Ankhi's Creation

  • Home
  • Ankhi's Creation

Ankhi's Creation Digital creator

Jai mata di
31/05/2025

Jai mata di

27/05/2025
27/05/2025

আজ ১৭ নম্বর আদালতের এজলাসে এক অদ্ভুত মামলা উঠেছে।

এক নারী, বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, হঠাৎ করে জানিয়ে দিলেন—তিনি আর সংসার করতে চান না। তিনি চুপচাপ নিজের মত বাঁচতে চান। সব সম্পর্ক থেকে নিঃশর্ত মুক্তি চান। কিন্তু বিপরীতে, তার স্বামী এই বিচ্ছেদ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তার যুক্তি—মেয়ে বড় হয়েছে, সংসার অনেকটাই গুছেছে, এখন সময় শুধু দু’জন মিলে একসাথে কাটানোর। তবু অনুপমা, সেই নারীর নাম, তাঁর নিজের মত করে বাঁচতে চাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল।

শঙ্খনীল আর অনুপমা—এই দম্পতির গল্প অনেকেই জানে। সমাজে তারা ‘সুখী দম্পতি’র উদাহরণ হিসেবে পরিচিত। পঁচিশ বছরের সংসার, একটি মেয়ে—সব মিলিয়ে বাইরের চোখে নিখুঁত পরিবার। অথচ, আজ অনুপমা দাঁড়িয়েছেন বিচ্ছেদের জন্য, কোর্টের রায় চেয়ে।

বিচারক প্রশ্ন করেন, “আপনার স্বামী কি অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িত?”

অনুপমার হাসি মিশ্রিত উত্তর, “আজও ওর জীবনে আমি ছাড়া কেউ নেই। আমিই ওর সবচেয়ে প্রিয়।”

“তাহলে কি কোনো নির্যাতন? গায়ে হাত তোলেন?”

“না। ওরকম কিছু না। আমি নিজেও আয় করি, একজন কর্মজীবী নারী—আমার ওপরে অত্যাচার করার সাহস হয়তো ওর হতো না,” বললেন অনুপমা।

“তাহলে কেন?” — বিচারকের এই প্রশ্নে যেন জমে থাকা এক নদীর জল একসাথে বয়ে গেল।

“আজকের ভালোটা দেখেই আপনি বিচার করতে চাইছেন, বিচারক মহাশয়। কিন্তু কেউ দেখেছে আমার গত পঁচিশ বছরের ক্লান্তি, প্রতিটি দিনের অভিমান, প্রতিটি রাতে চুপচাপ কাঁদা? আমার স্বামী একজন ভালো মানুষ, ভালো বাবা, ভালো অফিসার। কিন্তু ভালো প্রেমিক? না, সে কোনোদিন হতে পারেনি।

আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। বিশ্বাস ছিল, এই সম্পর্কটা হবে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, যত্নে মোড়া। কিন্তু বিয়ের পর সেই প্রেমিক হারিয়ে গেল। বউ হওয়া মানে রান্না শেখা, কাজের ভার নেওয়া, শাশুড়ির অপমান সহ্য করা—এসবই যেন ‘স্বাভাবিক’ হয়ে গেল। আমি তখনও আয় করতাম, তবু সংসারের প্রতিটি দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলাম এই আশায়—প্রেম ফিরে পাবো। কিন্তু তেমন কিছুই হলো না। শাশুড়ির গঞ্জনা, শারীরিক কষ্ট, অফিস আর ঘরের চাপ—সবকিছুর মাঝেও আমি চাইতাম, আমার স্বামী একটিবার পাশে এসে বলুক, ‘চলো, আজ দুজন মিলে কাজ করি।’ কিন্তু সে চুপ থেকেছে।

সন্তান হওয়ার পর শরীরে কিছু বদল এল, চোখে ঘুমের অভাবে কালি, গায়ে ক্লান্তি—তখন আমি বুঝলাম, তার দৃষ্টিতে আমি কেমন যেন অচেনা। অফিসের চটকদার সহকর্মী তার কাছে হয়ে উঠলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি শুধু এক সংসার সামলানো মানুষ, প্রেমিকা নই।

একবার নয়, বহুবার বলেছি, আমি আবার প্রেম পেতে চাই, তোমার প্রেমিকা হয়ে থাকতে চাই। সে শোনেনি। আমি তবুও থেকেছি। কারণ, মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে। বাবার স্নেহ থেকে তাকে বঞ্চিত করতে চাইনি। কিন্তু আমার স্বামী? সে কি একবারও আমার অভিমান বুঝতে চেয়েছে?

সে আমাকে দিয়েছে “সবচেয়ে ভালো বউ”র খেতাব, বন্ধুদের সামনে আমার ‘সহ্যশক্তি’র প্রশংসা করেছে। কিন্তু নিজের ভালোবাসাটা কোনোদিন তুলে দেয়নি।

আমি তার একটিবার পাশে থাকাও পাইনি, একটিবার জিজ্ঞেস করাও পাইনি—‘তুমি কেমন আছো?’

সে নিজের মতো জীবনের স্বাদ নিয়েছে—বন্ধুদের সাথে ঘোরা, রাত জেগে আড্ডা, নিজের সময়কে নিজের মতো করে কাটানো। কিন্তু আমার সময়?

আমি পঁচিশ বছর সংসার করেছি, তেইশ বছর মায়ের দায়িত্ব পালন করেছি, নিজের জীবনকে ফুরিয়ে দিয়েছি যেন। বিনিময়ে আমি পেয়েছি—শূন্যতা।

তবে আজ আর না। আজ আমি শুধু একজন ‘বউ’ হয়ে বাঁচতে চাই না। আমি স্বাধীন মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই। আমি সকালে সূর্য দেখার সময় চাই, রাতে ডায়েরির পাতায় নিজের অনুভব লেখার সময় চাই। আমি চাই না, ভোরে উঠে কারো জন্য চা বানাতে গিয়ে আমার ঘুম কেটে যাক।

আমি একটু সুখ চাই, নিজের মতো করে। একটু শান্তি চাই, যেটা কাউকে বোঝাতে হয় না। একটু ভালোবাসা চাই—নিজের জন্য।

বেশি কিছু চেয়েছি কি আমি?

নারী হয়ে জন্মেছি বলে সারাজীবন দিয়ে যাব, আর কিছুই ফিরবে না? মনুষ্যজন্ম পেয়েছি বলেই না এই পৃথিবীর স্বাদ নিতে চাই।

তাই, আমি নিজেকে মুক্ত করতে চাই। সম্পর্কের মেকি দায় থেকে নয়, জীবনের প্রতি নতুন ভালোবাসার খোঁজে।”

অনুপমার কথা শুনে পুরো আদালত স্তব্ধ। এমন সৎ, এমন গভীর হৃদয়ের কথা শুনে কিছু বলার থাকে না কারোরই। বিচারকের চোখেও যেন জল।

এই দাবি কি অনুপমার একার? না কি, এই গল্পটা পৃথিবীর অনেক অনুপমার?

কারও জানা নেই।

তবে এটুকু বোঝা যায়—জীবনের প্রতিটি সম্পর্কেই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ভালোবাসা না থাকলে, তা শুধু দায়িত্ব হয়ে পড়ে। আর দায়িত্বে মন তুষ্ট হলেও, আত্মা হয়তো চুপিচুপি কাঁদে...
's Creation

26/05/2025

মাছের বড় পিসটা প্লেটে উঠাতেই দেখলাম আমার ননদ আর শাশুড়ী আমাকে চোখ দিয়ে পু'ড়িয়ে দিচ্ছে। তারা হয়তো আমাকে নানান কথা শোনাতো কিন্তু সামনে আমার শশুরমশাই বসে আছে। বাড়িতে উনাকে সকলে খুব মেনে চলে আর অনেক ভয়ও পায়। তাই উনার সামনে কাউকে ছোট করার সাহস কেউ দেখালো না। আমি নির্বিকার ভাবে খাবারের থালাটা শশুর মশাইএর সামনে রাখলাম। শাশুড়ী ননদ হয়তো বুঝতে পেরেছে খাবারটা আমার নয় তাই তারা চোখের জ্যোতি কিছুটা কমিয়ে আনতে না আনতেই আবার তাদের চোখ বি'স্ফোরণ ঘটে কারণ আমার শশুর আমাকে বললো

--" তুমিও আমার সাথে খেতে বসো। প্লেটে খাবার নিয়ে আসো।

আমি তার কথা শুনে চুপচাপ নিজের খাবারটা বেড়ে নিয়ে তার পাশে বসলাম। এমন সময় আমার শাশুড়ী আর ননদ বলে উঠলো

--" ওর এখন খাওয়ার কি দরকার ছিলো? আমাদের সাথে খেলেই তো পারতো। মাত্র আটটা বাজে এখন তো কারো ক্ষিদা লাগে না৷ তোমার তো রুটিন তাই তুমি এখন খাও। কিন্তু ও কেন?

--" বাবা আপনি একটু বেশিই । এখন রাত আটটা বাজে এখন কি কারো খিদা লাগে নাকি? আমারা তো দশটার দিকে খাবার খাই। আমার তো এখনো খিদা লাগেনি।

আমি কোনো কথা না বলে চুপচাপ খাচ্ছি। এখন আমি কথা বললে অসভ্যতা হয়ে যেতে পারে। এর থেকে চুপচাপ থাকা ভালো। শশুরমশাই খাওয়ার সময় কথা বলা পছন্দ করেন না। আজ তবুও বলে উঠলো..

--" তোমাদের খিদা লাগে না কারণ তোমরা সন্ধ্যাবেলা নানান রকম খাবার খাও। কিন্তু আমি ওকে কিছুই খেতে দেখিনি। কোনো মানুষ দুপুর দুইটায় ভাত খেলে তার সন্ধ্যা ছয়টা থেকেই খিদা লাগে।

--" তুমি যে কি বলো না! আমরা তো ওকে খেতে বলেছিলাম মিতাই তো বললো ও নাকি দুধের তৈরি কোনো খাবার খেতো পারে না।

--" হ্যা রেনু তুমিও ঝাল আর নোনতা খাবার খেতে পছন্দ করো না। আমি যখন বাড়ির সবার জন্য ঝাল বা নোনতা খাবার আনতাম তোমার জন্য তো মিষ্টি খাবার নিয়ে আসতাম। এসব কাজে বিবেক আর দ্বায়িত্ব লাগে বুঝতে পারলে। আমার দুঃখ তোমার ছেলে এখনো এতটুকু বুঝতে পারলো না।

পাশে আমার স্বামী সমর মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে৷ মিনমিনে উত্তর দিলো

--" মিতা যে দুধের তৈরি কোনো খাবার খায় না আমি জানতাম না।

--" স্বামী হিসাবে তোমার জানাটা দ্বায়িত্ব তোমার। এখন বিবেক না থাকলে আমার আফসোস হবে আমি তোমাকে মানুষ করতে পারলাম না।

--" আহ তুমি সামান্য ব্যাপার নিয়ে এতো কথা কেন বলছো? আমরা কি ওকে খেতে নিষেধ করেছি নাকি?

--" কথাটা তোমরাই শুরু করে ছিলে। আমি তো বরাবর চুপচাপ খাবার খেয়ে থাকি। আসলে কি জানো তো রেনু আমাদেরও মেয়ে আছে। সে যখন স্বামী বাড়িতে এমন অবহেলিত হবে তখন তুমি বুঝতে পারবে। আর আমি যদি কারো মেয়ের সাথে ভালো ব্যবহার না করি তাহলে কেন অন্যকেউ আমার মেয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করবে? ছেলের বউদের সাথে আমাদের রক্তের কোনো সম্পর্ক থাকে না৷ তাকে ভালোবাসা দিয়ে আপন করে নিতে হয়। সদ্য তুলে আনা গাছকে যদি তুমি অযত্নে ফেলে রাখো তাহলে কিন্তু তা তোমাকে ফল দিবে না বরং মরে যাবে। মিতা আমার আর একটা মেয়ে। আসার সময় ও বাবাও আমার হাত ধরে বলে দিয়েছে বেয়াই আমার মেয়েটাকে দেখে রাখবেন৷ হয়তো এমন কথা আমিও কাউকে বলবো। আমি যদি তার কথা রাখতে না পারি তাহলে অন্য কেউ কেন আমার কথা রাখবে?

তার কথা শুনে সকলেই মাথা নিচু করে আছে। আমিও চোখের কোণে জমে থাকা পানিটা মুছে নিলাম। এটা সুখের কান্না। এ যেন এক অন্য পিতা। সত্যিই মিতা ভাগ্যবতী❤️❤️

সমাপ্ত 🌿🌿

পাপড়ি চাট কে কে খেতে ভালোবাসো চলে এসো🤤
28/03/2025

পাপড়ি চাট
কে কে খেতে ভালোবাসো চলে এসো🤤

Good night
28/03/2025

Good night

Good evening
21/03/2025

Good evening

মাHighlightsEveryone
21/03/2025

মা
HighlightsEveryone

Identify the place?
18/03/2025

Identify the place?

Address

54 Foot

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ankhi's Creation posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ankhi's Creation:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share