31/10/2024
মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলছি, বিয়ে করার আগে ছেলের বাবা-মায়ের সম্পর্ক কেমন সেটা জেনে তারপর বিয়ে করুন। টক্সিক ফ্যামিলিতে বড় হওয়া ছেলে কোনদিন আপনাকে একটা সুস্থ সম্পর্ক দিতে পারবে না। হাজার চেষ্টা করলেও পারবে না। বাবা-মা থেকে বউকে দূরে সরিয়ে নিলেও সম্ভব না। কারণ একটা সন্তানের ছোটবেলার মেমোরি ব্রেইনে এমনভাবে সেট হয়ে যায় যেটা বড় হবার পরে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
যে ছেলে আজীবন দেখে এসেছে তার বাবা-মা একে অপরকে সম্মান করে না। একে অপরের ভুল ধরাটা কে গর্বের মনে করে। সন্তানের সামনে একে অপরকে হেনস্থা করতে দ্বিধাবোধ করে না। সে বাড়ির সন্তান আর যাই হোক কোনদিন ভালো স্বামী হতে পারে না। কারণ ছেলেবেলা থেকে সে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের মাঝে এই ব্যাপারগুলাকে নর্মাল হিসেবেই কাউন্ট করে। স্ত্রীকে অসম্মান করা, তাকে দাসীবাদী ভাবা, তার সাথে যা খুশি করা যায়,এরকম বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা তার ব্রেইন তাকে সিগন্যাল দিয়ে জানাতে থাকে ক্রমাগত।
এতে করে এই যে টক্সিসিটি ক্রমাগত চক্রাকারে ঘুরতে থাকে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম। চাইলেও এই চক্র থেকে সহজে বের হতে পারে না তারা। মা-বাবার মধ্যে কেমন সম্পর্ক, তাদের চরিত্র সব কিছুই ভালো করে দেখা উচিত।
আমাদের এই সমাজে মেয়েদের বিয়ের সময় ছেলের সম্পর্কে যেভাবে খোঁজ নেওয়া হয় ঠিক একইভাবে ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড তথা-ফ্যামিলি মেম্বার কার সাথে কার সম্পর্ক কেমন এই ক্ষেত্রেও যদি একইভাবে যাচাই-বাছাই করে মেয়ে দিতো তাহলে ডিভোর্সের হার কিছুটা হলেও কমতো।
একটা সংসার একটা ঘরের মত, কয়েকটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। ঘরের একটা স্তম্ভ নড়ে গেলে ঘরটি যেমন এক দিকে হেলে পরে তেমনি সংসার জীবনে স্বামী_স্ত্রী সম্পর্কের কোন একটা দিক নড়বড়ে হলে সম্পর্ক ও এক দিকে হেলে পরে। তাই বিয়ের সময়ে কোন একটা বিষয়কে ছোট সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না। কে জানে সেই ছোট সমস্যাই একদিন বিশাল আকারে আবির্ভূত হতে পারে.......
🌻🌻
সংগৃহীত.......