
08/09/2025
১৯৫০ সাল থেকে বর্তমান ২০২৫ সাল পর্যন্ত পুরোনো জমির দলিল খোঁজা এবং তার নকল বা সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই সময়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন ও পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়েছে। পুরোনো দলিল খুঁজে বের করার জন্য কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে, যার মধ্যে কিছু অনলাইন পদ্ধতি এবং কিছু অফলাইন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত।
অনলাইনে পুরোনো জমির দলিল খোঁজা
-
ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে, অনেক রাজ্য সরকার পুরোনো জমির নথি ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে নির্দিষ্ট কিছু সাল থেকে দলিল অনলাইনে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
-
*পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে:
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের একটি ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে আপনি কিছু পুরোনো দলিল খুঁজে পেতে পারেন। তবে, মনে রাখতে হবে যে সব দলিলই অনলাইনে পাওয়া যায় না। সাধারণত, ১৯৮৫ বা তার পরের দলিলগুলি অনলাইনে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
-
*ওয়েবসাইটে খোঁজার পদ্ধতি:
oরাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের অফিসিয়াল পোর্টালে (যেমন: wbregistration.gov.in) যেতে হবে।
o"e-Services" বিভাগে গিয়ে "Searching of Deed" অপশনটি বেছে নিতে হবে।
oএখানে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে দলিল খোঁজা যায়, যেমন- বিক্রেতা বা ক্রেতার নাম, দলিল নম্বর, রেজিস্ট্রেশনের বছর, মৌজা এবং প্লট নম্বর।
oদলিলের তথ্য দেখতে পেলে, আপনি সেটির সার্টিফাইড কপির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
-
*
অফলাইনে পুরোনো জমির দলিল খোঁজা:
যদি আপনার প্রয়োজনীয় দলিলটি অনলাইনে না পাওয়া যায়, তাহলে অফলাইন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এটিই সবচেয়ে নিশ্চিত পদ্ধতি, বিশেষ করে ১৯৫০-এর দিকের খুব পুরোনো দলিলের জন্য।
•রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন: আপনার জমিটি যে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আওতাভুক্ত, সেখানে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
-
*
oআপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে হবে, যেখানে দলিলের তথ্য, যেমন- সাল, বিক্রেতা বা ক্রেতার নাম, মৌজা নম্বর ইত্যাদি উল্লেখ করতে হয়।
-
*
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়::
•দলিলের প্রকারভেদ: ১৯৫০ সালের পরে ভারতের জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয় এবং ১৯৫০ সালের প্রজাস্বত্ব আইন (West Bengal Estate Acquisition Act, 1953) কার্যকর হয়। এই সময় থেকে জমির মালিকানা এবং দলিল সংক্রান্ত নিয়মাবলীতে বড় পরিবর্তন আসে। পুরোনো দলিলগুলিতে সি.এস (Cadastral Survey) বা এস.এ (State Acquisition) খতিয়ানের উল্লেখ থাকতে পারে।
•নথিপত্রের প্রয়োজনীয়তা: আবেদন করার সময় আপনার কাছে যদি পুরোনো দলিলের কোনো অনুলিপি, খতিয়ান বা দাগ নম্বর থাকে, তাহলে কাজটি অনেক সহজ হয়।
•আইনগত পরামর্শ: যদি আপনার কোনো জটিলতা বা আইনি সমস্যা থাকে, তাহলে একজন আইনজীবীর সাহায্য নেওয়া উচিত। তারা পুরোনো দলিল খুঁজে বের করার জন্য সঠিক পদ্ধতি এবং আইনগত দিকগুলি সম্পর্কে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন।
-
*
সুতরাং, ১৯৫০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পুরোনো জমির দলিল খোঁজার জন্য অনলাইন ও অফলাইন উভয় পদ্ধতিই ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খুব পুরোনো দলিলের ক্ষেত্রে সরাসরি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করাই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।