13/01/2025
আমার_ক্রাশ_যখন_কাজিন🌷🌷
🌷🌷Writer AKHIRUL ISLAM🌷🌷
🌷🌷হার্ট হ্যাকার🌷🌷 🌷পার্ট_১🌷
"
"
"একটা মেয়ের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে আপনার লজ্জা করে না।"😠
আমি পেছনে ফিরে তাকাতেই দেখি সোনম (আমার কাজিন) আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। ওকে কিছুটা হকচকিয়ে দেবার জন্য ঝাপটে ধরলাম।
সোনম: "কি করছো ভাল হবেনা কিন্তু.... মামীকে ডাক দিবো কিন্তু।"😠
"তোর মামীকে কি আমি ভয় পাই?"😂
"ভাইয়া ভাল হচ্ছে না ছেড়ে দাও বলছি।"😡
"না ছাড়লে কি করবি?"😂
বলার সাথে সাথে সোনম হাতে কামড়ে দিতেই আমি ব্যথায় ওকে ছেড়ে দিলাম।
সোনম বলে উঠলো: "দেখলেতো কি করতে পারি।"😎
আমি ওর কান টান দিয়ে বললাম:: "এখন যে ইঞ্জেকশন দিতে হবে সেটা তোর শরীরে দিয়ে দিতে বলবো ডাক্তারকে।"😜
সোনম বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে বললো: "ইঞ্জেকশন কেন? আমার দাতে কি বিষ আছে?"🙄
ওকে রাগানোর জন্য বললাম: "তোর সমস্ত শরীরেইতো বিষ, তুইতো একটা কাল নাগিন🐍।"😜😂
বলতেই রাগে ফুসতে ফুসতে সোনম আমার বুকে কিল ঘুসি মারতে শুরু করলো।💥👊
আমি ওর হাত চেঁপে ধরে বললাম: "হ্যাঁরে কাল নাগিন কখন আসলি?"😐
সোনম এবার রাগ না করে হাসতে হাসতে🤣 বললো:: "সাপুড়ে, কিছুক্ষণ আগেই এসেছি। তা পাশের বাড়িতে কি কোন রূপসী আছে নাকি।😏 যাকে এতো মনোযোগ দিয়ে দেখছিলে?"😬
আমি হাসতে হাসতে বললাম: "হুম.... আকাশের নীল রঙা পরী দেখছিলাম, আর এখান থেকে কয়েক মাইলের ভিতর কোন বাড়ি নেই, যে বাড়িতে কোন রূপসীর দেখা মিলবে।"😊
"হয়েছে হয়েছে আমি বুঝি এখন আর ছোট নেই।"😑
"আচ্ছা তুই বড় হয়ে গেছিস কত বড় দেখি দেখি বিয়ে দেয়া যাবে কিনা"😜 বলেই ওর দিকে হাত বাড়ালাম।
"এই কি করছো.... চলো নিচে যাবো।"
বলেই সোনম সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেল। আমিও পিছু পিছু নিচে নেমে আসলাম।
নিচে নেমে আসতেই দেখি ফুপু বসে আছেন আমি সালাম জানালাম, ফুপু বলে উঠলো "আইমানতো অনেক বড় হয়ে গেছিস। ঢাকা যাস না কেন? কতদিন পর তোকে দেখলাম।"😀
"কোথায় বড় হইছি ফুপু কি যে বলো না।🙈 যাবো রেজাল্ট বের হোক তারপরেই যাবো। ফুপাকে সাথে নিয়ে আসলে না?"🙄
"নারে বাবা.... তোর ফুপার অফিসে অনেক কাজের চাপ, একলা মানুষ এতোবড় ব্যবসা সামলায়। আর আমিও চলে যাবো কাল সকালেই। সোনমের পরীক্ষা শেষ তাই ভাবলাম ওকে কিছু দিনের জন্য গ্রামে রেখে যাই।"🙂
"খুবি ভাল করেছো ফুপি, তুমি রেস্ট করো আমি একটু বের হই।"☺️
সোনম বলে উঠলো: "এই ভাইয়া কোথায় যাও, আমিও যাবো।"😍
"তুই কই যাবি? আমি কোথায় যাবো নিজেইতো জানি না।"🤨
"তুমি যেখানে যাবে আমিও সেখানেই যাবো, কেন আমাকে নিতে কি কোন সমস্যা নাকি?"🤔
"আচ্ছা আয়... তোর আর পরিবর্তন হবে না।"
সোনম হি হি হি হাসতে হাসতে😆 এসে আমার হাত চেঁপে ধরলো।😍
দুজন বাসা থেকে বের হয়ে এলাম, বের হয়ে সোনমকে জিজ্ঞাসা করলাম: "কোথায় যাবি বল?"
"কোথায় যাবো মানে? তুমি যেখানে নিয়ে যাবে সেখানেই যাবো।"🙄
"ওরে কাল নাগিন তাই বুঝি?"😜
"ভাল হচ্ছে না সাপুরে, কামড়ে দিবো কিন্তু।"😠
"এই না না এই ভুল করিস না, শেষে কিন্তু তোর বিষ দাত ভেঙে দিবো।"😬
সোনম মুখ ভেংচি কেটে: "বললেই হলো? তোমারে কামড়ে দিবো কিন্তু তুমি আমাকে ধরতেই পারবে না।"😏বলেই হি হি হি করে হেসে দিলো।😅
সোনম হাসলে ওর গালে টোল পরে, অপূর্ব সুন্দর লাগে।😍আমি কারণে অকারণে সোনমকে হাসানোর চেষ্টা করি, ওর হাসি দেখার জন্য। কেন জানি ওর হাসিতে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই।😍
"এই সোনম বললি না কোথায় যাবি?"
"আজবতো!! তোমাকে বলছি না যেথায় তুমি নিবে সেথায় আমি যাবো।"🙄
আমার মনে ওকে একটু ভয় দেখানোর ইচ্ছে জাগলো তাই বললাম: "আচ্ছা তাই ঠিক আছে চল তোকে আমার বন্ধুর বাসায় নিয়ে যাই, শোনেছি ওর বাবা, মা ডাক্তার দেখাতে ঢাকা গেছে বাসায় ও একেলা। সময়টা ভালই কাটবে দুজনের।"😜
"এই না না কি বলছো এগুলা তুমি, একটা খালি বাড়িতে তুমি আমাকে নিয়া যাবা? তুমি এতোটা খারাপ হয়ে গেছো কি করে? আগেতো তুমি এমন ছিলানা।"😱😢
"শোন আগেতো ছোট ছিলাম আর তুইও ছোট ছিলি এখন বড় হয়ে গেছিস, আর তা ছাড়া এখনতো তুই সব বুঝিস।"😑
"দেখ ভাল হবে না বলছি?"😡
"ভাল খারাপ সে পরে বুঝবো নে এখন চল।"😊
"না আমি যাবো না।"😡
"চল বলছি", বলেই সোনমের হাত ধরে অর্পিদের (আমার মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড) বাসায় চলে আসলাম। সোনম ভয়ে কাঁপছে পাশে দাঁড়িয়ে, আমি ওর মুখের কাছে আমার মুখটা নিয়ে বললাম: "দেখ এভাবে কাঁপাকাঁপি করিস না লোকে সন্ধেহ করবে।"☺️
সোনম কাঁপতে কাঁপতে..... "ভাইয়া তোমার পায়ে পরি আমার সাথে এমন কিছু করো না যাতে আমি কারো কাছে মুখ না দেখাতে পারি।"😟😢😭
আমি ওর গাল টান দিয়ে বললাম: "আহা এতো সুন্দর মুখটা সবাইকে দেখাতে হবে কেন? আমাকে দেখালেই হবে।" বলতে বলতে কলিং বেল চাপ দিলাম।🔔
কিছু সময়ের ভিতরেই অর্পি এসে দরজা খুলে আমাকে দেখেই ইমন বলে গলা জড়িয়ে ধরলো।
(আমাকে আইমান বা ইমন উভয় নামে ডাকা হয়)
বেচারি সোনমের মুখটা তখন দেখার মত হয়েছিল।
অর্পি আমাকে ছেড়ে সোনমের দিকে চোখের ঈশারা করে বললো "কে?"😕
"আমার কাজিন......ঢাকায় থাকে বেড়াতে এসেছে।"😁
তারপর ভিতরে ঢুকে বসলাম, আন্টি আসতেই আন্টিকে সালাম করলাম সোনমকে বললাম "অর্পির মা, মানে আমারও মা।"🙂 সোনম কি বুঝলো বুঝলাম না, কিন্তু মুখটা বাংলার পাঁচ বানিয়ে আমার পাশে বসে মনে মনে কি যেন বলছিল।
আন্টি বললো: "তোমরা বসো আমি চা নাস্তা বানাচ্ছি।" আমি আর অর্পি দুষ্টমি করছি বসে বসে এদিকে সোনম কেমন যেন ফুলেই চলছে।😡
অর্পি নাস্তা আনতে যেতেই আমি সোনমকে বললাম: "কিরে ভয় পেয়েছিলি নাকি বন্ধুর বাসার কথা শোনে?"😜
সোনম আমার বুকের উপর কিল ঘুসি মারতে মারতে বলতে শুরু করলো "এই অর্পিকে সত্যি করে বলো আগেতো কোন দিন তুমি তোমার মেয়ে বন্ধু আসে বলোনি।"😡
"আরে তুই সেই তিন বছর আগে এসেছিস, আর এটা বলার না বলার কি হলো।" বলতে বলতে অর্পি নাস্তা নিয়ে ঘরে ঢুকলো। সোনম চুপ করে লক্ষী মেয়ের মত নাস্তা করলো, কোন কথা না বলে।
কিছু সময়ের ভিতর আন্টি আসলো বলতে শুরু করলো: "আর কিছু দিন পরেই তো তোমার রেজাল্ট দিবে। আমি তোমার আংকেলকে বলে রেখেছি রেজাল্ট দিলেই তোমার চাকরির ব্যবস্থা করতে।"
সোনম হা করে আছে আন্টির কথা শোনে, আন্টি বললো: "তোমরা কিন্তু রাতের খাবার খেয়ে যাবে আমি রান্না বসাচ্ছি।"
"না আন্টি আজ না অন্য আরেক দিন আসবো"...
আন্টি বললো: "সে কি করে হয় নতুন মেহমান নিয়ে এসেছো আজতো খেয়ে যেতেই হবে।" বলেই আন্টি রান্না ঘরের দিকে চলে গেলেন।
আমাকে আর সোনমকে ছাদ এ যেতে বলে অর্পি রান্না ঘরের দিকে গেল। কফি বানিয়ে নিয়ে আসতে।
ছাদ উঠে রেলিং ধরে দাঁড়াতেই সোনম বলে উঠলো "তোমাকে অর্পির বাবার দেয়া চাকরি করতে হবে না।"😒
"কেন! করলে কি সমস্যা?"🙄
"আছে অনেক সমস্যা আছে!" আমি ঢাকা যেয়ে বাবাকে বলবো: "তোমাকে ব্যবসা বুঝিয়ে দিতে।"
"তোর বাবার ব্যবসা আমি বুঝে নিবো কেন?"🤔
"আহা ব্যবসা বাবার হলেও সেটাতো আমার কারণ আমি একমাত্র মেয়ে। আর আমিতো মেয়ে মানুষ ব্যবসা করতে পারবো না। ঐটা না হয় তুমিই করো।"
"কেন আমি করবো! তোর চাচাতো ভাইয়েরা আছে তোদের ব্যবসা ওরা দেখবে।"
"এই বেশী বুঝনাতো, যা বলছি তা করবা ওরা ছোট মানুষ আর বাবা মা তোমাকে নিজের ছেলের মতই দেখে সো ব্যবসা তোমাকেই বুঝে নিতে হবে।"😠
"শোন আমি ব্যবসা বুঝি না, তার চেয়ে চাকরিই আমার জন্য ভাল।"
"আচ্ছা ঠিক আছে না হয় চাকরিই করবা। ব্যবসা দেখবা মাস শেষে বেতন নিবে কিন্তু অর্পির বাবার দেয়া চাকরি করা যাবে না।"
কথা বলতে বলতেই অর্পি চলে আসলো, আমরা তিন জন ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছি।
সোনম বলে উঠলো: "আয়মান ভাইয়া..... একটা গান শোনাও না।"
ওর সঙ্গে অর্পিও বললো: "হুম হুম....অায়মান... একটা গান শোনাও। তুমিতো খুব ভাল গান পার।"
"এই নারে আজ না আজ গলাটা ভাল না"
সোনম বলে উঠলো "বললেই হলো গান শোনাতে হবেই হবে।"😠
"আমি না না না ওকে একটা কবিতা শোনাতে পারি।
তবে গান শোনাতে পারবো না।"
দুজনেই বলে উঠলো: "ওকে তাই বলো।"
আমি বললাম হাসবে না কিন্তু।😐
দুজনেই বললো: "আচ্ছা হাসবো না।"
আমি শুরু করলাম।
🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵
"যে দিন দেখা হবে দুজনার আবারও
কোন এক নির্জন রাস্তায় তুমি কি ছুটে আসবে
আমার বুকের মাঝে?
নাকি মুখ ফিরিয়ে হেঁটে যাবে অন্য কারো সাথে?
তুমি কি মনে রাখবে আজকের এই দিনটির কথা নাকি ভুলে যাবে ভালবাসার সব কথা?
গভীর রাতে যখন ঘুম ভেঙে যাবে আমার কথা কি তোমার মনে পড়বে?
নাকি পাশ ফিরে অন্য কাউকে খুঁজবে?"
🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵
কবিতা শেষ হতেই কিছু বুঝার আগেই দুই পাশ থেকে দুজন কিল ঘুসি মারতে শুরু করলো।💥👊✊🤛💥
আমি: "কি হলো তোরা মারছিস কেন?"😕😲
"মারছি কেন!! এই কবিতা কার জন্য লেখা শুনি? এতো বিরহ কার জন্য?"😡😡
"আরে কি যে বলিস কিসের বিরহ আমিতো মাত্রই কবিতাটা বানিয়ে ফেললাম। তা তোদের দুজনের এতো জ্বলছে কেন?"🙄
বলতে বলতেই আন্টি চলে আসলো।
"কিরে তোদের আড্ডা শেষ হলো?"🤨
অর্পি বললো: "মাত্রইতো শুরু করলাম তুমি এসেছো আমাদের সাথে বসো আড্ডাটা আরও জমবে।"
আন্টি বললো: "এই বুড়ো বয়সে তোদের সাথে আড্ডা!!" বলেই হেসে দিল।😆😂🤣🤣🤣
To be continued...............
(গল্পটা হয়েছে তা কিন্তু জানাবেন😊 আপনাদের feedback পেয়ে গল্প লিখতে impressed হব।😍ভুল- ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন 🙂 ধন্যবাদ।☺️)
Next part জন্যে পেজটি follow করুন 🙏🙏🙏।