16/10/2025
আজ কংগ্রেসের তরুণ সমর্থকরা রাহুল গান্ধীর নুতুন রূপে মুগ্ধ — সেটাই স্বাভাবিক। রাহুল গান্ধী এবং তার টীম প্রচুর পরিশ্রম করেছেন, বিজেপি এবং ইলেকশন কমিশনকে নগ্ন করেছেন একের পর এক ডাটা এবং তথ্য দিয়ে। আমিও তাঁর প্রশংসা করি। কিন্তু যখন এই তরুণ তুর্কিরা আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে কোনো কারণ ছাড়াই নগ্নভাবে আক্রমণ করেন তখন তো তাদেরকে মনে করিয়ে দিতেই হয় যে “কাঁচের ঘরে বাস করে ঝগড়া করতে নেই”, যাইহোক আমাদের এই তরুণ প্রজন্মকে কিছু ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে আনা ঘটনা মনে করিয়ে দিতে চাই।
⸻
কংগ্রেসের সময়কার কিছু দাগী অধ্যায়
১. অপারেশন পোলো (হায়দরাবাদ), ১৯৪৮
সেনা অভিযানের পর দাঙ্গায় প্রচুর মুসলিমের প্রাণহানি; সুন্দরলাল কমিটি গঠন হয়েছিল কিন্তু রিপোর্ট কখনো সামনে আসে নি।
২. বাবরি মসজিদের শাহাদাৎ (১৯৪৯–১৯৯২)
মূর্তি “পাওয়া” (১৯৪৯), তালা খোলা (১৯৮৬), ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন (১৯৮৬), এবং অবশেষে ধ্বংস (১৯৯২)—সবই কংগ্রেসের সময়কালে স্পর্শ করেছে। লিবারহান কমিশনের রিপোর্ট বহু দেরিতে এসেছে।
৩. গুজরাট দাঙ্গা, ১৯৬৯
৬৬০ জন সরকারি হিসাবে নিহত, অধিকাংশ মুসলিম। রিপোর্ট জনসমক্ষে আসেনি।
৪. নেল্লি গণহত্যা, আসাম ১৯৮৩
মাত্র কয়েক ঘণ্টায় হাজারের বেশি (অনুমান ২,০০০–৩,০০০) নিরীহ বাঙালি মুসলিম কৃষককে হত্যা করা হয়—এই গণহত্যার বড় অংশ আজও ইতিহাসের চাপে চাপা। তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট আজও প্রকাশ করা হয়নি।
৫. অপারেশন ব্লু স্টার, ১৯৮৪
অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে সেনা অভিযান—হাজারো প্রাণহানি; পূর্ণাঙ্গ বিচার হয়নি।
৬. দিল্লি শিখ গণহত্যা, ১৯৮৪
বহু শিখ নিহত; বহু কংগ্রেস নেতা অভিযুক্ত হলেও দশকের পর দশক শাস্তি এড়ায়।
৭. টাডা আইন (১৯৮৫–১৯৯৫)
৬৭,০০০-এর বেশি আটক, দোষী সাব্যস্ত