02/07/2025
নবনির্বাচিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি — শমীক
ভট্টাচার্য
১৯৮৫ সালের কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রথম দেখা সমীক ভট্টাচার্যকে। কাশিপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী প্রয়াত রাজ্য নেতা প্রভাকর তেওয়ারীর সমর্থনে সভা করতে এসেছিলেন দেশের সর্বজনপ্রিয় নেতা এবং পরবর্তীকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্বর্গীয় অটল বিহারী বাজপেয়ী। তাঁর সভায় সমীকদার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা প্রথম শোনা। সেখান থেকেই যেন শুরু হয় এক রাজনীতিকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার বীজ বপন।
এরপর কেটে যায় অনেক সময় । মাঝে মধ্যে বিজেপির রাজ্য অফিসে গেলে দেখা হতো সমীকদার সঙ্গে ।এরপর এলো ১৯৮৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। আমি তখন প্রথমবারের ভোটার। হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম প্রচারে — আমাদের প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত শান্তিলাল জৈন। সেই প্রচারের সময় উত্তর কলকাতার টালায় সমীকদা একটি জনসভায় বক্তৃতা দেন। তাঁর ভাষণে উঠে এলো রুমানিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ডের উদাহরণ — কীভাবে সেসব দেশে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান ঘটছে, বামপন্থী মতাদর্শ প্রত্যাখ্যান হচ্ছে, এবং গণতন্ত্রের দিকে মানুষ এগোচ্ছে। সেই বিশ্লেষণ, সেই উদাহরণ তিনি এমনভাবে পেশ করলেন যে সাধারণ মানুষও যেন বিষয়টি গভীরভাবে অনুভব করতে পারল। বক্তৃতা শেষে আমার মনে হল — “এই মানুষটার মধ্যে কিছু আছে!”
এরপর ধীরে ধীরে কথাবার্তা শুরু, মাঝেমধ্যে দেখা হত। খুব মিশুকে স্বভাব, বিন্দুমাত্র অহংকার নেই বরং এক আশ্চর্য ক্ষমতা দিয়ে মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার শক্তি আছে তাঁর মধ্যে।
তিনি যুব মোর্চার সম্পাদক ছিলেন। পরে তিন বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও সামলেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। আমরা অনেকেই নিশ্চিত ছিলাম — রাহুল সিনহার পরে যুব সভাপতি হবেন সমীকদাই কিন্তু হলেন না। প্রথমে হলেন রামকৃষ্ণ পাল, পরে প্রতাপ ব্যানার্জি। কিন্তু একবারের জন্যও তিনি দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ প্রকাশ করেননি। যে অন্যায় তাঁকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল, তাও তিনি সহ্য করেছেন — মুখ বুজে, নিষ্ঠা ভরে।
২০০২ সালে তথাগত রায়ের টিমে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আসেন। আবার এক সময় বাদ পড়ে যান সুকুমার ব্যানার্জীর টিম থেকে। পরে সত্যব্রত মুখার্জির টিমে আবার ফিরে আসেন। আবারও সেই একই পদে — রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হয়ে। এরপর রাহুল সিনহার টিমে ফের সেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এবার সঙ্গে যোগ হয় দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব। দীর্ঘদিন ধরে পশ্