NORTH EAST IN INDIA

NORTH EAST IN INDIA please � guys follow and support me..

With sakhiRakhi  – I just got recognized as one of their top fans! 🎉
05/02/2025

With sakhiRakhi – I just got recognized as one of their top fans! 🎉

With অভিজিৎ রায় – I just got recognized as one of their top fans! 🎉
16/01/2025

With অভিজিৎ রায় – I just got recognized as one of their top fans! 🎉

With Hit Babu – I just got recognized as one of their top fans! 🎉
15/01/2025

With Hit Babu – I just got recognized as one of their top fans! 🎉

আমার_ক্রাশ_যখন_কাজিন🌷🌷🌷🌷Writer AKHIRUL ISLAM🌷🌷🌷🌷হার্ট হ্যাকার🌷🌷 🌷পার্ট_১🌷"""একটা মেয়ের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে আপনার লজ্...
13/01/2025

আমার_ক্রাশ_যখন_কাজিন🌷🌷
🌷🌷Writer AKHIRUL ISLAM🌷🌷
🌷🌷হার্ট হ্যাকার🌷🌷 🌷পার্ট_১🌷
"
"
"একটা মেয়ের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে আপনার লজ্জা করে না।"😠
আমি পেছনে ফিরে তাকাতেই দেখি সোনম (আমার কাজিন) আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। ওকে কিছুটা হকচকিয়ে দেবার জন্য ঝাপটে ধরলাম।

সোনম: "কি করছো ভাল হবেনা কিন্তু.... মামীকে ডাক দিবো কিন্তু।"😠

"তোর মামীকে কি আমি ভয় পাই?"😂

"ভাইয়া ভাল হচ্ছে না ছেড়ে দাও বলছি।"😡

"না ছাড়লে কি করবি?"😂

বলার সাথে সাথে সোনম হাতে কামড়ে দিতেই আমি ব্যথায় ওকে ছেড়ে দিলাম।

সোনম বলে উঠলো: "দেখলেতো কি করতে পারি।"😎

আমি ওর কান টান দিয়ে বললাম:: "এখন যে ইঞ্জেকশন দিতে হবে সেটা তোর শরীরে দিয়ে দিতে বলবো ডাক্তারকে।"😜

সোনম বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে বললো: "ইঞ্জেকশন কেন? আমার দাতে কি বিষ আছে?"🙄

ওকে রাগানোর জন্য বললাম: "তোর সমস্ত শরীরেইতো বিষ, তুইতো একটা কাল নাগিন🐍।"😜😂

বলতেই রাগে ফুসতে ফুসতে সোনম আমার বুকে কিল ঘুসি মারতে শুরু করলো।💥👊

আমি ওর হাত চেঁপে ধরে বললাম: "হ্যাঁরে কাল নাগিন কখন আসলি?"😐

সোনম এবার রাগ না করে হাসতে হাসতে🤣 বললো:: "সাপুড়ে, কিছুক্ষণ আগেই এসেছি। তা পাশের বাড়িতে কি কোন রূপসী আছে নাকি।😏 যাকে এতো মনোযোগ দিয়ে দেখছিলে?"😬

আমি হাসতে হাসতে বললাম: "হুম.... আকাশের নীল রঙা পরী দেখছিলাম, আর এখান থেকে কয়েক মাইলের ভিতর কোন বাড়ি নেই, যে বাড়িতে কোন রূপসীর দেখা মিলবে।"😊

"হয়েছে হয়েছে আমি বুঝি এখন আর ছোট নেই।"😑

"আচ্ছা তুই বড় হয়ে গেছিস কত বড় দেখি দেখি বিয়ে দেয়া যাবে কিনা"😜 বলেই ওর দিকে হাত বাড়ালাম।

"এই কি করছো.... চলো নিচে যাবো।"
বলেই সোনম সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেল। আমিও পিছু পিছু নিচে নেমে আসলাম।

নিচে নেমে আসতেই দেখি ফুপু বসে আছেন আমি সালাম জানালাম, ফুপু বলে উঠলো "আইমানতো অনেক বড় হয়ে গেছিস। ঢাকা যাস না কেন? কতদিন পর তোকে দেখলাম।"😀

"কোথায় বড় হইছি ফুপু কি যে বলো না।🙈 যাবো রেজাল্ট বের হোক তারপরেই যাবো। ফুপাকে সাথে নিয়ে আসলে না?"🙄

"নারে বাবা.... তোর ফুপার অফিসে অনেক কাজের চাপ, একলা মানুষ এতোবড় ব্যবসা সামলায়। আর আমিও চলে যাবো কাল সকালেই। সোনমের পরীক্ষা শেষ তাই ভাবলাম ওকে কিছু দিনের জন্য গ্রামে রেখে যাই।"🙂

"খুবি ভাল করেছো ফুপি, তুমি রেস্ট করো আমি একটু বের হই।"☺️

সোনম বলে উঠলো: "এই ভাইয়া কোথায় যাও, আমিও যাবো।"😍

"তুই কই যাবি? আমি কোথায় যাবো নিজেইতো জানি না।"🤨

"তুমি যেখানে যাবে আমিও সেখানেই যাবো, কেন আমাকে নিতে কি কোন সমস্যা নাকি?"🤔

"আচ্ছা আয়... তোর আর পরিবর্তন হবে না।"

সোনম হি হি হি হাসতে হাসতে😆 এসে আমার হাত চেঁপে ধরলো।😍

দুজন বাসা থেকে বের হয়ে এলাম, বের হয়ে সোনমকে জিজ্ঞাসা করলাম: "কোথায় যাবি বল?"

"কোথায় যাবো মানে? তুমি যেখানে নিয়ে যাবে সেখানেই যাবো।"🙄

"ওরে কাল নাগিন তাই বুঝি?"😜

"ভাল হচ্ছে না সাপুরে, কামড়ে দিবো কিন্তু।"😠

"এই না না এই ভুল করিস না, শেষে কিন্তু তোর বিষ দাত ভেঙে দিবো।"😬

সোনম মুখ ভেংচি কেটে: "বললেই হলো? তোমারে কামড়ে দিবো কিন্তু তুমি আমাকে ধরতেই পারবে না।"😏বলেই হি হি হি করে হেসে দিলো।😅

সোনম হাসলে ওর গালে টোল পরে, অপূর্ব সুন্দর লাগে।😍আমি কারণে অকারণে সোনমকে হাসানোর চেষ্টা করি, ওর হাসি দেখার জন্য। কেন জানি ওর হাসিতে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই।😍

"এই সোনম বললি না কোথায় যাবি?"

"আজবতো!! তোমাকে বলছি না যেথায় তুমি নিবে সেথায় আমি যাবো।"🙄

আমার মনে ওকে একটু ভয় দেখানোর ইচ্ছে জাগলো তাই বললাম: "আচ্ছা তাই ঠিক আছে চল তোকে আমার বন্ধুর বাসায় নিয়ে যাই, শোনেছি ওর বাবা, মা ডাক্তার দেখাতে ঢাকা গেছে বাসায় ও একেলা। সময়টা ভালই কাটবে দুজনের।"😜

"এই না না কি বলছো এগুলা তুমি, একটা খালি বাড়িতে তুমি আমাকে নিয়া যাবা? তুমি এতোটা খারাপ হয়ে গেছো কি করে? আগেতো তুমি এমন ছিলানা।"😱😢

"শোন আগেতো ছোট ছিলাম আর তুইও ছোট ছিলি এখন বড় হয়ে গেছিস, আর তা ছাড়া এখনতো তুই সব বুঝিস।"😑

"দেখ ভাল হবে না বলছি?"😡

"ভাল খারাপ সে পরে বুঝবো নে এখন চল।"😊

"না আমি যাবো না।"😡

"চল বলছি", বলেই সোনমের হাত ধরে অর্পিদের (আমার মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড) বাসায় চলে আসলাম। সোনম ভয়ে কাঁপছে পাশে দাঁড়িয়ে, আমি ওর মুখের কাছে আমার মুখটা নিয়ে বললাম: "দেখ এভাবে কাঁপাকাঁপি করিস না লোকে সন্ধেহ করবে।"☺️

সোনম কাঁপতে কাঁপতে..... "ভাইয়া তোমার পায়ে পরি আমার সাথে এমন কিছু করো না যাতে আমি কারো কাছে মুখ না দেখাতে পারি।"😟😢😭

আমি ওর গাল টান দিয়ে বললাম: "আহা এতো সুন্দর মুখটা সবাইকে দেখাতে হবে কেন? আমাকে দেখালেই হবে।" বলতে বলতে কলিং বেল চাপ দিলাম।🔔

কিছু সময়ের ভিতরেই অর্পি এসে দরজা খুলে আমাকে দেখেই ইমন বলে গলা জড়িয়ে ধরলো।
(আমাকে আইমান বা ইমন উভয় নামে ডাকা হয়)
বেচারি সোনমের মুখটা তখন দেখার মত হয়েছিল।
অর্পি আমাকে ছেড়ে সোনমের দিকে চোখের ঈশারা করে বললো "কে?"😕

"আমার কাজিন......ঢাকায় থাকে বেড়াতে এসেছে।"😁

তারপর ভিতরে ঢুকে বসলাম, আন্টি আসতেই আন্টিকে সালাম করলাম সোনমকে বললাম "অর্পির মা, মানে আমারও মা।"🙂 সোনম কি বুঝলো বুঝলাম না, কিন্তু মুখটা বাংলার পাঁচ বানিয়ে আমার পাশে বসে মনে মনে কি যেন বলছিল।

আন্টি বললো: "তোমরা বসো আমি চা নাস্তা বানাচ্ছি।" আমি আর অর্পি দুষ্টমি করছি বসে বসে এদিকে সোনম কেমন যেন ফুলেই চলছে।😡

অর্পি নাস্তা আনতে যেতেই আমি সোনমকে বললাম: "কিরে ভয় পেয়েছিলি নাকি বন্ধুর বাসার কথা শোনে?"😜

সোনম আমার বুকের উপর কিল ঘুসি মারতে মারতে বলতে শুরু করলো "এই অর্পিকে সত্যি করে বলো আগেতো কোন দিন তুমি তোমার মেয়ে বন্ধু আসে বলোনি।"😡

"আরে তুই সেই তিন বছর আগে এসেছিস, আর এটা বলার না বলার কি হলো।" বলতে বলতে অর্পি নাস্তা নিয়ে ঘরে ঢুকলো। সোনম চুপ করে লক্ষী মেয়ের মত নাস্তা করলো, কোন কথা না বলে।

কিছু সময়ের ভিতর আন্টি আসলো বলতে শুরু করলো: "আর কিছু দিন পরেই তো তোমার রেজাল্ট দিবে। আমি তোমার আংকেলকে বলে রেখেছি রেজাল্ট দিলেই তোমার চাকরির ব্যবস্থা করতে।"

সোনম হা করে আছে আন্টির কথা শোনে, আন্টি বললো: "তোমরা কিন্তু রাতের খাবার খেয়ে যাবে আমি রান্না বসাচ্ছি।"

"না আন্টি আজ না অন্য আরেক দিন আসবো"...
আন্টি বললো: "সে কি করে হয় নতুন মেহমান নিয়ে এসেছো আজতো খেয়ে যেতেই হবে।" বলেই আন্টি রান্না ঘরের দিকে চলে গেলেন।

আমাকে আর সোনমকে ছাদ এ যেতে বলে অর্পি রান্না ঘরের দিকে গেল। কফি বানিয়ে নিয়ে আসতে।

ছাদ উঠে রেলিং ধরে দাঁড়াতেই সোনম বলে উঠলো "তোমাকে অর্পির বাবার দেয়া চাকরি করতে হবে না।"😒

"কেন! করলে কি সমস্যা?"🙄

"আছে অনেক সমস্যা আছে!" আমি ঢাকা যেয়ে বাবাকে বলবো: "তোমাকে ব্যবসা বুঝিয়ে দিতে।"

"তোর বাবার ব্যবসা আমি বুঝে নিবো কেন?"🤔

"আহা ব্যবসা বাবার হলেও সেটাতো আমার কারণ আমি একমাত্র মেয়ে। আর আমিতো মেয়ে মানুষ ব্যবসা করতে পারবো না। ঐটা না হয় তুমিই করো।"

"কেন আমি করবো! তোর চাচাতো ভাইয়েরা আছে তোদের ব্যবসা ওরা দেখবে।"

"এই বেশী বুঝনাতো, যা বলছি তা করবা ওরা ছোট মানুষ আর বাবা মা তোমাকে নিজের ছেলের মতই দেখে সো ব্যবসা তোমাকেই বুঝে নিতে হবে।"😠

"শোন আমি ব্যবসা বুঝি না, তার চেয়ে চাকরিই আমার জন্য ভাল।"

"আচ্ছা ঠিক আছে না হয় চাকরিই করবা। ব্যবসা দেখবা মাস শেষে বেতন নিবে কিন্তু অর্পির বাবার দেয়া চাকরি করা যাবে না।"

কথা বলতে বলতেই অর্পি চলে আসলো, আমরা তিন জন ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছি।

সোনম বলে উঠলো: "আয়মান ভাইয়া..... একটা গান শোনাও না।"
ওর সঙ্গে অর্পিও বললো: "হুম হুম....অায়মান... একটা গান শোনাও। তুমিতো খুব ভাল গান পার।"

"এই নারে আজ না আজ গলাটা ভাল না"

সোনম বলে উঠলো "বললেই হলো গান শোনাতে হবেই হবে।"😠

"আমি না না না ওকে একটা কবিতা শোনাতে পারি।
তবে গান শোনাতে পারবো না।"

দুজনেই বলে উঠলো: "ওকে তাই বলো।"

আমি বললাম হাসবে না কিন্তু।😐

দুজনেই বললো: "আচ্ছা হাসবো না।"

আমি শুরু করলাম।
🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵
"যে দিন দেখা হবে দুজনার আবারও
কোন এক নির্জন রাস্তায় তুমি কি ছুটে আসবে
আমার বুকের মাঝে?
নাকি মুখ ফিরিয়ে হেঁটে যাবে অন্য কারো সাথে?
তুমি কি মনে রাখবে আজকের এই দিনটির কথা নাকি ভুলে যাবে ভালবাসার সব কথা?

গভীর রাতে যখন ঘুম ভেঙে যাবে আমার কথা কি তোমার মনে পড়বে?
নাকি পাশ ফিরে অন্য কাউকে খুঁজবে?"
🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵🎵

কবিতা শেষ হতেই কিছু বুঝার আগেই দুই পাশ থেকে দুজন কিল ঘুসি মারতে শুরু করলো।💥👊✊🤛💥

আমি: "কি হলো তোরা মারছিস কেন?"😕😲

"মারছি কেন!! এই কবিতা কার জন্য লেখা শুনি? এতো বিরহ কার জন্য?"😡😡

"আরে কি যে বলিস কিসের বিরহ আমিতো মাত্রই কবিতাটা বানিয়ে ফেললাম। তা তোদের দুজনের এতো জ্বলছে কেন?"🙄

বলতে বলতেই আন্টি চলে আসলো।
"কিরে তোদের আড্ডা শেষ হলো?"🤨

অর্পি বললো: "মাত্রইতো শুরু করলাম তুমি এসেছো আমাদের সাথে বসো আড্ডাটা আরও জমবে।"
আন্টি বললো: "এই বুড়ো বয়সে তোদের সাথে আড্ডা!!" বলেই হেসে দিল।😆😂🤣🤣🤣

To be continued...............

(গল্পটা হয়েছে তা কিন্তু জানাবেন😊 আপনাদের feedback পেয়ে গল্প লিখতে impressed হব।😍ভুল- ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন 🙂 ধন্যবাদ।☺️)
Next part জন্যে পেজটি follow করুন 🙏🙏🙏।

With Tarikur Rahman – I just got recognized as one of their top fans! 🎉
13/01/2025

With Tarikur Rahman – I just got recognized as one of their top fans! 🎉

জান্নাত আজ আমাদের রিলেশনের এক মাস হয়ে গেল অথচ তুমি আমাকে এখন পর্যন্ত তোমার একটা ছবি দিলা না। প্লিজ আজকে একটা ছবি দাও তো...
13/01/2025

জান্নাত আজ আমাদের রিলেশনের এক মাস হয়ে গেল অথচ তুমি আমাকে এখন পর্যন্ত তোমার একটা ছবি দিলা না। প্লিজ আজকে একটা ছবি দাও তোমার 🙏
–তোমাকে বলছি না এসব ছবির আবদার করবে না। যদি দেখার শখ থাকে তাহলে আমাদের বাড়িতে এসে দেখে যাও।
–এটা কেমন কথা তুমি বলো? এখন কি আমি যেতে পারবো? তুমি বোঝার চেষ্টা করো না কেন? একটা ছবি দিলে কি হবে?
–তোমাকে বলছি না যদি দেখতে চাও তাহলে আমার বাড়িতে আসো। আমার এসব জোরাজুরি ভালো লাগেনা।
–তোমার বাড়িতে কিভাবে যাব?
–আমি কিছু জানিনা..
–আচ্ছা তোমার জানতে হবে না। দেখি যেদিন যেতে পারব সেদিনই তোমাকে দেখবো।
–এইতো ছেলের মত কথা।
–হইছে আর বলতে হবে না।।
–ঠিক আছে বললাম না...
–ওই বাবু এখন বাই মা আসছে পরে কথা হবে।

তাই বলে ফোনটা রেখে চলে গেল। এখন আসেন আমাদের পরিচয়টা জেনে নিন> আমি হৃদয় এবার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আর যে মেয়েটির সাথে কথা বললাম তার নাম জান্নাত। আমি ঢাকায় থেকে লেখাপড়া করি আর জান্নাত এর বাড়ি সিরাজগঞ্জ। জান্নাত এবার ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। আমাদের প্রথম পরিচয় ফেসবুকে। আস্তে আস্তে কথা বলতে বলতে দুজন দুজনের খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায় কিন্তু কখন যে আমি অজান্তেই তাকে ভালোবেসে ফেলি আমি নিজেও জানিনা। তাকে কোনদিন দেখি নাই কিন্তু আমার মনের ঘরে তাকে নিয়ে একটি স্বপ্ন বেঁধেছি। ওর কাছে যতদিন ছবি চাইছি ততদিন আমাকে নিষেধ করছে। আপনারা দেখলেন তো এখন কি বলল?

–হৃদয় একটু এদিক আয়তো (মা)

পরিচয়টা তো দিয়ে দিলাম এখন মা ডাকছে বাকিটা আপনারা পড়ে নিন......

–হ্যা মা বলো কি হয়েছে?
–ঘরটা এমন অবহেলা করে রেখেছিস কেন? নিজের ঘরটা গুছিয়ে রাখতে পারিস না?
–ওহো মা! তুমি জানো আমি একটু অগোছালো তবুও প্রতিদিন একই কথা কেন বল?
–দুদিন পরে বউ যখন ঘরে আসবে তখন কি করবি হ্যাঁ?
–মা তুমি যে কি বল না? তখন তো তোমার বৌমাই এসব করবে..
–হুম হইছে আর বলতে হবে না। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাস্তার টেবিলে আয় নাস্তা রেডি আছে খেয়ে ভার্সিটিতে যা..
–ঠিক আছে মা।

তারপর আমি রেডি হয়ে নাস্তা করে ভার্সিটিতে যাই। ভার্সিটিতে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হচ্ছে ইব্রাহিম। সেই ইন্টার থেকে আমরা দুজনে একসাথে লেখাপড়া করছি। দুজন দুজনের বেস্ট ফ্রেন্ড। কখনো আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়না.. ভার্সিটিতে যেতেই দেখলাম ইব্রাহিম বট গাছের নিচে বসে আছে..

–কিরে কখন আসলি?
–এইতো দোস্ত 5 মিনিট হলো। আজ দেখছি তোর মন খারাপ ব্যাপার কি? কিছু হয়েছে নাকি?
–আরে নারে দোস্ত কিছু হয়নি। তো তুই একা বসে কেন আর সবাই আসেনি?
–হুম সবাই এসেছে। সবাই যে যার ক্লাসে চলে গেছে, আমি তোর জন্য অপেক্ষা করছি এখানে।
–তো তুই তোর ক্লাসটা মিস করলি?
–আরেকদিন ক্লাস না করলে কিছু হয় না..
–পরে ক্লাস কয়টায়?
– ১০.৪০ এ....
–আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে ততক্ষণ একটু আড্ডা দেই।
–হ্যাঁ তাইতো বলবি। মহারাজ দেরি করে আসবেন আর ক্লাস মিস করে আড্ডা দিতে হবে।
–দোস্ত কাল থেকে আর লেট হবে না প্রমিস।
–তুই তো প্রতিদিনই প্রমিস করিস। একদিকে কি তা রাখতে পারছিস?
–সরি দোস্ত আর হবেনা।
–ঠিক আছে।

তারপর বসে দুজনের আড্ডা দেই। ১০.২০ এ সবার ক্লাস শেষ হয় আর সবাই বটগাছ তলা চলে আসে। তারপর সবাই মিলে আড্ডা দেই..

–এই সুমন তোর বাবা কি অবস্থা এখন? (সুমনের বাবা হার্টের রোগী। হাসপাতালে ভর্তি আছে, সুমনের কোন বড় ভাই নেই তাই খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করে আর বাবা-মা কে দেখাশোনা করে। যার কারণে আমরা সবাই সুমনকে একটু বেশি ভালোবাসি)
–ঐ আগের মতোই রে(সুমন)
–আচ্ছা ডাক্তার কি বলছে? (হৃদয়)
–ডাক্তার বলছে সময় লাগবে কিন্তু নিশ্চয়তা নেই...(সুমন)
–মন খারাপ করিস না দোস্ত সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে (হৃদয়)
–দোয়া করিস দোস্ত (সুমন)
–আমরা তো সব সময় দোয়া করি। তোর মা-বাবাকে আমাদের মা-বাবা নয়? (হৃদয়)
–হ্যাঁ অবশ্যই (সুমন)
–তাহলে এমন কথা বললি কেন? (হৃদয়)
–সরি দোস্ত ভুল হয়ে গেছে আর বলবো না (সুমন)
–হুম ঠিক আছে। আচ্ছা মিলি আজকে মেকআপ করিস নাই নাকি? (হৃদয়)
–তুই আবার আমার মেকআপ নিয়ে কথা বলছিস (মিলি)
–আছে হৃদয় তোর মিলি পিছে না লাগলে কি পেটের ভাত হজম হয় না নাকি? (ইব্রাহিম)
–একদম ঠিক বলছিস। শালা সারাক্ষণ আমার পিছে লেগে থাকে (মিলি)
–হইছে এখন সাপোর্ট পাইয়া এত লাফালাফি করতে হবে না। তুমি যে মেকআপ ম্যান তা তো সবাই জানে। সারাক্ষণ মেকআপ নিয়ে ব্যস্ত হি. হি. হি.(হৃদয়)
–এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে হৃদয় (মিলি অনেক রাগ হয়ে বলল)
–আচ্ছা বইন ভুল হইছে মাফ কইরা দে (হৃদয়)
–হইছে এত ঢং করতে হবেনা (মিলি)
–বাবা না চাইলেও দোষ। আচ্ছা ঠিক আছে আজকের পর আর কোনদিন তোর কাছে মাফ চাইবো না (হৃদয়)
–আচ্ছা তোরা কি শুরু করলে বলতো? (ইব্রাহিম)
–আছে সবকিছু বাদ দে তো দোস্ত। খুব ক্ষুধা পাইছে চল ক্যান্টিনে যাই (সুমন)
–তোর খোদা লাগছে তুই মিলিয়ে নিয়ে যা। আমাদের ক্লাসের সময় হয়ে গেছে আমি আর ইব্রাহিম ক্লাসে গেলাম।(হৃদয়)
–এখন তোদের আবার ক্লাস আছে?(সুমন)
–ক্লাস না থাকলে কি আমি যাই?(হৃদয়)
–সবই বুঝি! না খাওয়ানোর ধান্দা শুধু (মিলি)
–ওই কি বললি তুই? তোদের আমি খাওয়াই না? প্রতিদিন যে ক্যান্টিনে বসে এটা ওটা খাস কি খাওয়ায়? (হৃদয়)
–আহা করত হৃদয়(ইব্রাহিম)
–আচ্ছা ঠিক আছে।তোরা ক্যান্টিনে গিয়ে বস আমরা ক্লাস করে আসছি তারপর একসাথে খাওয়া দাওয়া করব। আর তোদের যদি দেরি না পছন্দ হয় তাহলে খেয়ে নিতে পারিস আমি এসে বিল দেবো সমস্যা নাই। (হৃদয়)
–সত্যি দিবি তো?(মিলি)
–হ্যাঁ দেব এখন যা তোরা.....

তাই বলে ওদেরকে রেখে আমি আর ইব্রাহিম ক্লাসে চলে গেলাম। ক্লাসে ঢুকতে দেখি নতুন একটা স্যার জয়েন করছে আজকে তার ক্লাস। স্যারের আজ আমাদের প্রথম ক্লাস তাই আজকে পরিচয় পর্বের মধ্য দিয়ে ক্লাস শেষ করে। ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে ক্যান্টিনে চলে যায়। ক্যান্টিনে গিয়ে দেখি হারামিগুলা বসে আছে।

–কিরে তোরে কিছু খাস নি?(ইব্রাহিম)
–তোদের ছাড়া আমরা কখনো কিছু খাইছি? (সুমন)
–আরে বোকা খাইলে কি হইত?(হৃদয়)
–কিছু হতো না কিন্তু তোদের ছাড়া আমরা খাব না তাই খাইনি। (মিলি)
–আচ্ছা খাস নি ভালো করছোস। তো এখন কি খাবি বল?(হৃদয়)
–এখন বেশি কিছু খাবো না হালকা নাস্তা করলে হবে। (মিলি)
–আচ্ছা তাহলে সিংগারা আনি তোরা বোস।

তাই বলে আমি সিংগার আনতে সিংগারার গেলাম সাথে কোলড্রিংক নিলাম। তারপর সবাই নাস্তা করে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরলাম। বাসায় এসে লাঞ্চ করে বিকালে একটা ঘুম দিলাম। সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে দেখি মোবাইলে 29 টা মিসড কল। চেক করে দেখি জান্নাতের কল ছিল। আজ আমি শেষ.. কি মরণের ঘুমাচ্ছিলাম ফোনটা বাজছিল বুঝতে পারিনি। জান্নাত তো আজকে আমাকে মেরে ফেলবে... তাড়াতাড়ি করে জান্নাত কে একটা ফোন করলাম..

–হ্যালো জান্নাত!
–সরি কে আপনি? আর কাকে ফোন?
–আমি জান্নাত সরি। আসলে ভার্সিটি থেকে এসে লাঞ্চ করে একটু ঘুমিয়ে পড়ছিলাম তাই বুঝতে পারিনি কখন ফোন করছিলা। সরি 🙏🙏
–তো ঘুম থেকে উঠছেন কেন? জান ঘুমান...
–সরি তো জান।
–তোমার এই সরি আমার আর ভালো লাগেনা।
–আচ্ছা ঘুমিয়ে পড়ছিলাম তো কি করব?
–কিছু করতে হবে না চুপচাপ বসে থাকো বাই....

তাই বলে ফোনটা কেটে দিলো..(আল্লাহ গো মেয়েটা কত রাগ করে। আল্লাহ তুমি মেয়েটাকে একটু হেদায়েত দান করো। কথায় কথায় রাগ করে।) ফোনটা কেটে যাওয়ার সাথে আবার ফোন করলাম...

–কি ব্যাপার আবার ফোন করছ কেন?
–আমার জান পাখিটা.. প্লিজ কথা বলো...
–তোমার সাথে আবার কিসের কথা?
–কথার কি শেষ আছে?
–হ্যাঁ কথা শেষ আছে। তোমার সাথে আমার আর কোন কথা নেই।
–প্লিজ জান এমনটা করোনা। প্লিজ কথা বলো..
–আচ্ছা ঠিক আছে বল কি বলবে?
–আই লাভ ইউ।
–এটা ছাড়া আর কোন কথা আছে?
–আছে তো!
–তো সেই কথা বলো।
–আমার না খুব ইচ্ছা করছে তোমার কাছে ছুটে যেতে...
–তো আসো না কেন?
–কি করব বলো সিরাজগঞ্জ তো আমার কোন রিলেটিভ নেই যে তার পাশেই যাব।
–রিলেটিভ না থাকলে কি আসা যায় না?
–যাওয়া যায় তো কিন্তু আমি তো কিছুই চিনি না কোথায় যেতে কোথায় চলে যাব।
–হা হা হা.. তুমি কোন দুনিয়ার মানুষ হুম?
–কেন?
–তুমি ডিজিটাল যুগে এসে হারিয়ে যাওয়ার ভয় করছ?
–আমি আমার ভয় করিনা। যদি তুমি কোন কারণে হারিয়ে যাও সেদিন আমার মরন ছাড়া কিছু হবে না।
–হুম হইছে এখন আর ইমোশনাল হতে হবে না..
–হুম।

তারপর জান্নাতের সাথে অনেকক্ষণ কথা বলে ফোনটা রেখে একটু ছাদে যাই। আমাদের ছাদে একটি দোলনা আছে তো ছাদে গিয়ে দোলনায় বসে দোল খাচ্ছিলাম এমন সময় সুমনের ফোন আসলো....

–হ্যালো হৃদয় তুই কোথায়? (অনেকটা আতঙ্কিত কন্ঠে বলল)

_________________চলবে?

বিঃ দ্রঃ- গল্পের প্রথম পার্ট যদি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন পরবর্তী পার্ট গুলো লিখব।
Copy abirbhai

11/01/2025

Address

Guwahati
783135

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when NORTH EAST IN INDIA posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share