10/10/2025
মালদাঃ চৌকি মিরদাদপুর পঞ্চায়েতের ভ্রমণ ও খাওয়া দাওয়া খাতে খরচ তিন লক্ষ তিন হাজার টাকা। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল পঞ্চায়েতের খরচের বিল।জনগণের টাকায় কিভাবে ভ্রমণ প্রশ্ন তুলে সরব বিরোধীরা।যদিও ব্লক প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই খরচ দাবী পঞ্চায়েত প্রধানের।
মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত চৌকি মিরদাদপুর পঞ্চায়েতে মোট আসন ২৪টি ,তারমধ্যে তৃণমূল১৪ টি আসনে পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে প্রধান হন তৃণমূলের মোহাম্মদ আনোয়ার আলী।সদ্য সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এই পঞ্চায়েতের একটি খরচের বিল।সেখানে দেখা যাচ্ছে ভ্রমন ও খাওয়া দাওয়া খাতে খরচ করা হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ তিন হাজার টাকা।যার মধ্যে প্রধানের শীল ও সই রয়েছে।যার মধ্যে হোটেলের রুম বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ১০৫৬০০ টাকা,গাড়ি ভাড়া ৯০০০০, খাওয়া দাওয়ায় খরচ ৯৬০০০ টাকা এছাড়াও অন্যান্য খরচে আরও প্রায় ১২০০০ টাকা খরচ ওরা হয়েছে। সম্প্রতি এই বিলের কাগচ সোশ্যাল মাধম্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে মোবাইলে মোবাইলে। সাধারণ জনগনের টাকায় কিভাবে এই ভ্রমণ ও খাওয়া দাওয়া খরচ করতে পারে পঞ্চায়েত এই নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান মোহাম্মদ আনোয়ার আলী বলেন, গত একুশে জুলাই আমরা কলকাতায় শহীদ দিবসে অংশগ্রহণ করে সেখান থেকে পূর্ব মেদনীপুর জেলার রামনগর-১ ব্লকের গোবর পঞ্চায়েতে এক্সকেরসন ট্যুর আমরা গেছিলাম। সেই পঞ্চায়েতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ আমরা দেখেছি যা আমরা নিজেদের পঞ্চায়েতে করব।এই ট্যুরে পঞ্চায়েত সদস্য ছাড়াও পঞ্চায়েতের কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। মানিকচকের বিডিওর অনুমতি নিয়েই এই ভ্রমন করা হয়েছে, এখানে কোনো দুর্নীতি বা টাকা নয়ছয় করা হয়নি। বিধানসভা ভোট তাই তৃণমূলকে কালিমা লিপ্ত করতে এই সমস্ত অভিযোগ করা হচ্ছে।
যদিও এই ঘটনায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে বিঁধেছেন মালদহ জেলা সিটু জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা।তিনি বলেন, কোন শিক্ষামূলক ভবন নয় শুধুমাত্র ২১শে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসে অংশগ্রহণ করতে এবং দীঘার সমুদ্রে ফুর্তি করতে গিয়ে এই টাকা খরচ করা হয়েছে।এই ভ্রমণে কোন বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যকে নিয়ে যাওয়া হয়নি।তাহলে কিসের শিক্ষামূলক ভ্রমণ।
ঠিক একইভাবে দক্ষিণ মালদহ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মন্ডল বলেন, তৃণমূলের কাজই হচ্ছে জনগণের টাকায় ফুর্তি করা।সেইমত এখানেও করা হয়েছে।শুধু নিজেকে বাঁচাতে শিক্ষা মূলক ভ্রমনের কথা বলা হচ্ছে।