Puran Kotha Samgra

Puran Kotha Samgra যদি আপনি ধর্মীয় বিষয়ে আগ্রহী হন এবং গভীর আলোচনায় অংশ নিতে চান, তাহলে এই পেজটি আপনার জন্য.....,,. আসুন, একসাথে সত্যের পথে চলি।

১৮শ শতাব্দীর কথা। কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ দুর্গ মহীশূরের শাসক হায়দার আলীর আক্রমণের মুখে পড়েছিলো। হায়দার আলী দুর্গটিকে চার...
30/10/2025

১৮শ শতাব্দীর কথা। কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ দুর্গ মহীশূরের শাসক হায়দার আলীর আক্রমণের মুখে পড়েছিলো। হায়দার আলী দুর্গটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছিলেন, উদ্দেশ্য ছিলো ভেতরের সৈন্যদের খাবার ও জলের অভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা। অবরোধ দীর্ঘায়িত হচ্ছিলো এবং দুর্গের ভেতরের মানুষ ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হয়ে উঠছিলো।
​একসময় হায়দার আলীর এক সৈনিক দুর্গে প্রবেশের একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পেলো। এই সুড়ঙ্গ দিয়ে হায়দার আলী তাঁর সৈন্যদের দুর্গের ভেতরে পাঠাতে শুরু করলেন।
​সুড়ঙ্গটির শেষ প্রান্তে দুর্গের ভেতরে যেখানে সুরঙ্গ শেষ হয়েছে, সেখানে এক প্রহরী মোতায়েন ছিলো। দুর্ভাগ্যবশত, সেই মুহূর্তে প্রহরী খাবার খেতে গিয়েছিলো এবং তার স্ত্রী, ওনাভা, তখন সেখানে জল ভরছিলেন। তিনি সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে কিছু শব্দ শুনতে পেলেন। প্রথমে তিনি কিছুটা ভয় পেলেও চিৎকার করেননি।
​অসাধারণ সাহস দেখিয়ে ওনাভা হাতে থাকা মসলা বাটার দণ্ড দিয়েই এক এক করে প্রবেশকারী শত্রুদের সৈন্যদের আঘাত করে হত্যা করতে লাগলেন। তিনি নীরবে মৃতদেহগুলোকে সরিয়ে রাখছিলেন যতক্ষণ না তাঁর স্বামী ফিরে এলেন। এভাবেই ওনাভা তাঁর অবিশ্বাস্য বীরত্ব প্রদর্শন করেছিলেন, যা ভারতীয় নারীদের অদম্য সাহস ও আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
SB Bubai

আপনি কি জানেন জীবনে কিছু বিশেষ সুখ কেবল মহাভাগ্যবানদেরই প্রাপ্ত হয়? আচার্য চাণক্যের মতে— ভোজ্য পদার্থ এবং ভোজন-শক্তি! অর...
28/10/2025

আপনি কি জানেন জীবনে কিছু বিশেষ সুখ কেবল মহাভাগ্যবানদেরই প্রাপ্ত হয়?
আচার্য চাণক্যের মতে— ভোজ্য পদার্থ এবং ভোজন-শক্তি! অর্থাৎ, ভালো খাবার প্রাপ্তিও হোক, আর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তা হজম করার শক্তিও বজায় থাকুক ।
এর সাথে দরকার, রতিশক্তি এবং একজন সুন্দরী স্ত্রী! স্ত্রী-সম্ভোগের ইচ্ছা বজায় থাকুক এবং একজন সুন্দরী ও গুণবতী জীবনসঙ্গীর প্রাপ্তি হোক।
বৈভব এবং দান-শক্তি জীবনে ধন-সম্পত্তি থাকুক, আর সেই ধন থেকে দু'হাত ভরে দান করার অভ্যাসও থাকুক।

চাণক্য বলছেন— এই ৬টি সুখ কোনো অল্প তপস্যার ফল নয়। এই সমস্ত কিছু কেবল সেই ভাগ্যশালী ব্যক্তিরই প্রাপ্ত হয়, যিনি পূর্বজন্মে অখণ্ড এবং কঠোর তপস্যা করেছেন।
SB Bubai

মহাভারতের অনুশাসন পর্বে পিতামহ ভীস্ম বলেছেন, 'যে যদি বারো বছর পর্যন্ত ক্রমাগত একটি কাজ করা যায়, তাহলে সেই কাজ সিদ্ধ হয়ে ...
24/10/2025

মহাভারতের অনুশাসন পর্বে পিতামহ ভীস্ম বলেছেন, 'যে যদি বারো বছর পর্যন্ত ক্রমাগত একটি কাজ করা যায়, তাহলে সেই কাজ সিদ্ধ হয়ে যায়।
গোকুলে এক অদ্ভুত ভক্ত ছিলেন কৃষ্ণ দাস। তিনি সেটা জানার পর মালা বানিয়ে ভগবান কৃষ্ণের কাছে গেলেন এবং বললেন - 'ভগবান, বারো বছর পর্যন্ত প্রতিদিন মালা পরাতে আসবো। তেরো বছরের প্রথম সকাল যেদিন হবে, সেদিন আপনাকে মালা পরার জন্য আমার কুটিরে আসতে হবে।'
​তারপর থেকে কৃষ্ণ দাস প্রতিদিন মালা বানাতেন এবং প্রতিদিন ভগবানের কাছে নিয়ে যেতেন। আর প্রতিদিন ভগবানকে মনে করাতেন, 'আজ এতো দিন হয়েছে।' বারো বছরের যেদিন শেষ দিন ছিলো, সেদিন তিনি ভগবানকে বললেন - 'ভগবান, কালকে আপনার পালা। কালকে তেরো বছরের প্রথম সকাল, কালকে যদি আপনি না আসেন, তাহলে আমি কোনো দিন আপনার কাছে আসবো না।'
​কৃষ্ণ দাস ভোজন রান্না করার প্রস্তুতি নিলেন। সারা রাত জেগে ভোগ বানালেন। সকাল থেকে অপেক্ষা করতে লাগলেন, 'ভগবান এবার আসবেন, এবার আসবেন।' বিকেল হয়ে গেলো, কিন্তু ভগবান এলেন না। এতে কৃষ্ণ দাসের রাগ হলো। তিনি পুরো ছাপান্ন ভোগ তুললেন এবং নিজের পুঁটলিতে বাঁধলেন। মন্দিরের দিকে তাকিয়ে বললেন - 'কেউ নেই কৃষ্ণ, বৃষ্ণ। পাথরের মূর্তি ওটা, শুনলে আজ চলে আসতো, শুনতেই পায় না।' মনে মনে বিড়বিড় করতে করতে তিনি যাচ্ছিলেন।
​সামনে থেকে গরুর পাল আসছে। এমন সময় একজন বালক চিৎকার করে বললো - 'আরে দাদু, শুনুন, দাঁড়াও! এতগুলো গরু আসছে, তোমার ধাক্কা লেগে যাবে, তুমি পড়ে যাবে। দাঁড়িয়ে যাও কিছুক্ষণ।' কৃষ্ণ দাস দাঁড়িয়ে গেলেন। বালক বললো - 'খুব সুন্দর সুগন্ধ আসছে আপনার পুঁটলি থেকে।
আপনি মনে হয় খাবার খাননি। যতক্ষণ গরু যাচ্ছে, ততক্ষণ এখানে বসে খেয়ে নিন।'
​কৃষ্ণ দাস বললেন - 'না, আমি খাব না।' বালক বলল - 'কেন, কী হয়েছে?' কৃষ্ণ দাস বললেন - 'আদুরে কানাইয়া আছে না? আরে, খুব বাহানা ওর। বারো বছর গেছি মালা পরাতে, একদিন বলেছিলাম আমার কাছে আসতে, কিন্তু আসেনি। সকাল থেকে বিকেল হয়ে গেছে, তাই আমি চলে যাচ্ছি এখান থেকে।'
​বালক বললো - 'দাদু, এত রাগ কেন? আমার খিদে পেয়েছে, আমিও সকাল থেকে কিছু খাইনি। আমাকে আপনি খাইয়ে দাও।' কৃষ্ণ দাস বললেন - 'ঠিক আছে, খেয়ে নাও।' বালক বললো - 'আপনি দেখতে পাচ্ছেন না, আমার হাত নোংরা, আমি কী করে খাবো? আপনি আপনার হাত দিয়ে খাইয়ে দিন।'
​কৃষ্ণ দাস এক একবার নিজে খাচ্ছেন আর এক একবার সেই বালককে খাইয়ে দিচ্ছেন। এবার ওই বালককে যখন দু-তিন বার খাওয়ালেন, তখন বালকের চোখ থেকে জল পড়তে লাগলো। কৃষ্ণ দাস বললেন - 'তুমি কাঁদছ কেন? খিদে পেয়েছিলো, খাবার খাওয়াচ্ছি তো, তাহলে কাঁদছ কেনো?'
​তখন বালক বলল - 'দাদু, মালা পরাবে না আজকে?' কৃষ্ণ দাস বললেন - 'কে তুই?' বালক বললো - 'আমিই তো তোমার কৃষ্ণ। দাদু, যখন তুমি মালা পরাও, তখন মনে হয় তুমি আমাকে আলিঙ্গন করছো। আজ সকাল থেকে সেই আলিঙ্গন অনুভব হয়নি। সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলাম, ভক্তরা অনেক ভোজন দিয়েছে, কিন্তু আমি কারও হাতের খাবার খাইনি। আমি আমার কৃষ্ণ দাসের হাত থেকে খাবার খাবো বলে।'
SB Bubai

আজ দীপাবলির দিন আমাদের ভারতের একটি গ্রাম অন্ধকারে থাকবে। আপনি প্রদীপ জ্বালাবেন, বাজি ফাটাবেন, কিন্তু প্রায় ২০০ বছর ধরে ...
20/10/2025

আজ দীপাবলির দিন আমাদের ভারতের একটি গ্রাম অন্ধকারে থাকবে। আপনি প্রদীপ জ্বালাবেন, বাজি ফাটাবেন, কিন্তু প্রায় ২০০ বছর ধরে এই গ্রাম দীপাবলির সময় একটিও প্রদীপ জ্বালায়নি। আপনারা এই কথা জেনে অবাক হবেন 'যে এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ব্রাহ্মণ। এই গ্রামেই শ্রী রামানুজাচার্য বিশিষ্টাদ্বৈতের দর্শন অনুসরণ করেছিলেন এবং তার সাথে মন্দির নির্মাণ করে উৎসব উপভোগ করেছিলেন। কিন্তু একদিন দীপাবলির রাতে এই মেলুকোট গ্রামকে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হয়েছিলো। সাতশোরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো আর এটা করেছিলো Secular ইতিহাসকারদের পছন্দের টিপু সুলতান।
কিছু ইতিহাসকার টিপু সুলতানকে 'First Freedom Fighter of India' বলেন, তো কিছু লোক 'Nepolian of India' বলেন, কিন্তু এটা কখনোই বলেন না যে এই টিপু সুলতানই কর্ণাটক আর কেরালার অনেক অংশে ধর্মান্তরণ করিয়েছিলো, হিন্দু মন্দির ভেঙেছিলো আর গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।

​কথা ১৭৯০ সালের। এই গ্রামে টিপু সুলতানের সেনা ঢোকে, সেই মন্দিরকে চারিদিক থেকে ঘিরে নেয় যেখানে দীপাবলির উৎসব পালন হচ্ছিলো। আর তারপর সৈনিকরা মন্দিরে ঢুকে লোকেদের নির্মমভাবে হত্যা করে। যেখানে মন্ত্রের প্রতিধ্বনি হচ্ছিলো, সেখান থেকে চিৎকারের প্রতিধ্বনি আসছিলো। আসলে এই কাহিনী শুরু হয় ১৭৬১ সালে, যখন হায়দার আলী ছল করে মহীশূরের রাজার কাছ থেকে তার রাজত্ব ছিনিয়ে নিয়ে পুরো রাজ পরিবারকে বন্দি করে নিয়েছিলো। কিন্তু ওনার রানী হার মানেননি এবং তিনি পুনরায় রাজ্য প্রাপ্ত করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেন। আর সেই পরিকল্পনায় এই গ্রামের বিদ্বান ব্যক্তিরা যুক্ত হয়েছিলেন। যখন টিপু সুলতান এই কথা জানতে পারলেন, তখন সে এই গ্রামকে দীপাবলির রাতেই ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিলো। আজ মেলুকোটের মন্দিরের সিঁড়িতে রক্ত শুকিয়ে গেছে, কিন্তু স্মৃতি আজও তাজা। এই জন্য যখন আমরা দীপাবলি পালন করি, এখানকার মানুষেরা প্রদীপ জ্বালান না। যাদেরকে সেদিন হত্যা করা হয়েছিলো, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে। কেননা তাদের জন্য দীপাবলি আলোর নয়, অন্ধকারের উৎসব। আমি আগেও বলেছি আর এখনও বলছি, দয়া করে কেউ Secular হবেন না। না হলে দেশভাগের সময় বাংলাদেশে লক্ষ্মী পূজার রাত আর ভারতের মেলুকোট গ্রামের কালি পূজার রাতের মতো অবস্থা হবে।
SB Bubai

দীপাবলির পাঁচটি দিন খুব শুভ হয়। শুধু ভগবান শ্রী রাম অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন বলেই নয়, এর মধ্যে আরও অনেক শুভ ঘটনা ঘটেছিলো।য...
19/10/2025

দীপাবলির পাঁচটি দিন খুব শুভ হয়। শুধু ভগবান শ্রী রাম অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন বলেই নয়, এর মধ্যে আরও অনেক শুভ ঘটনা ঘটেছিলো।
যেমন, প্রথম দিন ধনতেরসে আপনারা কিছু না কিছু জিনিস কিনে থাকেন—কিন্তু কেন কেনেন, সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না। আসলে এই দিন সমুদ্র মন্থন থেকে ধন্বন্তরি-র সঙ্গে মা লক্ষ্মীও প্রকট হয়েছিলেন। এই জন্য এই দিন আমরা কিছু নতুন জিনিস কিনি এবং মা লক্ষ্মীর পূজা করি।
​পরের দিন ১৯ অক্টোবরে কার্তিক মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী, এটিকে কালী চতুর্দশী হিসেবে পালন করা হয়। কারণ এই দিন মা কালী রক্তবীজ নামক অসুরকে বধ করেছিলেন।
​তারপর ২০ অক্টোবরে কার্তিক মাসের অমাবস্যাতে আমরা সবাই দীপাবলি পালন করবো। কারণ এই দিন ভগবান রাম লঙ্কাতে বিজয় লাভ করে অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন।
​তারপরের দিন কার্তিক শুক্লা প্রতিপদাতে আমরা গোবর্ধন পূজা পালন করি। কারণ এই দিন ভগবান শ্রী কৃষ্ণ গোবর্ধন পর্বতকে তুলে বৃন্দাবনবাসীকে ইন্দ্রের প্রকোপ থেকে রক্ষা করেছিলেন।
​এরপর কার্তিক শুক্লা দ্বিতীয়ার দিন ভাইফোঁটা পালন করা হয়। এর কারণ হলো—এই দিন নরকাসুরকে বধ করে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ নিজের বোন সুভদ্রার কাছে গিয়েছিলেন।
​এই সমস্ত ঘটনা এবং কথা সনাতন ধর্মের গভীর জ্ঞান ও ইতিহাসকে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। দীপাবলির সময়ই যম এবং নচিকেতার মধ্যে মৃত্যুর ওপরে দার্শনিক আলোচনা হয়েছিলো। তাই এই দীপাবলিতে মিষ্টি আর সাজানো গোছানোর সাথে সাথে আমাদের ঋষি-মুনিদের গভীর জ্ঞানের সাথে যুক্ত হোন।
SB Bubai

15/10/2025

ভগবানের কলা তত্ত্ব কি 🤔

ভগবদ্গীতার (Bhagavad Gita) ব্যাপারে আমরা খুব ভালোভাবে জানি, কিন্তু খুব কম লোকই হয়তো জানে যে আমাদের ধর্মে আরও অনেক গীতা আ...
13/10/2025

ভগবদ্গীতার (Bhagavad Gita) ব্যাপারে আমরা খুব ভালোভাবে জানি, কিন্তু খুব কম লোকই হয়তো জানে যে আমাদের ধর্মে আরও অনেক গীতা আছে। 'গীতা'-র আক্ষরিক অর্থ হল এমন একটি দিব্য সঙ্গীত, যেটা একজন গুরু থেকে শিষ্যকে আত্মজ্ঞানের বোধ করার জন্য দেওয়া হয়। আসুন কিছু প্রমুখ গীতার (Gita) ব্যাপারে জানি।
​মহাভারতের যুদ্ধের পর শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে আরও একটি উপদেশ দিয়েছিলেন, যেটাকে অনু গীতা বলা হয়। এরপর একটি অষ্টবক্র গীতা আছে, যেটাতে রাজা জনক ঋষি অষ্টবক্রের কাছে আত্মা, জন্ম, মরণ এবং অন্তিম সত্যের মতো বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
একইভাবে অদ্বৈত দর্শনের ওপর অবধূত গীতা আছে, যেটা ভগবান দত্তাত্রেয় গেয়েছিলেন। মহাভারতে মার্কণ্ডেয় ঋষি যুধিষ্ঠিরকে একজন ব্রাহ্মণ আর কসাইয়ের গল্প শুনিয়েছিলেন, যেটাকে ব্যাধ গীতা বলে। আর বিদুর ধৃতরাষ্ট্রকে রাজনীতি এবং সত্যের আচরণের ওপরে জ্ঞান দিয়েছিলেন, যেটাকে বিদুর গীতা বলে।

এইভাবেই জীবনকে আধ্যাত্মিক শিক্ষা দেওয়ার মতো আরও অনেক গীতা আছে। যদি আপনারা চান যে প্রতিটি গীতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি, তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।
SB Bubai

নমস্কার বন্ধুরা! চাণক্য নীতিতে জীবন, সম্পদ ও সম্পর্ক নিয়ে আচার্য চাণক্য যে গভীর জ্ঞান দিয়েছেন, তা আজও প্রাসঙ্গিক। কিন্তু...
11/10/2025

নমস্কার বন্ধুরা! চাণক্য নীতিতে জীবন, সম্পদ ও সম্পর্ক নিয়ে আচার্য চাণক্য যে গভীর জ্ঞান দিয়েছেন, তা আজও প্রাসঙ্গিক। কিন্তু আপনারা কি জানেন, চাণক্য স্ত্রীদের ৭টি জন্মগত দোষের কথা বলেছিলেন?
আচার্য চাণক্যের মতে, মহিলাদের মধ্যে জন্মগতভাবে যে সাতটি স্বভাবজাত প্রবৃত্তি বা দোষ বিদ্যমান থাকে, সেগুলি হলো
১ মিথ্যা কথা বলার প্রবণতা।
২ সাহস/চঞ্চলতা (Courage/Fickleness) অত্যধিক সাহস বা চঞ্চলতা।
৩ ছল-কপটতা (Deceit) ছল-কপটতার আশ্রয় নেওয়া।
৪ মূর্খতা (Folly)কোনো কোনো ক্ষেত্রে মূর্খতা বা অবিবেচক হওয়া।
৫ অত্যধিক লোভ (Excessive Greed) সীমাহীন লোভ।
৬ অপবিত্রতা (Impurity) অপবিত্রতা (মানসিক বা শারীরিক)।
৭ নির্দয়তা (Cruelty)নির্দয় বা কঠিন স্বভাব।
আচার্যের মতে, এই প্রবৃত্তিগুলি স্ত্রীদের মধ্যে জন্মগতভাবে থাকে।
এই বিষয়ে আপনার কী মতামত, কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানান।
SB Bubai

কালকে পাঞ্জুরলি দাইভার কাহিনীর ব্যাপারে বলেছিলাম আজ গুলিগা দাইভার ব্যাপারে বলবো গুলিগা হলেন তুলু নাড়ু অঞ্চলের এক ভয়ংকর...
10/10/2025

কালকে পাঞ্জুরলি দাইভার কাহিনীর ব্যাপারে বলেছিলাম আজ গুলিগা দাইভার ব্যাপারে বলবো গুলিগা হলেন তুলু নাড়ু অঞ্চলের এক ভয়ংকর, ন্যায়পরায়ণ এবং সীমালঙ্ঘনকারীদের শাস্তিদাতা দাইভা।
​গুলিগার জন্ম নিয়ে একাধিক লোককথা প্রচলিত থাকলেও, একটি প্রধান কাহিনী অনুসারে তাঁর উৎপত্তি অত্যন্ত রহস্যময়।
​একবার দেবী পার্বতী ছাইয়ের স্তূপের মধ্যে একটি পাথর খুঁজে পান। পরে ভগবান শিব সেই পাথরটিকে তুলে নিয়ে পৃথিবীতে ছুড়ে মারেন। সেই পাথরটি থেকেই গুলিগা দেবতার জন্ম হয়।
​জন্ম থেকেই গুলিগা ছিলেন অত্যন্ত হিংস্র প্রকৃতির। তাঁর ক্ষুধা ছিলো সীমাহীন। তিনি এতটাই উগ্র ছিলেন যে, তিনি সূর্যকে গিলে ফেলার জন্য ধেয়ে যেতেন এবং ভগবান বিষ্ণুর হ্রদের জল পর্যন্ত পান করে ফেলতেন।
​গুলিগার এই অনিয়ন্ত্রিত উগ্রতা দেখে দেবতারা তাকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন। সেখানে তাঁকে দুটি গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়:
​১. ন্যায় প্রতিষ্ঠা: পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা এবং
২. শাস্তি প্রদান: অবিচারকারী ও পাপীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া।
​এই কারণে, গুলিগা হলেন সীমারেখা ও প্রতিশ্রুতির রক্ষক। কোনো ব্যক্তি যখন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে বা গুরুতর অন্যায় করে, তখন গুলিগা ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হন এবং তাঁর বিচার করে থাকেন।
SB Bubai

কান্তারা সিনেমাতে দেখানো দাইভা পাঞ্জুরলি হলেন কর্ণাটকের তুলু নাড়ু অঞ্চলের লোকগাথার এক প্রধান দেবতা, যিনি বন্য শূকরের দি...
09/10/2025

কান্তারা সিনেমাতে দেখানো দাইভা পাঞ্জুরলি হলেন কর্ণাটকের তুলু নাড়ু অঞ্চলের লোকগাথার এক প্রধান দেবতা, যিনি বন্য শূকরের দিব্য আত্মা হিসেবে পূজিত হন।
​ইতিহাস অনুসারে, এই দাইভার জন্ম হয়েছিলো কৈলাস পর্বতে। একসময় দেবী পার্বতী একটি অসহায় বন্য শূকরের বাচ্চাকে খুঁজে পান এবং অত্যন্ত স্নেহের সাথে তাকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করতে শুরু করেন।
​​শূকরটি যখন বড় হয়, তখন সে ক্রমশই দুর্দান্ত ও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। তার তাণ্ডবে কৈলাসের নন্দনকানন (বাগান) নষ্ট হতে শুরু করে। এতে ক্রুদ্ধ হয়ে ভগবান শিব শূকরটিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পার্বতী তার প্রিয় পোষ্যকে রক্ষা করার জন্য শিবের কাছে অনুরোধ করেন।
​দেবী পার্বতীর অনুরোধে শিব তখন শূকরটিকে হত্যা না করে তাকে একটি দিব্য আত্মায় (দাইভা) রূপান্তরিত করেন এবং পৃথিবীতে নির্বাসিত করেন। তিনি এই আশীর্বাদ দেন যে, সে পৃথিবীতে মানুষের রক্ষক হিসেবে কাজ করবে এবং যারা তার উপাসনা করবে, তাদের ফসল ও জমি রক্ষা করবে।
​এইভাবেই, বন্য শূকরটি পাঞ্জুরলি নামে পরিচিত হন। তিনি বন এবং গ্রামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা, কৃষক ও সত্যের রক্ষক দেবতা হিসেবে পূজিত হন। তাঁকে অনেক সময় ভগবান বিষ্ণুর বরাহ অবতারের একটি আঞ্চলিক রূপ হিসেবেও দেখা হয়।
SB Bubai

ভগবান বিষ্ণু প্রতিটা কালচক্রে পৃথিবীতে দশটি অবতার নিয়েছেন। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবেছেন, এই দশ অবতারের মধ্যে আমরা শ্রী র...
08/10/2025

ভগবান বিষ্ণু প্রতিটা কালচক্রে পৃথিবীতে দশটি অবতার নিয়েছেন। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবেছেন, এই দশ অবতারের মধ্যে আমরা শ্রী রাম এবং শ্রী কৃষ্ণের পূজা সব থেকে বেশি করি কেন?
​প্রতিটা অবতারে কিছু 'কলা' (অর্থ: গুণ বা বৈশিষ্ট্য) থাকে এবং এই কলা ষোলো প্রকারের হয়। ভগবান বিষ্ণু যুগ, পরিস্থিতি এবং উদ্দেশ্যের প্রয়োজন অনুসারে যতগুলি কলার প্রয়োজন হয়, ঠিক ততগুলি কলা নিয়েই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন।

​উদাহরণস্বরূপ:

​ত্রেতা যুগে ধর্ম ছিলো তিন গুণ এবং অধর্ম ছিলো এক গুণ। ভগবানের উদ্দেশ্য ছিলো সংসারকে রাক্ষস এবং রাবণের থেকে মুক্ত করা। রাবণ বরপ্রাপ্ত ছিলো যে, কোনো দেবতা তাকে বধ করতে পারবে না। এই কারণে তাকে মারার জন্য ভগবান বিষ্ণু মানুষ রূপে অবতার নেন, যার জন্য শুধুমাত্র বারোটি কলার প্রয়োজন ছিলো।
​কিন্তু দ্বাপর যুগে ধর্ম এবং অধর্ম সমান সমান ছিলো। যাতে অধর্ম জয়ী না হয়, তাই ধর্মকে স্থাপন করার জন্য ভগবান বিষ্ণুকে সম্পূর্ণ ষোলোটি কলার সাথে শ্রীকৃষ্ণের অবতার নিতে হয়েছিলো।

​বারো কলাযুক্ত মানব রূপী শ্রী রামকে যেখানে মর্যাদার মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়েছিলো, সেখানে শ্রী কৃষ্ণকে মর্যাদার বাইরে গিয়ে চাতুর্য আর রাজনীতি দিয়েও কাজ করতে হয়েছিলো। এই কারণে তাঁর মধ্যে চারটি কলা বেশি ছিলো।
​সবচেয়ে বেশি কলা ধারণ করার জন্যই এই দুটি অবতার সব থেকে বেশি পূজনীয়।
SB Bubai

07/10/2025

নারীরা মাসিক ধর্মের সময়ে পূজা পাঠ করতে পারবে 🤔

Address

Burdwan

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Puran Kotha Samgra posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Puran Kotha Samgra:

Share