PCA Diary

PCA Diary এই ডায়েরির খোলা পাতা, পথ চলতে ভালোবাসা মানুষজনের গল্প ধরে রাখে, যেখানে নটেগাছ কখনও মুড়োয় না।
ডায়েরি 👉 খেয়া ✒️, বিমল 📸 ও পথ চলতে ভালোবাসা সব্বার

**৩০০০ এরও কম খরচে পাহাড় ভ্রমণ** একটা সময় ছিল যখন বেড়াতে যেতে ইচ্ছে হলে রাজা হুকুম দিতেন হাতির পিঠে হাওদা সাজানোর। গু...
08/05/2025

**৩০০০ এরও কম খরচে পাহাড় ভ্রমণ**
একটা সময় ছিল যখন বেড়াতে যেতে ইচ্ছে হলে রাজা হুকুম দিতেন হাতির পিঠে হাওদা সাজানোর। গুপী বাঘা তো স্রেফ হাতে হাতে তালি দিয়েই চলে যেত যেখানে খুশি। এখন সময় অন্য। এখন বেড়াতে যাওয়ার আগে অনেক ভাবনা পেরোতে হয়। প্রথমেই আসে সময়। আজকের ব্যস্ত দিনে লম্বা ছুটি কই? সপ্তাহ শেষের ছোট্ট ছুটিই ভরসা। এতে পকেটের স্বাস্থ্যও ঠিক থাকে।

এ পর্যন্ত পড়ে নিশ্চয়ই ভাবছেন, "এক রাতে কি পাহাড় ঘোরা হয়?” যদি বলি, হ্যাঁ হয়। নিশ্চয়ই হয়। একরাত দুদিনে খুব ভালো করে ঘুরে দেখা যায় লাভা- লোলেগাঁও - রিশপ। এমনকি কোলাখামের ছাঙ্গে জলপ্রপাতও দেখে নেওয়া যায়। তাও ছুটে ছুটে নয়, রিল্যাক্সে। কিভাবে!? বলছি।

চলুন, এই ট্যুরের জন্য আমরা বেছে নিই 13149
কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসকে। নামব নিউ মাল জংশন স্টেশনে। সকাল তখন নটা পনের। এই রুটে শেয়ার গাড়ি মিলবে না। তাই গাড়ি আগে থেকে বুক করে রাখি। এখানে দল যতো বড়ো হবে, সাশ্রয় ততো বেশি। তারপর নতুন তৈরি লুপ ব্রীজ, যেটা বাগরাকোট হয়ে গেছে সেই পথ ধরে ঘন্টা দেড়েকের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাক লোলেগাঁও। লোলেগাঁও এর বিখ্যাত ক্যানোপি ব্রীজ এখন ভগ্নপ্রায়। রাস্তা থেকে মিনিট দশেক হেঁটে যাওয়া যায় সেখানে। তবে মন খারাপই হয়। লোলেগাঁও বাজারে আছে একটা সুন্দর পার্ক। পাশে মানানসই বুদ্ধমূর্তি। অনেকটা সময় কেটে যাবে এখানে। দুপুর হয়ে গেছে। এখানেই লাঞ্চ সারা যাক। ফাইভস্টার লাঞ্চ না কিন্তু, চলনসই। এবার এগোনো যাক লাভার দিকে। লাভায় আছে লাভা ভ্যিউপয়েন্ট। লাভা বাজারে ক্লক টাওয়ার। আর আছে একটা বড়ো মন্যাষ্ট্রি। সেখান থেকে চারপাশটা ভারি সুন্দর দেখতে লাগে। ভিতরের পরিবেশও মন শান্ত করে দেওয়ার মতো। কিছু স্যুভেনির নিতে হলে লাভা বাজারে সেরে নিন কেনাকাটা। এটাও তো বেড়ানোই অঙ্গ, তাই না? ছোট ট্যুর বলে বাদ দেওয়া যাবে না। এবার চলুন যাই রিশপে। লাভাতেও থাকার জন্য আছে বেশ কিছু হোটেল, রিসর্ট আর হোমস্টে। তবু রিশপের কথা কেন বলছি? কারণ রিশপের উচ্চতা। এখানে ঠাণ্ডা বেশি, আর নিরিবিলিও। লোয়ার রিশপে বেশ কয়েকটি থাকার জায়গা থাকলেও আমি বলব, আপার রিশপে যেতে। কারণ বুঝতে পারবেন পরদিন সকালে। যখন হরেক পাখির মিষ্টি গানে ঘুম ভাঙবে। আর বাইরে এসে দেখবেন তারা শুধু দুর্দান্ত গানই গায় না, দেখতেও অপরূপ। সাদা মেঘ পাতলা পর্দার মতো ভেসে যাচ্ছে। হোমস্টের পোষা লাল ঝুঁটি মোরগটা আ্যালার্ম ক্লকের মতো ঘন ঘন ডাকছে। কিন্তু আপনি সেই আ্যালার্ম শুনে প্রতিদিনের মতো বিরক্ত হচ্ছেন না। পাহাড় যে ততোক্ষণে সবটুকু বিরক্তি ব্লটিং পেপারে শুষে নিয়েছে। এরপর চলুন পায়ে পায়ে ঘুরে দেখি হোমস্টের বাগান, বা পায়ে চলা পথ ধরে চলে যাই টিফিনদারা। পরিষ্কার আবহাওয়ায় ওখান থেকে সুন্দর দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। ফিরে এসে, ফ্রেশ হয়ে সেরে নিই ব্রেকফাস্ট। তারপর চেক আউট করে বেরিয়ে পরি। আজ রিশপের ভ্যিউপয়েন্ট ঘুরে পাইন বনে খানিকটা সময় কাটিয়ে আমরা যাব কোলাখাম। সেখানে আছে একটা চমৎকার ঝর্ণা। ছাঙ্গে ফলস্। অনেক উপর থেকে জলধারা লাফিয়ে পড়ছে নিচে। তারপর একটা ছোট্ট ব্রীজের তলা দিয়ে একটু গিয়েই সে লুকিয়ে পরেছে একটা গুহার গভীরে। প্রকৃতির অপূর্ব খেয়ালে। তাকে দেখতে গেলে বেশ খানিকটা পথ নীচে নামতে হবে। সেই পথের কোথাও ঢালু পথ, কোথাও সিঁড়ি। হাঁটতে হাঁটতে পায়ে ব্যথা হলে পথের পাশে আপনারই মতো কেউ রেখে গেছে লাঠি, তুলে নিন। এসব পাহাড়েই মেলে। ওঠার সময় চড়াইএ কাজে লাগবে।
এরপর চলুন ফিরে যাই নিউ ম্যাল জংশনে। বিকাল পাঁচটা তিরিশের ডাউন কাঞ্চনকন্যায় চেপে বাড়ি ফিরতে হবে তো!
যেতে যেতে খরচের ছোট্ট হিসেবটা একটু দেখে নিই। আটজনের গ্রুপ ধরে খরচের হিসেব:
Bolero Car ₹3500 × 2 = 7000
Lunch (Veg) ₹100 × 8 = ₹800
Stay (With Dinner and Breakfast): ₹1200 × 8 = ₹9600
Train Ticket (Sealdah - New Mal Jn): ₹360 × 8 × 2 times: ₹5760

Per head : ₹2895 + 70 Entry ticket

Video link: https://youtu.be/nuoCdJnGH-M
Sylvan Stay: 8145329903
আমরা যেখান থেকে গাড়ি ও Room বুক করেছিলাম: 9476375958

আপেল। লাল টুকটুকে একটা ফল। কত্তো ক্ষমতা তার। রোজ খেলে ডাক্তার আপনার ত্রিসীমানায় আসবেন না। কিন্তু কেন যে সেই সৃষ্টির শুর...
30/04/2025

আপেল। লাল টুকটুকে একটা ফল। কত্তো ক্ষমতা তার। রোজ খেলে ডাক্তার আপনার ত্রিসীমানায় আসবেন না। কিন্তু কেন যে সেই সৃষ্টির শুরু থেকেই, তাকে ঘিরে এতো বিতর্ক! ঈশ্বর কেন যে তাকে এতো লোভনীয় করে বানালেন, চোখের সামনে দিনরাত ঝুলিয়েও রাখলেন, আবার তার উপরই ঝুলিয়ে দিলেন নিষিদ্ধ ফলের তকমা, সে কথা ইভ বোঝে নি। আর তাই, তার আবদারে অ্যাডাম পেড়ে এনেছিল লাল টুকটুকে একটা আপেল। “ভালোবাসার জন্য আমি কি না করেছি”-র সেই শুরু। তারপর তো ইডেনের ঝর্ণার জল বহুদূর গড়ালো! কেস চলে গেল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারে স্বর্গচ্যূত হলেন অ্যাডাম আর ইভ। কিন্তু সেই আধখাওয়া আপেলটার কি হ’ল? সে খবর কেউ রাখলো না। দুঃখে, অভিমানে, অবহেলা আর অপমানে সে যেন পাথর হয়ে গেল।
গিয়েছিলাম ডুয়ার্সে। পাহাড় যেখানে জল আর জঙ্গলের সাথে ভালোবাসায় ভাসে। ভারত ভুটান সীমান্তে ছোট্ট গ্রাম বিন্দু। সেখানে নদীর ধারে দেখি, সেই আপেল! হ্যাঁ! এমনকি তার গায়ে কামড়ের চিহ্ন পর্যন্ত স্পষ্ট। নদী, নদীর উপর ছোট্ট ব্রীজ। আর তার পাশেই সেই আপেল পাথর। গড়াতে গড়াতে এসে যেন নদীর উপর ঝুলে রয়েছে। নদীর অন্য পাড়ে আপেলের মুখোমুখি একটা রেস্তোরাঁ। নামও তার আপেল স্টোন। সুন্দর করে সাজানো সেই রেস্তোরাঁয় বসে ঝকঝকে কাঁসার থালায় একদম বাঙালি ভাত ডাল আলুপোস্ত ডিমের ডালনা পেয়ে একটু বেশিই ভাবপ্রবণ হয়ে পরেছিলাম আর কি!

মেয়েটা গল্পের বইয়ের পোকা। পছন্দের লেখকের তালিকা জুড়ে বসে আছেন সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়,...
18/04/2025

মেয়েটা গল্পের বইয়ের পোকা। পছন্দের লেখকের তালিকা জুড়ে বসে আছেন সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈয়দ মুজতবা আলীরা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "পায়ের তলায় সর্ষে" ধর্মগ্রন্থের মতো প্রিয়। ছেলেটার প্রিয় পাহাড়। যে তার বিরাট হৃদয়ে ভরে রাখতে জানে মৌসুমী মেঘের সব কান্না আর হাত বাড়িয়ে ছুঁতে জানে আকাশকে।
একদিন ঘর বাঁধে তারা। পাহাড়ে। খুব খুশি হয় পাহাড়ও। তার খুশি অজস্র ফুল হয়ে ফুটে ওঠে। সেই ফুল দেখতে ঘুম ভাঙতেই ছুটে আসেন সূর্য স্বয়ং। পাখিরা দিনের প্রথম গান শুনিয়ে যায়। আর দিনের শেষে ঝরা ফুলেরা রাঙিয়ে দিয়ে যায় তাদের ঘরে ফেরার পথ। ছোট্ট সেই ঘরের একমাত্র জানলায় আরও ছোট্ট একটা দোকান দেয় ছেলেটি। ওই টুকটাক জিনিসের দোকান যেমন হয় আর কি। কিন্তু দোকান চালানোর কোন দায় নেই তার। জানলা খোলা তো দোকান খোলা। আর জানলা বন্ধ মানে দোকানও। জীবন ওদের দেখে অবাক হয়। এতো অল্পে কি করে খুশি থাকে ওরা, এসব নিয়ে কানাকানি করার মতো আশেপাশে একটা প্রতিবেশীও নেই! নেই -এতো কম টাকায় চলে কি করে তোদের -বলার মতো আত্মীয়ও।
আমার বেয়ারা মন মনে মনে আরও অনেক কিছু ভেবে ফেলার আগেই দরজাটা একটু ফাঁক হল। হাতে বাজার করার ছোট্ট ব্যাগ হাতে বেরিয়ে এলেন ইনি। সম্ভ্রমে পেন থামালাম আমি।

অমৃত। পরম কাঙ্ক্ষিত বস্তু। দেবতারাও তার জন্য মরিয়া। অমৃত লাভ করতে তারা এমনকি তাদের চির শত্রু অসুরদের হাত ধরতেও রাজি। তা...
13/04/2025

অমৃত। পরম কাঙ্ক্ষিত বস্তু। দেবতারাও তার জন্য মরিয়া। অমৃত লাভ করতে তারা এমনকি তাদের চির শত্রু অসুরদের হাত ধরতেও রাজি। তাই তৈরি হল মহাজোট। মন্থন হল ক্ষীর সমুদ্র। মৈনাক পাহাড় হল দন্ড, বাসুকি নাগ রজ্জু। কিন্তু অমৃত মন্থনের সেই মহাকর্মযজ্ঞে প্রথমেই উঠে এলো কালকূট, তীব্র এক বিষ। দেব অসুর সকলেই যখন আতঙ্কিত, এগিয়ে এলেন মহাদেব। কণ্ঠে ধারণ করলেন সেই হলাহল। নীলকন্ঠ হলেন তিনি। আজ অমৃত নিঃশেষিত। বিশ্ব চরাচর জুড়ে শুধুই হলাহল। বাতাস, জল, মাটি, সমাজ, আমাদের শরীর এমনকি মনও একটু একটু করে চলে যাচ্ছে গরলগ্রাসে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে, আমাদের সন্তানকে রক্ষা করো নীলকন্ঠ।

খোলা জানালা দিয়ে একটা মিষ্টি হাওয়া আমার ঘুম ভাঙাতে এসেছিল আজ। সঙ্গে এনেছিল লেবু ফুলের সুবাস। বারান্দায় গিয়ে দেখি, সু...
09/04/2025

খোলা জানালা দিয়ে একটা মিষ্টি হাওয়া আমার ঘুম ভাঙাতে এসেছিল আজ। সঙ্গে এনেছিল লেবু ফুলের সুবাস। বারান্দায় গিয়ে দেখি, সুন্দর একটা সকাল। উল্টোদিকের বাড়ির রেনপাইপের পাশে খড়কুটো কুড়িয়ে এনে ঘর বাঁধতে ব্যস্ত দুটো গোলা পায়রা। ভালোবাসার নীড়। মনে হল, ইস্ আমাদেরও যদি হতো এমন খড়কুটোর ঘর। একটা ছোট্ট ঘর আর অনেক বড়ো উঠোন। উঠোনে গাছ লাগাতাম আমরা দুজন। ভাঙাচোরা বাতিল কাঠ দিয়ে গাছতলায় একটা চেয়ার থাকতো। শক্তপোক্ত নাই বা হল। নড়বড়ে ই বেশ। আমরা চেয়ারে বসবো বলে একটা গাছ দাঁড়িয়ে থাকতো চেয়ারের পাশে। রাজারাণীর পাশে যেমন থাকে ছত্রধর। ঠিক তেমনি। তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করতে বলতো এটা কি গাছ? আমি যেদিন যে গাছের কথা মনে পড়তো সেদিন সেই গাছের নাম করতাম। কোনদিন বলতাম পলাশ সেদিন পলাশ হতো সে। কোনদিন সে হতো আপেল, কোনদিন কৃষ্ণচূড়া আবার কোনদিন ফুলে ফুলে ঢাকা কাঠবাদাম। তুমি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকতে সেই জাদুগাছের দিকে। সেদিন মিষ্টি একটা রোদ উঠেছে। বাতাসে ঠান্ডা থাকলেও তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আমি গিয়ে বসেছি গাছতলায়। তুমি আমার হাতের উপর হাত রেখে জানতে চাইলে, আজ কোন গাছ? দুঃসাহসী আমি বললাম, রডোডেনড্রন। আর তক্ষুনি লাল হয়ে গেল চারপাশ। গাছ আলো করে ফুটে উঠল লালি গুরাস। গাছতলাতেও ঝরে পড়লো অনেক। আমরা বাচ্চাদের মতো কুড়োতে লাগলাম। এক….দুই…. তিন…।

বসন্ত যেন সেলিব্রেটি। সমতলে তাকে স্বাগত জানায় শিমুল, পলাশ আর পাহাড় তার জন্য সাজায় রডোডেনড্রন। পাহাড়ের ঘরবাড়ি সেজে ও...
02/04/2025

বসন্ত যেন সেলিব্রেটি। সমতলে তাকে স্বাগত জানায় শিমুল, পলাশ আর পাহাড় তার জন্য সাজায় রডোডেনড্রন। পাহাড়ের ঘরবাড়ি সেজে ওঠে নতুন রঙে। এবার সেই উৎসবে সে আমাকেও নিমন্ত্রণ করেছিল। আর সেই হঠাৎ নেমন্তন্নে আমিও এক ছুটে হাজির। পশ্চিম সিকিমের ওখরেতে। সেখানে আছে একশো চার বর্গ কিলোমিটারের এক বিরাট অভয়ারণ্য, শুধু রডোডেনড্রনের জন্য। না, এখন আর রডোডেনড্রন না, ডাকনামে ডাকি, গুরাস। হ্যাঁ, এটাই তার নেপালি নাম।
সহজ একটা ট্রেক। সম্পূর্ণ জঙ্গলের ভিতর দিয়ে আঁকাবাঁকা পথ। চড়াই উৎরাই নেই, প্রায় সমতল সেই পথে মাঝে মাঝে নেমে আসে মেঘ। কিন্তু সেই মেঘপিয়োনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা নেই। সে শুধু জানে মন ভালো করার মন্ত্র। নরম হাতের ছোঁয়ায় সে নিমেষে মুছে দেয় নাগরিক সব টক্সিন। গাছের গায়ে মিশে বড়ো বড়ো চোখ মেলে তাকিয়ে থাকে লাল পাণ্ডারা। হঠাৎ চোখে চোখ পরে গেলে লজ্জায় জড়োসড়ো হয়ে যায়। গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকে হরিণের দলও আপনার গুনগুন শোনে। রঙবেরঙের পাখিরা গান গায়। পাহাড়ি ছেলেমেয়ের দল হাত ধরে হাঁটে। পথ চলতে চলতে বুনো ফার্নের পাতা দিয়ে মুকুট বানিয়ে পরিয়ে দেয় প্রিয় নারীটির মাথায়। ভালোবাসার রাজমুকুট। ফুল ফুটে ওঠে। পথের দুই ধার আলো হয়। লাল রঙের এতো শেড ছেলেবেলার রঙবাক্সেও ছিল না। যেতে যেতে পথের ধারে ছোট্ট একটা লেক। তার মরা জলে মুখ দেখতে ঠেলাঠেলি করে আকাশ আর পাহাড়। গুরাসের মন ভোলাতে হবে যে!
পথের শেষে পান্থশালা। তার নাম গুরাসকুঞ্জ। এখানে সব কিছুই গুরাসের জন্য। আর আছে একটা ফরেস্ট ব্যারাকও। খুব সকালে ব‌্যালকনিতে আসে কাঞ্চনজঙ্ঘা। গুরাসকে সুপ্রভাত না বলে দিন শুরু করে না সে। আমি সেখানে থাকি নি বলে খুব রাগ করেছে সে। কথা দিয়েছি, পরের বার ওখরের আধুনিক হোমস্টেতে আয়েশি আলসেমিতে না থেকে দেখা করবই করব।
Trekking Date: 30/3/25
Video link: https://youtu.be/FE35zW-Q3XQ
বাকি কথা ছবিতে।

এক যুগ আগে এক নদীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। জঙ্গলের ভিতর জিপে চড়ে ঘুরতে বেড়িয়েছি। কোলে ছোট্ট আমার মেয়ে। একটু আগে এক দাঁতা...
26/03/2025

এক যুগ আগে এক নদীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। জঙ্গলের ভিতর জিপে চড়ে ঘুরতে বেড়িয়েছি। কোলে ছোট্ট আমার মেয়ে। একটু আগে এক দাঁতাল হাতি রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়েছিল। টিফিন সারছিল আর কি! তার খাওয়া শেষে আমরা আবার জঙ্গলের গভীরে। এক ঝাঁক ময়ুরকে ভীষণ বিরক্ত করে গাড়ি একটা বাঁক নিলো। গাড়ির চালক এক বিলুপ্তপ্রায় ধনেশ পাখির সঙ্গে আমাদের পরিচয় করালেন। আমি হাঁ করে লম্বা ঠোঁটের বড়সড় ধনেশ পাখি দেখছি, এমন সময় একঝলক তার সঙ্গে দেখা। জঙ্গলের একদম পাশেই। শান্ত মেয়ের মতো শুয়ে আছে সে। নাম জিজ্ঞেস করতে বললো, মূর্তি। আমি বললাম, এ আবার কেমন নাম? মূর্তি তো স্থির, আর তুমি যে বহতা! উত্তর না দিয়ে সে শুধুই হাসলো! খুব কাছে যেতে ইচ্ছে করলো। কিন্তু সাফারির জীপ থেকে নামা যে নিষেধ। চলে যেতে যেতে তার দিকে তাকিয়ে বললাম, একদিন দেখা হবেই। তারপর কেটে গেছে গোটা একটা দশক।
আজ এসেছে কথা রাখার দিন...

আকাশে সোনার থালার মতো দোল পূর্ণিমার চাঁদ। বাতাসে আবীরের গন্ধ। আমাদের নগরে বসেছে দোল পূর্ণিমার আসর। তোমাদের অনুকরণে। গান ...
15/03/2025

আকাশে সোনার থালার মতো দোল পূর্ণিমার চাঁদ। বাতাসে আবীরের গন্ধ। আমাদের নগরে বসেছে দোল পূর্ণিমার আসর। তোমাদের অনুকরণে। গান গাইছে। নাচ হচ্ছে। সুন্দর করে সেজেছে ছেলে মেয়েরা। তোমাদের মতো করে। তোমাদের সুরে। তার মুখে উদাসীন হাসি। কথা বলতে বলতে মঞ্চের সামনে থেকে একটু দূরে চলে এসেছি আমরা। আমি আর শ্রীরাধিকা। এদিকটায় কেউ নেই। শুধু ফুলে ফুলে লাল একটা বুড়ো শিমুল গাছ ছাড়া। প্রতি বসন্তে এই শিমুল গাছ তার যৌবন ফিরে পায়। আর সে জন্য সে সারা বছর অপেক্ষায় থাকে। বুভুক্ষু প্রতীক্ষা। এমনই প্রতীক্ষা করেছ তো তুমিও। যুগ যুগ ধরে। তবু সে ফেরে নি। আর তাও সে ই আদর্শ প্রেমিক। অন্য কেউ নয়। তার চেয়ে কতো বেশি ভালোবাসে আশামাসির বর। কানে শুনতে পায় না আশামাসি। তবু তাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখে। কিংবা জ্যোৎস্নাদির বর বাবুদা। বড়োলোকের মেয়ে তার মতো টাউন সার্ভিসের ড্রাইভারকে বিয়ে করায় সে ধন্য। তাদের টালির চালের ঘরে বছরভর উপচে পরে খুশি। আর তুমি? সেই ভুবনমোহিনী রূপ আজ ম্লান। হরিণ চোখে কাজল নেই। আছে অনিদ্রার কালি। অথচ রোজ তার জন্য মালা গাঁথো আর পরদিন আবার নতুন করে গাঁথো। এতো তোমার অভিমানের গল্প শুনি। কোথায় গেল সেই অভিমান? রাগ? বলতে বলতে ধরে আসে গলা। আবছা দুচোখ। টুপ করে মাথায় এসে পরে একটা ঝরা শিমুলের ফুল। চমকে উঠি। রাধিকা কোথায়? মঞ্চ থেকে গান ভেসে আসছে, শ্যাম তেরে বংশী পুকারে রাধা নাম….। এক কিশোর, মাথায় ময়ূর পাখা, বাঁশি হাতে নাচছে। তার পাশে কিশোরী মেয়েটি নাচের তালে তালে মধুর হাসে। নাচতে নাচতে কাঁসার থালা থেকে আবীর ছড়ায় আমাদের রাধা বিনোদিনী।
কৃষ্ণ কি তাহলে শাশ্বত প্রেম? যা চাওয়া যায়, কিন্তু পাওয়া যায় কি? আর সেই চাওয়া লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিয়ে যায় মথুরা বৃন্দাবনে। দোল উৎসবে। ব্রজের নানান অংশে প্রায় চল্লিশ দিন ধরে চলে হোলি উৎসব। নানান নামে, নানান রূপে। তাদের মধ্যে কয়েকটি হল , বর্সানার লাড্ডুর হোলি, নন্দগ্রাম ও বর্সানার লট্টমার হোলি (কৃষ্ণকে গোপিনীদের লাঠিপেটা করার অনুকরণে মেয়েরা ছেলেদের লাঠি নিয়ে মারে ও ছেলেরা আত্মরক্ষায় মরিয়া হয়), বাঁকে বিহারী মন্দিরের ফুলের হোলি, বৃন্দাবনে সামাজিক সব বিধিনিষেধকে উড়িয়ে দেওয়া বিধবাদের হোলি, সব শেষে মথুরা বৃন্দাবনে রঙের হোলি।

পরবর্তী হোলি: দোল পূর্ণিমা,মার্চমাসের চার তারিখ, ২০২৬
ছবি: গুগল বাবুর সৌজন্যে।

পলাশ, একটা বিলাসিতার নাম। ঠিক যেমন শীতকালের বিলাস হল নলেন গুড়, বর্ষায় মাটির সোঁদা গন্ধ‌‌ কিম্বা শরতের সাদা মেঘের ভেলা।...
05/03/2025

পলাশ, একটা বিলাসিতার নাম। ঠিক যেমন শীতকালের বিলাস হল নলেন গুড়, বর্ষায় মাটির সোঁদা গন্ধ‌‌ কিম্বা শরতের সাদা মেঘের ভেলা। পলাশ ফুটলেই মন উন্মনা হয়ে ওঠে। লাল পাহাড়ীর দেশের লাল ধুলো উড়িয়ে ভীড় করে বছরভর অপেক্ষায় থাকা উপোসী চোখেরা। পলাশের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে চায় তারা। আর দশটা পাঁচটার ডেডলাইনের চাপে ক্লান্ত চোখ পলাশ খোঁজে লোকাল ট্রেনের জানালা থেকে। পথের পাশে শিমুল পলাশের খোঁজ পেলে থেমে যায় মাঝবয়সী স্কুটি, তোয়াক্কা করে না অফিসে লাল কালির। মন খারাপ করা মেঘলা দুপুরে ছোট্ট বোন কোন এক না দেখা পলাশতলা থেকে মুঠো ভরে পলাশ আনে আর মন আলো করা হাসি ফুটে ওঠে তার দিদির মুখে। মালা গাঁথা হয়। এই জাদু যে কেবল পলাশই করতে পারে।

বালিয়াড়া। বর্ধমান থেকে কালনা যাওয়ার পথে, বর্ধমান শহর লাগোয়া ছোট্ট এক গ্রাম। যেখানে পলাশের গাছে গাছে উৎসব শুরু হয়েছে।

বর্ধমান স্টেশন থেকে যাওয়া যায় টোটোয়। দুরত্ব মাত্র নয় কিলোমিটার।
Video link: https://youtu.be/K95lDoFklUs

Address

Bardhaman
Burdwan
713101

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when PCA Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to PCA Diary:

Share