30/05/2025
Murshidabad to ISRO... 🇮🇳🚀
আমার জেলার ও গ্রামের ছেলে, আমাদের স্কুল তালিবপুর হাই স্কুলের ছাত্র মহম্মদ মমতাজুল হাসান টেকনিকাল এসিস্ট্যান্ট (মেকানিকাল) হিসেবে ISRO তে যোগ দিয়ে বিভিন্ন মহাকাশ মিশনের অংশ হতে চলেছে। সত্যিই গর্বের সাথে মমতাজুলকে নিয়ে আর্টিকেলটা লিখছি এর অনেক গুলো কারণ আছে। তার একটি হলো সে আমার গ্রাম ও জেলার ছেলে, দ্বিতীয়টি হলো সে আমাদেরই স্কুলের ছাত্র, তৃতীয় এবং অন্যতম কারণ হলো মমতাজুল আমার একজন শিক্ষকের ছেলে। ক্লাস xi xii এ আজগর স্যারের কাছে আমরা কিছু বন্ধু মিলে ইংরেজি পড়তে যেতাম। মমতাজুলের ডিটেইলসের আগে আজগর স্যার সম্পর্কে কিছু কথা লিখি। মানুষটা খুব প্রতিভাসম্পন্ন এবং ওনাদের যুগের মেধাবী ছাত্রদের মধ্যে একজন ছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সাথ দেইনি তাই ওনার মেধা অনুযায়ী চাকরি পান নি। ডিড রাইটার হিসাবেই সারা জীবন কাটিয়েছেন। স্যারের সারা জীবনের পরিশ্রমের ফল আজ পেলেন মমতাজুলের সফলতার মধ্য দিয়ে। স্যারের স্ত্রী আমাদেরই স্কুলের প্যারা টিচার। ছেলে মেয়ের সফলতার পেছনে সব থেকে বড়ো অবদান থাকে মা বাবার। আজ মমতাজুলের সাথে সাথে তার মা বাবাও সফল হয়েছেন। এবারে আসি মেধাবী ও প্রতিভাবান মমতাজুলের একাডেমিক ডিটেইলস নিয়ে।
তালিবপুর হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিকে ৭৫% নম্বর পেয়ে সে ভর্তি হয় জিয়াগঞ্জ কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি এর অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে। কমপ্লিট করেই BTech মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোর্সে ভর্তি হয়। এরপর Mtech (Mechanical) কমপ্লিট করে সে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছিলো। সাথে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছিলো। কলকাতা পুলিশের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদেও একবার আবেদন জানিয়েছিল। মেধাবী ছাত্র সাথে অদম্য জেদ তাকে পৌঁছে দেই Indian Space Research Organisation তথা ISRO তে। মমতাজুল গ্রাম বাংলার ছেলে মেয়েদের জন্যে বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের মতো পিছিয়ে পড়া জেলার ছাত্রছাত্রীদের বিশ্বাস যোগালো যে লক্ষ্য সেট করো, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখো, কনজিস্টেনসি বজায় রাখো, ধৈর্য রাখো, তুমি সব কিছু জয় করতে পারবে।
মমতাজুলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি খুব শীঘ্রই মমতাজুল ISRO-এর একজন অন্যতম সেরা মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে উঠবে। ♥️♥️