11/07/2025
বিয়ে বিভ্রাট : কিছু অপ্রিয় সত্য কথা
(দীর্ঘ পোস্ট, কিন্তু সময় নিয়ে পড়লে ভাবতে বাধ্য করবে)
বিয়ে শুধুমাত্র একজন পুরুষ ও একজন নারীর মাঝে একটি সম্পর্ক নয় — এটি সামাজিক এবং পারিবারিক স্তরে ভবিষ্যতের দিশা নির্ধারণের একটি গুরুতর প্রথা।
কিন্তু আজকের দিনে বিয়ে নিয়ে যে বিভ্রান্তি, সংকট এবং দ্বিধা তৈরি হয়েছে, তা আমাদের মনে বহু প্রশ্ন জাগায়। ছোটবেলা থেকেই আমরা পড়ে এসেছি — যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। আমরা শুনি নারী নির্যাতনের খবর, দেখি ভিডিও, প্রতিবাদ করি।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় — পারিবারিক সহিংসতার জন্য শুধুই কি পুরুষরা দায়ী?
না কি নারীদের ভূমিকাও সেখানে অবিচ্ছেদ্য?
আমার অভিমত —
একজন পুরুষ তখনই নারীর গায়ে হাত তুলতে সাহস পায়, যখন তার নিজের পরিবারে (বিশেষ করে নারীদের কাছ থেকে) সে প্রকারান্তরে প্রশ্রয় পায়।
একইভাবে, একজন নারী তার নিজের পরিবার থেকে যেমন মূল্যবোধ শিখে, শ্বশুরবাড়িতে গিয়েও সে তেমন আচরণই করে।
আমরা বেশিরভাগ সময় একতরফা বিচার করি।
তথাকথিত “পুরুষতান্ত্রিক সমাজে” সবসময় পুরুষই দোষী — এমনটাই চিত্র আঁকা হয়।
কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি, পুরুষদের দিকেও সমাজ কেমন চাপ সৃষ্টি করে?
একজন গরীব পিতার সুন্দরী কন্যা, শিক্ষায় পিছিয়ে থাকলেও, শুধুমাত্র রূপের জোরে ভালো পাত্র পেতে পারে।
কিন্তু একজন ছেলে? সে যত ভালো মানুষই হোক, যত সুদর্শন হোক, কন্যা পক্ষের প্রথম প্রশ্ন থাকে —
ছেলের মাসিক ইনকাম কত?
বাড়িতে কে কে থাকে?
বাবা-মায়ের সম্পত্তি কত?
গায়ের রং কেমন?
মাথায় চুল আছে তো?
টেকো নয় তো?
এমনকি — বোন আছে কিনা, বোনের বিয়ে হয়েছে কিনা — এসব প্রশ্নও ছুঁড়ে দেওয়া হয়।
আর যদি কোনো ছেলের ইনকাম কম হয় — খুব ভালো মানুষ হলেও, কন্যা পক্ষ আগে থেকেই "না" বলে দেয়।
অন্যদিকে, যদি ছেলেটি প্রভাবশালী পরিবারের হয়, আর তার ইনকাম আকাশছোঁয়া — সেটা সৎ হোক বা অসৎ — মেয়ের পরিবার লাখ লাখ টাকার যৌতুক দিয়ে বিয়ে দিতে প্রস্তুত!
আরেকটা ট্রেন্ড ছিল পশ্চিমবঙ্গে — শিক্ষক ছাড়া মেয়ের বিয়ে দেব না।
এখন পরিস্থিতি দেখুন — ২৬ হাজারের প্যানেল বাতিল!
তবুও কিছু তথাকথিত কিছু "শিক্ষক" স্থায়ী চাকুরীজীবী, এমনটি তথাকথিত সফল ব্যক্তি এখনও বিয়েতে দাবি করেন SUV গাড়ি, ১৫–২০ লাখ টাকা ক্যাশ, সোনার গহনা সহ আরও অনেক কিছু!
দুঃখজনক বাস্তবতা — অনেক ভালো ছেলে আছে, যারা যৌতুক নিতে চায় না। কিন্তু মেয়ের পরিবার নিজেই প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয়, কেবল সেই বাড়িতেই মেয়েকে দিতে হবে বলে।
কিন্তু আসল লড়াই শুরু হয় বিয়ের পর।
প্রথম ছয় মাস ভালোবাসা, হানিমুন, খুশি — এরপর আসে বাস্তব জীবন।
যদি ছেলের ইনকাম কমে যায় বা আর্থিক চাপ আসে, তখনই শুরু হয় অভিযোগ।
স্বামীকে ছোট করে বলা হয় “অযোগ্য”, “ব্যর্থ”, “লোকটার কোনো ভবিষ্যৎ নেই”।
একসময় নারীরা স্বামীকে সাপোর্ট করত, সাহস দিত।
আর আজকাল অনেকেই চায় সব কিছু রেডিমেড —
স্বামীর টাকা থাকবে, স্বপ্ন পূরণ করবে, কথা শুনবে — না পারলে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে।
আর ছেলেরা?
যখন উপার্জন শুরু করে, তখন চিন্তা করে — পরিবার, বন্ধু, দায়িত্ব।
অন্যদিকে, মেয়েরা উপার্জন শুরু করলেই বলে — “এবার আমি আমার স্বপ্নগুলো পূরণ করব” — পরিবার তখন দ্বিতীয় স্থান পায়।
এই বাস্তবতাই কষ্টের।
আজ নারী-পুরুষ কেউ কাউকে পরিপূরক ভাবে না।
সবাই সফলতা চায় — মন নয়।
এই মানসিক ব্যবধানই আমাদের সামাজিক কাঠামোকে প্রতিনিয়ত ভেঙে দিচ্ছে।
✍️ এই লেখাটি কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, শুধুই আমার অনুভব থেকে উঠে আসা কিছু বাস্তব প্রশ্ন ও পর্যবেক্ষণ। কেউ একমত হতে পারেন, কেউ নাও পারেন। কিন্তু চোখ বন্ধ করে থাকা কোনো সমাধান নয়।
#বিয়েবিভ্রাট #সমাজবাস্তবতা #সম্পর্ক #পুরুষতান্ত্রিকসমাজ #নারীপুরুষ #যৌতুক #পারিবারিকসহিংসতা #বিবাহিতজীবন #আধুনিকসমাজ #বাস্তবতা #চিন্তাভাবনা #অনুভব #সামাজিকপ্রশ্ন #আলোচনা #বিবাহ #সম্পর্কেরজটিলতা