Najim Hoque, English Bazar (2025)

26/04/2025

শুনুন - কাশ্মীরের লোকাল মানুষেরা নিজের জীবনের বাজি রেখে পর্যটকদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। যারা হিংসা ছড়াচ্ছে তারা এই ভিডিওগুলো এড়িয়ে যাবে জানি ।। 🙏

23/04/2025

দিনের আলোয় পর্যটকদের উপর এমন হামলা —
এটা কি সরাসরি গোয়েন্দা ব্যর্থতা নয়?
এত নিরাপত্তা বলেই তো বলা হয় কাশ্মীর এখন ‘স্বাভাবিক’ — তাহলে?

সরকার দায় এড়াতে পারে না।
সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, সাথে সরকারের দায়িত্বহীনতার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চাই।
আর যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত — সামনে থেকে হোক, নেপথ্যে হোক — তাদের এমন শাস্তি হোক, যা ইতিহাস মনে রাখে।

আজ আমরা কাঁদি, কাল যেন আর কেউ না কাঁদে। 💔🙏

22/04/2025

আজকের কাশ্মীরের সন্ত্রাসী হামলার খবর শুনে ভিতরে ভিতরে কেমন যেন ভেঙে পড়লাম।
শুধু রাগ নয়, সাথে একরাশ কষ্ট বুকে নিয়ে পোস্টটা লিখছি। শুধু ভাবছি যারা কিছু আনন্দের মুহূর্ত ভাগ করতে গেছিল, তাদের পুরো জীবনটা কিভাবে পাল্টে গেল এক নিমেষে।

শুধু এটাই বলবো - নিরপরাধ, নিরস্ত্র মানুষের ওপর যারা গুলি চালাতে পারে, তারা মানুষ নয়, কাপুরুষ— বর্বর!

সরকারকে বলবো — এবার আর দেরি নয়। দোষীদের খুঁজে বার করো, বিচার করো, ওদেরও প্রকাশ্যে মারা হোক — যেন আর কেউ এভাবে কারও জীবন নিয়ে খেলতে না পারে।

কিন্তু সাথে একটা প্রশ্ন — এটা কীভাবে ঘটলো?
দিনের আলোয় পর্যটকদের উপর এমন হামলা —
এটা কি সরাসরি গোয়েন্দা ব্যর্থতা নয়?
এত নিরাপত্তা বলেই তো বলা হয় কাশ্মীর এখন ‘স্বাভাবিক’ — তাহলে?

সরকার দায় এড়াতে পারে না।
এটা শুধু সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে নয়, সরকারের দায়িত্বহীনতার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ।

ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চাই।
আর যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত — সামনে থেকে হোক, নেপথ্যে হোক — তাদের এমন শাস্তি হোক, যা ইতিহাস মনে রাখে।

আজ আমরা কাঁদি, কাল যেন আর কেউ না কাঁদে। 💔🙏

22/04/2025

২০১৬ সালের SSC চাকরিহারা শিক্ষকরা আজ SSC ভবনের সামনে রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন। কারণ এই সরকার তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করছে।

● সরকার বলেছিল ২১ এপ্রিল ২০২৫-এ ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্য’ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
● তারা সেটা বিশ্বাস করেছিল। তাই তারা ভোর থেকে রাত অবধি SSC ভবনের বাইরে অপেক্ষা করেছে। কিন্তু সারাদিন কেটে গেল, রাতও পেরিয়ে গেল — লিস্ট আসেনি।
● এটা শুধু প্রতারণা নয়, এটা একেবারে নির্মমতা। একদিকে সুপ্রিম কোর্ট দুর্নীতি প্রমাণ করেছে, অন্যদিকে সরকার সময় পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করছে না।
● সরকার চায় অযোগ্যদের আড়াল করতে, আর যোগ্যদের ফেলে রাখতে রাস্তায়।

স্বাস্থ্য ভবনে ধর্ষণের ঘটনার পর আন্দোলন হয়েছিল — সেটা ছিল আমাদের নিরাপত্তার প্রশ্ন।
SSC ভবনের এই আন্দোলন — এটা শিক্ষক সমাজের তথা শিক্ষা ব্যবস্থার অস্তিত্বের প্রশ্ন!

এই অবস্থার জন্য দায়ী কে?
➡️ এই সরকার, যারা প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু রাখে না।
➡️ যারা দুর্নীতিকে রক্ষা করে, আর পরিশ্রমী ছাত্র-ছাত্রীদের অপমান করে।
➡️ যারা দিনের পর দিন লিস্ট প্রকাশের নামে মানুষকে ঘুরিয়ে বেড়ায়।
➡️ যারা রাতের পর রাত কখনো চাকরি প্রার্থীদের, কখনো চাকরিহারাদের রাস্তায় কাটাতে বাধ্য করে!

যারা যোগ্য শিক্ষক — তাদেরকে এই সরকার দাঁড় করিয়েছে জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে। ছিঃ ! 🙏

12/04/2025

হ্যাঁ, দেশে কিছু জায়গায় দাঙ্গা হচ্ছে।
কিন্তু তার মানে এই নয় যে অমুক ধর্ম ‘খতরে মে হ্যায়’, তমুক ধর্ম ‘খতরে মে হ্যায়’।
খতরে মে হ্যায়—আমাদের সামাজিক বোধ, সহিষ্ণুতা, আর মানবিকতা।

৭৭ বছর স্বাধীনতার পরেও
যদি আমরা এখনো ধর্মের পরিচয়ে নিজের অস্তিত্ব খুঁজি— তাহলে সমস্যাটা কোনো ধর্মে নয়, সমস্যাটা আমাদের ভিতরে।

দাঙ্গা আসলে কিছু রাজনৈতিক স্বার্থবাদীর রিমোট কন্ট্রোলে চালিত আগুন,
যেখানে গরিব মরছে, অশিক্ষা বাড়ছে, কর্মসংস্থান হারাচ্ছে— আর মিডিয়া চিৎকার করে বলছে: “অমুক-তমুক খতরে মে হ্যায়!”

তোমরা বরং প্রশ্ন তোলো—
জব কোথায়?
হাসপাতালে বেড কোথায়?
বিদ্যালয়ে শিক্ষক কোথায়?
খতরে মে তো দেশের ভবিষ্যৎ!

ধর্মের নামে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আসল সমস্যাগুলো থেকে।
এটাই সবচেয়ে বড় চক্রান্ত—
আর আমরা সেটা জানি, তবুও চুপ করে থাকি।

তাই এখন সময় এসেছে—
ধর্ম নয়, বাঁচাও যুক্তিবাদ, মানবতা, সংবিধান।
কারণ সত্যি বলতে…
আজ ‘ধর্ম’ নয়, মানুষ খতরে মে হ্যায়।

ইতি /-
Najim Hoque

#হিন্দুমুসলিমএকহও
#মানুষবাঁচাও
#৭৭বছরেরপরেও

07/04/2025

সকল ধর্মের মানুষের জন্য সিলিন্ডার পিছু ৫০ টাকা বাড়লো রান্নার গ্যাসের দাম ! 😴

07/04/2025

আমি কেন ফিলিস্তিনকে সমর্থন করব ?

1. ঐতিহাসিকভাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অধিকার :

- ফিলিস্তিনিরা শতাব্দী ধরে এই ভূমিতে বসবাস করে আসছে, ওটোমান আমল থেকে এবং তারও আগে। তারা এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা হিসেবে তাদের জমির ওপর স্বাভাবিক অধিকার রাখে।

- ইহুদি অভিবাসন ১৯শ শতাব্দীর শেষে শুরু হয়, যা ব্রিটিশ সমর্থন ও জায়নবাদী আন্দোলনের ফল। এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য বাহ্যিক হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা যায়।

2. নাকবা এবং বাস্তুচ্যুতি :

- ১৯৪৮ সালে ইসরাইলের প্রতিষ্ঠার সময় ৭ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়। এই ঘটনা (নাকবা) তাদের জন্য একটি বিপর্যয়, যা তাদের জীবন ও পরিচয় ধ্বংস করেছে।

- এই বাস্তুচ্যুতদের ফিরে আসার অধিকার (Right of Return) আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত, কিন্তু ইসরাইল তা প্রত্যাখ্যান করে।

3. দখলদারি ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন :

- ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইল পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে, যা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ।

- অবৈধ বসতি স্থাপন, ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ধ্বংস, এবং সামরিক নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

4. মানবাধিকার ও দুর্ভোগ :

- গাজায় অবরোধ, পশ্চিম তীরে চেকপয়েন্ট, এবং ইসরাইলি হামলায় বেসামরিক মৃত্যু ফিলিস্তিনিদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।
- তুলনামূলকভাবে, ইসরাইল একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম, কিন্তু ফিলিস্তিনিরা দুর্বল ও অসহায় অবস্থায় রয়েছে।

5. ন্যায় ও স্বাধীনতার লড়াই :

- ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীনতা, মর্যাদা ও নিজস্ব রাষ্ট্রের জন্য লড়ছে। এটি একটি ন্যায্য দাবি, যা বিশ্বের অন্যান্য স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে তুলনীয়।

- ইসরাইলের তুলনায় ফিলিস্তিনের শক্তি ও সম্পদ অনেক কম, তাই তাদের প্রতিরোধকে দুর্বলের বিরুদ্ধে শক্তিশালীর অত্যাচার হিসেবে দেখা যায়।

📍 ইসরাইলের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান

- ইসরাইলের নিরাপত্তার যুক্তি বোধগম্য হলেও, তারা অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে এবং ফিলিস্তিনিদের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

- হামাসের রকেট হামলা নিন্দনীয় হলেও, ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণ প্রায়ই অসামঞ্জস্যপূর্ণ (যেমন, হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক মৃত্যু বনাম কয়েকজন ইসরাইলি)।

- ইসরাইল একটি প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র হিসেবে শান্তির জন্য বড় ভূমিকা নিতে পারত, কিন্তু দখল ও বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে তারা সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করেছে।

📍 সবাইকে আমি কেন ফিলিস্তিনকে সমর্থন করতে বলব?

1. নৈতিক দায়িত্ব :

- বিশ্বের উচিত দুর্বল ও নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়ানো। ফিলিস্তিনিরা বর্তমানে বেশি দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে।

2. আন্তর্জাতিক আইনের সমর্থন :

- জাতিসংঘের প্রস্তাবনা (যেমন Resolution 242, 338) এবং আন্তর্জাতিক আইন ফিলিস্তিনি অধিকার ও দখলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

3. শান্তির জন্য চাপ সৃষ্টি :

- ফিলিস্তিনকে সমর্থন করলে ইসরাইলের ওপর দখল শেষ করতে এবং শান্তি আলোচনায় বসতে চাপ পড়বে। এটি দীর্ঘমেয়াদে দুই পক্ষের জন্যই ভালো।

4. মানবতার দৃষ্টিকোণ :

- গাজার অবরোধ, শরণার্থী শিবিরের দুর্দশা, এবং ফিলিস্তিনি শিশুদের মৃত্যু বিশ্ববাসীর মানবিক সমর্থন দাবি করে।

5. স্বাধীনতার সার্বজনীন অধিকার :

- প্রতিটি জাতির নিজস্ব রাষ্ট্র ও স্বাধীনতার অধিকার আছে। ফিলিস্তিনিরা এখনো তা পায়নি, যেখানে ইসরাইল ইতোমধ্যে তা অর্জন করেছে।

📍 আমার চূড়ান্ত মত

♦️ আমি ফিলিস্তিনকে সমর্থন করি কারণ তারা ঐতিহাসিকভাবে অন্যায়ের শিকার হয়েছে, তাদের জমি ও অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, এবং তারা এখনো ন্যায় ও স্বাধীনতার জন্য লড়ছে। ইসরাইলের নিরাপত্তার দাবি আছে, কিন্তু তাদের শক্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহার এই সংঘাতে তাদের অবস্থানকে দুর্বল করে।

♦️ আমি সবাইকে বলব ফিলিস্তিনকে সমর্থন করতে, যাতে তারা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পায় এবং এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খোলা যায়। তবে, এই সমর্থনের অর্থ হামাসের সহিংসতাকে সমর্থন করা নয়—বরং ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ানো।

ইতি/-
Najim Hoque

05/04/2025

“বাংলা যদি বিহার হতো!”

আজ বাংলার শিক্ষক নিয়োগ যেন একটি ট্র্যাজেডির নামান্তর!
SSC বাতিল, পরবর্তী টার্গেট ৩২০০০ প্রাইমারি শিক্ষক!
প্রতিবছর যখন বিহারে নিয়মিত শিক্ষক নিয়োগ হয়, তখন বাংলার শিক্ষিত যুবসমাজ বছরের পর বছর ধরে আদালতের সিঁড়ি গুনছে—আশায়, হতাশায়, এবং ধোঁকায়!

একসময় শিক্ষকতা ছিল আত্মসম্মানের পেশা, আজ তা বাংলায় পরিণত হয়েছে এক মরীচিকার। নিয়োগ তো দূরের কথা, যাদের চাকরি হয়েছিল, তারাও আজ চাকরি থাকবে কি না—এই দোলাচলে দিন কাটাচ্ছে।

এই চরম অব্যবস্থা শুধু চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে না, শিক্ষাব্যবস্থাকেও ধ্বংস করছে।
আজকের শিশুরা ছোট বয়সেই বুঝে যাচ্ছে—“পড়ালেখা করে কী হবে? রাজ্যে তো চাকরি নেই!”
ফলে তারা বিমুখ হচ্ছে শিক্ষার প্রতি, হতাশার অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে কচি মন।

গত এক দশকে স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে—এই তথ্যটাই বলে দেয়, আমরা কোন খাদের দিকে এগোচ্ছি!

এখন প্রশ্ন—এই পরিস্থিতির দায় কে নেবে?
কেন একটার পর একটা নিয়োগ বাতিল হচ্ছে?
কেন বাংলা নামের রাজ্যটা প্রতিনিয়ত নিজের সন্তানদের ঠকিয়ে চলেছে?

সময় এসেছে প্রশ্ন করার, সময় এসেছে জবাব চাওয়ার! আর চুপ করে বসে থাকলে, আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।

🖋️ কলমে : Najim Hoque

03/04/2025

একটা সময় ছিল, যখন সবাই বলত— ভালো করে পড়াশোনা করলেই ভালো চাকরি নিশ্চিত।

তারপর এল আরেকটা সময়, যখন শোনা গেল— মেধার চেয়ে টাকার জোরই চাকরি পাওয়ার আসল উপায়।

এরপর সময় বদলালো, মানুষ বলতে লাগল— এই রাজ্যে চাকরির সুযোগই নেই, অন্য কিছু কর।

আর এখন? সময় এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে চাকরি থাকা সত্ত্বেও তা টিকে থাকার নিশ্চয়তা নেই...

🖋️কলমে : Najim Hoque

01/04/2025

📍আমান : প্রকৃত ভালোবাসার নিঃশব্দ নায়ক

কুছ কুছ হোতা হ্যায় সিনেমায় সবাই রাহুল ও অঞ্জলীর প্রেমগাথা দেখে আপ্লুত হয়। কিন্তু কেউ কি একবারও আমানের জায়গা থেকে ভেবে দেখেছে? সে কি ভুল ছিল, নাকি প্রকৃত ভালোবাসার বলিদান দিয়েছে?

➤ আমান বনাম রাহুল: কে সত্যিকারের ভালোবাসতে জানে?

✔ রাহুল শুধুমাত্র সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে: টিনএজে সে কখনো বুঝতেই পারেনি যে, অঞ্জলীর মন কতটা বিশুদ্ধ। বরং সে টিনার মতো গ্ল্যামারাস মেয়েকে পছন্দ করেছিল।
✔ আমান ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়ে: অঞ্জলীর সৌন্দর্য যখন সমাজের চোখে ‘সাধারণ’, তখনও আমান তাকে ভালোবেসেছিল তার ব্যক্তিত্বের জন্য।
✔ রাহুলের কাছে প্রেম মানে আকর্ষণ, আমানের কাছে প্রেম মানে আত্মত্যাগ।

➤ রাহুল কি আসলেই অঞ্জলীর যোগ্য ছিল?

❌ অঞ্জলীর কষ্ট, আবেগ, চোখের জল রাহুল কখনোই বোঝেনি, সে কেবল টিনার মৃত্যুর পর একা অনুভব করেছিল।
❌ কলেজ জীবনে অঞ্জলী শুধুমাত্র রাহুলের "বেস্ট ফ্রেন্ড" ছিল, প্রেমিকা নয়। অথচ যখন সে অন্য কাউকে ভালোবাসতে গেল, তখনই রাহুল জেগে উঠল!
❌ রাহুল যখন বুঝতে পারল যে অঞ্জলী চলে যাচ্ছে, তখন সে হঠাৎ তার প্রতি অনুভূতি দেখানো শুরু করল। এতদিন কোথায় ছিল তার ভালোবাসা?

➤ আমানের প্রতি অবিচার কীভাবে হলো?

💔 আমান নিজের ভালোবাসা দিয়ে অঞ্জলীকে আবার হাসতে শিখিয়েছিল।
💔 সে জানত, রাহুলের জন্য অঞ্জলীর অনুভূতি কখনো মরে যায়নি, তবুও সে তাকে সম্মান দিয়েছে, তাকে ভালোবেসেছে।
💔 বিয়ের দিন পর্যন্ত সে অঞ্জলীর পাশে ছিল, তাকে ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে চেয়েছিল।
💔 কিন্তু শেষে কী হলো? নিজের ভালোবাসাকে হাসিমুখে বলিদান দিল, শুধু অঞ্জলীর সুখের জন্য!

➤ তাহলে কে সেরা?

✅ রাহুল স্বার্থপর প্রেমিক, আমান নিঃস্বার্থ প্রেমিক।
✅ রাহুল কেবল নিজের সুখ চেয়েছিল, আমান চেয়েছিল অঞ্জলীর সুখ।
✅ রাহুলের প্রেম ছিল বিলম্বিত উপলব্ধি, আমানের প্রেম ছিল আত্মত্যাগ।

উপসংহার:

আমানই সেই মানুষ, যে জানত হার মানতে হয়, জানত ভালোবাসা মানে কেবল নিজের মানুষটিকে হাসিখুশি দেখতে চাওয়া, এমনকি যদি তা নিজের কষ্টের বিনিময়ে হয়।

“কুছ কুছ হোতা হ্যায়, আমান… তুম নেহি সমঝোগে!”

01/04/2025

পিরামিড: মানব সভ্যতার বিস্ময় নাকি ভিনগ্রহের সৃষ্টি?

পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় স্থাপনা মিশরের পিরামিড। হাজার হাজার বছর আগে এত নিখুঁত ও বিশাল আকৃতির স্থাপনা কীভাবে নির্মিত হলো? কেউ বলেন, এটি মানুষের অসাধারণ কীর্তি, আবার কেউ দাবি করেন, ভিনগ্রহের প্রাণীরা (এলিয়েন) এতে জড়িত! আসুন দেখি, কোন যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য।

➤ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ:

✔ প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ: বিভিন্ন খননকাজে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পিরামিড নির্মাণে মিশরীয় শ্রমিকরাই কাজ করেছেন। শ্রমিকদের বসবাসের নিদর্শন, খাদ্যাভ্যাস ও সরঞ্জামের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
✔ প্রযুক্তির ব্যাখ্যা: বিশাল পাথরগুলো কাটার জন্য তামার সরঞ্জাম, রোলার ও র‌্যাম্প ব্যবহারের প্রমাণ রয়েছে। গবেষকরা দেখিয়েছেন, কাঠের গুঁড়ির সাহায্যে পাথর সরানো সম্ভব।
✔ লিপি ও রেকর্ড: পিরামিড তৈরির সময়কার কিছু শিলালিপিতে কাজের বিবরণ পাওয়া যায়, যা প্রমাণ করে এটি মানুষেরই নির্মাণ।
✔ অন্যান্য প্রাচীন স্থাপত্য: মিশর ছাড়াও ইনকা, মায়া, ও চীনে পিরামিডের মতো কাঠামো দেখা যায়, যা প্রমাণ করে যে এটি মানব সভ্যতার একটি সাধারণ স্থাপত্য কৌশল।

➤ এলিয়েন সংশ্লিষ্ট তত্ত্ব ও সন্দেহ:

❌ অতি নিখুঁত গঠন: অনেকে মনে করেন, এত বিশাল ও নিখুঁত কাঠামো সে যুগে নির্মাণ করা অসম্ভব ছিল।
❌ নক্ষত্রের সাথে মিল: গিজার তিনটি প্রধান পিরামিডের অবস্থান ওরিয়ন তারামণ্ডল (Orion Constellation)-এর সাথে মিলে যায়, যা এলিয়েন সংশ্লিষ্ট তত্ত্বকে উসকে দেয়।
❌ বিস্ময়কর অঙ্ক ও জ্যামিতি: পিরামিডের উচ্চতা ও ঘেরের অনুপাত পাই (π) ও স্বর্ণ অনুপাতের (Golden Ratio) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা কিছু গবেষককে অবাক করেছে।
❌ পাথরের ওজন ও পরিবহন: গড়ে ২.৫ টন ওজনের পাথর হাজার কিলোমিটার দূর থেকে কীভাবে আনা হলো? অনেকেই মনে করেন, এত ভারী বস্তু স্থানান্তর করা মানবশক্তির বাইরে ছিল।

➤ তাহলে আসল সত্য কী?

✅ বিজ্ঞান বলছে, পিরামিড বানানো সম্ভব ছিল, এবং এর জন্য বিশেষ কোনও ভিনগ্রহী সাহায্য দরকার নেই।
✅ প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক গবেষণায় দেখা গেছে, মিশরীয়দের উন্নত স্থাপত্য ও গাণিতিক জ্ঞান ছিল।
✅ এলিয়েনের সংশ্লিষ্টতা কেবল অনুমানের ওপর ভিত্তি করে, কোনো কঠিন প্রমাণ নেই।

উপসংহার:

পিরামিড এক বিস্ময়কর স্থাপত্য, যা মানব সভ্যতার মেধা ও পরিশ্রমের প্রমাণ। ভিনগ্রহীদের হস্তক্ষেপের গল্প আকর্ষণীয় হলেও, বিজ্ঞানের আলোকে এগুলো ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে।

31/03/2025

📍পণ বনাম ভরণপোষণ : দ্বৈতনীতি কেন ?

বিয়ের সময় পণ নেওয়া অন্যায়, তা নিয়ে সবাই সোচ্চার। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ নেওয়া কি ঠিক? কেনো নারীরা একটিকে অবৈধ বললেও, অন্যটিকে তাদের "অধিকার" হিসেবে দেখে? দ্বৈতনীতি কেন?

➤ পণ (Dowry) কেন ভুল?

✔ কনের পরিবারকে আর্থিকভাবে চাপে ফেলে।
✔ একে জোরপূর্বক আদায় করা হয় অনেক সময়।
✔ অনেক ক্ষেত্রে এটি নারীর প্রতি অবমাননাকর প্রথা।
✔ সরকার আইন করে এটিকে নিষিদ্ধ করেছে।

➤ ভরণপোষণ (Alimony) কেন ভুল?

✔ বিবাহ বিচ্ছেদের পর সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়, তাহলে সাবেক স্বামীর কাছ থেকে কেন টাকা নেওয়া হবে?
✔ নারীরা যদি স্বাধীন হয়, তাহলে সাবেক স্বামীর আয়ের উপর নির্ভরশীল হওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?
✔ অনেক সময় স্ত্রী নিজেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়, তবু কেন স্বামীকে বাধ্যতামূলকভাবে টাকা দিতে হবে?
✔ যদি পণ অবৈধ হয়, তাহলে ভরণপোষণ কেন বৈধ?

➤ নারীরা পণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেও ভরণপোষণের বিরুদ্ধে চুপ কেন?

✔ পণ নারীর পরিবারের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু ভরণপোষণ তাদের সুবিধার।
✔ ভরণপোষণ বন্ধ হলে সাবেক স্বামীদের উপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে, তাই অনেকেই এটি স্বাভাবিক মনে করেন।
✔ আইন নারীদের পক্ষে, তাই এই সুবিধা তারা ছাড়তে চায় না।
✔ সমাজে নারীদের "দুর্বল" দেখানো হয়, কিন্তু বাস্তবে তারা কর্মক্ষম ও স্বাবলম্বী।

➤ তাহলে ন্যায়সঙ্গত সমাধান কী?

✅ বিবাহ বিচ্ছেদের পর পুরুষের উপর আর্থিক বোঝা চাপানো যাবে না।
✅ স্বনির্ভর নারীরা যদি পণ চান না, তাহলে ভরণপোষণও দাবি করা উচিত নয়।
✅ নারীদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে, ভরণপোষণের মতো বৈষম্যমূলক আইন বাতিল করতে হবে।

বিয়ের সময় টাকা চাওয়া অন্যায় হলে, বিচ্ছেদের পরেও টাকা চাওয়া অন্যায়!

Najim Hoque

26/04/2025

23/04/2025

22/04/2025

22/04/2025

12/04/2025

07/04/2025

07/04/2025

05/04/2025

03/04/2025

01/04/2025

01/04/2025

31/03/2025

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category