাদুর কথা মতোই হয়। তাই পিসির কথা কোনো মতেই টিকল না আর। দাদু পরে শান্ত মেজাজে পিসিকে বলেছিল,

-তাছাড়া তোমার বিয়ের বয়স তো হয়েইছে। গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে ফেলেছো। ওখানে না হোক, বিয়ে তো অন্য কোথাও হলেও তো দিতে হবে, এক দেখাতেই তো বিয়ে হচ্ছে না।

সেই সময়ে আমার পিসি ছিল বেথুন কলেজ থেকে পাশ করা সায়েন্স গ্রাজুয়েট। তখনকার দিনে বিয়ে মানে একটা ছোটো খাটো ইন্টারভিউ। কী জানি কী সব প্রশ্ন করবে, পিসির সে কি টেনশন! আসলে আমাদের বাড়িতে পিসি ছিল খুব আদুরে।বাবার থেকে নয় বছরের ছোট। আমার মা তো নানান টিপস দিয়ে যাচ্ছে পিসিকে। অবশেষে পাত্রপক্ষ দেখতে এলেন।দেখতে এসেই পিসিকে পছন্দ হয়ে গেল। দাদুও দেখল একটা ভালো ফ্যামিলি, ছেলেও ভালো চাকরি করে, তাই আর দ্বিমত করলেন না। পিসির তো একটাই ভয় অতো বড় বাড়ি, তার ওপর একান্নবর্তী পরিবার। জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে।বিয়ের কথা কেউ বলতে পারে না। কপালে যার সাথে লেখা আছে তার সাথেই হবে। শেষমেষ পিসির বিয়ে হয়ে গেল। পিসি যখন শ্বশুর বাড়ি চলে গেল আমি খুব কেঁদেছিলাম। পিসি আমাকে খুব ভালো বাসতো। খুব মন খারাপ হয়ে গিয়ে ছিল আমার। পিসিকে তো কিছুতেই যেতে দেব না। মনে আছে আমাকে জড়িয়ে ধরে পিসিও খুব কেঁদেছিল।

পিসি চলে যাবার পর থেকে মনটা খারাপ করত ভীষণ। মনে হত বাড়িটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা। পিসির জন্য ক'দিন কেঁদেও ছিলাম। আমি কাঁদলে আমার মা বলত,

-তোর বুবু তো কদিন পরেই আবার এ বাড়িতে আসবে। মন খারাপ করিস না।

বিয়ের পর প্রথম যেদিন পিসি আমাদের বাড়িতে এলো তখন তো আনন্দ আর ধরে না। বিয়ের পর কী সুন্দর লাগছে পিসিকে দেখে। নতুন বিয়ে হলে সব মেয়েকেই সুন্দর দেখায়। দুপুরে খাওয়া দাওয়া সেরে ঠাম্মা, মা,কাকিমা সবাই ধরেছে পিসিকে তার শ্বশুর বাড়ির গল্প শোনার জন্য। যতই হোক অতো বড়ো বাড়ি, একান্নবর্তী পরিবার। মনে আছে ঠাকুমা পান চিবোতে চিবোতে পিসিকে জিজ্ঞেস করছিল,

"-হ্যাঁ রে বুবু ও বাড়িতে সবাই কেমন। শুনেছি তো বিরাট বাড়ি।"

"- শোনো মা যতটা ভয় করেছিলাম ততটা কিছুই নয়। বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ এত ভালো যে বলার অপেক্ষা রাখে না। ভালো বলেই তো পঁয়ত্রিশ জন মানুষ সবাই এক সঙ্গেই আছে। মিলে মিশে এক সঙ্গে থাকার যে কী আনন্দ বলে বোঝাতে পারব না। যাই বলো মা, খুব কপাল করে ওরকম একটা বাড়ি পেয়েছি।"

"-পঁয়ত্রিশজন মানুষ কি মুখের কথা রে। বাপরে বাপ। ভাবছি সেটাই।"

"-হ্যাঁ, তা আর বলছি কি! ওখানে আশেপাশে মজুমদার বাড়িকে চেনে না এমন কেউ নেই। বাড়ির ছাদ খানা তো বিশাল। বড়ো বড়ো ঘর, লম্বা দালান। সত্যিই মা এমন সুন্দর ফ্যামিলি পাওয়া খুব ভাগ্যের কথা। তোমাদের আসল কথাটাই তো বলা হয়নি, শুনলে আশ্চর্য হবে।

এমন কথা শুনে পিসির মুখের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে। তারপর পিসি বলল,

"-জানো মা আমার শ্বশুর বাড়ির একটা সুন্দর নিয়ম আছে।বৌভাতের দুই তিন দিন পরের ঘটনা। বাড়ি থেকে সকল আত্মীয় স্বজন চলে গেছে। আমি সকাল সকাল উঠে পড়েছি।বাড়িতে তখনো অনেকেই ঘুমোচ্ছে। ভাবলাম রবিবার, তাই হয়তো ঘুমোচ্ছে। আমি স্নান সেরে সোজা চলে গিয়েছি রান্না ঘরে। ও মা! গিয়ে দেখি আমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শ্বশুর একটা বড়ো হাঁড়িতে করে চা তৈরি করছে।"

আমি তো অবাক। উনি চা তৈরি করছেন দেখে জিজ্ঞাসা করলাম,

"-এ কি আপনি কী করছেন ?"

শ্বশুর মশাই আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

"-চা করছি বৌমা।"

"-চা আপনি কেন করছেন। এটা মোটেই ভালো দেখায় না।সরুন সরুন, আমাকে দিন আমি করছি।

শ্বশুর মশাই হেসে বললেন,

"-না বৌমা, চা তো আমাকেই করতে হবে।"

"-কেন আপনাকে করতে হবে কেন?"

"- ও তোমাকে তো বলাই হয়নি। এটাই আমাদের বাড়ির নিয়ম।আজ রবিবার। রবিবার গুলো সব কিছু একটু অন্য রকমই তুমি দেখবে। কারণ বিয়ের পর তোমার এই বাড়িতে প্রথম রবিবার।এই রবিবার গুলোতে বাড়ির মেয়েদের সকলের ছুটি। আজ সকল মেয়েই দেরিতে ঘুম থেকে উঠবে। রবিবারের সমস্ত কাজের দায়িত্ব ছেলেদের। যেমন এই যে আজকের সকালে চা করার দায়িত্ব আমার। আমি চা করে সকলকে দেব। তারপর ঘর মোছা, রান্না করা, খেতে দেওয়া, বাসন মাজা যাবতীয় সব কাজ আজ বাড়ির সকল ছেলেদের।" কথা গুলো শুনে ভীষণ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,

"-কেন? কাজের লোক তাহলে কী করবে আজ?"

"-রবিবার সমস্ত কাজের লোকেদেরও ছুটি থাকে"......বলেই একটা চিত্রগুপ্তের মতো একটা খাতা বের করে দেখালেন কার কোন্ কাজের দায়িত্ব আজ। আমি তো এসব দেখে শুনে হাঁ করে শ্বশুরমশাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। তারপর শ্বশুর মশাই বললেন,

"-প্রতিদিনই তো মেয়েরাই সমস্ত সংসারটাকে সামলায়। এই একটা দিনই ওদের ছুটি। আজকের দিনটা ওরা কীভাবে কাটাবে ওরা নিজেরাই ঠিক করে নেয়। বিকেলে বাড়ির সমস্ত মেয়েরা বাইরে ঘুরতে যাওয়া, সিনেমা দেখা, থিয়েটার দেখা..সেটা ওরা নিজেরা ঠিক করে আমাদের জানিয়ে দেয় কোথায় যাচ্ছে। রবিবারের মেনুটা বাড়ির মেয়েদের পছন্দ মতই হয়। আর আমাদের বাড়ির ছেলেরা সব কাজ জানে। মানে ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই বাড়ির সব কাজ শেখানো হয়। শুধু মেয়েরা শিখবে, ছেলেরা শিখবে না এমনটা হয় না। তা তুমি উঠে এলে আর সে লাটসাহেব কোথায়?

"-ঘুমোচ্ছে তো এখনও।"

"-আচ্ছা। এসেই যখন পড়েছো তখন চা এর কাপটা নিয়ে যাও। গিয়ে বলো যে আজ রান্নাঘর পরিষ্কার করার দায়িত্ব আজ ওর। মনে আছে ওর নিশ্চয়ই, তবুও বলে দাও গিয়ে।"

মনে মনে ভাবি মেয়েদের জন্য এতটা ভাবা হয়? যেখানে মেয়েরা সংসারের ঘানি টানতে টানতে নিজদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ভুলে যায় সেখানে এই মজুমদার বাড়িতে এমন একটা সুন্দর নিয়ম? সংসারের যাবতীয় কাজ ছেলে বা মেয়ের আলাদা বলে কিছু নেই। অপূর্ব ভালোলাগায় মনটা ভরে গিয়েছিল আমার।

তারপর থেকে আজ কত বছর কেটে গেছে। পিসির বাড়ির সেই রীতি আজও অব্যাহত। পিসির দুই ছেলে, ছেলেরা বেশ বড়োও হয়ে গেছে। বড়ো ছেলে চাকরিও পেয়েছে। কিন্তু রবিবারের সেই ট্রাডিশান আজও চলে আসছে আগের মতই।
(সমাপ্ত)

কলমে: সরজিৎ ঘোষ
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿

01/07/2025

পুরুষরা যেই জায়গাটাতে সবচেয়ে বেশি যত্নে থাকে, সেই জায়গাটাকেই আগে ধ্বংস করে। আর সেটা হচ্ছে তার নিজের স্ত্রীর মন।
একটা তীব্র, তীক্ষ্ণ সত্য। যে সত্যটা অজস্র সংসারের গোপন কান্না। সমাজ যেটা দেখে না, শুনে না, কিন্তু প্রতিদিন একটা একটা করে ভেঙে যায় অগণিত নারীর ভেতরটা।

সংসার চালানো আর মন বোঝা এক জিনিস না।

সংসার চালানো মানে শুধু বাজার করা, বিল দেয়া নয়।
একটা মেয়ের ভেতরের ক্লান্তি, অব্যক্ত কথা, মনের খাঁজে জমে থাকা হতাশাগুলো বুঝে ফেলা — সেটাই প্রকৃত যত্ন।

যুগ বদলেছে, মানুষ বদলেছে, চাওয়া-পাওয়াগুলোও বদলেছে।

একটা স্ত্রীকে শুধুই দায়িত্ব পালনের মেশিন মনে করলে, তার মন একদিন ধ্বংস হবেই।
শুধু বেঁচে থাকলেই তো বেঁচে থাকা হয় না।

স্ত্রীর মনটা হচ্ছে শিশুর মতো
একটা মেয়ে যখন কাউকে ভালোবেসে জীবন দেয়, তখন সে শুধু সংসার করতে চায় না — সে চায় পাশে থেকে বোঝা হোক, তার দুর্বলতাগুলো আলিঙ্গন করা হোক, আর তার কষ্টগুলো ভাগ করে নেওয়া হোক।

কিন্তু কষ্টের কথা বললেই যদি তাকে বলা হয় “তুমি ড্রামা করো”, “তুমি অতিসেন্সিটিভ”, “তুমি বোঝো না”— তখন ধীরে ধীরে সে নিঃশব্দ হয়ে যায়।

কি করা উচিত?
• শুনুন, বোঝার চেষ্টা করুন: স্ত্রী কাঁদছে মানে সে শুধু কাঁদছে না, তার একটা মন আছে যা হয়তো বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।
• তুলনা বন্ধ করুন: নিজের মা, বোন, বা অন্য কারো সাথে স্ত্রীকে তুলনা করা মানে তাকে অপমান করা।
• সময় দিন: ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে নয়, তার চোখের ভাষা পড়ার চেষ্টা করুন।
• স্বীকৃতি দিন: ছোট ছোট কৃতজ্ঞতাগুলো বলুন — “তুমি যা করো, তা আমি দেখি”, “তোমার জন্যই আমার দিনটা সহজ হয়”।

সবচেয়ে মজবুত সম্পর্কগুলো ধ্বংস হয় ‘নিরব অবহেলা’ দিয়ে।
পুরুষেরা সত্যিই যত্ন করে, কিন্তু সেই যত্ন যদি বোঝার অভাবে আঘাত হয়ে যায়, তবে স্ত্রী নামের নারীর মনটা সবচেয়ে বড় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

জানি না সবাই বুঝবে কিনা, কিন্তু একজন স্বামী যদি একটিবার স্ত্রীর চোখে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে — সে বুঝবে, কতটা মনোযোগ আর মমতা চেয়েছিল সেই মনটা, যেটাকে সে নিজের ভাবত।

আপনাদের জীবনের এমন কোন ঘটনা কি আছে? আপনি কি সেই স্ত্রীর জায়গায় ছিলেন? নাকি স্বামী হিসেবে এখন কিছুটা অনুশোচনায় ভুগছেন?

কমেন্টে জানাতে পারেন। কথা বললে বোঝা ভাগ হয়।
মনটাই তো শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে প্রিয় থাকার জায়গা হওয়া উচিত।

----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
লেখা : সংগৃহীত
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿

30/06/2025

সময় আর প্রিয় মানুষ..!
যখন একসাথে আঘাত করে, তখন মানুষ বাহির থেকে নয়, ভিতর থেকে মারা যায়!

----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
লেখা : সংগৃহীত
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿

30/06/2025

ডিভোর্সের ৩৭ বছর পর নিজের প্রাক্তন স্বামীকে নিজের বৃদ্ধাশ্রমে দেখে চমকে গেলাম। কিছু বুঝতে পারছিনা। এতোবছর পর মানুষটাকে এভাবে দেখতে হবে তা একদম অকল্পনীয় ছিলো। লোকটা একপাশে গুটিসুটি মেরে বসে আছে। দেখতে বড্ড অসহায় লাগছে। নিজের মধ্যে সংকোচ করছি তার সামনে যাবো কি যাবো না।অনেকটা জড়তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সামনে দাঁড়ানোর পরও লোকটার কোনো ভাবের পরিবর্তন হলো না, বুঝতে অসুবিধা হলোনা, যে সামনে থাকা মানুষটা চোখে দেখতে পায় না।

৩৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে আমার সাথে বিয়ে হয়েছিলো সমীরের। বেশ ভালোই চলছিল আমাদের সংসার। যৌথ হওয়াতে পুরো পরিবার একসাথে থাকতাম।শান্ত স্বভাবের হওয়াতে সবার সাথে আমার সম্পর্ক খুব ভালোই ছিলো। আমাকে সবাই খুব ভালোবাসতো।বিয়ের প্রায় দুই বছর অতিক্রম হওয়ার পরও যখন আমাদের সন্তান হচ্ছিল না তখন আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে বিভিন্ন চাপ দিতে লাগলো।অবশেষে রিপোর্ট থেকে জানতে পারি, আমি কখনো মা হতে পারবেনা। এরপর শুরু হয় শ্বশুড় বাড়ির বিভিন্ন মানসিক যন্ত্রণা।

----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
লেখা সংগৃহীত
পাঠে: অঞ্জু বিশ্বাস
----------🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿

#সত্য ঘটনা #প্রতিলিপি #

Anju Biswas shorts

03/07/2025

03/07/2025

02/07/2025

02/07/2025

02/07/2025

02/07/2025

02/07/2025

01/07/2025

01/07/2025

01/07/2025

30/06/2025

30/06/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category