Bjp All India

23/08/2025

22/08/2025

🪶 স্বাধীনতার ৭৯ বছর পরেও বন্দি দুই ভাইয়ের জীবন!

📍 তিনানি, পানিসাগর, উত্তর ত্রিপুরা.

আজ চারিদিকে স্বাধীনতার গান বাজছে, পতাকা উড়ছে, নেতারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছেন।
কিন্তু ঠিক সেই সময়, আমাদের পাশেই দুই ভাই কার্ত্তিক আর নিবাস সূত্রধর — জন্ম থেকে ১০০% প্রতিবন্ধী — বেঁচে আছেন এমন জীবনে, যেটা শুনলে চোখে পানি চলে আসে।
---
🧍‍♂️🧍‍♂️ কার্ত্তিক আর নিবাস —

দুজনেরই পা কাজ করে না, দাঁড়াতে পারেন না।
তবু ভিক্ষা করেন না — পুরনো মোবাইল, রেডিও, ইলেকট্রনিকস মেরামত করে অল্প কিছু টাকা আয় করেন।

তাঁদের মা — বুড়ি হয়ে গেছেন, তবু সংসারের ভার তাঁর কাঁধে।
এক ছোটো বোন আছে — যার বয়সে পড়াশোনা করার কথা, কিন্তু দিন কাটে মা–দাদাদের দেখাশোনা করেই।
---
😢 বাস্তব অবস্থা —

মাথার উপর ছাদ নেই।

যেই জমিতে থাকেন, সেটা সরকারি জমি হলেও স্বীকৃতি নেই — যেকোনো দিন উচ্ছেদ হয়ে যেতে পারেন।

টয়লেট নেই, স্নানের জায়গা নেই।

প্রতিদিন মা আর বোনকে জঙ্গলের ভিতর গিয়ে লেট্রিন–পস্রাব করতে হয়।
বর্ষায় কাদা–পোকা–সাপ, শীতে বরফ ঠান্ডা পানি, গরমে অসহ্য দুর্গন্ধ — এই সব নিয়েই দিন কাটছে তাঁদের।
---
📝 ৪০ বছরের আবেদন —

গত ৪০ বছরে তাঁরা কত দরজায় কড়া নেড়েছেন — DM, SDM, MLA, চেয়ারম্যান, মেম্বার সবার অফিসে —
চাওয়াটা শুধু:
1️⃣ মাথা গোঁজার পাকা ঘর
2️⃣ জমির কাগজ
3️⃣ একটা শৌচালয়

কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
যেখানে টাকা–পয়সাওয়ালা, প্রভাবশালীরা একের পর এক সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন, সেখানে এই পরিবার আজও উপেক্ষিত।
---
🇮🇳 স্বাধীনতার দিনে কেমন লাগে?

যখন চারপাশে দেশপ্রেমের গান বাজে, তখন এদের ঘরে থাকে শুধু দুশ্চিন্তা —
"কাল যদি প্রশাসন এসে বলে, জমি ছাড়ো, তখন যাব কোথায়?"
---
🗣 সরকারের উদ্দেশ্যে কথা —

মাননীয় ডঃ মণিক সাহা (মুখ্যমন্ত্রী, ত্রিপুরা)
মাননীয় রতন লাল নাথ (মন্ত্রী)
মাননীয় বিনয় বুসন দাস (বিধায়ক, পানিসাগর)
পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান
ওয়ার্ড নং ৪-এর মেম্বার

আপনারা জানেন কি, এই পরিবার ২১শ শতকের ভারতবর্ষে থেকেও টয়লেট ছাড়া বেঁচে আছে?
আপনারা জানেন কি, তাঁদের মা আর বোন প্রতিদিন জঙ্গলে গিয়ে পস্রাব–লেট্রিন করেন?
আপনারা জানেন কি, ৪০ বছরের আবেদন আজও কাগজে চাপা পড়ে আছে?
---
✊ চাওয়া — এখনই ব্যবস্থা

আমরা চাই —
✅ জমির স্বীকৃতি
✅ পাকা ঘর
✅ শৌচালয়

এটা শুধু কার্ত্তিক–নিবাসের জন্য নয়, ত্রিপুরার সব অসহায় প্রতিবন্ধী মানুষের জন্যও।
---
📌 ভুক্তভোগী পরিবার:
কার্ত্তিক সূত্রধর ও নিবাস সূত্রধর (১০০% প্রতিবন্ধী)
ঠিকানা: 58 পানিসাগর, উত্তর ত্রিপুরা, 799260
(ওয়ার্ড নং ৪, তিনানি)
ফোন: +91 89749 62333
---
যদি এই পোস্ট পড়ছেন — শেয়ার করুন।
একটা শেয়ার হয়তো সরকারের চোখে পৌঁছে দেবে সেই কান্না, যা গত ৪০ বছরেও শোনা হয়নি।

21/08/2025

বিলথৈ ছোট দুটি মেয়েকে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লো এক ভন্ড সাধু

19/08/2025

📰 বিশেষ প্রতিবেদন
“ছায়ার থেকেও কম—এই অসহায় অবস্থার নাম কি জীবন?”

নিজস্ব প্রতিনিধি, পানিসাগর
ত্রিপুরার উত্তরপ্রান্তে, পানিসাগর, নগর পিঞ্চায়েত, ৪-নাম্বার অর্ডার তিনানি এলাকার এক জীর্ণ কুঁড়েঘরে লুকিয়ে আছে এক নির্মম বাস্তবতা।
না, তাকে আসলে ঘর বলা যায় না—এ যেন মৃত্যুর প্রতীক্ষালয়।

সেই ভগ্ন কুঁড়েঘরের ভেতরে বেঁচে আছে এক বৃদ্ধা মা, তার কিশোরী কন্যা এবং দুই ভাই—কার্ত্তিক ও নিবাস সূত্রধর।

কিন্তু এই ভাইরা জন্ম থেকেই শতভাগ প্রতিবন্ধী।
কোনোদিন হাঁটতে পারেনি, দাঁড়াতে পারেনি, নিজের পায়ে চলতে পারেনি।
মায়ের কোল আর সমাজের অবহেলাই ছিল তাদের জীবনের চরম সত্য।

এর মধ্যেই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা হলো—
এই তিন ভাইয়ের মধ্যে একজন কিছুদিন আগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।
সরকার ও প্রশাসনের সাহায্যের আশায়, প্রতিশ্রুতির অপেক্ষায়—
শেষমেশ অসহায়ভাবে বিদায় নিতে হয়েছে তাকে।
---
৪০ বছরের লড়াই
এই পরিবার ৪০ বছর ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।
বৃষ্টির দিনে বিছানা ভিজে যায়, শীতে হাড় কাঁপে, গ্রীষ্মে দমবন্ধ হয়ে আসে।
তবুও নেই একটি ঘর, নেই সামান্য জমির টুকরো, নেই লেট্রিন কিংবা স্নানের জায়গা।

প্রতিদিন বৃদ্ধা মা ও কিশোরী বোনকে যেতে হয় জঙ্গলে, খোলা আকাশের নিচে, লেট্রিন করতে।
লজ্জা, ভয় আর অসহায়তা—এটাই তাদের প্রতিদিনের বাস্তবতা।
---
আবেদন, প্রতিশ্রুতি আর প্রতারণা
বিগত ৪০ বছরে এই পরিবার অসংখ্যবার সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে—
➡️ SDM-জেলা প্রশাসনে,
➡️ BDO কার্যালয়ে,
➡️ বিধায়কের কাছে,
➡️ এমনকি মন্ত্রীদের কাছেও।

প্রতিবারই তারা প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
কেউ বলেছেন—“শিগগির ব্যবস্থা হবে”,
কেউ বলেছেন—“পরের প্রকল্পে নাম উঠবে।”

কিন্তু বাস্তব?
সব প্রতিশ্রুতি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
আজও সেই পরিবার ঘরহীন, সহায়তাহীন।
---
কার্ত্তিকের ক্ষোভ
কার্ত্তিক প্রশ্ন তোলেন—
❝প্রতিবন্ধী হয়েও আমি মোবাইল-ইলেকট্রনিক্স মেরামত করে সংসার চালাই।
তাহলে একটি সরকারি চাকরি কি আমাদের প্রাপ্য ছিল না?❞

তার কথার ভেতর ফুটে ওঠে অসহায়তা আর ক্ষোভ।
একজন প্রতিবন্ধী নিজের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও যখন সংসার চালাতে পারে,
তাহলে রাষ্ট্র কেন তাকে সামান্য সহায়তা দিতে ব্যর্থ হলো?
---
সরকারের ভূমিকা—চোখ বন্ধ করে থাকা
আজ প্রশ্ন উঠছে—
এত সংবাদ, এত প্রতিবেদন, এত সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট—
তারপরও কেন প্রশাসনের টনক নড়ে না?

সবাই কি দেখেও না দেখার ভান করছে?
সবাই কি শুনেও বধির সেজে আছে?

তাহলে কি সরকারের ঘুম ভাঙবে কেবল তখনই,
যখন কার্ত্তিক-নিবাসও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে?

যেমন কিছুদিন আগে তাদের আরেক ভাই সরকার ও প্রশাসনের সহায়তার আশায় মৃত্যুবরণ করেছে—
ঠিক তেমনি কি এই দুই ভাইয়ের মৃত্যুর অপেক্ষা করছে, সরকার প্রশাসন সবাই?
---
সমাজের কাছে কঠিন প্রশ্ন
👉 লক্ষ টাকার ব্যবসায়ীকে যদি সরকার খাস জমি দিতে পারে,
👉 তবে দুই শতভাগ প্রতিবন্ধী ভাইকে একটি ছোট ঘরের জমি দিতে পারে না কেন?

এটা শুধু সরকারের ব্যর্থতা নয়—
এটা সমাজেরও চরম লজ্জা।
এটা আমাদের নীরবতার অভিশাপ।
---
সময় এসেছে প্রতিবাদের
🔥 কার্ত্তিক-নিবাসের গল্প যেন আরেকটি মৃত্যুর কাহিনী না হয়।
🔥 যেন আর কোনো প্রতিবন্ধী পরিবারকে বনবাসে থাকতে না হয়।
🔥 যেন আর কোনো মা সন্তানের চোখের জল আড়াল করতে বাধ্য না হন।

একটি ঘর, একটি জমি—এটা বিলাসিতা নয়, এটা তাদের মৌলিক অধিকার।
আজ যদি আমরা নীরব থাকি,
তাহলে কাল আমরা নিজেরাই এই অমানবিক ব্যবস্থার শিকার হবো।
---
উপসংহার
এই প্রশ্ন সরকার ও প্রশাসনের কাছে নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে—
👉 কতজন মরবে, তারপরে আমাদের বিবেক জাগবে?
👉 মৃত্যুর পরে যদি সহায়তা আসে, তবে সেটি সাহায্য নয়—
এটা কেবল শবযাত্রার শোভা মাত্র।

কার্ত্তিক-নিবাসের প্রাপ্য অধিকার আজই দিতে হবে।
আজই তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
নইলে ইতিহাস একদিন আমাদেরও ক্ষমা করবে না।

🙏 আজই আপনারা এই প্রতিবন্ধী ভাইদের পাশে দাঁড়ান, এই বিষয়টি বেশিকরে শেয়ার করুন, হয়তো আপনার একটি শেয়ার এই প্রতিবন্ধী ভাইদের জীবন বদলে দিতে পারে, তাই আসুন এই ভাইদের সাথে শক্তি হয়ে দাঁড়ান।
🙏 ধন্যবাদ।

📌 ভুক্তভোগী পরিবার:
কার্ত্তিক সূত্রধর ও নিবাস সূত্রধর (১০০% প্রতিবন্ধী)
ঠিকানা: 58 পানিসাগর, উত্তর ত্রিপুরা, 799260
(ওয়ার্ড নং ৪, তিনানি)
ফোন: +91 89749 62333

19/08/2025

17/08/2025

🙏🙏🙏