Spicy Life

Spicy Life Mr.Perfect � Lifestyle � I am a simple man

24/06/2025

Emni

Fele Asa Din Gulo ...ki sundor chelo tai na
11/03/2024

Fele Asa Din Gulo ...ki sundor chelo tai na

Ek fream e bondi...Love ❤️ u all puchkura !!
09/03/2024

Ek fream e bondi...Love ❤️ u all puchkura !!

১৮৯৫ সালে তোলা তৎকালীন গ্রামবাংলার একটি দৃশ্য।১৮৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছবিটি তুলেছিলেন উইলিয়াম হেনরি জ্যাকসন। তার দেওয়া ত...
09/03/2024

১৮৯৫ সালে তোলা তৎকালীন গ্রামবাংলার একটি দৃশ্য।

১৮৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছবিটি তুলেছিলেন উইলিয়াম হেনরি জ্যাকসন। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে স্থানটি গোয়ালন্দ ঘাটের আশেপাশে হতে পারে।

১৯৭১ সালে লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসে ছবি উইলিয়াম পি মিকারের সৌজন্যে দেখানো হয়।

With Bangali Actor Mr.Anindya Chatterjee...!! Thanks for visiting our Hotel.
21/02/2024

With Bangali Actor Mr.Anindya Chatterjee...!! Thanks for visiting our Hotel.

হাওড়া স্টেশনের গল্প১৬৫ বছরে পুরনো হাওড়া স্টেশনের ইতিহাস বেশ কৌতুহলদ্দীপক।  কোলকাতা তখন  আধুনিক শহর হয়ে উঠছে। তখন লন্ডন...
08/02/2024

হাওড়া স্টেশনের গল্প

১৬৫ বছরে পুরনো হাওড়া স্টেশনের ইতিহাস বেশ কৌতুহলদ্দীপক। কোলকাতা তখন আধুনিক শহর হয়ে উঠছে। তখন লন্ডনের পরে বৃটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় শহর কলকাতা। কলকাতা ব্যবসা বানিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে।

সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর কলকাতার অত্যন্ত সফল ব্যবসায়ী এবং জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা।

দ্বারকানাথ ঠাকুরই প্রথম ভারতীয় যিনি ব্রিটিশ শিল্পপতি তথা বন্ধু উইলিয়াম কার-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কয়লাখনি গড়ে তুলেছিলেন। সংস্থার নাম দিয়েছিলেন কার এন্ড টেগোর কোম্পানি।

১৮৩৫ সালে খনি-শহর রাণীগঞ্জের দামোদর নদের তীরবর্তী নারানকুড়ি গ্রামের কয়লাখনি থেকে কয়লা তোলা হতো। খনি থেকে প্রায় তিনশো মিটার দূরেই ছিল তাঁদের প্রশাসনিক ভবন। সেখানেই বসে নিয়মিত কাজের তদারকি করতেন দ্বারকানাথ ও উইলিয়াম কার।

খনি থেকে তোলা কয়লা গরুর গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হত নারানকুড়ি গ্রামের সীমান্তে মুক্তেশ্বরী মন্দির ঘাটের জেটিতে। সেখানে নৌকায় কয়লা চাপিয়ে তা পাঠানো হত কলকাতার কয়লাঘাটায়।

নৌকায় করে কয়লা পরিবহণ অত্যন্ত বিপজ্জনক, আর লাভজনকও নয়। তাই কলকাতা থেকে রানিগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ পাতার পরিকল্পনাও করছিলেন দ্বারকা নাথ। কিন্তু তিনি তো ‘নেটিভ’, তাই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাঁকে রেললাইন পাতার অনুমোদন দেয়নি।

তখন আর.এম স্টিফেনসন নামে এক ব্যক্তি ১৮৪৪ সালে রেললাইন পাতার জন্য 'ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি' গঠন করলেন। কিন্তু কোম্পানীর কাছ থেকে কাজ শুরুর অনুমোদন পেতে বেশ কয়েক বছর সময় লেগে গেল।

নানা টালবাহানায় সেই অনুমতি মিলল ৭ই মে ১৮৫০ সালে। ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানী ও গ্রেট ওয়েস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে দুটি কোম্পানীকে যুক্ত হয়ে বৃটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানী গঠিত হয়ে গিয়েছে।

ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কোলকাতা থেকে বর্ধমান পর্যন্ত্য একটি পরীক্ষামূলক রেল লাইন পাতার চুক্তি করল ইষ্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানীর সাথে।

কোম্পানী দেখল গঙ্গার ওপারে হাওড়ায় স্টেশন নির্মাণ করলে পুরো ভারতের সাথে যোগাযোগ সম্ভব । কারণ পশ্চিম দিকে যেতে হলে গঙ্গা পেরিয়ে যেতে হবে।

ট্রেন চালু হলে যাত্রী ওঠা নামার জন্য তখনি একটি স্টেশন দরকার। সেই মোতাবেক ইষ্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানীর তৎকালীন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চীফ ইঞ্জিনীয়ার মিঃ জর্জ টার্নবুল ১৭ই জুন ১৮৫১ সালে হাওড়া স্টেশন বিল্ডিং-এর জন্য প্ল্যান জমা দিলেন।

স্টেশনের জন্য কোম্পানী যত জমি চেয়েছিল সরকারী আধিকারিকরা তা দিতে রাজী হলেন না।

এক বছর বাদে মিঃ টার্নবুল আবার সম্পূর্ণ ও পরিমার্জিত আরেকটি প্ল্যান জমা দিলেন। এবারে সে প্ল্যান গৃহীত হয় এবং স্টেশন নির্মাণের জন্য টেন্ডার ডাকা হল।

অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৪টি টেন্ডার জমা পড়ে। হাওড়া স্টেশন নির্মাণের জন্য রেল কোম্পানীর আনুমানিক খরচের হিসেব ছিল ২৫০০০০/- (দু লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা)।

হাওড়াতে একটা বড় জমি পাওয়া গেল। ইষ্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে জমিটি দখলের আগে, ডোমিনিকান সম্প্রদায়ের পর্তুগিজ মিশনারিদের সেখানে একটি অনাথ আশ্রম ও একটি ছোট গির্জা ছিল। কোম্পানী জমিটি অধিগ্রহণ করার পর অনাথদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হল।

১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে হাওড়া স্টেশন তৈরী হয়ে গেছে। তখন হাওড়া স্টেশন বলতে ছিল একটি টিন শেড সমন্বিত অস্থায়ী রেল প্ল্যাটফর্ম।

হাওড়া থেকে হুগলী পর্য্যন্ত ট্রেন লাইন পাতার কাজ শেষ। ট্রেন যাত্রার ব্যবস্থা পাকা।

১৮৫৪ খৃষ্টাব্দের ১৫ ই আগষ্ট সকাল ৮.৩০টায় হাওড়া স্টেশন থেকে হুগলীর উদ্দেশ্যে প্রথম ট্রেনটি যাত্রা শুরু করল। প্রথম ট্রেনটিতে ২৪ মাইল ভ্রমণের জন্য রেল কোম্পানী প্রায় তিন হাজার আবেদন পত্র পেয়েছে।

ট্রেনটিতে রয়েছে তিনটি প্রথম শ্রেনী, দুটি দ্বিতীয় শ্রেণী কামরা ও তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য রয়েছে তিনটি 'ট্রাকস' এবং গার্ডের জন্য একটি ব্রেক ভ্যান। কামরাগুলো চার চাকার। এগুলো সবই কলকাতায় নির্মিত হয়েছে।

ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর ভাড়া তিন টাকা ও তৃতীয় শ্রেণীর ভাড়া সাত আনা।

সকাল ৮.৩০ টায় ট্রেন ছেড়েছে। হাজারে হাজারে মানুষ পুরো যাত্রা পথের ধারে দাঁড়িয়ে আছে। হুইসেল বাজিয়ে ভসভস করে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ট্রেন এগিয়ে চলল। সমবেত জনতা প্রথমটা ভয়ে লাইনের ধার ছেড়ে পালাতে লাগল। ভয় ভাঙলে জনতা হর্ষধ্বনি দিতে দিতে ছুটছে। এমন আজব কল আগে তারা দেখে নি।

হাওড়া থেকে হুগলী যেতে সময় লাগল ৯১ মিনিট। বালি, শ্রীরামপুর ও চন্দননগরে ট্রেন থামল ।

ভারতের প্রথম ট্রেন কিন্তু চলেছিল ১৮৫৩ সালের ১৬ই এপ্রিল। ১৪ কামরার ট্রেনটি ৪০০ জন অতিথিকে নিয়ে বিকেল ৩.৩৫ মিনিটে বোম্বাইয়ের বুড়িবন্দর থেকে থানে যায়। সময় লেগেছিল ১.১৫ মিনিট।

তখন হাওড়াতে টিকিট কাউন্টার ছিল না। রেল যাত্রীদের নদীর ওপারে আর্মেনিয়ান ঘাটের বুকিং কাউন্টার থেকে অন্য যাত্রীদের সাথে ধ্বস্তাধস্তি করে টিকিট কাটতে হত। টিকিটের মধ্যে নদী পারাপারের ভাড়া অন্তর্ভুক্ত ছিল।

আলস্য ইংরেজদের চরিত্রে নেই তাই প্রথম ট্রেনটি চালু হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে লাইন পাতার কাজ পান্ডুয়া অবধি বর্ধিত হল। আর ছয় মাসের মধ্যে রাণীগঞ্জ অবধি লাইন পাতার কাজ শেষ।

কলকাতার স্থানীয় খবর কাগজগুলোতে সে খবর ফলাও করে ছাপা হয়েছে। 31 জানুয়ারি 1855 তখনকার কলকাতার বিখ্যাত কাগজ 'হরকরা'তে কোম্পানীর বিজ্ঞাপন- Opening of the East Indian Railway, by the most noble the Marquis of Dalhousie, K.T Governor –General, on Saturday, 3rd February 1855.

আগামী ১৮৫৫ সালের ৩ রা ফেব্রুয়ারী ,শনিবার হাওড়া থেকে রাণীগঞ্জ মাল ও যাত্রী পরিবহনের জন্য রেলগাড়ি উদ্বোধনী যাত্রা শুরু হবে।

গাড়ি ছাড়ার আনুমানিক সময় সকাল ৯.৩০ টা এবং বর্ধমানে পৌঁছবে বেলা ১২.৩০টায়। সেখানে প্রাতঃরাশ সহ তিন ঘন্টা উৎসব উদযাপনের পর ট্রেনটি ৩.৩০টেয় বর্ধমান থেকে ফিরতি যাত্রা করবে। সেই উপলক্ষ্যে ২ রা ফেব্রুয়ারি টাউন হলে অনুষ্ঠিত হবে বল নাচ।

গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসি পরিকল্পনা করেছেন প্রথম ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানকে ছাপিয়ে গিয়ে,রানিগঞ্জ সেকসনের উদ্বোধন যাত্রাকে তাঁর রাজত্বকালের সবচেয়ে উজ্জ্বল স্মরণীয় ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত করবেন।

উদ্বোধনের দিনটি খুব সুন্দর। ঝকঝকে নীল আকাশ তার সাথে কনকনে শীত। কুয়াশাবিহীন সূর্যের আলোতে নদীর দুই পাড় ঝলমল করছে।

নদীর দু পাড়ের ফেরীঘাট জেটি এবং হাওড়া স্টেশন টার্মিনাস পাতা ফুল, আলোর মালা এবং ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে।

দমদম থেকে একদল সামরিক অশ্বরোহী তাদের ঘোড়া নিয়ে কলকাতার দিক থেকে আড়ম্বরপূর্ণ প্রদর্শণী করছে।

এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য কলকাতার অভিজাত সমাজসহ সাধারণ দর্শকদের বিপুল ভিড় হুগলি নদীর দুপাশে জড়ো হয়েছে।

প্ল্যাটফরমে দাঁড়ানো ভারতের রেলওয়ের ইতিহাসের দীর্ঘতম ১৫ বগীর বিশেষ ট্রেন। প্রায় ৭০০ জন মান্যগন্য অতিথিরা এসে গেছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতা সোসাইটির সদস্যবৃন্দ, কলকাতার বিশপ, বেশ কিছু সংখ্যক পাদ্রী, সুপ্রীম কোর্টের বিচারকরা, সদর কোর্টের বিচারকরা এবং বহু উচ্চ পদস্থ সিভিল সার্ভিস, বার,
সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর অফিসার।

লর্ড ডালহৌসি উপস্থিত। তাঁর শরীর বিশেষ ভাল নয়। তিনি এই ট্রেনে ভ্রমণ করছেন না। তিনি ঘুরে ফিরে সব আয়োজন দেখলেন। ১৯টি গান স্যালুট হল। তিন ফ্ল্যাগ অফ করলেন। কলকাতার লর্ড বিশপ প্রার্থনা করার পর সকাল ৯.৪০ মিনিটে বিশেষ ট্রেন যাত্রা শুরু করল।

আধঘন্টা বাদে আরেকটি ট্রেন রওয়ানা হল।

যাত্রা পথের প্রতিটি স্টেশনকে সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। যেখানে যেখানে ট্রেন দাঁড়াচ্ছে সেখানে শঙ্খ ধ্বনি উলু দিয়ে দূর থেকে ট্রেনকে বরণ করে নিচ্ছে গাঁয়ের বৌ ঝিরা।

দুপুর সাড়ে বারোটায় ট্রেন বর্ধমান স্টেশনে ঢুকল। বর্ধমানের সাহেবসুবোরা প্ল্যাটফরমে দাঁড়িয়ে। স্টেশনের বাইরে হাতির শোভাযাত্রা। স্থানীয় জমিদারেরা হাতিতে চড়ে, সাধারন মানুষ হেঁটে চলেছে ঐতিহাসিক রেলযাত্রার সাক্ষী থাকতে।বিউগল বাজছে। বাজছে কাড়ানাকাড়া। সে এক হুলুস্থুলস ব্যাপার। স্থানীয় লোকেরা দূর থেকে ভয়ে ভয়ে দেখছে এই আজব কল কে।

কোন রকম দেরী না করে স্টেশন থেকে আরেকটি সজ্জিত গাড়িতে অতিথিদের নিয়ে যাওয়া হল গভর্নর জেনারেলের তাঁবুতে। সেখানে প্রাতরাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিথিরা সম্ভবত ক্ষুধার্ত। তাঁরা বিশপের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁর প্রার্থনা শেষে ভোজন শুরু হল। নানা রকমের সুস্বাদু পদ এবং ওয়াইন সহকারে পরিতৃপ্ত ভোজন শেষ হল। এতে সময় গেল। তবুও, সবাই এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছেন। পার্টি শেষে সবাই ব্যাঙ্কুয়েট তাঁবু ছেড়ে ট্রেনের দিকে রওয়ানা দিলেন।

প্রথম ট্রেনটি ৩.৪০ এ বর্ধমান ছাড়ল। আধঘন্টা বাদে দ্বিতীয় ট্রেনটি।
পুরো দিনটি খুবই মনোরম কাটল। সাহেবদের এদেশে এমন অভিজ্ঞতা আগে অর্জন হয়নি। রেল কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা ছিল চমৎকার।

খুব তাড়াতাড়ি রেল জনগনের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠতে লাগল। স্থান সঙ্কুলানের জন্য আরও বড় করা দরকার।

হাওড়া স্টেশনের প্রাচীন বাড়িটি সম্ভবত ১৮৬০ সালে ভেঙে ফেলে বর্তমানের লাল ইঁট দিয়ে তৈরী হাওড়ার স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হল। তার পাঁচ বছর পরে ট্রেন আসা ও যাওয়ার জন্য দুটি আলাদা প্ল্যাটফর্ম তৈরী হয়ে গেল।

সেদিনের ট্রেন যাত্রার এক মনোরম বর্ণনা দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তখন তাঁর বয়স বারো। ১৮৭৩ সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর দুই পুত্র সােমেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ এবং দৌহিত্র সত্যপ্রসাদের একসাথে উপনয়ন দিলেন।

উপনয়নের পর রবীন্দ্রনাথ পিতার সাথে হিমালয় ভ্রমণে যাবেন। পথে বোলপুর পড়বে সেখান তাঁরা 'শান্তিনিকেতন' গৃহে কয়েকদিন থাকবেন। এই প্রথম রবীন্দ্রনাথ রেলগাড়িতে ভ্রমণ করছেন। তাঁর মুখেই তাঁর প্রথম ভ্রমণের কথা শুনি।

'সত্য বলিয়াছিল, বিশেষ দক্ষতা না থাকিলে রেলগাড়িতে চড়া এক ভয়ংকর সংকট-- পা ফসকাইয়া গেলেই আর রক্ষা নাই। তার পর, গাড়ি যখন চলিতে আরম্ভ করে তখন শরীরের সমস্ত শক্তিকে আশ্রয় করিয়া খুব জোর করিয়া বসা চাই, নহিলে এমন ভয়ানক ধাক্কা দেয় যে মানুষ কে কোথায় ছিটকাইয়া পড়ে তাহার ঠিকানা পাওয়া যায় না। স্টেশনে পৌঁছিয়া মনের মধ্যে বেশ একটু ভয়-ভয় করিতেছিল। কিন্তু গাড়িতে এত সহজেই উঠিলাম যে মনে সন্দেহ হইল, এখনো হয়তো গাড়ি-ওঠার আসল অঙ্গটাই বাকি আছে।

তাহার পরে যখন অত্যন্ত সহজে গাড়ি ছাড়িয়া দিল তখন কোথাও বিপদের একটুও আভাস না পাইয়া মনটা বিমর্ষ হইয়া গেল।

গাড়ি ছুটিয়া চলিল; তরুশ্রেণীর সবুজ নীল পাড়-দেওয়া বিস্তীর্ণ মাঠ এবং ছায়াচ্ছন্ন গ্রামগুলি রেলগাড়ির দুই ধারে দুই ছবির ঝরনার মতো বেগে ছুটিতে লাগিল, যেন মরীচিকার বন্যা বহিয়া চলিয়াছে। সন্ধ্যার সময় বোলপুরে পৌঁছিলাম।'

আরেক টি করুণ হাসির সত্য ঘটনা ১৯০৯ সালে ঘটেছিল যার কারণে সাধারণ প্যাসেঞ্জার ট্রেনে টয়লেট যোগ করা হয়।

তখন হাওড়া- কলকাতা পারাপারের জন্য পন্টুন ব্রিজ তৈরী হয়ে গেছে। পুরনো স্টেশন ভেঙ্গে ১৯০৬ খৃষ্টাব্দে নতুন স্টেশনের উদ্বোধন হয়ে গেছে।

অখিল কুমার সেন নামে এক যাত্রী গরমের সময় প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ভ্রমণ করছেন। আগের দিন অনেক কাঁঠালের কোয়া খাওয়া হয়ে গিয়েছে। পেটের মধ্যে অস্বস্তি। মাঝে মাঝে বেগ আসছে। বোলপুর স্টেশন পেরিয়ে গেল। তার পক্ষে আর পায়খানার বেগ সামলানো সম্ভব হচ্ছে না। আহমেদপুরে ট্রেন থামলে তিনি ট্রেন থেকে নেমে টয়লেটে নিজেকে হালকা করতে গেলেন। হালকা হতে না হতেই গার্ড সাহেব বাঁশী বাজিয়ে ট্রেন ছাড়ার সিগন্যাল দিলেন।

অখিল বাবুকে ছাড়াই ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলে গেল।
ক্ষিপ্ত অখিল বাবু রেলের সাহেবগঞ্জ ডিভিশনাল অফিসে একটি অভিযোগ পত্র পাঠালেন।

মহাশয়,
আমি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে আহমেদপুর স্টেশনে পৌঁছেছি। কাঁঠাল খেয়ে আমার পেট ফুলে রয়েছে। আমাকে পায়খানায় যেতে হল। ঠিক আমি যখন কর্মটি সারছি, গার্ড হুইসিল বাজিয়ে ট্রেনকে যেতে দিল। এবং আমি একহাতে লোটা অন্য হাতে ধুতি নিয়ে ছুটছি। আমি পড়ে গেলাম প্ল্যাটফরমে দাঁড়ানো নারী ৭. পুরুষ আমাকে দেখে লজ্জিত হল। আমি আহমেদ পুর স্টেশনে পড়ে রইলাম।

এটা খুব খারাপ কাজ হয়েছে। যদি কোন যাত্রী বিষ্ঠা ফেলতে যায় গার্ডকি তার জন্য পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে পারে না?

তাই হুজুর আমার প্রার্থনা এই যে যাত্রীদের স্বার্থে ওই গার্ডটির মোটারকম জরিমানা করা হোক অন্যথায় আমি সংবাদ পত্রে অভিযোগ জানাব।

আপনার বিশ্বস্থ দাস
অখিল চন্দ্র সেন।

অখিল চন্দ্রে এই অভিযোগ পত্রটি দিল্লীর ভারতীয় রেলওয়ে মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য সাজানো রয়েছে। এই চিঠিটি ট্রেনের কামরায় শৌচাগার চালু করার সূচনা চিঠি ছিল।

বর্তমানে ১৬৫ বছরের পুরনো এ স্টেশনটির প্ল্যাটফর্ম সংখ্যা ২৩ ও ট্র্যাক বা রেল পথ ২৬টি। প্লাটফর্ম ১ - ১৪ পুরনো টার্মিনাসের অন্তর্গত। ১৭-২৩ নতুন টার্মিনাস বা নিউ কম্প্লেক্সের অন্তর্গত।

Ref- The History of the East Indian Railway by George Huddleston.

— JODI GOLPO TO VALO LAGE PLEASE COMMENT BOX E JANABEN.ওগো শুনছো? সামনের কামরায় মনে হয় আগুন লেগেছে গো!চোখে একটু তন্দ্রা ...
28/01/2024

— JODI GOLPO TO VALO LAGE PLEASE COMMENT BOX E JANABEN.

ওগো শুনছো? সামনের কামরায় মনে হয় আগুন লেগেছে গো!

চোখে একটু তন্দ্রা ভাব এসেছিল, মায়ার এমন ভয়ার্ত কণ্ঠস্বর শুনে রাজের তন্দ্রা ছুটে গেলো এক নিমেষে। জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে দেখলো দুই কামরা আগে একটি কামরা থেকে আগুনের ফুলকি বেরোচ্ছে, জানালা দিয়ে গলগল করে বেরোচ্ছে কালো ধোঁয়া। এর মধ্যেই শোনা গেলো অনেক মানুষের আর্তনাদ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর করুণ আবেদন। এক মুহূর্তে শরীরের শিরায় শিরায় উষ্ণ রক্ত আরো টগবগ করে ফুটে উঠেলো। পাশে তাকিয়ে দেখলো তার স্ত্রী মায়া'র কোলে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে তাদের একমাত্র মেয়ে। বাইরে আবার তাকিয়ে দেখলো ঢাকা টু বেনাপোলগামী এক্সপ্রেস তখনো ছুটে চলেছে সাঁই সাঁই করে। পাশের কামরায় আগুন বাড়ছে, ছড়িয়ে পড়ছে অন্য কামরায়।

মায়ার হাত দুটি ধরে শান্ত স্বরে রাজ বললো,

— মায়া তুমি ভয় পেও না, আমি তো আছি, তুমি এখানেই বসো। খবরদার চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে যেও না। আমি দেখছি কি করা যায়।

কাঁদতে কাঁদতে রাজের হাত চেপে ধরে মায়া,

— ওগো তুমি আমাদের ছেড়ে যেও না গো, আমার বড্ড ভয় করছে!

মায়ার কথা শুনে তার বুকে মোচড় দিয়ে উঠলো। কিন্তু তাও সে উঠলো,

— আমি আসছি মায়া, তুমি বসো একটু।

কোনোরকমে কামরার দরজার কাছে যেতেই স্তব্ধ হয়ে গেলো সে, ইতিমধ্যেই এই কামরায় পৌঁছে গেছে নিজের লেলিহান বুভুক্ষু শিখা নিয়ে। ট্রেনের গতি আস্তে আস্তে ধীর হচ্ছে। হাতের কাছে যতজনকে পারলো কামরা থেকে বের করে দিলো রাজ। পাশের কামরার অনেক জন এসেও হাত লাগিয়েছে। কিন্তু এ আগুন নেভানো যাচ্ছে না কিছুতেই, যেন ঠিক করেই নিয়েছে সর্বস্ব গ্রাস করে নেবে আজকেই। ওরা কয়েক জন প্রাণপণে চেষ্টা করলো অসহায় মানুষগুলোকে ওখান থেকে বের করার। ট্রেন থেমে গেছে ততক্ষণে।

ঠিক তখনই রাজের মস্তিস্কের মধ্যে ভেসে উঠলো দুটি মানুষের মুখ, তার স্ত্রী আর সন্তান। তাড়াতাড়ি আগুনের ঝাপটা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে ভিতরে ঢুকেই বুকটা ধক্ করে উঠলো তার; কোথায় মায়া আর কোথায় বা তাদের মেয়ে? বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ভরে উঠেছে কামরা, কিছু দেখা যায় না। এখনো কিছু মানুষ রয়েছে, সেখানে কেও কেও তখনো শ্বাস নিচ্ছে, কেও বা ত্যাগ করেছে শরীরের মায়া। তাদের মধ্যেই কোনোরকমে হাতড়ে হাতড়ে খুঁজতে শুরু করলো নিজের স্ত্রী, মেয়েকে। এক সময় দেখলো জানালার নীচে গুটিয়ে বসে আছে মায়া, আর বুকে তখনো জড়িয়ে ধরে রেখেছে নিজের একরত্তি মেয়েকে। আগুনে অর্ধেক ঝলসে গেছে তারা, মেয়েটা হয়তো আর বেঁচে নেই। মায়া শ্বাস নিচ্ছে কোনোরকমে। রাজকে দেখেই বলে উঠলো,

— তুমি এসেছো? অনেক দেরি করে ফেললে যে!

কাঁদতে কাঁদতে ওদের বুকে জড়িয়ে ধরলো রাজ। ওর কানে তখনো ভাসছে মায়ার কান্না মাখানো কণ্ঠস্বর,

— আমার বড্ড ভয় করছে!

আগুন তখন সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে। লকলকে শিখা বারবার ছুঁয়ে দিচ্ছে শরীর। জানালা দিয়ে কোনোরকমে মুখটা বাড়ালো সে। বাইরে তখন অনেক মানুষ, পুলিশ, সাংবাদিক। কেও কেও নিজের ফোন বের করে ক্যামেরাবন্দী করছে মুহুর্তগুলো।

তার মধ্যেই কিছু মানুষ এসে তাকে জোর করে জানালা দিয়ে বের করার চেষ্টা করলো। কিন্তু সে বেরোলো না, সে দৃঢ় গলায় বলে দিলো,

— ভিতরে আমার স্ত্রী, সন্তান আছে। তাদের ফেলে আমি যাবো না।

শরীর পুড়ে যাচ্ছে একটু একটু করে। এই আগুনেই সমাধি হয়েছে তার ভালোবাসার, তাই এই আগুনের বুকেই শেষ আশ্রয় গ্রহণ করেছে সে।
লেখা ও ছবি - সংগৃহীত

No Caption
26/01/2024

No Caption

26/01/2024

Happy republic day to all my dear friends...!!

25/01/2024

Workout at your home 🏡

25/01/2024
25/01/2024

💕

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Spicy Life posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Spicy Life:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share