20/10/2021
...........পর্বঃ_০১
.........গল্প-স্পর্শ.........রোমান্টিক গল্প💕
বউয়ের কোমড় জরায় ধরে শুয়ে আছি। কোত্থেকে আজ এতো সাহস আসলো তা আমার জানা নেই।
৭ দিন ধরে বিয়ে হয়েছে তার মধ্যে আজ প্রথম বারের মতো আমার তাকে স্পর্শ করা হলো।
প্রথমে ভেবেছিলাম কিছু হয়তো বলবে অথবা হাত সরিয়ে দেবে কিন্তু কিছুই করলো না।
তাই সাহস আরো একটু বেরে গেলো তাই আমাদের মধ্যের দূরত্ব কমিয়ে আমি তার কাছে ঘেঁষে গেলাম, লক্ষ করলাম তার নিঃশ্বাস ভারী হয়ে গিয়েছে।
তার নিঃশ্বাস এর শব্দে আমার নিজের উপরে কন্ট্রোল রাখাটা কিছুটা কষ্টকর হয়ে উঠলো।
তবুও নিজেকে বুঝালাম যে নিজেরি বউ সব নিজেরি। ২/৩ দিন পরে কিছু করলেও কনো সমস্যা হবে না। কিন্তু, আমিও ছেলে জাতিতেই পরি।
নিজের বউ নিজের সামনে সুয়ে আছে তার কমোর জরায় ধরে আছি আমি।
আর কতো মসৃণ তার শরির সেটা বলে বুঝানোর ভাষা এই পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে কি না, তা নিয়ে আমার অনেক বেশি সন্দেহ আছে।
প্রতিটা মুহুর্ত আমার জন্যে একেবারে জুদ্ধের মতো হয়ে উঠলো,
আমি আমার নিজেকে বুঝানোর চেষ্টা করেই যাচ্ছি আর জাহান (আমার বউ) সেটা আরো কষ্টকর বানিয়ে দিচ্ছে।
হঠাৎ করেই তার কমোর ছেড়ে দিলাম। সে কিছুক্ষনের মধ্যেই চুপ হয়ে গেলো।
আমি উঠে কিছুক্ষন বসে থাকার পরে ড্রইং রুমে গেলাম।
গলা শুঁকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে। একগ্লাস পানি পান করে আমি আস্তে আস্তে করে ছাদে চলে গেলাম।
বেলকনি ধরে দারিয়ে ভাবছি, কি করতে যাচ্ছিলাম আমি?
যদি আজ তার অনিচ্ছায় কিছু করে বসতাম তাহলে স্বামী হয়ে স্ত্রীর হক আদায় করা হতো না ধর্ষন হয়ে যেতো এটা।
ধুরু, এসব কি ভাবছি! উঠে চলে এসেছি এটাই ভালো হয়েছে। কিছু হয়নি সুতরাং এখনো সমস্যা নেই কনো।
আমি ক্ষমা চেয়ে নিবোনে তার কাছে আগামী কাল সকালে, কিন্তু এখন রুমে যাওয়া যাবে না রুমে গেলে আজকে যা যা করেছি,
কি থেকে কি করে বসবো কোনো ঠিক নেই।
হঠাৎ করেই মনে পরলো, এই কয়েকদিন আমার আর জাহানের মাঝে একটা কোলবালিশ থাকতো।
আজ সেটা ছিলো না। এমনে সাধারন ভাবে সব কিছু গেলে হয়তো আমি ভাবতামও না সেটা নিয়ে।
কিন্তু, আজকে আমি কি করতে যাচ্ছিলাম এই কোলবালিশ না থাকায়।
কথা হচ্ছে গেলো কই এই কোলবালিশ?
দেরি করে বাসায় আসার কারনে আজ খেয়াল করিনি।
তবেকি জাহান সরিয়ে রেখেছে? আম্মুতো আসতে পারবে না চাইলেই, তাহলে কে করলো?
হয়তো জাহান করেছে। কিন্তু কেনো? ৭ দিনে ৭ মিনিটের জন্যেও সে আমার সাথে কথা বলেনি ভালো করে।
সুধু রুমে এসেছে দরকার হলে, ২/১ টা ডাক দিয়েছে, জ্বি সুনছেন আপনাকে অমুকে ডাকছে।
আমি কাকে কি বলছি, আমি নিজেইতো এই কয়েক দিনে তার সাথে কথা বলার সাহস করে উঠিনি।
যদিও নিজের বউকে নিয়ে বাশর নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো কিন্তু এই মেয়ের রূপ দেখে আমি সাথে সাথে ফিট।
যদিও সেটা গাড়ি করে বাসায় আসার সময় হতেই। আমার জীবনে আমি ভাবতেও পারিনি মেয়েরা এতো সুন্দর হতে পারে।
তখনি নিজেকে বুঝ দিয়েছিলাম এটা বিয়ের সাজ, ছবিতে এতো সুন্দর লাগছিলো না।
আমার চিন্তার জগতে ব্যাঘাত ঘটিয়ে হঠাৎ আমার মোবাইলে একটা মেসেজ আসলো, সিম কম্পানি ভেবে কেটে দিতে যাচ্ছিলাম, তখনি দেখি সুন্দর করে নাম সেভ করা, “
আমার বউ “ এক মিনিট, আমি তো জাহানের থেকে ওর নাম্বার নেই নি তাহলে কে করলো?
এই ভাবনার মাঝেই আরো একটা মেসেজ চলে আসলো,
--- “ আপনার ফোন লক ছিলো না তাই সুযোগ বুঝে আমি নিজেই সেভ করে দিয়েছি”
এটা দেখার পরে আমি আগের মেসেজ টা দেখলাম,
--- “ কি হলো, বউ এর রূপ দেখে ভয় পেয়ে গেলেন নাকি চলে গেলেন যে।
কি ভাবে যে আমি নিজেকে সামলে এসেছি সেটা আমি নিজেই ভালো যানি।
আচ্ছা যাইহোক তার মেসেজের উত্তর দিলাম।
--- “ না এমনেই, রুমের মধ্যে অনেক গরম লাগছিলো।
প্রায় সাথে সাথেই মেসেজ আসলো,
--- “ জ্বি, সেটা বুঝতেই পেরেছি, আপনি যেখানে ধরেছিলেন ঘামে ভিজে গিয়েছে।
সাথে কয়েকটা দুস্টামির ইমোজি মানে ঐ আরকি, কিছু একটা হবে।
আমি উত্তর দিলাম,
--- “ অন্য গরমের কথা বলছিলাম”
--- “ মানে?”
--- “ না কিছু না”
--- “ বলবেন কি না?”
বাহ, এতো তারাতারি বউ আমার উপরে হক দেখানো সুরু করে দিয়েছে।
আর কই আমি তার দিকে তাকাতেও ভয় পাই বা লজ্জা বোধ করি একি হলো।
আমি উত্তর দিলাম,
--- “ না, আসলে বেপার টা হয়েছে কি, আজ এসে ড্রিম লাইটের আলোতে আপনার কমোরের দিকেই চোখটা পরেছে,
আর সারি যেহেতু পরেছেন আমার কিচ্ছু করার ছিলো না।“
--- “ তাই বুঝি লজ্জা পেয়ে চলে গেলেন?”
--- “ না, উপরে আসার অন্য কারন। সেটা আপনাকে বলা যাবে না।“
--- “ না, আমাকে কেনো বলবেন, কলেজে আর ভার্সিটিতে যত বান্ধুবী আছে তাদের গিয়ে বলেন যে আপনি আপনার বউয়ের কমোড় জরায় ধরে শুয়ে ছিলেন তার পরে আপনার কিছু মিছু করতে ইচ্ছা হইছে তাই উপরে পালাইছেন।“
এখন কেনো জানি মনে মনে ভাবতে লাগলাম, যেই মেয়ে আমার সাথে ১০ মিনিট আগে অব্দি কথাও বলেনি সে এখন আমাকে সাস্বাচ্ছে।
আসলেই নারী জাতিকে বুঝা কারোর জন্যেই সম্ভব না। এরি মধ্যে মেসেজ চলে এলো,
--- “সুন্দর মতো নিচে চলে আসুন।
এতো রাত্রে ছাদে থাকলে সর্দি হবে পরে এখন আমার কমোড় ধরে যেই গরম লাগছে, তখন, গরমের ঠেলায় সেটাও পারবেন না।“
--- “ আমি কোলবালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারি না।“
--- “ জ্বি, সেই জন্যেই আজ নিজ দায়ীত্বে সজতনে আপনার কোলবালিশ আমি ময়লার গাড়ির সাথে পাঠিয়ে দিয়েছি।
“
কিচ্ছু বললাম না। বুঝতে পেরেছি, এই বউ আমার কোলবালিশকেও হিংসে করে।
না জিনিসটা খারাপ হলো না অবস্য এখন চাইলেই আমি তাকে জরায় ধরে বলতে পারবো কোলবালিশ নাই তাই ধরেছি। বাহ কি বুদ্ধি আমার।
এর পরে আসতে আসতে করে নিচে নেমে এলাম। রুমে আসতেই দেখি জাহান অন্য দিকে ঘুরে গেলো।
আর ব্যাপারটা বুঝলাম না, সে কি ইচ্ছে করেই তার কোমড় থেকে কাপড় সরিয়ে দিলো নাকি বাতাসে সরে গেলো।
যত কিছুই হোক আমার জন্যে নিজেকে সামলানো অনেক বেশি কষ্টের হয়ে গেলো।
আগেই আল্লাহ্র কাছে মাফ চেয়ে নিলাম যদি ভুল করে থাকি। এর পরে খাটের কাছে এক পা দু পা করে এগিয়ে গেলাম।
ঠাস করে একটা চুমু দিয়ে বসলাম তার কোমড়ে....
(বাকি গল্প আসছে খুব তারাতাড়ি)
--------কাব্য রাজ