Puran Kotha Samgra

Puran Kotha Samgra যদি আপনি ধর্মীয় বিষয়ে আগ্রহী হন এবং গভীর আলোচনায় অংশ নিতে চান, তাহলে এই পেজটি আপনার জন্য.....,,. আসুন, একসাথে সত্যের পথে চলি।

আপনারা ভগবান শিবের তিন পা ওয়ালা পুত্রের ব্যাপারে জানেন । কালিকা পুরাণের অধ্যায় ৪৫ অনুসারে - একবার ভগবান শিবের বীর্যকে অ...
16/07/2025

আপনারা ভগবান শিবের তিন পা ওয়ালা পুত্রের ব্যাপারে জানেন । কালিকা পুরাণের অধ্যায় ৪৫ অনুসারে - একবার ভগবান শিবের বীর্যকে অগ্নিদেব ধারণ করেন যার কারণে ঋষি ভৃঙ্গীর জন্ম হলো।
ওনার ভক্তি আর পরাক্রম ওনাকে ভগবান শিবের সেনার অধিপতি আর মহাকালের সাথে ওনাকে দুয়ারপাল বানিয়ে দিয়েছে।
ঋষি ভৃঙ্গীর ভগবান শিবের প্রতি ভক্তি এতটা প্রবল ছিলো যে শুধু শিবের পূজায় করতেন। মাতা পার্বতীকে উপেক্ষা করে দিতেন। এটা দেখে মাতা পার্বতী ভগবান শিবের কাছে নালিশ করলেন।
সমাধানের জন্য ভগবান শিব আর পার্বতী অর্ধনারীশ্বর রূপ ধারণ করলেন... যাতে ঋষি ভৃঙ্গী যখন শিবের পূজা করবে তো মাতা পার্বতীর পূজা করবে কিন্তু সে যখন পরিক্রমা করা শুরু করলো আর শিব পার্বতীকে এক রূপে দেখেন তো তখন সে ছোটো একটা পোকাতে পরিণত হয়ে অর্ধনারীশ্বরের শরীরের মাঝখানে ছিদ্র করে শুধুমাত্র ভগবান শিবের অর্ধেক শরীরেরই পরিক্রমা শুরু করলেন।
ঋষি ভৃঙ্গীর এই কাজে ক্রোধ হয়ে দেবী পার্বতী ওনাকে দুর্বল আর শক্তিহীন হয়ে যাওয়ার অভিশাপ দিয়ে দিলেন।
ঋষির দুটো পা আর শরীরের ওজন ধারণ করতে পারছিলো না তখন ভগবান শিব ওনাকে তৃতীয় পা প্রদান করেন।

মহাভারত ও রামায়ণের মতো মহাযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র কেনো কখনো শেষ হতো না, আপনারা কি তা কখনো ভেবে দেখেছেন?আপনাদের জ্ঞানের জন...
15/07/2025

মহাভারত ও রামায়ণের মতো মহাযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র কেনো কখনো শেষ হতো না, আপনারা কি তা কখনো ভেবে দেখেছেন?
আপনাদের জ্ঞানের জন্য বলি, অস্ত্র আর সস্ত্রের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য আছে। সস্ত্র হলো সেইসব বস্তু যা হাত দিয়ে চালানো হয়, আর অস্ত্র হলো যা মন্ত্র দ্বারা জাগ্রত করা হয়।
মন্ত্রের মাধ্যমে যেকোনো বস্তুকে অস্ত্রে পরিণত করা যেতো। আর এটাই কারণ ছিলো যে যুদ্ধের সময় অস্ত্রের কোনো কমতি হয়নি।
যদি এদের মোট সংখ্যার কথা বলি, তাহলে এদের সংখ্যা অসীম হতে পারে। তবে অহির্বুধ্ন্য সংহিতা অনুসারে, ভগবান শিব বলেছেন যে ভগবান বিষ্ণু একশোরও বেশি অস্ত্রের সৃষ্টি করেছেন, যা তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে উৎপন্ন হয়েছে বলে মনে করা হয়।
SB Bubai

আপনারা জানেন হয়তো দেবতা একটা পদ কিন্তু আপনারা সেই মানুষের ব্যাপারে জানেন যে নিজে দেবতা হয়েছিলো। মহাভারতের অনুশাসন পর্বে...
14/07/2025

আপনারা জানেন হয়তো দেবতা একটা পদ কিন্তু আপনারা সেই মানুষের ব্যাপারে জানেন যে নিজে দেবতা হয়েছিলো।
মহাভারতের অনুশাসন পর্বে একটা ভয়ঙ্কর দেব অসুর সংগ্রামের বর্ণনা পাওয়া যায় 'যেটাতে অসুররা দেবতাদের পরাজিত করে দিয়েছিলো।
রাহু নিজের বাণ দিয়ে সূর্য আর চন্দ্র দুজনকেই আহত করে দিয়েছিলো। যার কারণে চারিদিকে অন্ধকার ছড়িয়ে গিয়েছিলো।
হতাশ দেবতারা সাহায্যের জন্য ঋষি অত্রির কাছে পৌঁছালেন আর ওনার কাছে সূর্য আর চন্দ্র হওয়ার অনুরোধ করলেন।
দেবতাদের প্রার্থনা মেনে নিয়ে ঋষি অত্রি অন্ধকারকে নষ্ট করা সোমের রূপ ধারণ করলেন আর পুরো আকাশকে প্রকাশ দিয়ে ভরে দিলেন।
নিজের দিব্য শক্তি দিয়ে তিনি অসুরদের জ্বলিয়ে দিলেন 'যেটার কারণে যুদ্ধের পরিণাম দেবতাদের পক্ষে এসে গিয়েছিলো।
SB Bubai

14/07/2025

বারাণসী শহরের রহস্য 🔱

আপনারা জানেন কি চারটি বেদের আগে আরো একটা রহস্যময় বেদ ছিলো... যেটার ব্যাপারে আজ অনেকেই জানে না। একদম ঠিক শুনছেন..... প্র...
10/07/2025

আপনারা জানেন কি চারটি বেদের আগে আরো একটা রহস্যময় বেদ ছিলো... যেটার ব্যাপারে আজ অনেকেই জানে না।
একদম ঠিক শুনছেন..... প্রাচীন তামিল কিংবদন্তিতে আমরা প্রর্ণব বেদের ব্যাপারে তথ্য জানতে পারি। প্রর্ণবের অর্থ হলো ঔঁ 'ভগবত পুরাণের ৯০ স্কন্দ ১৪ তম অধ্যায়ের ৪৮ শ্লোকে বলা হয়েছে.... প্রর্ণব মানে ঔঁ সমস্ত বাণী ভাষণ, সাহিত্যর মূল।
এই বেদে বলা হয়েছে কি করে অদৃশ্য উর্যাকে দৃশ্য রূপে নিয়ে আসা যাবে।
এরকম বলা হয় 'যে এই বেদের সাহায্য ব্রহ্মাণ্ডের যে কোনো রহস্যকে সমাধান করা যায়।
আপনারা প্রর্ণব বেদের ব্যাপারে আগে জানতেন?
SB Bubai

08/07/2025

চানক্য জ্ঞান

অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে যে ভগবান শিবের দুই পুত্র, ভগবান গণেশ ও ভগবান কার্তিক, এবং এক কন্যা, অশোক সুন্দরী, থাকা সত্ত্বেও ত...
07/07/2025

অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে যে ভগবান শিবের দুই পুত্র, ভগবান গণেশ ও ভগবান কার্তিক, এবং এক কন্যা, অশোক সুন্দরী, থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কেন ব্রহ্মচারী বা চিরকুমার রূপে পূজা করা হয়। এর কারণ তাঁদের জন্মবৃত্তান্তের মধ্যেই নিহিত।
ভগবান গণেশকে দেবী পার্বতী তাঁর শরীর থেকে সৃষ্ট করেছিলেন। মহাদেবের এই সৃষ্টিতে কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল না।
একইভাবে, অশোক সুন্দরীও দেবী পার্বতীর দ্বারা কল্পবৃক্ষ থেকে সৃষ্ট হয়েছিলেন, যেখানে মহাদেবের কোনো অবদান ছিল না।
ভগবান কার্তিকের জন্মকাহিনী তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত। তিনি আসলে ভগবান ব্রহ্মার মানস পুত্র সনৎকুমারের অবতার ছিলেন। মহাদেব সনৎকুমারের কাছে বর চেয়েছিলেন যে তিনি যেন ওনার পুত্র রূপে জন্মগ্রহণ করেন। এর মাধ্যমেও কার্তিকের জন্ম মহাদেবের দৈহিক সংযোগের মাধ্যমে হয়নি, বরং মহাদেবের প্রার্থনা ও সনৎকুমারের আশীর্বাদের ফলস্বরূপ হয়েছিল।
এই বিশেষ জন্মবৃত্তান্তগুলির কারণে, যদিও ভগবান শিব পিতৃত্বের আনন্দ লাভ করেছেন, তবুও তিনি ঐতিহ্যগতভাবে ব্রহ্মচারী বা চিরকুমার রূপেই পূজিত হন। তাঁর ব্রহ্মচর্য শারীরিক বন্ধনের ঊর্ধ্বে তাঁর আধ্যাত্মিক বিশুদ্ধতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রতীক।
SB Bubai

শ্লোক=>পরোক্ষে কার্যহন্তারং প্রত্যক্ষে প্রিয়বাদিনম্।চাণক্য বলেছেন যে, যে বন্ধু আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার কাজ নষ্ট করে এব...
05/07/2025

শ্লোক=>পরোক্ষে কার্যহন্তারং প্রত্যক্ষে প্রিয়বাদিনম্।

চাণক্য বলেছেন যে, যে বন্ধু আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার কাজ নষ্ট করে এবং উপস্থিতিতে মিষ্টি কথা বলে, তাকে এমন বিষের পাত্রের মতো ত্যাগ করা উচিত, যার মুখে দুধ মাখানো আছে। অর্থাৎ, মুখে ভালো কথা বললেও ভেতরে আপনার ক্ষতি করার উদ্দেশ্য রাখে এমন বন্ধু অত্যন্ত বিপজ্জনক।

শ্লোক=> ন বিশ্বসেত্কুমিত্রে চ মিত্রে চাপি ন বিশ্বসেত্।

আচার্য চাণক্য উপদেশ দিয়েছেন যে, দুষ্ট বন্ধুর ওপর কখনোই বিশ্বাস করা উচিত নয়, এমনকি কোনো বন্ধুর ওপরেও সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস স্থাপন করা ঠিক নয়। কারণ, যদি কখনও কোনো বন্ধু আপনার ওপর কুপিত হয়, তবে সে আপনার সমস্ত গোপন তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে। এই শ্লোকের মাধ্যমে চাণক্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
SB Bubai

যখন ইংরেজরা পুরো ভারতকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিলো, তখন মেঘালয়ের খাসি পাহাড় থেকে এক প্রতিরোধের গর্জন উঠেছি...
03/07/2025

যখন ইংরেজরা পুরো ভারতকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিলো, তখন মেঘালয়ের খাসি পাহাড় থেকে এক প্রতিরোধের গর্জন উঠেছিলো— "আমরা পরাধীনতা মানবো না।"
১৮৩০ সালের দিকে, এক আদিবাসী রাজা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ছিলেন মাইরাং-এর সিইম, অর্থাৎ খাসি জনজাতির রাজা, তিরোট সিং। তিনি এমন একজন স্বাধীনচেতা রাজা ছিলেন, যিনি না কোনোদিন মুঘলদের অধীনতা স্বীকার করেছিলেন, আর না ইংরেজদের। তাঁর নিজস্ব এক স্বতন্ত্র রাজ্য ছিলো।

এই কাহিনী শুরু হয় ১৮২৬ সালের ইয়াণ্ডাবু চুক্তির মাধ্যমে, যা ইংরেজরা বর্মার (মিয়ানমার) সঙ্গে করেছিল। এই চুক্তির ফলে বর্মা উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু এলাকা ইংরেজদের হাতে তুলে দিয়েছিলো। এরপর ইংরেজরা ব্রহ্মপুত্র থেকে বাংলা পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা করে। এই উদ্দেশ্যে তারা রাজা তিরোট সিং-এর সঙ্গে কৌশলে একটি চুক্তি করে।
কিন্তু ব্যবসার আড়ালে ইংরেজরা উত্তর-পূর্ব ভারতে নিজেদের সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে শুরু করে। এর প্রতিবাদে ১৮৩০ সালে রাজা তিরোট সিং ব্রিটিশ সেনা ছাউনিতে হামলা করেন। এই হামলায় দুজন ব্রিটিশ অফিসার নিহত হন, এবং এর মাধ্যমেই শুরু হয় খাসি গেরিলা যুদ্ধ। পরবর্তী তিন বছর ইংরেজদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলো খাসি যোদ্ধারা।

ইংরেজদের আধুনিক অস্ত্রের সামনে খাসি যোদ্ধাদের পাহাড়ে যুদ্ধ করার কৌশল ছিলো অপ্রতিরোধ্য। এরপর সেই চিরন্তন ঘটনা ঘটল, যা রামায়ণ কাল থেকে হয়ে আসছে— একজন বিশ্বাসঘাতক বিশ্বাসঘাতকতা করল।
১৮৩৩ সালে, একজন বিশ্বাসঘাতকের কারণে রাজা তিরোট সিং বন্দি হন। ১৭ জুলাই, ১৮৩৫ সালে ঢাকার জেলে এই মহান বীর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এই বীরদের কাহিনি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, স্বাধীনতার লড়াই শুধু আদালত, সংসদ, বা রাজপথেই নয়, পাহাড়ের গহনেও লড়া হয়েছিল। এই বীরদের আত্মত্যাগ আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে।
SB Bubai

02/07/2025

কাল থেকে এমন এমন না বলা ইতিহাস তুলে নিয়ে আসবো 'যেগুলো হয়তো আপনারা পড়েননি বা শুনেননি 🤔

02/07/2025

Shocking Shanidev Facts you never Knew 🤔

একদা বাজশ্রবা নামে এক ঋষি এক যজ্ঞের আয়োজন করেন, যেখানে তিনি তার সমস্ত সম্পদ দান করছিলেন। কিন্তু নচিকেতা, যিনি ছিলেন তার...
28/06/2025

একদা বাজশ্রবা নামে এক ঋষি এক যজ্ঞের আয়োজন করেন, যেখানে তিনি তার সমস্ত সম্পদ দান করছিলেন। কিন্তু নচিকেতা, যিনি ছিলেন তার পুত্র, লক্ষ্য করলেন যে তার বাবা যেসব গরু দান করছেন, সেগুলো ছিলো বুড়ো, দুধ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এবং দুর্বল। নচিকেতা বুঝতে পারলেন যে এই ধরনের দান প্রকৃত দান নয়, কারণ এগুলো দাতার কোনো কাজে আসছে না। তিনি তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "বাবা, আমাকে কাকে দান করবে?" বাবা প্রথমবার উত্তর দিলেন না। নচিকেতা বারবার একই প্রশ্ন করতে লাগলেন। বিরক্ত হয়ে বাজশ্রবা বলে উঠলেন, "তোমাকে আমি যমের হাতে দান করব!"
বাবার কথা শুনে নচিকেতা বিন্দুমাত্র বিচলিত হলেন না। তিনি জানতেন যে বাবার কথা রক্ষা করা তার কর্তব্য। তাই তিনি যমরাজের বাড়িতে গেলেন। কিন্তু যমরাজ তখন বাড়িতে ছিলেন না। নচিকেতা তিন দিন তিন রাত যমরাজের দরজায় অপেক্ষা করলেন, কিছু খেলেন না, পানও করলেন না।
যমরাজ ফিরে এসে দেখলেন তার দরজায় একজন বালক অপেক্ষা করছে। তিনি জানতে পারলেন যে নচিকেতা একজন শ্রদ্ধেয় অতিথি এবং তিন দিন ধরে অভুক্ত আছেন। একজন অতিথির প্রতি এমন আচরণ অশুভ, তাই যমরাজ লজ্জিত হয়ে নচিকেতাকে তিনটি বর দিতে চাইলেন।
নচিকেতা একে একে তার তিনটি বর চাইলেন:
১. প্রথম বর: তিনি চাইলেন, তার বাবা যেন তার উপর থেকে রাগ ভুলে যান এবং তাকে যেন চিনতে পারেন, যখন তিনি বাড়ি ফিরবেন। যমরাজ এই বর মঞ্জুর করলেন।
২. দ্বিতীয় বর: তিনি চাইলেন, স্বর্গে যাওয়ার পথ এবং সেই পথে যে অগ্নিবিদ্যা (নচিকেতাগ্নি) রয়েছে, তা যেন যমরাজ তাকে শেখান। যমরাজ সানন্দে এই বরও দিলেন এবং তাকে অগ্নিবিদ্যা শেখালেন।
৩. তৃতীয় বর: এই বরটিই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নচিকেতা জিজ্ঞাসা করলেন, "মানুষের মৃত্যুর পর আত্মা বলে কিছু থাকে কিনা, কেউ কেউ বলেন থাকে, আবার কেউ কেউ বলেন থাকে না। আমি এই বিষয়ে আপনার কাছ থেকে সত্য জানতে চাই।"
এই প্রশ্ন শুনে যমরাজ কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হলেন। তিনি নচিকেতাকে এই প্রশ্নের পরিবর্তে ধন-সম্পদ, দীর্ঘ জীবন, পার্থিব সুখ, এমনকি স্বর্গীয় অপ্সরাদেরও প্রস্তাব দিলেন। তিনি বোঝাতে চাইলেন যে এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গভীর এবং দেবতারাও এর সম্পূর্ণ উত্তর জানেন না। কিন্তু নচিকেতা ছিলেন অটল। তিনি বললেন, এই ক্ষণস্থায়ী জিনিসগুলো তাকে সুখ দিতে পারবে না। তিনি কেবল মৃত্যুর পরের রহস্য জানতে চান।
নচিকেতার দৃঢ়তা, একাগ্রতা এবং প্রকৃত জ্ঞান লাভের আকাঙ্ক্ষা দেখে যমরাজ মুগ্ধ হলেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে নচিকেতা এই গভীর জ্ঞান লাভের যোগ্য। তখন যমরাজ নচিকেতাকে আত্মা, ব্রহ্ম এবং মোক্ষের জ্ঞান দান করলেন। তিনি বোঝালেন যে আত্মা অমর এবং অবিনশ্বর। দেহ নশ্বর হলেও আত্মা শাশ্বত এবং মৃত্যুর পর তা নতুন রূপে প্রকাশ পায় অথবা মুক্তি লাভ করে। এই জ্ঞানই হলো ব্রহ্মজ্ঞান।
এই কাহিনীর মূল বার্তা হলো, নচিকেতার মতো একজন প্রকৃত জিজ্ঞাসু ব্যক্তিই চরম সত্যের সন্ধান পেতে পারেন। পার্থিব ভোগ-বিলাস বা ক্ষণস্থায়ী সুখের চেয়ে আত্মজ্ঞান এবং ব্রহ্মজ্ঞানই প্রকৃত ও শাশ্বত। এটি ধৈর্য, দৃঢ়তা, এবং সঠিক গুরুর (যমরাজ এক্ষেত্রে গুরু) অধীনে গভীর জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে।
SB Bubai

Address

Burdwan

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Puran Kotha Samgra posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Puran Kotha Samgra:

Share