Puran Kotha Samgra

Puran Kotha Samgra যদি আপনি ধর্মীয় বিষয়ে আগ্রহী হন এবং গভীর আলোচনায় অংশ নিতে চান, তাহলে এই পেজটি আপনার জন্য.....,,. আসুন, একসাথে সত্যের পথে চলি।

আজ থেকে পিতৃ পক্ষ শুরু হচ্ছে, আর এই দিনগুলোতে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য শ্রাদ্ধ, তর্পণ এবং পিণ্ড দান...
07/09/2025

আজ থেকে পিতৃ পক্ষ শুরু হচ্ছে, আর এই দিনগুলোতে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য শ্রাদ্ধ, তর্পণ এবং পিণ্ড দান-এর মতো পূজাক্রিয়া সম্পন্ন করি। এই তিনটি ক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের পূর্বজদের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করি।

​বছরে একবার ১৫ দিনের জন্য আমরা সাংসারিক ভোগ ত্যাগ করে নিজেদের পূর্বজদের জন্য এই পূজা করি, আর এই ১৫ দিনকেই পিতৃ পক্ষ বলা হয়।

​শ্রাদ্ধ: 'শ্রাদ্ধ' শব্দের অর্থ হলো 'শ্রদ্ধা সহকারে সত্যকে ধারণ করা'। যখন আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে নিজেদের পূর্বজদের মুক্তির জন্য পূজা করি, তখন তাকে শ্রাদ্ধ বলে। এটি মূলত পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম।

​তর্পণ: 'তর্পণ' শব্দটি এসেছে 'তৃপ্তি' থেকে। সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী, স্থূল শরীরের দাহ সংস্কারের পর যদি কর্মসংস্কার খুব প্রবল হয়, তবে আত্মা নতুন শরীর ধারণ করতে পারে না এবং পুরোনো শরীরকেই খুঁজতে থাকে। এই কারণে, তিল ও জল দ্বারা তর্পণ কর্মক্রিয়া করে আমরা পূর্বজদের অতৃপ্ত আত্মার তৃপ্তি কামনা করি।

​পিণ্ড দান: পিণ্ড দান-এর সময় আমরা সাধারণত কোনো তীর্থস্থানে গিয়ে চাল, দুধ, দই, ঘি, চিনি এবং তিল ইত্যাদি দিয়ে পিণ্ড তৈরি করি। এই পিণ্ডগুলোকে নিজেদের পিতৃপুরুষদের প্রতীক মনে করে তাদের উদ্দেশ্যে সমর্পণ করা হয়।

​এক কথায় বলতে গেলে, এই তিনটি পূজার মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা এবং তাঁদের আত্মার মোক্ষ বা শান্তির জন্য প্রার্থনা করা।

পিতৃ পক্ষ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
SB Bubai

আজ আমরা আচার্য চাণক্যের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ নিয়ে আলোচনা করবো, যা আমাদের জীবনে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। আ...
06/09/2025

আজ আমরা আচার্য চাণক্যের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ নিয়ে আলোচনা করবো, যা আমাদের জীবনে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে এমন কিছু জিনিসের কথা বলেছেন, যাদের উপর কখনোই বিশ্বাস করা উচিত নয়। তিনি বলেছেন, জীবনের এই পাঁচটি জিনিস থেকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।

​১. লম্বা নখের হিংস্র পশু:
আচার্য চাণক্য বলেছেন যে, লম্বা নখের হিংস্র পশুদের বিশ্বাস করা উচিত নয়। এদের হিংস্র স্বভাবের কারণে এরা কখন আপনাকে আক্রমণ করবে, তা বলা মুশকিল। তাই বন্য প্রাণীদের থেকে সবসময় দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।

​২. নদী:
নদী দেখতে শান্ত মনে হলেও এর গভীরতা ও স্রোত কখন বিপদ ডেকে আনবে, তা বলা কঠিন। নদীর স্রোত কখন গতি পরিবর্তন করে, তা কেউ জানে না। তাই নদীর কাছে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।

​৩. বড়-বড় শিংযুক্ত পশু:
বড় শিংযুক্ত পশুকেও বিশ্বাস করা উচিত নয়। এদের আকস্মিক আক্রমণে যে কোনো সময় বিপদ ঘটতে পারে। এদের আক্রমণের কোনো নির্দিষ্ট কারণ থাকে না, তাই সব সময় এদের থেকে সতর্ক থাকা উচিত।

​৪. সস্ত্রধারী মহিলা:
চাণক্যর মতে, অস্ত্রধারী মহিলাদের বিশ্বাস করা কঠিন, কারণ তাদের মনে কখন কী আছে তা বোঝা যায় না। তারা কখন রাগে বা অভিমানে অস্ত্র ব্যবহার করবে, তা অনুমান করা সম্ভব নয়।

​৫. রাজ-পরিবারের লোক:
চাণক্য বলেছেন যে, রাজ-পরিবারের লোকেদেরও বিশ্বাস করা উচিত নয়। ক্ষমতার লোভ আর উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে তারা যেকোনো মুহূর্তে তাদের অবস্থান পাল্টে ফেলতে পারে। তাদের উদ্দেশ্য বোঝা কঠিন, তাই তাদের থেকে সতর্ক থাকা বুদ্ধিমানের কাজ।

আচার্য চাণক্যের এই নীতিগুলো আজও প্রাসঙ্গিক। এই পাঁচটি জিনিস থেকে দূরে থেকে আমরা আমাদের জীবনকে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারি। মনে রাখবেন, বিপদ সবসময় আকস্মিক আসে, তাই সতর্কতা আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
SB Bubai

আচার্য চাণক্য বলেন, জীবনের স্থির বা নিশ্চিত বিষয়গুলো ছেড়ে যখন আমরা অনিশ্চিতের পিছনে ছুটি, তখন আমাদের নিশ্চিত অর্জনগুলোও ...
04/09/2025

আচার্য চাণক্য বলেন, জীবনের স্থির বা নিশ্চিত বিষয়গুলো ছেড়ে যখন আমরা অনিশ্চিতের পিছনে ছুটি, তখন আমাদের নিশ্চিত অর্জনগুলোও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ যা অনিশ্চিত, তা তো আপনা থেকেই ক্ষণস্থায়ী। তাই অনিশ্চিতকে বিশ্বাস করা বোকামি।

চাণক্যের মতে, বুদ্ধিমান মানুষের রূপের চেয়ে কুলের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ কুল বা বংশ আমাদের সংস্কার ও মূল্যবোধের পরিচয় দেয়। একজন নীচ কুলের কন্যা যতই রূপবতী বা সুশীল হোক না কেন, তার থেকে সম্মানীয় ও কুলীন বংশের কন্যাকেই বিবাহ করা শ্রেয়, भलेই সে কম রূপবতী হোক। কারণ, বিবাহ সর্বদা সমান কুলেই হওয়া উচিত, যেখানে চিন্তাভাবনা ও সংস্কৃতিতে মিল থাকে।
SB Bubai

কল্কি সিনেমাতে আপনারা হয়তো অমিতাভ বচ্চনকে মহাপ্রতাপী অশ্বত্থামার চরিত্রে দেখেছেন। লোকেদের দৃষ্টি শুধু অশ্বত্থামার রহস্য...
01/09/2025

কল্কি সিনেমাতে আপনারা হয়তো অমিতাভ বচ্চনকে মহাপ্রতাপী অশ্বত্থামার চরিত্রে দেখেছেন। লোকেদের দৃষ্টি শুধু অশ্বত্থামার রহস্যময় মণির দিকে গিয়েছে, কিন্তু তাঁর পোশাকের দিকে হয়তো যায়নি। যদি আপনি লক্ষ করেন, তাহলে দেখতে পাবেন অশ্বত্থামা নিজের শরীরে অনেক কাপড় জড়িয়ে রেখেছেন আর এটা কোনো ফ্যাশন নয়... এর পেছনে একটা কারণ আছে।
​একবার পাণ্ডবদের বিনাশ করার জন্য অশ্বত্থামা ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করেন। সেটা দেখে অর্জুনও ব্রহ্মাস্ত্র দিয়েই এর উত্তর দেন। তখন ঋষি বেদব্যাস এবং দেবর্ষি নারদ সেখানে এসে অনুরোধ করেন যে দুজনেই যেন নিজেদের ব্রহ্মাস্ত্র ফিরিয়ে নেন। অর্জুন নিজের ব্রহ্মাস্ত্র ফিরিয়ে নেন, কিন্তু অশ্বত্থামা ব্রহ্মাস্ত্র ফিরিয়ে নিতে জানতেন না। তাই তিনি সেটা অভিমন্যুর স্ত্রী উত্তরার গর্ভে আঘাত করার জন্য পাঠিয়ে দেন। এতে শ্রী কৃষ্ণ ক্রুদ্ধ হয়ে অশ্বত্থামাকে অভিশাপ দেন যে, পরবর্তী তিন হাজার দিব্য বছর পর্যন্ত এই মর্ত্যলোকেই তিনি পচতে থাকবেন। তাঁর শরীর নানা রকম রোগে আক্রান্ত থাকবে, যার ফলে তাঁর শরীর থেকে পুঁজ আর রক্তপাত হতে থাকবে এবং দুর্গন্ধ বের হবে। আর এই কারণে নিজের শরীরকে লুকানোর জন্য তিনি নিজের শরীরকে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রেখেছেন।
SB Bubai

প্রায়শই আমরা দেখি যে দেব-দেবীর দেওয়া বরদান শর্তসাপেক্ষ হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে তা ব্যর্থও হয়ে যায়। শাস্ত্রে এমন কিছু ঘটনা প...
30/08/2025

প্রায়শই আমরা দেখি যে দেব-দেবীর দেওয়া বরদান শর্তসাপেক্ষ হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে তা ব্যর্থও হয়ে যায়। শাস্ত্রে এমন কিছু ঘটনা পাওয়া যায় যেখানে মনে হয় যেন বরদানটি কোনো বাধা ছাড়াই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এখানে তেমনই দুটি উদাহরণ তুলে ধরা হলো

​১. হলিকার অগ্নিতে ভস্ম হওয়া: রাজা হিরণ্যকশিপু তার পুত্র প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য নিজের বোন হলিকার সাহায্য নিয়েছিলেন। হলিকার বরদান ছিল যে, আগুন তাকে ভস্ম করতে পারবে না। কিন্তু বরদান থাকা সত্ত্বেও, প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে আগুনে প্রবেশ করার পর তিনি নিজেই ভস্ম হয়ে যান।

​২. ভগবান শিব দ্বারা জয়দ্রথকে বরদান: পাণ্ডবদের দ্বারা অপমানিত হওয়ার পর জয়দ্রথ কঠোর তপস্যা করে ভগবান শিবের কাছে পাণ্ডবদের পরাজিত করার শক্তি চেয়েছিলেন। ভগবান শিব তাকে বরদান দেন যে, তিনি পাণ্ডবদের হারাতে পারবেন না, তবে একদিনের জন্য তাদের অগ্রগতি আটকে রাখতে পারবেন। কিন্তু কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন তাকে পরাজিত করেন। এই বরদান অর্জুনকে আটকাতে পারতো না , কারণ স্বয়ং ভগবান শিবই অর্জুনকে পাশুপতাস্ত্রের জ্ঞান দিয়েছিলেন।
SB Bubai

ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম, যিনি ঋষি জমদগ্নি এবং মাতা রেণুকার পুত্র। তার আবির্ভাবের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্য...
29/08/2025

ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম, যিনি ঋষি জমদগ্নি এবং মাতা রেণুকার পুত্র। তার আবির্ভাবের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী ছিলো—তিনি এমন এক সময়ে পৃথিবীতে আসবেন যখন পাপ ও অন্যায় চরম সীমায় পৌঁছাবে।
​পরশুরাম যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী হওয়ার জন্য মহাদেবের কঠোর তপস্যা করেন। তার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান শিব তাকে সমস্ত যুদ্ধ কৌশল এবং দিব্য অস্ত্রের জ্ঞান প্রদান করেন। প্রশিক্ষণ শেষে মহাদেব তার প্রিয় শিষ্যকে পরীক্ষা করার জন্য এক ভয়াবহ যুদ্ধের আহ্বান জানান। এই যুদ্ধে পরশুরাম অসাধারণ যুদ্ধকৌশল প্রদর্শন করেন এবং একপর্যায়ে নিজের বর্শা দিয়ে স্বয়ং মহাদেবের মাথায় আঘাত করেন।
​পরশুরামের এই অদম্য সাহস এবং নিষ্ঠায় মহাদেব অত্যন্ত প্রসন্ন হন। তিনি শুধু তাকে ক্ষমাই করেননি, বরং নিজের সমস্ত দিব্য অস্ত্রের জ্ঞান এবং বরও প্রদান করেন। এ কারণেই পরশুরাম হলেন একমাত্র ব্যক্তি যার কাছে ভগবান শিবের সব অস্ত্রের জ্ঞান ছিলো।
SB Bubai

আপনি কি জানেন, মানুষ কখন তার আসল রূপ দেখায়? আচার্য চাণক্য কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে এই বিষয়ে দারুণ কিছু কথা বলেছেন।​সেবকের...
28/08/2025

আপনি কি জানেন, মানুষ কখন তার আসল রূপ দেখায়? আচার্য চাণক্য কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে এই বিষয়ে দারুণ কিছু কথা বলেছেন।

​সেবকের পরীক্ষা

যখন আপনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে কাউকে পাঠান, তখন বোঝা যায় আপনার সেবক বা সহকর্মী আসলে কতটা বিশ্বস্ত।

​বন্ধুর পরীক্ষা

দুঃখে আপনার পাশে যে থাকে? আসল বন্ধুকে চেনার এটাই সেরা সময়।

মিত্র ও স্ত্রীর পরীক্ষা

যখন জীবনে বড় কোনো বিপদ আসে, তখন আপনার মিত্রের আসল পরিচয় জানা যায়। আর যখন ধন-সম্পদ শেষ হয়ে যায়, তখন বোঝা যায় আপনার জীবনসঙ্গিনী কতটা আপনার পাশে আছেন।

​তাই এই সব পরিস্থিতিতে যারা আপনার পাশে থাকে, তাদের যত্ন নিন। তারাই আপনার জীবনের আসল সম্পদ।
ওপরের লেখার ছবি বানাও
SB Bubai

আপনারা কি কখনো লক্ষ্য করেছেন যে নটরাজের মূর্তি সবসময় এই ভঙ্গিতে কেনো থাকে?​প্রাচীনকালে অপস্মার নামে একটি রাক্ষস ছিলো, যে...
27/08/2025

আপনারা কি কখনো লক্ষ্য করেছেন যে নটরাজের মূর্তি সবসময় এই ভঙ্গিতে কেনো থাকে?
​প্রাচীনকালে অপস্মার নামে একটি রাক্ষস ছিলো, যে পৃথিবীতে অজ্ঞানতা আর আলস্য ছড়াতো। তাকে ভগবান ব্রহ্মা অভিশাপ দিয়েছিলেন যে সে সারা জীবন বামন হয়ে থাকবে।
​যখন মানুষের মধ্যে অজ্ঞানতা আর আলস্য মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলো, তখন ভগবান শিব তা আটকানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু মহাদেব জানতেন যে অপস্মারকে বধ করলে অজ্ঞানতা আর আলস্য পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে এবং জ্ঞান সবার জন্য সহজে উপলব্ধ হবে। যদি এই অমূল্য জ্ঞান সবার জন্য সহজেই পাওয়া যায়, তাহলে তার কোনো মূল্য থাকবে না।
​এই কারণে, ব্রহ্মাণ্ডের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য তিনি নটরাজের রূপ ধারণ করে 'তাণ্ডব' নামক ঐশ্বরিক নৃত্য দ্বারা অপস্মারকে বশ করেন এবং তার ডান পায়ের নিচে তাকে চেপে ধরেন।
​এভাবেই অজ্ঞানতা ও আলস্যকে পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ শেষ না করে ভগবান শিব তাকে বশ করে রেখেছেন।
​আজও আপনি নটরাজের যত মূর্তি দেখবেন, অপস্মারকে সবসময় তার পায়ের নিচে চাপা পড়ে থাকতে দেখবেন।
SB Bubai

আজকের কাহিনীটি পঞ্চভূতের (পঞ্চ তত্ত্বের) অন্যতম প্রধান, পবন দেবকে নিয়ে লেখা। এই গল্পটি অনেকগুলো রোমাঞ্চকর প্রতীক দিয়ে ...
26/08/2025

আজকের কাহিনীটি পঞ্চভূতের (পঞ্চ তত্ত্বের) অন্যতম প্রধান, পবন দেবকে নিয়ে লেখা। এই গল্পটি অনেকগুলো রোমাঞ্চকর প্রতীক দিয়ে পরিপূর্ণ।

একবার দেবর্ষি নারদ তীর্থযাত্রায় বেরোলেন তাঁর মেঘরথে চড়ে। ভক্তিভাবে পরিপূর্ণ হয়ে শ্রী নারায়ণের নাম জপতে জপতে তিনি যাচ্ছিলেন, হঠাৎ অনুভব করলেন যে সামনে একটি বড় বাধা। ধ্যান থেকে চোখ খুলে দেখলেন এক বিশালকায় পর্বত তাঁর পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছে। নারদ মুনি সেই পর্বতকে প্রণাম করে বললেন, "আমি তীর্থযাত্রায় বেরিয়েছি, যদি আপনি একটু রাস্তা দেন, তবে আমি চলে যেতে পারি।" সেই পর্বতের নাম ছিলো মেরু। সে নারদের কথা অত্যন্ত অহংকারভরে শুনলো এবং একইভাবে জবাব দিলো, "শুনুন দেবর্ষি, আমি কেবল বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য পথ ছেড়ে দিই, বাকি সবাই পথ পরিবর্তন করে চলে যায়।"
​নারদের এই কথা খুব অদ্ভুত লাগলো, কিন্তু তিনি তো নারদ! তিনি নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করে বললেন, "হে পর্বত, আপনি তো জানেন আমি সর্বদা অন্য পথ দিয়ে যাতায়াত করি, কিন্তু এবারে সময়ের অভাব। আমাকে তাড়াতাড়ি যেতে হবে, তাই এখান থেকেই আমাকে পথ দেওয়ার কৃপা করুন।"
​মেরু আবার সেই অহংকারী স্বরে জবাব দিলো, "আপনি কোন বিশেষ ব্যক্তি? তাও যদি আপনার এতো তাড়া থাকে, তাহলে আপনি আমাকে প্রদক্ষিণ করে যেতে পারেন।" এই প্রদক্ষিণ করার কথা দেবর্ষির কাছে অপমানজনক মনে হলো। তিনি এবার মনে মনে ক্রোধ করার পরিবর্তে মেরুকে একটি উচিত শিক্ষা দেওয়ার কথা ভাবলেন। তিনি মেরুকে স্পষ্ট জিজ্ঞেস করলেন, "প্রভু, আপনি কি আমার প্রার্থনা শুনবেন না?" মেরু অহংকারের সঙ্গে বলল, "একদম না। যদি যেতে চান, তাহলে আমাকে প্রদক্ষিণ করে যান। আমি আপনাকে পথ দিতে পারবো না।" নারদ একটু হেসে আবারও জিজ্ঞেস করলেন, "আচ্ছা ঠিক আছে, যদি দেবরাজ ইন্দ্র আপনাকে আমার জন্য পথ দিতে বলেন, তাহলে?" মেরু বলল, "কে ইন্দ্র? আমি পর্বত। আমার কর্তব্য হলো নিজের স্থান থেকে না নড়া। আমি কারো কথা শুনবো না।" নারদ বললেন, "আচ্ছা ঠিক আছে, মনে হয় দেবরাজের প্রতি আপনার আপত্তি আছে। কিন্তু যদি জলের দেবতা বরুণ আপনাকে পথ দিতে বলেন, তাহলে?" মেরু আবার বললো, "বললাম তো পথ দেবো না।" নারদ আবার হেসে বললেন, "ঠিক আছে, তাহলে তুমিই বলো কার কথা শুনবে?" মেরু পর্বত তখন এই সব কথায় বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলো এবং বললো, "আমি কারো কথা শুনবো না।" নারদ বুঝতে পারলেন, এবার সে তাঁর ফাঁদে পড়েছে। তাই তিনি আবারও বললেন, "ভালো করে ভেবে দেখুন, আপনাকে ভগবান ব্রহ্মার দিব্যি, আপনি কি পবন দেবের কথাও শুনবেন না?" একই রাগ আর অহংকারে মেরু পর্বত চিৎকার করে বললো, "আমি আপনাকে কারো কথাতেই পথ দেবো না। আমি পবন দেবের কথাও শুনবো না।"
​এটা শুনে দেবর্ষি নারদ জোরে হেসে উঠলেন। মেরু শীঘ্রই বুঝতে পারলো যে সে ফাঁদে পড়ে গেছে। আশা করি আপনারা সবাই জানেন যে পবন দেব হলেন পর্বতের রাজা এবং সব পর্বত তাঁর অধীনে। নিজের রাজার বিরুদ্ধেই ভগবান ব্রহ্মার দিব্যি দেওয়ার পর মেরু নিজের ভুল বুঝতে পারলো, কিন্তু অহংকার কখনো ভুল স্বীকার করতে পারে না। সে ভুলকেই সঠিক মনে করে এবং এখান থেকেই পতনের শুরু হয়। মেরু দেবর্ষি নারদকে বললো, "আপনি আমাকে ধর্ম সংকটে ফেলে দিয়েছেন, কিন্তু যা-ই হোক আর যে যা-ই বলুক, দেবর্ষি, আপনাকে পথ দেবো না মানে দেবো না।"
​দেবর্ষি নারদ সেখান থেকে সোজা পবন দেবের কাছে গেলেন। তিনি বললেন, "গতকাল পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম। মেরু পর্বত রাস্তায় ছিলো। আমি আপনার কথাও বললাম যে আপনি আমার বন্ধু, আপনি ওকে বলে দিলেই ও পথ ছেড়ে দেবে। কিন্তু সে খুব অহংকারী হয়ে গেছে। যখন আমি ওর কাছে পথ চাইলাম, সে বললো, 'পবন দেব কে? যে তাঁর কথাতে পথ দেবো?'" এটা শুনে পবন দেব ধীরে ধীরে ক্রোধিত হয়ে উঠলেন। তিনি বললেন, "আচ্ছা, আমি এখনই ওই অহংকারী পর্বতকে উচিত শিক্ষা দিচ্ছি।"
​পবন দেব মেরু পর্বতকে দণ্ড দেওয়ার জন্য তাঁর পুরো বেগে বইতে লাগলেন। মেরু পর্বতে থাকা জীবজন্তুরা নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য এদিক ওদিক পালাতে লাগলো। পর্বত কাঁপতে লাগলো, সমস্ত গাছপালা নষ্ট হতে লাগলো। পবন দেব ঠিক করলেন যে এর অহংকারে ভরা মাথা কেটে শান্ত হবেন। এত বড় পর্বতকে চোখের পলকে নষ্ট করা অসম্ভব ছিলো। তাই পবন দেব নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে আঘাত করতে লাগলেন। এই সংঘর্ষের সময় এমন একটা পরিস্থিতিও এলো যখন মেরু পুরোপুরিভাবে হেরে যেতে বসেছিলো।
​তখনই হঠাৎ তার ভাগ্য দেখুন, ওদিক থেকে ঘুরতে ঘুরতে তার পুরোনো বন্ধু, ভগবান শ্রীবিষ্ণুর বাহন গরুড় এসে পৌঁছালেন। গরুড় নিজের মিত্রধর্ম পালন করলেন এবং মেরু পর্বতকে সাহায্য করলেন। গরুড় দেব পুরো ক্ষমতার সঙ্গে মেরু পর্বতকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন। এই যুদ্ধ পুরো এক বছর পর্যন্ত চলতে লাগলো। একদিন শ্রী হরি বিষ্ণুর কোনো এক জায়গায় যাওয়ার ছিলো, তাই তিনি গরুড়কে ডাকলেন। গরুড়ের কাছে মিত্রধর্মের চেয়ে কর্তব্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো এবং তিনি তাঁর কর্তব্য পালনের জন্য চলে গেলেন। মেরু একা হয়ে পড়লো এবং বারবার যুদ্ধরত মেরু পবন দেবের আক্রমণ সহ্য করতে পারলো না। পবন দেবের শেষ আঘাতে তার মস্তক বিহীন হয়ে ভূমিতে পড়লো এবং তার অহংকারের পতন ঘটলো।

​এই কাহিনীর সারসংক্ষেপ

​এই কাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সার হলো—রাগ বা আবেগপ্রবণ হয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত। যখন আমরা রাগের মধ্যে থাকি, তখন আমাদের ক্রোধে মন ভরে থাকে এবং আমাদের ভাবনা-চিন্তা করার ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়।

​মেরু যদি নিজের ভাবনা-চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতো, তাহলে কখনোই এই সামান্য কারণে ভগবান ব্রহ্মার নামে প্রতিজ্ঞা করতো না। মেরু যদি স্বাভাবিক বুদ্ধি ও বিবেকের সঙ্গে থাকতো, তাহলে দেবর্ষি নারদের অনুরোধ শুনে তার ক্রোধ এলেও, এই ক্রোধের পরিণতি যে তার পতন ঘটাবে, তা সে বিচার করতো।

​এই কাহিনী আমাদের এটাও শেখায় যে জীবনে কখনোই অপরের উস্কানিতে নিজের শক্তি এবং জ্ঞানের অপব্যবহার করা উচিত নয়।
SB Bubai

নকুল পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে চতুর্থ। অনেকেই মনে করেন তিনি শুধু সুদর্শন ছিলেন। কিন্তু তাঁর পরিচয় কি এটুকুই?নকুল শব্দের অর্থ 'য...
25/08/2025

নকুল পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে চতুর্থ। অনেকেই মনে করেন তিনি শুধু সুদর্শন ছিলেন। কিন্তু তাঁর পরিচয় কি এটুকুই?নকুল শব্দের অর্থ 'যিনি রূপ-গুণে শ্রেষ্ঠ'। তাঁর পিতা ছিলেন পাণ্ডু এবং মাতা মাদ্রী, কিন্তু লালন-পালন করেন কুন্তী। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন অশ্ববিদ্যায় অতুলনীয়। কোনো ঘোড়াই তাঁর সামনে শান্ত থাকতে পারতো না, আর কোনো শত্রু তাঁর অস্ত্রের সামনে টিকতে পারতো না। কিন্তু নকুলের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিলো তাঁর ধৈর্য এবং সংকল্প। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিশ্বস্ত, তাঁর ভাইদের প্রতি তাঁর আনুগত্য ছিলো প্রশ্নাতীত। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তিনি শত শত যোদ্ধা, বিশেষত শকুনির ছেলে উলুককে পরাস্ত করে তাঁর বীরত্বের পরিচয় দেন।সুদর্শন রূপ আর বীরত্বের মিশেলে নকুল ছিলেন এক অসাধারণ চরিত্র। তিনি শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক ছিলেন না, ছিলেন এক শক্তিশালী যোদ্ধা, একজন বিশ্বস্ত ভাই এবং একজন অসাধারণ অশ্ববিদ।
SB Bubai

আচার্য চাণক্য বলেছেন "যে বন্ধু আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার কাজ নষ্ট করে এবং উপস্থিতিতে মিষ্টি কথা বলে, তাকে এমন বিষের পাত্র...
24/08/2025

আচার্য চাণক্য বলেছেন "যে বন্ধু আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার কাজ নষ্ট করে এবং উপস্থিতিতে মিষ্টি কথা বলে, তাকে এমন বিষের পাত্রের মতো ত্যাগ করা উচিত যার মুখে দুধ মাখানো আছে।"
অর্থাৎ, যে বন্ধু মুখে মিষ্টি কথা বললেও মনে মনে আপনার ক্ষতি করার উদ্দেশ্য রাখে, সে অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাকে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
SB Bubai

23/08/2025

ভৈরবী যন্ত্রণা কি 🤔

Address

Burdwan

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Puran Kotha Samgra posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Puran Kotha Samgra:

Share