Nisha Mukherjee Official

Nisha Mukherjee Official Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Nisha Mukherjee Official, Digital creator, Bolpur.
(1)

এক বন্ধুত্বের হাসি-জলমেশানো গল্প: সুচিত্রা, উত্তম ও সুপ্রিয়াবাংলা চলচ্চিত্রের তিন উজ্জ্বল নক্ষত্র—উত্তম কুমার, সুচিত্রা ...
18/05/2025

এক বন্ধুত্বের হাসি-জলমেশানো গল্প: সুচিত্রা, উত্তম ও সুপ্রিয়া

বাংলা চলচ্চিত্রের তিন উজ্জ্বল নক্ষত্র—উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন ও সুপ্রিয়া দেবীর জীবনে ছিল এক অদ্ভুত মাধুর্যপূর্ণ সম্পর্কের রসায়ন। পর্দায় তাদের রসায়ন যতটা দর্শককে মোহিত করেছে, বাস্তব জীবনেও ছিল ঠিক ততটাই আন্তরিক, সরল এবং রসিকতায় ভরা এক বন্ধুত্ব।

সুচিত্রা সেন—চিরকালই গম্ভীর, নির্লিপ্ত এক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁকে ‘রাশভারি ম্যাডাম সেন’ নামে ডাকাও হতো। কিন্তু এই চেহারার আড়ালেও ছিলেন এক প্রাণবন্ত, হাস্যরসপ্রিয় মানুষ। এই অজানা সুচিত্রাকে জানার সুযোগ পেয়েছিলেন কেবল গুটিকয়েক কাছের মানুষ—তাঁদের মধ্যেই অন্যতম ছিলেন সুপ্রিয়া দেবী।

সুপ্রিয়া দেবী তাঁর আত্মজীবনীতে এক মজার ঘটনার উল্লেখ করেছিলেন। একদিন সকাল সকাল ফোন বাজল তাঁদের ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতে। ফোন ধরতেই ওপার থেকে চেনা কণ্ঠ—“উতু আছে?” সুচিত্রার গলায় মিষ্টি অধৈর্য। উত্তম কুমার তখন বাড়িতে ছিলেন না, সেটা জানাতেই সুচিত্রা হঠাৎ বললেন, “উত্তমকে পাঠিয়ে দাও তো, খুব চুমু খেতে ইচ্ছা করছে!”

হঠাৎ এই সরল, সরস বাক্যে প্রথমে খানিক থমকে যান সুপ্রিয়া। তারপর হেসে বলেন, “বেশ তো! আমি এখনই ফোন করে শুটিং ফ্লোরে বলে দিচ্ছি, শ্যুটিং শেষে তোমার বাড়ি যাবে। তুমি তখন যত খুশি চুমু খেয়ো!”

এই কথায় সুচিত্রা এতটাই অবাক হয়ে যান যে রীতিমতো হেসে বলেন, “তোর হিংসে হচ্ছে না বুঝি?” সুপ্রিয়া উত্তর দেন, “না রমাদি, কারণ তোমাকে আমি চিনি—তোমার রসিকতা তো সবসময়ই সাবলীল।”

এই বন্ধুত্বটা ছিল গুঞ্জনের বাইরে, গ্ল্যামারের আলোকছায়া থেকে দূরে। শুটিং ফ্লোরে তিনজনেই পেশাদার, কিন্তু ব্যক্তিগত মুহূর্তে তাঁদের আড্ডা, রান্নাবান্না, হাসাহাসি—সবই ছিল একেবারে নিখাদ, নির্মল। সুচিত্রা সেন বহুবার সুপ্রিয়ার বাড়িতে এসে আড্ডা দিয়েছেন। প্রিয় খাবারের পদ রান্না করতেন সুপ্রিয়া, আর উত্তম থাকতেন গল্পের কেন্দ্রে।

তাঁদের এই সম্পর্ক কখনও পত্রিকায় মুখর হয়নি, কারণ সুচিত্রা বিশ্বাস করতেন, তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন যত গোপন থাকবে, তাঁদের প্রতি দর্শকের মুগ্ধতাও ততটাই অটুট থাকবে। এই কারণেই হয়তো উত্তম-সুচিত্রা-সুপ্রিয়ার বন্ধুত্বের গল্পটা থেকে গেছে শুধুই তাঁদের আপন গণ্ডির মধ্যেই—সেইসব দিনগুলোর মতোই স্বতঃস্ফূর্ত ও সময়ের পরীক্ষায় উজ্জ্বল।
tv9বাংলা থেকে পাওয়া।

‘আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব’— নতুন তারিখে মুম্বইয়ে শ্রেয়া ঘোষালের কনসার্ট, ঘোষণা করলেন নিজেইভারতের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থি...
18/05/2025

‘আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব’— নতুন তারিখে মুম্বইয়ে শ্রেয়া ঘোষালের কনসার্ট, ঘোষণা করলেন নিজেই

ভারতের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল বহু প্রতীক্ষিত এক সাংগীতিক সন্ধ্যা। শ্রোতা ও অনুরাগীদের হতাশ করলেও, শীঘ্রই ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল।

‘অল হার্টস ট্যুর’-এর নতুন তারিখ ঘোষণা

সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার জেরে, ১০ মে মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিতব্য শ্রেয়ার কনসার্ট ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতি সংহতি জানিয়ে স্থগিত করা হয়েছিল। সেই সময় শ্রেয়া জানিয়েছিলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তবে তিনি ভক্তদের আশ্বস্ত করেছিলেন, শীঘ্রই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।

অবশেষে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন তারিখ জানিয়ে দিলেন শ্রেয়া। জানালেন, ২৪ মে মুম্বইয়ের মঞ্চে ফিরছেন তিনি। এই কনসার্টটি হবে তাঁর ‘All Hearts Tour’-এর অংশ, যেখানে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন তাঁর সুরের জাদু।

শ্রেয়ার পোস্টে আবেগ ও প্রতিজ্ঞা

ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে শ্রেয়া লেখেন,

> “মুম্বইয়ের নতুন তারিখ ঘোষণা করছি। আপনাদের ভালোবাসা, ধৈর্য এবং আমাকে বোঝার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কথা দিয়েছিলাম আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব— এবার সঙ্গীত দিয়ে হৃদয় জয়ের লক্ষ্যে আসছি। মাত্র কিছু দিনের অপেক্ষা, তারপরই দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে।”

পোস্টের মাধ্যমে পরিষ্কার, শ্রেয়া এবার ফিরছেন আরও উদ্যমে, আরও আবেগ নিয়ে। সেই সঙ্গে তিনি অনুরাগীদের জানিয়েছেন, পূর্বনির্ধারিত তারিখের টিকিট এই অনুষ্ঠানের দিন বৈধ থাকবে।

অনুরাগীদের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও প্রত্যাশা

এই ঘোষণায় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন শ্রেয়ার ভক্তরা। একাধিক অনুরাগী তাঁর পোস্টে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, কেউ কেউ আবার জানিয়েছেন, তাঁরা বহু দিন ধরে এই কনসার্টের অপেক্ষায় ছিলেন। সংগীতপ্রেমীদের কাছে শ্রেয়ার এই ফিরে আসা যেন এক রূপকথার মতোই।

স্থগিত হওয়ার সময় শ্রেয়ার আবেগঘন বার্তা

১০ মে-র কনসার্ট স্থগিত করার সময় একটি আবেগঘন বার্তায় শ্রেয়া লিখেছিলেন,

> “আমার প্রিয় ভক্তরা, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাতে চাই, আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে, মুম্বইয়ের কনসার্ট স্থগিত করা হচ্ছে। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আপনাদের সঙ্গে আবারও এক অসাধারণ সন্ধ্যা কাটানোর জন্য।”

শেষ কথা

শ্রেয়া ঘোষাল শুধুমাত্র এক জন কণ্ঠশিল্পী নন— তিনি এক আবেগ, এক অনুভব। তাঁর কনসার্টে যে আবহ সৃষ্টি হয়, তা দীর্ঘদিন মনে থেকে যায় দর্শকদের। মুম্বইয়ের ২৪ মে-র অনুষ্ঠান যে আবারও সেরকম এক স্মরণীয় সন্ধ্যা হতে চলেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

বেয়াদপি করছেন কেন?' যা নয় তাই বললেন 'বাঙালি' শর্মিলা, অভিনেতাকে মারার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন!তাঁকে বলিউডি কাশ্মীর কি...
18/05/2025

বেয়াদপি করছেন কেন?' যা নয় তাই বললেন 'বাঙালি' শর্মিলা, অভিনেতাকে মারার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন!

তাঁকে বলিউডি কাশ্মীর কি কলি বলা হয়ে থাকে। তাঁর সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছিল সকলকে। তিনিই প্রথম বলিউড অভিনেত্রী যিনি টু পিস পরে কভার ম্যাগাজিনকে তাক লাগিয়েছিলেন। কিন্তু, শর্মিলার বেশ মেজাজ ছিল বলিপাড়ার বুকে। সময়ের কদর করতে জানতেন তিনি। অভিনেত্রী হিসেবে খুব নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতেন।

এখানেই শেষ না। বাঙালি হিসেবেও খুব ঠোঁটকাটা ছিলেন।

সেইসময় বলিউডে দুটি শিফটে কাজ হতো। এবং অনেকসময় দেখা যেত একই জুটি একসঙ্গে দুটি শিফটে কাজ করছে। শর্মিলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। অভিনেত্রী তখন হরি ভাই অর্থাৎ সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে কাজ করছেন। এবং দুপুর ২টো থেকে মৌসম ছবির শুটিং হচ্ছে তখন। ছবির পরিচালক গুলজার সাহেব। এদিকে, শর্মিলা তখন এমন এক চরিত্রে অভিনয় করছেন যার জন্য তিনি মুখিয়ে আছেন। শট দেবেন বলে একেবারেই তৈরি। কিন্তু সঞ্জীব সাহেব এসে দাঁড়ালেন সন্ধ্যে ৮টা নাগাদ। তারপর...

সঞ্জীব প্রসঙ্গে শর্মিলা..

রেগে তখন আগুন অভিনেত্রী। একবারও মাথায় নেই যে সামনে গুলজার সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি, সঞ্জীব কুমার কে দেখেই বেজায় চটলেন। শুধু তাই নয়, যা মুখে এসেছিল সেটাই বলে বসেছিলেন। তিনি বলেন, "আমি ২টো থেকে রেডি হয়ে বসে। উনি এলেন ৮টা নাগাদ। তারপর? আমি আর থেমে থাকি নি। আমি তো বাঙালি না, মুখে যা এসছিল তাই বলে বসেছিলাম। গুলজার সাহেব বলছিলেন, রিঙ্কু থেমে যাও। আমি কী করতে থামব? আমি যা মুখে এসেছিল তাই বলেছিলাম। তারপর আমি উনার সঙ্গে কথা বলিনি। কোনও শুটিংয়ে বলিনি। এরপর একদিন আন্ধি দেখলাম। আমার দারুন লাগল। আমি পরের দিন উনার ঘরের সামনে গিয়ে বললাম, যে আপনি এত ভাল কাজ করেছেন, আপনার সঙ্গে আমি হাত মেলাতে চাই, এবং আপনাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম। কিন্তু, আপনি যদি দেরি করে আসেন, তাহলে আমায় বলে দেবেন। এরম বেয়াদপি করবেন না। বলে দিলে আমিও প্রস্তুত থাকব।"

এই সমস্ত গল্প তিনি বলেছিলেন কপিল শর্মার শোয়ে এসে। আরও তাঁকে নিয়ে মনোজ বাজপেয়ী বলে বসেন আরেক ঘটনা। শর্মিলা, রেগে গিয়ে তাঁকে বকা দিয়েছিলেন। শুধু বকা বললে ভুল হবে, তাঁকে কী বলেছিলেন শর্মিলা? মনোজ বাজপেয়ীকে নাকি শর্মিলা বলেছিলেন, তোমায় আমি মেরেই ফেলব। তাঁর কথায়, "আমি উনার জন্য একটা গান গাইতাম। সব রেডি, লাইট ঠিক হত যখন সেটে। একদিন এরম গাইছি, উনি বললেন, মনোজ আর একবার যদি গাও! তোমায় মেরে ফেলব আমি। এরপরই তিনি হেসে ওঠেন। যদিও এই মন্তব্যে শর্মিলা যুক্তি দেখান। তিনি বলেন... "না না! আমি ওকে বকিনি কোনোদিন। কিন্তু, হ্যাঁ! আমি হয়তো কিছু পড়ছি সেটে, ডায়লগ মনে করার চেষ্টা করছি, তখন ও গান গাইছে, বলুন আপনারা?"

তথ্যসূত্র 👉The Indian Express বাংলা

From Prem Raina

অকালপ্রয়াণ সৃঞ্জয়ের, মাতৃহৃদয়ের হাহাকার—"আজই ওনাকে বলতাম..."কলকাতা, ১৩ মে ২০২৫:নিউটাউনের এক আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ...
18/05/2025

অকালপ্রয়াণ সৃঞ্জয়ের, মাতৃহৃদয়ের হাহাকার—"আজই ওনাকে বলতাম..."

কলকাতা, ১৩ মে ২০২৫:
নিউটাউনের এক আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল ২৭ বছরের তরুণ সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের নিথর দেহ। মায়ের চোখে জল, গলায় অশেষ আক্ষেপ—"আজই বলার কথা ছিল ওনাকে..." এমন করুণ স্বরে ছেলের চলে যাওয়ার কথা জানালেন অভিনেত্রী রিঙ্কু মজুমদার।

ছেলের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করা জরুরি। তবে পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সৃঞ্জয়ের দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর সমস্যা ছিল এবং নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। রিঙ্কু জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ছেলেটি ঠিকভাবে ওষুধও খাচ্ছিল না।

"মা তো বুঝতেই পারে…"

মায়ের ভাষায়, "একটু আপসেট থাকতো। কিন্তু কিছু বুঝতে দিত না। আমি বুঝতাম, খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে, রান্নার লোক এসে ঘণ্টা দিয়ে চলে যাচ্ছে, অথচ ও উঠছে না। যখন উঠতো, তখন অফিসে দৌঁড়চ্ছিল। বলতো, ‘অফিসে খেয়ে নেব।’"

এই অস্থির রুটিনের পেছনে যে মানসিক ক্লান্তি জমে ছিল, তা হয়তো অনেকেই বুঝতে পারেননি। কিন্তু একজন মা ঠিকই বুঝেছিলেন। রিঙ্কুর গলায় তাই আজ একটা গভীর অনুশোচনা—"আমি ঠিক করছিলাম দিলীপ ঘোষকে বলব, ছেলেটাকে এখানে নিয়ে আসতে হবে। কিংবা আমাকেই ওর কাছে যেতে হবে। কিন্তু বলা আর হলো না। আজই তো ভাবছিলাম বলব।"

বন্ধুদের কাছেও লুকিয়ে রাখতো মনের কথা

সৃঞ্জয়ের বন্ধুরাও জানায়, ওর মন খারাপ থাকলেও কেউ সেটা বুঝত না। এক বন্ধুকে সে বলেছিল—"তোরা তো বাড়িতে গেলে মা-বাবাকে দেখতে পাস। তাই তোরা আমার অবস্থাটা বুঝবি না।" আবার কখনও বলতো, “আমি হ্যাপি আছি।”

এই দ্বন্দ্বপূর্ণ মনোজগতই হয়তো আস্তে আস্তে ওকে গ্রাস করেছিল। বাইরে থেকে স্বাভাবিক, অথচ ভেতরে ভেতরে চলছিল এক নিঃশব্দ যুদ্ধ।

শেষ মুহূর্তে আকুলতা

রিঙ্কুর কণ্ঠে কাঁপন—"খবরটা শুনেই ছুটে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি হাফপ্যান্ট পরে শুয়ে আছে। পাশের ফ্ল্যাটের এক ছেলে তেল মালিশ করছিল, যদি ওর জ্ঞান ফিরে আসে…"

মায়ের সামনে এমন দৃশ্য, এমন অসহায়তা—কোনো ভাষাতেই ধরা যায় না সেই অনুভব।

চিন্তায় বহু প্রশ্ন, উত্তরের অপেক্ষায় পরিবার

সৃঞ্জয়ের এই আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে অনেককেই। আত্মহত্যা, অসুস্থতা না কি অন্য কিছু—এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে রিঙ্কুর কথায় একটা ব্যাপার স্পষ্ট—ছেলেটি ভালো ছিল না। এবং একজন মা সেই সংকেতগুলো পাচ্ছিলেন। কিন্তু হয়তো আরেকটু আগে বোঝা গেলে, হয়তো একটু সাহচর্য বেশি পেলে আজ গল্পটা অন্যরকম হতে পারত।

tv9 bangla news থেকে নেওয়া।

নতুন রূপে “প্রান্তিক স্টেশন”====================কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের পথে সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের উপর এক শান্ত, ছিমছাম অথ...
18/04/2025

নতুন রূপে “প্রান্তিক স্টেশন”
====================

কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের পথে সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের উপর এক শান্ত, ছিমছাম অথচ ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন রেলস্টেশন—প্রান্তিক। সময়ের সঙ্গে পাল্টে গেছে তার চেহারা, কিন্তু রয়ে গেছে স্মৃতির রেশ ও সাংস্কৃতিক সংযোগ।
একটি স্মৃতিচিহ্ন থেকে আধুনিকতার পথে

১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পূর্ব রেল সিদ্ধান্ত নেয়, তাঁর স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে হাওড়া থেকে ঠিক ১০০ মাইল দূরে একটি স্টেশন গড়ে তোলা হবে। সেই পরিকল্পনারই বাস্তব রূপ হয় ‘প্রান্তিক’। সাহিত্যিক ও শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী প্রমথনাথ বিশীর দেওয়া নামেই স্টেশনের নামকরণ। এই স্টেশনটি তৈরি হয়েছিল মূলত একটি ক্রসিং স্টেশন হিসেবে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি হয়ে ওঠে একটি পূর্ণাঙ্গ যাত্রীবাহী স্টেশন।

স্টেশনের বিবর্তন

প্রাথমিকভাবে এখানে কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন থামত না। পরে স্থানীয় মানুষজন ও সাংস্কৃতিক মহলের অনুরোধে চালু হয় দুটি ট্রেন—বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার এবং বারাউনী প্যাসেঞ্জার। ধীরে ধীরে স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নত হতে থাকে। ২০০০ সালের পরে স্টেশনটি নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করে। এখন প্রান্তিকে রয়েছে প্ল্যাটফর্ম শেড, বসার জায়গা, ওয়েটিং রুম, পানীয় জল, ফুট ওভারব্রিজ এবং পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা।

শান্তিনিকেতনের প্রবেশদ্বার

বোলপুর ও প্রান্তিক থেকে শান্তিনিকেতনের দূরত্ব প্রায় সমান। বোলপুরের যানজট এড়াতে অনেক পর্যটক এখন প্রান্তিক স্টেশনকেই ব্যবহার করছেন। শান্ত পরিবেশ, কম ভিড় এবং সহজ যাতায়াতের জন্য প্রান্তিক এখন পর্যটকদের নতুন পছন্দ।
প্রকৃতি ও সাহিত্যঘেঁষা এক যাত্রা

প্রান্তিক স্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে প্রবাহিত কোপাই নদী। কবিগুরু তাঁর বিখ্যাত কবিতায় লিখেছেন—“আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে।” সেই নদীর বাস্তব রূপ দেখতে দেখতে পাঠকের মনে জেগে ওঠে শৈশবের স্মৃতি। এ নদীর আশেপাশের ভূপ্রকৃতি ও সংস্কৃতি অনুপ্রাণিত করেছিল তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে, যাঁর সৃষ্টি ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ পরবর্তীকালে রূপান্তরিত হয় তপন সিনহার চলচ্চিত্রে।

পর্যটকদের নিরিবিলি গন্তব্য

প্রান্তিক স্টেশন যদিও আকারে ছোট, কিন্তু তার সৌন্দর্য এবং পরিবেশ একে করে তোলে অনন্য। দিনভর এখানে থামে ২৮টি ট্রেন—মেল, এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার মিলে। ট্রেন আসে আর যায়, কিন্তু থেকে যায় এক মনোরম অনুভূতি। কেউ যায় আহমেদপুরের দিকে, কেউ বা শান্তিনিকেতনে। প্রকৃতির কোলে অবস্থিত প্রান্তিকের নির্জনতাই হয়ে ওঠে তার প্রধান আকর্ষণ।

---

**তথ্যসূত্র ও সহযোগিতায়:** *ইস্টার্ন রেলওয়ে*
**চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনা:** পর্যটক ও স্থানীয় সমাজকর্মীরা

আবার ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল কাকা — বাংলার রাজনীতিতে ফিরল চেনা ছায়া!দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন...
17/04/2025

আবার ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল কাকা — বাংলার রাজনীতিতে ফিরল চেনা ছায়া!

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে আবার ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে একসময় যিনি ছিলেন খবরের শিরোনামে, ফের তাঁর প্রত্যাবর্তনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

'কাকাবাবু' নামে পরিচিত এই নেতার ফিরে আসা মানেই নতুন করে সক্রিয়তা জেলায়, দলেও ফের বাড়ছে ভরসা ও তৎপরতা। দলীয় কর্মীদের মনোবলও বেড়েছে তাঁর আগমনে। আবার মাঠে নামবেন তিনি? রাজনীতির রণনীতি ঠিক করবেন আগের মতোই?

আগামী দিনে তিনি কী ভূমিকা নেন, তা এখন সবার নজরে।

#কাকাফিরলেন #রাজনীতি #বাংলাররাজনীতি nhi

Address

Bolpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nisha Mukherjee Official posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Nisha Mukherjee Official:

Share