17/08/2025
ব্লেড বাতিল কলম দিয়ে গাছের পাতায় অনবদ্ধ সৃষ্টি ছাত্রের। পশ্চিম মেদিনীপুরের ফেলে দেওয়া তিন টাকার পেন আর এক টাকার ব্লেড দিয়ে বানিয়েছে পেন নাইফ। তার কাছে নেই কোন কাটিং ম্যাট, নেই প্রয়োজনীয় ধারালো ছুরি। সামান্য এক টাকার ব্লেড এবং শেষ হয়ে যাওয়া পেন দিয়ে বানিয়ে ফেলেছে সার্জিক্যাল নাইফ। গৃহ শিক্ষককে দেখেই তার এত কিছু। শিক্ষককে দেখে পত্রশিল্পে অনুপ্রেরণা, সেইমতো পড়ার অবসরে হাতে তুলে নিল ছুরি।টেবিলের উপর পাতা রেখে তাকে হাতের নিপুণতায় তৈরি করেন এই জিনিস। তার হাতের স্পর্শে প্রাণবন্ত হয়ে উঠে নানা প্রতিকৃতি।ছাত্রের গুণ অবাক করবে। ডক্টর বি আর আম্বেদকর, ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ, ইন্দিরা গান্ধী থেকে এমএস ধোনি, প্রভু জগন্নাথ বাদ যায়নি তার সৃষ্টির মধ্যে, সকলের অবয়ব তিনি তৈরি করেছেন শুধুমাত্র পাতা কেটে। সে আর্থে নেই পেশাগত তালিম। নিজের ইচ্ছে, শিক্ষকের থেকে শিখে তৈরি করেন এই পাতা কেটে শিল্প। শৈল্পিক কর্মকাণ্ডে গর্বিত তার মা থেকে গ্রামের সকালে। প্রথাগত তালিম না থাকলেও তা এই শিল্প ভাবনা এবং কঠোরতা বসায় কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।বাড়িতে মা ছেলের সংসার। সারাদিন কিছুতেই চাপ থাকলেও পড়ার পর নিজের চাপ মুক্তি দিতে ভরসা তার এই হাতে বানানো ছুরি আর কয়েকটা পাতা। এতেই চলে তার অবসর যাপন। গৃহ শিক্ষক সঞ্জয় বয়রার পত্রশিল্প এবং পত্র প্রতিকৃতি দেখে নিজেও চেষ্টা করা শুরু করে দশম শ্রেণীর ছাত্র। পড়ার অবসরে তাই গাছের পাতায় এনে তাকে শুকিয়ে বিভিন্ন ধরনের মানুষের মুখ, ভারতের পতাকা, ওয়ার্ল্ড কাপের রেপ্লিকা তৈরি করার চেষ্টা করে। তবে সেভাবে সম্মুখ ধারণা না থাকার কারণে,সামান্য ব্লেড নিয়ে তাকে ভেঙে পেনের এক প্রান্তে তাকে ছিটিয়ে বানিয়ে ফেলেছে সার্জিক্যাল নাইফ। সেইভাবে প্রায় ই দশেরও বেশি পত্র প্রতিকৃতি তৈরি করেছে শিক্ষকের দেখে অনুপ্রাণিত এই ছাত্র। আগামীতে পত্র শিল্প নিয়ে এগোতে চায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার বামুন্দা এলাকার দশম শ্রেণীর ছাত্র অহংজিত ঘোষ। মধুসূদন বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণীর ছাত্র। ছোট থেকেই তালিম ছিল না ছবি আঁকায়। নিজের ইচ্ছেতেই ছবি আঁকতে শুরু করে সে। তবে পরবর্তীতে টিউশন পড়ার সুবাদে শিক্ষকের দেখেই তার এই পত্র শিল্পে প্রেরণা জাগে। সেই মতো নিজের বাড়িতেই চেষ্টা করেছে, তার এই শিল্পপতিভার প্রশংসা করেছেন তার মা। আগামীতে পত্রশিল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই দশম শ্রেণীর এই ছাত্র।