Santiniketan Sahityapath শান্তিনিকেতন সাহিত্যপথ

  • Home
  • Santiniketan Sahityapath শান্তিনিকেতন সাহিত্যপথ

শান্তিনিকেতন সাহিত্যপথ ফেসবুক পেজে রচনাপ্রকাশের নিয়মাবলি:
১। কবিতা, গল্প, ভ্রমণকাহিনি, ফিচার, প্রবন্ধ, সাহিত্য-সংস্কৃতিক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার ইত্যাদি ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়।
২। অভ্র কীবোর্ডে টাইপ করে লেখা পাঠাতে হবে।
৩। লেখা পাঠাবেন [email protected] এ।
৪। লেখার সঙ্গে নিজের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং পাশপোর্ট ছবি যুক্ত করবেন।
৫। লেখা মনোনীত হলে সর্বাধিক তিন মাস সময়কালের

মধ্যে লেখা প্রকাশ করা হয়।
৬। কোনো প্রকার রাজনৈতিক লেখা অথবা ব্যক্তিগত আক্রমণমূলক লেখা সাহিত্যপথ ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয় না।
৭। ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্যমূলক রচনাপ্রকাশ করা সাহিত্যপথ ফেসবুক পেজের বৈশিষ্ট্য।
৮। তরুণ সাহিত্যিকদের রচনাপ্রকাশে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
৯। অন্যত্র প্রকাশিত রচনা এই ফেসবুক পেজে পুনরায় প্রকাশ করা হয় না।

কবিতা — 📒  #যুদ্ধু-কথা      ✍ #স্বপন মুখোপাধ্যায়   অকুতোভয় বিরেশকাকু-র স্বপ্ন-কথা শোনাই শোনোহোক ভুতুড়ে, কিন্তু বাপু এর...
24/07/2025

কবিতা —
📒 #যুদ্ধু-কথা
✍ #স্বপন মুখোপাধ্যায়

অকুতোভয় বিরেশকাকু-র স্বপ্ন-কথা শোনাই শোনো
হোক ভুতুড়ে, কিন্তু বাপু এর তুলনা নেই যে কোনো।
রাংতাগড়ের বিরেশকাকু ঘুমের মধ্যে দুপুর বেলা
দেখলো ক'টা ভূতের ছানা বাবলা তলায় করছে খেলা।
কাকু কিন্তু অকুতোভয়, দৌড়ে গেল ভূত তাড়াতে
বল্লে হেঁকে — আজকে তোদের ধরবো এবার হাতেনাতে।
রাখবো বেঁধে বাবলা ডালে করবি যতই চিঁহি-চিঁহি
ততই আমি মনের সুখে হাসবো হাহা হি-হি-হি-হি।
কাছে যেতেই এক নিমেষে হাপিস ওরা সদলবলে
ভাবলো কাকু, আচ্ছা দাঁড়া ধরবো তোদের ছলেবলে।
সাহস নিয়ে এবার তোরা আরেকটিবার বেরো দেখি
যেই না ভাবা চোখের সামনে অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড এ কী !
বাবলা গাছের ঝোঁপের থেকে ভূতের গলা, এইতো কাকু
কেমন আছো? তোমার জন্যে মন আমাদের আঁকুপাঁকু।
খেলবো চলো জল-ডিঙা-ডিঙ তোমায় নিয়ে নদীর চরে
ভয় করো না, আমরা চেনা বাড়িও এই রাংতাগড়ে।
খেলার শেষে খুব খাওয়াবো গরমাগরম চপ সিঙ্গারা
ঠিক করেছি আজকে থেকে থাকবো না আর তোমায় ছাড়া।
ভিরমি খেয়ে কাকু এবার করছে মুখে গোঁ-গোঁ আওয়াজ
এই সময়ে কী করবে সে মাথাও তখন করছে না কাজ।
কিন্তু কাকু অকুতোভয় মানবে না হার ওদের কাছে
সামলে নিয়ে যত্ন করে ধীরে ধীরে উঠল গাছে।
দুপুর তখন বিকেল হয়ে সন্ধে হয়ে গহীন সে রাত —
দেখল কাকু ওই ভূতেরাই ফের বেরিয়ে বাড়াচ্ছে হাত।
বলছে — ব্যাটা আজকে তোকে দ্যাখ এখনি খাবই গিলে
এসব শুনে কাকু-র এবার চমকে উঠলো আস্ত পিলে।
বুকে তবু সাহস বেঁধে যেই না ওদের ধরতে যাবে
ঘুমটা গেল ভেঙে, ভাবলো এমন স্বপ্ন কোথায় পাবে !
বীর সাহসী বিরেশকাকু-র এসব স্বপ্ন প্রায়ই আসে
ভূতের সাথে করতে লড়াই কাকু ভীষণ ভালোবাসে।
এক একদিন তো ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করে দেয় ভূতেদের
কিন্তু এসব 'যুদ্ধু-কথা' কইবে কারে, আছে তো ঢের।
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

তিনটি কবিতা — আমাকে স্পর্শ কোরো না📒  #স্বর ১      ✍ #কাকলি ভট্টাচার্য মৈত্র আমি দেবী নই — পাথরের মূর্তি হয়ে বসে থাকি না,...
22/07/2025

তিনটি কবিতা — আমাকে স্পর্শ কোরো না
📒 #স্বর ১
✍ #কাকলি ভট্টাচার্য মৈত্র

আমি দেবী নই —
পাথরের মূর্তি হয়ে বসে থাকি না,
ঘৃতপ্রদীপের আলোর নিচে অনড়,
কোনো মন্ত্রে জেগে উঠি না

আমি মানুষ —
আমার আশা আছে, আলো আছে, আঁধার আছে,ক্ষোভ আছে,
আমিও কান্না গোপন করতে পারি না

তাই আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে
যদি ছোঁয় কোনো অনাহুতের হাত
তখন গর্জে ওঠে আমার আত্মা
প্রবল সুনামি তখন
প্রতিধ্বনি শুধু দীর্ঘশ্বাসে নয়,
গর্জে উঠবে আইনের অক্ষরে

আমি মানুষ
আমার সম্মতিই আমার দেবী আমার পূজা
সম্মান করো

প্রতিধ্বনি শুধু দীর্ঘশ্বাসে নয়,
গর্জে উঠবে আইনের অক্ষরে
_______________________________________
📒 #স্বর ২
✍ #কাকলি ভট্টাচার্য মৈত্র

আমি দেবী নই,
তাই পুষ্পাঞ্জলি চাই না —
চাই না প্রদক্ষিণ, উলুধ্বনি, ধূপ-ধুনো —
চাই শুধু, বোঝো আমি মানুষ

আমার 'না' মানে 'না' —
তাতে পুণ্যের ফাঁস নেই,
শুধু স্পষ্ট এক প্রতিরোধ
আমি, কেবলই আমি —
আমার ইচ্ছায়, আমার শরীর,
আমাকে স্পর্শ কোরো না
_______________________________________
📒 #স্বর ২
✍ #কাকলি ভট্টাচার্য মৈত্র

তোমরা দেবী ভেবেছিলে বলেই চুপ ছিলাম,
ভাবলে, কিছুতেই প্রতিবাদ করবে না
এই প্রস্তরীভূত রমণী
.. কিন্তু আমি তো মানুষ —
আমার নীরবতায় রক্ত জমে,
তাই আমার চোখে জল নয়, আগুন

জেনে রেখো,
যে নারী দেবী নয়,
সে ভয়ংকর রকমের জীবন্ত
তার "না" মানে কখনো কখনো
একটি সভ্যতার মুখোশ খসে পড়া

আমাকে বাঁচতে দাও, মানুষ হয়ে জেগে থাকি
তাই স্পর্শ করার আগে
আমার সম্মতির দিকে তাকাও
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

রবিবারের পাতা —  📒  #রবিবারের কাজ    ✍ #মীনাক্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবারের ভাবনা কতগুছিয়ে রাখা কাজের পাহাড়,এমন দিনে সবাই...
20/07/2025

রবিবারের পাতা —
📒 #রবিবারের কাজ
✍ #মীনাক্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

রবিবারের ভাবনা কত
গুছিয়ে রাখা কাজের পাহাড়,
এমন দিনে সবাই যে চায়
হাতে তৈরি ভালো খাবার।

ভোর বেলাতে উঠতে যে হায়
মন চায় না সপ্তা শেষে, তবু
সময়টাকে ভাগ করে নিই
সময় যেন ছুটছে রেসে।

সবার সাথে হেসে হেসে
কাজের কথা সারি ফাঁকে,
কখন যেন বিকাল এসে
চাপা হাসে সন্ধ্যার বাঁকে।

রইল পড়ে অনেক যে কাজ
শুকনো শাড়ি হয় না মাড়,
ফোনের পরে ফোন যে আসে
সবাই জানে আমি সবার।

ক্লান্ত রাতে লিখতে বসি
পেন ঢুলে যায় সাদা পাতায়,
তবুও মনে শব্দ সাজে
কবিতা হয়ে সে রয়ে যায়।।
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

কবিতা —📒  #জন্মদিনে     ✍ #আবির ভট্টাচার্য চক্রবর্তী এখনো আনন্দ গন্ধে সন্তানের স্পর্শ লেগে আছে        এখনো মাধবীলতা কবেক...
11/07/2025

কবিতা —
📒 #জন্মদিনে
✍ #আবির ভট্টাচার্য চক্রবর্তী

এখনো আনন্দ গন্ধে সন্তানের স্পর্শ লেগে আছে
এখনো মাধবীলতা কবেকার কাকলীতে দ্রব
মেঘের শ্যামল ঋণ অতন্দ্রিলা নবঘন গাছে
জন্মদিন ঘিরে ঘিরে অজানিত মাঙ্গলিক স্তব।

যদিও সময় আজ নিয়মের আবর্তনে বাঁধা
যদিও যাপন গ্লানি শব্দহীন সংযমে করুণ
তবুও স্মৃতির মতো কিছু কিছু অবাঙ্ময় কথা
জন্মের আসঙ্গে কাঁপে নিভৃতে নিপুণ।

এখন ক্রান্তির কাল; বড়ো ভয়ে বড়ো দাহে বাঁচা
তবুও শুভের আলো জ্বলে থাকে এখানে ওখানে
ইমনের ‘মা’ ছুঁয়ে দৃঢ়তর কল্যাণকে সা-ধা…
পরমান্নে বোধ ঢেলে তাই দিই আমার সন্তানে।
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

কবিতা —📒  #বর্ষা নামল যখন    ✍ #শ্যামলকুমার মিশ্র আকাশজুড়ে বর্ষা নামল। ঘন কালো মেঘের আনাগোনা বর্ষা এসে ভিজিয়ে দিল ওরে ...
08/07/2025

কবিতা —
📒 #বর্ষা নামল যখন
✍ #শ্যামলকুমার মিশ্র

আকাশজুড়ে বর্ষা নামল।
ঘন কালো মেঘের আনাগোনা
বর্ষা এসে ভিজিয়ে দিল ওরে
ঘরফেরতা তন্বীবালার ভিজল শাড়ি
টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়লো
ওর চূর্ণ কুন্তল হতে...
আমি বললুম — এসো আমার কাছে
তোমায় জড়িয়ে রাখি দুবাহুর মাঝে
খিলখিল করে হেসে উঠলো তন্বী বালিকা

সমস্ত দেহবল্লরীতে বর্ষার প্রথম পরশ
পীনোন্নত বক্ষ মাঝে যৌবনের প্রথম আবেশ
আমার হাতটা আলতো করে ছুঁয়ে
সে বলল — এসো...
বলেই হারিয়ে গেল মেঘবালিকার দেশে

পড়ে রইল বই, পড়ে রইল উষ্ণ পরশ
আমি বিষণ্ণ চোখ দুটো তুলে দেখলুম —
সে হারিয়ে যাচ্ছে নীল আকাশের গায়
আকাশ জুড়ে বর্ষা বিরতিতে
নীলের আচ্ছাদন
চোখ দুটি তখনো খুঁজে চলে তারে
যে হারিয়ে গেল নীলের অন্তরালে...
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

রবিবারের পাতা —  📒  #বাজিনীবতী         ✍ #শম্ভুনাথ কর্মকার   এ মুখে বলার মতো কিছুই যখনথাকিবে না আর, তুমি এসে ভাষা দিয়ো।ব...
29/06/2025

রবিবারের পাতা —
📒 #বাজিনীবতী
✍ #শম্ভুনাথ কর্মকার

এ মুখে বলার মতো কিছুই যখন
থাকিবে না আর, তুমি এসে ভাষা দিয়ো।
ব্রহ্মার হাতে পুতুলের প্রায় ―
দয়াপরবশ। সুতোর নাটাই খুলে
তোমাকে ছিনিয়ে আনি সখিতার ঘাটে,
করমূলে বাঁধি দূর্বাদল, লাল দাগা।
কে তুমি? বাজিনীবতী, আশ্চর্য আঙুলে
দুর্গম পথের সুর ঢেকে দেবে বলে
কাঁদাও কেবল। নীরবে তাকিয়ে থাকি,
এ চোখে প্রেমের মতো আরও কিছু মায়া
আছে যদি, মুছে দাও জল। একে-একে
ছুঁড়ে ফেলি থালা আর বাসনের মতো,
দলে যাই পায়ে কামনার পাঁচ ফুল।
এ মুখে বলার মতো কিছুই যখন
থাকিবে না আর, তুমি এসে ভালোবেসো।
________________________________________
📒 #অতন্দ্রিলা
✍ #শম্ভুনাথ কর্মকার

কী বলে তারে সম্বোধিব, স্বেচ্ছাচারী?
খরস্রোতা স্মৃতির ভিতর রাজার বাড়ি।
ডোবে ডুবুক, জলমগ্ন শস‍্যলীলা
রেখে যাক সে বুকের 'পরে পাথর ভারী।

যেতেই তাকে বলেছিলাম, জন্মদাগে ―
ঘনিয়ে আসে মেঘ যেভাবে ডাকার আগে।
কুড়িয়ে নিয়ে শেফালিগুলো অতন্দ্রিলা,
যে পথে গেলে অশ্রুচ‍্যুত নয়ান জাগে।

কী নামে তার নূপুরখানি এখনও বাজে
লুকিয়ে রাখে কোন্ সাহসে হিয়ার মাঝে?
স্থাপন করি, যাপন করি, পুরনো ভিলা
নিন্দনীয় অপরাধের সকাল-সাঁঝে।
________________________________________
📒 #ঘুম
✍ #শম্ভুনাথ কর্মকার

কখন চাঁদের কাছে বাঁ হাতের জড়ুলের মতো
চিহ্ন রেখে গেছ। ঘুমিয়ে ছিলাম আমি
আচ্ছন্ন মাধবীলতায়; সন্ধ‍্যা এলে কুপোকাত
এলানো শরীর ওই হিরণ নদীর মতো বসুধার বাঁকে
অনাদরে ফেলে রেখে চলে যায় যেভাবে জননী,
উঠানের মাটি খুঁড়ে নখ দিয়ে মুখে তোলে
বঙ্গজ সন্তান।
পাঁচিলের ফাটল বেয়ে সুখের তেঁতুল কিংবা অশ্বত্থ-চারা
দু'ফোঁটা জলের মতো কিছু কি পেয়েছে
জন্মান্তর ছাড়া?
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

রবিবারের পাতা —  📒  #আষাঢ়স‍্য প্রথমদিবসে         ✍ #আবির ভট্টাচার্য চক্রবর্তী   মানুষী বিরহ অভিমুখ, চিরায়ত অলকা প্রদেশেম...
22/06/2025

রবিবারের পাতা —
📒 #আষাঢ়স‍্য প্রথমদিবসে
✍ #আবির ভট্টাচার্য চক্রবর্তী

মানুষী বিরহ অভিমুখ, চিরায়ত অলকা প্রদেশে
মেঘমন্দ্র অশান্ত উচ্ছাসে, অলিখিত যক্ষ-সম্ভাসে।
মেঘপুঞ্জে আন্দোলিত নববর্ষা সৌদামিনী ছায়া
দিগন্তে বিছিয়ে তার শ‍্যাম অশ্রু পল্লবিত মায়া
নটভৈরব সুরে রামগিরি হতে বহু গিরিবর্ত্মে ধায়
কবেকার সারং-প্রেয়সী আয়ত নয়নে শুধু চায়!

কৃষ্ণমেঘে বিপ্রতীপ শুক্লপক্ষ বলাকা উড়ানে
বিরহীর সমুৎসুকী মিলন-আকাঙ্ক্ষা অভিমানে
অপার্থিব বেদনার সুরে,
এ মনের মেঘ ঝরে বৃষ্টি হয়ে অন‍্য অন্তরে
মিলনব্রীড়ায় রচে অনাসৃষ্টি কৃতার্থ সুন্দর
মেঘদূত মহাকাব‍্যগাথা, চিরন্তন বিরহ-বন্দর।
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

রবিবারের পাতা —  📒  #হিরোইন         ✍ #সুমন্তকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়  যোধপুর পার্ক থেকে মিনিবাসটা ছেড়ে গোলপার্ক আসতে না আসত...
15/06/2025

রবিবারের পাতা —
📒 #হিরোইন
✍ #সুমন্তকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

যোধপুর পার্ক থেকে মিনিবাসটা ছেড়ে গোলপার্ক আসতে না আসতেই সব সিট ভরে গেল।

বাইরে থেকে ফাঁকা বাস ভেবে থেকে হুড়মুড় করে বাসে উঠে একটাও সিট খালি না পেয়ে, ব্যাজার মুখে রড ধরে গৌর-নিতাই হয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে পাসেঞ্জারদের। সিটে গুছিয়ে বসা লোকজনের বেশ লাগে এইরকম সময়ে। আমারও লাগছে তেমনই।

গড়িয়াহাট থেকে ঠেলাঠেলি করে উঠল বেশ কয়েকজন। সবার শেষে এক সুন্দরী তরুণী। যাকে বলে এক্কেবারে একশো শতাংশ আধুনিকা। সানগ্লাসটা কপালের ওপর তুলে ডান কাঁধের বড়টা আর বাঁ হাতের ছোটো ব্যাগের সঙ্গে মোবাইলটা যা হোক করে ধরে তিনিও রড ধরলেন। আর দাঁড়াবার আরও জায়গা থাকতেও দাঁড়ালেন এসে আমার সিটের পাশে। চট করে ছোটো ব্যাগটা থেকে ফস করে সফট টিসুপেপার বার করে মুখে বারকয়েক বুলিয়ে পায়ের কাছে দিলেন ফেলে। টিসুপেপারের সুগন্ধ আমার নাক ছুঁয়ে লেক মার্কেটের দিকে উড়ে গেল জানলা দিয়ে।

আমি ছাড়া বাসের আর সবাই সব ধরনের চাউনি ছুঁড়ে দিচ্ছে আধুনিকার মাথা থেকে পা অব্দি। কয়েক মিনিটের মধ্যে ওঁর চারপাশে ভিড় ঘন। দু-তিনটে স্টপ পরেই খেয়াল করলাম তরুণীর অস্বস্তি। পুরুষযাত্রীদের মধ্যে ওঁর কাছে ঘেঁষার তুমুল প্রতিযোগিতা। মেয়েটি কিন্তু মগ্ন মোবাইলে। ভাবলাম আধুনিক মেয়ে তো, তাই হয়ত এইসব টুকটাক ছোঁওয়া-ছুঁয়ির ঊর্ধে!এমনই ডোন্ট কেয়ার ভাবখানা।

হঠাৎ আমার ভেতরের মানুষটা মারল আমাকে এক মোক্ষম খোঁচা। দাঁড়িয়ে উঠলাম আমি। তরুণীকে বসতে দিতেই আশপাশের লোকজনের বিষদৃষ্টি আমার ওপর। সরে গেলাম পেছন দিকে। নিজেকে বেশ হিরো হিরো লাগলেও, মনে একরাশ অসন্তুষ্টি। আমার একটা তো ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ পাওয়া উচিত ছিল কম-সে-কম? সুন্দরীরা অহংকারী হয় জানি। তাই বলে অভদ্র হয় বলে তো শুনিনি।

মিনটো পার্ক আসতেই, তরুণী উঠে দাঁড়ালেন। হঠাৎ পেছন দিকে মুখ ফিরিয়ে আমাকে বললেন — ‘একটু শুনুন’।

বুকের মধ্যে দামামা ! সুন্দরী তরুণী ডেকেছে বলে কথা !! সকলের নজর আমার ওপর। ভিড় ঠেলে গেলাম এগিয়ে। এবার নিজেকে সত্যিই নিজেকে ‘হিরো’ ‘হিরো’ লাগছে।

এবার তরুণীই আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। কিন্তু এ কি! কি হবে রে বাবা? আরে! আমার কানের কাছে মুখটা এগিয়ে আসছে যে… আসছে এগিয়ে… । আর কানের খুব পাশেই তো… । আমি উত্তেজনায় চোখ বুজে ফেলেছি। কয়েক মুহূর্ত পরেই কানে এলো ফিস ফিস করে তরুণীর গলা — ‘বেশ তো নিজে হিরো হয়ে গেলেন, এবার কিন্তু আমার হিরোইন হওয়ার পালা।‘ তারপরই যেন সবাইকে শুনিয়ে — ‘থ্যাংক ইউ সার, বসুন আপনি।‘ বলেই গেটের দিকে এগিয়ে গেলেন হিরোইন।

বাসের সকলের মুগ্ধদৃষ্টি তরুণীর দিকে। এ যুগে এমন মেয়েও আছে তাহলে!!

আর মাঝখান থেকে আমি পাক্কা দুশো শতাংশ ক্যাবলার মতো চেয়ে থাকতে থাকতে মিস করে গেলাম আমার নামবার স্টপটা।
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

কবিতা —📒  #আহ! হাত ছাড়ো   ✍ #শম্পা সামন্ত  নৈঃশব্দের ভিতর কারা কথা বলে?চুপিচুপি?মোমবাতির আলোয় কার নতমুখ?লাজুক লতার মতো স...
05/06/2025

কবিতা —
📒 #আহ! হাত ছাড়ো
✍ #শম্পা সামন্ত

নৈঃশব্দের ভিতর কারা কথা বলে?
চুপিচুপি?
মোমবাতির আলোয় কার নতমুখ?
লাজুক লতার মতো স্থির?
শাখার নিটোল বাহুতে আদরের রেখা?
ছায়া ছায়া স্নেহ?
জড়ানো পায়ে পায়ে কলমিলতায় ডাকে
যেন যেতে দিতে না চায় মন।
তুমি ফিরে দ্যাখো
সবুজ নয়ন তোমাকেই ডাকে। গম্বুজ ঘরকন্না।
যার তুমি একান্ত হন্তারক।
তার সাবলীল হাত থেকে ছিঁড়ে নাও ফুল, ছিন্ন করো ফল।
লাজুক লতার মতো নতমুখে অস্ফূট উচ্চারণ তার।
আহ! হাত ছাড়ো।
আচার্য জগদীশ চন্দ্র লজ্জা পাবেন যে!
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

দুটি কবিতা —📒  #উৎসব   ✍ #রাসবিহারী ঘোষছাতিমের ডাল বিছানো উপাসনাঘরওকাম্পো দাঁড়িয়ে, পাশে মিরালরিওর চেয়ারবেদমন্ত্র শুনছ...
05/06/2025

দুটি কবিতা —
📒 #উৎসব
✍ #রাসবিহারী ঘোষ

ছাতিমের ডাল বিছানো উপাসনাঘর
ওকাম্পো দাঁড়িয়ে, পাশে মিরালরিওর চেয়ার
বেদমন্ত্র শুনছে ক্রিসমাস ক্যারল
তিনপাহাড় অদূরে অবিচল।

বিশ্বপিতা, তুমি শুনেছিলে গান
এই মাটি, এই আকাশ
গুরুদেব তাঁর শান্তিনিকেতন
মগ্ন বাউল বাতাস।
________________________________________
📒 #রাতগাছতলা
✍ #রাসবিহারী ঘোষ

রাতগাছতলায় স্বপ্ন ঝরে পড়ে
সন্তর্পণ বারান্দা রেলিং দাঁড়ায়
চাঁদনী আলো নামে সিঁড়ি ধরে
আঁধারঘুড়ি ওড়ে বে পাড়ায়।

রাস্তার ভেতর শুয়ে পড়ে, যাওয়া
ঘর পৌঁছে গেছে সব
এখন শুনশান রাত
নৌকা বাইছে জ্যোৎস্না হাওয়া।
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

কবিতা —📒  #এক নব্য যুবকের রবীন্দ্রনাথ   ✍ #শ্যামলকুমার মিশ্র  মাথায় লম্বা লম্বা চুল ঠোঁটের কোণে ধরা সিগারেট নব্য এক যুব...
03/06/2025

কবিতা —
📒 #এক নব্য যুবকের রবীন্দ্রনাথ
✍ #শ্যামলকুমার মিশ্র

মাথায় লম্বা লম্বা চুল
ঠোঁটের কোণে ধরা সিগারেট
নব্য এক যুবক চিৎকার করে বলল —
ওই জোব্বাপরা লোকটি আজ অচল।
কী সব প্যানপ্যানানি গান
কবিতায় নরম শব্দের ভিড়
ও সব আর চলেনা রবিবাবু
তোমার বিনোদ এতটা এগিয়েও পারেনি...

আসলে তুমি বোধহয় বেজায় ভীতু রবিবাবু
তোমার ঘোড়ায় চড়া কুমুকে তুমি হারিয়ে দিলে
বিমলা ভালোবাসার নতুন সংজ্ঞা দিতে গিয়ে
পারল না
রবিবাবু! তুমি আজ একেবারেই অচল...

অবাক চোখে তাকিয়ে থাকেন রবি ঠাকুর
বিস্ময় বিমূঢ় চিত্তে ভাবতে থাকেন
এ কি 'সভ্যতার সংকট'!
নাকি জীবনের উন্মার্গগামিতা
মৃদু হেসে বলেন — আমি যে তোমাদেরই পথ চেয়ে...
নতুনের সৃষ্টি হবে তোমাদেরই হাতে
তাইতো আমি ডাক দিয়েছি —
'আয় প্রমত্ত আয় রে আমার কাঁচা।'

নব্য যুবকটি সিগারেটের টুকরোটি
ছুঁড়ে দেয় দূরে
গিটারে সুর তুলতে থাকে
তন্ময় হয়ে গাইতে থাকে
'বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি'
দুগণ্ড বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে
রবি ঠাকুর এগিয়ে যান
হাত রাখেন যুবকটির মাথায়
'আমি পারলুম না রবি ঠাকুর
তোমাকে ভাঙতে গিয়েও পারলুম না...'
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

কবিতা —📒  #তারাবাতি   ✍ #মরশুম বটব্যাল  চলতি বাসগাড়ির জানালার কাঁচে নিভে-যাওয়া রোদ্দুরকে দেখলাম কী সাবলীলভাবে জড়িয়ে ...
20/05/2025

কবিতা —
📒 #তারাবাতি
✍ #মরশুম বটব্যাল

চলতি বাসগাড়ির জানালার কাঁচে নিভে-যাওয়া
রোদ্দুরকে দেখলাম
কী সাবলীলভাবে জড়িয়ে নিলে মুখে
অলীক অ-সুখে
অমায়িক ছন্দে সেখান থেকে জন্মাল রাত,
ভুল-দোষ মেলে ধরা নক্ষত্রের অজুহাত

কেউ শুনলো না, কেউ জানলো না
কেবল কেউ কেউ দেখলো
এক আলোকবর্ষ দূরে
একা একটা ভবঘুরে অবিরত গেয়ে চলেছে
মানুষের গান
যার প্রতিটা শব্দ ছেড়ে যাওয়া প্রেমিকার!
পুড়ে যাওয়া ফানুসের দুঃখ-বিতান!

শুনেছি সবটা তাই জানতে নেই,
কিছুটা তার শুনতে নেই
বাকিটা নাকি দেখতেও নেই
অথচ কি আশ্চর্য আমি দেখলাম
হায়াতের তারা-বাতির দাহ-প্রক্রিয়া!
এ যাবৎ জমানো পৃথিবীর মায়া
সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে তবুও গাড়ি চলেছে।
আলো নিভবার পথে...
______________________________________
*পেজটি #ফলো এবং #লাইক করার জন্য পাঠকবন্ধুদের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Santiniketan Sahityapath শান্তিনিকেতন সাহিত্যপথ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Santiniketan Sahityapath শান্তিনিকেতন সাহিত্যপথ:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share